Old/New Testament
যিহূদার অন্যান্য পরিবারগুলির পরিচয়
4 যিহূদার পাঁচ পুত্রের নাম:
পেরস, হিষ্রোণ, কর্মী, হূর আর শোবল।
2 শোবলের পুত্রের নাম রায়া, রায়ার পুত্রের নাম যহত্ আর যহতের দুই পুত্রের নাম ছিল অহূময় ও লহদ। সরাথীয়রা অহূময় ও লহদের উত্তরপুরুষ ছিল।
3 ঐটমের পুত্রদের নাম: যিষ্রিয়েল, যিশ্মা ও যিদ্বশ। এদের বোনের নাম ছিল হৎসলিল-পোনী।
4 পনূয়েলের পুত্রের নাম ছিল গাদোর। এসর ছিল হূশের পিতা।
এরা ছিল হূরের পুত্র। হূর ছিল ইফ্রাথার প্রথম পুত্র। ইফ্রাথা ছিলেন বৈৎলেহমের প্রতিষ্ঠাতা।
5 তকোয়ের পিতা অস্হূরের হিলা ও নারা নামে দুই স্ত্রী ছিল। 6 নারা ও অস্হূরের পুত্রদের নাম: অহুষম, হেফর, তৈমিনি ও অহষ্টরি। 7 হিলা আর অস্হূরের পুত্রদের নাম: সেরত্, যিত্সোহর, ইৎনন আর কোস। 8 কোসের দুই পুত্রের নাম ছিল আনূব আর সোবেবা। কোস হারুমের পুত্র অহর্হলের পরিবারের পূর্বপুরুষ ছিলেন।
9 যাবেশের জন্ম তার অন্যান্য ভাইদের জন্মের থেকে বেশী বেদনাদায়ক ছিল। যাবেশের মা বলেছিলেন, “ও হবার সময় আমায় খুব কষ্ট পেতে হয়েছিল বলে আমি ওর এই নাম রেখেছি!” 10 যাবেশ ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলেন, “আমি আপনার প্রকৃত আশীর্বাদ প্রার্থনা করি। আমি চাই আপনি আমাকে আরো জমি-জমা দিন। সব সময় আমার কাছাকাছি থেকে যারা আমাকে আঘাত করতে চায় তাদের থেকে আমায় রক্ষা করুন, তাহলে আর আমায় কোন কষ্ট ভোগ করতে হবে না।” ঈশ্বর তাঁর এসমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ করেছিলেন।
11 শূহের ভাই কলূবের পুত্রের নাম ছিল মহীর। মহীরের পুত্রের নাম ইষ্টোন, 12 ইষ্টোনের পুত্রদের নাম বৈৎরাফা, পাসেহ ও তহিন্ন। তহিন্নর পুত্রের নাম ঈরনাহস। এঁরা সকলেই রেকার বাসিন্দা ছিলেন।
13 কনসের দুই পুত্রের নাম: অৎনীয়েল আর সরায়। অৎনীয়েলের দুই পুত্রের নাম: হথত্ আর মিয়োনোথয়। 14 মিয়োনোথয়ের পুত্রের নাম ছিল অফ্রা।
সরায়ের পুত্রের নাম ছিল যোয়াব। এই যোয়াব ছিলেন কুশলী শিল্পী গে হারাসিমদের পূর্বপুরুষ।
15 যিফুন্নির পুত্র ছিল কালেব। কালেবের পুত্রদের নাম: ঈরূ, এলা ও নয়ম। এলার পুত্রের নাম ছিল কনস।
16 যিহলিলেলের পুত্রদের নাম: সীফ, সীফা, তীরিয় আর অসারেল।
17-18 ইষ্রার পুত্রদের নাম: যেথর, মেরদ, এফর আর যালোন। মেরদের এক পক্ষের স্ত্রীর গর্ভে জন্মায় মরিয়ম, শম্ময় ও যিশ্বহ। যিশ্বহ ছিল ইষ্টিমোয়র পিতা। মেরদের মিশরীয় স্ত্রী ফরৌণের কন্যা বিথিয়ার গর্ভে যেরদ গদোরের পিতা, হেবর সোখোর পিতা, আর যিকুথীয়েল সানোহর পিতা জন্মগ্রহণ করেন। এই তিন জনের পুত্রদের নাম ছিল যথাক্রমে গদোর, সোখোর ও সানোহ।
19 মেরদের স্ত্রী ছিলেন যিহূদার বাসিন্দা এবং নহমের বোন। তাঁর পৌত্রদের নাম কিয়ীলা আর ইষ্টিমোয়। কিয়ীলা আর ইষ্টিমোয় যথাক্রমে গর্ম্মীয় ও মাখাথীয়দের পূর্বপুরুষ। 20 শীমোনের পুত্রদের নাম ছিল অম্নোন, রিণ্ন, বিন্-হানন আর তীলোন।
যিশীর দুই পুত্রের নাম সোহেত্ আর বিন্-সোহেৎ।
