Old/New Testament
5 “ইয়োব, তুমি যদি চাও তো চিৎকার কর, কিন্তু কেউ তোমার ডাকে সাড়া দেবে না!
তুমি কোন্ পবিত্র সত্তার দিকে ফিরবে?
2 একজন বোকা লোকের ক্রোধই তাকে হত্যা করবে।
একজন বোকা লোকের প্রচণ্ড আবেগই তাকে হত্যা করবে।
3 আমি একজন বোকা লোককে দেখেছিলাম যে ভেবেছিল সে নিরাপদে আছে।
কিন্তু সে হঠাৎ মারা গেল।
4 তার ছেলেদের সাহায্য করার জন্য কেউই ছিল না।
নগরদ্বারে[a] কেউ তাদের লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা করে নি।
5 ক্ষুধিত লোকরা তার সব শস্য খেয়ে নিয়েছিল।
কাঁটাঝোপের মধ্যে যে শস্য গজিয়ে উঠেছিলো, এই ক্ষুধিত লোকরা তাও খেয়ে নিয়েছিল।
তাদের যা কিছু ছিল, লোভী লোকরা সবই নিয়ে গিয়েছিল।
6 শুধুমাত্র ধূলো থেকে খারাপ সময় উঠে আসে না।
সমস্যা হঠাৎ করে ভূমি ফুঁড়ে জন্মায় না।
7 কিন্তু মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হতে বাধ্য।[b]
ঠিক যেমন আগুন থেকে স্ফুলিঙ্গ ওড়ে।
8 কিন্তু ইয়োব, আমি যদি তুমি হতাম, আমি ঈশ্বরকে খুঁজতাম
এবং ঈশ্বরকে সম্বোধন করে আমার কথা বলতাম।
9 ঈশ্বর মহান কাজগুলি করেন যা কেউ পুরোপুরি বুঝতে পারে না।
তিনি এত বিস্ময়কর কাজ করেন যে তাদের গোনা যায় না।
10 ঈশ্বর পৃথিবীতে বৃষ্টি পাঠান।
তিনি জমির জন্য জল পাঠান।
11 ঈশ্বর একজন বিনয়ী লোককে উন্নীত করেন।
অতএব যারা বিলাপরত তারা বিজয়প্রাপ্ত[c] হয়।
12 ঈশ্বর চালাক ও মন্দ লোকদের ফন্দি বানচাল করে দেন
যাতে তাদের পরিকল্পনা সফল না হয়।
13 ঈশ্বর, চালাক লোকদেরও তাদের নিজেদের ফাঁদেই ধরেন।
তাই, সেই সব চালাকিও সফল হয় না।
14 ওরা দিনের বেলায় রাতের সম্মুখীন হয়
এবং দিনের বেলাতেই এমন করে হাতড়ে বেড়ায়, যেন রাত হয়ে গেছে।
15 ঈশ্বর দরিদ্র লোকদের মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন।
দুর্জন লোকদের শক্তি থেকে তিনি দরিদ্র লোকদের রক্ষা করেন।
16 তাই দরিদ্র লোকদের আশা আছে।
অধর্ম তার মুখ বন্ধ করে।
17 “যার দোষ ঈশ্বর সংশোধন করে দেন সে তো ঈশ্বরের আশীর্বাদপূত!
