Old/New Testament
মোয়াব সম্বন্ধে বার্তা
48 মোয়াব দেশ সম্বন্ধে হল এই বার্তা। প্রভু সর্বশক্তিমান, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন:
“নবো পর্বতের জন্য খুব খারাপ হবে।
নবো পর্বত ধ্বংস হয়ে যাবে।
কিরিয়াথয়িমকে অপদস্থ করা হবে
এবং তাকে দখল করা হবে।
ঐ শক্তিশালী জায়গাটিকে
অবদমিত ও ধ্বংস করা হবে।
2 মোয়াবের আর কখনো প্রশংসা করা হবে না।
হিশ্বোনের লোকরা মোয়াবের পরাজয়ের পরিকল্পনা করবে।
তারা বলবে, ‘এসো, আমরা ঐ দেশটি শেষ করে দিই।’
মদ্মেনা, তুমিও নিশ্চুপ হয়ে যাবে।
প্রভুর তরবারি তোমাকেও তাড়া করবে।
3 হোরোণয়িম থেকে কান্নার রোল উঠছে শোন।
তারা বিশৃঙ্খল অবস্থা ও ধ্বংস দেখে কাঁদছে।
4 মোয়াব ধ্বংস হবে।
তার সন্তানরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করে কাঁদবে।
5 মোয়াবের লোকরা কাঁদতে কাঁদতে
লূহীতের ফুটপাত দিয়ে হাঁটবে।
তাদের সেই বেদনাবিধুর কান্নার আওয়াজ শোনা যাবে
হোরোণয়িম শহরের রাস্তা থেকে।
6 বাঁচার জন্য পালাও। দৌড়োও!
ঝোপের ছোট ছোট শেকড় যেমন মরুঝড়ে উড়ে যায় সেই ভাবে পালিয়ে যাও।
7 “তোমরা যা তৈরী করেছিলে তাতে তোমাদের বিশ্বাস আছে, বিশ্বাস আছে তোমাদের সম্পদে।
তাই তোমরা বন্দী হবে।
তোমাদের দেবতা কমোশ[a] কেও নির্বাসনে পাঠানো হবে বন্দী করে নিয়ে গিয়ে।
তার যাজক এবং আধিকারিকদেরও বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে।
8 ধ্বংস আসবে প্রত্যেক শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে।
কোন শহর পালাতে পারবে না।
এই উপত্যকা ধ্বংস হয়ে যাবে।
উচ্চ সমতলভূমিও ধ্বংস হবে।
প্রভু যেহেতু বলেছেন এইগুলি ঘটবে,
তাই এগুলি ঘটবেই।
9 মোয়াবের সমস্ত জমিতে নুন ছড়িয়ে দাও।
এই দেশ শূন্য মরুভূমিতে পরিণত হবে।
মোয়াবের শহরগুলি
শূন্য শহরসমূহে পরিণত হবে।
10 যদি কোন ব্যক্তি প্রভুর নির্দেশ মতো তার তরবারি ব্যবহার না করে
এবং হত্যা করে তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে বিপর্যয় আসবে।
11 “মোয়াব কখনও অশান্তি কি তা জানতে পারেনি।
মোয়াব ছিল নির্দিষ্ট স্থানে সঞ্চিত রাখা সুরার মতো স্থির।
তাকে কখনও এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢালা হয়নি।
তাকে কখনও নির্বাসনের জন্য বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
তাই তার স্বাদ আগের মতোই অভিন্ন
এবং তার গন্ধেরও পরিবর্তন হয়নি।”
12 প্রভু বলেছেন,
“কিন্তু শীঘ্রই আমি কিছু লোক পাঠাব যারা তোমাকে
সুরার মতো এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢালবে।
তারপর তারা শূন্য পাত্রের মতো আছাড় মেরে
তোমাকে টুকরো টুকরো করবে।”
13 তখন মোয়াবের লোকরা তাদের মূর্ত্তি কমোশের জন্য লজ্জিত হবে। বৈথেলে ইস্রায়েলের লোকরাও মূর্ত্তিকে বিশ্বাস করেছিল এবং যখন ঐ মূর্ত্তি তাদের কোন ভাবেই সাহায্য করতে পারেনি তখন তারা হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিল। মোয়াবের সেই রকমই হবে।
14 “তুমি বলতে পারো না, ‘আমরা ভালো সৈন্য।
আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে সাহসী।’
15 শত্রুপক্ষ মোয়াব আক্রমণ করবে।
তারা মোয়াব শহরগুলির ভেতরে ঢুকে সেগুলিকে ধ্বংস করে দেবে।
গণ হত্যার সময় মোয়াবের সবচেয়ে শক্তিশালী যুবকরা মারা যাবে।”
এই বার্তা হল রাজার।
রাজার নাম হল প্রভু সর্বশক্তিমান।
16 “মোয়াবের ধ্বংস হবে শীঘ্রই।
মোয়াবের পরিসমাপ্তি খুব কাছে এগিয়ে আসছে।
17 মোয়াবের প্রতিবেশী লোকরা, তোমরা ঐ দেশের জন্য চিৎকার করে কাঁদো!