21-22 শেলা ছিলেন যিহূদার সন্তান। তাঁর পুত্রদের নাম এর, লাদা আর যোকীম। কোষেবার লোকরাও তাঁরই বংশধর। এছাড়াও যোয়াশ আর সারফ নামে তাঁর দুই পুত্র মোয়াবীয় মেয়েদের বিয়ে করে বৈৎলেহমে চলে গিয়েছিলেন। এরের পুত্রের নাম ছিল লেকার। লাদা ছিলেন মারেশার পিতা এবং বৈৎ অসবেয়ের তাঁতিদের পরিবারগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। এই পরিবার সম্পর্কে যা কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা খুবই প্রাচীন। 23 শেলার বংশধররা মাটির জিনিষপত্র বানাতেন। এঁরা নতায়ীম ও গদেরায় বাস করতেন ও সেখানকার রাজাদের জন্য কাজ করতেন।
শিমিয়োনের সন্তান-সন্ততি
24 শিমিয়োনের পুত্রদের নাম নমূয়েল, যামীন, যারীব, সেরহ আর শৌল। 25 শৌলের পুত্রের নাম শল্লুম, শল্লুমের পুত্রের নাম মিব্সম আর মিব্সমের পুত্রের নাম ছিল মিশ্ম।
26 মিশ্মের পুত্রের নাম হম্মুয়েল, হম্মুয়েলের পুত্রের নাম শক্কূর আর শক্কূরের পুত্রের নাম ছিল শিময়ি। 27 শিময়ির ষোল জন পুত্র আর ছয় কন্যা ছিল। কিন্তু শিময়ির ভাইদের খুব বেশি পুত্রকন্যা ছিল না। যিহূদার অন্যদের তুলনায় তাদের পরিবারগোষ্ঠী যথেষ্ট ছোট ছিল।
28 শিময়ির উত্তরপুরুষরা বের্-শেবা, হৎসর-শূয়াল, মোলাদা শহরতলীসমূহে বাস করত। 29 বিল্হা, এৎসম, তোলদ, 30 বথূয়েল, হর্ম্মা, সিক্লগ, 31 বৈৎ-মর্কাবোত্, হৎসর-সূষীম, বৈৎ-বিরী, শারযিম প্রমুখ শহরগুলোয় দায়ূদের রাজত্ব কালের আগে পর্যন্ত বাস করতেন। 32 এইসব শহরগুলোর কাছে যে পাঁচটি গ্রাম ছিল, সেগুলি হল: ঐটম, ঐন, রিম্মোণ, তোখেন ও আশন। 33 বালত্ পর্যন্ত আরো অনেক গ্রাম ছিল যেখানে শিময়ির বংশধররা থাকতেন। তাঁরা তাঁদের পারিবারিক ইতিহাসও লিখে গিয়েছেন।
34-38 মশোবব, যম্লেক, অমৎসিয়ের পুত্র যোশঃ, যোয়েল, যোশিবিয়র পুত্র যেহূ, সরায়ের পুত্র যোশিবিয়, অসীয়েলের পুত্র সরায়, ইলিয়ৈনয়, যাকোবা, যিশোহায়, অসায়, অদীয়েল, যিশীমীয়েল, বনায়, অলোনের পৌত্র ও শিফির পুত্র সীষঃ প্রমুখ ছিলেন এইসব পরিবারগোষ্ঠীর প্রধান ও নেতা। আলোন ছিলেন যিদয়িয়র পুত্র এবং শিম্রির নাতি। আবার শিম্রি ছিলেন শময়িয়ের পুত্র।
এই লোকদের পরিবার অতিশয় বৃদ্ধি পেল। 39 তারা তাদের মেষ ও গবাদি পশুর জন্য চারণভূমির খোঁজে উপত্যকার পূর্বদিকে গদোরের বহিরাঞ্চলে চলে গেল। 40 এভাবে খুঁজতে খুঁজতে তারা উর্বর সবুজ ও শান্তিপূর্ণ জমি খুঁজে পেলো। হামের উত্তরপুরুষরা অতীতে সেখানে বসবাস করতেন। 41 রাজা হিষ্কিয়র যিহূদায় রাজত্ব কালে এই ঘটনা ঘটেছিল। এই সমস্ত লোক গদোরে এসেছিল, হামীয়দের তাঁবুগুলি ধ্বংস করেছিল, তারা মিয়ূনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের ধ্বংস করেছিল। আজ অবধি তাদের একজনও বেঁচে নেই। অতঃপর তারা সেখানে থাকতে শুরু করল কারণ ওখানকার জমিতে তাদের মেষের খাবার মত প্রচুর পরিমাণে ঘাস ছিল।
42 শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠীর পাঁচশো লোক সেয়ীর পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করতে গিয়েছিলেন। পলটিয়, নিয়রিয়, রফায়িয় ও উষীয়েল প্রমুখ যিশীর পুত্ররা এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। শিমিয়োনের বংশধররাও এখানকার বাসিন্দা অমালেকীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এবং 43 যারা বেঁচেছিল সেই সমস্ত অমালেকীয়দের তারা মেরে ফেলেছিল। তারপর থেকে আজ অবধি সেই শিমিয়োনীয়রা সেয়ীরেই বাস করছেন।
