Old/New Testament
7 ইলীশায় বললেন, “প্রভুর বার্তা শোন! প্রভু বলেন: ‘আগামীকাল এ সময়ের মধ্যেই শমরিয়া শহরের ফটকগুলোর পাশের বাজারে এক টুক্রি মিহি ময়দা অথবা দু টুক্রি যব কেবলমাত্র এক শেকেল দিয়ে কিনতে পাওয়া যাবে।’”
2 রাজার ঠিক পাশেই যে সেনাপতি ছিল সে বলে উঠল, “প্রভু যদি স্বর্গে ছেঁদা করার ব্যবস্থাও করেন, তাহলেও আপনি যা বলছেন তা ঘটা অসম্ভব!”
ইলীশায় বললেন, “সম্ভব কি অসম্ভব তা তুমি নিজের চোখেই দেখতে পাবে। তবে তুমি ঐ খাবার ছুঁতেও পারবে না।”
কুষ্ঠরোগীরা দেখল অরামীয় শিবির শূন্য
3 শহরের প্রবেশদ্বারের কাছে চার জন কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তারা একে অপরকে বলল, “এখানে আমরা না খেয়ে শুকিয়ে মরছি কেন? 4 শমরিয়ায় তো একদানা খাবারও নেই। শহরে গেলেও আমরা মরব, এখানে থাকলেও মারা পড়ব। তার চেয়ে চল অরামীয়দের তাঁবুর দিকে যাওয়া যাক। ওরা চাইলে আমরা বেঁচেও যেতে পারি, আর নয়তো মরতে হবে।”
5 কথা মতো সেদিন বিকেলবেলা কুষ্ঠরোগীরা অরামীয়দের তাঁবুতে গিয়ে উপস্থিত হল। তাঁবুর কাছাকাছি এসে ওরা দেখল, ধারে কাছে কেউই নেই! 6 প্রভুর মহিমায়, অরামীয় সেনাবাহিনীর লোকরা বাইরে রথবাহিনী, ঘোড়া-টোড়া নিয়ে বিশাল এক সেনাবাহিনীর এগিয়ে আসার আওয়াজ শুনে ভেবেছিল, “নিশ্চয়ই ইস্রায়েলের রাজা হিত্তীয় আর মিশরীয় রাজাকে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ভাড়া করে এনেছে!”
7 তাই অরামীয়রা সেদিন বিকেল-বিকেলই তাঁবু, ঘোড়া, গাধা সব কিছু পেছনে ফেলেই প্রাণের দায়ে পালিয়ে গেল।
শত্রুশিবিরে কুষ্ঠরোগী
8 তারপর শত্রুশিবিরে এসে কুষ্ঠরোগীরা একটা তাঁবুতে ঢুকে প্রাণভরে খাওয়া-দাওয়া করল। তারপর চারজন মিলে তাঁবু থেকে সোনা, রূপো, পোশাক-আশাক বার করে নিয়ে সে সব লুকিয়ে রাখল। তারপর চার জন আরেকটা তাঁবু থেকেও এইভাবে জিনিসপত্র সরানোর পর বলাবলি করল, 9 “আমরা খুব অন্যায় করছি। এতো বড় একটা সুখবর পাওয়ার পরেও আমরা চুপচাপ আছি। আমরা যদি এভাবে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খবরটা চেপে থাকি, আমাদের শাস্তি পেতে হবে। এখন চলো গিয়ে রাজবাড়ীর লোকদের খবরটা দেওয়া যাক।”
কুষ্ঠরোগীরা সুখবর দিল
10 এই কুষ্ঠরোগীরা তখন এসে শহরের প্রহরীদের ডাকাডাকি শুরু করল। তারা প্রহরীদের বলল, “আমরা অরামীয়দের শিবিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে কাউকে দেখতে পেলাম না। এমন কি কারো কোন সাড়া-শব্দ অবধি পেলাম না। কোন লোক জন সেখানে নেই। কিন্তু তাঁবুর ভেতরে ঘোড়া, গাধা যেমনকার তেমন বাঁধা আছে। অথচ লোক জন কেউ নেই, সব ফাঁকা।”
11 প্রহরীরা তখন চেঁচিয়ে রাজবাড়ীর লোকদের এখবর দিল। 12 কিন্তু তখন রাত্রি। রাজামশাই বিছানা ছেড়ে উঠে সেনাপতিদের বললেন, “আমি অরামীয় সেনাদের মতলবটা বুঝতে পেরেছি। ওরা জানে আমরা খুবই ক্ষুধার্ত। তাই তাঁবু ফাঁকা করে ঘাপটি মেরে মাঠে লুকিয়ে ভাবছে, ‘ইস্রায়েলীয়রা শহর থেকে এসে হানা দিলেই ওদের জ্যান্ত পাকড়াবো। তখন আবার আমাদের পিছু হটতে হবে।’”