লোকরা, তোমরা জানো যে মোয়াব কতখানি বিখ্যাত
তাই তার জন্য কাঁদো।
এই বিলাপ গীত গাও: ‘রাজার শাসন শেষ।
মোয়াবের শক্তি ও গৌরব শেষ হয়ে গেছে।’
18 “তোমরা দীবোনের লোকরা,
তোমাদের শ্রদ্ধার জায়গা থেকে নেমে এসো।
কারণ ধ্বংসকারী আসছে।
সে এসে তোমাদের সমস্ত শক্তিশালী শহরগুলোকে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেবে।
19 “অরোয়ের লোকরা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করে দেখো
একজন পুরুষ ও নারী দৌড়ে পালাচ্ছে।
ওদের জিজ্ঞাসা করো কি হয়েছে।
20 “মোয়াব ধ্বংস হবে এবং লজ্জায় ভরে যাবে।
মোয়াব শুধু কাঁদবে আর কাঁদবে।
অর্ণোন নদীতে ঘোষণা হচ্ছে
মোয়াব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
21 উচ্চসমতল ভূমির লোকরাও শাস্তি পাবে।
হোলন, যহস, মেফাৎ শহরে
শাস্তির বিধান এসে গিয়েছে।
22 বিচার দণ্ড উপস্থিত হয়েছে
দীবোন, নবো এবং বৈৎ-দিব্লাথয়িম শহরে।
23 বিচার দণ্ড উপস্থিত হয়েছে
কিরিয়াথয়িম, বৈৎগামূল এবং বৈৎ-মিয়োন শহরে।
24 বিচার দণ্ড এসেছে করিয়োৎ এবং বস্রা শহরগুলিতে।
বিচার দণ্ড এসেছে মোয়াবের কাছের ও দূরের সমস্ত শহরগুলিতেও।
25 মোয়াবের সমস্ত শক্তি ছিন্ন করা হয়েছে।
মোয়াবের বাহু ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
প্রভু এই কথা বলেছিলেন।
26 “মোয়াব নিজেকে প্রভুর চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভেবেছিল।
অতএব মোয়াবকে শাস্তি দাও যতক্ষণ না সে
মাতালের মতো টলতে টলতে হাঁটে, যতক্ষণ না সে বমি করে এবং তার ওপর নিজেই গড়াগড়ি খায়!
