Old/New Testament
পবিত্র কাজে ব্যবহারের জন্য ভূমি বন্টন
45 “ইস্রায়েল পরিবারের জন্য তোমার জমি বন্টন করা উচিৎ।[a] সেই সময়, জমির একটি অংশ পৃথক করে রাখবে যা প্রভুর জন্য পবিত্র হবে। সেই জমির মাপ দৈর্ঘ্যে 25,000 হাত ও প্রস্থে 20,000 হাত হবে: জমির সবটাই হবে পবিত্র। 2 দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে 500 হাত করে একটি চারকোণা জায়গা মন্দিরের জন্য ব্যবহার করা হবে। মন্দিরের চারধারে 50 হাত চওড়া একটি খোলা জায়গা থাকবে। 3 সেই পবিত্র জায়গার মধ্যে তুমি একটি 25,000 হাত দীর্ঘ ও 10,000 হাত প্রস্থের জমি মাপবে—মন্দিরটা এই জায়গাতেই হবে। মন্দিরের এই জায়গাটি হবে পবিত্রতম স্থান।
4 “পবিত্র স্থানের এই অংশটি যাজক ও মন্দিরের ভৃত্যদের জন্য; যারা প্রভুর সেবা করার জন্য এগিয়ে আসে। সেটা যাজকদের ঘরের জন্য ও মন্দিরের জন্য। 5 আরেকটি স্থান যা মাপে 25,000 হাত দীর্ঘ ও 10,000 হাত চওড়া তা হবে লেবীয়দের জন্য, যারা মন্দিরে সেবা করে। সেই জমি লেবীয়দের অধিকারে থাকবে এবং বাস করবার জন্য তাদের শহর হবে।
6 “সেই শহরকে তুমি 25,000 হাত লম্বা ও 5000 হাত চওড়া একটি ক্ষেত্র দেবে। এটা হবে সমস্ত ইস্রায়েল পরিবারের জন্য। 7 পবিত্র স্থানের উভয় পার্শ্বে এবং শহরটির জমির একটি ভাগে শাসকের অংশ থাকবে। সেই স্থানটি হবে পবিত্রস্থানের পাশে ও পূর্ব ও পশ্চিম শহরের সীমানা। ইস্রায়েলের কোন পরিবারগোষ্ঠীর অধিকারের জমি যত চওড়া, এ জমিও ঠিক ততটাই চওড়া হবে। তা পশ্চিম সীমা থেকে পূর্ব সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। 8 এই জমি হবে ইস্রায়েলের শাসকদের সম্পত্তি। সেই জন্য শাসকদের আমার প্রজাদের জীবন কষ্টকর করে তোলার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু তারা সেই জমি ইস্রায়েলকে তাদের পরিবারগোষ্ঠীর জন্য দেবে।”
9 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথাগুলি বলেছেন, “ইস্রায়েলের শাসকরা, যথেষ্ট হয়েছে আর আমার লোক জনের প্রতি হিংস্র হোয়ো না! ইস্রায়েলকে তাদের পরিবার গোষ্ঠীগুলির জমি দাও।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথাগুলি বলেছেন।
10 “লোক ঠকানো বন্ধ কর। সঠিক পাল্লা ও মাপ ব্যবহার কর। 11 ঐফার (শুকনো জিনিস মাপার জন্য পাত্র) ও বাত (তরল জিনিস মাপার পাত্র) এর মাপ যেন এক হয়। বাত ও ঐফা উভয়েই যেন 1/10 হোমার হয়। ঐ মাপগুলি যেন হোসরের মাপ অনুসারেই হয়। 12 এক শেকেল 20 গেরার সমান। এক মিনা 60 শেকেলের সমান, তা অবশ্যই 20 শেকেল যোগ 25 শেকেল যোগ 15 শেকেলের সমান হয়।
13 “এই বিশেষ নৈবেদ্যগুলি তোমরা অবশ্যই দেবে:
প্রত্যেক হোসর গম থেকে 1/6 ঐফা গম দাও।
