Old/New Testament
মরিয়ম মারা গেলেন
20 ইস্রায়েলের লোকরা প্রথম মাসে, সীন মরুভূমিতে পৌঁছালো। প্রথমে তারা কাদেশে পৌঁছাল, সেখানে মরিয়ম মারা গেলেন এবং তাঁকে সেখানেই কবর দেওয়া হয়েছিল।
মোশি ভুল করলেন
2 সেই জায়গায় লোকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জল ছিল না, সুতরাং মোশি এবং হারোণের কাছে অভিযোগ করার জন্যে লোকরা এক জায়গায় মিলিত হয়েছিল। 3 লোকরা মোশির সঙ্গে তর্ক করে বলল, “এও হলে ভাল হতো যদি আমরা আমাদের ভাইদের মতো প্রভুর সামনে মারা যেতাম। 4 আপনি কেন প্রভুর লোকদের এই মরুভূমিতে নিয়ে এসেছিলেন? আপনার ইচ্ছে কি এটাই যে আমাদের এবং আমাদের সঙ্গে থাকা পশুদের এখানেই মৃত্যু হোক্? 5 আপনি কেন আমাদের মিশর থেকে এই খারাপ জায়গায় নিয়ে এসেছেন? এখানে কোনো শস্য নেই। এখানে কোনো ডুমুর, দ্রাক্ষা অথবা ডালিম ফল নেই এবং পানের জন্য কোনো জলও নেই।”
6 সুতরাং মোশি এবং হারোণ লোকদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে গেলেন। তাঁরা মাটিতে উপুড় হয়ে পড়লে প্রভুর মহিমা তাঁদের সামনে প্রকাশিত হল।
7 প্রভু মোশিকে বললেন, 8 “হাঁটার বিশেষ লাঠিটি নিয়ে এসো। হারোণ এবং লোকদের নিয়ে সেই পাহাড়ের সামনে এসো। সবার সামনে ঐ পাহাড়কে বলো, তখন ঐ পাহাড় থেকে জল প্রবাহিত হবে। তুমি সেই জল লোকদের এবং তাদের পশুদের দিতে পারবে।”
9 লাঠিটি পবিত্র তাঁবুতে প্রভুর সামনে ছিল। প্রভু যেভাবে বলেছিলেন, মোশি সেই ভাবেই লাঠিটি নিয়ে এলেন। 10 মোশি এবং হারোণ পাহাড়ের সামনে সমস্ত লোকদের সমবেত হতে বললেন। তখন মোশি বললেন, “তোমরা সকল সময়েই অভিযোগ করছ। এখন আমার কথা শোন। আমরা কি তোমাদের জন্য এই পাহাড় থেকে জল বার করবো?” 11 এরপর মোশি তাঁর হাত তুললেন এবং পাহাড়ে দুবার আঘাত করলেন। পাহাড় থেকে জল বেরোতে শুরু করল। লোকরা এবং তাদের পশুরা জল পান করল।
12 কিন্তু প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “ইস্রায়েলের সব লোকের সাক্ষাতে তুমি আমার প্রতি সম্মান দেখাও নি। তুমি ইস্রায়েলের লোকদের দেখাও নি যে জল বার করার ক্ষমতা আমার থেকেই এসেছে। তুমি লোকদের দেখাও নি যে তুমি আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছো। আমি ঐসব লোকদের সেই দেশটি দেব যে দেশটি আমি তাদের দেব বলে শপথ করেছিলাম, কিন্তু তুমি তাদের সেই দেশে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দেবে না।”
13 এই জায়গাটিকে বলা হতো মরীবার জল। এটিই সেই জায়গা যেখানে ইস্রায়েলীয়রা প্রভুর সঙ্গে বিবাদ করেছিল এবং এটিই সেই জায়গা যেখানে প্রভু তাদের দেখিয়েছিলেন যে তিনি পবিত্র।
ইদোম ইস্রায়েলকে যেতে বাধা দিল
14 কাদেশে থাকাকালীন মোশি ইদোমীয় রাজার কাছে বার্তাসহ কয়েকজন লোককে পাঠালেন। বার্তায় বলা ছিল:
“আপনার ভাইরা অর্থাৎ ইস্রায়েলের লোকেরা, আপনাকে বলছে: আমাদের যে সব সমস্যা আছে সে সম্পর্কে আপনি সবই জানেন। 15 বহু বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা মিশরে গিয়েছিলেন এবং আমরা সেখানে বহু বছর বাস করেছিলাম। মিশরের লোকরা আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি নিষ্ঠুর ছিলেন। 16 কিন্তু আমরা প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম। প্রভু আমাদের প্রার্থনা শুনেছিলেন এবং আমাদের সাহায্যের জন্য একজন দূত পাঠিয়েছিলেন। প্রভু আমাদের মিশর থেকে নিয়ে এসেছেন।
