Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
ইয়োব 8-10

বিল‌্দদ ইয়োবের সঙ্গে কথা বললেন

তখন শূহীর বিল‌্দদ উত্তর দিলেন,

“আর কতক্ষণ তুমি ঐ ভাবে কথা বলবে?
    তোমার কথা ঝোড়ো বাতাসের মতই বয়ে চলেছে।
ঈশ্বর সর্বদাই সৎ‌ পথে থাকেন।
    যা সঠিক, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তা কখনই পরিবর্তিত করেন না।
যদি তোমার সন্তানরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করে থাকে,
    তাহলে ঈশ্বর তাদের পাপের জন্য শাস্তি দিয়েছেন।
কিন্তু এখন ইয়োব, তুমি যদি ঈশ্বরের
    এবং সর্বশক্তিমানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর,
যদি তুমি সৎ‌ ও শুচি থাকো, তিনি শীঘ্রই এসে তোমাকে সাহায্য করবেন।
    তোমার যেমন গৃহটি প্রাপ্য তেমনটিই তিনি তোমাকে ফিরিয়ে দেবেন।
তোমার যে বিপুল উন্নতি হবে, তার কাছে,
    আগে তোমার যা ছিল, তা সামান্য মনে হবে।

“বয়স্ক লোকদের জিজ্ঞাসা করে দেখ।
    খুঁজে দেখ তাদের পূর্বপুরুষরা কি শিক্ষা পেয়েছে?
মনে হচ্ছে যেন আমরা গতকাল জন্মেছি।
    জানার পক্ষে আমরা একেবারেই অপক্ক।
    এই পৃথিবীতে আমাদের জীবন ছায়ার মতোই ক্ষণস্থায়ী।”
10 হয়তো বয়স্ক লোকরা তোমায় শিক্ষা দিতে পারেন।
    হয়তো বা, তাঁরা যা শিখেছেন তা তোমাকে শেখাতে পারেন।

11 বিল‌্দদ বললেন, “শুকনো জমিতে কি ভূর্জগাছ বড় হতে পারে?
    জল ছাড়া কি এরস গাছ বাড়তে পারে?
12 না, যদি জল শুকিয়ে যায়, তাহলে তারাও শুকিয়ে যাবে।
    তারা এত ছোট হয়ে যাবে যে তাদের কেটে ব্যবহার করাই মুস্কিল হবে।
13 যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তারাও ঐ নল-খাগড়ার মতোই।
    ঈশ্বরহীন মানুষের আশা বিনষ্ট হয়।
14 ওই লোকের নির্ভর করার কোন জায়গা নেই।
    তার নিরাপত্তা মাকড়সার জালের মতোই দুর্বল।
15 যদি কোন লোক মাকড়সার জালের ওপর নির্ভর করে
    তাহলে তা ভেঙে যায়।
সে মাকড়সার জাল ধরে,
    কিন্তু সেই জাল তাকে আশ্রয় দেয় না।
16 সেই লোকটি সূর্যালোকের মধ্যে একটি ভেজা গাছের মত।
    তার ডালপালা সারা বাগানে ছড়িয়ে পড়ে।
17 পাথরের চাঁইয়ের মধ্যে সে তার শিকড় ছড়িয়ে রাখে,
    পাথরের মধ্যেই সে তার শিকড় গজায়।
18 কিন্তু যদি গাছটি তার জায়গা থেকে সরে যায়, গাছটি মরে যাবে
    এবং কেউ জানবে না যে গাছটি কোন দিন ঐখানে ছিলো।
19 কিন্তু গাছটি যতদিন বেঁচে ছিল ততদিন জীবন উপভোগ করছিল
    এবং অন্যান্য গাছগুলো এর জায়গায় জন্মাবে।
20 ভালো লোকদের ঈশ্বর কখনই পরিত্যাগ করেন না।
    তিনি দুষ্ট লোকদের সাহায্য করেন না।
21 ঈশ্বর তোমার মুখ হাসিতে ভরিয়ে দেবেন
    এবং তোমার ঠোঁট আনন্দ ধ্বনিতে পূর্ণ করবেন।
22 কিন্তু তোমার শত্রুদের মুখ লজ্জায় আচ্ছন্ন হয়ে যাবে।
    এবং দুষ্ট লোকদের ঘরবাড়ী ধ্বংস হয়ে যাবে।”

