Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
2 রাজাবলি 15-16

যিহূদায় অসরিয়ের শাসনকাল শুরু

15 যারবিয়ামের রাজত্বের 27 তম বছরে অমৎসিয়ের পুত্র অসরিয় যিহূদার নতুন রাজা হয়েছিলেন। অসরিয় যখন রাজা হন, তাঁর বয়স ছিল মাত্র 16 বছর। তিনি 52 বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। অসরিয়ের মা ছিলেন যিথলিয়া থেকে। অসরিয় তাঁর পিতা অমৎসিয়ের মত, প্রভুর চোখে যেগুলো ঠিক সেই কাজগুলো করেছিলেন। কিন্তু তিনি উঁচু বেদীগুলো ধ্বংস করেন নি। তখনও পর্যন্ত এইসব বেদীতে লোকরা বলিদান করত ও ধূপধুনো দিত।

প্রভু রাজা অসরিয়কে কুষ্ঠরোগীতে পরিণত করেছিলেন এবং অসরিয় কুষ্ঠরোগী হিসেবেই শেষ পর্যন্ত মারা যান। তিনি একটা আলাদা ঘরে বাস করতেন এবং রাজপুত্র যোথম রাজপ্রাসাদের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও লোকদের বিচার করতেন।

অসরিয় যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সে সমস্তই যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। অসরিয়র মৃত্যুর পর তাঁকে দায়ূদ নগরীতে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর নতুন রাজা হলেন তাঁর পুত্র যোথম।

ইস্রায়েলে সখরিয়র সংক্ষিপ্ত শাসনকাল

যারবিয়ামের পুত্র সখরিয়, ইস্রায়েলের শমরিয়ায় ছ’মাস রাজত্ব করেছিলেন। তিনি অসরিয়ের যিহূদায় রাজত্ব কালের 38তম বছরে শমরিয়ার শাসক হয়েছিলেন। প্রভু যা কিছু বারণ করেছিলেন সখরিয় সে সবই করেন। নবাটের পুত্র যারবিয়াম ইস্রায়েলের বাসিন্দাদের যে সমস্ত পাপ আচরণে বাধ্য করেছিলেন, তিনি তা বন্ধ করেন নি।

10 যাবেশের পুত্র শল্লুম চক্রান্ত করে সখরিয়কে ইবলিযমে হত্যা করে নিজে নতুন রাজা হয়ে বসলেন। 11 সখরিয় আর যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সে সব ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 12 প্রভু যেহূর উত্তরপুরুষরা চারপুরুষ ধরে ইস্রায়েলে শাসন করবে বলে যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, তা এইভাবে সত্যে পরিণত হল।

ইস্রায়েলে শল্লুমের সংক্ষিপ্ত শাসনকাল

13 যিহূদায় উষিয়ের রাজত্বের 39তম বছরে যাবেশের পুত্র শল্লুম ইস্রায়েলের রাজা হন। তিনি এক মাস শমরিয়ায় রাজত্ব করেছিলেন।

14 গাদির পুত্র মনহেম তির্সা থেকে শমরিয়ায় এসে যাবেশের পুত্র শল্লুমকে হত্যা করে তাঁর জায়গায় নতুন রাজা হয়ে বসলেন।

15 শল্লুম যা কিছু করেছিলেন, এমন কি সখরিয়ের বিরুদ্ধে তাঁর চক্রান্তের কথা এ সবই ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।

ইস্রায়েলে মনহেমের শাসনকাল

16 শল্লুমের মৃত্যুর পর মনহেম তিপ্সহ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হন। সেখানকার নাগরিকরা শহরের দরজা খুলে দিতে অস্বীকার করায় মনহেম তাদের পরাজিত করে জোর করে শহরে ঢুকে সেখানকার সমস্ত গর্ভবতী মহিলাদের কেটে ফেলেন।

17 যিহূদায় অসরিয়ের রাজত্বের 39 বছরের মাথায় ইস্রায়েলের রাজা হবার পর গাদির পুত্র মনহেম 10 বছরের জন্য শমরিয়ায় রাজত্ব করেছিলেন। 18 প্রভু যা কিছু করতে বারণ করেছিলেন মনহেম সে সমস্ত কাজই করেছিলেন। নবাটের পুত্র যারবিয়ামের মতোই তিনি ইস্রায়েলের লোকদের পাপ আচরণ করতে বাধ্য করেছিলেন।