তাই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যখন তোমায় শাস্তি দেন তখন কোন অভিযোগ করো না।
18 ঈশ্বর যে আঘাত দেন,
তিনি নিজেই সে আঘাতের শুশ্রূষা করেন।
হয়তো তিনি কাউকে আঘাত করেন
কিন্তু তাঁর হাত আরোগ্যও দান করে।
19 ঈশ্বর তোমাকে সব সময়ই উদ্ধার করবেন,
যতবারই সংকট আসুক না কেন, সেটা তোমাকে আঘাত করবে না।[d]
20 যখন দুর্ভিক্ষ হবে তখন ঈশ্বর তোমায় মৃত্যু থেকে রক্ষা করবেন।
যখন যুদ্ধ হবে তখন ঈশ্বর তোমায় মৃত্যু থেকে রক্ষা করবেন।
21 ঈশ্বর তোমাকে অপবাদ থেকে রক্ষা করবেন।
বিপর্যয় এলে তুমি ভয় পাবে না।
যখন মন্দ কিছু ঘটবে তখন তোমার ভয়ের কোন কারণ নেই।
22 দুর্ভিক্ষ ও ধ্বংসের দিনগুলোকে তুমি উপহাস করবে।
তুমি বন্য জন্তুদের ভয় পাবে না।
23 মনে হচ্ছে যেন বন্য জন্তু ও মাঠের পাথরের সঙ্গে তোমার একটি শান্তি চুক্তি রয়েছে।
এমনকি বন্য পশুরাও তোমার সঙ্গে শান্তিতে থাকবে।
24 তুমি জানবে যে তোমার বাড়ি শান্তিতে আছে।
তোমার সম্পত্তির হিসাব করে দেখবে কোন কিছুই খোয়া যায় নি।
25 তুমি জানবে যে তোমার প্রচুর সন্তানাদি হবে।
পৃথিবীতে যত ঘাস আছে তোমার উত্তরপুরুষদের সংখ্যাও ততগুলোই হবে।
26 তুমি সেই গমের মত হবে যে গম ফসল কাটা পর্যন্ত বাড়তে থাকে।
হ্যাঁ, বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত তুমি পূর্ণ শক্তিতে বেঁচে থাকবে।
27 “ইয়োব, এই বিষয়গুলো আমরা অনুধাবন করেছি এবং আমরা জানি সেগুলি সত্যি।
তাই ইয়োব, আমাদের কথা শোন, এবং তোমার নিজের জন্য সেগুলো শেখো।”
ইয়োব ইলীফসকে উত্তর দিলেন
6 1-2 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন:
“আমি যদি আমার ক্রোধকে দাঁড়িপাল্লার এক দিকে এবং দুঃখকে অন্য দিকে রাখতে পারতাম
তাহলে তাদের ওজন একই হত।
3 তাদের ওজন সমুদ্রের সব কটি বালুকণার চেয়েও বেশী।
এই কারণেই আমার বাক্য এত কর্কশ।
4 সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের তীর আমার দেহে বিদ্ধ হয়েছে।
আমার জীবন ঐ সব তীরের বিষ পান করছে!
ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর অস্ত্রসমূহ আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সারি দিয়ে রাখা আছে।
5 যখন কোন রকম মন্দ কিছু না ঘটে তখন তোমার কথাগুলো বলা সহজ।
এমনকি বুনো গাধা যখন খাওয়ার ঘাস পায়, সে কোন অভিযোগ করে না।
এমনকি, যখন খাদ্য থাকে, তখন কোন গরুও অভিযোগ করে না।
6 স্বাদহীন কোন বস্তু কি লবণ ছাড়া খাওয়া যায়?
ডিমের সাদা অংশের কি কোন স্বাদ আছে? না!
7 আমি এরকম খাবার স্পর্শ করতে অস্বীকার করি,
ঐ ধরণের খাদ্য আমার কাছে পচা খাবারের মত।
এবং তোমার কথাগুলো আমার কাছে সেই রকমই স্বাদহীন বলে মনে হচ্ছে।
8 “যা চেয়েছি তা যদি পেতাম!
আমি যা সত্যিই চাই তা যদি ঈশ্বর দিতেন!