প্রত্যেক হোসর বার্লি থেকে 1/6 ঐফা বার্লি দাও।
14 প্রতি কোর ওলিভ তেলের জন্য 1/10 বাত পরিমাণ ওলিভ তেল।
মনে রেখো: দশ বাতে এক হোসর হয়। দশ বাতে এক কোর হয়।
15 ইস্রায়েলের চারণ ভূমিতে চরে
এমন প্রতিটি 200 মেষ থেকে একটি করে মেষ।
“এই বিশেষ নৈবেদ্যগুলি শস্য নৈবেদ্য, হোমবলির নৈবেদ্য ও সহভাগীতার নৈবেদ্যর জন্য। এইসব নৈবেদ্য লোকদের শুচি করবার জন্য।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
16 “নগরের প্রত্যেকে এই উপহার দেবার জন্য ইস্রায়েলের শাসকের সঙ্গে যোগ দেবে। 17 কিন্তু বিশেষ পবিত্র দিনের জন্য যা প্রয়োজন তা অবশ্যই শাসক দেবে। শাসক অবশ্যই উৎসবের দিনগুলির জন্য, অমাবস্যা ও নিস্তারপর্বের জন্য, এবং ইস্রায়েলের পরিবারের সমস্ত বিশেষ উৎসবের জন্য হোমবলি, শস্য নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্যর যোগান দেবে। ইস্রায়েল পরিবারকে পবিত্র করার জন্য যে পাপার্থক নৈবেদ্য, শস্য নৈবেদ্য, হোমবলি ও সহভাগীতার নৈবেদ্যর প্রয়োজন তা অবশ্যই যোগাবে।”
18 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “প্রথম মাসের প্রথম দিনে তুমি একটি নিখুঁত ষাঁড় নেবে; মন্দির পবিত্র করতে তা ব্যবহার কর।” 19 যাজক পাপার্থক বলি থেকে কিছুটা রক্ত নিয়ে তা মন্দিরের চৌকাঠে, বেদীর চার কোণে এবং ভেতরের প্রাঙ্গনের দরজার চৌকাঠে লাগাবে। 20 সেই মাসের সপ্তম দিনেও তুমি অজ্ঞাতে যে ব্যক্তি পাপ করেছে ও যে অবোধ তার জন্য ঐ একই কাজ করবে। এইভাবে তুমি সেই মন্দির শুচি করবে।
নিস্তারপর্বের নৈবেদ্য
21 “প্রথম মাসের 14তম দিনে তুমি নিস্তারপর্ব পালন করবে। খামিরবিহীন রুটির ভোজের পর্বও সেই সময় শুরু হয় আর সাত দিন ধরে চলে। 22 সেই সময় শাসক নিজের জন্য ও ইস্রায়েলের লোকদের জন্য পাপমোচন নৈবেদ্য হিসাবে একটি ষাঁড় উৎসর্গ করবে। 23 উৎসবের সাত দিনের প্রত্যেকদিন শাসক নিখুঁত সাতটি ষাঁড় ও একটি পুং মেষ সরবরাহ করবে। সেই গুলি প্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি রূপে উৎসর্গ করা হবে। এছাড়াও, প্রত্যেকদিন তাকে একটি করে পুং ছাগও অবশ্যই উৎসর্গ করবার জন্য দিতে হবে। 24 শাসক প্রত্যেক ষাঁড়ের সাথে শস্য নৈবেদ্য হিসাবে এক ঐফা বার্লি এবং প্রতি মেষের সাথে এক ঐফা পরিমাণ বার্লি দেবে। শাসক প্রত্যেক ঐফার শস্যের সাথে এক হিন পরিমাণ তেলও দেবে। 25 নিস্তারপর্বের সাত দিনই শাসক ঐ একই কাজ করবে। সপ্তম মাসের 15তম দিনে ঐ উৎসব শুরু হয়। এই নৈবেদ্যগুলি হবে পাপার্থক নৈবেদ্য, হোমবলির নৈবেদ্য, শস্য নৈবেদ্য ও তেল উৎসর্গ।”
নিস্তারপর্বের নৈবেদ্য