রূবেণের উত্তরপুরুষ
5 1-3 রূবেণ ছিলেন ইস্রায়েলের প্রথম সন্তান। তাই, প্রথামত তাঁরই বড় ছেলের বিশেষ সম্মান ও সুবিধে পাবার কথা। কিন্তু যেহেতু রূবেণ তাঁর পিতার স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন সেই কারণে বড় ছেলের অধিকার যোষেফের পুত্ররা পেয়েছিলেন। পারিবারিক ইতিহাসেও, রূবেণের নাম বড় ছেলে হিসেবে নথিভুক্ত করা নেই। যিহূদা যেহেতু তাঁর ভাইদের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন, সেহেতু তাঁর পরিবার থেকেই নেতা স্থির করা হত। তা সত্ত্বেও, বড় ছেলের বিশেষ অধিকার ও অন্যান্য ক্ষমতা যোষেফের বংশের লোকরাই ভোগ করতেন।
রূবেণের পুত্ররা ছিল হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী।
4 যোয়েলের উত্তরপুরুষদের তালিকা নিম্নরূপ: যোয়েলের পুত্রের নাম শিময়িয়, শিময়িয়র পুত্রের নাম গোগ, গোগের পুত্রের নাম শিমিয়ি, 5 শিমিয়ির পুত্রের নাম মীখা, মীখার পুত্রের নাম রায়া, রায়ার পুত্রের নাম বাল, 6 বালের পুত্রের নাম ছিল বেরা। অশূররাজ তিগ্লৎ-পিলেষর রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর এই নেতাকে তার জায়গা ছাড়তে বাধ্য করেন এবং তাঁকে নির্বাসন দেন।
7 যোয়েলের ভাইদের ও তাঁর পরিবারের পরিচয় তাঁর পরিবারগোষ্ঠীর ইতিহাস অনুযায়ী ছিল নিম্নরূপ: এই বংশের বড় ছেলে ছিলেন যিয়ীয়েল, তারপর সখরিয় আর 8 আসসের পুত্র বেলা। আসস ছিলেন শেমার পুত্র। শেমা ছিলেন যোয়েলের পুত্র। এঁরা অরোয়ের থেকে নবো এবং বাল্-মিয়োন পর্যন্ত অঞ্চলে বাস করতেন। 9 পূর্বদিকে ফরাৎ নদীর কাছে মরুভূমি পর্যন্ত অঞ্চলে এঁদের বসবাস ছিল। বসবাসের জন্য তাঁরা এই অঞ্চল বেছে নিয়েছিলেন কারণ তাঁদের গিলিয়দে অনেক গবাদি পশু ছিল। 10 শৌলের রাজত্ব কালে, বেলার লোকরা হাগরীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করে, তাঁদের হারিয়ে তাঁদের তাঁবুতে বসবাস করতে শুরু করেন এবং গিলিয়দের পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেন।
গাদের উত্তরপুরুষ
11 গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের কাছেই বাশন অঞ্চলের শহর সলখা পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করতেন। 12 বাশনের প্রথম নেতা ছিলেন যোয়েল। তারপরে যথাক্রমে শাফম ও যানয় নেতা হন। 13 মীখায়েল, মশুল্লম, শেবা, যোরায়, যাকন, সীয় আর এবর হলেন এই পরিবারের সাত ভাই। 14 এঁরা সকলেই হূরির পুত্র অবীহয়িলের উত্তরপুরুষ। আবার হূরি ছিলেন যারোহর পুত্র, যারোহ গিলিয়দের পুত্র, গিলিয়দ মীখায়েলের পুত্র, মীখায়েল যিশীশয়ের পুত্র, যিশীশয় যহদোর পুত্র আর যহদো ছিলেন বূষের পুত্র। 15 অন্য এক পরিবারের নেতা অহির পিতার নাম অব্দিয়েল। তিনি ছিলেন গূনির পুত্র।
16 গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা গিলিয়দ অঞ্চলে বসবাস করত। এঁরা বাশন ও বাশনের পার্শ্ববর্তী ছোট খাটো শহর থেকে সীমান্তে শারোণ পর্যন্ত সমস্ত সমভূমিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন।
17 এই সমস্ত নামগুলি গাদের পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং এগুলি যিহূদার রাজা যোথম ও ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের সময়ে নথিভুক্ত করা হয়।
