Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
আদি 25-26

অব্রাহামের পরিবার

25 অব্রাহাম আবার বিবাহ করলেন। তাঁর নতুন স্ত্রীর নাম কটুরা। অব্রাহামের ঔরসে কটুরা সিম্রণ, যকষণ, মদান, মিদিয়ন, যিশবক এবং শূহরের জন্ম দেন। যকষণ ছিলেন শিবা ও দদানের জনক। অশূরীয়, লিয়ুশ্মীয় আর লটুশীয় অধিবাসীরা ছিল দদানের উত্তরপুরুষ। ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ এবং ইল্দায়া ছিল মিদিয়নের সন্তান-সন্ততি। অব্রাহাম ও কটুরার বিবাহের ফলে এইসব পুত্রদের জন্ম হয়। 5-6 মৃত্যুর আগে অব্রাহাম তাঁর রক্ষিত দাসীদের গর্ভজাত পুত্রদের নানা রকম উপহার দিয়ে তাদের পূর্ব দেশে পাঠান। তিনি তাদের ইস‌্হাকের কাছ থেকে দূরে পাঠিয়ে দিয়ে তাঁর যা কিছু ছিল সব ইস‌্হাককে দেন।

অব্রাহাম 175 বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। তারপর অব্রাহাম ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। সুদীর্ঘ ও সুখী জীবন ছিল তাঁর। তিনি মারা গেলেন এবং তাঁকে তাঁর আপনজনের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। তাঁর দুই পুত্র ইস‌্হাক আর ইশ্মায়েল মিলে তাঁর মৃতদেহ মক্পেলার গুহাতে কবর দিল। সোহরের পুত্র ইফ্রোণের জমিতে ঐ গুহা। জায়গাটা ছিল মম্রির পূর্ব দিকে। 10 এই সেই গুহা যেটা অব্রাহাম হেতের সন্তানদের কাছ থেকে কিনেছিলেন। সেখানে স্ত্রী সারার কবরের পাশে অব্রাহামকে কবর দেওয়া হল। 11 অব্রাহামের মৃত্যুর পরে ঈশ্বর ইস‌্হাককে আশীর্বাদ করলেন। ইস‌্হাক বের্-লহয়-রোয়ীতে বসবাস করতে থাকলেন।

12 ইশ্মায়েলের বংশ বৃত্তান্ত এই: অব্রাহাম ও হাগারের পুত্র ছিলেন ইশ্মায়েল। (হাগার ছিলেন সারার মিশরীয় দাসী।) 13 ইশ্মায়েলের পুত্রদের নামগুলো হল: প্রথম পুত্র ছিল নবায়োত্‌, তারপর জন্মায় কেদর, তারপরে যথাক্রমে অদ্বেল, মিবসম্, 14 মিশ্‌ম, দুমা, মসা, 15 হদদ, তেমা, যিটুর, নাফীশ এবং কেদমা। 16 এইগুলি হল ইশ্মায়েলের পুত্রদের নাম। প্রত্যেকের এক-একটা ছোট বসতি ছিল এবং প্রত্যেকটি বসতি আস্তে আস্তে শহরে পরিণত হয়। বারোটি পুত্র যেন বারো জন রাজপুত্র এবং প্রত্যেকের নিজস্ব জনবল। 17 ইশ্মায়েল 137 বছর বেঁচেছিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয় এবং তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। 18 ইশ্মায়েলের উত্তরপুরুষরা সমগ্র মরুভূমি অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। এই অঞ্চলটি ছিল মিশরের কাছে হুবীলা থেকে শূর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এখান থেকে তা বিস্তৃত ছিল অশূরিয়া পর্যন্ত। ইশ্মায়েলের উত্তরপুরুষরা প্রায়ই তার ভাইএর লোকেদের আক্রমণ করত।

ইস‌্হাকের পরিবার

19 এবার ইস‌্হাকের কাহিনী। ইস‌্হাক নামে অব্রাহামের এক পুত্র ছিল। 20 যখন ইস‌্হাকের বয়স 40 হল তখন তিনি রিবিকাকে বিয়ে করলেন। রিবিকা ছিলেন পদ্দন্ অরাম অঞ্চলের মেয়ে। তাঁর পিতা বথুযেল এবং অরামীয় লাবন ছিলেন তাঁর ভাই। 21 ইস‌্হাকের স্ত্রীর সন্তানাদি হচ্ছিল না। তাই তিনি প্রভুর কাছে তাঁর স্ত্রীর জন্যে প্রার্থনা করলেন এবং প্রভু তাঁর প্রার্থনা শুনলে রিবিকা গর্ভবতী হলেন।