13 রাজার একজন সেনাপতি বলল, “পাঁচটা ঘোড়া নিয়ে গিয়ে কয়েক জন ব্যাপারটা সরেজমিনে দেখেই আসুক না! ঐ পাঁচটা ঘোড়া তো আমাদের মতোই শেষ অবধি না খেয়ে মরবে। কিন্তু আসল কথাটা জানা দরকার।”
14 তারা ঘোড়াসহ দুটি রথ বেছে নিল এবং রাজা তাদের অরামীয় সৈন্যবাহিনীর পরে পাঠালেন। তিনি বললেন, “যাও, দেখে এসো কি হয়েছে।”
15 এরা যর্দন নদীর তীর পর্যন্ত অরামীয় সেনাদের সন্ধানে গিয়ে দেখল, সারাটা পথে জামাকাপড় আর অস্ত্র শস্ত্র ছড়িয়ে আছে। তাড়াহুড়ো করে পালানোর সময় অরামীয় সেনারা এই সমস্ত জিনিস ফেলে গেছে।
16 সকলের জন্যই অপর্যাপ্ত জিনিসপত্র ছড়িয়ে আছে। ঠিক যেন প্রভু যেমনটি বলেছিলেন, এক পয়সায় এক টুক্রি মিহি ময়দা আর দু-টুক্রি যবের গুঁড়ো পাওয়া যাবে!
17 রাজা তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন সেনাপতিকে, সেই যিনি আগে স্বর্গ ছেঁদা করার কথা বলেছিলেন, শহরের দরজা আগলানোর দায়িত্ব দিলেন। কিন্তু ততক্ষণে লোকরা শত্রু শিবির থেকে খাবার আনার জন্য দৌড়েছে। উন্মত্ত জনতা সেই সেনাপতিকে ঠেলে, মাড়িয়ে, পিষে চলে গেল। রাজার বাড়ীতে দেখা করতে আসার পর ইলীশায় যা দৈববাণী করেছিলেন সে সবই অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল। 18 ইলীশায় বলেছিলেন, “যে কোন ব্যক্তি শমরিয়ার প্রবেশদ্বারে বাজার থেকে এক শেকেলে এক ঝুড়ি মিহি ময়দা অথবা দুই ঝুড়ি যব কিনতে পারে।” 19 কিন্তু ঐ আধিকারিক ঈশ্বরের লোককে উত্তর দিল, “এমনকি প্রভু যদি স্বর্গে জানালা তৈরী করেন, তবু এ ঘটনা ঘটবে না!” এবং ইলীশায় আধিকারিককে বললেন, “তুমি তোমার নিজের চোখে দেখবে, কিন্তু ঐ খাবার তুমি খাবে না।” 20 আধিকারিকের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটল, লোকেরা তাকে ধাক্কা মেরে ফটকের উপর ফেলে তার উপর দিয়ে হেঁটে গেল এবং সে মারা গেল।
রাজা ও শূনেমীয় মহিলাটি
8 এক দিন ইলীশায় সেই মহিলাটিকে ডাকলেন যার পুত্রকে তিনি বাঁচিয়ে তুলেছিলেন। তাকে বললেন, “তুমি ও তোমার বাড়ীর সবাই এই দেশ ছেড়ে চলে যাও, কারণ প্রভুর ইচ্ছানুসারে এখানে এখন সাত বছর ধরে দুর্ভিক্ষ চলবে।”
2 ভাববাদী ইলীশায়ের নির্দেশ মতো সেই মহিলা ও তার পরিবারের লোকরা দেশ ছেড়ে সাত বছর পলেষ্টীয়দের দেশে গিয়ে থাকল। 3 তারপর সাত বছর সময় কেটে গেলে আবার সেখান থেকে ফিরে এল।
ফিরে আসার পর মহিলা মহারাজের কাছে তার জমি ও বাড়ি ফিরে পাবার ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনার জন্য কথাবার্তা বলতে যায়।
4 মহারাজ তখন ইলীশায়ের ভৃত্য গেহসির সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি গেহসিকে জিজ্ঞেস করছিলেন, “ইলীশায় যেসব অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটিয়েছেন, তুমি আমাকে সে সবের কথা বল।”
5 ইলীশায় কিভাবে এক মৃত ব্যক্তিকে জীবনদান করেছিলেন গেহসি মহারাজকে সে কথা বলছিল। সে সময় এই মহিলা, যার ছেলেকে ইলীশায় বাঁচিয়ে তুলেছিলেন, জমি ও বাড়ীর ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করতে রাজার সঙ্গে দেখা করতে গেল। তাকে দেখেই গেহসি বলে উঠল, “আমার মনিব এবং রাজা এ কি কাণ্ড! এই সেই মহিলা, আর ঐ সেই ছেলে যাকে ইলীশায় বাঁচিয়ে তুলেছিলেন!”