মানুষ মোয়াবকে নিয়ে উপহাস করবে।
27 “মোয়াব তুমি সব সময় ইস্রায়েলকে নিয়ে হাসাহাসি করেছ।
ইস্রায়েল যখন একদল চোরের হাতে ধরা পড়েছিল তখন তুমি তাকে নিয়ে উপহাস করেছো, মজা করেছো।
তুমি সব সময় নিজেকে ইস্রায়েলের থেকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে এসেছো।
যতবার তুমি ইস্রায়েলের সম্বন্ধে কথা বলেছ, তুমি সব সময় এমন ব্যবহার করেছ যেন তুমি তার চেয়ে ভালো।
28 তোমরা, মোয়াবের লোকরা, তোমদের শহরগুলি ত্যাগ কর
এবং পাথর সমূহের মাঝে বাস কর
যেমন করে একটি ঘুঘু পাখী একটি গুহার প্রবেশমুখে
তার বাসা তৈরী করে।”
29 “মোয়াবের আত্মম্ভরিতার কথা আমরা শুনেছি।
সে ছিল ভীষণ অহঙ্কারী।
হামবড়া ভাব দেখিয়ে
সে নিজেকে কেউ কেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করতো।”
30 প্রভু বলেন, “আমি জানি যে মোয়াব খুব তাড়াতাড়ি রেগে যায় এবং সে নিজেই নিজের বড়াই করে বেড়ায়।
কিন্তু তার সব বড় বড় কথাই মিথ্যে।
সে যা বলে তার কিছুই করে দেখাতে পারে না।
31 তাই আমি মোয়াবের জন্য কাঁদি।
কাঁদি তার লোকদের জন্য।
আমি কাঁদলাম কীর-হেরেসের লোকদের জন্য।
32 যাসের লোকদের জন্য আমি যাসেরের সঙ্গে কাঁদলাম।
সিব্মা অতীতে তোমার দ্রাক্ষা ক্ষেত
সমুদ্র উপকূল ঘিরে বিস্তৃত ছিল যাসের পর্যন্ত।
কিন্তু ধ্বংসকারী তোমাদের ফসল ও দ্রাক্ষা নিয়ে গিয়েছে।
33 মোয়াবের বিশাল দ্রাক্ষাক্ষেতগুলির থেকে সমস্ত আনন্দ ও হাসি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে।
আমি দ্রাক্ষার থেকে রসের প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছি যাতে আর কখনও দ্রাক্ষারস না বানানো যায়।
কেউ আর ওগুলোর ওপর দিয়ে নাচতে নাচতে এবং গাইতে গাইতে না হাঁটে।
সেখানে কোন আনন্দের কোলাহল থাকবে না।
34 “হিশ্বোন ও ইলিয়ালী শহরের মানুষ কাঁদছে। সুদূর যহস শহর থেকেও তাদের কান্না শোনা যাচ্ছে। তাদের কান্না শোনা যাচ্ছে সোয়র, হোরেসুয়ম এবং ইগ্লত্-শলিশীয়া শহর থেকেও। এমন কি নিম্রীম নদীর জল শুকিয়ে গিয়েছে। 35 আমি মোয়াবকে সমস্ত উচ্চ স্থানগুলিতে হোমবলি উৎসর্গ করা থেকে বিরত করব। আমি মোয়াবকে তাদের দেবতাদের প্রতি নৈবেদ্য দেওয়া থেকে বিরত করব।” প্রভু এগুলি বললেন।
36 “মোয়াবের জন্য আমি খুবই দুঃখিত। শবযাত্রা কালে শোকসঙ্গীতের সুর তোলা বাঁশির মতো আমার হৃদয় কাঁদছে। আমি কীর হেরেসের লোকদের জন্যও দুঃখিত। তাদের সমস্ত ধনসম্পত্তি লুঠ হয়ে গিয়েছে। 37 প্রত্যেকেই শোক পালনের উদ্দেশ্যে মাথা ন্যাড়া করেছে, দাড়ি কেটেছে, হাত কেটে রক্তপাত ঘটিয়েছে। প্রত্যেকে শোকের পোশাক পরেছে। 38 মোয়াবে মৃতদের জন্য প্রত্যেক জায়গায় লোকেরা, প্রত্যেক বাড়ির মাথায় এবং সমস্ত জনসাধারণ্যে কাঁদছে। আমি মোয়াবকে শূন্য পাত্রের মতো আছাড় মেরে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেছি বলেই চারিদিকে এত শোক।” প্রভু এই কথাগুলি বলেছিলেন।
39 “মোয়াব চুর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে। মানুষ কাঁদছে। মোয়াব আত্মসমর্পণ করেছে এবং এখন লজ্জায় পড়ে গেছে বলে অন্য দেশের মানুষ তাকে নিয়ে উপহাস করছে। কিন্তু মোয়াবে যা ঘটেছে তাতে তারা আতঙ্কে পূর্ণ।”
40 প্রভু বলেন, “দেখ! একটি ঈগল পাখী আকাশ থেকে নীচের দিকে ধেয়ে আসছে
আর তার ডানার পরিধি বিস্তৃত হচ্ছে মোয়াবের ওপর।
41 মোয়াবের শহরগুলি অধিকৃত হবে।
