Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
লেবীয় 11-12

মাংস খাওয়ার নিয়মাবলী

11 প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: এই সমস্ত জন্তু তোমরা আহার করতে পারো: যে সব জন্তুর পায়ের খুর দুভাগে ভাগ করা, সেইসব জন্তু যদি জাবর কাটে তা হলে তোমরা সেই জন্তুর মাংস খেতে পারো।

4-6 “কিছু জন্তু আবার জাবর কাটে কিন্তু তাদের পায়ের খুর দু’ভাগ করা নয়, তোমরা সে সব জন্তু খাবে না। উট, পাহাড়ের শাফন এবং খরগোশ হল সেই রকম। তাই তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি। অন্য কিছু জন্তুদের পায়ের খুর দু’ভাগ করা, কিন্তু তারা জাবর কাটে না, ঐসব জন্তু খাবে না। শূকর সেই ধরণের, সুতরাং তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি। ঐসব প্রাণীর মাংস খাবে না। এমনকি তাদের মৃত দেহও স্পর্শ করবে না, তা তোমাদের পক্ষে অশুচি।

সামুদ্রিক খাদ্য বিষয়ে নিয়মাবলী

“যদি কোন প্রাণী সমুদ্রে বা নদীতে বাস করে এবং যদি প্রাণীটির পাখনা ও আঁশ থাকে, তাহলে তোমরা সেই প্রাণী খেতে পারো। 10-11 কিন্তু সমুদ্রে বা নদীতে বাস করে এমন কোন প্রাণীর যদি ডানা ও আঁশ না থাকে তাহলে সেই প্রাণী তোমরা অবশ্যই খাবে না। এই ধরণের প্রাণী আহারের পক্ষে অনুপযুক্ত। সেই প্রাণীর মাংস তোমরা খাবে না, এমন কি তার মৃত শরীরও স্পর্শ করবে না। 12 জলচর যে কোন প্রাণী যার পাখনা এবং আঁশ নেই, তাকে প্রভু আহারের জন্য অনুপযুক্ত বলেছেন বলেই মনে করেন।

অখাদ্য পক্ষীসমুহ

13 “ঈশ্বর যে সব পাখী খাওয়ার পক্ষে অনুপযুক্ত বলেছেন, তোমরা অবশ্যই সেইসব পাখীদের অখাদ্য বলে গণ্য করবে। এই পাখীগুলি তোমরা খাবে না: ঈগল, শকুনি, শিকারী পাখী, 14 চিল এবং সব ধরণের বাজ পাখী। 15 সমস্ত জাতের কালো পাখী, 16 উট পাখী, রাতের বাজ পাখী, শঙ্খচিল, সব জাতের শ্যেন পাখী, 17 পেঁচা, লিপ্তপদ সামুদ্রিক পাখী, বড় পেঁচা, 18 হংসী, জলচর প্যানিভেলা, শবভূক শকুনি, 19 সারস, সমস্ত জাতের সারস, ঝুঁটিওয়ালা পাখী এবং বাদুড়।

পতঙ্গাদি ভক্ষণ সম্পর্কে নিয়মাবলী

20 “বুকে হাঁটা ক্ষুদ্র কোন প্রাণীর যদি ডানা থাকে, তাহলে সেগুলিকে তোমরা খাবে না কারণ প্রভু তা নিষেধ করেছেন। ঐ সমস্ত পোকামাকড় খেও না। 21 কিন্তু তোমরা সেইসব পোকামাকড় খেতে পার যারা সন্ধিপদ এবং লাফাতে পারে। 22 সমস্ত রকম পঙ্গপাল, সমস্ত রকমের ডানাওযালা পঙ্গপাল, সমস্ত রকমের ঝিঁঝি পোকা আর সব জাতের গঙ্গা ফড়িং তোমরা খেতে পারো।

23 “কিন্তু অন্য আর সব ক্ষুদ্র প্রাণী যাদের ডানা আছে কিন্তু বুকে হেঁটে চলে, তোমরা অবশ্যই সেসব খাবে না, কারণ প্রভু তা নিষিদ্ধ করেছেন। 24 সেই সমস্ত ক্ষুদ্র প্রাণীরা তোমাদের অশুচি করবে। যে তাদের মৃত দেহ স্পর্শ করবে, সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। 25 যদি কোন ব্যক্তি সেই মৃত পোকামাকড়দের স্পর্শ করে, তাহলে সে অবশ্যই তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সে অশুচি হয়ে থাকবে।