9 আমি চেয়েছিলাম, ঈশ্বর আমায় ধ্বংস করুন।
এগিয়ে এসে আমায় হত্যা করুন।
10 যদি তিনি আমায় হত্যা করেন, আমি স্বস্তি পাবো, আমি সুখী হব: এত যন্ত্রণা সত্ত্বেও আমি সেই পবিত্রতমের আদেশ পালন করা থেকে বিরত হই নি।
11 “আমার সব শক্তি চলে গেছে, তাই আমার বেঁচে থাকার কোন আশা নেই।
আমি জানি না আমার কি হবে, তাই আমার ধৈর্য্য ধরার কোন কারণ নেই।
12 আমি পাথরের মত শক্ত নই।
আমার দেহ পিতল দিয়ে তৈরী নয়।
13 আত্মনির্ভর হবার মত আমার কোন শক্তি নেই।
কেন? কারণ আমার কাছ থেকে সাফল্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
14 “যদি কেউ সমস্যায় পড়ে, তার প্রতি তার বন্ধুর সদয় হওয়া উচিৎ।
যদি কেউ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দিক থেকেও মুখ ফেরায়, তবুও তার প্রতি তার বন্ধুর বিশ্বস্ত থাকা উচিৎ।
15 কিন্তু তুমি, আমার ভাই, তুমি বিশ্বস্ত ছিলে না, আমি তোমার প্রতি নির্ভর করতে পারিনি।
তুমি সেই ঝর্ণার মত যা কখনও প্রবাহিত হয় আবার কখনও প্রবাহিত হয় না। তুমি সেই ঝর্ণার মত
16 যা বরফে জমে গেলে বা বরফ গলা জলে ভরে গেলে উপচে পড়ে।
17 এবং যখন আবহাওয়া শুষ্ক ও গরম থাকে
তখন তার জল প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
তার ধারাগুলো লুপ্ত হয়।
18 বণিকের দল তাদের রাস্তা থেকে সরে যায়
এবং তারা মরুভূমিতে বিলুপ্ত হয়।
19 টেমার বণিকরা জলের অন্বেষণ করলো।
শিবার পর্যটকরা আশা নিয়ে অপেক্ষা করলো।
20 তারা নিশ্চিত ছিল যে তারা জল পাবেই
কিন্তু তারাও হতাশ হল।
21 এখন, তুমি সেই সব ঝর্ণার মত।
আমার দুর্দশা দেখে তুমি ভীত হয়েছো।
22 আমি কি তোমার সাহায্য চেয়েছি?
না চাই নি! কিন্তু তুমি সহজেই তোমার উপদেশ দিলে!
23 আমি কি তোমাকে বলেছি, ‘আমাকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা কর!’
অথবা ‘নৃশংস লোকের হাত থেকে আমায় রক্ষা কর!’
24 “তাই, এখন আমায় শিক্ষা দাও, আমি চুপ করে থাকবো।
দেখিয়ে দাও আমি কি ভুল করেছি।
25 সৎ-বাক্যই শক্তিশালী।
কিন্তু তোমার যুক্তি কোন কিছুই প্রমাণ করে না।
26 তুমি কি আমার সমালোচনা করার পরিকল্পনা করেছ?
তুমি কি আরও ক্লান্তিকর কথা বলবে?
27 তুমি একজন পিতৃ-মাতৃহীনের সম্পত্তি নিয়ে
জুয়া খেলতে পারো।
তুমি তোমার প্রতিবেশীকেও বিক্রি করে দিতে পারো।
28 কিন্তু এখন, আমার মুখ দেখে বোঝার চেষ্টা কর।
আমি তোমার কাছে মিথ্যা বলবো না।
29 তোমার সিদ্ধান্তগুলি পুনর্বিবেচনা কর।
অন্যায় বিচার করো না।
পুনরায় বিবেচনা কর কারণ এ ব্যাপারে আমি নির্দোষ।
আমি কোন ভুল করিনি।
30 আমি মিথ্যা বলছি না।
আমি কি পচা জিনিসের স্বাদ বুঝি না?”
7 ইয়োব বললেন, “পৃথিবীতে মানুষকে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়।
তাদের জীবন একজন কঠোর পরিশ্রমী শ্রমিকের জীবনের মত।
2 মানুষ সেই ক্রীতদাসের মত, যে প্রচণ্ড গরমের দিনে সারাদিন পরিশ্রমের পর একটু শীতল ছায়া চায়।
মানুষ একজন ভাড়াটে শ্রমিকের মত যে বেতনের দিনের জন্য অপেক্ষা করে।
3 তাই, ঠিক একটি ক্রীতদাস ও শ্রমিকের মত আমাকে মাসের পর মাস নৈরাশ্য দেওয়া হয়েছে।
আমাকে দুঃখভরা রাতগুলি গুনে দেওয়া হয়েছে।
4 যখন আমি শুই, আমি ভাবি,
‘আবার কতক্ষণ পরে জেগে উঠবো?’