দূর্গ দিয়ে ঘেরা জায়গাগুলিও পরাজিত হবে।
সেই সময় মোয়াবের সৈন্যরা প্রসব বেদনায় কাতর মহিলার মতো ভীত হয়ে পড়বে।
42 পুরো মোয়াব দেশটাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
কেননা তারা ভেবেছিল যে তারা প্রভুর থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ।”
43 প্রভু এই কথাগুলি বলেন:
“মোয়াবের লোকরা, ভীত হও, গভীর খাদ এবং ফাঁদ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
44 লোকরা ভয়ে দৌড়বে
এবং গভীর খাদগুলিতে পড়বে।
কেউ যদি সেই খাদ বেয়ে বাইরে উঠে আসে, সে মুক্ত হবে না
কারণ তাকে ধরবার জন্য ফাঁদ পাতা আছে।
আমি মোয়াবে শাস্তির বছর নিয়ে আসব।”
প্রভু এই কথাগুলি বললেন।
45 “শত্রুবাহিনীর ভয়ে মানুষ নিরাপত্তার জন্য হিশ্বোন শহরের দিকে ছুটবে
কিন্তু সেখানেও তারা নিরাপদ নয়।
হিশ্বোনে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে।
সীহোনের শহর থেকে এই আগুনের উৎপত্তি।
ঐ আগুন মোয়াবের নেতাদের পুড়িয়ে মারবে,
পুড়িয়ে মারবে অহঙ্কারী লোকগুলোকে।
46 মোয়াব তোমার সত্যিই দুঃসময় ঘনিয়ে আসছে।
তোমার দেবতা কমোশ ও তার লোকরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
তোমার ছেলেমেয়েদের বন্দী করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্বাসনে।
47 মোয়াবের লোকদের নির্বাসনে পাঠানো হলেও
এমন একদিন আসবে যেদিন তাদের সবাইকে আবার আমি মোয়াবে ফিরিয়ে আনব।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
মোয়াবের বিচারদণ্ড এখানেই শেষ।
অম্মোন সম্বন্ধে বার্তা
49 এই হল প্রভুর বার্তা অম্মোনের লোকদের জন্য। প্রভু বলেছেন:
“অম্মোনের লোকরা তোমরা কি ভাবো যে
ইস্রায়েলের লোকদের কোন সন্তান নেই?
তোমরা কি ভাবো সেখানে কোন উত্তরপুরুষ নেই
যারা তাদের পিতা মাতার মৃত্যুর পর দেশের ভার নিতে পারে?
হয়তো এই কারণেই কি মিল্কম গাদের দেশ নিয়ে নিয়েছিল?”
2 প্রভু বলেন, “সময় আসবে যখন রব্বা অম্মোন দেশের রাজধানী,
লোকরাও যুদ্ধের শব্দ শুনতে পাবে।
রব্বা শহরও ধ্বংস হবে।
শহরের শূন্য পাহাড়গুলির মাথায় পড়ে থাকবে ধ্বংসস্তূপের জঞ্জাল।
এই শহরের লোকরা ইস্রায়েলীয়দের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল
কিন্তু পরে ইস্রায়েল তাদের দেশ পুনরায় অধিকার করবে।”
প্রভু এই কথাগুলি বলেছেন।
3 “হিশ্বোনের মানুষ কাঁদো! কারণ অয় শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
রব্বা এবং অম্মোনের কন্যারা কাঁদো!
শোক পোশাক পরে কাঁদো।
ছুটে যাও নিরাপদ শহরের খোঁজে।
কারণ শত্রুবাহিনী আসছে।
তারা দেবতা মিল্কমকে এবং তার যাজক ও কর্তাদের ধরে নিয়ে যাবে।
4 তোমরা তোমাদের শক্তি নিয়ে বড়াই করছো
কিন্তু তোমরা সেই শক্তি হারাবে।
তোমরা ভেবেছিলে তোমাদের অর্থ তোমাদের রক্ষা করবে।
তোমরা ভেবেছিলে তোমাদের আক্রমণের কথা কেউ কল্পনাও করতে পারে না।”
5 কিন্তু প্রভু সর্বশক্তিমান বলেছেন:
“তোমাদের আমি চারিদিক থেকে সমস্যায় জর্জরিত করে তুলব।
তোমরা দৌড়ে পালাবে
এবং কেউ তোমাদের আর ফিরিয়ে আনতে পারবে না।”
6 “অম্মোনের লোকদের বন্দী করে নির্বাসনে পাঠানো হলেও সময় আসবে যখন আমি আবার তাদের ফিরিয়ে আনব।” এই হল প্রভুর বার্তা।
ইদোম সম্বন্ধে বার্তা
7 এই বার্তা হল ইদোম সম্বন্ধে। প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন:
“তৈমনে কি আর কোন জ্ঞান নেই?
