Old/New Testament
যিহূদার রাজা যিহোশাফট
17 আসার জায়গায় যিহূদার নতুন রাজা হলেন তাঁর পুত্র যিহোশাফট। ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য যিহোশাফট যিহূদাকে সুদৃঢ় করেছিলেন। 2 যিহূদার যে সমস্ত শহরকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল সেই সবকটি শহরে তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছিলেন। এছাড়া তিনি যিহূদায় এবং তাঁর পিতা আসার দখল করা ইফ্রয়িমের শহরগুলিতেও সৈন্যবাহিনী মোতায়েন করেছিলেন।
3 প্রভু যিহোশাফটের সহায় হয়েছিলেন কারণ তিনি তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মতোই বাধ্যভাবে জীবনযাপন করতেন এবং বাল মূর্ত্তিসমূহের পূজো করেন নি। 4 পরিবর্তে তিনি তাঁর পিতা, আসার ঈশ্বরকে অনুসরণ করেছিলেন এবং ইস্রায়েলের উত্তরাঞ্চলের লোকদের মতো জীবনযাপন করেন নি। যিহোশাফট প্রভুর বিধি ও নির্দেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করতেন। 5 প্রভু তাই যিহূদা রাজ্যে যিহোশাফটের ক্ষমতাকে দৃঢ় করেছিলেন। সমস্ত লোক তাঁর জন্য উপহার ও উপঢৌকন আনত, সে কারণে তিনি বহু খ্যাতি ও সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন। 6 প্রভুর আজ্ঞানুবর্তী হয়ে জীবনযাপন করতে যিহোশাফট কৃতসংকল্প ছিলেন। তিনি ভণ্ড মূর্ত্তি আশেরার খুঁটি ও যাবতীয় উঁচু পূজোর বেদী নির্মূল করেছিলেন।
7 যিহোশাফট তাঁর রাজত্বের তৃতীয় বছরে যিহূদার শহরগুলিতে শিক্ষাদানের জন্য তাঁর বিন্-হয়িল, ওবদিয়, সখরিয়, নথনেল, মীখায় প্রমুখ আধিকারিকদের পাঠান। 8 এঁদের সঙ্গে তিনি কিছু লেবীয় পাঠিয়েছিলেন। তারা হল: শময়িয়, নথনিয়, সবদিয়, অসাহেল, শমীরামোৎ, যিহোনাথন, অদোনিয়, টোবিয় এবং টোব্-অদনীয় এবং যাজক ইলীশামা ও যিহোরাম। 9 এঁরা সকলে মিলে যিহূদার সমস্ত শহর পর্যটন করতে করতে প্রভুর বিধিপুস্তক অনুযায়ী লোকেদের শিক্ষাদান করেছিলেন।
10 যিহূদার চারপাশের অঞ্চলের বসবাসকারী লোকরা প্রভুর ভয়ে ভীত থাকায় যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। 11 কিছু পলেষ্টীয় ব্যক্তি যিহোশাফটের জন্য রূপো ও অন্যান্য উপহার এনেছিলেন কারণ তারা তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন ছিল। আরবীয়রা যিহোশাফটকে 7700টি মেষ ও 7700টি ছাগল উপহার দিয়েছিল।
12 যিহোশাফট ক্রমে ক্রমে আরো শক্তি সঞ্চয় করেন এবং যিহূদার প্রত্যেকটা শহরে দুর্গ ও গোলাঘর বানান। 13 এই সমস্ত শহরে তিনি নিয়মিত দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র পাঠাতেন। এছাড়া তিনি জেরুশালেমে যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শী সৈনিক রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। 14 এই সমস্ত সৈনিকদের নাম তাদের পরিবারগোষ্ঠীর ইতিহাস থেকে জানতে পারা যায়।
সৈনিকদের মধ্যে যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী থেকে
অদন ছিলেন 300,000 সেনার অধ্যক্ষ।
15 যিহোহাননের অধীনে ছিল 280,000 সেনা।
16 সিখির পুত্র অমসিয়, প্রভুর সেবায় একজন স্বেচ্ছাসেবক, 200,000 ধনুর্ধর সেনার সেনাপতি ছিলেন।
17 বিন্যামীনের জাতি থেকে
সেনাপতি ইলিয়াদার অধীনে ছিল 200,000 ধনুর্ধর সৈন্য। এরা সকলে তীরধনুক ও ঢাল নিয়ে যুদ্ধ করতো। ইলিয়াদা নিজেও ছিলেন সাহসী যোদ্ধা।
18 যিহোশাফটের অধীনে ছিল 180,000 পারদর্শী যোদ্ধা।
