Old/New Testament
সোফরের উত্তর
20 তখন নামাথার সোফর উত্তর দিলো:
2 “ইয়োব, তুমি আমার চিন্তাকে তাড়িত করেছো, তাই আমার ভেতরের এই অনুভূতিগুলির জন্য আমি অবশ্যই তোমাকে উত্তর দেবো।
আমি কি ভাবছি, তা আমি খুব তাড়াতাড়ি বলবো।
3 তোমার উত্তর দিয়ে তুমি আমাকে অপমানিত করেছো।
কিন্তু আমি বুদ্ধিমান, আমি জানি কি করে তোমাকে উত্তর দিতে হয়।
4-5 “তুমি জানো যে একজন বদ লোকের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
তুমি নিশ্চয়ই জান যে যখন থেকে আদমকে এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল, তখন থেকেই এটা সত্য।
যে লোক ঈশ্বরকে গ্রাহ্য করে না, সে খুব অল্প সময়ের জন্য সুখী হয় মাত্র।
6 এমনকি যদি বদ লোকের অহঙ্কার আকাশকে স্পর্শ করে
এবং তার মাথা মেঘকে স্পর্শ করে
7 তবু তার মলের মতো সেও চির দিনের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
যে লোকরা তাকে চিনতো তারা বলবে, ‘কোথায় সে?’
8 সে স্বপ্নের মতোই উড়ে যাবে এবং কেউ তাকে আর খুঁজে পাবে না।
একটা দুঃস্বপ্নের মতো তাকে জোর করে তাড়ানো হবে এবং লোকে তাকে ভুলে যাবে।
9 যারা তাকে দেখতো তারা তাকে আর দেখতে পাবে না।
ওর পরিবার ওর দিকে আর তাকাবে না।
10 বদ লোকদের সন্তানরা দরিদ্র লোকদের কাছে সাহায্য চাইবে।
মন্দ লোকটি অবশ্যই নিজের হাতে তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দেবে।
11 যখন ও যুবক ছিল তখন হয়ত তার হাড়গুলো শক্ত, মজবুত এবং তারুণ্যে ভরা ছিল,
কিন্তু ওর সঙ্গে ওগুলোও ধূলোয় শুয়ে থাকবে।
12 “মন্দ লোকদের মুখে খারাপটাই মিষ্টি লাগে।
তাকে সে জিভের তলায় রাখে।
13 মন্দ লোক খারাপটাকেই উপভোগ করে।
সুমিষ্ট মিছরীর মতই সে সেটাকে মুখে ধরে রাখে।
14 কিন্তু সেই মন্দটাই ওর পেটের ভেতর গিয়ে বিষ হয়ে উঠবে।
এটা ওর শরীরের ভেতরে গিয়ে, সাপের বিষের মতোই বিষাক্ত হয়ে উঠবে।
15 মন্দ লোকরা সম্পত্তি গলাধঃকরণ করে, কিন্তু ওরা তা উগরে দেবে।
ঈশ্বরই ওই লোকদের দিয়ে তা বমি করাবেন।
16 মন্দ লোকরা সাপের বিষ চুষে নেয়।
সাপের বিষদাঁতই ওদের হত্যা করবে।
দুষ্ট লোকদের বিষাক্ত সাপ দংশন করবে এবং বিষ তাদের মেরে ফেলবে।
17 যে নদী দুধ এবং মধু সহ প্রবাহিত হয়
মন্দ লোকরা তা দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে।
18 মন্দ লোকরা তাদের লাভের অংশ ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হবে।
তারা যার জন্য পরিশ্রম করেছে, তাদের তা উপভোগ করতে দেওয়া হবে না।
19 কেন? কারণ মন্দলোক গরীব লোকদের আঘাত করে এবং তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।
সে তাদের গ্রাহ্য করে না এবং তাদের জিনিস কেড়ে নেয়।
অন্যের তৈরী বাড়ী সে জবরদখল করে।
20 “দুষ্ট লোকরা কখনও সুখী হয় না।
তাদের সম্পত্তি তাদের বাঁচাতে পারবে না।
21 যখন তারা খায়, কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
সুতরাং তাদের সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
22 যখন দুষ্ট লোকের হাতে প্রচুর সম্পদ থাকবে তখনই সে সমস্যার দ্বারা ন্যুব্জ হয়ে যাবে।
ঐ লোকের নিজের সঙ্গেই ওর সমস্যা নেমে আসবে!