ইদোমের জ্ঞানী ব্যক্তিরা কি উপদেশ দিতে সক্ষম নয়?
তারা কি তাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে?
8 দদানের লোকরা, দৌড়ে গিয়ে লুকিয়ে পড়ো।
কারণ এষৌকে তার পাপের জন্য আমি শাস্তি দেব।
9 “শ্রমিকরা, যারা দ্রাক্ষাক্ষেত থেকে দ্রাক্ষা সংগ্রহ করে,
তারা ক্ষেতে কিছু দ্রাক্ষা ছেড়ে রেখে যায়।
রাত্রে যদি চোর আসে তারা চুরি করে,
কিন্তু তারা সবকিছু চুরি করে না।
10 কিন্তু আমি এষৌয়ের সব কিছু নিয়ে যাবো।
যেখানেই সে লুকিয়ে থাকুক আমি তাকে খুঁজে বার করবই।
এষৌয়ের সন্তান, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের হত্যা করা হবে।
11 তার সন্তানদের দেখাশোনা করবার জন্য কেউ পড়ে থাকবে না।
তার স্ত্রীরা কাউকেই পাবে না যার ওপর নির্ভর করা যায়।”
12 প্রভু যা বলেন তা হল এই: “কিছু মানুষ শাস্তির যোগ্য না হলেও তাদের এই কষ্ট ভোগ করতে হবে। কিন্তু ইদোম, তুমি শাস্তির যোগ্য এবং তোমাকে সত্যিই শাস্তি পেতে হবে। তুমি শাস্তির হাত থেকে পালাতে পারবে না।” 13 প্রভু বলেছেন, “আমি আমার শক্তির দ্বারাই এই প্রতিশ্রুতি করছি: আমি প্রতিশ্রুতি করছি যে বস্রা শহর ধ্বংস হবে। ঐ শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। বস্রা শহরকে লোকরা ধ্বংসের উদাহরণ হিসাবে নেবে যখন তারা অন্য শহরগুলিতে খারাপ ঘটনা ঘটাবার ইচ্ছে করবে। অন্য দেশের মানুষ ঐ শহরকে অপমান করবে এবং বস্রা শহরের আশে-পাশের শহরগুলিও চিরদিনের জন্য ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।”
14 প্রভুর কাছ থেকে এই বার্তা আমি শুনেছি।
এবং দেশগুলিতে তিনি একটি বার্তাসহ তাঁর দূত পাঠালেন:
“সৈন্যদের একত্রিত করে
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও!
সৈন্যবাহিনী সমেত ইদোমের দিকে এগিয়ে চলো।
15 ইদোম, আমি তোমাকে গুরুত্বহীন করে দেব।
মানুষ তোমাকে ঘৃণা করবে।
16 ইদোম, তুমি অন্য দেশগুলিকে ভয় দেখিয়েছিলে।
তুমি নিজেকে ভেবেছিলে গুরুত্বপূর্ণ কেউ একজন।
কিন্তু আসলে তুমি তোমার অহঙ্কার দ্বারা বোকা হয়ে গিয়েছিলে।
তোমার অহঙ্কারই তোমার কাল হল।
ইদোম, তুমি পাহাড়ের চূড়ায় একটি সুরক্ষিত বাড়ী তৈরী কর়েছিলে।
কিন্তু তুমি যদি ঈগল পাখীরা যেখানে তাদের বাসা বাঁধে সেই উচ্চতায় একটি বাড়ী তৈরী করতে
এবং সেখানে থাকতে, তাহলেও তোমাকে আমি টেনে নীচে নামাতাম।”
প্রভু এই কথাগুলি বলেছিলেন।
17 “ইদোম ধ্বংস হয়ে যাবে।
শহরের দুরবস্থা দেখে লোকেরা শোকাহত হবে।
ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরগুলি দেখে লোকরা বিস্ময় বিহ্বল হয়ে যাবে।
তারা ধ্বংপ্রাপ্ত শহরগুলির দিকে বিস্ময় বিহ্বল হয়ে শিস্ দেবে।
18 সদোম ঘমোরা এবং তার আশপাশের শহরের মতো ইদোমও ধ্বংস হয়ে যাবে।
কোন মানুষ আর সেখানে জীবিত থাকবে না।”
প্রভু এই কথাগুলি বললেন।
