Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
2 বংশাবলি 13-14

যিহূদার রাজা অবিয়

13 যারবিয়ামের ইস্রায়েলে রাজত্বের 18 বছরের মাথায় অবিয় ইস্রায়েলের নতুন রাজা হলেন। তিনি মোট তিন বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। অবিয়র মা মীখায়া ছিলেন গিবিয়ার ঊরীয়েলের কন্যা। অবিয় আর যারবিয়ামের মধ্যেও যুদ্ধ হয়েছিল। অবিয়র সেনাবাহিনীতে 400,000 বীর সৈনিক ছিল। অবিয় তাদের নিয়ে যুদ্ধে যান। ইতিমধ্যে যারবিয়াম 800,000 বীর সেনা নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে রইলেন।

অবিয় ইফ্রয়িমের পার্বত্য অঞ্চলে সমারয়িম পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে বললেন, “যারবিয়াম আর ইস্রায়েলের অন্য সবাই, তোমরা আমার কথা শোনো। তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর দায়ূদ ও তাঁর উত্তরপুরুষদের সঙ্গে একটি দৃঢ় চুক্তি[a] করেছিলেন এবং চিরদিনের জন্য তাদের ইস্রায়েলের ওপর রাজা হিসেবে কর্তৃত্ব করার অধিকার দিয়েছিলেন। কিন্তু নবাটের পুত্র যারবিয়াম তাঁর প্রকৃত রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। যারবিয়াম আসলে দায়ূদের পুত্র শলোমনের অধীনস্থ একজন ভৃত্য ছিল। তারপর স্বার্থান্বেষী অপদার্থ কিছু লোক আর যারবিয়াম মিলে রহবিয়ামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। যেহেতু রহবিয়ামের তখন অল্প বয়স এবং যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল না তাই তিনি যারবিয়ামকে বাধা দিতে পারেননি।

“আর এখন তোমরা সকলে মিলে ভাবছো দায়ূদের সন্তানদের দ্বারা শাসিত প্রভুর রাজ্যকে যুদ্ধে হারাবে! তোমাদের সঙ্গে অনেক লোক আর দেবতা হিসেবে যারবিয়ামের তৈরী ঐ ‘সোনার বাছুরগুলো’ আছে। তোমরা প্রভুর যাজক-লেবীয় আর হারোণের বংশধরদের তাড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মতো নিজেরা নিজেদের যাজক বেছে নিয়েছো। এখন যে খুশি সেই একটা ষাঁড় আর সাতটা মেষ এনে এইসব মূর্ত্তিগুলোর যাজক হয়ে বসতে পারে।

10 “কিন্তু আমাদের প্রভুই আমাদের ঈশ্বর। আমরা যিহূদাবাসীরা কখনও প্রভুকে অবজ্ঞা করিনি বা তাঁকে পরিত্যাগ করিনি। আমাদের এখানে কেবলমাত্র হারোণের বংশধররা লেবীয়দের প্রভুর সেবা করেন। 11 তাঁরাই সকাল সন্ধ্যায় হোমবলি উৎসর্গ করেন, ধুপধূনো দিয়ে থাকেন এবং মন্দিরের সোনার টেবিলে তাঁরাই রুটি নিবেদন করেন আর সোনার বাতিদানগুলোর যত্ন নিয়ে থাকেন যাতে তাদের আলো কখনও নিভে না যায়। আমরা পরম শ্রদ্ধা ভরে আমাদের প্রভুর সেবা করি, কিন্তু তোমরা তাঁকেই পরিত্যাগ করেছ। 12 প্রভু তাই আমাদের সহায়। তিনিই আমাদের প্রকৃত শাসক। তাঁর যাজকরাও আমাদের অনুগত। তাঁরা যখন কাড়া-নাকাড়া, শিঙা বাজান প্রভুর ভক্তরা তাঁর কাছে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। শোনো ইস্রায়েলবাসীরা, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো না। তোমরা কখনোই সফল হতে পারবে না।”

