Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
1 রাজাবলি 16-18

16 প্রভু তখন হনানির পুত্র যেহূর সঙ্গে কথা বললেন এবং রাজা বাশার বিরুদ্ধে কথা বললেন। তিনি বললেন, “আমি তোমাকে ধূলো থেকে উঠিয়ে এনে ইস্রায়েলে আমার লোকদের নেতা করেছিলাম। কিন্তু তুমি যারবিয়ামের আচরণ অনুসরণ করেছ। আমার ইস্রায়েলের লোকদের পাপ আচরণের কারণ হয়েছ এবং তারা তাদের পাপ দিয়ে আমাকে ক্রুদ্ধ করেছে। তাই বাশা, আমি তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে ধ্বংস করব। নবাটের পুত্র যারবিয়ামের পরিবারের যে দশা হয়েছিল তোমাদেরও তাই হবে। তোমার পরিবারের সবাই শহরের পথেঘাটে মারা পড়বে, কুকুরে তাদের মৃতদেহ ছিঁড়ে খাবে। অন্যরা মাঠেঘাটে মরে পড়ে থাকবে। চিল শকুনী তাদের মৃতদেহ ঠোকরাবে।”

বাশা ও তাঁর উল্লেখযোগ্য কীর্তির সব কিছুই ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। বাশার মৃত্যুর পর তাঁকে তির্সাতে সমাধিস্থ করা হল। এরপর তাঁর পুত্র এলা নতুন রাজা হলেন।

যারবিয়ামের পরিবারের মতোই বাশাও প্রভুর বিরুদ্ধে বহু পাপ আচরণ করে, যার ফরে প্রভু তার প্রতি ক্রুদ্ধ হন এবং ভাববাদী যেহূকে বাশার পরিণতির কথা জানিয়ে দেন। বাশা যারবিয়ামের পরিবারের সবাইকে হত্যা করার জন্যও প্রভু তাঁর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন।

ইস্রায়েলের রাজা এলা

আসার যিহূদায় রাজত্বের 26 বছরের মাথায় বাশার পুত্র এলা ইস্রায়েলের নতুন রাজা হলেন। এলা তির্সাতে দুবছর রাজত্ব করেছিলেন।

সিম্রি ছিলেন এলার অধীনস্থ একজন রাজকর্মচারী। সিম্রি এলার অর্ধেক রথ বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন। সিম্রি এলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। রাজা এলা তখন অর্সার বাড়িতে বসে দ্রাক্ষারস পান করছিলেন। অর্সা তির্সার প্রাসাদরক্ষক ছিল। 10 সিম্রি সে সময় ঐ বাড়িতে ঢুকে এলাকে হত্যা করেন। যিহূদাতে আসার রাজত্বের 27 বছরের মাথায় এই ঘটনা ঘটে। সিম্রি এলার পরে ইস্রায়েলের নতুন রাজা হলো।

ইস্রায়েলের রাজা সিম্রি

11-12 সিম্রি ইস্রায়েলের নতুন রাজা হবার পর তিনি একে একে বাশার পরিবারের সকলকে হত্যা করলেন, কাউকে রেহাই দিলেন না। সিম্রি বাশার বন্ধু-বান্ধবদেরও সবাইকে হত্যা করলেন। প্রভু যেভাবে ভাববাদী যেহূর কাছে বাশার মৃত্যু সম্পর্কে ভাববাণী করেছিলেন ঠিক সে ভাবেই বাশা ও তাঁর পরিবারের সকলের মৃত্যু হল। 13 বাশা ও তাঁর পুত্র এলার পাপ আচরণের জন্যই এই ঘটনা ঘটলো। তাঁরা শুধু নিজেরাই পাপ করেন নি, ইস্রায়েলের লোকদেরও পাপ আচরণে বাধ্য করেছিলেন। এই কারণে প্রভু তাদের ওপর ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়াও তারা মূর্ত্তি পূজা করতেন বলে প্রভু ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন।

14 এলা আর যা কিছু করেছিলেন তা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।

15 যিহূদাতে আসার রাজত্বের 27তম বছরে সিম্রি ইস্রায়েলের রাজা হলেন। সিম্রি মাত্র 7 দিনের জন্য তির্সাতে রাজত্ব করেছিলেন। পলেষ্টীয় অধিকৃত গিব্বথোনের কাছে ইস্রায়েলের সেনাবাহিনী তখন শিবির গেড়েছিল। তারা সে সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। 16 তাদের কানে এলো সিম্রি ইস্রায়েলের রাজার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁকে হত্যা করেছেন। তখন ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দা সেই শিবিরেই সেনাপতি অম্রিকে ইস্রায়েলের রাজা হিসেবে ঠিক করলো। 17 তখন অম্রি ও ইস্রায়েলের সবাই গিব্বথোন থেকে এসে তির্সা আক্রমণ করলো।