23 মন্দ লোকরা তাদের আকাঙ্খার সব কিছু আহার করার পর,
ঈশ্বর ওদের ওপর তাঁর জ্বলন্ত ক্রোধ বর্ষণ করবেন,
ঈশ্বর তাদের খাবার হিসেবে শাস্তি বর্ষণ করবেন।
24 দুষ্ট লোকরা হয়তো লৌহ তরবারী থেকে পালিয়ে যেতে পারে,
কিন্তু পিতল ধনু অতর্কিতে আক্রমণ করবে।
25 তাম্র শর ওদের শরীর ভেদ করে যাবে এবং ওদের পিঠ ফুঁড়ে বের হবে।
তীরের তীক্ষ্ণ ফলা ওদের প্লীহা ভেদ করে যাবে
এবং ওরা ভয়ে শিউরে উঠবে।
26 ওদের সমস্ত সম্পদ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
একটি আগুন ওদের ধ্বংস করবে—একটি আগুন যা কোন মানুষ শুরু করে নি।
সেই আগুন বাড়ীর সব কিছুকে ধ্বংস করবে।
27 আকাশ দুষ্ট ব্যক্তির অপরাধ প্রকাশ করে দেবে।
তার বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে আকাশ উঠে দাঁড়াবে।
28 ঈশ্বরের ক্রোধর বন্যায়
ওর বাড়ী ধুয়ে মুছে চলে যাবে।
29 মন্দ লোকদের প্রতি ঈশ্বর এমনটাই করবেন।
ওদের দেওয়ার জন্য এটাই ঈশ্বরের পরিকল্পনা।”
ইয়োবের উত্তর
21 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন:
2 “আমি যা বলি অনুগ্রহ করে শোন,
আমাকে সান্ত্বনা দিতে এটাই হোক্ তোমার পথ।
3 আমার সম্পর্কে ধৈর্য্য ধর এবং আমাকে কথা বলতে দাও।
আমার বলা শেষ হলে, তোমরা আমায় নিয়ে মজা করতে পারো।
4 “আমি লোকের নামে অভিযোগ করছি না।
আমার অসহিষ্ণুতার যথেষ্ট কারণ আছে।
5 আমার দিকে দেখ এবং আতঙ্কিত হও।
তোমার হাত তোমার মুখের ওপরে রাখ এবং বিস্ময়ের সঙ্গে তাকিয়ে দেখ।
6 আমি যখন ভাবি আমার প্রতি কি ঘটেছে,
আমি তখন ভয় পাই, আমার শরীর কাঁপতে থাকে!
7 কেন দুষ্ট লোকরা দীর্ঘ জীবন বাঁচে?
কেন তারা বৃদ্ধ হয় ও সফল হয়?
8 দুষ্ট লোকরা তাদের সন্তানদের দেখে, তাদের সঙ্গে বড় হতে দেখে।
দুষ্ট লোকরা তাদের নাতিদের দেখার জন্যও বেঁচে থাকে।
9 ওদের ঘরবাড়ী নিরাপদে থাকে এবং ওরাও নিঃশঙ্ক থাকে।
ওদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ঈশ্বর একটি লাঠিও ব্যবহার করেন না।
10 তাদের বলদগুলো সঙ্গম করতে কখনো অপারগ নয়।
তাদের গাভীগুলোর বাছুর হয় এবং জন্মের সময়ে বাছুরগুলো মরে যায় না।
11 দুষ্ট লোকরা তাদের সন্তানদের, মেষশাবকের মত খেলা করতে পাঠায়।
তাদের সন্তানরা নাচ করতে থাকে।
12 তারা খঞ্জর, বীণা এবং বাঁশির সঙ্গে নাচ করে।
13 মন্দ লোকরা জীবৎকালেই তাদের সাফল্য ভোগ করে।
তারপর তারা মারা যায় এবং দুর্ভোগ না ভুগে কবরে চলে যায়।
14 কিন্তু মন্দ লোকরা ঈশ্বরকে বলে, ‘আমাদের একা ছেড়ে দাও!