বিল‌্দদকে ইয়োবের উত্তর

তখন ইয়োব উত্তর দিলেন:

“হ্যাঁ, আমি জানি তুমি যা বলছো তা সৎয।
    কিন্তু একজন মানুষ ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্তি-তর্কে কিভাবে জিততে পারে?
একজন মানুষ ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে পারে না!
    ঈশ্বর 1000টা প্রশ্ন করতে পারেন কিন্তু কোন মানুষ তার একটা প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারে না!
ঈশ্বর প্রচণ্ড জ্ঞানী এবং তাঁর বিপুল ক্ষমতা।
    কেউই ঈশ্বরের সঙ্গে অক্ষত হয়ে লড়াই করতে পারে না।
ঈশ্বর যখন ক্রোধান্বিত হন তখন পর্বতগুলো কি হচ্ছে বোঝবার আগেই তিনি পর্বতদের সরিয়ে দেন।
পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দেবার জন্য ঈশ্বর ভূমিকম্প পাঠান।
    ঈশ্বর পৃথিবীর ভিত পর্যন্ত কাঁপিয়ে দেন।
ঈশ্বর সূর্যের সঙ্গে কথা বলতে পারেন এবং সূর্যোদয় নাও হতে দিতে পারেন।
    তিনি তারাদের বন্দী করে ফেলতে পারেন যাতে তারারা আর না জ্বলে।
ঈশ্বর নিজেই আকাশ সৃষ্টি করেছেন।
    তিনি সমুদ্রের ঢেউয়ের ওপর দিয়ে হেঁটে যান।

“ঈশ্বরই বৃহৎ‌‌ ভাল্লুকমণ্ডলী, সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরুষ এবং কৃত্তিকা সৃষ্টি করেছেন।
    তিনিই গ্রহরাজি সৃষ্টি করেছেন যা দক্ষিণের আকাশ পরিক্রমা করে।
10 ঈশ্বর মহান সব কাজ করেন যা মানুষ বুঝে উঠতে পারে না।
    ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কাজ করেন তা অগণ্য।
11 দেখ, ঈশ্বর আমার পাশ দিয়ে চলে যান কিন্তু আমি তাঁকে দেখতে পাই না।
    তিনি পাশ দিয়ে চলে যান কিন্তু আমি তা উপলদ্ধি করতে পারি না।
12 যদি ঈশ্বর কিছু নিয়ে যান
    কেউই তাঁকে রোধ করতে পারে না।
কেউই তাঁকে বলতে পারে না,
    ‘আপনি কি করছেন?’
13 ঈশ্বর তাঁর রাগ দমন করবেন না।
    এমন কি রাহাবের[a] অনুচররাও ঈশ্বরের সামনে নত হয়!
14 তাই আমি ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে পারি না।
    আমি জানি না তাঁকে কি বলতে হবে।
15 আমি নির্দোষ, কিন্তু আমি তাঁকে কোন উত্তর দিতে পারি না।
    আমি শুধু আমার বিচারকের কাছে প্রার্থনা করতে পারি।
16 আমি যদি ঈশ্বরকে ডাকি এবং তিনি যদি উত্তর দেন,
    তবু আমি বিশ্বাস করবো না যে উনি আমার কথা শুনবেন।
17 অকারণে তিনি আমার দেহে প্রচুর ক্ষত দেবেন।
    আমাকে আঘাত করার জন্য ঈশ্বর ঝড় পাঠাবেন।
18 ঈশ্বর পুনর্বার আমায় নিঃশ্বাস নিতে দেবেন না।
    তার বদলে তিনি আমায় ভয়ঙ্কর কষ্টে ভরিয়ে দেবেন।
19 এটা যদি শক্তির ব্যাপার হয়, নিশ্চয়ই তিনি অনেক বেশী শক্তিশালী।
    এটা যদি সুবিচারের ব্যাপার হয়, ঈশ্বরকে কে আদালতে আসার জন্য বাধ্য করতে পারে?
20 আমি নিরপরাধ, কিন্তু আমার নিজের কথাই আমাকে অপরাধী করে তোলে।
    আমি নির্দোষ, কিন্তু তিনি আমায় তাঁর বিচারে অপরাধী করবেন।
    তাঁর বিচারে আমি অপরাধী হব।
21 আমি নির্দোষ, কিন্তু আমি জানি না কি ভাবতে হবে।
    আমি আমার নিজের জীবনকে ঘৃণা করি।
22 আমি নিজেকে বলি, ‘একই ঘটনা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে।
    নির্দোষ লোক অপরাধীর মতোই মারা যায়।
    ঈশ্বর তাদের সবার জীবন শেষ করে দেন।’
23 যখন ভয়ঙ্কর কিছু একটা ঘটে এবং একজন নির্দোষ লোক মারা যায়, ঈশ্বর কি তার প্রতি বিদ্রূপের হাসি হাসেন?
24 যখন একজন দুষ্ট লোক রাজ্য শাসন করে, তখন কি ঘটছে, তা দেখা থেকে ঈশ্বর কি নেতাদের বিরত রাখেন?
    যদি তাই সত্য হয়, তাহলে ঈশ্বর কে?[b]

