Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
লেবীয় 6-7

অন্যান্য পাপের জন্য দোষার্থক নৈবেদ্যসমূহ

প্রভু মোশিকে বললেন, “একজন মানুষ হয়তো এইসব পাপের মধ্যে কোন একটা করে প্রভুর বিরুদ্ধাচরণ করতে পারে। কারোর কোন বিষয় দেখাশোনা করার সময় সে ব্যাপারে কি ঘটেছে সে সম্বন্ধে মিথ্যা কথা বলতে পারে, সে কিছু চুরি করতে পারে অথবা কাউকে ঠকাতে পারে। অন্যের হারিয়ে যাওয়া জিনিস পেয়ে মিথ্যে বলতে পারে, অথবা তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ নাও করতে পারে। অথবা কোন মানুষ অন্য কোন রকমের অন্যায় করতে পারে। কিন্তু সে এই ধরণের কোন কাজ করলে পাপের দোষে দোষী হবে, সুতরাং সে যা কিছু চুরি করেছিল, সে অন্যকে ঠকিয়ে যা কিছু নিয়েছিল তা সে অবশ্যই ফিরিয়ে দেবে। অথবা অন্য লোকরা তাকে যা কিছু তত্ত্বাবধান করার জন্য দিয়েছিল অথবা যেসব জিনিস সে পেয়েও মিথ্যে বলেছিল, সব কিছু সে অবশ্যই ফিরিয়ে দেবে। সে যা কিছু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার পুরো দাম দেবে এবং তারপর সে অতিরিক্ত জিনিসটির এক পঞ্চমাংশের মত দামও অবশ্যই ফেরৎ‌ দেবে। সে প্রকৃত অধিকারীর কাছেই সেই অর্থ দেবে। যেদিন সে তার দোষার্থক বলি নিয়ে আসবে সেদিন সে এই কাজটি করবে। ঐ মানুষটি অবশ্যই যাজকের কাছে দোষার্থক বলি নিয়ে আসবে। তা অবশ্যই হবে মেষের দল থেকে আনা একটা পুরুষ মেষ। সেই পুরুষ মেষের মধ্যে যেন কোন খুঁত না থাকে। যাজক যা বলবে এর দাম হবে তাই। এটা হবে প্রভুর কাছে প্রদত্ত এক দোষার্থক বলি। এরপর যাজক প্রভুর কাছে যাবে এবং লোকটির পাপ মোচনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করবে এবং প্রভু লোকটির সমস্ত কাজ ক্ষমা করে দেবেন যেগুলির জন্য সে দায়ী ছিল।”

হোমবলি

প্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণ এবং তার পুত্রদের এই নির্দেশ দাও: এটা হল হোমবলির নিয়ম। বেদীর অগ্নিকুণ্ডের ওপর সকাল না হওয়া পর্যন্ত হোমবলি সারা রাত ধরে থাকবে। বেদীর আগুন অবশ্যই একটানা বেদীটির ওপরে জ্বলতে থাকবে। 10 যাজক অবশ্যই মসীনার অন্তর্বাস পরবে এবং তার উপর পরবে মসীনা বস্ত্রের পোশাক। বেদীর ওপর আগুনে দগ্ধ যে নৈবেদ্যসমূহ ছাই হয়ে যাবে যাজক সেই পরিত্যক্ত ছাই তুলে নিয়ে সেই সমস্ত ছাই বেদীর পাশে রাখবে। 11 এরপর যাজক এই পোশাক ছেড়ে অন্য পোশাক পরবে, তারপর সে তাঁবুর বাইরে অন্য এক বিশেষ জায়গায় ছাইগুলিকে নিয়ে যাবে। 12 কিন্তু বেদীর আগুন অবশ্যই বেদীর ওপর জ্বলতে থাকবে। তাকে কোন মতেই নিভিয়ে দেওয়া চলবে না। যাজক প্রতিদিন সকালে বেদীর ওপরে কাঠ দিয়ে জ্বালাবে। সে বেদীর ওপরে কাঠ সাজিয়ে মঙ্গল নৈবেদ্য সমূহের চর্বি অবশ্যই পোড়াবে। 13 বেদীর ওপর আগুন অবিরাম জ্বলতে থাকবে, তা যেন কোন মতেই না নিভে যায়।