প্রাণীদের সম্পর্কে আরও নিয়মাবলী

26-27 “কিছু প্রাণীর পায়ের খুর দুভাগে ভাগ করা কিন্তু খুরগুলি সত্যিকারের দুটি অংশ নয়। আবার তারা জাবর কাটে না, এসব প্রাণী তোমাদের পক্ষে অশুচি। যে কোন ব্যক্তি তাদের স্পর্শ করলে অশুচি হবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সেই ব্যক্তিটি অশুচি থাকবে। 28 যদি কোন ব্যক্তি তাদের মৃত দেহ সরায়, সে অবশ্যই তার পোশাক-পরিচ্ছদ ধুয়ে নেবে। সেই মানুষটি সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত অশুচি থাকবে। ঐ সমস্ত প্রাণী তোমাদের কাছে অশুচি।

বুকে হাঁটা প্রাণীদের সম্পর্কে নিয়মাবলী

29 “এই সমস্ত বুকে হাঁটা প্রাণীরা তোমাদের কাছে অশুচি: ছুঁচো, ইঁদুর সমস্ত জাতের বড় টিকটিকি। 30 গোসাপ, কুমির, টিকটিকি, বালির সরীসৃপ এবং গিরগিটি। 31 ঐ সমস্ত বুকে হাঁটা প্রাণীরা তোমাদের কাছে অশুচি। কোন মানুষ তাদের মৃতদেহ স্পর্শ করলে সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে।

অশুচি প্রাণীদের সম্পর্কে নিয়মাবলী

32 “যদি ঐ সমস্ত অশুচি প্রাণীদের কোন একটা মরে কোন কিছুর ওপর পড়ে, তাহলে সেই জিনিসটিও অশুচি হবে। সেই জিনিসটি কাঠের তৈরী কোন পাত্র, কাপড়, চামড়া, শোকের পোশাক দিয়ে তৈরী কাজের কোন হাতিয়ার হতে পারে। এটা যাইহোক্ তা অবশ্যই জলে ধুতে হবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত তা অশুচি থাকবে। তারপর তা আবার শুচি হবে। 33 যদি ঐ সমস্ত অশুচি প্রাণীদের কোন একটা মারা যায় এবং মাটির তৈরী পাত্রের ওপর পড়ে, তাহলে পাত্রের ভেতরের যে কোনো জিনিস অশুচি হয়ে যাবে এবং তোমরা অবশ্যই পাত্রটাকে ভেঙ্গে ফেলবে। 34 যদি অশুচি মাটির পাত্রের জল কোন খাদ্যের ওপর পড়ে, তাহলে সেই খাবার অশুচি হবে। অশুচি পাত্রের যে কোন পানীয় অশুচি। 35 যদি মৃত অশুচি প্রাণীর কোন অঙ্গ কোন কিছুর ওপর পড়ে, তাহলে সেই জিনিসটা অশুচি হবে। এটা মাটির উনুন অথবা রুটি সেঁকার মাটির পাত্র হলে তা অবশ্যই ভেঙ্গে টুকরো করে ফেলতে হবে। সেই সমস্ত জিনিস আর শুচি করা যাবে না। সেগুলি তোমাদের কাছে সবসময়েই অশুচি।

36 “কোন ঝর্ণা বা জল জমে এমন কোন কূপ শুচি থাকলেও যে মানুষ কোন অশুচি প্রাণীর দেহ স্পর্শ করে সে অশুচি হয়ে যাবে। 37 যদি মৃত অশুদ্ধ প্রাণীদের কোনো অংশ বপন করার কোন বীজের ওপর পড়ে, তাহলে সেই বীজ তখনও শুচিই থাকবে। 38 কিন্তু তোমরা যদি বীজের ওপর জল ঢালো এবং তারপর যদি অশুচি প্রাণীদের কোন অঙ্গ ঐসব বীজের ওপর পড়ে তা হলে তোমাদের পক্ষে ঐ সমস্ত বীজ অশুচি। 39 তাছাড়া তুমি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করো এমন কোন প্রাণী যদি মারা যায়, তাহলে যে তার মৃত শরীর স্পর্শ করবে, সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সে অশুচি রইবে। 40 এবং যে এই প্রাণীদেহ থেকে মাংস খাবে তাকে অবশ্যই তার কাপড় চোপড় ধুতে হবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যক্তিটি অশুচি থেকে যাবে। যে ব্যক্তি প্রাণীটির মৃতদেহ তোলে তাকে অবশ্যই তার পোশাক-পরিচ্ছদ ধুতে হবে এবং সেই লোকটি সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত অশুচি থাকবে।