যুদ্ধে কিছু রন-কুশলী সৈনিক
18 রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে 44,760 জন সাহসী লোক ছিল। ঢাল-তরোয়াল ছাড়াও তীর-ধনুক নিয়ে যুদ্ধ করাতেও তারা ছিল পারদর্শী। 19 এরা হাগরীয়, যিটূর, নাফীশ ও নোদবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। 20 মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে যুদ্ধে তাদের সাহায্য করার জন্য প্রার্থনা করেন। ঈশ্বর তাদের সাহায্য করেন কারণ তারা তাঁকে বিশ্বাস করেছিল এবং তারা হাগরীয়দের ও অন্যান্য সকলকে যুদ্ধে পরাস্ত করে। 21 তাদের 50,000 উট, 250,000 মেষ এবং 2000 গাধা নিয়ে নেওয়া ছাড়াও তারা 100,000 ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন। 22 ঈশ্বর স্বয়ং রূবেণের বংশের লোকদের সহায় হওয়ায় বহু হাগরীয় যুদ্ধে নিহত হন এবং অতঃপর মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারের লোকেরা হাগরীয়দের বাসভূমিতে থাকতে শুরু করেন। ইস্রায়েলের লোকরা বন্দী হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁরা ওখানেই বাস করেছেন।
23 মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক লোক বাল্-হর্ম্মোণ, সনীর ও হর্ম্মোণ পর্বত পর্যন্ত বাশন অঞ্চলে বসবাস করতেন। এমশঃ তাঁরা একটি বড় গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছিলেন।
24 এফর, যিশী, ইলীয়েল, অস্রীয়েল, যিরমিয়, হোদবিয়, যহদীয়েল প্রমুখ বিখ্যাত সাহসী বীররা ছিলেন এঁদের নেতা। 25 কিন্তু এঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষের আরাধ্য ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ আচরণ করে এই অঞ্চলের প্রাক-বাসিন্দাদের ভ্রান্ত দেবদেবীর আরাধনা শুরু করলেন। এ কারণেই ঈশ্বর কিন্তু প্রাক-বাসিন্দাদের ধ্বংস করেছিলেন।
26 ফলতঃ, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অশূররাজ পূল যিনি তিগ্লৎ-পিলেষর নামেও পরিচিত ছিলেন, যুদ্ধ করবার উস্কানি দিলেন এবং তিনি রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বন্দী করে নির্বাসনে নিয়ে গেলেন। এই সমস্ত বন্দীদের পূল হেলহ, হাবোর ও হারা এবং গোষণ নদীর কাছে নিয়ে এলেন। সে দিন থেকে আজ পর্যন্ত তারা সেখানেই বসবাস করে আসছেন।
লেবির উত্তরপুরুষ
6 লেবির পুত্রদের নাম ছিল: গের্শোন, কহাৎ আর মরারি।
2 কহাতের পুত্রদের নাম ছিল: অম্রাম, যিষ্হর, হিব্রোণ আর উষীয়েল।
3 অম্রামের সন্তানদের নাম ছিল: হারোণ, মোশি আর মরিয়ম।
হারোণের পুত্ররা ছিল নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর এবং ঈথামর। 4 ইলিয়াসরের পুত্রের নাম পীনহস, পীনহসের পুত্রের নাম অবিশূয়, 5 অবিশূয়র পুত্রের নাম বুক্কি, বুক্কির পুত্রের নাম উষি, 6 উষির পুত্রের নাম সরহিয়, সরহিয়র পুত্রের নাম মরায়োৎ, 7 মরায়োতের পুত্র অমরিয়, অমরিয়র পুত্রের নাম অহীটূব, 8 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক, সাদোকের পুত্রের নাম অহীমাস, 9 অহীমাসের পুত্রের নাম অসরিয়, অসরিয়র পুত্রের নাম যোহানন, 10 যোহাননের পুত্রের নাম অসরিয়। এই অসরিয় শলোমনের জেরুশালেমে বানানো মন্দিরের যাজক ছিলেন। 11 অসরিয়র পুত্রের নাম অমরিয়, অমরিয়র পুত্রের নাম অহীটূব, 12 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক, সাদোকের পুত্রের নাম শল্লুম, 13 শল্লুমের পুত্রের নাম হিল্কিয়, হিল্কিয়র পুত্রের নাম অসরিয়, 14 অসরিয়র পুত্রের নাম সরায় আর সরায়ের পুত্রের নাম ছিল যিহোষাদক।