“এখন আমরা আপনার দেশের প্রান্তে কাদেশে আছি। 17 দয়া করে আপনার দেশের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে দিন। আমরা কোনো শস্য ক্ষেত অথবা কোনো দ্রাক্ষাক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাবো না। আমরা আপনাদের কোনো জলাশয় থেকে জল পান করবো না। আমরা রাজপথ বরাবর যাতায়াত করবো। আমরা ঐ রাস্তা থেকে কোনো সময়ই ডানদিকে অথবা বাঁদিকে যাবো না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আপনার দেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই রাস্তার ওপরেই থাকবো।”
18 কিন্তু ইদোমীয় রাজা উত্তর দিলেন, “তোমরা আমার দেশের মধ্য দিয়ে যেতে পারবে না। তোমরা আমার দেশের মধ্য দিয়ে যাবার চেষ্টা করলে আমরা তরবারি নিয়ে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবো।”
19 ইস্রায়েলের লোকরা উত্তর দিল, “আমরা প্রধান রাস্তা দিয়ে যাবো। যদি আমাদের পশুরা আপনাদের কোনো জল পান করে, আমরা তার জন্য মূল্য দেবো। আমরা কেবলমাত্র আপনার দেশের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে চাই। আর কিছু নয়।”
20 কিন্তু ইদোম আবার উত্তর দিলেন, “আমরা তোমাদের আমাদের দেশের মধ্য দিয়ে যাবার অনুমতি দেবো না।”
এরপর ইদোমীয় রাজা এক বিশাল এবং শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী জড়ো করলেন এবং ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গেলেন। 21 ইদোমীয় রাজা তাঁর দেশের মধ্য দিয়ে ইস্রায়েলের লোকদের যাওয়া নিষেধ করলেন। তাই ইস্রায়েলের লোকরা ঘুরে অন্য পথে গেল।
হারোণ মারা গেলেন
22 ইস্রায়েলের লোকরা কাদেশ থেকে হোর পর্বতের দিকে যাত্রা করল। 23 হোর পর্বত ছিল ইদোম সীমানার কাছে। এখানেই প্রভু মোশি এবং হারোণকে বললেন, 24 “হারোণের মৃত্যুর সময় হয়েছে এবং তার পূর্বপুরুষদের কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে। যে দেশটা আমি ইস্রায়েলের লোকদের দেব বলে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম, হারোণ সেই দেশে প্রবেশ করবে না। মোশি, আমি একথা তোমাকেও বললাম, কারণ তুমি এবং হারোণ দুজনেই মরীবার জলের ধারে দেওয়া আমার আজ্ঞার বিরুদ্ধাচরণ করেছিলে।
25 “এখন হারোণ এবং তার পুত্র ইলীয়াসরকে হোর পর্বতের ওপরে নিয়ে এসো। 26 হারোণের বিশেষ বস্ত্র তার কাছ থেকে নিয়ে এসো এবং সেই বস্ত্রাদি তার পুত্র ইলীয়াসরকে পরিয়ে দাও। সেখানে পর্বতের ওপরে হারোণের মৃত্যু হবে। সে তার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবে।”
27 মোশি প্রভুর আজ্ঞা পালন করলেন। মোশি, হারোণ এবং ইলীয়াসর হোর পর্বতের ওপরে গেলেন এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোক তাদের সেখানে যেতে দেখল। 28 মোশি হারোণের বিশেষ পোশাক খুলে নিলেন এবং হারোণের পুত্র ইলীয়াসরকে সেই সব পোশাক পরিয়ে দিলেন। এরপর পর্বতের চূড়ায় হারোণ মারা গেলে মোশি এবং ইলীয়াসর পর্বত থেকে নেমে এলেন। 29 ইস্রায়েলের সকল লোক হারোণের মৃত্যুর খবর জানল। এই কারণে ইস্রায়েলের প্রত্যেক ব্যক্তি 30 দিন শোক পালন করল।
কনানীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ
21 কনানীয় রাজার নাম ছিলো অরাদ। তিনি নেগেভে বাস করতেন। রাজা অরাদ শুনেছিলেন যে, ইস্রায়েলের লোকরা অথারীম যাওয়ার পথ ধরে এগিয়ে আসছে। এই কারণে রাজা বেরিয়ে এসে ইস্রায়েলের লোকদের ওপর আক্রমণ করলেন। অরাদ কয়েকজন লোককে বন্দী করে রাখলেন। 2 তখন ইস্রায়েলের লোকরা প্রভুর কাছে এক বিশেষ শপথ করে বললেন: “প্রভু দয়া করে এইসব লোকদের পরাজিত করতে আমাদের সাহায্য করুন। যদি আপনি এটা করেন তাহলে আমরা তাদের শহরগুলো আপনাকে দেবো। আমরা তাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করবো।”
3 প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের কথা শুনলেন এবং কনানীয় লোকদের পরাজিত করার জন্য প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের সাহায্য করলেন। ইস্রায়েলীয়রা কনানীয়দের এবং তাদের শহরগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছিল। এই কারণে ঐ জায়গাটির নাম রাখা হল হর্মা।
পিতলের সাপ
4 ইস্রায়েলের লোকরা হোর পর্বত ত্যাগ করে সূফ সাগরে যাওয়ার পথ ধরে এগোলো। ইদোমের চারদিকে ঘোরার জন্য তারা এটা করল। কিন্তু লোকরা অধৈর্য্য হল। 5 তারা প্রভু এবং মোশির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করল। লোকরা বলল, “কেন আপনি আমাদের মিশর থেকে বাইরে নিয়ে এসেছেন? আমরা এখানে মরুভূমিতে মারা যাবো। এখানে কোনো রুটি নেই! জল নেই! আর আমরা এই সাংঘাতিক খাদ্যকে ঘৃণা করি।”
6 এই কারণে প্রভু লোকদের মধ্যে বিষাক্ত সাপ পাঠালেন। সাপগুলো লোকদের দংশন করলে ইস্রায়েলের বহু সংখ্যক লোক মারা গেল। 7 তখন লোকরা মোশির কাছে এসে বলল, “আমরা জানি যে আমরা প্রভুর বিরুদ্ধে এবং আপনার বিরুদ্ধে কথা বলে পাপ করেছি। প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি সাপগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে যান।” সুতরাং মোশি লোকদের জন্য প্রার্থনা করলেন।
8 প্রভু মোশিকে বললেন, “একটি পিতলের সাপ তৈরী করো এবং এটিকে একটি খুঁটির ওপরে রাখো। কোনো ব্যক্তিকে সাপে কামড়ালে যদি সেই ব্যক্তি খুঁটির ওপরের পিতলের সাপটির দিকে তাকায় তাহলে সে ব্যক্তি মারা যাবে না।” 9 মোশি প্রভুর আদেশ পালন করলেন। তিনি একটি পিতলের সাপ তৈরী করে সেটিকে খুঁটির ওপরে রাখলেন। এরপর যখনই কোন মানুষকে সাপে দংশন করত, তখনই সে খুঁটির ওপরের পিতলের সাপটির দিকে তাকাতো আর বেঁচে যেতো।
মোয়াবের পথে ভ্রমণ
10 ইস্রায়েলের লোকরা ঐ জায়গা ছেড়ে ওবোতএ শিবির স্থাপন করল। 11 এরপর তারা ওবোত ত্যাগ করে মোয়াবের পূর্বদিকের মরুভূমিতে ইয় অবারীমে শিবির স্থাপন করল। 12 তারা সেই জায়গাও পরিত্যাগ করে সেরদ উপত্যকায় শিবির স্থাপন করল। 13 এরপর তারা সরে গিয়ে মরুভূমিতে অর্ণোন নদীর অপর পারে শিবির স্থাপন করল। এই নদীটি অম্মোনীয় সীমান্তে শুরু হয়েছিল। উপত্যকা হল মোয়াব এবং ইমোরীয়ের মধ্যে সীমারেখা। 14 এই কারণে এই কথাগুলো লেখা হয়েছে প্রভুর যুদ্ধ সংক্রান্ত পুস্তকে:
“এবং শূফাতে বাহেব, আর অর্ণোনের উপত্যকাগুলি 15 এবং উপত্যকাগুলির পাশের পর্বতমালা, যা আর শহরের দিকে চলে গেছে। এই জায়গাগুলি মোয়াবের সীমান্তে অবস্থিত।”
16 ইস্রায়েলের লোকরা সেই জায়গা ছেড়ে বেরের দিকে যাত্রা করল। এই জায়গাটিতে কুয়ো ছিল। এটিই সেই জায়গা যেখানে প্রভু মোশিকে বললেন, “সমস্ত লোকদের একত্রে এখানে নিয়ে এসো, আমি তাদের জল দেবো।” 17 তখন ইস্রায়েলের লোকরা এই গানটি গাইল:
“কুয়ো তুমি ঝর্ণা হয়ে ওঠো।
তোমরা এই নিয়ে গান ধরো।
18 মহান মানুষরা কুয়োটি খুঁড়েছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কুয়োটি খুঁড়েছিলেন।
তাঁদের নিজেদের দণ্ড আর হাঁটার লাঠি দিয়ে কুয়োটি খুঁড়েছিলেন।
কুয়োটি মরুভূমিতে একটি উপহার।”[a]
19 লোকরা মত্তানায় থেকে নহলীয়েল পর্যন্ত গেল। এরপর তারা নহলীয়েল থেকে বামোৎ পর্যন্ত গেল। 20 বামোৎ থেকে তারা মোয়াবের উপত্যকা পর্যন্ত গেল। এখানে পিস্গা পর্বতের চূড়া মরুভূমির ওপরে দেখা যায়।
সীহোন এবং ওগ
21 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের কাছে ইস্রায়েলের লোকরা কয়েকজন বার্তাবাহককে পাঠাল। সেই লোকরা রাজাকে বলল,
22 “আমাদের আপনার দেশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করার অনুমতি দিন। আমরা কোনো শস্য অথবা দ্রাক্ষার ক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাবো না। আমরা আপনার কোনো কুয়ো থেকে জল পান করবো না। আপনার দেশের সীমা অতিক্রম না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়া অন্য কোন রাস্তা দিয়েই যাবো না।”
23 কিন্তু রাজা সীহোন তাঁর দেশের মধ্য দিয়ে লোকদের যাওয়ার অনুমতি দিলেন না। রাজা তাঁর সৈন্যবাহিনীকে এক জায়গায় একত্রিত করে ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মরুভূমির দিকে অগ্রসর হলেন। রাজার সৈন্যরা যহস নামে একটি জায়গায় ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
24 কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা রাজাকে হত্যা করল। এরপর অর্ণোন নদী থেকে যব্বোক নদী পর্যন্ত জায়গা তারা অধিকার করল। ইস্রায়েলের লোকরা অম্মোন সীমানা পর্যন্ত অধিকার করল। অম্মোনীয়দের দ্বারা সীমানা খুবই শক্তভাবে সুরক্ষিত থাকার জন্য তারা সেই সীমানা পর্যন্ত গিয়ে থেমে গেল। 25 ইস্রায়েলের লোকরা ইমোরীয়দের সমস্ত শহরগুলোকে দখল করল এবং সেগুলিতে বসবাস করতে শুরু করল। উপরন্তু তারা হিষবোন শহর এবং তার আশেপাশের ছোটো ছোটো শহরগুলোকেও অধিকার করল। 26 ইমোরীয়দের রাজা সীহোন হিষ্বোন শহরেই বাস করতেন। অতীতে মোয়াবের রাজার সঙ্গে সীহোন যুদ্ধ করে অর্ণোন নদী পর্যন্ত সমস্ত জায়গা অধিকার করেছিল। 27 এই কারণেই গায়করা গেয়ে থাকেন:
“হিষ্বোনে যাও এবং হিষ্বোন শহরকে আবার তৈরী কর!
সীহোনের শহরটিকে শক্ত কর!
28 হিষ্বোনে এক আগুন শুরু হয়েছিল।
সেই আগুন সীহোনের শহরেও উদ্ভুত হয়েছিল।
মোয়াবের আর নামে শহরটি সেই আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল।
অর্ণোন নদীর ওপরের পর্বতটিকেও সেই আগুন পুড়িয়ে দিয়েছে।
29 মোয়াব, ধিক্ তোমাকে!
কমোশ দেবতার লোকরা, তোমরা হেরে গেছ!