25 “আমার দিন একজন দৌড়বাজের থেকেও দ্রুত চলে যাচ্ছে।
    আমার দিনগুলি উড়ে চলে যাচ্ছে এবং তাদের মধ্যে কোন আনন্দ নেই।
26 আমার দিনগুলি নৌকার মত দ্রুত চলে যাচ্ছে
    ঠিক যেমন ঈগল দ্রুত গতিতে শিকারের ওপর ছোঁ মারে।

27 “যদি আমি বলি, ‘আমি অভিযোগ করবো না, আমি আমার যন্ত্রণা ভুলে যাবো।
    আমি আমার মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।’
28 প্রকৃতপক্ষে এটা কোন কিছুকেই পরিবর্তিত করবে না।
    যন্ত্রণা এখনও আমাকে ভীত করে!
29 আমি ইতিপূর্বেই অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছি।
    তাই কেন আমি অকারণে চেষ্টা করবো?
    আমি বলি, ‘ভুলে যাও!’
30 যদি আমি নিজেকে তুষার দিয়ে ধুয়ে ফেলি
    এবং সাবান দিয়ে আমার হাত পরিষ্কার করি,
31 তবুও ঈশ্বর আমাকে কবরে শাস্তি দেবেন এবং তোমরা আমাকে আবর্জনার মধ্যে ফেলে দেবে।
    তখন আমার বস্ত্রও আমায় ঘৃণা করবে।
32 ঈশ্বর তো আমার মতো একজন মানুষ নন।
    সেই জন্য আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারি না।
    আমরা আদালতে মিলিত হতে পারি না।
33 আমি মনে করি দুপক্ষের কথা শোনার জন্য একজন মধ্যপক্ষ মানুষের দরকার।
    আমি মনে করি, আমাদের উভয়েরই বিচার করার জন্য যদি কেউ একজন থাকতো!
34 আমি মনে করি, ঈশ্বরের শাস্তিদানের দণ্ড কেড়ে নেওয়ার জন্য যদি কেউ থাকতো!
    তাহলে ঈশ্বর আমায় আর ভয় দেখাতে পারতেন না।
35 তাহলে, ঈশ্বরকে ভয় না করে, আমি যা বলতে চাই, তা বলতে পারতাম।
    কিন্তু এখন আমি তা করতে পারি না।