18 সিম্রি যখন বুঝতে পারলেন তির্সা শত্রুপক্ষের দখলে চলে গেছে, তখন তিনি রাজপ্রাসাদে নিজেকে বন্ধ করে প্রাসাদে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন। 19 সিম্রিও যারবিয়ামের মতোই প্রভুর অনভিপ্রেত পাপ আচরণ করেছিলেন ও ইস্রায়েলের লোকদের পাপ কার্য্যের কারণ হয়েছিলেন। আর এই পাপের জন্যই সিম্রির মৃত্যু হল।

20 সিম্রির গল্প, তাঁর চক্রান্ত ও অন্যান্য যা কিছু তিনি করেছিলেন তা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। সিম্রি রাজা এলার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর কি হয়েছিল সেই কথাও এই গ্রন্থে লেখা আছে।

ইস্রায়েলের রাজা অম্রি

21 সে সময়ে ইস্রায়েলের বাসিন্দারা দুটি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। অর্ধেক লোক চাইছিল গীনতের পুত্র তিব্নিকে রাজা করতে, বাকী অর্ধেক ছিল অম্রির অনুগামী। 22 অম্রির সমর্থকরা বেশী শক্তিশালী হওয়ায় তিব্নি নিহত হলেন এবং অম্রি নতুন রাজা হলেন।

23 আসা যিহূদায় রাজত্ব করার 31 বছরের মাথায় অম্রি ইস্রায়েলের রাজা হন। তিনি 12 বছর ইস্রায়েল শাসন করেন। তার মধ্যে 6 বছর তিনি তির্সা শহর থেকে রাজত্ব করেছিলেন। 24 অম্রি 150 পাউণ্ড রূপো দিয়ে শেমরের কাছ থেকে শমরিয়া পাহাড়টি কিনে সেখানে একটি শহর বানান। পাহাড়ের আগের মালিক শেমরের নামেই তিনি ঐ শহরটির নাম শমরিয়া দিয়েছিলেন।

25 প্রভু যা যা অনুচিত বলে ঘোষণা করেছিলেন, রাজা অম্রি ঠিক সেইগুলোই করেছিলেন। তাঁর আগে যে সব রাজারা রাজত্ব করেছিলেন তিনি তাঁদের চেয়েও খারাপ ছিলেন। 26 নবাটের পুত্র যারবিয়াম যে সব পাপ করেছিলেন তিনিও ঠিক সেই পাপগুলো করেছিলেন এবং তিনি ইস্রায়েলের লোকদেরও পাপের কারণ হয়েছিলেন। অতএব তাঁরা ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রভুকে ক্রুদ্ধ করে তুলেছিলেন কারণ তাঁরা অর্থহীন, মূল্যহীন মূর্ত্তিসমূহের পূজা করেছিলেন।

27 অম্রি সম্পর্কে আর সব কিছু তিনি যা যা উল্লেখযোগ্য কাজ করেছিলেন ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 28 অম্রির মৃত্যুর পর তাঁকে শমরিয়া শহরেই সমাধিস্থ করা হল। তাঁরপর তাঁর পুত্র আহাব নতুন রাজা হলেন।

ইস্রায়েলের রাজা আহাব

29 আসার যিহূদায় রাজত্ব কালের 38 বছরের সময়ে অম্রির পুত্র আহাব ইস্রায়েলের রাজা হন। আহাব শমরিয়া শহর থেকে 22 বছর ইস্রায়েল শাসন করেছিলেন। 30 আহাব তাঁর আগের রাজাদের তুলনায় আরো খারাপ ছিলেন। প্রভু যা কিছু অন্যায় বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি সেগুলোই করেছিলেন। 31 নবাটের পুত্র যারবিয়ামের মতো পাপ আচরণ করেও আহাব ক্ষান্ত হন নি, উপরন্তু তিনি সীদোনীয় রাজা ইৎ‌বালের কন্যা ঈষেবলকে বিয়ে করেছিলেন। এরপর আহাব বাল মূর্ত্তির পূজা করতে শুরু করেন এবং 32 শমরিয়া শহরে বাল পূজার জন্য একটা মন্দির করে সেখানে বেদী বানিয়ে দিয়েছিলেন। 33 আশেরার আরাধনার জন্যও তিনি একটি খুঁটি পুঁতে দিয়েছিলেন। ইস্রায়েলে তাঁর আগে অন্য যে সব রাজা শাসন করেছিলেন তাঁদের তুলনায় প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে ক্রুদ্ধ করার মতো আহাব অনেক বেশী পাপকার্য করেছিলেন।