6 রাজা মহিলাকে, সে কি চায় তা জিজ্ঞেস করলে, মহিলা তাঁকে সব কিছু জানাল।
রাজা এক রাজকর্মচারীকে ডেকে নির্দেশ দিলেন, “শোনো, ওর যা ন্যায্য প্রাপ্য তা ওকে ফিরিয়ে তো দেবেই, আর তাছাড়া ও যেদিন থেকে দেশ ছেড়ে গিয়েছে, তার পরদিন থেকে ওর জমিতে উৎপন্ন শস্যও যেন ওকে দেওয়া হয়।”
বিন্হদদ হসায়েলকে ইলীশায়ের কাছে পাঠালেন
7 একবার অরামের রাজা বিন্হদদের অসুস্থতার সময় ইলীশায় দম্মেশকে আসেন। বিন্হদদকে একজন একথা জানালে তিনি হসায়েলকে বললেন,
8 “একটা কোন উপহার নিয়ে গিয়ে এই ভাববাদীর সঙ্গে দেখা করে প্রভুকে জিজ্ঞেস করতে বলো, আমি সুস্থ হয়ে উঠব কি না।”
9 হসায়েল তখন দম্মেশকে যা যা ভাল জিনিসপত্র পাওয়া যায় উপহার হিসেবে সে সব নিয়ে ইলীশায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি যা উপহার নিয়েছিলেন সে সব বয়ে নিয়ে যেতে 40টা উট লেগেছিল! হসায়েল ইলীশায়কে গিয়ে বললেন, “আপনার অনুগামী অরামের রাজা বিন্হদদ আমাকে পাঠিয়েছেন। তাঁর জিজ্ঞাস্য, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন কি না।”
10 তখন ইলীশায় হসায়েলকে বললেন, “তুমি গিয়ে বিন্হদদকে বল, ‘উনি বেঁচে থাকবেন,’ কিন্তু যদিও প্রভু আমাকে বলেছেন, ‘ওর মৃত্যু হবে।’”
হসায়েল সম্পর্কে ইলীশায়ের ভবিষ্যৎবাণী
11 ইলীশায় তারপর অনেক ক্ষণ একদৃষ্টে হসায়েলের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। এতে হসায়েল লজ্জিত বোধ করছিলেন। এরপর ঈশ্বরের লোক কাঁদতে শুরু করলেন। 12 হসায়েল আর থাকতে না পেরে জিজ্ঞেস করলেন, “মহাশয় আপনি কাঁদছেন কেন?”
ইলীশায় বললেন, “আমি কাঁদছি, কারণ আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তুমি ইস্রায়েলীয়দের কি কি ক্ষতি করবে! তুমি তাদের সুদৃঢ় শহরগুলো পুড়িয়ে দেবে, ধারালো তরবারি দিয়ে একের পর এক ইস্রায়েলীয় যুবক ও শিশুকে হত্যা করবে, ওদের গর্ভবতী মহিলাদের কেটে দু টুকরো করবে।”
13 হসায়েল বললেন, “আমার সে অধিকার বা ক্ষমতা কোনটাই নেই! আমার দ্বারা এসব ভয়ঙ্কর কাজ কখনও হবে না!”
ইলীশায় উত্তর দিলেন, “প্রভু আমাকে দেখালেন তুমি এক দিন অরামের রাজা হবে।”
14 তারপর হসায়েল ইলীশায়ের কাছ থেকে তার রাজার কাছে ফিরে এলে, বিন্হদদ প্রশ্ন করলেন, “ইলীশায় তোমাকে কি বললেন?”