41 “যে সব প্রাণী মাটির ওপর বুকে হেঁটে যায়, সেইসব প্রাণীদের তোমরা আহার করবে না। তোমরা সে প্রাণী অবশ্যই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবে না। 42 পেটের ওপর ভর দিয়ে হাঁটা অথবা চার পা দিয়ে হাঁটা সরীসৃপ বা যে সমস্ত প্রাণীর অনেকগুলো পা তাদের অবশ্যই আহার করবে না। 43 ঐ সমস্ত প্রাণী তোমাদের যেন নোংরা না করে। তোমরা অশুচি হয়ো না, 44 কারণ আমিই তোমাদের প্রভু ঈশ্বর! আমি পবিত্র, তাই তোমরাও তোমাদের নিজেদের পবিত্র রেখো। ঐ সমস্ত বুকে হাঁটা প্রাণীদের সংস্পর্শে নিজেদের অশুচি করো না। 45 আমি তোমাদের মিশর থেকে এনেছি যাতে তোমরা আমার বিশিষ্ট লোকজন হতে পারো এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর হতে পারি। আমি পবিত্র তাই তোমরাও অবশ্যই পবিত্র হবে।”

46 এই সমস্ত নিয়মাবলী পশু, পাখী, সমুদ্রের সমস্ত প্রাণী এবং মাটির ওপর বুকে হাঁটা সমস্ত প্রাণীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 47 ঐ সমস্ত উপদেশ সাধারণ মানুষকে শুচি প্রাণীদের থেকে অশুচি প্রাণীদের আলাদা করতে সাহায্য করবে যেন তারা জানতে পারে কোন প্রাণীদের আহার করা এবং কোন প্রাণীদের আহার না করা উচিৎ‌।

নতুন মায়েদের জন্য নিয়মাবলী

12 প্রভু মোশিকে বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: যদি একজন স্ত্রীলোক একটি শিশু পুত্রের জন্ম দেয়, তাহলে সেই স্ত্রীলোকটি সাতদিন ধরে অশুচি থাকবে। তার মাসিকের রক্ত পাতের অশুচি সময়ের মতই হবে এই অশুচিতা। অষ্টম দিনে অবশ্যই শিশু পুত্রটিকে সুন্নত করতে হবে। তারপর তার রক্তক্ষয় থেকে সে শুচি হবে 33 দিন পর। যা কিছু পবিত্র অবশ্যই তার কোনো কিছুই সে স্পর্শ করতে পারবে না। যতক্ষণ না তার শুচিকরণ শেষ হচ্ছে, সে অবশ্যই কোন পবিত্র স্থানে ঢুকতে পাবে না। কিন্তু যদি স্ত্রীলোকটি এক শিশুকন্যার জন্ম দেয়, তাহলে তার মাসিক সময়ের রক্তপাতের মতই দু সপ্তাহ ধরে সে অশুচি থাকবে। তার রক্তক্ষয় থেকে 66 দিন পর্যন্ত কাটিয়ে সে শুচি হবে।

“শুচিকরণের সময় শেষ হলে একটি শিশু কন্যা বা পুত্রের নতুন প্রসূতি, সমাগম তাঁবুতে অবশ্যই বিশেষ ধরণের উৎসর্গ আনবে। সে সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে যাজককে অবশ্যই ঐসব উৎসর্গ বস্তুগুলি দেবে। দগ্ধ নৈবেদ্যর জন্য আনতে হবে এক বছর বয়সী মেষশাবক এবং একটি ঘুঘু পাখী বা বাচ্চা পায়রা আনবে পাপ মোচনের নৈবেদ্যর জন্য। 7-8 যদি স্ত্রীলোকটি একটি মেষ দিতে অক্ষম হয় তবে সে দুটি ঘুঘু বা দুটি বাচ্চা পায়রা আনতে পারে। একটি পাখী হবে হোমবলির জন্য নির্দিষ্ট আর একটি পাপ মোচনের নৈবেদ্যর জন্য। যাজক ঐ সমস্ত নৈবেদ্য প্রভুর কাছে নিবেদন করে তাকে পাপমুক্ত করবে। এবং সে তার রক্তক্ষয়ের থেকে শুচি হবে। এগুলি হল একজন নারীর জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী, যে নারী একটি শিশু পুত্র বা এক শিশু কন্যার জন্ম দেবে।”

মথি 26:1-25

ইহুদী নেতারা যীশুকে হত্যার চক্রান্ত করলেন

(মার্ক 14:1-2; লূক 22:1-2; যোহন 11:45-53)

26 এইসব কথা শেষ করে যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “তোমরা জানো, আর দুদিন পরই নিস্তারপর্ব শুরু হবে, তখন মানবপুত্রকে ক্রুশে দেবার জন্য শত্রুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”