19 এরা ছাড়াও রাজা যিহোশাফটের অধীনে যিহূদার প্রত্যেকটা দুর্গে আরো বহু লক্ষ সৈনিক কাজ করতেন।
মীখায় রাজা আহাবকে সতর্ক করলেন
18 যিহোশাফট প্রভুত পরিমাণে সম্পদ ও সম্মানের অধিকারী হয়েছিলেন। তিনি ঐ দুটি রাজ্যের মধ্যে একটি সন্ধি স্থাপনের জন্য রাজা আহাবের সঙ্গেও একটি বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। 2 কয়েকবছর পরে তিনি শমরিয়া শহরে রাজা আহাবের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আহাব তাঁর ও তাঁর সঙ্গের লোকদের সম্মানার্থে বহু মেষ ও গরু বলিদান করেন। আহাব যিহোশাফটকে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। 3 আহাব যিহোশাফটকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কি আমার সঙ্গে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবেন?” যিহোশাফট, আহাবকে উত্তর দিয়েছিলেন, “আপনার আর আমার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, আমার প্রজারা তো আপনারও প্রজা। আমরা অবশ্যই আপনার সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেব।” 4 যিহোশাফট আরো বললেন, “প্রথমে প্রভুর সন্মতি চাওয়া যাক।”
5 রাজা আহাব তাই 400 জন ভাববাদীকে জড়ো করলেন। তিনি তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, “আমরা কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করতে পারি?”
তখন ভাববাদীরা বললেন, “যান, ঈশ্বর আপনাদের রামোৎ-গিলিয়দকে হারাতে সাহায্য করবেন।”
6 কিন্তু যিহোশাফট একথায় সন্তুষ্ট না হয়ে বললেন, “আমার প্রভুর কোনো ভাববাদী কি এখানে উপস্থিত আছেন? তাহলে তাঁর মাধ্যমে আমাদের প্রভুর সম্মতি নেওয়া উচিৎ।”
7 তখন রাজা আহাব যিহোশাফটকে জানালেন, “একজন আছেন যাঁর মাধ্যমে আমরা প্রভুকে প্রশ্ন করতে পারি। কিন্তু এই লোকটাকে আমার মোটেই পছন্দ নয় কারণ ও কখনও প্রভুর কাছ থেকে জেনে আমায় কোনো ভাল কথা বলেনি। ও সবসময় আমার সম্পর্কে খারাপ ভবিষ্যদ্বাণী করে। এ হল যিম্লের পুত্র মীখায়।”
যিহোশাফট বললেন, “আহাব আপনার মুখে একথা শোভা পায় না।”
8 রাজা আহাব তখন তাঁর এক কর্মচারীকে ডেকে বললেন, “তাড়াতাড়ি গিয়ে যিম্লের পুত্র মীখায়কে এখানে ডেকে নিয়ে এসো।”
9 ইস্রায়েলরাজ আহাব এবং যিহূদারাজ যিহোশাফট দুজনেই তখন তাঁদের রাজকীয় পোশাক পরে শমরিয়া শহরের সামনের দরজার কাছে এক শস্য মাড়াইয়ের জায়গায় নিজেদের সিংহাসনে বসেছিলেন। ঐ 400 জন ভাববাদী তাদের সামনে ভবিষ্যদ্বাণী করছিলেন। 10 কনানার পুত্র সিদিকিয় লোহা দিয়ে কয়েকটা শিং বানিয়ে বলল, “প্রভু বলেছেন: ‘ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত আপনারা অরামীয়দের এই শিংগুলি দিয়ে বিদ্ধ করে যাবেন।’” 11 সমস্ত ভাববাদীরা একই সুরে কথা বলতে লাগলেন। তারা বললেন, “আপনারা রামোৎ-গিলিয়দে যান। প্রভুর সহায়তায় আপনারা নিশ্চয়ই অরামীয়দের পরাজিত করতে পারবেন।”
12 এদিকে বার্তাবাহকরা মীখায়কে গিয়ে বললেন, “শুনুন মীখায়, সমস্ত ভাববাদীরা রাজাদের যুদ্ধ জয়ের কথা শুনিয়েছেন। আপনিও এবার গিয়ে ভাল ভাল কথা বলুন।”
13 প্রত্যুত্তরে মীখায় বললেন, “জীবন্ত প্রভুর দিব্য, আমার ঈশ্বর যা বলেন আমি তাই বলব।”
14 তারপর মীখায় রাজা আহাবের কাছে এসে উপস্থিত হলেন। রাজা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “মীখায় আমরা কি রামোৎ-গিলিয়দে যুদ্ধ করতে যেতে পারি?”