হসায়েল জবাব দিলেন, “আপনি বেঁচে থাকবেন।”
হসায়েল বিন্হদদকে হত্যা করলেন
15 ঠিক তার পরের দিনই, হসায়েল একটা মোটা কাপড় জলে ডুবিয়ে, সেটাকে বিন্হদদের মুখের ওপর বিছিয়ে দিয়ে তাঁর শ্বাসরোধ করলেন। বিন্হদদের মৃত্যু হলে হসায়েল নতুন রাজা হলেন।
যিহোরাম তাঁর শাসন কার্য শুরু করলেন
16 যিহোশাফটের পুত্র যিহোরাম ছিলেন যিহূদার রাজা। আহাবের পুত্র ইস্রায়েলের রাজা যোরামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে যিহোরাম, যিহূদার সিংহাসনে বসেন। 17 তিনি যখন সিংহাসনে বসেন তখন তাঁর বয়স ছিল 32 বছর। যিহোরাম আট বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। 18 কিন্তু যিহোরাম ইস্রায়েলের অন্যান্য রাজাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রভুর বিরুদ্ধে বহু পাপ আচরণ করেন। যিহোরাম আহাবের পরিবারের লোকদের মতোই জীবনযাপন করতেন কারণ তাঁর স্ত্রী ছিলেন আহাবেরই কন্যা। 19 কিন্তু প্রভু তাঁর দাস দায়ূদকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যিহূদাকে ধ্বংস করেন নি। প্রভু দায়ূদকে কথা দিয়েছিলেন সেখানে সব সময়ই তাঁর বংশের কেউ না কেউ রাজা হিসেবে শাসন করবে।
20 যিহোরামের রাজত্ব কালে ইদোম যিহূদার অধীনতা অস্বীকার করে, যিহূদার রাজত্ব থেকে ভেঙে বেরিয়ে যায় এবং সেখানকার লোকরা নিজেদের আলাদা রাজা ঠিক করে নেয়।
21 তখন যিহোরাম তাঁর সমস্ত রথ নিয়ে সায়ীরে গেলে, ইদোমীয় সৈন্যরা তাঁদের ঘিরে ফেলে। তখন যিহোরাম ও তাঁর সেনাপতিরা ইদোমীয়দের আক্রমণ করলেন এবং পালিয়ে গেলেন। যিহোরামের সেনারা সব পালিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। 22 অর্থাৎ ইদোমীয়রা যিহূদার শাসন থেকে ভেঙ্গে বেরিয়ে এলো এবং আজ পর্যন্ত তারা স্বাধীন আছে।
একই সময় লিব্নাও যিহূদার শাসন থেকে বেরিয়ে এসেছিল।
23 যিহোরাম যা যা করেছিলেন সে সবই যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।
24 যিহোরামের মৃত্যুর পর তাঁকে দায়ূদ নগরীতে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল এবং নতুন রাজা হলেন যিহোরামের পুত্র অহসিয়।
অহসিয় তাঁর শাসনকার্য শুরু করলেন
25 আহাবের পুত্র যোরামের ইস্রায়েলে রাজত্বের 12 বছরে যিহোরামের পুত্র অহসিয় যিহূদার রাজা হন। 26 অহসিয় যখন রাজা হন তাঁর বয়স ছিল 22 বছর। তিনি এক বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা অথলিয়া ছিলেন ইস্রায়েলের রাজা অম্রির নাতনি। 27 প্রভু যা যা নিষেধ করেছিলেন, আহাবের পরিবারবর্গের মতো সে সমস্ত খারাপ কাজই অহসিয় করেছিলেন। এর কারণ অহসিয়র স্ত্রী ছিলেন আহাবের পরিবারেরই মেয়ে।
হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আহত হলেন যোরাম
28 যোরাম ছিলেন আহাবের পরিবারের সদস্য। অহসিয় যোরামকে নিয়ে রামোৎ-গিলিয়দে অরামের রাজা হসায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে আহত হন। অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যখন তিনি যুদ্ধ করেছিলেন, অরামীয়রা রামোতে তাঁকে আহত করেছিলেন। সেই আঘাত থেকে সেরে ওঠার জন্য 29 রাজা যোরাম ইস্রায়েলের যিষ্রিয়েলে চলে যান। যিহোরামের পুত্র যিহূদার রাজা অহসিয় তখন যিষ্রিয়েলে যোরামকে দেখতে গিয়েছিলেন।
ইলীশায় একজন ভাববাদীকে যেহূকে অভিষিক্ত করতে বললেন
9 কয়েক জন তরুণ ভাববাদীকে ডেকে ইলীশায় বললেন, “তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নাও এবং এই ছোট তেলের শিশিটা নিয়ে রামোৎ-গিলিয়দে যাও। 2 সেখানে গিয়ে নিম্শির পৌত্র যিহোশাফটের পুত্র যেহূকে ওর ভাইদের মধ্যে থেকে তুলে তাকে ভেতরের ঘরে নিয়ে যাবে। 3 তারপর এই ছোট তেলের শিশিটা ওর মাথায় উপুড় করে দিয়ে বলবে, ‘প্রভু বলেছেন, আমি ইস্রায়েলের নতুন রাজা হিসেবে তোমায় অভিষেক করলাম।’ একথা বলেই দরজা খুলে দৌড়ে চলে আসবে। আর অপেক্ষা করবে না!”