10 “আমি আমার নিজের জীবনকে ঘৃণা করি।
    আমি নিঃসঙ্কোচে অভিযোগ করবো।
    আমার আত্মা বীতশ্রদ্ধ হয়ে আছে তাই এখন আমি একথা বলবো।
আমি ঈশ্বরকে বলবো: ‘আমায় দোষ দেবেন না!
    আমায় বলুন, আমি কি ভুল করেছি?
    আমার বিরুদ্ধে আপনার কি কোন অভিযোগ আছে?
ঈশ্বর, আমাকে আঘাত করে আপনি কি সুখী হন?
    মনে হচ্ছে, আপনি যা সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি আমার কোন ভ্রূক্ষেপই নেই।
    কিংবা, মন্দ লোকরা যে ফন্দি আঁটে সেই ফন্দিতে আপনিও কি আনন্দিত হন?
ঈশ্বর, আপনার কি মানুষের চোখ আছে?
    মানুষ যে ভাবে দেখে আপনিও কি সেই ভাবে দেখেন?
আপনার জীবন কি আমাদের মতই ক্ষুদ্র?
    আপনার জীবন কি মানুষের জীবনের মতই ছোট?
    না, তাহলে আপনি কি করে বুঝবেন এটা কেমন?
আপনি আমার দোষ দেখেন
    এবং আমার পাপ অন্বেষণ করেন।
আপনি জানেন আমি নির্দোষ
    কিন্তু কেউই আমাকে আপনার ক্ষমতা থেকে বাঁচাতে পারবে না!
ঈশ্বর, আপনার হাতই আমায় তৈরী করেছে
    এবং আমার দেহকে রূপদান করেছে।
কিন্তু এখন আপনি চারদিক থেকে ঘিরে
    আমায় গিলে ফেলতে বসেছেন।
ঈশ্বর, স্মরণ করুন, আপনি আমাকে কাদা দিয়ে বানিয়ে ছিলেন।
    আপনি কি আবার আমাকে ধূলিতে পরিণত করবেন?
10 আপনি আমাকে দুধের মত ঢেলে দিয়েছিলেন
    এবং আমাকে, ঘন করে ছানার মত আকার দিয়েছেন।
11 আপনি আমার হাড় ও পেশী একত্রিত করেছেন।
    তারপর আপনিই চামড়া ও মাংস দিয়ে তা আবৃত করেছেন।
12 আপনিই আমাকে জীবন দিয়েছেন এবং আমার প্রতি সদয় ছিলেন।
    আপনি আমার যত্ন নিয়েছেন এবং আমার আত্মার প্রতি যত্ন নিয়েছেন।
13 কিন্তু, এ সবই আপনি মনে মনে করেছেন, আমি জানি, এইসব পরিকল্পনাই আপনি গোপনে করেছেন।
    হ্যাঁ, আমি জানি, আপনার মনে এই ছিলো।
14 যদি আমি পাপ করি, আপনি তা লক্ষ্য করবেন
    এবং ভুল করার জন্য আপনি আমায় শাস্তি দেবেন।
15 যদি আমি পাপ করি,
    আমি যেন দুঃখ পাই!
কিন্তু যদিও আমি নির্দোষ তবু আমি আমার মাথা তুলতে পারি না।
    আমি এতই লজ্জিত ও আহত।
16 যদি আমার কোন সফলতা থাকতো ও আমি গর্ব করতে পারতাম
    তাহলে যেমন করে একজন শিকারী সিংহ শিকার করে, তেমনি করে আপনি আমায় শিকার করতেন।
    আমার বিরুদ্ধে আবার আপনি আপনার ক্ষমতা প্রদর্শন করতেন।
17 আমি যে ভুল করেছি, এটা প্রমাণের জন্য
    আপনি নতুন সাক্ষী নিয়ে আসেন।
বার বার নানাভাবে আপনি আমার প্রতি রাগ প্রদর্শন করবেন,
    আমার বিরুদ্ধে একের পর এক সৈন্যদল পাঠাবেন।
18 তাই, ঈশ্বর, কেন আমায় জন্মাতে দিয়েছিলেন?
    কেউ আমাকে দেখার আগেই আমি কেন মরলাম না!
19 তাহলে আমাকে কখনো বাঁচতে হত না।
    মাতৃগর্ভ থেকে আমাকে সরাসরি কবরে নিয়ে যাওয়া হত।
20 আমার জীবন প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
    তাই আমায় একা থাকতে দিন।
    আমার যেটুকু অল্প সময় বাকী আছে, তা উপভোগ করতে দিন।
21 যেখান থেকে আমি আর ফিরব না সেই অন্ধকার ও মৃত্যুর জগতে প্রবেশ করার আগে
    আমার অল্প সময় আমাকে উপভোগ করতে দিন।
22 যে স্থানে গেলে কেউ দেখতে পায় না সেই অন্ধকার, ছায়াচ্ছন্ন ও বিশৃঙ্খলার জগতে যাওয়ার আগে,
    আমার যেটুকু অল্প সময় বাকী রয়েছে তা আমায় উপভোগ করতে দিন।
    এমনকি সেই স্থানের আলোও অন্ধকারের মত তমসাময়।’”