13 কিন্তু যারবিয়াম অবিয়র সেনাবাহিনীর পেছনে লুকিয়ে থাকার জন্য এবং তাদের পেছন থেকে আক্রমণ করবার জন্য কিছু সৈন্য পাঠিয়ে দিলেন। সুতরাং যারবিয়ামের মুখ্য সৈন্যদল, অবিয়র সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হল এবং তিনি তাঁর পেছনেও অতর্কিত আক্রমণের জন্য সৈন্য মোতায়েন রাখলেন। 14 তখন অবিয়র সেনাবাহিনী বুঝতে পারল যে সামনে পেছনে দুদিক থেকেই যারবিয়ামের সেনারা তাদের ঘিরে ফেলেছে আর যিহূদার লোকরা এবং প্রভুর যাজকরা সকলে মিলে শিঙা বাজাচ্ছে, প্রভুর উদ্দেশ্যে সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছে। 15 তখন অবিয়র সেনারা যুদ্ধের হুংকার দিতে লাগলো এবং শেষ পর্যন্ত প্রভু যারবিয়ামের ইস্রায়েলীয় সেনাবাহিনীকেই পরাজিত করলেন। 16 ইস্রায়েলীয়রা, যিহূদাদের থেকে পালাতে লাগলো। 17 ইস্রায়েলের 500,000 বাছাই করা সৈন্য অবিয় এবং তার সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হল। 18 অর্থাৎ‌ ইস্রায়েলীয়রা পরাজিত হল এবং যিহূদাদের জয় হল। যিহূদারা যুদ্ধে জিতলো কারণ তারা তাদের পূর্বপুরুষের আদরনীয় ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করেছিল।

19 অবিয়র সেনাবাহিনী যারবিয়ামের সেনাবাহিনীকে তাড়া করে বার করে দিল এবং যারবিয়ামের কাছ থেকে বৈথেল, যিশানা, ইফ্রোণ শহরগুলি এবং চারপাশের গ্রামগুলি দখল করে নিল।

20 অবিয়র জীবদ্দশায় যারবিয়াম আর তাঁর ক্ষমতা ফিরে পান নি। প্রভু যারবিয়ামকে আঘাত করেছিলেন এবং তিনি মারা গিয়েছিলেন। 21 কিন্তু অবিয় এমশঃ শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। তিনি 14 জন মহিলাকে বিয়ে করেন আর তাঁর 22 জন পুত্র ও 16 জন কন্যা হয়েছিল। 22 অবিয় যা কিছু করেছিলেন এবং যেরকম ব্যবহার করেছিলেন তা ভাববাদী ইদ্দোরের লেখা কাহিনী থেকে জানতে পারা যায়।

14 অবিয়র মৃত্যুর পর তাঁকে দায়ূদ নগরীতে পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সমাহিত করার পর অবিয়র পুত্র রাজা আসা তাঁর জায়গায় নতুন রাজা হলেন। আসার রাজত্বকালে দেশে দশ বছরের জন্য শান্তি বিরাজ করেছিল।

যিহূদার রাজা আসা

আসা নিষ্ঠাভরে তাঁর প্রভুর সেবা করেছিলেন। তিনি বিদেশীদের বেদী এবং উচ্চস্থলগুলি সরিয়ে দিলেন এবং তিনি পাথরের মূর্ত্তিগুলি এবং আশেরার খুঁটিগুলি ভেঙ্গে দিলেন। তিনি লোকদের তাদের পূর্বপুরুষের ঈশ্বরের বিধি এবং আদেশসমূহ পালন করতে বলেছিলেন। আসা যিহূদার সবকটি শহরের উঁচু বেদীগুলি এবং সূর্য মূর্ত্তিগুলি ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। যে কারণে প্রভুর আশীর্বাদে তাঁর রাজত্বকালে রাজ্যের সর্বত্র শান্তি বিরাজ করতো। শান্তির সময় আসা শহরগুলোকে শক্তিশালী করেছিলেন যখন দেশ যুদ্ধ থেকে মুক্ত ছিল, কারণ প্রভু তাকে শান্তি দিয়েছিলেন।

আসা যিহূদার লোকদের ডেকে বললেন, “এসো আমরা এইসব শহরগুলো পোক্ত করে বানিয়ে এগুলোর চারপাশ দেওয়াল দিয়ে ঘিরে দিই। তারপর প্রহরা স্তম্ভ আর গরাদ বসানো দরজা বানাই। আমাদের প্রভুকে অনুসরণ করার জন্যই আজ এই শহর আমাদের হয়েছে। প্রভু আমাদের শান্তি দিয়েছেন।” আসা ও তাঁর প্রজারা তাঁদের এই কাজে সফল হয়েছিলেন।