34 আহাবের শাসন কালে বৈথেলের হীয়েল যিরীহো শহরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। এই কাজের ফলস্বরূপ হীয়েল যে সময়ে শহরটি বানানোর কাজ শুরু করেন, সে সময় তাঁর বড় ছেলে অবীরাম মারা যায়। আর শহরের তোরণ বসানোর কাজ শেষ হলে হীয়েলের ছোট ছেলে সগুবেরও মৃত্যু হল। নূনের পুত্র যিহোশূয়ের মাধ্যমে প্রভু যে ভাবে ভাববাণী করেছিলেন ঠিক সে ভাবেই এইসব ঘটেছিল।

এলিয় এবং অনাবৃষ্টির কাল

17 গিলিয়দের তিশ্‌ব‌ী শহরে এলিয় নামে এক ভাববাদী বাস করতেন। তিনি রাজা আহাবকে বললেন, “আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর, প্রভুর সেবক। আমি সেই প্রভুর নামে অভিশাপ দিলাম আগামী কয়েক বছর বৃষ্টিপাত তো দূরের কথা, এদেশে এক ফোঁটা শিশির পর্যন্ত আর পড়বে না। একমাত্র আমি নির্দেশ দিলেই আবার বৃষ্টিপাত হবে।”

2-3 প্রভু তখন এলিয়কে সে জায়গা ছেড়ে যর্দন নদীর পূর্ব দিকে করীত্‌ খাঁড়ির কাছে লুকিয়ে থাকতে বললেন। তিনি এলিয়কে জানান যে তিনি কাক ও শকুনিদের রোজ তাঁর জন্য সেখানে খাবার এনে দেবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তৃষ্ণা পেলে এলিয় করীতের জলধারা থেকে জলপানও করতে পারবেন। প্রভুর নির্দেশ মতো এলিয় তখন যর্দনের পূর্বদিকে করীৎ‌ খাঁড়ির কাছে বাস করতে গেলেন। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে কাক ও শকুনিরা এলিয়কে খাবার এনে দিত আর তৃষ্ণা পেলে তিনি করীতের স্রোত থেকে জল পান করতেন।

কিন্তু অনাবৃষ্টির দরুণ করীতের জলধারা শুকিয়ে গেল। তখন প্রভু এলিয়কে সীদোনের সারিফতে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেন, “সেখানে এক বিধবা রমণী বাস করে। আমি তাঁকে তোমার খাবারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছি।”

10 এলিয় তখন সারিফত নগরের দরজার কাছে গিয়ে এক বিধবা মহিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলেন। সে আগুন জ্বালানোর জন্য কাঠ জড়ো করছিল। এলিয় তাঁকে বললেন, “আমায় একটু খাবার জল এনে দিতে পারো?” 11 সেই মহিলা জল আনতে যাবার সময় এলিয় আবার তাকে অনুরোধ করলেন, “দয়া করে আমার খাবার জন্য এক টুকরো রুটি এনো।”

12 কিন্তু সেই মহিলা উত্তর দিলেন, “আমি তোমার প্রভু ঈশ্বরের সামনে দিব্যি খেয়ে বলছি, আমার ঘরে রুটি নেই। শুধু বয়ামে অল্প একটু ময়দা আর শিশিতে অল্প খানিক তেল রাখা আছে। আমি এখানে কাঠ কুড়োতে এসেছিলাম। আমি এই কাঠ বাড়ীতে বয়ে নিয়ে যাবো এবং আগুন জ্বালিয়ে রুটি সেঁকব এবং আমার পুত্র ও আমি আমাদের শেষ আহার করব এবং তারপর খিদের জ্বালায় মরে যাবো।”