সেই সময় মহাযাজক কায়াফার বাড়ির উঠানে প্রধান যাজকরা ও ইহুদী নেতারা এসে ষড়যন্ত্র করতে বসল, যেন তারা যীশুকে গ্রেপ্তার করতে পারে ও তাঁকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করতে পারে। তারা বলল, “আমরা নিস্তারপর্বের সময় একাজ করব না, তাতে লোকদের মধ্যে হয়তো গণ্ডগোল বাধতে পারে।”

একটি স্ত্রীলোক বিশেষ এক কাজ করলেন

(মার্ক 14:3-9; যোহন 12:1-8)

যীশু যখন বৈথনিয়ায় কুষ্ঠরোগী শিমোনের বাড়িতে ছিলেন সেই সময় একজন স্ত্রীলোক যীশুর কাছে এল। তার কাছে শ্বেতপাথরের[a] বোতলে খুব দামী সুগন্ধি ছিল। যীশু যখন সেখানে খেতে বসেছিলেন, তখন সে ঐ আতর যীশুর মাথায় ঢেলে দিল।

তাই দেখে তাঁর শিষ্যরা রেগে গেলেন, তাঁরা বললেন, “এভাবে অপচয় করা হচ্ছে কেন? এটা তো অনেক টাকায় বিক্রি করা যেত, আর সেই টাকা গরীবদের দেওয়া যেত।”

10 তারা যা বলাবলি করছিল, যীশু তা জানতে পেরে তাদের বললেন, “তোমরা এই স্ত্রীলোককে কেন দুঃখ দিচ্ছ? ও তো আমার প্রতি ভাল কাজই করল। 11 কারণ গরীবরা তোমাদের সঙ্গে সব সময়ই থাকবে।[b] কিন্তু তোমরা আমায় সব সময় পাবে না। 12 আমার দেহের ওপর আতর ঢেলে দিয়ে সে তো আমাকে সমাধিতে রাখার উপযোগী কাজই করল। 13 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সারা জগতে যেখানেই এই সুসমাচার প্রচার করা হবে, সেখানেই এর এই কাজের কথা বলা হবে।”

যিহূদা যীশুর শত্রু

(মার্ক 14:10-11; লূক 22:3-6)

14 তখন বারো জন শিষ্যর মধ্যে একজন, যার নাম যিহূদা ঈষ্করিয়োতীয়, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে বলল, 15 “আমি যদি তাঁকে আপনাদের হাতে ধরিয়ে দিই, তবে আপনারা আমায় কি দেবেন বলুন?” তারা তাকে গুনে গুনে ত্রিশটা রূপোর টাকা দিল। 16 সেই মুহূর্ত্ত থেকেই যিহূদা তাঁকে ধরিয়ে দেবার সুযোগ খুঁজতে লাগল।

যীশু নিস্তারপর্বের ভোজ খেলেন

(মার্ক 14:12-21; লূক 22:7-14, 21-23; যোহন 13:21-30)

17 খামিরবিহীন রুটির পর্বের প্রথম দিনে যীশুর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “আপনার জন্য আমরা কোথায় নিস্তারপর্বের ভোজের আয়োজন করব? আপনি কি চান?”

18 যীশু বললেন, “তোমরা ঐ গ্রামে আমার পরিচিত একজনের কাছে যাও, তাকে গিয়ে বল, ‘গুরু বলেছেন, আমার নির্ধারিত সময় কাছে এসে গেছে, আমি আমার শিষ্যদের সঙ্গে তোমার বাড়িতে নিস্তারপর্ব পালন করব।’” 19 তখন শিষ্যরা যীশুর কথামতো কাজ করলেন, তারা সেখানে নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।

20 সন্ধ্যা হলে পর যীশু সেই বারো জন শিষ্যের সঙ্গে নিস্তারপর্বের ভোজ খেতে বসলেন। 21 তাঁরা যখন খাচ্ছেন সেই সময় যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে শত্রুর হাতে তুলে দেবে।”

22 এতে শিষ্যরা খুবই দুঃখ পেয়ে এক একজন করে যীশুকে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, “প্রভু, সে কি আমি?”

23 তখন যীশু বললেন, “যে আমার সঙ্গে বাটিতে হাত ডোবালো, সেই আমাকে শত্রুর হাতে সঁপে দেবে। 24 মানবপুত্রের বিষয়ে শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে, সেই ভাবেই তাঁকে যেতে হবে। কিন্তু ধিক্ সেই লোক, যে মানবপুত্রকে ধরিয়ে দেবে। সেই লোকের জন্ম না হওয়াই তার পক্ষে ভাল ছিল।”

25 যে যীশুকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দিতে যাচ্ছিল, সেই যিহূদা বলল, “গুরু সে নিশ্চয়ই আমি নই?”

যীশু তাকে বললেন, “তুমি নিজেই তো একথা বলছ।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International