মীখায় উত্তর দিলেন, “যান আক্রমণ করুন। ঈশ্বর আপনাদের শত্রুকে পরাজিত করতে সাহায্য করবেন।”
15 রাজা আহাব তখন মীখায়কে বললেন, “বহুবার আমি তোমাকে বলেছি, প্রভুর নামে আমাকে সব সময়ে সত্যি কথা বলবে!”
16 একথা শুনে মীখায় বললেন, “আমি দেখলাম ইস্রায়েলের লোকরা মেষপালক ছাড়া মেষের পালের মত পাহাড়গুলোর ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। প্রভু বলেছেন: ‘এদের নেতৃত্ব দেবার মতো কেউ নেই, প্রত্যেকে যে যার বাড়িতে ফিরে যাক।’”
17 ইস্রায়েলের রাজা আহাব যিহোশাফটকে বললেন, “দেখেছেন, আমি আগেই আপনাকে বলেছিলাম মীখায় কখনও আমার সম্পর্কে ভাল কিছু বলেন না। শুধুই আমার অপবাদ দেন।”
18 মীখায় বললেন, “প্রভুর বার্তা শুনুন। আমি প্রভুকে তাঁর সিংহাসনে বসে থাকতে দেখেছি আর স্বর্গের সেনাবাহিনী তাঁকে দুদিকে ঘিরে রেখেছিল। 19 প্রভু জিজ্ঞেস করলেন: ‘তোমাদের মধ্যে কে রামোৎ-গিলিয়দে যাবে এবং আহাবকে প্রতারণা করে হত্যা করবে?’ তখন প্রভুর চারপাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন তাদের একেকজন একেক রকম কথা বলতে লাগলেন। 20 শেষ অবধি এক আত্মা এসে প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে বললো, ‘আমি যাবো আহাবের সঙ্গে ছলনা করতে।’ প্রভু সেই আত্মাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিভাবে?’ 21 তখন সেই আত্মা বললো, ‘আমি যাবো এবং আহাবের ভাববাদীদের ওপর ভর করব এবং তাদের দিয়ে মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী করাব।’ তখন প্রভু বললেন, ‘যাও আহাবকে ছলনা করার কাজে তুমি অবশ্যই সফলকাম হবে।’
22 “দেখুন আহাব, প্রভু আপনার ভাববাদীদের মুখ দিয়ে মিথ্যা ভাষণ করিয়েছেন। আসলে প্রভু আপনার অমঙ্গল সাধন করতে চান।”
23 তখন কনানার পুত্র সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের মুখে আঘাত করে বলল, “মীখায়, আমাকে বল প্রভুর আত্মা কেমন করে আমাকে ছেড়ে গেল এবং তার বদলে তোমার সঙ্গে কথা বলল?”