19 অশূর-রাজ পূল ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এলে মনহেম তাঁকে 75,000 পাউণ্ড রূপো দিয়ে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করেন। 20 ধনী ও প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে কর আদায় করে মনহেম এই টাকা তুলেছিলেন। তিনি প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় 20 আউন্স করে রূপো কর হিসেবে আদায় করে, তারপর সেই অর্থ অশূর রাজের হাতে তুলে দিলে, অশূর রাজ ইস্রায়েল ছেড়ে চলে যান।

21 মনহেম যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সে সবই ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 22 মনহেমের মৃত্যুর পর তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সমাধিস্থ করা হয়। এরপর মনহেমের পুত্র পকহিয় তাঁর জায়গায় নতুন রাজা হন।

ইস্রায়েলে পকহিয়র শাসনকাল

23 যিহূদায় অসরিয়ের রাজত্বের 50তম বছরে মনহেমের পুত্র পকহিয় শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হয়েছিলেন এবং তিনি দু বছর রাজত্ব করেছিলেন। 24 পকহিয় সে সমস্ত কাজই করেছিলেন, যেগুলো ছিল প্রভুর দ্বারা নিষিদ্ধ। নবাটের পুত্র যারবিয়ামের মতই তিনিও ইস্রায়েলের লোকদের পাপ আচরণের পথে ঠেলে দিয়েছিলেন।

25 পকহিয়র সেনাপতি ছিলেন রমলিয়ের পুত্র পেকহ। পেকহ অর্গব এবং অরিযি সমেত গিলিয়দের 50 জন ব্যক্তিকে তাঁর সঙ্গে নিয়েছিলেন এবং রাজপ্রাসাদের মধ্যে পকহিয়কে হত্যা করেছিলেন।

26 পকহিয় যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সেসব ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।

ইস্রায়েলে পেকহর শাসনকাল

27 রাজা অসরিয়ের যিহূদায় রাজত্বের 52তম বছরে রমলিয়ের পুত্র পেকহ শমরিয়ায় ইস্রায়েলের রাজা হন। পেকহ 20 বছর রাজত্ব করেছিলেন। 28 এবং প্রভু যা কিছু বারণ করেছিলেন পেকহ সে সবই করেছিলেন। নবাটের পুত্র যারবিয়ামের মত পেকহও ইস্রায়েলের লোকদের পাপ আচরণে বাধ্য করেন।

29 অশূররাজ তিগ্লৎ‌পিলেষর এসে ইয়োন, আবেল-বৈৎ‌-মাখা, যানোহ, কেদশ, হাৎসোর, গিলিয়দ, গালীল ও নপ্তালির সমগ্র অঞ্চল দখল করে এখানকার লোকদের অশূরে বন্দী করে নিয়ে যান। এটা হয়েছিল যখন পেকহ ইস্রায়েলের রাজা ছিলেন।

30 উষিয়ের পুত্র যোথমের যিহূদায় রাজত্বকালের 20 বছরের মাথায় এলার পুত্র হোশেয়, রমলিয়র পুত্র রাজা পেকহের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁকে হত্যা করেন এবং নিজে নতুন রাজা হয়ে বসেন।

31 পেকহ যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সে সবই ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।

যিহূদায় যোথমের শাসনকাল

32 রমলিয়র পুত্র পেকহর ইস্রায়েলে রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে উষিয়ের পুত্র যোথম যিহূদার নতুন রাজা হলেন। 33 যোথম যখন রাজা হন তাঁর বয়স ছিল 25 বছর। তিনি 16 বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন সাদোকের কন্যা যিরূশা। 34 যোথম তাঁর পিতা উষিয়ের মতোই প্রভু নির্দেশিত কাজকর্ম করেছিলেন। 35 কিন্তু তিনিও মূর্ত্তি পূজোর জন্য নির্মিত উঁচু বেদীগুলো ধ্বংস করেন নি। তখনও পর্যন্ত এইসব বেদীতে লোকেরা বলিদান করত ও ধুপধূনো দিত। যোথম প্রভুর মন্দিরের ওপরের দরজাটি তৈরী করেছিলেন। 36 যোথম যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সে সবই যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।

37 তাঁর রাজত্বকালে, অরামের রাজা রৎসীনকে এবং রমলিয়র পুত্র পেকহকে প্রভু যিহূদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠিয়েছিলেন।

38 যোথমের মৃত্যু হলে তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে দায়ূদ নগরীতে সমাধিস্থ করার পর তাঁর পুত্র আহস নতুন রাজা হলেন।