শস্য নৈবেদ্যসমূহ

14 “এটা হল শস্য নৈবেদ্য দানের নিয়ম: বেদীর সামনে প্রভুর কাছে হারোণের পুত্ররা এই নৈবেদ্য অবশ্যই আনবে। 15 শস্য নৈবেদ্য সমূহের মধ্য থেকে যাজক এক মুঠো ভর্ত্তি গুঁড়ো ময়দা নেবে। সেই শস্য নৈবেদ্যর সাথে যেন তেল এবং সুগন্ধী নিশ্চিতভাবে থাকে। যাজক বেদীর ওপর শস্য নৈবেদ্যকে পোড়াবে। এটা হবে প্রভুর প্রতি এক স্মরনার্থক নৈবেদ্য, এর গন্ধ প্রভুকে খুশী করবে।

16 “শস্য নৈবেদ্যর অবশিষ্ট যা পড়ে থাকবে হারোণ এবং তার পুত্ররা অবশ্যই তা খাবে। খামির না দিয়ে তৈরী এক ধরণের রুটিই হল শস্য নৈবেদ্য। কোনো পবিত্র স্থানে যাজকরা অবশ্যই এই রুটি খাবে; সমাগম তাঁবুর প্রাঙ্গণের মধ্যেই এটা খাবে। 17 শস্য নৈবেদ্যটি যেন কখনই খামির দিয়ে তৈরী করা না হয়। আগুন দিয়ে তৈরী আমাকে দেওয়া নৈবেদ্যসমূহ আমি যাজকদের অংশ হিসেবে দিয়েছি। এটা অত্যন্ত পবিত্র, দান করা পাপ নৈবেদ্য এবং দোষ নৈবেদ্যর মত। 18 হারোণের সমস্ত সন্তানদের মধ্যে প্রত্যেকটি পুরুষ সন্তান আগুনে প্রস্তুত প্রভুর প্রতি নিবেদিত নৈবেদ্যসমূহ খেতে পারে। এটা তোমাদের বংশপরম্পরাভাবে চিরকালের নিয়ম। এই সমস্ত নৈবেদ্য স্পর্শের দ্বারাই সেই সব মানুষদের পবিত্রতা আনে।”

যাজকদের শস্য নৈবেদ্য

19 প্রভু মোশিকে বললেন, 20 “হারোণ আর তার পুত্রদের আমার কাছে এইসব নৈবেদ্য আনতে হবে। যেদিন তারা হারোণকে প্রধান যাজক বলে অভিষিক্ত করবে, সেদিনই তারা এটা করবে। শস্য নৈবেদ্যর জন্য তারা অবশ্যই 8 কাপ গুঁড়ো ময়দা আনবে। (প্রতিদিনের নৈবেদ্য দানের সময়েই এটা দেওয়া হবে।) তারা এর অর্ধেক আনবে সকালে, বাকি অর্ধেক আনবে সন্ধ্যার সময়। 21 গুঁড়ো ময়দার সঙ্গে তেল মেশানো হবে এবং সেঁকার পাত্রে তাকে সেঁকা হবে। তৈরী হয়ে গেলে তুমি অবশ্যই তা ভেতরে আনবে। তুমি নৈবেদ্যটিকে টুকরো টুকরো করে ভাঙ্গবে। এর গন্ধ প্রভুকে খুশী করবে।

