Old/New Testament
যোষেফকে মিশরে পোটীফরের কাছে বিক্রী করা হল
39 বণিকরা যারা যোষেফকে কিনেছিল, তারা তাকে মিশরে নিয়ে গেল এবং ফরৌণের রক্ষকদের সেনাপতি পোটীফরের কাছে বিক্রি করে দিল। 2 কিন্তু প্রভু যোষেফকে সাহায্য করলেন। যোষেফ সফলকর্মা হলেন। যোষেফ সেই মিশরীয় পোটীফরের অর্থাৎ তার মনিবের বাড়ীতেই বাস করতেন।
3 পোটীফর দেখলেন যে প্রভু যোষেফের সাথে রয়েছেন এবং যোষেফ যা কিছু করেন তাতেই তিনি তাকে সফল হতে দেন। 4 সেইজন্য পোটীফর খুশী হয়ে যোষেফকে তাঁর নিজের বাড়ীর অধ্যক্ষ করে তারই হাতে সব কিছুর ভার দিলেন। 5 যোষেফকে সেই বাড়ীর অধ্যক্ষ করা হলে প্রভু পোটীফরের বাড়ী এবং তাঁর সব কিছুকে আশীর্বাদ করলেন। যোষেফের জন্যই প্রভু একাজ করলেন। আর তিনি পোটীফরের ক্ষেতে যা জন্মাত তাকেও আশীর্বাদযুক্ত করলেন। 6 তাই পোটীফর তাঁর বাড়ীর সব কিছুর ভারই যোষেফের হাতে দিয়ে দিলেন, কেবল নিজের খাবারটা ছাড়া আর কিছুরই জন্য তিনি চিন্তিত ছিলেন না।
যোষেফ পোটীফরের স্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করলেন
যোষেফ ছিলেন অত্যন্ত রূপবান ও সুদর্শন পুরুষ। 7 কিছু সময় পরে যোষেফের মনিবের স্ত্রীও তাঁকে পছন্দ করতে শুরু করল। একদিন সে তাকে বলল, “আমার সঙ্গে শোও।”
8 কিন্তু যোষেফ প্রত্যাখ্যান করে বললেন, “আমার মনিব জানেন তাঁর বাড়ীর প্রতিটি বিষয়ের প্রতি আমি বিশ্বস্ত। তিনি এখানকার সব কিছুরই দায়-দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। 9 আমার মনিব আমাকে এই বাড়ীতে প্রায় তাঁর সমান স্থানেই রেখেছেন। আমি কখনই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শুতে পারি না। এটা মারাত্মক ভুল কাজ! ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ কাজ।”
10 স্ত্রীলোকটি রোজই যোষেফকে এ কথা বলত, কিন্তু যোষেফ রাজী হতেন না। 11 একদিন যোষেফ নিজের কাজ করতে বাড়ীর ভেতরে গেলেন। সেই সময় সেই বাড়ীতে কেবল একা তিনিই ছিলেন। 12 তাঁর মনিবের স্ত্রী সেই সময় তাঁর কাপড় টেনে ধরে বলল, “আমার সঙ্গে বিছানায় এস।” কিন্তু যোষেফ সেই বাড়ী থেকে এত দ্রুত দৌড়ে পালাল যে জামাটা স্ত্রীলোকটির হাতেই রয়ে গেল।
13 স্ত্রীলোকটি দেখল যে যোষেফ তার হাতেই জামাটা ফেলে বাড়ীর বাইরে দৌড়ে বেরিয়ে গেছে। তাই সে চিন্তা করে ঠিক করল যা ঘটেছে সে সম্বন্ধে মিথ্যা কথা বলবে। 14 সে তার বাড়ীর ভৃত্যদের ডেকে বলল, “দেখ! এই ইব্রীয় ক্রীতদাসকে কি আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করার জন্য এখানে আনা হয়েছে? সে ভিতরে এসে আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি চেঁচিয়ে উঠলাম। 15 আমার চিৎকারে সে ভয় পেয়ে পালাল। কিন্তু সে তার জামাটা ফেলে গেছে।” 16 তারপর তার স্বামী অর্থাৎ যোষেফের মনিব আসা পর্যন্ত সে সেই জামাটা তার কাছে রেখে দিল। 17 স্বামীকেও সে ঐ একই ঘটনা বলল। সে বলল, “যে ইব্রীয় দাসটিকে তুমি এখানে এনেছ, সে আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। 18 কিন্তু সে আমার কাছে আসতেই আমি চিৎকার করে উঠলাম। সে দৌড়ে পালাল বটে কিন্তু তার জামাটা ফেলে গেল।”
19 যোষেফের মনিব তাঁর স্ত্রীর সব কথা শুনে ক্রুদ্ধ হলেন। 20 তাই রাজার শত্রুদের যে কারাগারে রাখা হত, পোটীফর যোষেফকে সেইখানে রাখলেন। যোষেফ সেখানে রইলেন।