4 তখন এই তরুণ ভাববাদী রামোৎ-গিলিয়দে গেল। 5 সেখানে সেনাবাহিনীর সমস্ত সেনাপতিরা বসে আছেন। তরুণ ভাববাদীটি বলল, “সেনাপতিমশাই আপনার জন্য খবর আছে।”
যেহূ বললেন, “আরে আমরা তো এখানে সবাই সেনাপতি! তুমি কার জন্য খবর এনেছো?”
ভাববাদী বলল, “আপনারই জন্য!”
6 তখন যেহূ উঠে বাড়ির ভেতরে গেলেন। তরুণ ভাববাদীটি সঙ্গে সঙ্গে যেহূর মাথায় তেল ঢেলে দিয়ে বলল, “প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেছেন, ‘আমি তোমাকে আমার ইস্রায়েলের সেবকদের নতুন রাজা হিসেবে অভিষেক করলাম। 7 তুমি তোমার রাজা আহাবের পরিবারকে ধ্বংস করবে। আমার ভৃত্যদের, ভাববাদীদের এবং প্রভুর সমস্ত সেবকদের হত্যা করবার জন্য আমি এইভাবে ঈষেবলকে শাস্তি দেব। 8 আহাবের বংশের সকলকে মরতে হবে। ওর বংশের কোন পুরুষ শিশুকেও আমি জীবিত থাকতে দেব না। 9 ওর পরিবারের দশা আমি নবাটের পুত্র যারবিয়াম এবং অহিয়ের পুত্র বাশার পরিবারের মতো করব। 10 ঈষেবলকে কবরে সমাধিস্থ করা হবে না। যিষ্রিয়েলের রাস্তার কুকুর ওর দেহ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে।’”
একথা বলবার পর, তরুণ ভাববাদীটি দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে গেল।
ভৃত্যরা যেহূকে রাজা ঘোষণা করল
11 যেহূ আবার রাজকর্মচারীদের মধ্যে ফিরে গেলে একজন জিজ্ঞেস করলেন, “কি হে, সব কিছু ঠিক আছে তো? ক্ষ্যাপাটা তোমার কাছে কেন এসেছিল?”
যেহূ ওঁর অধীনস্থদের বললেন, “লোকটা যে কি সব পাগলের প্রলাপ বকে গেল!”
12 সেনাপতিরা সকলে বললেন, “ও সব বললে হবে না। ও কি বলে গেল আমাদের সত্যি সত্যি বলতে হবে।” যেহূ তখন তাঁদের তরুণ ভাববাদী কি বলেছে জানালেন, “ও বলল, ‘প্রভু বলেছেন, আমি তোমায় ইস্রায়েলের নতুন রাজা হিসেবে অভিষেক করলাম।’”
13 তখন সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকটি সেনাপতি তাঁদের পোশাক খুলে যেহূর পায়ের নীচে রাখলেন। তারপর তারা শিঙা বাজিয়ে চিৎকার করে উঠলেন, “যেহূ হলেন রাজা!”