13 এলিয় সেই মহিলাকে বললেন, “কোনো চিন্তা কোরো না। কথা মতো বাড়ি গিয়ে রান্না চড়াও। কিন্তু তার আগে ঐ ময়দা থেকে ছোট্ট একটা রুটি বানিয়ে আমার জন্য নিয়ে এসো। তারপর তুমি তোমার আর তোমার পুত্রের জন্য রান্না করো। 14 ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বর বললেন, ‘ঐ ময়দার কৌটো কখনও শূন্য হবে না। যত দিন না প্রভু এ দেশে বৃষ্টি পাঠাচ্ছেন তত দিন পর্যন্ত ঐ শিশির তেলও আর কমবে না।’”

15 তখন ঐ মহিলা বাড়ি ফিরে গিয়ে এলিয়র কথা মতো কাজ করল। এলিয়, ঐ মহিলাটি এবং তার পুত্র বহু দিনের জন্য যথেষ্ট খাদ্য পেয়েছিল। 16 প্রভু এলিয়কে যা ভাববাণী করেছিলেন, সেই কথা মতোই ঐ ময়দার বযাম ও তেলের শিশি কখনও শূন্য হয় নি।

17 কিছু দিন পরে মহিলার পুত্র খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। শেষে এক সময় তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে 18 মহিলা এলিয়কে এসে বলল, “আপনি ঈশ্বরের লোক, আপনি কি আমায় সাহায্য করতে পারবেন? নাকি আপনি এখানে এসে কেবল আমাকে আমার পাপের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমার পুত্রকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন?”

19 এলিয় তাকে বললেন, “তোমার পুত্রকে আমার কাছে এনে দাও।” তারপর এলিয় পুত্রটিকে ওপরে নিয়ে গিয়ে যে ঘরে তিনি থাকতেন তার নিজের খাটে শুইয়ে দিলেন। 20 তারপর এলিয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু, আমার ঈশ্বর, এই বিধবা রমণী আমাকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছে। আপনি কি তার প্রতি এই অনাচার করবেন? আপনি কি তার পুত্রকে মারা যেতে দেবেন?” 21 তারপর এলিয় পর পর তিন বার সেই ছেলেটার ওপর শুয়ে প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু, আমার ঈশ্বর, এই ছেলেটাকে পুনর্জীবিত করুন।”

22 প্রভু এলিয়র ডাকে সাড়া দিলেন। ছেলেটি বেঁচে উঠল এবং আবার স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করল। 23 এলিয় তখন ছেলেটিকে নীচের তলায় নিয়ে গিয়ে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, “দেখো, তোমার পুত্র বেঁচেই আছে!”

24 সেই মহিলা তখন বলল, “এবার আমার সত্যি সত্যি বিশ্বাস হল যে আপনি ঈশ্বরের লোক! প্রভু সত্যিই আপনার মুখ দিয়ে কথা বলেন!”

এলিয় ও বালের ভাববাদী

18 একটানা তিন বছর অনাবৃষ্টির পর প্রভু এলিয়কে বললেন, “আমি আবার শীগ্গিরই বৃষ্টি পাঠাবো। যাও গিয়ে রাজা আহাবের সঙ্গে দেখা করো।” এলিয় তখন আহাবের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।

সে সময়ে শমরিয় শহরে দুর্ভিক্ষ চলছিল। রাজা আহাব তাই ওবদিয়, যে প্রাসাদ রক্ষনাবেক্ষণ করত তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ওবদিয় প্রকৃত অর্থেই প্রভুর অনুগামী ছিলেন। এক সময়ে ঈষেবল প্রভুর সমস্ত ভাববাদীদের হত্যা করতে শুরু করেছিলেন। ওবদিয় 100 জন ভাববাদীকে দুটি গুহার মধ্যে 50 ভাগের দুটি দলে লুকিয়ে রেখে ছিলেন এবং নিয়মিত তাদের খাবার ও জল এনে দিতেন। রাজা আহাব ওবদিয়কে বললেন, “চলো, আমরা বেরিয়ে সমস্ত ঝর্ণা আর নদীগুলোতে গিয়ে দেখি আমাদের ঘোড়া আর খচ্চরগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার মতো ঘাস পাওয়া যায় কি না।” দুজনে দুটি অঞ্চল ভাগ করে নিয়ে সারা দেশে জলের খোঁজে বেরিয়ে পড়ল। আহাব গেলেন এক দিকে আর ওবদিয় গেল আরেক দিকে। ওবদিয়র সঙ্গে পথে এলিয়র দেখা হল। এলিয়কে দেখেই ওবদিয় চিনতে পারল এবং তাঁর সামনে নতজানু হয়ে জিজ্ঞেস করল, “এলিয়! সত্যিই কি আপনি আমার সেই মনিব?”