46 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ভিতরের প্রাঙ্গণের পূর্বের দিকের দরজা সপ্তাহে কাজ করার ছয় দিন বন্ধ থাকবে কিন্তু নিস্তারপর্বের দিন ও অমাবস্যায় তা খুলে দেওয়া হবে। 2 শাসক সেই দরজার অলিন্দ দিয়ে গিয়ে চৌকাঠে দাঁড়াবে। যাজক তখন শাসকের সেই হোমবলি ও সহভাগীতার নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। শাসক কিন্তু দরজার মুখে উপাসনা করবে এবং তারপর বাইরে যাবে। সূর্য্যাস্ত পর্যন্ত সেই দরজা বন্ধ করা হবে না। 3 সাধারণ লোকরাও নিস্তারপর্বের দিনে ও অমাবস্যার দিনে সেই দরজায় দাঁড়িয়ে প্রভুর উপাসনা করবে।
4 “শাসক নিস্তারপর্বের দিন প্রভুকে উৎসর্গ করার জন্য অবশ্যই ছটি নির্দোষ মেষশাবক ও নিখুঁত পুং মেষের যোগান দেবে। 5 নৈবেদ্য হিসাবে মেষের সাথে তাকে এক ঐফা শস্য দিতে হবে তবে মেষশাবকের সাথে দেওয়া শস্য নৈবেদ্যর পরিমাণ শাসকের ইচ্ছানুসারেই হবে। কিন্তু প্রতি ঐফা শস্যের সাথে তিনি অবশ্যই এক হিন পরিমাণ তেল দেবেন।
6 “অমাবস্যার দিন তাকে এক নির্দোষ যুব ষাঁড়, ছটি মেষশাবক ও একটি পুং মেষ উৎসর্গ করতে হবে। 7 শাসক প্রতি ষাঁড়ের সাথে ও প্রতি পুং মেষের সঙ্গে এক এক ঐফা শস্য আনবে। মেষশাবকের সাথে যে শস্য নৈবেদ্য দিতে হবে তার পরিমাণ শাসকের ইচ্ছানুযায়ী হতে পারে কিন্তু প্রতি ঐফা শস্যের সঙ্গে তাকে অবশ্যই এক হিন পরিমাণ তেল দিতে হবে।
8 “ঢোকার সময় শাসক অবশ্যই পূর্ব দিকের দরজার বারান্দায় প্রবেশ করবে এবং সেই দিক দিয়েই বেরিয়ে আসবে।
9 “বিশেষ পর্বের সময় সাধারণ মানুষ যখন প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসে, তখন যে ব্যক্তি উপাসনা করার জন্য উত্তরের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সে দক্ষিণের দরজা দিয়ে বাইরে যাবে আর যে ব্যক্তি দক্ষিণের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সে উত্তরের দরজা দিয়ে বাইরে যাবে। যে পথে প্রবেশ করা হয়েছে সেই পথ দিয়ে কেউ যেন বাইরে না যায়। প্রত্যেক ব্যক্তি যেন সোজা পথ চলে বাইরে বার হয়। 10 শাসক লোকদের মধ্যে থাকবে। লোকেরা ভেতরে প্রবেশ করলে শাসকও প্রবেশ করবে এবং তারা বার হলে সেও বার হবে।
11 “পর্বের সময় এবং বিশেষ বিশেষ সমাবেশের সময় প্রতিটি বৃষ-বৎসের সঙ্গে এক ঐফা শস্য নৈবেদ্য এবং প্রতি পুং মেষের সঙ্গেও এক ঐফা করে শস্য নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে হবে। মেষশাবকের সাথে শস্য নৈবেদ্যর পরিমাণ যে ব্যক্তি ঐটি উৎসর্গ করছে তার ইচ্ছানুযায়ী হতে পারে কিন্তু তাকে প্রতি ঐফা শস্যের সঙ্গে অবশ্যই যেন এক হিন পরিমাণ তেল দিতে হবে।
12 “শাসক যখন প্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের ইচ্ছানুসারে উপহার আনে তখন তা হোমবলি, সহভাগীতার বলি বা মনের ইচ্ছানুযায়ী উৎসর্গ হতে পারে—এর জন্য পূর্ব দিকের দরজা খোলা থাকবে। শাসক নিস্তারপর্বের মত তার হোমবলি ও সহভাগীতার বলি উৎসর্গ করবে এবং সে চলে গেলে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রতি দিনের নৈবেদ্য