যেহূ যিষ্রিয়েলে গেলেন
14 অতঃপর নিম্শির পৌত্র ও যিহোশাফটের পুত্র যেহূ যোরামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলেন।
সে সময় যোরাম ও ইস্রায়েলীয়রা অরামের রাজা হসায়েলের হাত থেকে রামোৎ-গিলিয়দ রক্ষা করতে চেষ্টা করছিলেন। 15 রাজা যোরাম অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় অরামীয় সেনাবাহিনীর হাতে আহত হয়েছিলেন। তিনি (এ সময়) তাঁর ক্ষতস্থানের শুশ্রূষার জন্য যিষ্রিয়েলে ছিলেন।
যেহূ উপস্থিত রাজকর্মচারীদের সবাইকে বললেন, “তোমরা যদি সত্যি সত্যিই নতুন রাজা হিসেবে আমাকে মেনে নিয়ে থাকো, তাহলে খেয়াল রেখো কেউ যেন শহর থেকে পালিয়ে যিষ্রিয়েলে গিয়ে এ খবর দিতে না পারে।”
16 যোরাম তখন যিষ্রিয়েলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। যেহূ তাঁর রথে চড়ে যিষ্রিয়েলে গেলেন। যিহূদার রাজা অহসিয়ও সে সময় যোরামকে দেখতে যিষ্রিয়েলে এসেছিলেন।
17 জনৈক প্রহরী তখন যিষ্রিয়েলের প্রহরা দেবার উচ্চ কক্ষে দাঁড়িয়েছিল। সদলবলে যেহূকে আসতে দেখে ও চেঁচিয়ে বলল, “আমি এক দল লোক দেখতে পাচ্ছি!”
যোরাম বললেন, “একজন ঘোড়সওয়ারকে ওদের সঙ্গে দেখা করতে পাঠাও। ওরা কিসের জন্য আসছে খোঁজ নিক।”
18 তখন ঘোড়সওয়ার একজন বার্তাবাহক সেখানে গিয়ে যেহূকে বলল, “রাজা এই কথা বললেন, ‘আপনি কি শান্তিতে এসেছেন?’”
যেহূ বললেন, “শান্তি নিয়ে তোমার অতো মাথাব্যথা কিসের হে? আমাকে অনুসরণ করো।”
প্রহরী যোরামকে বললো, “ঘোড়া নিয়ে একজন খোঁজ নিতে গিয়েছে, কিন্তু এখনও ফেরে নি।”
19 যোরাম তখন একজনকে অশ্বারোহণে পাঠালেন। সে এসে বলল, “রাজা যোরাম ‘শান্তি বজায় রাখতে চান।’”
যেহূ উত্তর দিলেন, “শান্তি নিয়ে তোমার এতো মাথাব্যথা কিসের হে? আমাকে অনুসরণ করো।”
20 প্রহরী যোরামকে খবর দিল, “পরের ঘোড়সওয়ারও এখনো ফিরে আসে নি। এদিকে নিম্শির পুত্র যেহূর মত কে যেন একটা পাগলের মত রথ চালিয়ে আসছে।”
21 যোরাম বললেন, “আমার রথ নিয়ে এস।”
তখন সেই ভৃত্য গিয়ে যোরামের রথ নিয়ে এলে, ইস্রায়েলের রাজা যোরাম ও যিহূদার রাজা অহসিয়, যে যার রথে চড়ে যেহূর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তাঁরা যিষ্রিয়েলের নাবোতের সম্পত্তির কাছে যেহূর দেখা পেলেন।
22 যোরাম যেহূকে দেখতে পেয়ে বললেন, “তুমি বন্ধুর মতো এসেছো যেহূ?”
যেহূ উত্তর দিলেন, “যতদিন তোমার মা ঈষেবল বেশ্যাবৃত্তি ও ডাইনিগিরি চালিয়ে যাবে ততদিন বন্ধুত্বের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”
23 পালানোর জন্য ঘোড়ার মুখ ঘোরাতে ঘোরাতে যোরাম অহসিয়কে বললেন, “এ সমস্ত চক্রান্ত!”
24 কিন্তু ততক্ষণে যেহূর সজোরে নিক্ষিপ্ত জ্যামুক্ত তীর গিয়ে যোরামের পিঠে বিদ্ধ হয়েছে। এই তীর যোরামের পিঠ ফুঁড়ে হৃৎপিণ্ডে গিয়ে ঢুকলো, রথের মধ্যেই যোরামের মৃতদেহ লুটিয়ে পড়ল।
25 যেহূ তাঁর রথের সারথি বিদ্করকে বললেন, “যোরামের দেহ তুলে নাও এবং যিষ্রিয়েলের নাবোতের জমিতে ছুঁড়ে ফেলে দাও। মনে আছে, যখন তুমি আর আমি এক সঙ্গে যোরামের পিতা আহাবের সঙ্গে ঘোড়ায় চড়ে আসছিলাম, প্রভু ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, 26 ‘গতকাল আমি নাবোত আর ওর ছেলেদের রক্ত দেখেছি, তাই এই মাঠেই আমি আহাবকে শাস্তি দেব।’ প্রভুই একথা বলেছিলেন, অতএব যাও গিয়ে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী যোরামের দেহ মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দাও।”
27 এসব কাণ্ড-কারখানা দেখে যিহূদার পিতা অহসিয় বাগানবাড়ির মধ্যে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে যেহূ তাঁর পিছু পিছু ধাওয়া করতে করতে বললেন, “এটাকেও শেষ করে দিই!”