এলিয় বললেন, “হ্যাঁ, আমি এসেছি। যাও তোমার রাজাকে এ খবর জানাও।”

তখন ওবদিয় বলল, “আমি যদি আহাবকে বলি যে আপনি কোথায় আছেন আমি জানি তাহলে আহাব আমাকে মেরে ফেলবেন। প্রভু আমি তো আপনার কাছে কোনো অপরাধ করি নি, তাহলে আপনি কেন আমাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন? 10 রাজা পাগলের মতো উন্মত্ত হয়ে প্রভু, আপনার ঈশ্বরকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন, চতুর্দিকে আপনার খোঁজে লোক পাঠিয়েছেন। প্রত্যেকটা দেশে তিনি আপনাকে খুঁজতে লোক পাঠিয়ে ছিলেন এবং সেখানে আপনাকে পাওয়া না গেলে আহাব সেখানকার শাসকদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন, যে সত্যি সত্যিই আপনি সেই সব দেশে নেই। 11 আর এখন আপনি আমাকে বলছেন, রাজার কাছে গিয়ে আপনার এখানে থাকার খবর দিতে। 12 আমি গিয়ে রাজা আহাবকে একথা বলার পর, রাজা যখন আপনাকে খুঁজতে আসবেন তখন হয়তো প্রভু আপনাকে অন্য কোন জায়গায় নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখবেন আর আপনাকে খুঁজে না পেয়ে রাজা আমাকেই তখন হত্যা করবেন। আমি সেই ছোটবেলা থেকে প্রভুকে অনুসরণ করে চলেছি। 13 আপনি নিশ্চয়ই জানেন, আমি কি করেছিলাম। ঈষেবল যখন প্রভুর ভাববাদীদের হত্যা করছিলেন, আমি তখন তাদের 50 জন করে দুভাগে মোট 100 জন ভাববাদীকে দুটো গুহায় লুকিয়ে রেখে নিয়মিত খাবার ও জল দিয়েছিলাম। 14 আর এখন আপনি আমাকে রাজার কাছে গিয়ে বলতে বলছেন, যে আপনি এখানে আছেন। রাজা সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে হত্যা করবেন।”

15 এলিয় তখন বললেন, “সর্বশক্তিমান প্রভুর উপস্থিতি যেরকম সত্য, আমিও সেই রকমই প্রতিশ্রুতি করছি যে আমি রাজার সামনে আজ দাঁড়াব।”

16 ওবদিয় তখন রাজা আহাবকে গিয়ে এলিয় কোথায় আছে তা জানাল। রাজা আহাব এলিয়র সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।

17 আহাব এলিয়কে দেখে প্রশ্ন করল, “তুমিই কি সেই লোক যার জন্য ইস্রায়েলের এই দুরবস্থা?”

18 এলিয় উত্তর দিলেন, “আমার জন্য ইস্রায়েলের কোনো দুর্দশাই হয় নি। তুমি ও তোমার পিতৃপুরুষরাই এজন্য দায়ী। তোমরা প্রভুর আদেশ অমান্য করে মূর্ত্তির পূজা শুরু করেছ। 19 এখন ইস্রায়েলের সবাইকে কর্ম্মিল পর্বতে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলো। বালদেবের 450 জন ভাববাদী ও রানী ইষেবল সমর্থক আশেরার মূর্ত্তির 400 জন ভাববাদীকেও যেন ওখানে আনা হয়।”

20 আহাব তখন সমস্ত ইস্রায়েলীয় ও ঐসব ভাববাদীদের কর্ম্মিল পর্বতে ডাকলেন। 21 এলিয় তখন সবাইকে বললেন, “তোমরা কবে স্থির করবে কোন দেবতাকে তোমরা অনুসরণ করবে? শোনো, প্রভুই যদি সত্য ঈশ্বর হন তাহলে তাঁকে অনুসরণ করো। আর বাল মূর্ত্তিকে যদি তোমাদের প্রকৃত দেবতা বলে মনে হয় তাহলে তাঁকে অনুসরণ করো।”