রাত্রি প্রলম্বিত হয়।
সূর্য ওঠা পর্যন্ত আমি ছটফট করি।
5 আমার দেহ কৃমিকীট ও আবর্জনার মণ্ড দিয়ে আবৃত।
আমার চামড়া ফেটে যায় ও রস গড়ায়।
6 “আমার জীবন, তাঁতির মাকুর থেকেও দ্রুত অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে।
এবং আশাহীন ভাবে আমার জীবন শেষ হচ্ছে।
7 স্মরণে রেখো, আমার জীবন একটি নিশ্বাস মাত্র।
আর কখনও আমি ভালো কিছু দেখবো না।
8 এবং যদিও তুমি এখন আমায় দেখছ তুমি আমাকে দেখবে না,
তুমি আমাকে খুঁজতে থাকবে কিন্তু আমি থাকবো না।
9 মেঘ চলে যায় এবং বিলুপ্ত হয়। একই ভাবে, একজন লোক কবরে চলে যায়।
সে আর ফিরে আসে না।
10 তার পুরোনো বাড়ীতে সে আর কখনই ফিরে আসবে না।
তার বাড়ী তাকে আর চিনতে পারবে না।
11 “তাই আমি চুপ করে থাকবো না!
আমি কথা বলবো, আমার আত্মা কষ্ট পাচ্ছে!
আমি অভিযোগ করবো কারণ আমার আত্মা বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছে।
12 ঈশ্বর, কেন আপনি আমায় পাহারা দিচ্ছেন?
আমি কি সমুদ্র বা সমুদ্র দানব?
13 যখন আমি বলি আমার বিছানা আমাকে আরাম দেবে,
আমার চৌকি আমাকে বিশ্রাম ও শান্তি দেবে
14 তখন স্বপ্ন দেখিয়ে আপনি আমায় ভয় পাওয়ান।
ভয়াবহ স্বপ্ন দর্শন করিয়ে আপনি আমায় ভীত করেন।
15 তাই ফাঁসি যাওয়াটাই আমি এখন শ্রেয় বলে মনে করি।
এমন ভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে আমার মরে যাওয়াই ভাল।
16 আমি আমার জীবনকে বাতিল করে দিয়েছিলাম।
আমি চিরদিন বেঁচে থাকতে চাই না।
আমাকে একা থাকতে দিন।
আমার জীবন শুধুই একটি বয়ে যাওয়া নিঃশ্বাস।
17 ঈশ্বর, কেন মানুষ আপনার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?
কেন আপনি তাকে এত লক্ষ্য করেন?
18 কেন প্রতিদিন সকালে আপনি মানুষ পরীক্ষা করেন?
কেন প্রতি মূহুর্তে লোকদের যাচাই করেন?
19 ঈশ্বর, আপনি কি আমার উপর থেকে আপনার দৃষ্টি সরিয়ে নেবেন না?
আপনি কি এক পলকের জন্যও আমাকে একা ছাড়বেন না?
20 ঈশ্বর, আপনি মানুষের ওপর নজর রাখেন।
আমি অন্যায় করেছি, ভাল।
আমি আপনার প্রতি কি করতে পারি?
কেন আমি আপনার বোঝা হয়ে উঠেছি?
21 অপরাধ করার জন্য কেন আপনি আমায় ক্ষমা করছেন না?
আমার পাপের জন্য কেন আপনি আমায় ক্ষমা করছেন না?
আমি খুব তাড়াতাড়ি মরে গিয়ে কবরে যাবো।
তখন আপনি আমায় খুঁজবেন, কিন্তু আমি তখন চলে যাবো।”
8 1-3 আর শৌল স্তিফানের হত্যার অনুমোদন করেছিলেন।
বিশ্বাসীদের কষ্ট
কয়েকজন ধার্মিক লোক এসে স্তিফানকে কবর দিলেন আর স্তিফানের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করলেন। সেইদিন থেকে জেরুশালেমের মণ্ডলীর উপর ভীষণ নির্যাতন শুরু হল। প্রেরিতগণ ছাড়া সবাই যিহূদিয়া ও শমরিয়া প্রদেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়লেন। এদিকে শৌল বিশ্বাসী সমাবেশকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। বাড়ি বাড়ি ঢুকে তিনি স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে টানতে টানতে নিয়ে এসে কারাগারে ভরলেন। 4 বিশ্বাসীরা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল; আর তারা যেখানেই গেল সেখানেই সুসমাচার প্রচার করতে লাগল।
শমরিয়ায় ফিলিপের প্রচার