রথে করে যিব্লিয়মের কাছাকাছি গূরে আসতে আসতে অহসিয়ও আহত হলেন এবং মগিদ্দোতে পালিয়ে এলেও সেখানেই তাঁর মৃত্যু হল। 28 অহসিয়র ভৃত্যরা রথে করে তাঁর মৃতদেহ জেরুশালেমে নিয়ে গিয়ে সেখানে দায়ূদ নগরীতে তাঁর পূর্বপুরুষদের সমাধিস্থলে তাঁকে কবর দিল।
29 যোরামের ইস্রায়েলে রাজত্ব কালের একাদশ বছরে অহসিয় যিহূদার রাজা হয়েছিলেন।
ঈষেবলের ভয়াবহ মৃত্যু
30 যেহূ যিষ্রিয়েলে পৌঁছতে ঈষেবল সে খবর পেল। সে সেজেগুজে চুল বেঁধে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখল, 31 যেহূ শহরে ঢুকছে। ঈষেবল চেঁচিয়ে বলল, “কি হে সিম্রি! তুমিও একই ভাবে মনিব খুন করলে!”
32 যেহূ ওপরে জানালার দিকে তাকিয়ে হাঁক দিলেন, “কে আমার পক্ষে আছো? কে?”
দু-তিনজন নপুংসক প্রহরী জানালা দিয়ে মুখ বাড়াতেই 33 যেহূ তাদের হুকুম দিলেন, “ওকে নীচে ফেলে দাও!”
তখন নপুংসক প্রহরীরা ঈষেবলকে নীচে ছুঁড়ে ফেলে দিল। ঈষেবলের রক্তের ছিটে দেওয়ালে আর ঘোড়াদের গায়ে লাগল। ঘোড়ারা ঈষেবলের দেহ মাড়িয়ে চলে গেল। 34 যেহূ বাড়ির ভেতরে গিয়ে পানাহার করে বললেন, “এই শাপগ্রস্তাকে এবার কবর দেবার ব্যবস্থা করো। হাজার হলেও রাজকন্যা তো বটে।”
35 ভৃত্যরা ঈষেবলকে কবর দিতে গিয়ে দেহের কোন হদিস পেল না। তারা কেবল ঈষেবলের মাথার খুলি, পায়ের পাতা আর হাতের তালু খুঁজে পেল। 36 তারা ফিরে এসে যেহূকে এ খবর দিতে যেহূ বললেন, “প্রভু আগেই তাঁর দাস তিশ্বীর এলিয়কে জানিয়েছিলেন, ‘যিষ্রিয়েলের অধিকারভুক্ত অঞ্চলে কুকুররা ঈষেবলের দেহ খেয়ে নেবে। 37 একতাল গোবরের মত ঈষেবলের দেহ যিষ্রিয়েলের পথে পড়ে থাকবে, লোকরা দেখে চিনতেও পারবে না।’”
যীশুর পৃথিবীতে আগমন
1 আদিতে বাক্য[a] ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন আর সেই বাক্যই ছিলেন ঈশ্বর। 2 সেই বাক্য আদিতে ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন। 3 তাঁর মাধ্যমেই সব কিছুর সৃষ্টি হয়েছিল এবং এর মধ্যে তাঁকে ছাড়া কোন কিছুরই সৃষ্টি হয় নি। 4 তাঁর মধ্যে জীবন ছিল; আর সেই জীবন জগতের মানুষের কাছে আলো নিয়ে এল। 5 সেই আলো অন্ধকারের মাঝে উজ্জ্বল হয়ে উঠল; আর অন্ধকার সেই আলোকে জয় করতে পারে নি।
6 একজন লোক এলেন তাঁর নাম যোহন; ঈশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছিলেন। 7 তিনি সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য সাক্ষী রূপে এলেন যাতে তাঁর মাধ্যমে সকল লোক সেই আলোর কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারে। 8 যোহন নিজে সেই আলো ছিলেন না; কিন্তু তিনি এসেছিলেন যাতে লোকদের কাছে সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে পারেন। 9 প্রকৃত যে আলো, তা সকল মানুষকে আলোকিত করতে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