লোকরা কিছুই বলল না। 22 তখন এলিয় তাদের বললেন, “আমি এখানে প্রভুর একমাত্র ভাববাদী হিসেবে উপস্থিত আছি। আর বালদেবের অনুগামী 450 জন ভাববাদী আছেন। 23 এবার দুটো ষাঁড় নিয়ে আসা হোক্। বাল মূর্ত্তির ভাববাদীরা তার একটি কেটে টুকরো টুকরো করে কাঠের ওপর রাখুন। আমি অন্যটাকে কেটে টুকরো করে কেটে কাঠের ওপর রাখছি। আমরা কেউই নিজে থেকে কাঠে আগুন ধরাবো না। আমি আমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করছি। 24 বাল মূর্ত্তির অনুগামী ভাববাদীরাও তাঁদের দেবতার কাছে প্রার্থনা করুন। যার প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে কাঠে আগুন জ্বলে উঠবে, তার দেবতাই আসল প্রমাণিত হবেন।”

সমস্ত লোক এই পরিকল্পনায় সায় দিল।

25 এলিয় তখন বাল মূর্ত্তির ভাববাদীদের ডেকে বললেন, “আপনারা সংখ্যায় অনেক। আপনারাই প্রথমে যান। যে ভাবে বললাম ষাঁড়টাকে কেটে ঠিক করুন। তবে আগুন জ্বালাবেন না।”

26 তখন বাল মূর্ত্তির অনুগামী ভাববাদীরা তাঁদের যে ষাঁড়টি দেওয়া হয়েছিল সেটাকে কথা মতো কেটে সাজালেন। তারপর তাঁরা বেলা দুপুর পর্যন্ত বাল মূর্ত্তির কাছে প্রার্থনা করলেন, তাঁদের বানানো যজ্ঞবেদী ঘিরে নাচানাচি করলেন কিন্তু কেউ তাঁদের প্রার্থনায় সাড়া দিল না, আগুন জ্বললো না।

27 দুপুর গড়িয়ে গেলে এলিয় এইসব ভাববাদীদের নিয়ে রসিকতা শুরু করলেন। এলিয় বললেন, “বাল যদি সত্যি সত্যিই দেবতা হন, তাহলে একটু জোরে প্রার্থনা করা উচিৎ‌! হয়তো উনি এখন ভাবনায় ডুবে আছেন! কিম্বা হয়তো ঘুম লাগিয়েছেন। না না! আপনাদের আরেকটু জোরে হাঁকডাক করে ওঁকে ঘুম থেকে তোলা দরকার।” 28 একথা শুনে এইসব ভাববাদীরা তারস্বরে প্রার্থনা করতে লাগলেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজেদের ক্ষতবিক্ষত করে রক্ত বার করে ফেললেন। (বালদেবের আরাধনার এটিও একটি বিশেষ প্রক্রিয়া ছিল।) 29 কিন্তু দুপুর থেকে বিকেল গড়িয়ে গেল তখনও আগুন ধরার কোনো লক্ষণ দেখা গেল না। ক্রমে বিকেলের বলিদানের সময় ঘনিয়ে এলো, ভাববাদীরা উন্মত্তের মতো ডাকাডাকি করতে লাগলেন কিন্তু বালদেবের দিক থেকে কোনো সাড়াই পাওয়া গেল না।

30 এলিয় তখন সমস্ত লোকদের বললেন, “এবার আমার কাছে এসো।” সকলে এলিয়কে ঘিরে দাঁড়ালে, এলিয় প্রথমে প্রভুর ভেঙ্গে যাওয়া বেদীটিকে ঠিক করলেন। 31 তারপর ইস্রায়েলের 12টি পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেকের নামে একটা করে মোট 12টি পাথর খুঁজে বার করলেন। যাকোবের 12 জন সন্তানের নামে এই 12টি পরিবারগোষ্ঠীর নামকরণ হয়েছিল। যাকোবকেই প্রভু ইস্রায়েল বলে ডেকেছিলেন। 32 এলিয় প্রভুকে সম্মান জানাতে এই পাথরগুলো দিয়ে যজ্ঞবেদীটি ঠিক করেছিলেন। তারপর তিনি বেদীর পাশে 7 গ্যালন জল ধরার মতো একটি ছোট ডোবা কাটলেন, 33 এবং সমস্ত জ্বালানি কাঠ বেদীতে রাখলেন। ষাঁড়টাকে টুকরো করে কাটার পর এলিয় সেইসব টুকরো কাঠের ওপর রাখলেন। 34 তারপর তিনি বললেন, “চারটে পাত্রে জল ভরে নিয়ে এসে সেই জল এই মাংসের টুকরো ও কাঠের ওপর ছড়িয়ে দাও।” 35 এলিয় এরপর তিন বার একাজ করলে, বেদী থেকে জল গড়িয়ে পড়ে ডোবাটা ভরিয়ে দিল।