13 “প্রতিদিন তুমি একটি নির্দোষ এক বৎসর বয়স্ক মেষশাবকের যোগান দেবে। তা প্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি রূপে উৎসর্গ করা হবে। প্রতি সকালে তার যোগান দেবে। 14 তাছাড়া প্রতি দিন সকাল বেলা মেষশাবকের সঙ্গে শস্য নৈবেদ্যও উৎসর্গ করবে। গম ভেজাবার জন্য প্রতি 1/6 ঐফা গমের সঙ্গে 1/3 হিন পরিমান তেলও তোমাকে দিতে হবে। এ হবে প্রভুর উদ্দেশ্যে প্রতি দিনের জন্য উৎসর্গীকৃত শস্য নৈবেদ্য। 15 তারা চিরকাল প্রতি সকাল বেলা মেষশাবক, শস্য নৈবেদ্য, ও তেল হোমবলি উৎসর্গ করার জন্য দেবে।”
শাসকদের উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিধি সমূহ
16 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যদি শাসক তার জমির কোন অংশ তার পুত্রকে দেয়, তবে সেই অংশ পুত্রদের সম্পত্তি হবে। 17 কিন্তু শাসক যদি সেই জমির অংশ উপহার হিসাবে তার কোন এক দাসকে দেয় তবে তা কেবল মুক্তির বছর[b] পর্যন্ত সেই দাসের অধিকারে থাকবে তারপর তা শাসকের কাছে ফেরত যাবে। কেবল শাসকের পুত্ররাই উপহারের স্থায়ী অধিকারী হতে পারে। 18 শাসক লোকদের কোন জমি নেবে না বা তাদের জোরপূর্বক জমি ছেড়ে যেতে বাধ্য করবে না। শাসক কেবলমাত্র তার নিজের জমির কিছু অংশ তার পুত্রদের দেবে এবং এইভাবে আমার লোকরা তাদের জমি ছাড়তে বাধ্য হবে না।”
বিশেষ রান্নার ঘর
19 সেই পুরুষ আমায় দরজার পাশের প্রবেশ পথে চালিত করে উত্তর দিকে যাজকদের জন্য যে পবিত্র ঘরগুলি আছে সেইখানে নিয়ে গেলেন। সেখানে পশ্চিম প্রান্তের সরু রাস্তাটিতে আমি একটা স্থান দেখলাম। 20 সেই পুরুষটি আমায় বলল, “এইস্থানে যাজকদের দোষমোচনের বলি ও পাপমোচনের বলি অবশ্য সেদ্ধ করতে হবে। তারা শস্য নৈবেদ্য পোড়াবে, তাই তাদের এইসব নৈবেদ্য প্রাঙ্গণে নিয়ে আসার দরকার হবে না। তারা এইসব পবিত্র জিনিষ বাইরে আনবে না যেখানে লোকেরা থাকে।”
21 তখন সেই পুরুষটি আমাকে বাইরের প্রাঙ্গণে এনে প্রাঙ্গণের চারধারে চালিত করল। আমি বড় প্রাঙ্গণটির চার কোণে ছোট ছোট প্রাঙ্গণ দেখতে পেলাম। 22 প্রতি প্রাঙ্গণের কোণে একটি করে ছোট ঘেরা জায়গা ছিল। প্রতিটি ছোট প্রাঙ্গণ লম্বায় 40 হাত ও চওড়ায় 30 হাত করে ছিল। চারটি স্থানেরই মাপ এক। 23 প্রতিটি ছোট চার বারান্দার চারধার ইঁটের দেওয়ালে ঘেরা ছিল। ইঁটের দেওয়ালে স্থানে স্থানে রান্নার জায়গা ছিল। 24 সেই পুরুষটি আমায় বলল, “এই রান্না ঘরগুলিতেই, মন্দিরের সেবকরা লোকরা যে সব উৎসর্গগুলি আনবে সেগুলি সেদ্ধ করবে।”
যীশু আমাদের সহায়