যোষেফ কারাগারে
21 কিন্তু প্রভু যোষেফের সঙ্গে ছিলেন। প্রভু যোষেফের প্রতি দয়া করে চললেন। কিছুদিন পরে সেই কারাগারের রক্ষকদের প্রধানের কাছে তিনি প্রিয় হলেন। 22 সেই কারাগারের সমস্ত বন্দীদের ভার যোষেফের হাতে দিলেন। সেই পদে অধিষ্ঠিত যে কোন পদাধিকারী স্বাভাবিকভাবে যা করেন, যোষেফ তাই করতেন। 23 সুতরাং যোষেফের অধীনের কোন কাজই কারাধিকারীকে তত্ত্বাবধান করতে হত না। এটা হয়েছিল কারণ প্রভু তাঁর সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁকে সব কাজে সফল করেছিলেন।
যোষেফ দুটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা করলেন
40 পরে ফরৌণের দুই ভৃত্য ফরৌণের প্রতি কিছু অন্যায় কাজ করল। এই ভৃত্যরা ছিল তাঁর রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশনকারী। 2 ফরৌণ প্রধান রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশনকারীর উপর ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। 3 তাই ফরৌণ তাদের যোষেফের সাথে একই কারাগারে রাখলেন। পোটীফর, ফরৌণের কারারক্ষকদের প্রধান সেই কারাগারের দায়িত্বে ছিলেন। 4 প্রধান কারারক্ষক সেই দুই বন্দীকে যোষেফের পরিচর্যার অধীনে রাখলেন। সেই দুইজন লোকই কিছু সময় সেই কারাগারে রইল। 5 একদিন রাত্রে দুই বন্দীই স্বপ্ন দেখল। (এই দুই বন্দী ছিল মিশরের রাজার রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশনকারী।) প্রত্যেক বন্দীই ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্ন দেখল এবং প্রতিটি স্বপ্নের নিজস্ব অর্থ ছিল। 6 পরের দিন সকালে যোষেফ তাদের কাছে গিয়ে দেখলেন যে তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। 7 যোষেফ জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের এত বিষন্ন দেখাচ্ছে কেন?”
8 লোক দুটি উত্তর করল, “গত রাতে আমরা স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু স্বপ্নের অর্থ বুঝছি না। সেই স্বপ্নের অর্থ বলার বা তা বুঝিয়ে দেবার কেউ নেই।”
যোষেফ তাদের বললেন, “ঈশ্বরই একজন যিনি বোঝেন ও স্বপ্নের অর্থ বলতে পারেন। তাই আমার অনুরোধ, তোমাদের স্বপ্নগুলো বল।”
দ্রাক্ষারস পরিবেশকের স্বপ্ন
9 সুতরাং দ্রাক্ষারস পরিবেশক যোষেফকে তার স্বপ্ন বলল, “আমি স্বপ্নে একটা দ্রাক্ষালতা দেখলাম। 10 সেই লতায় তিনটে শাখা ছিল। আমি দেখলাম শাখাগুলিতে ফুল হল এবং দ্রাক্ষা ফলল। 11 আমি ফরৌণের পানপাত্র ধরেছিলাম, তাই সেই দ্রাক্ষাগুলোকে সেই কাপে নিঙড়ে নিলাম। তারপর সেই পানপাত্র ফরৌণকে দিলাম।”
12 তখন যোষেফ বললেন, “সেই স্বপ্নের অর্থ আমি তোমায় বলছি। তিনটি শাখার অর্থ তিন দিন। 13 তিন দিন শেষ হবার আগেই ফরৌণ তোমায় ক্ষমা করে আবার তোমাক কাজে বহাল করবেন। তুমি ফরৌণের জন্য আগে যে কাজ করতে তাই-ই করবে। 14 কিন্তু তুমি ছাড়া পেলে আমায় স্মরণ করো। আমার প্রতি দয়া করো। ফরৌণকে আমার সম্বন্ধে বলো যাতে আমি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। 15 আমাকে জোর করে আমার নিজের জায়গা, ইব্রীয়দের দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারাগারে থাকার মত কোন অন্যায়ই আমি করি নি।”
রুটিওয়ালার স্বপ্ন