তুমি আমাদের দিয়ে কি করাতে চাও, সে বিষয়ে আমরা পরোয়া করি না!’
15 মন্দ লোকরা আরও বলে, ‘কে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর?
আমাদের তাকে সেবা করার দরকার নেই!
তার কাছে প্রার্থনা করেই বা কি লাভ?’
16 “একথা সত্য যে দুষ্ট লোকরা তাদের ভবিষ্যৎ স্থির করতে পারে না।
আমি ওদের মতামত গ্রহণ করি না।
17 কিন্তু কতবার মন্দ লোকদের আলো নিভে যায়?
কতবার মন্দ লোকদের ওপর দুর্গতি ঘনিয়ে আসে?
কতবার ঈশ্বর ক্রুদ্ধ হয়ে ওদের শাস্তি দেবেন?
18 কত বার তারা খড়কুটোর মতো উড়ে যায়
কিংবা ঝোড়ো বাতাসের মুখে তুষের মত উড়ে যায়?
19 কিন্তু তুমি বলছো, ‘পিতার পাপের জন্য ঈশ্বর তার সন্তানকে শাস্তি দেন।’
না! ঈশ্বরের উচিৎ পাপীদের শাস্তি দেওয়া।
তখনই মন্দ লোক বুঝতে পারবে তার নিজের পাপের জন্যই তাকে শাস্তি দেওয়া হল!
20 পাপীকে তার নিজের পতন দেখতে দাও।
তাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ক্রোধ অনুভব করতে দাও।
21 একজন মন্দ লোকের জীবন যখন শেষ হয়ে যায়,
এবং সে যখন মারা যায়, তখন সে ফেলে যাওয়া সংসারের কথা চিন্তাও করে না।
22 “কেউই ঈশ্বরকে জ্ঞানের শিক্ষা দিতে পারে না।
ঈশ্বর গুরুত্বপূর্ণ লোকদেরও বিচার করেন।
23 একজন লোক পরিপূর্ণ এবং সফল জীবন অতিবাহিত করে মারা যায়।
সে সম্পূর্ণ আরাম ও নিরাপত্তার জীবন কাটিয়ে ছিল।
24 তার দেহ সুপুষ্ট ছিলো
এবং তার হাড়গুলো তখনও শক্ত ছিলো।
25 কিন্তু অন্য একজনও কঠোর জীবন সংগ্রামের পর দুঃখী হৃদয় নিয়ে মারা গেল।
সে কোন দিনই ভালো কিছু উপভোগ করতে পারে নি।
26 শেষ কালে, ওই দুই জন লোকই এক সঙ্গে ধূলিতে শুয়ে থাকবে,
উভয়ের দেহই পোকাতে ছেয়ে যাবে।
27 “কিন্তু আমি জানি তুমি কি চিন্তা করছো,
এবং আমি জানি তুমি আমাকে আঘাত করতে চাইছো।
28 তুমি হয়তো বলতে পারো: ‘আমাকে রাজপুত্রের সুন্দর ঘড়বাড়ী দেখাও।
এখন দেখাও, কোথায় দুষ্ট লোকরা বাস করে।’
29 “সত্যই তুমি ভ্রমণকারীর সঙ্গে কথা বলেছো।
নিশ্চিত ভাবে তুমি তাদের গল্পকেই গ্রহণ করবে।
30 দুর্গতি যখন আসে, তখন মন্দ লোকরা বিপদ থেকে বেঁচে যায়।
ঈশ্বর যখন তাঁর ক্রোধ প্রদর্শন করেন, তারা তখন বেঁচে যায়।
31 মন্দ লোকের মন্দ কাজের জন্য কেউই তার মুখের ওপর সমালোচনা করে না।
তার মন্দ কাজের জন্য কেউই তাকে শাস্তি দেয় না।
32 যখন দুষ্ট ব্যক্তিকে কবরে বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়,
তার কবরের কাছে একজন রক্ষী দাঁড়িয়ে থাকে।
33 সেই মন্দ লোকের জন্য কবরের মাটিও রমনীয় হয়ে ওঠে।
এবং তার শবযাত্রায় হাজার হাজার লোক অংশ নেয়।
34 “তাই, তোমার শূন্যগর্ভ কথা দিয়ে তুমি আমাকে সান্ত্বনা দিতে পারবে না।
তোমার উত্তর কোন কাজেই আসবে না!”