36 তখন বৈকালিক বলিদানের সময়। ভাববাদী এলিয় বেদীর কাছে গিয়ে প্রার্থনা করলেন, “প্রভু অব্রাহাম, ইস‌্হাক ও যাকোবের ঈশ্বর, আমি আপনাকে আহ্বান করছি। আপনি এসে প্রমাণ করুন যে আপনিই ইস্রায়েলের প্রকৃত ঈশ্বর। এইসব লোককে দেখান যে আপনিই আমাকে এসব করবার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন। 37 হে প্রভু, আপনি এসে আমার ডাকে সাড়া দিলে তবেই এইসব লোকরা বুঝতে পারবে আপনিই তাদের আপনার কাছে ফিরিয়ে নিলেন।”

38 তখন প্রভু আগুন পাঠালেন। সেই আগুনে সমস্ত বলি, কাঠ, পাথর বেদীর পাশের মাটি পর্যন্ত পুড়ে গেল। আগুন ডোবায় জমা জলকে ভক্ষণ করে নিল। 39 সমস্ত লোক এ ঘটনা দেখে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে বলতে শুরু করলো, “প্রভুই ঈশ্বর। প্রভুই ঈশ্বর।”

40 এলিয় তখন বললেন, “বাল মূর্ত্তির সমস্ত ভাববাদীদের ধরে নিয়ে এসো। একটাও যেন পালাতে না পারে।” তখন সবাই মিলে ঐ সমস্ত ভাববাদীদের ধরে নিয়ে এল। এলিয় তাদের কীশোনের খাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করলেন।

আবার বৃষ্টি নামলো

41 এলিয় তখন রাজা আহাবকে বললেন, “যাও এবার গিয়ে পানাহার করো। প্রবল বৃষ্টি আসছে।” 42 রাজা আহাব তখন খেতে গেলেন আর এলিয় কর্ম্মিল পর্বতের চূড়ায় গিয়ে নতজানু হয়ে হাঁটুতে মাথা ঠেকিয়ে 43 তাঁর ভৃত্যকে বললেন, “সমুদ্রের দিকে তাকাও।”

সেই ভৃত্য তখন যেখান থেকে সমুদ্র দেখা যায় সেখানে গেল। সে ফিরে এসে বলল, “কই কিছু তো দেখতে পেলাম না।” এলিয় তাকে আবার দেখতে পাঠালেন। 44 পরপর সাত বার একই ঘটনা ঘটার পর সাতবারের বার সেই ভৃত্য এসে বলল, “মানুষের হাতের মুঠোর মতো ছোট্ট এক টুকরো মেঘ দেখলাম সমুদ্রের দিক থেকে আসছে।”

এলিয় তাঁর ভৃত্যকে বললেন, “যাও রাজা আহাবকে তাঁর রথ প্রস্তুত করে বাড়িতে যেতে বলো কারণ এক্ষুনি রওনা না হলে ও বৃষ্টিতে আটকে যাবে।”

45 অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যেই গোটা আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়ে বাতাস বইতে শুরু করলো এবং প্রবল বৃষ্টি শুরু হল। আহাব তাঁর রথে চড়ে যিষ্রিয়েলের দিকে রওনা হলেন। 46 প্রভুর শক্তি তখন এলিয়কে ভর করলো। এলিয় আঁট করে পোশাক বেঁধে আহাবের আগেই দৌড়ে যিষ্রিয়েলে পৌঁছে গেলেন।

লূক 22:47-71

যীশু বন্দী হলেন

(মথি 26:47-56; মার্ক 14:43-50; যোহন 18:3-11)

47 তিনি তখনও কথা বলছেন, সেই সময় যিহূদার নেতৃত্বে একদল লোক সেখানে এসে হাজির হল। যিহূদা চুমু দিয়ে অভিবাদন করার জন্য যীশুর দিকে এগিয়ে গেল।

48 যীশু তাকে বললেন, “যিহূদা তুমি কি চুমু দিয়ে মানবপুত্রকে ধরিয়ে দেবে?” 49 যীশুর চারপাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তখন বুঝতে পারলেন কি ঘটতে চলেছে। তাঁরা বললেন, “প্রভু, আমরা কি তলোয়ার নিয়ে ওদের আক্রমণ করব?” 50 তাঁদের মধ্যে একজন মহাযাজকের চাকরের ডান কান কেটে ফেললেন।