আসার সেনাবাহিনীতে যিহূদা জনগোষ্ঠীর মোট 300,000 বল্লমধারী সেনা ও বিন্যামীন জনগোষ্ঠীর 280,000 ধনুর্ধর সেনা ছিল। যিহূদার সৈনিকরা বল্লম ও ঢাল নিয়ে যুদ্ধ করতেন। বিন্যামীনের সৈনিকরা ছোট ছোট ঢাল এবং তীরধনুক নিয়ে যুদ্ধ করতে পারতেন। এঁরা সকলেই ছিলেন সাহসী ও বীর যোদ্ধা।

কূশ দেশের সেরহ 1,000,000 সেনা ও 300 রথ নিয়ে আসার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসে মারেশা নগর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলেন। 10 আসাও তাঁর সেনাবাহিনী নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে মারেশার সফাথা উপত্যকায় এসে উপস্থিত হলেন।

11 আসা তাঁর প্রভু ঈশ্বরকে ডেকে বললেন, “হে প্রভু, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্বলদের একমাত্র তুমিই সাহায্য করতে পারো। আমাদের প্রভু, ঈশ্বর তুমি আমাদের সহায় হও। আমরা তোমার ওপর নির্ভর করছি। প্রভু তোমার নাম নিয়ে আমরা এই বিশাল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি। তুমি আমাদের ঈশ্বর। দেখো, তোমার সেনাবাহিনীকে কেউ যেন হারাতে না পারে।”

12 প্রভু তখন আসার সেনাবাহিনীর হাতে কূশ দেশের সেনাবাহিনীর পরাজয় সাধন করলেন। সেই কূশ সেনারা পালিয়ে গেল। 13 আসার সেনারা তাদের ধাওয়া করে গরার পর্যন্ত তাড়া করল। যুদ্ধে প্রভুর বাহিনীর এতো বেশী সংখ্যক কূশ সেনা মারা গিয়েছিল যে তাদের পক্ষে আর একত্রিত হয়ে বাহিনী তৈরী করে যুদ্ধ করা সম্ভব ছিল না। আসা আর তাঁর সেনাবাহিনী শত্রুপক্ষের ফেলে যাওয়া বহু মূল্যবান জিনিষপত্র উদ্ধার করে দখল করলেন। 14 তারা গরারের পাশ্ববর্তী সমগ্র শহরকে যুদ্ধে পরাজিত করলেন। এইসব শহরের বাসিন্দারা প্রভুর কোপানলের ভয়ে ভীত ছিল। আসার সেনাবাহিনী এইসব শহর থেকে বহু দুর্মূল্য জিনিসপত্র দখল করে নিয়েছিল। 15 এরপর তারা মেষপালকদের ছাউনি আক্রমণ করে সেখান থেকে বহু সংখ্যক মেষ ও উট কেড়ে নিয়ে আবার জেরুশালেমে ফিরে গেল।

যোহন 12:1-26

বন্ধুদের সঙ্গে যীশু বৈথনিয়াতে

(মথি 26:6-13; মার্ক 14:3-9)

12 নিস্তারপর্বের ছদিন আগে যীশু বৈথনিয়াতে গেলেন যেখানে লাসার বাস করতেন। এই মৃত লাসারকে যীশু বাঁচিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা যীশুর জন্য এক ভোজের আয়োজন করছিলেন। মার্থা খাবার পরিবেশন করছিলেন। যীশুর সঙ্গে যাঁরা খেতে বসেছিল তাদের মধ্যে লাসারও ছিলেন। তখন মরিয়ম বিশুদ্ধ জটামাংসী[a] থেকে তৈরী করা প্রায় আধ সের মতো দামী আতর নিয়ে এসে যীশুর পায়ে তা ঢেলে দিলেন, আর নিজের মাথার চুল দিয়ে তাঁর পা দুখানি মুছিয়ে দিলেন। তখন সমস্ত ঘর আতরের সুগন্ধে ভরে গেল।

যিহূদা ঈষ্করিয়োত সেখানে ছিল, সে যীশুর শিষ্যদের মধ্যে একজন, যে তাঁকে পরে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে। মরিয়মের সেই কাজ যিহূদার ভাল লাগে নি। যিহূদা ঈষ্করিয়োত বলল, “এই আতর একজন শ্রমিকের সারা বছরের পারিশ্রমিক[b] ছিল। এটা বিক্রি করে সেই অর্থ কেন দরিদ্রদের দেওয়া হল না?” গরীবদের জন্য চিন্তা করতো বলে যে সে একথা বলেছিল তা নয়, সে ছিল চোর। তার কাছে টাকার থলি থাকত আর সে তার থেকে প্রায়ই টাকা চুরি করতো।