22 গর্ভবতী অবস্থায় রিবিকা যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন কারণ তাঁর গর্ভে দুটি শিশু একে অপরকে জোরে ঠেলাঠেলি করছিল। গর্ভস্থ শিশুর জন্যে রিবিকা অনেক কষ্ট পেতে থাকেন। তিনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে জানতে চাইলেন, “আমার কেন এমন হচ্ছে?” 23 প্রভু উত্তরে বললেন,

“তোমার গর্ভের মধ্যে
    দুটি জাতি আছে।
তুমি দুই মহান বংশের শাসকদের জন্ম দেবে।
    তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটবে।
এক পুত্রের অপেক্ষা অন্য পুত্র শক্তিশালী হবে।
    ছোট পুত্রের সেবা করবে বড় পুত্র।”

24 যথাসময়ে রিবিকা দুটি যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন। 25 প্রথম সন্তানের গায়ের রং ছিল লাল। গায়ের ত্বক ছিল লোমশ বস্ত্রের মত। তাই তার নাম রাখা হল এষৌ। 26 তারপরে যখন দ্বিতীয় সন্তানটির জন্ম হল তখন তার শক্ত মুঠোর মধ্যে এষৌর পায়ের গোড়ালি ধরা ছিল। তাই তার নাম রাখা হল যাকোব। এষৌ এবং যাকোবের জন্মের সময় ইস‌্হাকের বয়স ছিল 60 বছর।

27 ছেলে দুটি বড় হতে লাগল। এষৌ হল একজন দক্ষ শিকারী। সে জঙ্গলে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে ভালবাসত। কিন্তু যাকোব ছিল শান্ত প্রকৃতির। সে তাঁবুতেই থাকত। 28 ইস‌্হাক এষৌকে ভালবাসতেন। এষৌর শিকার করা পশুর মাংস খেতে তিনি ভালবাসতেন। কিন্তু রিবিকা যাকোবকে ভালবাসতেন।

29 একবার এষৌ শিকার থেকে ফিরে এল। ক্ষুধায় সে ছিল ক্লান্ত ও দুর্বল। তখন যাকোব এক হাঁড়ি শিম সেদ্ধ করছিল। 30 এষৌ যাকোবকে বলল, “ক্ষিধের জ্বালায় আমি ক্লান্ত। আমায় এই লাল বীন কিছু খেতে দাও।” (সেজন্য সবাই তাকে ইদোম বলে।)

31 কিন্তু যাকোব বলল, “তাহলে তুমি আজ বড় পুত্রের অধিকার আমায় বিক্রি করো।”

32 এষৌ বলল, “ক্ষিধের চোটে আমি এমনিতেই আধমরা হয়ে গেছি। মরেই যদি যাই তাহলে পিতার সব সম্পত্তি আমার কোন কাজে লাগবে? তাই আমার ভাগ আমি তোমায় দেব।”

33 কিন্তু যাকোব বলল, “আগে প্রতিজ্ঞা করো যে তোমার ভাগ আমায় দেবে।” অতএব যাকোবের কাছে এষৌ প্রতিজ্ঞা করল। এষৌ পিতার সম্পত্তি থেকে নিজের ভাগ যাকোবকে বিক্রি করল। 34 তখন যাকোব এষৌকে রুটি ও খাবার দিল। এষৌ খেয়েদেয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে চলে গেল। সুতরাং এষৌ প্রমাণ করল যে বড় পুত্রের অধিকার নিয়ে তার কোনও মাথাব্যথা নেই।

অবীমেলকের কাছে ইস‌্হাকের মিথ্যাভাষণ

26 একবার দুর্ভিক্ষ হল। অব্রাহামের সময় যেমন হয়েছিল এই দুর্ভিক্ষটা তেমনই ছিল। তখন ইস‌্হাক পলেষ্টীয়দের অবীমেলকের সঙ্গে দেখা করার জন্য গরারে গেলেন। প্রভু ইস‌্হাককে দর্শন দিলেন এবং বললেন, “মিশরে যেও না। আমি তোমায় যে দেশে বাস করার পরামর্শ দিচ্ছি সেই দেশে বাস করো। সেই দেশে থাকো এবং আমি তোমার সঙ্গে থাকব। আমি তোমায় আশীর্বাদ করব। এই যত জমিজমা দেখছ সব আমি তোমায় ও তোমার পরিবারকে দেব। তোমার পিতা অব্রাহামকে আমি যা-যা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সে সব কথা আমি রাখব। আকাশের তারার মত তোমার উত্তরপুরুষরা হবে অসংখ্য এবং তোমার পরিবার এই সমস্ত জমির মালিক হবে। তোমার উত্তরপুরুষদের মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত জাতি আমার আশীর্বাদ পাবে। তোমার পিতা অব্রাহাম আমার কথা, আমার আদেশ, আমার বিধি, আমার নিয়ম সব কিছু পালন করেছিল এবং আমি তাকে যা যা করতে বলেছিলাম সব করেছিল বলে আমি এটা করব।”