22 “হারোণের স্থানে বসার জন্য হারোণের উত্তরপুরুষদের থেকে অভিষিক্ত যাজক এই শস্য নৈবেদ্য অবশ্যই প্রভুর কাছে আনবে। এ নিয়ম চিরকাল ধরে চলবে। প্রভুর জন্য শস্য নৈবেদ্য অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে অগ্নিদগ্ধ করতে হবে। 23 যাজকের প্রত্যেকটি শস্য নৈবেদ্য অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে পোড়াতে হবে। তা কোন মতেই আহার করা চলবে না।”

পাপবলির নিয়ম

24 প্রভু মোশিকে বললেন, 25 “হারোণ ও তার পুত্রদের বলো: এই হল পাপ নৈবেদ্য দানের নিয়ম। যেখানে প্রভুর সামনে হোমবলির বলি হত্যা করা হয়েছিল, সেখানেই পাপ নৈবেদ্যর বলিকেও হত্যা করতে হবে। এটা অত্যন্ত পবিত্র। 26 যে যাজক পাপ নৈবেদ্য উৎসর্গ করছে সে অবশ্যই সেটা খাবে; কিন্তু সে এটা একটা পবিত্র জায়গায় খাবে-জায়গাটা যেন সমাগম তাঁবুর চারপাশের উঠানের মধ্যে হয়। 27 পাপ নৈবেদ্যর মাংস স্পর্শেই একজন মানুষ বা কোন বিষয় পবিত্র হয়ে ওঠে।

“যদি ছিটানো রক্তের একটুও কোন মানুষের কাপড়ের ওপর পড়ে তখন অবশ্যই কোন পবিত্র স্থানে যেন সেই কাপড় কাচা হয়। 28 মাটির পাত্রে যদি পাপ নৈবেদ্যকে সিদ্ধ করা হয়, তাহলে পাত্রটাকে অবশ্যই ভেঙ্গে ফেলতে হবে। যদি পাপ নৈবেদ্যকে পিতলের তৈরী পাত্রে ফোটানো হয়, তাহলে পাত্রটিকে অবশ্যই মাজতে হবে এবং পরে জলে ধুয়ে নিতে হবে।

29 “যাজক পরিবারের যে কোন পুরুষ পাপ মোচনের নৈবেদ্য খেতে পারবে; এটা খুবই পবিত্র। 30 কিন্তু যদি পাপ মোচনের নৈবেদ্যর রক্ত সমাগম তাঁবুর মধ্যে আনা হয় এবং সেই পবিত্র স্থানে লোকদের শুচি করার জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেই পাপ মোচনের নৈবেদ্য আগুনে পুড়িয়ে নিতে হবে। যাজকরা সেই পাপ নৈবেদ্য অবশ্যই খাবে না।

দোষার্থক বলি

“দোষ মোচনের বলি উৎসর্গের এগুলি হল নিয়ম: এ অত্যন্ত পবিত্র। একজন যাজক দোষ মোচনের বলি অবশ্যই সেই জায়গায় হত্যা করবে যেখানে হোমের বলি হত্যা করা হয়, তারপর দোষ মোচনের বলির রক্ত বেদীর সবদিকে ছিটিয়ে দেবে।

“যাজক দোষ মোচনের বলির সমস্ত মেদ অবশ্যই উৎসর্গ করবে, মেদসহ লেজ এবং ভিতর অংশের ওপর ছড়িয়ে থাকা মেদ উৎসর্গ করবে। যাজক নৈবেদ্যর দুটি বৃক্ক এবং যে চর্বি কটিদেশের নীচে তাদের ঢেকে রাখে তা উৎসর্গ করবে, যকৃতের মেদ অংশও নৈবেদ্য হিসাবে দেবে। মুত্রগ্রন্থিগুলির সঙ্গে সে তা ছাড়িয়ে আনবে। ঐ সমস্ত জিনিস যাজক বেদীর ওপর পোড়াবে। এ হবে প্রভুর প্রতি আগুনে প্রস্তুত এক নৈবেদ্য। এটা হল এক দোষ মোচনের নৈবেদ্য।