16 রুটিওয়ালা দেখল অন্য ভৃত্যের স্বপ্নটা ভাল। তখন সে যোষেফকে বলল, “আমিও একটা স্বপ্ন দেখেছি। দেখলাম আমার মাথায় রুটির তিনটে ঝুড়ি রয়েছে। 17 উপরের ঝুড়িতে সব রকমের সেঁকা খাবার ছিল। সেই খাবার রাজার জন্য ছিল কিন্তু পাখীরা ঐ খাবার খেতে লাগল।”
18 যোষেফ বললেন, “আমি তোমাকে স্বপ্নের অর্থ বলছি। তিনটে ঝুড়ির অর্থ তিন দিন। 19 তিন দিনের মধ্যে রাজা তোমাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেবেন। তিনি তোমার শিরশ্ছেদ করে একটা বাঁশের মাথায় ঝুলিয়ে দেবেন। আর পাখীরা তোমার দেহের মাংস খাবে।”
যোষেফের কথা মনে রইল না
20 তৃতীয় দিনটা ছিল ফরৌণের জন্ম দিন। ফরৌণ তাঁর সব দাসদের জন্য ভোজের আয়োজন করলেন। সেই সময়ে ফরৌণ রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশককে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন। 21 ফরৌণ পানপাত্র বাহককে মুক্তি দিয়ে পুনরায় তাকে তার কাজে নিয়েগ করলেন। আর সেই পানপাত্র বাহক আবার ফরৌণের হাতে পানপাত্র দিতে লাগল। 22 কিন্তু ফরৌণ রুটিওয়ালাকে ফাঁসি দিলেন। যোষেফ যেমনটি বলেছিলেন সেরকম ভাবেই সব ঘটনা ঘটল। 23 কিন্তু সেই পানপাত্র বাহকদের যোষেফকে সাহায্য করার কথা মনে রইল না। সে যোষেফের বিষয় ফরৌণকে কিছুই বলল না, যোষেফের কথা ভুলে গেল।
বাপ্তিস্মদাতা যোহন এবং যীশু
(লূক 7:18-35)
11 যীশু তাঁর বারোজন শিষ্যকে এইভাবে নির্দেশ দেওয়া শেষ করলেন। এরপর তিনি গালীল শহরে শিক্ষা দেবার ও প্রচার করার জন্য সেখান থেকে চলে গেলেন।
2 যোহন (বাপ্তাইজ) কারাগার থেকে খ্রীষ্টের কাজের কথা শুনলেন। তখন তিনি তাঁর অনুগামীদের যীশুর কাছে পাঠালেন। 3 অনুগামীরা যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, “যার আগমনের কথা ছিল, আপনি কি সেই লোক, না আমরা আর কারও জন্য অপেক্ষা করব?”
4 এর উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা যা শুনছ ও দেখছ, যোহনকে গিয়ে তা বল 5 অন্ধরা দৃষ্টিশক্তি পাচ্ছে, খোঁড়ারা হাঁটছে, কুষ্ঠরোগীরা আরোগ্য লাভ করছে, বধির জনেরা শুনতে পাচ্ছে, মরা মানুষ বেঁচে উঠছে, আর দরিদ্র লোকদের কাছে সুসমাচার প্রচার করা হচ্ছে। 6 ধন্য সেই লোক, আমাকে গ্রহণ করতে যার কোন বাধা নেই।”
7 যোহনের অনুগামীরা যখন চলে যাচ্ছেন, তখন লোকদের উদ্দেশ্য করে যীশু যোহনের বিষয়ে বলতে শুরু করলেন, “তোমরা মরুপ্রান্তরে কি দেখতে গিয়েছিলে? বাতাসে দোলায়মান বেত গাছ? 8 না, তা নয়। তাহলে কি দেখতে গিয়েছিলে? জমকালো পোশাক পরা কোন লোককে? শোন! যারা জমকালো পোশাক পরে তাদের রাজপ্রাসাদে দেখতে পাবে। 9 তাহলে তোমরা কি দেখবার জন্য গিয়েছিলে? একজন ভাববাদীকে? হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, যাকে তোমরা দেখেছ তিনি ভাববাদীর চেয়েও মহান! 10 তিনি সেই লোক যার বিষয়ে শাস্ত্রে লেখা আছে,
‘শোন! আমি তোমার আগে আগে আমার এক দূতকে পাঠাচ্ছি।
সে তোমার জন্য পথ প্রস্তুত করবে।’(A)