সুতরাং ইস‌্হাক গরারে থেকে গেলেন এবং সেখানেই বাস করতে লাগলেন। ইস‌্হাকের স্ত্রী রিবিকা ছিল অপূর্ব সুন্দরী। গরারের বাসিন্দারা রিবিকার সম্পর্কে ইস‌্হাককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগল। ইস‌্হাক বললেন, “ও আমার বোন।” রিবিকাকে তার স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে ইস‌্হাক ভয় পেলেন। ইস‌্হাকের ভয় হল যে রিবিকাকে পাওয়ার জন্য তারা তাঁকে হত্যা করতে পারে।

তারপর ইস‌্হাক সেখানে বহুদিন থেকেছিলেন। একদিন অবীমেলক জানালা দিয়ে ইস‌্হাক ও তার স্ত্রী রিবিকাকে খেলা করতে দেখলেন। তখন অবীমেলক ইস‌্হাককে ডেকে পাঠালেন। অবীমেলক বললেন, “এই নারী আসলে তোমার স্ত্রী। আমায় কেন মিথ্যে করে বলেছিলে যে এ তোমার বোন?”

ইস‌্হাক বললেন, “আমি ভয় পেয়েছিলাম যে একে স্ত্রী বলে পরিচয় দিলে ওকে পাওয়ার জন্য আপনি আমায় হত্যা করবেন।”

10 অবীমেলক বললেন, “আমাদের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় অবিচার করেছ। আমাদের মধ্যে কেউ যদি তোমার স্ত্রীকে শয্যাসঙ্গিনী করতো তাহলে সে মহাপাপের ভাগী হত।”

11 সুতরাং অবীমেলক তাঁর সমস্ত প্রজাদের সাবধান করে দিলেন। তিনি বললেন, “কেউ এই লোকটির বা এর স্ত্রীর কোন ক্ষতি করবে না। যদি কেউ এদের কোনও ক্ষতি করে তাহলে তার শাস্তি হবে মৃত্যু।”

ইস‌্হাক ধনী হলেন

12 ইস‌্হাক তাঁর ক্ষেতে চাষ করলেন। এবং সে বছর খুব ভাল ফসল হল। প্রভু তাঁকে খুব আশীর্বাদ করলেন। 13 ইস‌্হাক ধনী হলেন। তিনি আরও অনেক ধন উপার্জন করলেন। এভাবে তিনি একজন অত্যন্ত ধনবান ব্যক্তি হলেন। 14 তিনি প্রচুর মেষপাল ও গো-পালের মালিক হলেন। তাঁর বিশাল ধন ও অনেক দাস-দাসী ছিল। সমস্ত পলেষ্টীয় মানুষরা তাঁকে ঈর্ষা করতে লাগল। 15 ফলে অনেক কাল আগে অব্রাহাম ও তাঁর লোকজন যেসব কূপ খনন করেছিলেন সেগুলো পলেষ্টীয়রা বুজিয়ে ফেলল। 16 এমনকি অবীমেলক পর্যন্ত ইস‌্হাককে বললেন, “আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যাও। তুমি আমাদের অপেক্ষা অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে গেছ।”

17 সুতরাং ইস‌্হাক সেই স্থান ত্যাগ করে সঙ্কীর্ণ গরার নদীর ধারে এসে শিবির স্থাপন করলেন। ইস‌্হাক সেখানে অবস্থান করে সেখানেই বসবাস করতে লাগলেন। 18 এর বহুকাল আগে অব্রাহাম প্রচুর কূপ বা জলাশয় খনন করেছিলেন। অব্রাহাম মারা গেলে পলেষ্টীয়রা সেইসব কূপ মাটি দিয়ে বুজিয়ে ফেলেছিল। 19 তখন ইস‌্হাক ফিরে গিয়ে আবার সেই কূপগুলি খনন করলেন। ইস‌্হাকের ভৃত্যরাও ছোট নদীটির কাছে একটা কূপ খনন করল এবং তারা সেই কূপের মধ্যে একটি জলের ঝর্ণা দেখতে পেল। 20 গরার উপত্যকায় যারা মেষ চরাত তাদের সঙ্গে ইস‌্হাকের লোকজনদের বিবাদ বাধল। তারা বলল, “এই জল আমাদের।” তাই ইস‌্হাক ঐ কূপটির নাম দিলেন এষক। তিনি কূপটির ঐ নাম দিলেন, কারণ ঐখানেই তর্কাতর্কিটা হয়েছিল।