“যাজকের পরিবারের যে কোন পুরুষ দোষ মোচনের বলি ভক্ষণ করতে পারে। এ নৈবেদ্য খুবই পবিত্র, তাই এটা অবশ্যই কোন পবিত্র স্থানে খেতে হবে। দোষ মোচনের নৈবেদ্য পাপ মোচনের নৈবেদ্যরই মতো। এই দুই নৈবেদ্যর জন্য এক নিয়ম। যে যাজক বলির ব্যবস্থা করবে সে খাদ্য হিসেবে মাংস পাবে। যে যাজক বলির ব্যবস্থা করবে সে দগ্ধ নৈবেদ্য থেকে চামড়াও পাবে। প্রদত্ত প্রত্যেক শস্য নৈবেদ্য সেই যাজকের অধিকারে আসবে, যে যাজক তা উৎসর্গ করবার ভার নেবে। যাজক পাবে শস্য নৈবেদ্যসমূহ যা উনুনে সেঁকা বা ভাজবার পাত্রে অথবা সেঁকার থালায় রান্না করা। 10 হারোণের পুত্রদের অধিকারে থাকবে শস্য নৈবেদ্যসমূহ, সেগুলি শুকনো বা তেল মেশানো হতে পারে। হারোণের পুত্ররা সকলে এই খাদ্যের অংশ নেবে।

মঙ্গল নৈবেদ্যসমূহ

11 “প্রভুর কাছে মঙ্গল নৈবেদ্যসমূহ দানের নিয়ম: 12 কোন ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা জানাতে মঙ্গল নৈবেদ্য আনতে পারে। যদি সে কৃতজ্ঞতা জানাতে নৈবেদ্য আনে তবে তার খামিরবিহীন তেল মাখানো রুটি, ওপরে তেল দেওয়া পাতলা কিছু রুটি এবং তেল মেশানো গুঁড়ো ময়দার কিছু গোটা পাঁউরুটি আনা উচিত। 13 মঙ্গল নৈবেদ্যসমূহ হল সেই নৈবেদ্য যা কোন ব্যক্তি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতেই আনে। সেই নৈবেদ্যর সঙ্গে ব্যক্তিটি খামির দিয়ে তৈরী করা গোটা পাঁউরুটিগুলিও অন্য নৈবেদ্য হিসেবে আনবে। 14 এই সমস্ত রুটির একটি সেই যাজকের, যে মঙ্গল নৈবেদ্যর রক্ত ছিটিয়ে দেবে। 15 মঙ্গল নৈবেদ্যর মাংস যেদিন উৎসর্গ করা হবে, সেই দিনেই তা খেতে হবে। একজন মানুষ এই উপহার ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই দেয়; কিন্তু পরের দিন সকালের জন্য মাংসের একটুও যেন পড়ে না থাকে।

16 “কোন মানুষ মঙ্গল নৈবেদ্য আনতে পারে কারণ সে হয়ত ঈশ্বরকে উপহার দিতে চায় অথবা সে হয়ত ঈশ্বরের কাছে বিশেষ মানত করেছিল। যদি এটা সত্য হয় তাহলে যেদিন সে নৈবেদ্য দেয়, সেই দিনেই প্রদত্ত নৈবেদ্য খেয়ে নিতে হবে। যদি কিছু পড়ে থাকে তা পরের দিন অবশ্যই খেতে হবে। 17 কিন্তু যদি এই নৈবেদ্যর কোন মাংস তৃতীয় দিনেও পড়ে থাকে তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। 18 যদি কোন ব্যক্তি তৃতীয় দিন তার মঙ্গল নৈবেদ্যর কোন মাংস ভক্ষণ করে তাহলে প্রভু সেই ব্যক্তির প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না। তার নৈবেদ্য প্রভু গ্রহণ করবেন না; সেই নৈবেদ্য হবে অশুচি। আর যদি কোন ব্যক্তি সেই মাংসের কিছু ভক্ষণ করে তা হলে সেই ব্যক্তি নিজে তার দোষের জন্য দায়ী হবে।