15 প্রভু যখন যিহূদা আর জেরুশালেমের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, যিহোষাদকও তখন বাসভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রভু নবূখদ্নিৎসরকে দিয়ে এই সময় যিহূদা আর জেরুশালেমের সমস্ত লোকদের বন্দী করিয়ে ভিন দেশে পাঠিয়ে ছিলেন।
লেবির অন্যান্য উত্তরপুরুষ
16 লেবির পুত্ররা ছিল: গের্শোন, কহাৎ আর মরারি।
17 গের্শোনের পুত্রদের নাম ছিল লিব্নি আর শিমিয়ি।
18 কহাতের পুত্রদের নাম ছিল অম্রাম, যিষ্হর, হিব্রোণ আর উষীয়েল।
19 মরারির দুই পুত্রের নাম মহলি আর মূশি।
পিতৃপুরুষদের নামানুসারে লেবীয় পরিবারের তালিকা নিম্নরূপ:
20 গের্শোনের উত্তরপুরুষ: গের্শোমের পুত্র ছিল লিব্নি, লিব্নির পুত্র যহত্, যহতের পুত্র সিম্ম, 21 সিম্মর পুত্র যোয়াহ, যোয়াহের পুত্র ইদ্দো, ইদ্দোর পুত্র সেরহ আর সেরহর পুত্র ছিল যিয়ত্রয়।
22 কহাতের উত্তরপুরুষ: কহাতের পুত্র ছিল অম্মীনাদব, অম্মীনাদবের পুত্র কোরহ, কোরহের পুত্র অসীর, 23 অসীরের পুত্র ইল্কানা, ইল্কানার পুত্র ইবীয়াসফ, ইবীয়াসফের পুত্র অসীর, 24 অসীরের পুত্র তহৎ, তহতের পুত্র ঊরীয়েল, ঊরীয়েলের পুত্র ঊষিয় আর ঊষিয়র পুত্র শৌল।
25 ইল্কানার পুত্রের নাম ছিল অমাসয় আর অহীমোৎ। 26 ইল্কানার আরেক পুত্রের নাম ছিল সোফী, তার পুত্রের নাম নহৎ, 27 নহতের পুত্রের নাম ইলীয়াব, ইলীয়াবের পুত্রের নাম যিরোহম, যিরোহমের পুত্রের নাম ইল্কানা আর ইল্কানার পুত্রের নাম ছিল শমূয়েল। 28 শমূয়েলের দুই পুত্রের নাম যোয়েল আর অবিয়। যোয়েল ছিল শমূয়েলের বড় ছেলে।
29 মরারির বংশধর: মরারির পুত্রের নাম মহলি, মহলির পুত্রের নাম লিব্নি, লিব্নির পুত্রের নাম শিমিয়ি, শিমিয়ির পুত্রের নাম উষঃ, 30 উষঃর পুত্রের নাম শিমিয়, শিমিয়র পুত্রের নাম হগিয় আর হগিয়র পুত্রের নাম ছিল অসায়।
মন্দিরের গায়করা
31 সাক্ষ্যসিন্দুক রাখার সিন্দুকটি প্রভুর গৃহতে রাখার পর মহারাজ দায়ূদ নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের সেখানকার ভজন ও কীর্তনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। 32 শলোমন প্রভুর জন্য জেরুশালেমে মন্দির বানানোর আগে পর্যন্ত এই সমস্ত গায়করা এই পবিত্র তাঁবু বা সমাগম তাঁবুতে তাঁদের কর্মসূচী অনুযায়ী গান-বাজনা আরাধনা করতেন।
33 এঁরা হলেন কহাতের পরিবারের:
যোয়েলের পুত্র গায়ক হেমন, যোয়েলের পিতা শমূয়েল, 34 শমূয়েলের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা যিরোহম, যিরোহমের পিতা ইলীয়েল, ইলীয়েলের পিতা তোহ, 35 তোহর পিতা সূফ, সূফের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা মাহত, মাহতের পিতা অমাসয়, 36 অমাসয়ের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা যোয়েল, যোয়েলের পিতা অসরিয়, অসরিয়র পিতা সফনিয়, 37 সফনিয়র পিতা তহত, তহতের পিতা অসীর, অসীরের পিতা ইবীয়াসফ, ইবীয়াসফের পিতা কোরহ, 38 কোরহর পিতা যিষ্হর, যিষ্হরের পিতা কহাৎ, কহাতের পিতা লেবি আর লেবির পিতা ছিলেন ইস্রায়েল।