5 ফিলিপ শমরিয়া শহরে গিয়ে সেখানে তিনি খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করলেন। 6 লোকরা যখন ফিলিপের কথা শুনল এবং তিনি যে সব অলৌকিক কাজ করছিলেন তা দেখল, তখন তাঁর কথায় আরো মন দিল। 7 অশুচি আত্মায় পাওয়া লোকদের মধ্য থেকে চিৎকার করতে করতে সেইসব অশুচি আত্মা বাইরে বেরিয়ে এল। অনেক পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোক ও খোঁড়া লোক সুস্থ হল। 8 এর ফলে সেই শহরে মহা আনন্দের সাড়া জাগল।
9 সেই শহরে শিমোন নামে একজন লোক ছিল। ফিলিপ সেই শহরে আসার আগে শিমোন বহুদিন ধরে সেই শহরে যাদুখেলা দেখাত। এইভাবে সে শমরিয়ার লোকদের অবাক করে দিত। সে নিজেকে একজন মহাপুরুষ বলে জাহির করত। 10 ছোট বড় সকলেই তার কথা মন দিয়ে শুনত। তারা বলত, “এই লোকের মধ্যে ঈশ্বরের সেই শক্তি আছে যাকে ‘মহাপরাক্রম’ ও বলা চলে।” 11 লোকরা তার কথা শুনত কারণ দীর্ঘ দিন ধরে সে লোকদের যাদুমন্ত্রের চমকে মুগ্ধ করে রেখেছিল। 12 কিন্তু ফিলিপ যখন তাদের ঈশ্বরের সুসমাচার, তাঁর রাজ্য ও যীশু খ্রীষ্টের নামের বিষয় জানালেন, তখন স্ত্রী-পুরুষ সকলে ফিলিপকে বিশ্বাস করে বাপ্তিস্ম নিল। 13 আর শিমোন নিজেও বিশ্বাস করল ও বাপ্তিস্ম নিল। বাপ্তাইজ হওয়ার পর সে ফিলিপের কাছে কাছে থাকতে লাগল, আর ফিলিপের দ্বারা অনেক অলৌকিক কাজ ও নানা পরাক্রম কাজ হচ্ছে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেল।
14 প্রেরিতরা তখনও জেরুশালেমে ছিলেন। তাঁরা শুনতে পেলেন যে শমরিয়ায় লোকরা ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ করেছে, তখন তাঁরা পিতর ও যোহনকে সেখানে পাঠালেন। 15 পিতর ও যোহন এসে শমরিয়ায় খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জন্য প্রার্থনা করলেন যেন তারা পবিত্র আত্মা লাভ করে; 16 কারণ এই লোকেরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তাইজ হলেও তখনও পর্যন্ত তাদের কারোর ওপর পবিত্র আত্মা অবতরণ করেন নি। 17 এইজন্য পিতর ও যোহন প্রার্থনা করলেন; আর সেই দুই প্রেরিত, লোকদের মাথায় হাত রাখলে তারা পবিত্র আত্মা লাভ করল।
18 শিমোন যখন দেখল যে, প্রেরিতদের হাত রাখার মাধ্যমে পবিত্র আত্মা লাভ হচ্ছে, তখন সে টাকা এনে তাদের বলল, 19 “আমাকেও এই ক্ষমতা দিন যেন আমি যার ওপর আমার দুহাত রাখব, সে এই পবিত্র আত্মা পায়।”
20 পিতর শিমোনকে বললেন, “তুমি ও তোমার টাকা চিরকালের মত ধ্বংস হয়ে যাক্! ঈশ্বরের দান তুমি টাকা দিয়ে কিনবে বলে ভেবেছ? 21 এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তোমার কোন অধিকার বা অংশ নেই, কারণ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে তোমার অন্তর মোটেই সরল নয়। 22 তাই তুমি এই মন্দ চিন্তা থেকে তোমার মন-ফেরাও! আর প্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, হয়তো তোমার মনের এই মন্দচিন্তার জন্য ক্ষমা পেলেও পেতে পার। 23 কারণ আমি দেখছি তোমার মধ্যে খুব ঈর্ষা আছে আর তুমি পাপের কাছে বন্দী।”
24 তখন শিমোন বলল, “আপনারাই আমার জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন, যেন আপনারা যা বললেন তার কিছুই আমার না হয়!”
25 প্রেরিতরা যীশুর বিষয়ে যা জানতেন, সে সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিয়ে ও প্রভুর বার্তা প্রচার করে জেরুশালেমে ফিরে চললেন, যাবার পথে তাঁরা শমরিয়ার বিভিন্ন গ্রামে সুসমাচার প্রচার করলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International