আহস যিহূদার রাজা হলেন

16 রমলিয়র পুত্র পেকহর ইস্রায়েলে রাজত্বের 17তম বছরে যোথমের পুত্র আহস যিহূদার রাজা হলেন। আহস যখন রাজা হন সে সময়ে তাঁর বয়স ছিল 20 বছর। তিনি 16 বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। আহস তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মত ছিলেন না, তিনি তাঁর রাজত্ব কালে প্রভুর অভিপ্রেত কাজকর্ম করেন নি। আহস ইস্রায়েলের রাজাদের মতো জীবনযাপন করতেন। এমন কি তিনি তাঁর নিজের পুত্রকেও আগুনে বলিদান দিয়েছিলেন।[a] ইস্রায়েলীয়দের আবির্ভাবের আগে, প্রভু বীভৎ‌স পাপ আচরণের জন্য যে সমস্ত দেশ পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, আহস সেই সমস্ত পাপ কার্য অনুসরণ করেছিলেন। বলিদান করা ছাড়াও, আহস উচ্চস্থানে, পাহাড়ে ও প্রতিটি সবুজ গাছের নীচে ধুপধূনো দিতেন।

অরামের রাজা রৎসীন ও রমলিয়ের পুত্র ইস্রায়েলের রাজা পেকহ জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসে আহসকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেললেও শেষপর্যন্ত পরাজিত করতে পারেন নি। কিন্তু, সেই সময়ে, অরামরাজ রৎসীন যিহূদার লোকদের যারা সেখানে বাস করত তাদের তাড়িয়ে এলত্‌ দখল করেন। এরপর অরামীয়রা এলতে বসবাস শুরু করে এবং তারা এখনো সেখানেই আছে।

আহস অশূররাজ তিগ্লৎ‌-পিলেষরের কাছে দূত পাঠিয়ে জানালেন, “আমি আপনার দাসানুদাস। আমাকে আপনার সন্তান জ্ঞান করে অরামের রাজা এবং ইস্রায়েলের রাজার হাত থেকে রক্ষা করুন! এরা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছে!” প্রভুর মন্দিরের এবং রাজকোষের সমস্ত সোনা রূপো নিয়ে আহস উপহারস্বরূপ সেসব অশূররাজকে পাঠিয়ে দেন। আহসের মিনতিতে সাড়া দিয়ে অশূররাজ দম্মেশকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দম্মেশক দখল করেন এবং রৎসীনকে হত্যা করে সেখানকার লোকদের বন্দী করে কীরে নিয়ে যান।

10 দম্মেশকে অশূররাজ তিগ্লৎ‌-পিলষরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে আহস সেখানকার বেদীটি দেখে তার একটা নকশা যাজক ঊরিয়র কাছে পাঠান। 11 যাজক ঊরিয় তখন আহস ফিরে আসার আগেই দম্মেশকের বেদীটির মতো অবিকল দেখতে আরেকটা বেদী বানিয়ে রাখলেন।

12 দম্মেশক থেকে ফিরে এসে আহস সেই বেদীতে শস্য নৈবেদ্য ও হোমবলি দিলেন। 13 এছাড়াও তিনি ওই বেদীতে হোমবলি ও শস্য নৈবেদ্য পোড়ালেন। তিনি বেদীর ওপর পেয় নৈবেদ্য ঢাললেন এবং মঙ্গল নৈবেদ্যের রক্ত ছিটিয়ে দিলেন।

14 মন্দিরের সামনে প্রভুর সম্মুখভাগ থেকে আগের পিতলের বেদীটি আহস তুলে ফেলেন কারণ এটি তাঁর বানানো বেদী ও প্রভুর মন্দিরের মাঝখানে ছিল। আগের বেদীটাকে আহস তাঁর নিজের বানানো বেদীর উত্তর দিকে বসিয়ে দেন। 15 আহস যাজক ঊরিয়কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, “সকালের হোমবলি, বিকেলের শস্য নৈবেদ্য ও দেশের লোকদের পেয় নৈবেদ্য যেন বড় বেদীর ওপর দেওয়া হয়। বলিদানের পর ও হোমবলির নৈবেদ্য থেকেও সমস্ত রক্ত যেন বড় বেদীটায় ঢালা হয়। পিতলের বেদীটা আমি ঈশ্বরকে প্রশ্ন করার সময় ব্যবহার করব।” 16 যাজক ঊরিয় রাজা আহসের নির্দেশ মতোই সমস্ত কাজ করেছিলেন।