প্রেরিত 8:26-40

ফিলিপ ইথিওপিয়ার একজন লোককে শিক্ষা দিলেন

26 প্রভুর এক দূত ফিলিপকে বললেন, “প্রস্তুত হও, দক্ষিণে যে পথ জেরুশালেম থেকে ঘসার দিকে নেমে গেছে, সেই পথ ধরে নেমে যাও।”

27 তখন ফিলিপ প্রস্তুত হয়ে সেই পথ ধরে রওনা দিলেন এবং সেই পথে একজন ইথিওপিয়ানকে দেখতে পেলেন, তিনি নপুংসক। তিনি ইথিওপিয়ার কান্দাকি রাণীর কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ইনি জেরুশালেমে উপাসনা করতে গিয়েছিলেন। 28 ফেরার পথে তিনি তাঁর রথে বসে ভাববাদী যিশাইয়র পুস্তক থেকে পড়ছিলেন।

29 তখন পবিত্র আত্মা ফিলিপকে বললেন, “ঐ রথের কাছে যাও, তাঁর সঙ্গ ধর!” 30 ফিলিপ দৌড়ে রথের কাছে গিয়ে শুনলেন, সেই কোষাধ্যক্ষ ভাববাদী যিশাইয়র পুস্তক থেকে পড়ছেন। ফিলিপ জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি যা পড়ছেন তা কি বুঝতে পারছেন?”

31 তিনি বললেন, “কি করে বুঝব যদি বুঝিয়ে দেওয়ার কেউ না থাকে?” আর তিনি ফিলিপকে রথে উঠে এসে তার কাছে বসতে বললেন। 32 শাস্ত্রের যে অংশটি তিনি পাঠ করছিলেন তা হল:

“হত হবার জন্য মেষের মতো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল।
    লোম ছাঁটাইকারীদের সামনে ভেড়া যেমন মুখ বুজে থাকে,
    তেমনি তিনি মুখ খোলেন নি।
33 তাঁর হীন অবস্থায়, তাঁর ন্যায় অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হল।
    কেউ আর কখনও তাঁর বংশধরদের কথা বলবে না,
    কারণ পৃথিবীতে তাঁর জীবন সমাপ্ত হল।”(A)

34 সেই কোষাধ্যক্ষ ফিলিপকে বললেন, “অনুগ্রহ করে বলুন, ভাববাদী কার বিষয়ে এই কথা বলছেন? তিনি কি তাঁর নিজের বিষয়ে বলছেন, অথবা অন্য কারো বিষয়ে?” 35 তখন ফিলিপ শাস্ত্রের সেই অংশ থেকে শুরু করে যীশুর বিষয়ে সুসমাচার তাঁকে জানালেন।

36 তাঁরা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে জলাশয়ের কাছে এসে হাজির হলে সেই নপুংসক বললেন, “দেখুন! এখানে জল আছে! বাপ্তাইজ হতে আমার বাধা কোথায়?” 37 [a] 38 তিনি রথ থামাতে হুকুম করলেন, আর ফিলিপ ও নপুংসক উভয়ে জলে নামলেন। ফিলিপ তাঁকে বাপ্তিস্ম দিলেন। 39 তাঁরা যখন জলের মধ্য থেকে উঠলেন, তখন প্রভুর আত্মা ফিলিপকে সরিয়ে নিয়ে গেলেন, সেই কোষাধ্যক্ষ তাকে আর দেখতে পেলেন না; কিন্তু আনন্দ করতে করতে তাঁর পথে এগিয়ে চললেন। 40 ফিলিপ নিজেকে অসদোদে দেখতে পেলেন আর তিনি কৈসরিয়ার পথে রওনা হয়ে যাত্রা পথে সব নগরে সুসমাচার প্রচার করলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International