19 “যর্দন নদীর তীরবর্তী ঝোপ থেকে কখনো কখনো একটি সিংহ বেরিয়ে আসবে। সেই সিংহ হানা দেবে মেষ ও বাছুরের আস্তানায়। আমিও সেই সিংহের মতো হানা দেব ইদোমে। ভয় দেখাব ঐ লোকদের। তারা দৌড়ে পালাবে। তাদের কোন যুবক আমাকে থামতে পারবে না। আমার মত কে আছে? কে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে? তাদের কোন মেষপালক (নেতারা) আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না।”
20 ইদোমের লোকদের নিয়ে প্রভু কি করবেন
তার পরিকল্পনা শোন।
শোন তৈমনের লোকদের নিয়ে
প্রভু কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শত্রুরা ইদোমের পালের (লোকরা) ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জোর করে টেনে নিয়ে যাবে।
ইদোমের তৃণভূমি শুকিয়ে যাবে
তাদের কৃতকর্মের জন্য।
21 ইদোমদের পতনের শব্দে
পৃথিবী কেঁপে উঠবে।
তাদের কান্না
সেই সূফ সাগর পর্যন্ত শোনা যাবে।
22 প্রভু হবেন তার শিকারের ওপর উড়ন্ত একটি ঈগল পাখীর মত।
তিনি হবেন বস্রা শহরের ওপর তার ডানা ছড়ানো একটি ঈগল পাখীর মত।
সেই সময় ইদোমের সৈন্যরা ভয় পেয়ে যাবে
এবং শিশু প্রসবরত একটি মহিলার মত কাঁদবে।
দম্মেশক সম্বন্ধে বার্তা
23 এই বার্তাটি দম্মেশক সম্বন্ধে:
“হমাৎ এবং অর্পদ শহরগুলি আতঙ্কিত
কারণ তারা খারাপ খবরটি শুনতে পেয়েছে।
তারা নিরুৎসাহ হয়ে পড়েছে।
তারা অশান্ত সমুদ্রের মত অশান্ত হয়েছে।
24 দম্মেশক শহর দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
শহরের মানুষ পালাতে চায়।
তারা আতঙ্কিত।
কারণ তারা অনুভব করছে যন্ত্রণার কষ্ট।
সে যন্ত্রণা যেন প্রসব বেদনায় কাতর মহিলার মতো।”
25 “দম্মেশক হল সুখের শহর।
এখনও সেখানকার মানুষ ঐ ‘মজার শহর’ ছেড়ে চলে যায়নি।
26 সুতরাং শহরের যুবকরা মারা যাবে চৌরাস্তার ওপর।
সৈনিকদেরও একই সময়ে হত্যা করা হবে।”
প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বলেছেন।
27 “আমি দম্মেশক শহরের প্রাচীরে আগুন লাগিয়ে দেব।
ঐ আগুন বিন্হদদের শক্তিশালী দূর্গগুলোকে সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে দেবে।”
কেদর এবং হাৎসোর সম্বন্ধে বার্তা
28 এই বার্তা হল কেদর পরিবারগোষ্ঠী এবং হাৎসোরের শাসকবৃন্দের সম্বন্ধে। বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসর তাদের যুদ্ধে পরাজিত করেছিল। প্রভু বলেছেন:
“যাও কেদর পরিবারগোষ্ঠীকে আক্রমণ করো।
ধ্বংস করে দাও পূর্বের লোকদের।
29 তাদের তাঁবু এবং মেষের পালকে নিয়ে যাওয়া হবে।
তাদের ধনসম্পদ ও সমস্ত তল্পি-তল্পাও নিয়ে নেওয়া হবে।
শত্রুপক্ষ তাদের উটও নিয়ে যাবে।
লোকরা চিৎকার করে বলবে:
‘আমাদের চারিদিকে ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটছে।’
30 হাৎসোরের লোকরা, তাড়াতাড়ি পালাও
লুকোনোর গোপন জায়গা খুঁজে নাও।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
“নবূখদ্রিৎসর তোমাদের পরাজিত করার জন্য
একটি বেদনাদায়ক পরিকল্পনা করেছে।”
31 “সেখানে একটি দেশ আছে যে নিজেকে নিরাপদ মনে করে।