51 এই দেখে যীশু বললেন, “থামো! খুব হয়েছে।” আর তিনি সেই চাকরের কান স্পর্শ করে তাকে সুস্থ করলেন।

52 এরপর যীশু, যারা তাঁকে ধরতে এসেছিল, সেই প্রধান যাজক, মন্দির রক্ষী বাহিনীর পদস্থ কর্মচারীদের ও ইহুদী সমাজপতিদের উদ্দেশ্যে বললেন, “ডাকাত ধরতে লোকে যেমন বার হয় তোমরাও কি সেরকম ছোরা ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ? 53 প্রত্যেক দিনই তো আমি তোমাদের মাঝে মন্দিরেই ছিলাম, তখন তো তোমরা আমায় স্পর্শ কর নি! কিন্তু এই তোমাদের সময়, অন্ধকারের রাজত্বের এই তো সময়।”

যীশুকে স্বীকার করতে পিতরের ভয়

(মথি 26:57-58, 69-75; মার্ক 14:53-54, 66-72; যোহন 18:12-18, 25-27)

54 তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করে মহাযাজকের বাড়িতে নিয়ে চলল। পিতর কিন্তু দূরত্ব বজায় রেখে তাদের পেছনে পেছনে চললেন। 55 মহাযাজকের বাড়ির উঠোনের মাঝখানে লোকেরা আগুন জ্বেলে তার চারপাশে বসল, পিতরও তাদের সঙ্গে বসলেন। 56 একজন চাকরাণী দেখল যে পিতর সেই আগুনের ধারে বসেছেন। সে পিতরকে খুব ভালভাবে দেখে নিয়ে বলল, “আরে, এই লোকটাও তো ওর সঙ্গী ছিল!”

57 কিন্তু পিতর অস্বীকার করে বললেন, “এই মেয়ে, আমি ওঁকে চিনি না।” 58 এর কিছুক্ষণ পরে আর একজন পিতরকে দেখে বলল, “আরে, তুমিও তো ওদেরই দলের একজন!”

কিন্তু পিতর বললেন, “না, মশায়, আমি নই।”

59 এর প্রায় একঘন্টা পরে আর একজন বেশ জোর দিয়ে বলল, “নিঃসন্দেহে এ লোকটা ওরই সঙ্গী ছিল, কারণ এ তো একজন গালীলীয়!”

60 কিন্তু পিতর বললেন, “মশায়, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না, আপনি কি বলছেন।”

পিতরের কথা শেষ না হতেই একটা মোরগ ডেকে উঠল। 61 তখন প্রভু মুখ ফিরিয়ে পিতরের দিকে তাকালেন, আর প্রভুর কথা পিতরের মনে পড়ে গেল, প্রভু বলেছিলেন, “আজ রাতে মোরগ ডাকার আগে, তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে।” 62 তখন তিনি বাইরে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।

লোকেরা যীশুকে উপহাস করল

(মথি 26:67-68; মার্ক 14:65)

63 যারা যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল, তারা এই সময় তাঁকে বিদ্রূপ করতে ও মারতে শুরু করল। 64 তারা যীশুর চোখ বেঁধে দিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করতে লাগল, “ভাববাণী বল দেখি, কে তোকে মারল!” 65 তাঁকে অপমান করার জন্য তারা অনেক কথা বলল।

ইহুদী নেতাদের সামনে যীশু

(মথি 26:59-66; মার্ক 14:55-64; যোহন 18:19-24)

66 দিন শুরু হলে প্রবীন নেতারা, প্রধান যাজরা, ব্যবস্থার শিক্ষকরা সকলে মিলে সভা ডাকল আর সেই সভায় তারা যীশুকে হাজির করল। 67 তারা বলল, “তুমি যদি খ্রীষ্ট হও, তবে আমাদের বল!”

যীশু তাদের বললেন, “আমি যদি বলি, তোমরা আমার কথায় বিশ্বাস করবে না: 68 আর আমি যদি তোমাদের কিছু জিজ্ঞেস করি, তোমরা তার জবাব দেবে না। 69 কিন্তু মানবপুত্র এখন থেকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকবেন।”

70 তখন তারা সকলে বলল, “তাহলে তুমি ঈশ্বরের পুত্র?” তিনি জবাব দিলেন, “তোমরা ঠিকই বলেছ যে আমি সেই।”

71 তারা বলল, “আমাদের আর অন্য সাক্ষ্যের কি দরকার? আমরা তো ওর নিজের মুখের কথাই শুনলাম।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International