19 “অশুচি এমন কোন বস্তুর ছোঁয়া লাগা মাংস অবশ্যই যেন কেউ না খায়; আগুনে এই মাংস পোড়াবে। প্রত্যেকটি শুচি মানুষ মঙ্গল নৈবেদ্য থেকে মাংস খেতে পারে। 20 কিন্তু যদি কোন অশুচি ব্যক্তি প্রভুর জন্য নির্দিষ্ট মঙ্গল নৈবেদ্যর মাংস খায়, তা হলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই তার লোকদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

21 “যদি কোন ব্যক্তি কোন অশুচি জিনিস, যা মানুষের শরীরের দ্বারা অশুচি হয়েছে বা কোন অশুচি জন্তু বা প্রভু নিষেধ করেছেন এমন কোন জিনিস স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি অশুচি হবে। এবং যদি সে মঙ্গল নৈবেদ্যর মাংস খায়, তাহলে তাকে অবশ্যই তার লোকদের থেকে আলাদা করতে হবে।”

22 প্রভু মোশিকে বললেন, 23 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: তোমরা গরু, মেষ বা ছাগলের কোনো চর্বি অবশ্যই খাবে না। 24 যে জন্তু স্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে অথবা অন্য জন্তুদের দ্বারা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তোমরা সে জন্তুর চর্বি ব্যবহার করতে পার; কিন্তু তোমরা কখনোই তা খাবে না। 25 আগুনে পোড়া জন্তু প্রভুর প্রতি প্রদত্ত যদি কোন ব্যক্তি তার চর্বি খায়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে তার সংশ্লিষ্ট লোকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হবে।

26 “তোমরা যেখানেই বাস করো না কেন কখনও কোন পাখির বা কোন জন্তুর রক্ত পান করবে না। 27 যদি কোন ব্যক্তি রক্ত খায়, তাহলে সেই লোকটিকে অবশ্যই তার লোকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হবে।”

দোলনীয় নৈবেদ্যর নিয়মাবলী

28 প্রভু মোশিকে বললেন, 29 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: যদি কোন ব্যক্তি প্রভুর কাছে মঙ্গল নৈবেদ্য নিয়ে আসে, তাহলে সেই ব্যক্তি ঐ নৈবেদ্যর অংশ অবশ্যই প্রভুকে দেবে। 30 উপহারের সেই অংশ আগুনে পোড়ানো হবে। সে নিজের হাতে সেই উপহারের অংশ বহন করবে। সেই জন্তুটির চর্বি এবং বক্ষদেশ যাজকের কাছে আনবে। প্রভুর সামনে জন্তুটির বক্ষদেশটি তুলে ধরবে। এটাই হবে দোলনীয় নৈবেদ্য। 31 তারপর যাজক বেদীর ওপর চর্বি পোড়াবে; কিন্তু জন্তুর বক্ষদেশ হারোণ এবং তার পুত্রদের অধিকারে থাকবে। 32 তোমরা মঙ্গল নৈবেদ্যর ডান দিকের উরুটিও যাজককে দেবে। 33 মঙ্গল নৈবেদ্যর ডান দিকের উরুটি থাকবে সেই যাজকের (হারোণের পুত্রদের) দখলে, যে মঙ্গল নৈবেদ্যর রক্ত আর চর্বি উৎসর্গ করবে। 34 আমি ইস্রায়েলের লোকদের কাছ থেকে দোলনীয় নৈবেদ্যর বক্ষদেশ এবং মঙ্গল নৈবেদ্যর ডান উরু নিচ্ছি এবং সেই বস্তুগুলি আমি হারোণ ও তার পুত্রদের দিয়ে দিচ্ছি। ইস্রায়েলের লোকরা অবশ্যই এই নিয়ম চিরকালের জন্য মেনে চলবে।”