11 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, স্ত্রীলোকের গর্ভে যত মানুষের জন্ম হয়েছে তাদের মধ্যে বাপ্তিস্মদাতা যোহনের চেয়ে কেউই মহান নয়, তবু স্বর্গরাজ্যের কোন ক্ষুদ্রতম ব্যক্তিও যোহনের থেকে মহান। 12 বাপ্তিস্মদাতা যোহনের সময় থেকে আজ পর্যন্ত স্বর্গরাজ্য ভীষণভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। আর শক্তিধর লোকরা তা জোরের সাথে অধিকার করতে চেষ্টা করছে। 13 যোহনের আগমণের পূর্ব পর্যন্ত যা ঘটবে সকল ভাববাদী ও মোশির বিধি-ব্যবস্থার মধ্যে তা বলা হয়েছে। 14 তোমরা যদি একথা বিশ্বাস করতে রাজী থাক তবে শোন, এই যোহনই সেই ভাববাদী এলিয়,[a] যাঁর আসবার কথা ছিল। 15 যার শোনবার মতো কান আছে সে শুনুক।
16 “আমি কিসের সঙ্গে এই যুগের লোকদের তুলনা করব? এরা এমন একদল ছোট ছেলেমেয়েদের মতো যারা হাটে বসে অন্য ছেলেমেয়েদের ডেকে বলে,
17 ‘আমরা তোমাদের জন্য বাঁশি বাজালাম,
তোমরা নাচলে না।
আমরা শোকের গান গাইলাম,
কিন্তু তোমরা বিলাপ করলে না।’
18 যোহন অন্য লোকদের মতো না করলেন আহার, না করলেন পান, আর লোকরা বলে, ‘ওকে ভূতে পেয়েছে।’ 19 এরপর মানবপুত্র এসে অন্য লোকদের মতো পান ও আহার করলেন বলে লোকে বলছে, ‘ঐ দেখ! একজন পেটুক ও মদখোর, কর আদায়কারী ও পাপীদের বন্ধু।’ কিন্তু প্রজ্ঞা তার কাজের দ্বারাই সত্য বলে প্রমাণিত হবে।”
অবিশ্বাসী লোকদের উদ্দেশ্যে যীশুর সতর্কবাণী
(লূক 10:13-15)
20 যে সমস্ত শহরে যীশু বেশীর ভাগ অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তাদের তিনি ভর্ত্সনা করলেন, কারণ তারা তাদের মন ফেরায় নি। তিনি তাদের বললেন, 21 “ধিক্ কোরাসীন! ধিক বৈৎসৈদা![b] তোমাদের কি ভয়ঙ্কর দুর্দশাই না হবে! আমি তোমাদের একথা বলছি কারণ, তোমাদের মধ্যে যে সব অলৌকিক কাজ আমি করেছি তা যদি সোর ও সীদোনে করা হত, তবে সেখানকার লোকেরা অনেক আগেই তাদের পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে চটের বস্ত্র পরে ছাই মেখে মন-ফেরাতো।[c] 22 তাই আমি তোমাদের বলছি, বিচারের দিনে তোমাদের থেকে সোর ও সীদোনের[d] অবস্থা সহ্য করবার মতো হবে।
23 “আর যে কফরনাহূম তুমি নাকি স্বর্গীয় মহিমায় মণ্ডিত হবে? না! তোমাকে পাতালে নামিয়ে আনা হবে। যে সমস্ত অলৌকিক কাজ তোমার মধ্যে করা হয়েছে তা যদি সদোমে করা হত তবে সদোম আজও টিকে থাকত। 24 আমি তোমাদের বলছি, বিচারের দিনে তোমাদের চেয়ে বরং সদোম দেশের দশা অনেক সহনীয় হবে।”
যীশু লোকদের শাস্তি দেবার জন্য আহ্বান জানান
(লূক 10:21-22)
25 এই সময় যীশু বললেন, “স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু, আমার পিতা, আমি তোমার প্রশংসা করি, কারণ জগতের জ্ঞানী ও পণ্ডিতদের কাছে এসব তত্ত্ব তুমি গোপন রেখে শিশুর মতো সরল লোকদের কাছে তা প্রকাশ করেছ। 26 হ্যাঁ, পিতা এইভাবেই তো তুমি এটা করতে চেয়েছিলে।
27 “আমার পিতা সব কিছুই আমার হাতে সঁপে দিয়েছেন। পিতা ছাড়া পুত্রকে কেউ জানে না; আর পুত্র ছাড়া পিতাকে কেউ জানে না। পুত্র যার কাছে পিতাকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করেন সে-ই তাঁকে জানে।
28 “তোমরা যারা শ্রান্ত-ক্লান্ত ও ভারাক্রান্ত মানুষ, তারা আমার কাছে এস, আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব। 29 আমার জোয়াল তোমাদের কাঁধে তুলে নাও, আর আমার কাছ থেকে শেখো, কারণ আমি বিনয়ী ও নম্র, তাতে তোমাদের প্রাণ বিশ্রাম পাবে। 30 কারণ আমার দেওয়া জোয়াল বয়ে নেওয়া সহজ ও আমার দেওয়া ভার হাল্কা।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International