তার ছেলেরা পালিয়ে গেল।
ইমোরীয়দের রাজা সীহোন তার কন্যাদের জেলে বন্দী করল।
30 কিন্তু আমরা সেই ইমোরীয়দের পরাজিত করলাম।
হিষ্বোন থেকে দীবোন পর্যন্ত, মেদবার কাছে নাশিম থেকে নোফঃ পর্যন্ত তাদের শহরগুলোকেও আমরা ধ্বংস করেছি।”
31 এই কারণে ইস্রায়েলের লোকরা ইমোরীয়দের দেশে তাদের শিবির স্থাপন করল।
32 মোশি যাসের শহরটিকে অনুসন্ধানের জন্য কয়েকজন গুপ্তচর পাঠালেন। তারপরে ইস্রায়েলের লোকরা এটিকে দখল করল। তারা শহরটির আশেপাশের ছোটোখাটো শহরগুলোকেও অধিকার করল। ইস্রায়েলের লোকরা সেখানে বসবাসকারী ইমোরীয়দের সেই জায়গা ত্যাগ করতে বাধ্য করল।
33 এরপর ইস্রায়েলের লোকরা বাশনের অভিমুখে সড়কপথে ভ্রমণ করল। বাশনের রাজা ওগ তাঁর সৈন্যদের সঙ্গে নিয়ে ইস্রায়েলের লোকদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য কুচকাওয়াজ করে অগ্রসর হলেন। ইদ্রিয়ী নামে একটি জায়গায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
34 কিন্তু প্রভু মোশিকে বললেন, “ঐ রাজা সম্পর্কে ভীত হয়ো না। আমি তার সমস্ত সৈন্য এবং তার সম্পূর্ণ দেশ তোমার হাতে তুলে দেব। ইমোরীয়দের রাজা সীহোন, যিনি হিষ্বোনে বাস করতেন তার সঙ্গে তুমি যা করেছিলে এই রাজার সঙ্গেও তুমি সেটাই করো।”
35 সুতরাং ইস্রায়েলের লোকরা ওগ এবং তাঁর সৈন্যদের পরাজিত করল। তারা তাঁকে তাঁর পুত্রদের এবং তাঁর সৈন্যদের হত্যা করল। এরপর ইস্রায়েলের লোকরা তাঁর দেশ অধিকার করল।
বিলিয়ম এবং মোয়াবের রাজা
22 এরপর ইস্রায়েলের লোকরা মোয়াবের যর্দন উপত্যকার দিকে এগোতে শুরু করল। যিরীহো থেকে অপরপারে যর্দন নদীর কাছে তারা শিবির স্থাপন করল।
2-3 ইমোরীয়দের লোকদের সঙ্গে ইস্রায়েলের লোকরা যা যা করেছিল, সিপ্পোরের পুত্র বালাক তার সমস্তটাই দেখেছিলেন। মোয়াবের রাজা খুবই ভয় পেয়েছিলেন, কারণ সেখানে ইস্রায়েলের লোকসংখ্যা ছিল প্রচুর। মোয়াব উদ্বিগ্ন হল।
4 মোয়াবের রাজা মিদিয়নের নেতাদের বললেন, “গরু যেভাবে মাঠের সমস্ত ঘাস খেয়ে ফেলে, ঠিক সেভাবেই এই বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছুই ধ্বংস করে দেবে।”
এই সময় সিপ্পোরের পুত্র বালাক মোয়াবের রাজা ছিলেন। 5 বিয়োরের পুত্র বিলিয়মকে ডাকার জন্য তিনি কয়েকজন লোক পাঠালেন। ফরাৎ নদীর কাছে পথোর নামে একটি জায়গায় বিলিয়ম ছিলেন। এইখানেই বিলিয়মের স্বজাতীয়রা বাস করতো। এই ছিল বালাকের বার্তা:
“মিশর থেকে এক নতুন জাতির লোকরা এসেছে। সেখানে তাদের সংখ্যা এতো বেশী যে সমস্ত দেশটা ভরে যাবে। তারা আমাদের পরেই শিবির স্থাপন করেছে। 6 আপনি এসে আমাকে সাহায্য করুন। এই লোকদের অভিশাপ দিন কারণ এরা আমার চেয়ে শক্তিশালী। আমি জানি আপনি যদি কোনো ব্যক্তিকে আশীর্বাদ করেন তাহলে সে আশীর্বাদ পায় এবং আপনি যদি কোনো ব্যক্তিকে অভিশাপ দেন তবে সে শাপগ্রস্ত হয়। সুতরাং আপনি আসুন এবং এই সমস্ত লোকদের অভিশাপ দিন। হতে পারে, আমি হয়তো তাদের আঘাত করে আমার দেশ থেকে দূর করে দিতে পারবো।”
7 মোয়াব এবং মিদিয়নের নেতারা বিলিয়মের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন। তার কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে তাঁদের সঙ্গে টাকা নিয়ে গেলেন এবং তাকে বালাকের প্রেরিত বার্তাটি বললেন।
8 বিলিয়ম তাঁদের বললেন, “এখানে এক রাত্রির জন্য থাকো। আমি প্রভুর সঙ্গে কথা বলবো এবং তিনি আমাকে যে উত্তর দেবেন তা আমি তোমাদের বলবো।” সুতরাং সেই রাত্রে মোয়াবের নেতারা বিলিয়মের সঙ্গেই সেখানে থাকলেন।
9 ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার সঙ্গের এই সমস্ত লোকরা কারা?”