তখন যীশু বললেন, “ওকে থামিয়ে দিও না। আমাকে সমাধি দিনের জন্য প্রস্তুত করতে তাকে এই আতর রাখতে হয়েছে। তোমাদের মধ্যে গরীবরা সব সময়ই থাকবে, কিন্তু তোমরা সবসময় আমাকে পাবে না।”

লাসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

বহু ইহুদী জানতে পারল যে যীশু বৈথনিয়াতে আছেন। তারা সেখানে যে কেবল যীশুর জন্য গেল তাই নয়, যে লাসারকে যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন তাকে দেখবার জন্যও তারা সেখানে গেল। 10 তাই প্রধান যাজকরা লাসারকে হত্যা করার চক্রান্ত করতে লাগলেন। 11 কারণ তারই জন্য বহু ইহুদী তাদের ছেড়ে যীশুর ওপর বিশ্বাস করতে লাগল।

যীশুর জেরুশালেমে প্রবেশ

(মথি 21:1-11; মার্ক 11:1-11; লূক 19:28-40)

12 যে বিপুল জনতা নিস্তারপর্বের জন্য এসেছিল, পরের দিন তারা শুনল যে যীশু জেরুশালেমে আসছেন। 13 তখন তারা খেজুর পাতা নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাতে বেরিয়ে পড়ল। তারা চিৎকার করে বলতে লাগল,

“‘তাঁর প্রশংসা কর!’
    ‘তাঁকে স্বাগত জানাও! যিনি প্রভুর নামে আসছেন, ঈশ্বর তাঁকে আশীর্বাদ করুন।’(A)

ইস্রায়েলের রাজাকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন!”

14 যীশু একটা গাধাকে দেখতে পেয়ে তার ওপর বসলেন, যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে:

15 “সিয়োন নগরী,[c] ভয় পেও না!
    দেখ, তোমাদের রাজা আসছেন।
    দেখ, তোমাদের রাজা বাচ্চা গাধায় চড়ে আসছেন।”(B)

16 এসবের অর্থ তাঁর শিষ্যরা প্রথমে বুঝতে পারেন নি। কিন্তু যীশু যখন মহিমায় উত্তোলিত হলেন, তখন তাঁদের মনে পড়ল যে শাস্ত্রে এগুলিই তাঁর সম্পর্কে লেখা হয়েছে এবং লোকেরা এসব তাঁর জন্য করেছিল।

17 যীশু যখন লাসারকে কবর থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন, আর তাকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করে তোলেন, তখন যে সব লোক সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিল তারা সে বিষয়ে সকলকে বলতে লাগল। 18 এই কারণেই লোকেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এল, কারণ তারা শুনেছিল, যে তিনিই ঐ অলৌকিক চিহ্নকার্য করেছেন। 19 তখন ফরীশীরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, “তোমরা দেখলে, আমাদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হল। দেখ, আজ সারা জগৎ‌ তাঁরই পেছনে ছুটছে।”

যীশু জীবন ও মৃত্যুর বিষয়ে বললেন

20 নিস্তারপর্ব উপলক্ষে উপাসনা করার জন্য যারা জেরুশালেমে এসেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন গ্রীকও ছিল। 21 তারা গালীলের বৈৎসৈদা থেকে যে ফিলিপ এসেছিলেন, তাঁর কাছে গেল, আর তাঁকে অনুরোধের সুরে বলল, “মহাশয় আমরা যীশুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।” 22 ফিলিপ এসে একথা আন্দ্রিয়কে জানালেন। তখন আন্দ্রিয় ও ফিলিপ এসে যীশুকে তা বললেন।

23 যীশু তখন তাদের বললেন, “মানবপুত্রের মহিমান্বিত হওয়ার সময় হয়েছে। 24 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, গমের একটি দানা যদি মাটিতে পড়ে মরে না যায়, তবে তা একটি দানাই থেকে যায়। কিন্তু তা যদি মাটিতে পড়ে মরে যায়, তবে তার থেকে আরো অনেক দানা উৎপন্ন হয়। 25 যে ব্যক্তি নিজের জীবনকে ভালবাসে সে তা হারাবে; কিন্তু যে এই জগতে তার জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে, সে তা রাখবে। সে অনন্ত জীবন পাবে। 26 কেউ যদি আমার সেবা করে তবে অবশ্যই সে আমাকে অনুসরণ করবে। আর আমি যেখানে থাকি আমার সেবকও সেখানে থাকবে। কেউ যদি আমার সেবা করে তবে পিতা তাকে সম্মানিত করবেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International