24 পরের দিন তাঁরা কৈসরিয়া শহরে এলেন। কর্ণীলিয়াস তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তিনি তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের তাঁর বাড়িতে ডেকেছিলেন।
25 পিতর যখন ভেতরে গেলেন তখন কর্ণীলিয়াস এসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন; আর উপুড় হয়ে পড়ে পিতরকে প্রণাম জানালেন। 26 কিন্তু পিতর তাঁকে বললেন, “আহা, কি করছেন, উঠুন! আমি তো একজন সামান্য মানুষ মাত্র।” 27 পিতর তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতে ভেতরে গিয়ে দেখলেন, সেখানে বহুলোক এসে জড়ো হয়েছে।
28 পিতর তাঁদের বললেন, “আপনারা জানেন, অন্য জাতের লোকের সঙ্গে মেলামেশা করা বা তাদের বাড়ি যাওয়া ইহুদীদের পক্ষে বিধি-সম্মত কাজ নয়; কিন্তু ঈশ্বর আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, কোন মানুষকে ‘অশুচি’ বা ‘অপবিত্র’ বলা ঠিক নয়। 29 তাই আমাকে ডেকে পাঠান হল, আর আমি বিনা আপত্তিতে চলে এলাম। এখন আমি জানতে চাই আপনারা কি কারণে আমায় ডেকে পাঠিয়েছেন।”
30 কর্ণীলিয়াস বললেন, “চারদিন আগে এই সময় আমি আমার ঘরে বসে প্রার্থনা করছিলাম বেলা তখন প্রায় তিনটে, সেই সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন, তাঁর গায়ে ছিল উজ্জ্বল পোশাক। 31 তিনি বললেন, ‘কর্ণীলিয়াস তোমার প্রার্থনা গ্রাহ্য হয়েছে, আর তুমি গরীব দুঃখীদের যে সাহায্য কর তা-ও ঈশ্বর দেখেছেন। ঈশ্বর তোমাকে স্মরণ করেছেন; 32 তাই তুমি যাফোয় কিছু লোক পাঠাও এবং শিমোন যাকে পিতর বলে তাকে এখানে নিয়ে এস। সমুদ্রের ধারে শিমোন নামে যে চামড়ার ব্যবসায়ী আছে, সে তার বাড়িতে আছে।’ 33 তাই আমি সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে লোক পাঠালাম; আর আপনি বড় অনুগ্রহ করে এখানে এসেছেন। এখন আমরা সকলে এখানে ঈশ্বরের সামনে আছি; প্রভু আপনাকে যে সব কথা বলতে আদেশ করেছেন আমরা সকলে তা শুনব।”
কর্ণীলিয়াসের বাড়িতে পিতরের কথা
34 তখন পিতর বলতে শুরু করলেন, “এখন আমি সত্যি সত্যিই বুঝতে পেরেছি যে ঈশ্বর কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন না। 35 প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেউ ঈশ্বরের উপাসনা করে ও ন্যায় কাজ করে, ঈশ্বর এমন লোকদের গ্রহণ করেন। 36 তিনি ইস্রায়েলের লোকদের কাছে তাঁর সুসমাচার পাঠিয়েছিলেন। তিনি সেই সুসমাচারে জানালেন যে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমেই শান্তি লাভ হয়। তিনি সকলেরই প্রভু!