ঐ দেশের কোন ফটক নেই, সীমানায় কোন কাঁটা তারের বেড়াজাল নেই।
সেই দেশের আশেপাশে কোন মানুষ থাকে না।
প্রভু বললেন, ‘ঐ দেশকে আক্রমণ করো।’”
32 “শত্রুবাহিনী তাদের বাছুর ও উট চুরি করে নিয়ে যাবে।
তারা তাদের রুটির কোণা কাটে।
বেশ, আমি তাদের দৌড় করিয়ে নিয়ে যাব পৃথিবীর আর এক প্রান্তে।
এবং প্রত্যেক জায়গাতেই তাদের জীবন সমস্যায় জর্জরিত করে তুলব।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
33 “হাৎসোর নামের এই দেশটিতে শুধু কুকুর ঘুরে বেড়াবে।
এখানে কোন মানুষ থাকবে না।
চিরকালের জন্য এই দেশ শূন্য মরুভূমিতে পরিণত হবে।”
এলম সম্বন্ধে বার্তা
34 যিহূদার রাজা সিদিকিয়র রাজত্বের শুরুতে ভাববাদী যিরমিয় প্রভুর কাছ থেকে একটি বার্তা পেয়েছিল। বার্তাটি ছিল এলম সম্বন্ধে।
35 প্রভু সর্বশক্তিমান বলেছেন,
“এলমের সব থেকে শক্তিশালী অস্ত্র হল ধনুক।
আমি সেই ধনুক শীঘ্রই ভেঙে দেব।
36 আমি এলমের বিরুদ্ধে চারটি বায়ুসমূহকে পঠাব।
আমি ঐ লোকগুলিকে পৃথিবীর প্রত্যেকটি জায়গায় পাঠাব যেখানে চারটি বায়ুসমূহ বয়।
তারপর তাদের বন্দী করে বিভিন্ন দেশে নির্বাসনে পাঠানো হবে।
37 আমি তাদের শত্রুদের চোখের সামনে
এলমকে টুকরো টুকরো করে কাটব।
আমি এলমের ওপর মারাত্মক অশান্তি আনব।
আমি আমার ক্রোধ তাদের দেখাব।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
“এলমকে তাড়া করার জন্য আমি আমার তরবারি পাঠাব।
এলমের লোকদের শেষ না করা পর্যন্ত আমার তরবারি ফিরে আসবে না।
38 আমি এলমকে দেখাব যে আমার দমন কর্ত্তৃত্ব আছে।
আমি এলমের রাজা ও তার সভাসদদের ধ্বংস করব।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
39 “কিন্তু ভবিষ্যতে আবার আমি এলমের জন্য শুভ খবর বয়ে আনব।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
যাজক মল্কীষেদক
7 এই মল্কীষেদক শালেমের রাজা ও পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক ছিলেন। অব্রাহাম যখন রাজাদের পরাস্ত করে ঘরে ফিরছিলেন তখন এই মল্কীষেদক অব্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন। 2 অব্রাহাম যুদ্ধ জয় করে যা কিছু পেয়েছিলেন তার দশ ভাগের একভাগ তাঁকে দিয়েছিলেন।
মল্কীষেদকের নামের অর্থ হল, “ন্যায়ের রাজা,” এরপর তিনি আবার “শালেমের রাজা” অর্থাৎ “শান্তিরাজ।” 3 মল্কীষেদকের মা, বাবা, বা তাঁর পূর্বপুরুষের কোন বংশতালিক পাওয়া যায় না, তার শুরু বা শেষের কোন নথি নেই। ঈশ্বরের পুত্রের মতো তিনি হলেন অনন্তকালীন যাজক।