39 আসফ ছিলেন হেমনের আত্মীয় এবং তিনি হেমনের ডানদিকে দাঁড়িয়ে কাজ করতেন। আসফের পিতা ছিলেন বেরিখিয়, বেরিখিয়র পিতা শিমিয়, 40 শিমিয়র পিতা মীখায়েল, মীখায়েলের পিতা বাসেয়, বাসেয়র পিতা মল্কিয়, 41 মল্কিয়়র পিতা ইৎনির, ইৎনিরের পিতা সেরহ, সেরহের পিতা অদায়া, 42 অদায়ার পিতা এথন, এথনের পিতা সিম্ম, সিম্মর পিতা শিমিয়ি, 43 শিমিয়ির পিতা যহত, যহতের পিতা গের্শোন আর গের্শোন ছিলেন লেবির পুত্র।
44 মরারির উত্তরপুরুষরা হেমন আর আসফের আত্মীয় ছিলেন এবং তাঁরা হেমনের বাঁদিকে দাঁড়িয়ে গান করতেন। এথন ছিলেন কীশির পুত্র, কীশি অব্দির পুত্র, অব্দি মল্লূকের পুত্র, 45 মল্লূক হশবিয়র পুত্র, হশবিয় অমৎসিয়ের পুত্র, অমৎসিয় হিল্কিয়র পুত্র, 46 হিল্কিয় অম্সির পুত্র, অম্সি বানির পুত্র, বানি শেমরের পুত্র, 47 শেমর মহলির পুত্র, মহলি মূশির পুত্র, মূশি মরারির পুত্র আর মরারি লেবির পুত্র।
48 হেমন আর আসফের ভাইরাও লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। লেবির পরিবারগোষ্ঠীকে লেবীয়ও বলা হত। ঈশ্বরের গৃহ, পবিত্র তাঁবুতে কাজ করার জন্যই লেবীয়দের বেছে নেওয়া হয়েছিল। 49 তবে বেদীতে ধুপধূনো দেবার এবং হোমবলি ও বলিদানের অধিকার ছিল শুধুমাত্র হারোণের উত্তরপুরুষদের। প্রভুর গৃহের পবিত্রতম স্থানের সমস্ত কাজ করতেন হারোণের পরিবারের সদস্যরা। ইস্রায়েলের লোকদের প্রায়শ্চিত্ত করাবার জন্য যে সমস্ত আচার অনুষ্ঠান করা হত সেটিও তাঁরাই করতেন। তাঁরা প্রভুর দাস মোশি প্রদত্ত সমস্ত বিধি ও আইনগুলি মেনে চলতেন।
হারোণের উত্তরপুরুষ
50 হারোণের পুত্রের নাম ছিল ইলিয়াসর, ইলিয়াসরের পুত্রের নাম ছিল পীনহস, পীনহসের পুত্রের নাম অবীশূয়, 51 অবীশূয়র পুত্রের নাম বুক্কি, বুক্কির পুত্রের নাম উষি, উষির পুত্রের নাম সরাহিয়, 52 সরাহিয়র পুত্রের নাম মরায়োৎ, মরায়োতের পুত্রের নাম অমরিয়, অমরিয়র পুত্রের নাম অহীটূব, 53 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক আর সাদোকের পুত্রের নাম ছিল অহীমাস।
লেবীয় পরিবারের বাসস্থান
54 হারোণের উত্তরপুরুষরা তাদের যে জমি দেওয়া হয়েছিল সেখানে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করত। লেবীয়দের যে জমি দেওয়া হয়েছিল তার প্রথম অংশটি পেয়েছিল কহাৎ পরিবারগুলি। 55 তাঁদের যিহূদার হিব্রোণ ও তার আশেপাশের জমিতে বাস করতে দেওয়া হয়েছিল। 56 হিব্রোণের দূরবর্তী মাঠ-ঘাট ও গ্রামাঞ্চলগুলি যিফুন্নির পুত্র কালেবকে দেওয়া হয়। 57 হারোণের উত্তরপুরুষদের হিব্রোণ, নিরাপত্তার শহর[a] দেওয়া হয়। লিব্না, যত্তীর, ইষ্টিমোয়, 58 হিলেন, দবীর, 59 আশন, বৈৎশেমশ প্রমুখ শহর ও তার পার্শ্ববর্তী মাঠগুলি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল। 60 বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর সদস্যরা গিবিয়োন, গেবা, অনাথোৎ, আলেমৎ প্রমুখ শহর ও তার আশেপাশের মাঠগুলি পেয়েছিলেন।