21 ইস‌্হাকের লোকরা আর একটি কূপ খনন করল। সেই কূপ নিয়ে ইস‌্হাকের লোকদের সঙ্গে স্থানীয় লোকদের আবার বিবাদ বাধল। তাই ইস‌্হাক ঐ কূপটির নাম দিলেন সিটনা।

22 সেখান থেকে সরে গিয়ে ইস‌্হাক আবার একটি কূপ খনন করলেন। এবার ঐ কূপ নিয়ে কেউ বিবাদ করতে এল না। তাই ইস‌্হাক ঐ কূপটির নাম দিলেন রহোবোত্। ইস‌্হাক বললেন, “এবার প্রভু আমাদের জন্য একটা জায়গা পেয়েছেন। এখানেই আমরা বহুগুণ হব ও সফল হব।”

23 সেখান থেকে ইস‌্হাক গেলেন বের্-শেবাতে। 24 সেই রাত্রে প্রভু ইস‌্হাকের সঙ্গে কথা বললেন। প্রভু বললেন, “আমি তোমার পিতা অব্রাহামের ঈশ্বর। ভয় পেও না। আমি তোমার সঙ্গে আছি এবং তোমায় আশীর্বাদ করছি। তোমার পরিবারকে আমি এক মহান পরিবারে পরিণত করব। আমার বিশ্বস্ত সেবক অব্রাহামের জন্য আমি একাজ করব।” 25 সুতরাং ইস‌্হাক এক বেদী নির্মাণ করে সেখানে প্রভুর উপাসনা করলেন। ইস‌্হাক সেই জায়গায় তাঁবু স্থাপন করলেন আর তাঁর পরিচারকরা সেখানে কূপ খনন করলো।

26 গরার থেকে অবীমেলক এলেন ইস‌্হাকের সঙ্গে দেখা করতে। অবীমেলকের সঙ্গে তাঁর উপদেষ্টা অহূষত্‌ এবং তাঁর সৈন্যাধ্যক্ষ ফীকোলও এলেন।

27 ইস‌্হাক জিজ্ঞাসা করলেন, “আমার কাছে এসেছেন কেন? আগে আপনি আমার সঙ্গে বন্ধুর মত ব্যবহার করেন নি। এমনকি আপনার রাজ্য থেকে আপনি আমায় তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।”

28 উত্তরে তাঁরা বললেন, “এখন আমরা জেনেছি যে প্রভু আপনার সঙ্গে আছেন। আমরা মনে করি যে আমাদের মধ্যে একটা চুক্তি হওয়া উচিৎ‌। আমরা চাই আপনি আমাদের কাছে শপথ নিন। 29 আমরা আপনাকে কখনও আঘাত করি নি। আপনিও দিব্য করুন যে আমাদের কখনও আঘাত করবেন না। আমরা আপনাকে বহিষ্কার করেছিলাম। এখন এটা পরিষ্কার যে প্রভু আপনাকে আশীর্বাদ করেছেন।”

30 সুতরাং ইস‌্হাক অভ্যাগতদের জন্য এক ভোজসভার আয়োজন করলেন। সবাই পরিতৃপ্তির সঙ্গে পানভোজন করলেন। 31 পরদিন খুব সকালে তাঁরা একে অপরের কাছে একটি প্রতিজ্ঞা করলেন। তারপর তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নিলেন।

32 সেইদিন ইস‌্হাকের ভৃত্যরা এসে তারা যে কূপ খনন করেছিল তার কথা জানাল। তারা বলল, “ঐ কূপের মধ্যে জল পাওয়া গেছে।” 33 তাই ইস‌্হাক ঐ কূপের নাম দিলেন শিবিয়া এবং এখনও ঐ নগরী বের্-শেবা নামে পরিচিত।

এষৌর পত্নীগণ

34 এষৌর যখন 40 বছর বয়স হল তখন সে দুজন হিত্তীয় রমণীকে বিবাহ করল। একজন ছিল বেরির কন্যা যিহূদীত্‌। অন্যজন ছিল এলনের কন্যা বাসমৎ‌। 35 এই বিবাহ দুটিতে ইস‌্হাক এবং রিবিকা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিলেন।