10 বিলিয়ম ঈশ্বরকে বললেন, “মোয়াবের রাজা, সিপ্পোরের পুত্র বালাক আমাকে একটি সংবাদ দেওয়ার জন্য এদের পাঠিয়েছেন। 11 এই সেই বার্তা: মিশর থেকে এক নতুন জাতি এসেছে। সেখানে তাদের সংখ্যা এতো বেশী যে তারা সমস্ত দেশটাকে ভরে দেবে। সুতরাং আপনি আসুন এবং এই সমস্ত লোকদের অভিশাপ দিন। তাহলে হয়তো আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সক্ষম হবো এবং তাদের আমার দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারবো।”
12 কিন্তু ঈশ্বর বিলিয়মকে বললেন, “তুমি অবশ্যই এদের সঙ্গে যাবে না। ওসব লোকের বিরুদ্ধে তোমার কথা বলা উচিৎ হবে না কারণ তারা আমার আশীর্বাদ প্রাপ্ত লোক।”
13 পরদিন সকালে উঠে বিলিয়ম বালাকের প্রেরিত নেতাদের বললেন, “তোমরা তোমাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাও। প্রভু আমাকে তোমাদের সঙ্গে যেতে দেবেন না।”
14 সুতরাং মোয়াবের নেতারা বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে তাকে এইসব কথা জানালেন। তাঁরা বললেন, “বিলিয়ম, আমাদের সঙ্গে আসতে অস্বীকার করেছেন।”
15 সুতরাং বালাক বিলিয়মের কাছে প্রথমবারের থেকেও বেশী লোক পাঠালেন। প্রথমবার তিনি যাঁদের পাঠিয়েছিলেন তাঁদের থেকেও এবারের নেতারা ছিলেন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। 16 তাঁরা বিলিয়মের কাছে গিয়ে বললেন: “সিপ্পোরের পুত্র বালাক আপনাকে এই কথা বলেছেন: দয়া করে এখানে আসুন এবং কোন কিছুই যেন আমার কাছে আপনার আসা থামিয়ে না দেয়। 17 আমি আপনাকে প্রচুর পারিশ্রমিক দেবো এবং আপনি যা বলবেন আমি তাই-ই করব। আমার জন্যে আপনি আসুন এবং এসে এই লোকদের বিরুদ্ধে কথা বলুন।”
18 বিলিয়ম বালাকের প্রেরিত দূতকে তাঁর উত্তর জানিয়ে দিয়ে বললেন, “আমি আমার প্রভু ঈশ্বরকে অবশ্যই মান্য করবো। আমি তাঁর আদেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করতে পারি না। আমি বড় বা ছোট কোনো কাজই করবো না যদি না প্রভু আমাকে সেই কাজ করার অনুমতি দেন। রাজা বালাক যদি তাঁর রূপো এবং সোনা খচিত সুন্দর প্রাসাদটি আমাকে দিয়ে দেন তাহলেও আমি প্রভুর আদেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবো না। 19 কিন্তু তোমরা অন্যান্যদের মতোই আজকের রাত্রিটা এখানে থাকতে পারো। তাহলে এই রাত্রিকালের মধ্যেই প্রভু আমাকে যা বলতে চান তা জানতে পারবো।”
20 সেই রাত্রে ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এসে বললেন, “এই সমস্ত লোকরা তাদের সঙ্গে যাওয়ার কথা বলার জন্য পুনরায় এসেছে। সুতরাং তুমি তাদের সঙ্গে যেতে পারো। কিন্তু আমি তোমাকে যা করতে বলবো তুমি কেবলমাত্র সেই কাজই করবে।”
বিলিয়ম ও তাঁর গাধা
21 পরদিন সকালে বিলিয়ম উঠে তাঁর গাধা সাজিয়ে মোয়াবের নেতাদের সঙ্গে গেলেন। 22 বিলিয়ম তাঁর গাধায় চড়েই যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর দুজন ভৃত্য ছিল। কিন্তু বিলিয়মের গমনে ঈশ্বর ক্ষুব্ধ হলেন। তাই বিলিয়মের সামনে রাস্তার ওপরে প্রভুর দূত দাঁড়ালেন, যেন বিলিয়মের যাওয়া বন্ধ করা যায়।
23 বিলিয়মের গাধা প্রভুর দূতকে রাস্তায় তরবারি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। সেইজন্য গাধাটি রাস্তা থেকে সরে এসে মাঠের মধ্যে চলে গেল। বিলিয়ম কিন্তু দূতকে দেখতে পান নি। সেইজন্য তিনি তাঁর গাধাটার ওপরেই রেগে গিয়ে তাকে আঘাত করলেন এবং রাস্তার ওপরে ফিরে যেতে তাকে বাধ্য করলেন।