24 মীখায় উত্তর দিলেন, “সিদিকিয় এ কথার উত্তর তুমি তখন পাবে যখন নিজের প্রাণ বাঁচাতে তোমায় একটা চোরা কুঠুরিতে গিয়ে লুকোতে হবে।”
25 রাজা আহাব হুকুম দিলেন, “মীখায়কে আটক কর এবং তাকে শহরের শাসনকর্তা আমোনার কাছে এবং রাজপুত্র যোয়াশের কাছে পাঠিয়ে দাও। 26 আর ওদের জানিয়ে দাও আমি মীখায়কে কারাগারে পুরতে বলেছি। আমি যুদ্ধ থেকে নিরাপদে ফিরে না আসা পর্যন্ত যেন ওকে জল আর শুকনো রুটি ছাড়া আর কিছু খেতে না দেওয়া হয়।”
27 প্রত্যুত্তরে মীখায় বললেন, “আহাব আপনি যদি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসেন তাহলে বুঝবো প্রভু কোনোদিনই আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বলেননি। তোমরাও সকলে মন দিয়ে আমার একথা শুনে রাখো।”
রামোৎ-গিলিয়দে আহাবের মৃত্যু
28 অতঃপর ইস্রায়েলের রাজা আহাব আর যিহূদার রাজা যিহোশাফট দুজনে মিলে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে গেলেন। 29 রাজা আহাব যিহোশাফটকে বললেন, “যুদ্ধে যাবার আগে আমি ছদ্মবেশ পরে যেতে চাই। আপনি আপনার পোশাকেই চলুন।” তখন ইস্রায়েলের রাজা আহাব ছদ্মবেশ ধারণ করলেন এবং তারপর দুজনে যুদ্ধে গেলেন।
30 অরামের রাজা তাঁর রথবাহিনীর সেনাপতিদের আদেশ দিলেন, “কোন সৈন্যর সঙ্গে যুদ্ধ করো না। তোমরা শুধু ইস্রায়েলের রাজা আহাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো।” 31 রথ বাহিনীর সেনাপতিরা প্রথমে যিহোশাফটকে দেখে ভাবলেন, “ঐ বুঝি ইস্রায়েলের রাজা আহাব!” তারা সকলে মিলে যেই যিহোশাফটকে আক্রমণ করতে গেল যিহোশাফট সাহায্যের জন্য প্রভুকে চিৎকার করে ডাকলেন। ঈশ্বর রথের সেনাপতিদের অভিমুখ যিহোশাফটের দিক থেকে ঘুরিয়ে দিলেন। 32 যখন রথের সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখল তারা হৃদয়ঙ্গম করল যে তিনি আসলে ইস্রায়েলের রাজা আহাব নন, তাই তারা আর তাঁকে তাড়া করলো না।
33 ইতিমধ্যে, একজন সেনা তার ধনুক থেকে একটা তীর লক্ষ্যহীনভাবে ছুঁড়েছিল এবং সেই তীরটা ইস্রায়েলের রাজা আহাবের গায়ে গিয়ে বিঁধলো। তীরটা তাঁর শরীরের এমন জায়গায় বিঁধল যেখানটা বক্ষত্রাণ দিয়ে ঢাকা ছিল না। আহাব তাঁর রথের সারথীকে বললেন, “রথের মুখ ঘোরাও এবং আমাকে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাও। আমি আহত।”
34 সেদিন যুদ্ধ এমশঃ প্রচণ্ড হয়ে উঠল। সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজা আহাব তাঁর রথে অধিষ্ঠিত থেকে যুদ্ধের সামনা করলেন। তারপর সূর্যাস্তের সময় তিনি মারা গেলেন।
যীশু শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিলেন
13 ইহুদীদের নিস্তারপর্বের ঠিক পূর্বে যীশু বুঝতে পারলেন, যে এই জগত ছেড়ে পিতার কাছে তাঁর যাবার সময় হয়ে এসেছে। যীশু পৃথিবীতে তাঁর আপনজনদের সব সময় ভালবেসেছেন। এবার তিনি তাদের প্রতি তাঁর ভালবাসার চূড়ান্ত প্রমাণ দিলেন।
2 যীশু ও তাঁর শিষ্যরা সান্ধ্য আহার করছিলেন। দিয়াবল ইতিমধ্যে শিমোন ঈষ্করিয়োতের ছেলে যিহূদাকে প্ররোচিত করেছে যীশুকে শত্রুর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। 3 যীশু বুঝলেন যে পিতা তাঁকে সব কিছুর ওপর ক্ষমতা দিয়েছেন, তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন, আর ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাচ্ছেন। 4 তখন তিনি ভোজের আসর থেকে উঠে দাঁড়ালেন, তাঁর উপরের জামাটা খুলে রেখে একটি গামছা কোমরে জড়ালেন। 5 তারপর গামলায় জল ঢেলে শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিতে লাগলেন, আর যে গামছাটি কোমরে জড়িয়ে ছিলেন সেটি দিয়ে তাঁদের পা মুছিয়ে দিতে লাগলেন।
6 এইভাবে তিনি শিমোন পিতরের কাছে এলে পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, আপনি কেন আমার পা ধুইয়ে দেবেন?”