2 আমার প্রিয় সন্তানরা, আমি তোমাদের একথা লিখছি যাতে তোমরা পাপ না কর। কিন্তু কেউ যদি পাপ করে ফেলে, তবে পিতার কাছে আমাদের পক্ষে কথা বলার একজন আছেন, তিনি সেই ধার্মিক ব্যক্তি, যীশু খ্রীষ্ট। 2 তিনিই সেই প্রায়শ্চিত্ত বলিগুলি, যার ফলে আমাদের সব পাপ দূর হয়। কেবল আমাদের সব পাপ নয়, জগতের সমস্ত মানুষেরও পাপ দূর হয়।
3 যদি আমরা ঈশ্বরের আদেশ পালন করি, তবেই বুঝতে পারব যে আমরা তাঁকে জানি। 4 কেউ যদি বলে যে, “আমি ঈশ্বরকে জানি,” অথচ ঈশ্বরের আদেশ পালন না করে তবে সে মিথ্যাবাদী, আর তাঁর সত্য তার অন্তরে নেই। 5 কিন্তু যে তাঁর শিক্ষা পালন করে, ঈশ্বরের ভালবাসা সত্যি তার মধ্যে পূর্ণতা লাভ করেছে। এইভাবে আমরা সুনিশ্চিত হতে পারি যে আমরা তাঁর মধ্যেই অবস্থান করছি। 6 কেউ যদি বলে যে আমি ঈশ্বরে আছি তাহলে তাকে অবশ্যই তাঁর মতো জীবনযাপন করতে হবে।
প্রতিবেশীকে ভালবাসো
7 প্রিয় বন্ধুরা, আমি তোমাদের কাছে কোন নতুন আদেশ লিখছি না, এ এমন এক পুরানো আদেশ, যা তোমরা আদি থেকেই পেয়েছ। তোমরা যে বার্তা শুনেছ তা হল পুরানো আদেশ। 8 কিন্তু আমি এই পুরানো আদেশই তোমাদের কাছে এক নতুন আদেশরূপে লিখছি। এই আদেশ সত্য এবং এর সত্যতা তোমরা যীশু খ্রীষ্টে ও তোমাদের জীবনে দেখেছ, কারণ অন্ধকার কেটে যাচ্ছে আর প্রকৃত জ্যোতি ইতিমধ্যেই উজ্জ্বল।
9 যে বলে আমি জ্যোতিতে আছি কিন্তু তার নিজের ভাইকে ঘৃণা করে, সে এখনও অন্ধকারেই আছে। 10 যে তার ভাইকে ভালবাসে, সে জ্যোতিতে রয়েছে। তার জীবনে এমন কিছুই নেই যা তাকে পাপী করে। 11 কিন্তু যে তার ভাইকে ঘৃণা করে সে এখনও অন্ধকারেই আছে। সে অন্ধকারেই বাস করে আর জানে না সে কোথায় চলেছে, কারণ অন্ধকার তাকে অন্ধ করে দিয়েছে।
12 প্রিয় সন্তানগণ, আমি তোমাদের লিখছি,
কারণ খ্রীষ্টের মাধ্যমে তোমাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে।
13 পিতারা, আমি তোমাদের লিখছি,
কারণ যিনি শুরু থেকে আছেন তোমরা তাঁকে জান।
যুবকরা, আমি তোমাদের লিখছি,
কারণ তোমরা সেই পাপাত্মার ওপর জয়লাভ করেছ।
14 শিশুরা, আমি তোমাদের লিখছি,
কারণ যিনি শুরু থেকে আছেন তোমরা তাঁকে জান।
যুবকরা, আমি তোমাদের লিখছি,
কারণ তোমরা শক্তিশালী।
ঈশ্বরের বার্তা তোমাদের অন্তরে আছে;
আর তোমরা সেই পাপাত্মার ওপর জয়লাভ করেছ।
15 তোমরা কেউ এই সংসার বা এই সংসারের কোন কিছু ভালবেসো না। কেউ যদি এই সংসারটাকে ভালবাসে তবে পিতা ঈশ্বরের ভালবাসা তার অন্তরে নেই। 16 কারণ এই সংসারে যা কিছু আছে, যা আমাদের পাপ প্রকৃতি পেতে ইচ্ছা করে, যা আমাদের চক্ষু পেতে ইচ্ছা করে, আর পৃথিবীর যা কিছুতে লোকে গর্ব করে সে সবকিছুই পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে না, আসে জগত থেকে। 17 এই সংসার ও তাঁর অভিলাষ সব বিলীন হতে চলেছে, কিন্তু যে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে চিরজীবি হবে।