24 পরে প্রভুর দূত এমন এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন যেখানে রাস্তাটি আরও সরু হয়ে এসেছে। জায়গাটি ছিল দুটি দ্রাক্ষা ক্ষেতের মাঝখানে। সেখানে রাস্তার দুই ধারেই দেওয়াল ছিল। 25 গাধাটি আবার প্রভুর দূতকে দেখতে পেয়ে দেওয়ালের গা ঘেঁষে হাঁটল। তাতে বিলিয়মের পা দেওয়ালে আঘাত লেগে ছড়ে গেল। সেই জন্যে বিলিয়ম আবার তাঁর গাধাটিকে আঘাত করলেন।
26 পরে প্রভুর দূত আরেকটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন। এই খানে রাস্তাটি সরু হয়ে এসেছিল, ফলে এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখান দিয়ে গাধাটি তাঁকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারে। গাধাটি বাঁদিক অথবা ডানদিক, কোনো দিক দিয়েই পাশ কাটাতে পারল না। 27 গাধাটি প্রভুর দূতকে দেখে বিলিয়মকে তার পিঠের ওপরে নিয়েই শুয়ে পড়ল। তাতে বিলিয়ম গাধাটির ওপরে প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে তার হাঁটার লাঠিটি দিয়ে গাধাটিকে আঘাত করলেন।
28 তখন প্রভু গাধাটিকে দিয়ে কথা বলালেন। গাধাটি বিলিয়মকে বলল, “আপনি আমার ওপরে রেগে গিয়েছেন কেন? আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি যে এই নিয়ে আপনি আমাকে তিনবার আঘাত করলেন?”
29 বিলিয়ম গাধাটিকে বললেন, “তুমি আমাকে হাস্যস্পদ করে তুলেছ। যদি আমার হাতে একটি তরবারি থাকতো, তাহলে আমি এখনই তোমাকে হত্যা করতাম।”
30 কিন্তু গাধাটি বিলিয়মকে বলল, “আপনি সারা জীবন ধরে যার উপরে চড়ে ভ্রমণ করেছেন আমি কি আপনার সেই গাধা নই? আমি কি আপনার প্রতি এমন ব্যবহার করে থাকি?”
বিলিয়ম বললেন, “সেটা সত্য।”
31 তখন প্রভু বিলিয়মকে তাঁর দূতকে দেখতে দিলেন। প্রভুর দূত হাতে একটি তরবারি নিয়ে রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়েছিলেন। বিলিয়ম মাটিতে নতজানু হয়ে অভিবাদন জানালেন।
32 তখন প্রভুর দূত বিলিয়মকে প্রশ্ন করল, “তুমি তোমার গাধাকে তিনবার আঘাত করেছো কেন? আমিই এসেছিলাম তোমাকে থামাতে। কিন্তু ঠিক সময়ে 33 তোমার গাধা আমাকে দেখতে পেয়ে তিনবার আমার কাছ থেকে সরে গিয়েছিল। যদি গাধাটি সরে না যেতো, তাহলে আমি হয়তো এতক্ষণে তোমাকে হত্যা করতাম, কিন্তু তোমার গাধাকে বাঁচিয়ে রাখতাম।”
34 তখন বিলিয়ম প্রভুর দূতকে বললেন, “আমি পাপ করেছি। আমি জানতাম না যে আপনি আমার গতিরোধ করার জন্য রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়েছিলেন। আমার ওখানে যাওয়াতে আপনি যদি খুশী না হন, তাহলে আমি ঘরে ফিরে যাবো।”
35 তখন প্রভুর দূত বিলিয়মকে বললেন, “না! তুমি এই লোকদের সঙ্গে যেতে পারো। কিন্তু সাবধান, আমি তোমাকে যা বলতে বলবো তুমি কেবল তাই বলবে।” সুতরাং বালাকের প্রেরিত নেতাদের সঙ্গে বিলিয়ম চলে গেলেন।
36 বালাক শুনেছিলেন যে বিলিয়ম আসছেন। তাই অর্ণোন নদীর কাছে মোয়াবের শহরে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য বালাক চলে গেলেন। জায়গাটি ছিল তাঁর দেশের উত্তর সীমানায়। 37 বালাক বিলিয়মকে দেখতে পেয়ে বললেন, “আমি আগেই আপনাকে আসতে বলেছিলাম। বলেছিলাম, এটি খুবই জরুরী, কিন্তু আপনি আমার কাছে কেন আসেন নি? আপনাকে পারিশ্রমিক দেওয়ার সামর্থ্য কি আমার নেই?”