35 ঐগুলি হল প্রভুকে প্রদত্ত আগুনের তৈরী নৈবেদ্যর অংশ যা হারোণ ও তার পুত্রদের অধিকার। যখনই হারোণ এবং তার পুত্ররা প্রভুর যাজক হয়ে সেবা করবে তারা উৎসর্গগুলির অংশও পাবে। 36 যাজকদের মনোনীত করার সময় থেকেই প্রভু ঐ সব অংশ যাজকদের দেওয়ার জন্য ইস্রায়েলের লোকদের নির্দেশ দেন। লোকরা অবশ্যই যেন সেই অংশ চিরকালের জন্য যাজকদের দেয়।

37 ঐগুলি হল হোমবলি, শস্য নৈবেদ্য, পাপমোচনের নৈবেদ্য, দোষমোচনের বলি, মঙ্গল নৈবেদ্য এবং যাজক নির্বাচন সম্পর্কে নিয়মাবলী। 38 সীনয় পর্বতের ওপর প্রভু মোশিকে এই আজ্ঞাগুলি দেন। যেদিন প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের সীনয় মরুভুমির মধ্যে প্রভুর কাছে তাদের নৈবেদ্যসমূহ আনতে আদেশ দিয়েছিলেন, সেদিনই তিনি ঐ বিধিগুলি জানিয়ে দেন।

মথি 25:1-30

দশজন কনের দৃষ্টান্তমূলক গল্প

25 “স্বর্গরাজ্য কেমন হবে, তা দশজন কনের সঙ্গে তুলনা করা চলে, যারা তাদের প্রদীপ নিয়ে বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বার হল। তাদের মধ্যে পাঁচজন ছিল নির্বোধ আর অন্য পাঁচজন ছিল বুদ্ধিমতী। সেই নির্বোধ কনেরা তাদের বাতি নিল বটে কিন্তু সঙ্গে তেল নিল না। অপরদিকে বুদ্ধিমতী কনেরা তাদের প্রদীপের সঙ্গে পাত্রে তেলও নিল। বর আসতে দেরী হওয়াতে তারা সকলেই তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল।

“কিন্তু মাঝরাতে চিৎকার শোনা গেল, ‘দেখ, বর আসছে! তাকে বরণ করতে এগিয়ে যাও।’

“সেই কনেরা তখন উঠে তাদের প্রদীপ ঠিক করল। কিন্তু নির্বোধ কনেরা বুদ্ধিমতী কনেদের বলল, ‘তোমাদের তেল থেকে আমাদের কিছু তেল দাও, কারণ আমাদের প্রদীপ নিভে যাচ্ছে।’

“এর উত্তরে সেই বুদ্ধিমতী কনেরা বলল, ‘না। তেল যা আছে তাতে হয়তো আমাদের ও তোমাদের কুলোবে না, তোমরা বরং যারা তেল বিক্রি করে তাদের কাছে গিয়ে নিজেদের জন্য তেল কিনে আনো।’

10 “তারা যখন তেল কেনার জন্য বাইরে যাচ্ছে, এমন সময় বর এসে উপস্থিত হল, তখন যে কনেরা প্রস্তুত ছিল তারা বরের সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করল। তারপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল।

11 “শেষে অন্য কনেরা এসে বলল, ‘শুনছেন, আমাদের জন্য দরজা খুলে দিন।’

12 “কিন্তু এর উত্তরে বর বলল, ‘সত্যি বলছি, আমি তোমাদের চিনি না।’

13 “তাই তোমরা সজাগ থেকো, কারণ তোমরা সেই দিন বা মুহূর্ত্তের কথা জান না, কখন মানবপুত্র ফিরে আসবেন।

তিনজন দাসের কাহিনী

(লূক 19:11-27)