খ্রীষ্টারির অনুসরণ করো না
18 প্রিয় সন্তানরা, জগতের শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। আর তোমরা শুনেছ যে খ্রীষ্টারিরা আসছে। এখনই সেই খ্রীষ্টারিরা এসে গেছে, এর ফলেই আমরা বুঝতে পারছি যে এই শেষ সময়। 19 সেই খ্রীষ্টারিরা আমাদের দলের মধ্যেই ছিল। তারা আমাদের মধ্য থেকে বাইরে চলে গেছে। বাস্তবে তারা কোন দিনই আমাদের লোক ছিল না, কারণ তারা যদি আমাদের দলের লোক হত, তবে আমাদের সঙ্গেই থাকত। তারা আমাদের ছেড়ে চলে গেল; এর দ্বারাই প্রমাণ হল যে তারা কেউই আদৌ আমাদের নয়।
20 তোমরা সেই পবিত্রতমের (খ্রীষ্টের) কাছে অভিষিক্ত হয়েছ, তাই তোমরা সকলে সত্য কি তা জান। তবে তোমাদের কাছে কেন আমি লিখি? 21 এটা বলার জন্য আমি লিখছি না যে তোমরা সত্য জান না। আমি তোমাদের লিখছি কারণ তোমরা সত্য জান; আর এও জান যে সত্য থেকে কখনও কোন মিথ্যার উৎপত্তি হতে পারে না।
22 তবে সেই মিথ্যাবাদী কে? সে-ই, যে ব্যক্তি বলে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট নন, সে-ই খ্রীষ্টের শত্রু, যে বলে যীশু সেই খ্রীষ্ট নয়, সেই ব্যক্তি পিতাকে বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে না তাঁর পুত্র খ্রীষ্টকে। 23 যে পুত্রকে অস্বীকার করে, সে পিতা ঈশ্বরকেও পায় না। কিন্তু যে পুত্রকে গ্রহণ করে, সে পিতা ঈশ্বরকেও পেয়েছে।
24 শুরু থেকে তোমরা যা শুনে আসছ, সেই সব বিষয় অবশ্যই তোমাদের অন্তরে রেখো। শুরু থেকে তোমরা যা শুনেছ তা যদি তোমাদের অন্তরে থাকে তবে তোমরা পিতা ঈশ্বর ও তাঁর পুত্রের সাহচর্য্যে থাকবে। 25 আর ঈশ্বর এটাই আমাদের দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা হল অনন্ত জীবন।
26 যারা তোমাদের ভুল পথে নিয়ে যেতে চায় তাদের বিষয়ে তোমাদের এইসব কথা লিখলাম। 27 খ্রীষ্ট তোমাদের এক বিশেষ বরদান দিয়েছেন এবং তা তোমাদের মধ্যে রয়েছে। তাই তোমাদের অন্য কারোর শিক্ষার দরকার নেই। যে বরদান তোমরা পেয়েছ তা তোমাদের সব বিষয়ে শিক্ষা দেয়। এ বরদান সত্য, এর মধ্যে মিথ্যার লেশমাত্র নেই। তাই এই বরদান যেমন শিক্ষা দিয়েছে, সেইমত তোমরা খ্রীষ্টে থাক।
28 এখন আমার স্নেহের সন্তানরা, খ্রীষ্টেতে থাক। তা করলে খ্রীষ্ট যখন প্রকাশিত হবেন তখন আমাদের আর ভয়ের কিছু থাকবে না। তিনি এলে তাঁর সামনে দাঁড়াতে ভয় বা লজ্জা পেতে হবে না। 29 যদি তোমরা জান যে খ্রীষ্ট ধার্মিক তাহলে তোমরা এও জান যে যারা ধর্মাচরণ কাজ করে তারা ঈশ্বরের সন্তান।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International