38 বিলিয়ম উত্তর দিলেন, “দেখুন আমি এখন এখানে। আমি এসেছি কিন্তু আপনি যা বলেছেন সেটা করতে আমি সক্ষম নাও হতে পারি। প্রভু ঈশ্বর আমাকে যা বলতে বলবেন, আমি কেবলমাত্র সে কথাই বলতে পারবো।”
39 তখন বিলিয়ম বালাকের সঙ্গে কিরিয়ৎ-হুষোতে গেলেন। 40 বালাক কিছু গবাদি পশু এবং মেষ বলিদান করে সেই মাংসের কিছুটা বিলিয়মকে এবং তার সঙ্গী নেতাদের দিলেন।
41 পরদিন সকালে বালাক বিলিয়মকে নিয়ে ব্যামোথ বালে গেলে সেখান থেকে তাঁরা ইস্রায়েলীয়দের শিবিরের কিছুটা দেখতে পেলেন।
ঈশ্বরের নিয়ম এবং মানুষের চিরাচরিত প্রথা
(মথি 15:1-20)
7 কয়েকজন ফরীশী ও ব্যবস্থার শিক্ষক জেরুশালেম থেকে যীশুর কাছে এলেন। 2 তাঁরা দেখলেন যে, তাঁর কয়েকজন শিষ্য হাত না ধুয়ে খাবার খাচ্ছেন। 3 ফরীশী সম্প্রদায়ের লোকেরা এবং সমস্ত ইহুদীরা প্রাচীন রীতি অনুসারে ভাল করে হাত না ধুয়ে খাবার খেতো না। 4 আর বাজার থেকে কোন কিছু কিনলে তা বিশেষভাবে না ধুয়ে খেতো না। আরও বহু প্রাচীন রীতি নীতি তারা মেনে চলত, যেমন পানপাত্রটি, কলসী ও পিতলের নানা পাত্র ধোওয়া ইত্যাদি।
5 সেই ফরীশীরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনার শিষ্যরা প্রাচীন রীতিনীতি অনুসারে চলে না, তারা হাত না ধুয়ে তাদের খাবার খায়, এর কারণ কি?”
6 যীশু তাঁদের বললেন, “ভণ্ডরা, ভাববাদী যিশাইয় তোমাদের বিষয়ে ঠিকই বলেছেন, যেমন লেখা আছে,
‘এই লোকেরা মুখেই শুধু আমাকে সম্মান করে,
কিন্তু তাদের মন আমার থেকে অনেক দূরে থাকে।
7 এরা অনর্থক আমার উপাসনা করে।
কারণ এরা মানুষের তৈরী রীতি-নীতি ঈশ্বরের আদেশ বলে লোকদের শিক্ষা দেয়।’(A)
8 তোমরা ঈশ্বরের আদেশ অমান্য করে মানুষের প্রচলিত প্রথা পালন করে থাকো।”
9 যীশু তাদের আরো বললেন, “তোমরা নিজেদের ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য খুব বুদ্ধি খাটিয়ে ঈশ্বরের আদেশ অমান্য করছ। 10 মোশি বলেছেন, ‘তুমি নিজের বাবা, মাকে সম্মান করো,’(B) আর ‘যে লোকটি বাবা কিংবা মায়ের নিন্দা করবে তার মৃত্যুদণ্ড হবে।’(C) 11 কিন্তু তোমরা বল লোকটি যদি তার বাবা-মাকে বলে, ‘আমি যা কিছু দিয়ে তোমাদের উপকার করতে পারতাম, তা ঈশ্বরকে উৎসর্গ করেছি,’ 12 তখন এমন লোককে তোমরা বাবা বা মায়ের জন্য কিছুই করতে দাও না। 13 ঈশ্বরের বাক্য তোমাদের বংশানুক্রমে পালন করা ঐতিহ্য দ্বারা তোমরা নিষ্ফল কর।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International