কহাতের পরিবারদের তেরোটি শহর দেওয়া হয়।
61 কহাতের উত্তরপুরুষের বাদবাকি সদস্যরা মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের মধ্যে থেকে দশটি শহর পেয়েছিলেন।
62 গের্শোমের উত্তরপুরুষরা 13টি শহর পেয়েছিল। তারা শহরগুলি ইষাখর পরিবার, আশের পরিবার, নপ্তালি পরিবার, বাশনে বসবাসকারী মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর একাংশের কাছ থেকে পেয়েছিল।
63 মরারির উত্তরপুরুষরা, রূবেণ, গাদ আর সবূলূন পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে অক্ষ নিক্ষেপ করে 12 টি শহর পেয়েছিলেন।
64 এইভাবে ইস্রায়েলীয়রা লেবীয়দের শহর ও জমিজমা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিলেন। 65 এই সমস্ত শহরই যিহূদা, শিমিয়োন ও বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর ছিল। তাঁরাই অক্ষ নিক্ষেপ করে কোন্ লেবীয় পরিবার কোন্ শহর পাবেন তা ঠিক করেছিলেন।
66 ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠী কহাৎ পরিবারের কিছু লোককে কয়েকটি শহরতলী দিলেন। ঘুঁটি চেলে এই শহরতলীসমূহ নির্বাচিত হয়েছিল। 67 নিরাপত্তার শহর শিখিম তাদের দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও তাদের দেওয়া হয়েছিল গেষর নগর। 68 যক্মিয়াম, বৈৎ-হোরণ, 69 আইজালন এবং গাৎ-রিম্মোণ শহরগুলি। এই শহরগুলির সঙ্গে তারা ইফ্রয়িমের পার্বত্য অঞ্চলের মাঠগুলিও পেয়েছিল। 70 এবং কহাতের বাকি পরিবারগুলিকে ইস্রায়েলীয়রা মনঃশি পরিবারের অর্ধেকের কাছ থেকে দিল আনের, বিল্যম এবং তাদের মাঠগুলি।
অন্যান্য লেবীয়রাও বাসস্থান পেলেন
71 মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের কাছ থেকে গের্শোন পরিবারের সদস্যরা বাশনের গোলন শহর ও অষ্টারোৎ এবং তার আশেপাশের মাঠগুলো বসবাসের জন্য পেলেন।
72-73 এছাড়াও তাঁরা ইষাখর পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে কেদশ, দাবরত্, রামোৎ ও গন্নিম প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো পেলেন।
74-75 আশের পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাঁরা পেলেন মশাল, আব্দোন, হূকোক, রহোব প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো।
76 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাঁরা পেলেন গালীলের কেদশ, হম্মোন, কিরিয়াথয়িম প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো। 77 লেবীয়দের বাদবাকিরা ছিলেন মরারি পরিবারের সদস্য। তারা সবূলূন পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে যখনিয়ম, করতহ, রিম্মোণো এবং তাবোর প্রমুখ শহর ও তার নিকটবর্তী মাঠগুলো পেলেন।
78-79 মরারি পরিবারের সদস্যরা এছাড়াও মরু অঞ্চলের বেৎসর নগর, যাহসা, কদমোৎ, মেফাত্ প্রমুখ শহর ও তার আশেপাশের মাঠগুলো রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে পেলেন। রূবেণের উত্তরপুরুষরা যর্দন নদী ও যিরিহো শহরের পূর্বপ্রান্তে বসবাস করতেন।
80-81 মরারি পরিবারের সদস্যরা গাদ পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন গিলিয়দের রামোৎ, মহনয়িম, হিষ্বোণ, যাসের প্রমুখ শহরের নিকটবর্তী মাঠগুলো।