7 এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, “আমি যা করছি, তুমি এখন তা বুঝতে পারছ না, কিন্তু পরে বুঝবে।”
8 পিতর তাঁকে বললেন, “আপনি কখনও আমার পা ধুইয়ে দেবেন না।”
যীশু তাঁকে বললেন, “আমি যদি তোমার পা না ধুইয়ে দিই, তাহলে আমার সঙ্গে তোমার কোন সম্পর্ক থাকবে না।”
9 শিমোন পিতর তাঁকে বললেন, “প্রভু, আপনি কেবল আমার পা নয়, হাত ও মাথা ধুইয়ে দিন!”
10 যীশু তাঁকে বললেন, “যে স্নান করেছে তার পা ধোয়া ছাড়া আর কিছু দরকার নেই, আর তো সর্বাঙ্গ পরিষ্কার হয়েছে। তোমরাও পরিষ্কার হয়েছ, কিন্তু সকলে নও।” 11 যীশু জানতেন যে একজন তাঁকে ধরিয়ে দেবে, সেই কারণেই তিনি বললেন, “তোমরা সকলে পরিষ্কার নও।”
12 তাদের পা ধোয়ানো শেষ করে তিনি আবার তাঁর উপরের জামাটি পরলেন ও টেবিলে তাঁর জায়গায় ফিরে এসে তাদের বললেন, “আমি তোমাদের প্রতি কি করলাম তা বুঝতে পারলে? 13 তোমরা আমায় ‘গুরু’ ও ‘প্রভু’ বলে থাকো; আর তোমরা তা ঠিকই বল, কারণ আমি তা-ই। 14 তাই আমি প্রভু ও গুরু হয়ে যদি তোমাদের পা ধুইয়ে দিই, তাহলে তোমাদেরও উচিত পরস্পরের পা ধোয়ানো। 15 আমি তোমাদের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম, যেন আমি তোমাদের প্রতি যেমন করলাম, তোমরাও তেমনি কর। 16 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, চাকর তার মনিবের থেকে বড় নয়, আর দূত তার প্রেরণকর্তার থেকে বড় নয়। 17 যেহেতু তোমরা এসব জান, এইগুলি পালন কর, তাহলে তোমরা সুখী হবে।
18 “আমি তোমাদের সকলের বিষয়ে বলছি না। আমি জানি, কাদের আমি মনোনীত করেছি। কিন্তু শাস্ত্রে যে কথা লেখা হয়েছে তা অবশ্যই পূর্ণ হবে, ‘যে আমার সঙ্গে আহার করল, সেই আমার বিরুদ্ধে গেল।’(A) 19 এসব ঘটবার আগেই আমি তোমাদের এসব বলছি, যাতে যখন এসব ঘটবে, তোমরা বিশ্বাস করবে যে আমিই তিনি। 20 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমি যাকে পাঠাবো তাকে যে গ্রহণ করবে, সে আমাকেই গ্রহণ করবে। আর যে আমাকে গ্রহণ করে, আমায় যিনি পাঠিয়েছেন, সে তাঁকেও গ্রহণ করে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International