17 মন্দিরে যাজকদের হাত ধোবার জন্য পাটাতনের ওপর পিতলে খোপ ও গামলা বসানো ছিল। আহস সেই সমস্ত খোপ ও গামলা সরিয়ে পাটাতনটি কেটে ফেলেন। তিনি ওটার তলায় রাখা পিতলের ষাঁড়ের সঙ্গে লাগানো বড় জল রাখার পাত্রটাও খুলে সান বাঁধানো মেঝেতে নামিয়ে দিয়েছিলেন। 18 কর্মীরা বিশ্রামের দিনের জমায়েতের জন্য মন্দিরের ভেতরে একটা ঢাকা জায়গা তৈরী করছিল। কিন্তু আহস সেই জায়গাটা সরিয়ে দেন। এছাড়াও আহস প্রভুর মন্দিরের বাইরের রাজাদের প্রবেশদ্বারটি খুলে নিয়েছিলেন। এসবই তিনি অশূররাজের জন্য করেছিলেন।

19 আহস যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সে সব যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 20 আহসের মৃত্যুর পর, তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে দায়ূদ নগরীতে সমাধিস্থ করা হয়। তারপর তাঁর পুত্র হিষ্কিয় নতুন রাজা হলেন।

যোহন 3:1-18

যীশু ও নীকদীম

ফরীশীদের মধ্যে নীকদীম নামে একজন লোক ছিলেন। তিনি ইহুদী সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। একদিন রাতে তিনি যীশুর কাছে এসে বললেন, “গুরু, আমরা জানি আপনি একজন শিক্ষক, ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন। ঈশ্বর সহায় না হলে কেউ কি ঐরূপ অলৌকিক কাজ করতে পারে, যা আপনি করছেন?”

এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, নতুন জন্ম না হলে কোন ব্যক্তি ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পাবে না।”

নীকদীম তাঁকে বললেন, “মানুষ বৃদ্ধ হয়ে গেলে কেমন করে তার আবার নতুন জন্ম হতে পারে? সে নিশ্চয়ই দ্বিতীয় বার মায়ের গর্ভে প্রবেশ করে আবার জন্মাতে পারে না!”

যীশু তাঁকে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি কোন লোক জল ও আত্মা থেকে না জন্মায়, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না। শরীর থেকেই শরীরের জন্ম হয় আর আত্মা থেকে জন্ম হয় আধ্যাত্মিকতার। আমি তোমাকে যা বললাম, তাতে আশ্চর্য হয়ো না, ‘তোমাদের নতুন জন্ম হওয়া অবশ্যই দরকার।’ বাতাস যেদিকে ইচ্ছা সেদিকে বয় আর তুমি তার শব্দ শুনতে পাও; কিন্তু কোথা থেকে আসে আর কোথায় বা তা বয়ে যায় তুমি তা জানো না। আত্মা থেকে যাদের জন্ম হয় তাদের সকলের বেলাও সেইরকম হয়।”

এর উত্তরে নীকদীম তাঁকে বললেন, “এটা কেমন করে হতে পারে?”

10 তখন যীশু তাঁকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েলীয়দের একজন গুরুত্বপূর্ণ গুরু; আর তুমি এটা জানো না? 11 যা সত্য আমি তোমাকে তাই বলছি, আমরা যা জানি তাই বলি, আমরা যা দেখেছি সেই বিষয়েই সাক্ষ্য দিই: কিন্তু আমরা যাই বলি না কেন তোমরা তা গ্রহণ করো না। 12 আমি তোমাদের কাছে পার্থিব বিষয়ের কথা বললে তোমরা যদি বিশ্বাস না করো, তবে আমি স্বর্গীয় বিষয়ে কোন কথা বললে তোমরা তা কেমন করে বিশ্বাস করবে? 13 যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন সেই মানবপুত্র ছাড়া কেউ কখনও স্বর্গে ওঠেনি।

14 “মরুভূমির মধ্যে মোশি যেমন সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, তেমনি মানবপুত্রকে অবশ্যই উঁচুতে ওঠানো হবে। 15 সুতরাং যে কেউ মানবপুত্রকে বিশ্বাস করে সেই অনন্ত জীবন পায়।”

16 কারণ ঈশ্বর এই জগতকে এতোই ভালবাসেন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে দিলেন, যেন সেই পুত্রের ওপর যে কেউ বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় বরং অনন্ত জীবন লাভ করে। 17 ঈশ্বর জগতকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য তাঁর পুত্রকে এ জগতে পাঠাননি, বরং জগত যেন তাঁর মধ্য দিয়ে মুক্তি পায় এইজন্য ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছেন। 18 যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে তার বিচার হয় না। কিন্তু যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে না, সে দোষী সাব্যস্ত হয়, কারণ সে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্রের ওপর বিশ্বাস করে নি।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International