যীশু পাঁচ হাজারের বেশী লোককে খাওয়ালেন
(মথি 14:13-21; মার্ক 6:30-44; লূক 9:10-17)
6 এরপর যীশু গালীল হ্রদের অপর পারে গেলেন, এই হ্রদকে তিবিরিয়াও বলে। 2 বহু লোক তাঁর পেছনে পেছনে চলতে লাগল, কারণ রোগীদের সুস্থ করতে তিনি যে সব অলৌকিক চিহ্ন করতেন তা তারা দেখেছিল। 3 যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা পাহাড়ের উপরে গিয়ে সেখানে বসলেন। 4 সেই সময় ইহুদীদের নিস্তারপর্ব এগিয়ে আসছিল।
5 যীশু যখন দেখলেন বহু লোক তাঁর কাছে আসছে তখন তিনি ফিলিপকে বললেন, “এই লোকদের খেতে দেবার জন্য আমরা কোথায় রুটি কিনতে পাব?” 6 যীশু তাঁকে পরীক্ষা করবার জন্যই একথা বললেন, কারণ যীশু কি করবেন তা তিনি আগেই জানতেন।
7 ফিলিপ যীশুকে বললেন, “প্রত্যেকের হাতে এক টুকরো করে রুটি দিতে গেলে সারা মাসের রোজগারে রুটি কিনলেও তা যথেষ্ট হবে না।”
8 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে আর একজন, যার নাম আন্দ্রিয়, ইনি শিমোন পিতরের ভাই, তিনি যীশুকে বললেন, 9 “এখানে একটা ছোট ছেলে আছে, যার কাছে যবের পাঁচটা রুটি আর ছোট দুটো মাছ আছে, কিন্তু এত লোকের জন্য নিশ্চয়ই সেগুলি যথেষ্ট হবে না।”
10 যীশু বললেন, “লোকদের বসিয়ে দাও।” সেই জায়গায় অনেক ঘাস ছিল। তখন সব লোকেরা বসে গেল। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল। 11 এরপর যীশু সেই রুটি কখানা নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং যারা সেখানে বসেছিল তাদের সেগুলি ভাগ করে দিলেন। আর তিনি মাছও ভাগ করে দিলেন। যে যত চাইল তত পেল।
12 তারা পরিতৃপ্ত হলে, যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “যে সব টুকরো টাকরা পড়ে আছে তা জড়ো কর, যেন কোন কিছু নষ্ট না হয়।” 13 তখন তাঁরা সে সব জড়ো করলেন। লোকেরা খাবার পরে যবের সেই পাঁচ খানা রুটির টুকরো-টাকরা যা পড়ে ছিল শিষ্যরা তা জড়ো করলে বারো টুকরী ভর্ত্তি হয়ে গেল।
14 লোকেরা যীশুকে এই অলৌকিক চিহ্ন করতে দেখে বলতে লাগল, “জগতে যাঁর আগমনের কথা আছে ইনি নিশ্চয়ই সেই ভাববাদী।”
15 এতে যীশু বুঝলেন লোকেরা তাঁকে রাজা করবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই তিনি তাদের ছেড়ে একাই সেই পাহাড়ে উঠে গেলেন।
যীশু জলের ওপর দিয়ে হাঁটলেন
(মথি 14:22-27; মার্ক 6:45-52)
16 সন্ধ্যা হলে যীশুর শিষ্যরা হ্রদের ধারে নেমে গেলেন। 17 তাঁরা একটা নৌকায় উঠে হ্রদের অপর পারে কফরনাহূমের দিকে যেতে থাকলেন। তখন অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল, আর যীশু তখনও তাদের কাছে আসেন নি। 18 আর খুব জোরে ঝোড়ো বাতাস বইছিল, ফলে হ্রদে বড় বড় ঢেউ উঠছিল। 19 এরই মধ্যে তিন চার মাইল নৌকা বেয়ে যাবার পর যীশুর শিষ্যরা দেখলেন, যীশু জলের ওপর দিয়ে হেঁটে আসছেন। তিনি যখন নৌকার কাছাকাছি এলেন, তখন শিষ্যরা খুব ভয় পেয়ে গেলেন। 20 কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “এই যে আমি; ভয় পেও না।” 21 তখন তাঁরা খুশী হয়ে যীশুকে নৌকাতে তুলে নিলেন। আর তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন নৌকা তখনই সেখানে পৌঁছে গেল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International