14 “স্বর্গরাজ্য এমন একজন লোকের মতো, যিনি বিদেশে যাবার আগে চাকরদের ডেকে সম্পত্তির ভার তাদের হাতে দিয়ে গেলেন। 15 তিনি একজনকে পাঁচ থলি মোহর, আর একজনকে দু থলি মোহর এবং আর একজনকে এক থলি মোহর দিলেন। যার যেমন ক্ষমতা সেই অনুসারে দিয়ে তিনি বিদেশে চলে গেলেন। 16 যে পাঁচ থলি মোহর পেয়েছিল, সে সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা খাটাতে শুরু করল, আর তাই দিয়ে আরো পাঁচ থলি মোহর লাভ করল। 17 যে লোক দু’থলি মোহর পেয়েছিল সেও সেই টাকা খাটিয়ে আরো দু’থলি মোহর রোজগার করল। 18 কিন্তু যে এক থলি মোহর পেয়েছিল, সে গিয়ে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তার মনিবের টাকা সেই গর্তে পুঁতে রাখল।

19 “অনেক দিন পর সেই চাকরদের মনিব ফিরে এসে তাদের কাছে হিসাব চাইলেন। 20 যে পাঁচ থলি মোহর পেয়েছিল, সে আরো পাঁচ থলি মোহর এনে বলল, ‘হুজুর, আপনি আমাকে পাঁচ থলি মোহর দিয়েছিলেন, দেখুন আমি তাই দিয়ে আরো পাঁচ থলি মোহর রোজগার করেছি।’

21 “তার মনিব তখন তাকে বললেন, ‘বেশ, তুমি উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস। তুমি এই সামান্য বিষয়ে বিশ্বস্ত থাকাতে আমি তোমার হাতে অনেক বিষয়ের ভার দেব। এস, তোমার মনিবের আনন্দের সহভাগী হও।’

22 “এরপর যে দু থলি মোহর পেয়েছিল, সেও তার মনিবের কাছে এসে বলল, ‘হুজুর, আপনি আমায় দু থলি মোহর দিয়েছিলেন, দেখুন আমি তাই দিয়ে আরো দু থলি মোহর রোজগার করেছি।’

23 “তার মনিব তাকে বললেন, ‘বেশ! তুমি উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস। তুমি সামান্য বিষয়ের উপর বিশ্বস্ত হলে, তাই আমি আরো অনেক কিছুর ভার তোমার ওপর দেব। এস, তুমি তোমার মনিবের আনন্দের সহভাগী হও।’

24 “এরপর যে লোক এক থলি মোহর পেয়েছিল সে তার মনিবের কাছে এসে বলল, ‘হুজুর আমি জানি আপনি বড় কড়া লোক। আপনি যেখানে বীজ বোনেন নি সেখানে কাটেন; আর যেখানে কোন বীজ ছড়ান নি সেখান থেকে শস্য সংগ্রহ করেন: 25 তাই আমি ভয়ে আপনার দেওয়া মোহরের থলি মাটিতে পুঁতে লুকিয়ে রেখেছিলাম। আপনার যা ছিল তা নিন।’

26 “এর উত্তরে তার মনিব তাকে বললেন, ‘তুমি দুষ্ট ও অলস দাস! তুমি তো জানতে আমি যেখানে বুনি না সেখানেই কাটি; আর তুমি এও জান যেখানে আমি বীজ ছড়াই না সেখান থেকেই সংগ্রহ করি। 27 তাই তোমার উচিত ছিল মহাজনদের কাছে আমার টাকা জমা রাখা, তাহলে আমি এসে আমার টাকার সঙ্গে কিছু সুদও পেতাম।’

28 “তাই তোমরা এর কাছ থেকে, ‘ঐ মোহর নিয়ে যার দশ থলি মোহর আছে তাকে দাও। 29 হ্যাঁ, যার আছে তাকে আরো দেওয়া হবে, তাতে তার প্রচুর হবে। কিন্তু যার নেই, তার যা আছে তাও তার কাছে থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।’ 30 তোমরা ঐ অকর্মন্য দাসকে অন্ধকারে বাইরে ফেলে দাও; সেখানে লোকেরা কান্নাকাটি করে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষে।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International