37 “সমগ্র যিহূদাতে কি ঘটেছিল সে সব কথা আপনারা শুনেছেন। যোহন বাপ্তাইজক লোকেদের কাছে বাপ্তিস্মের কথা প্রচার করার পর গালীলে এই ঘটনাগুলি শুরু হয়। 38 আপনারা সেই নাসরতীয় যীশুর বিষয়ে শুনেছেন, শুনেছেন ঈশ্বর কিভাবে তাঁকে পবিত্র আত্মায় ও পরাক্রমের সঙ্গে অভিষেক করেছিলেন। যীশু সর্বত্র মানুষের মঙ্গল করে বেড়াতেন, আর যারা দিয়াবলের কবলে পড়ত তাদের তিনি মুক্ত করতেন, কারণ ঈশ্বর তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
39 “যিহূদা ও জেরুশালেমে যীশু যা কিছু করেছেন, আমরা তা স্বচক্ষে দেখেছি, আমরা তার সাক্ষী। তারা তাঁকে কাঠের তৈরী এক ক্রুশে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে; 40 কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় জীবিত করেছেন। ঈশ্বর লোকদের কাছে যীশুকে জীবিতরূপে দেখালেন। 41 কিন্তু তিনি সবাইকে দেখা দেন নি। ঈশ্বর পূর্বেই সাক্ষীরূপে যাদের মনোনীত করেছিলেন, কেবল তারাই তাঁকে দেখতে পেয়েছিলেন, আমরাই সেইসব সাক্ষী! মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হবার পর আমরা যীশুর সঙ্গে পান-আহার করেছি;
42 “আর তিনি আমাদের আদেশ দিলেন, যেন আমরা লোকদের মাঝে প্রচার করি আর সাক্ষ্য দিই যে তিনিই সেই ব্যক্তি, যাঁকে ঈশ্বর সমস্ত জীবিত ও মৃত সকলের বিচারকর্তা করে মনোনীত করেছেন। 43 যে কেউ যীশুকে বিশ্বাস করবে, সে পাপের ক্ষমা পাবে। যীশুর নামে ঈশ্বর সেইসব লোকদের পাপ ক্ষমা করবেন। সমস্ত ভাববাদী বলে গেছেন যে এ সত্য।”
অইহুদীদের কাছে পবিত্র আত্মা এলেন
44 পিতর যখন এইসব কথা বলছিলেন, তখন যারা সেখানে সেইসব কথা শুনছিল, তাদের সকলের ওপর পবিত্র আত্মা নেমে এলেন। 45 ইহুদী সম্প্রদায় থেকে যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা পিতরের সঙ্গে সেখানে এসেছিলেন তাঁরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেলেন, কারণ অইহুদীদের ওপরও পবিত্র আত্মার দান নেমে এল। 46 কারণ তাঁরা ওদের নানা ভাষায় কথা বলতে ও ঈশ্বরের প্রশংসা করতে শুনলেন। 47 তখন পিতর বললেন, “কেউ কি এই লোকদের জলে বাপ্তাইজ করতে অস্বীকার করতে পারে? আমরা যেমন পবিত্র আত্মা পেয়েছি তারাও তো তেমনি পেয়েছে!” 48 তখন তিনি যীশু খ্রীষ্টের নামে কর্ণীলিয়াস, তার পরিবারের লোকদের ও তাদের বন্ধুদের জলে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে আদেশ করলেন। এরপর তাঁরা পিতরকে তাঁদের সঙ্গে কিছু দিন থাকতে অনুরোধ করলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International