10 সেই বাক্য জগতে ছিল এবং এই জগত তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল; কিন্তু জগত তাঁকে চিনতে পারে নি। 11 যে জগত তাঁর নিজস্ব সেখানে তিনি এলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকরাই তাঁকে গ্রহণ করল না। 12 কিন্তু কিছু লোক তাঁকে গ্রহণ করল এবং তাঁকে বিশ্বাস করল। যারা বিশ্বাস করল তাদের সকলকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দান করলেন। 13 ঈশ্বরের এই সন্তানরা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন শিশুর মতো জন্ম গ্রহণ করে নি। মা-বাবার দৈহিক কামনা-বাসনা অনুসারেও নয়, ঈশ্বরের কাছ থেকেই তাদের এই জন্ম।
14 বাক্য মানুষের রূপ ধারণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বসবাস করতে লাগলেন। পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে তাঁর যে মহিমা, সেই মহিমা আমরা দেখেছি। সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পরিপূর্ণ ছিলেন। 15 যোহন তাঁর সম্পর্কে মানুষকে বললেন, “ইনিই তিনি যাঁর সম্বন্ধে আমি বলেছি। ‘যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার থেকে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।’”
16 সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পূর্ণ ছিলেন। আমরা সকলে তাঁর থেকে অনুগ্রহের ওপর অনুগ্রহ পেয়েছি। 17 কারণ মোশির মাধ্যমে বিধি-ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অনুগ্রহ ও সত্যের পথ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে এসেছে। 18 ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখেনি; কিন্তু একমাত্র পুত্র, যিনি পিতার কাছে থাকেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।
যোহন যীশু সম্পর্কে লোকেদের বললেন
(মথি 3:1-12; মার্ক 1:1-8; লূক 3:1-9, 15-17)
19 জেরুশালেমের ইহুদীরা কয়েকজন যাজক ও লেবীয়কে যোহনের কাছে পাঠালেন। তাঁরা এসে যোহনকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কে?” 20 যোহন একথার জবাব খোলাখুলিভাবেই দিলেন; তিনি উত্তর দিতে অস্বীকার করলেন না। তিনি স্পষ্টভাবে স্বীকার করলেন, “আমি সেই খ্রীষ্ট নই।”
21 তখন তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তাহলে আপনি কে? আপনি কি এলিয়?”
যোহন বললেন, “না, আমি এলিয় নই।”
ইহুদীরা জিজ্ঞেস করলেন, “তবে আপনি কি সেই ভাববাদী?”
যোহন এর জবাবে বললেন, “না।”
22 তখন তাঁরা বললেন, “তাহলে আপনি কে? আমাদের বলুন যাতে যারা আমাদের পাঠিয়েছে তাদের জবাব দিতে পারি। আপনার নিজের বিষয়ে আপনি কি বলেন?”
23 ভাববাদী যিশাইয় যা বলেছিলেন তা উল্লেখ করে যোহন বললেন,
“আমি তাঁর রব, যিনি মরু প্রান্তরে চিৎকার করে বলছেন,
‘তোমার প্রভুর জন্য পথ সোজা কর!’”(A)
24 যাদের পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে কিছু ফরীশী সম্প্রদায়ের লোক ছিল। 25 তাঁরা যোহনকে বললেন, “আপনি যদি সেই খ্রীষ্ট নন, এলিয় নন, ভাববাদীও নন, তাহলে আপনি বাপ্তাইজ করছেন কেন?”
26 এর উত্তরে যোহন বললেন, “আমি জলে বাপ্তাইজ করছি। তোমাদের মধ্যে একজন দাঁড়িয়ে আছেন যাঁকে তোমরা চেন না। 27 তিনিই সেই লোক যিনি আমার পরে আসছেন। আমি তাঁর পায়ের চটির ফিতে খোলবার যোগ্য নই।”
28 যর্দন নদীর অপর পারে বৈথনিয়াতে যেখানে যোহন লোকেদের বাপ্তাইজ করছিলেন, সেইখানে এইসব ঘটেছিল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International