মথি 8:1-17

কুষ্ঠ রোগীকে আরোগ্যদান

(মার্ক 1:40-45; লূক 5:12-16)

যীশু সেই পাহাড় থেকে নেমে এলে অনেক লোক তাঁর পিছনে পিছনে চলতে লাগল। সেই সময় একজন কুষ্ঠ রোগী যীশুর কাছে এসে তাঁর সামনে নতজানু হয়ে বলল, “প্রভু, আপনি ইচ্ছে করলেই আমাকে ভাল করে দিতে পারেন।”

তখন যীশু সেই কুষ্ঠ রোগীর দিকে হাত বাড়িয়ে তাকে স্পর্শ করলেন। তিনি বললেন, “হ্যাঁ, আমি তাই-ই চাই। তুমি ভাল হয়ে যাও।” সঙ্গে সঙ্গে তার কুষ্ঠ রোগ ভাল হয়ে গেল। তখন যীশু তাকে বললেন, “দেখ, তুমি কাউকে একথা বোলো না, বরং যাও যাজকের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও; আর গিয়ে মোশির আদেশ অনুসারে নৈবেদ্য উৎসর্গ কর। তাতে তারা জানবে যে তুমি ভাল হয়ে গেছ।”

শতপতির দাসের আরোগ্যলাভ

(লূক 7:1-10; যোহন 4:43-54)

এরপর যীশু যখন কফরনাহূম শহরে গেলেন, তখন একজন শতপতি তাঁর কাছে এসে অনুনয় করে বললেন, “প্রভু, আমার চাকরের পক্ষাঘাত হয়েছে, সে বিছানায় পড়ে আছে ও যন্ত্রণায় ছট্‌ফট্ করছে।”

যীশু তাঁকে বললেন, “হ্যাঁ, আমি যাব, এবং তাকে সুস্থ করব।”

সেই শতপতি তখন যীশুকে বললেন, “প্রভু, আমি এমন যোগ্য নই যে আমার বাড়ীতে আপনি আসবেন। আপনি কেবল মুখে বলে দিন, তাতেই আমার চাকর ভাল হয়ে যাবে। আমি নিজে অপরের কর্তৃত্বের অধীন আর আমার সৈন্যদের উপরে আমি কর্তৃত্ব করি। আমি কাউকে ‘যাও’ বললে সে যায়, আবার কাউকে ‘এস’ বললে সে আসে; আর আমার চাকরকে ‘এটা কর’ বললে সে তা করে।”

10 যীশু একথা শুনে আশ্চর্য হলেন; যাঁরা তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছিল তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সমগ্র ইস্রায়েলে আমি এত বেশী বিশ্বাস কারও মধ্যে দেখতে পাইনি। 11 আমি তোমাদের আরো বলছি যে, পূর্ব ও পশ্চিম থেকে অনেকে আসবে আর অব্রাহাম, ইস‌্হাক ও যাকোবের সঙ্গে স্বর্গরাজ্যে ভোজে বসবে। 12 কিন্তু যাঁরা রাজ্যের উত্তরাধিকারী, তাদের বাইরে অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হবে। সেখানে লোকেরা কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষবে।”

13 এরপর যীশু সেই শতপতিকে বললেন, “যাও, তুমি যেমন বিশ্বাস করেছ, তেমনি হোক্।” আর সেই মূহুর্তেই তার চাকর সুস্থ হয়ে গেল।

যীশু অনেক লোককে সুস্থ করলেন

(মার্ক 1:29-34; লূক 4:38-41)

14 যীশু পিতরের বাড়ীতে গিয়ে দেখলেন, পিতরের শাশুড়ীর ভীষণ জ্বর হয়েছে, আর তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। 15 যীশু তাঁর হাত স্পর্শ করা মাত্রই জ্বর ছেড়ে গেল। তখন তিনি বিছানা ছেড়ে উঠে যীশুর সেবা করতে লাগলেন।

16 সন্ধ্যা হলে লোকেরা ভূতে পাওয়া অনেক লোককে যীশুর কাছে নিয়ে এল। আর তিনি তাঁর হুকুমে সেই সব ভূতদের দূর করে দিলেন। এছাড়া তিনি রোগীদের সুস্থ করলেন। 17 এর দ্বারা ভাববাদী যিশাইয়র ভাববাণী পূর্ণ হল:

“তিনি আমাদের দুর্বলতা গ্রহণ করলেন, আমাদের ব্যাধিগুলি বহন করলেন।”(A)

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International