4 তাহলে তোমরা দেখলে, মল্কীষেদক কতো মহান ছিলেন। এমন কি আমাদের কুলপিতা অব্রাহাম যুদ্ধ জয় করে লুঠ করা দ্রব্যের দশ ভাগের এক ভাগ তাঁকে দিয়েছিলেন। 5 লেবির সন্তানদের মধ্যে যাঁরা যাজক হন তাঁরা তাঁদের ভাই ইস্রায়েলের সন্তানদের কাছ থেকে বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে এক দশমাংশ গ্রহণ করার অধিকার লাভ করেন, যদিও তাঁরা উভয়েই অব্রাহামের বংশধর। 6 মল্কীষেদক লেবির বংশের ছিলেন না, কিন্তু তিনি অব্রাহামের কাছ থেকে দশমাংশ নিয়েছিলেন; আর ঈশ্বর যাকে আশীর্বাদ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন সেই অব্রাহামকে আশীর্বাদ করেছিলেন। 7 এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ক্ষুদ্রতর ব্যক্তিই সব সময় মহত্তর ব্যক্তির কাছ থেকে আশীর্বাদ লাভ করে।
8 ইহুদী যাজকরা মরণশীল হয়েও এক দশমাংশ পেয়েছিলেন। কিন্তু মল্কীষেদক, যিনি অব্রাহামের কাছ থেকে এক দশমাংশ পেয়েছিলেন তিনি জীবিত, শাস্ত্র এই কথা বলে। 9 আবার এও বলা যেতে পারে যে লেবি নিজেও অব্রাহামের মধ্য দিয়ে মল্কীষেদককে দশমাংশ দিয়েছেন। 10 মল্কীষেদক যখন অব্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন লেবি তাঁর পিতৃকুলপতির (অব্রাহামের) দেহে অবস্থান করছিলেন।
11 যাঁরা যাজকের কাজ করতেন সেই লেবির বংশধরদের কাজের উপর ভিত্তি করে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের তাঁর বিধি-ব্যবস্থা দিয়েছিলেন। সেই যাজকের মাধ্যমে যখন লোকেরা আত্মিকভাবে সিদ্ধি লাভ করতে পারে নি তখন অন্য এক যাজকের আসার প্রয়োজন হল, অন্য একজন যাজক যিনি হারোণের মতো নন কিন্তু মল্কীষেদকের মতো। 12 যখন যাজকত্ব বদলানো হয় তখন বিধি-ব্যবস্থারও পরিবর্তন আবশ্যক হয়ে পড়ে। 13 আমরা এসব কথা খ্রীষ্টের বিষয়ে বলছি। তিনি তো অন্য বংশভুক্ত। সেই বংশের কেউ তো যাজকরূপে যজ্ঞবেদীর পরিচর্যা কখনও করেন নি। 14 কারণ এটা সুস্পষ্ট যে আমাদের প্রভু যিহূদা বংশ থেকেই এসেছেন; আর এই বংশের ব্যাপারে মোশি যাজক হওয়ার বিষয়ে কিছুই বলেন নি।
যীশু মল্কীষেদকের মতোই যাজক
15 এই বিষয়গুলি আরও সুস্পষ্ট হয়ে যায় যখন আমরা মল্কীষেদকের মতো আর একজন যাজককে মূর্ত্তমান হতে দেখি। 16 তিনি মানুষের রীতি-নীতি এবং বিধি-ব্যবস্থা অনুযায়ী যাজক হন নি, কিন্তু তিনি অবিনশ্বর জীবনী শক্তির অধিকারী হয়েই তা হয়েছিলেন। 17 কারণ তাঁর বিষয়ে শাস্ত্রে একথা বলা হয়েছে: “মল্কীষেদকের মতো তুমি অনন্তকালীন যাজক।”(A)
18 পুরানো বিধান বাতিল করা হল, কারণ তা দুর্বল ও অকেজো হয়ে পড়েছিল। 19 কারণ মোশির বিধি-ব্যবস্থা কিছুই সিদ্ধ করতে পারে নি। এখন আমাদের কাছে মহত্তর আশা রয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হতে পারি।
20 আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে ঈশ্বর যখন যীশুকে মহাযাজক করেন তখন ঈশ্বর শপথ করেছিলেন, অন্যরা যাজক হবার সময় ঈশ্বর কোন শপথ করেন নি, 21 কিন্তু তিনি যীশুকে যাজক করার সময় শপথ করলেন। ঈশ্বর বললেন:
“প্রভু এক শপথ করলেন,
আর তিনি এ বিষয়ে তাঁর মন বদলাবেন না,
‘তুমি অনন্তকালীন যাজক।’”(B)
22 এই শপথের কারণে যীশু ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের উত্কৃষ্টতর এক চুক্তির জামিনদার হয়েছেন।
23 অনেকে যাজক হয়েছিলেন, কারণ মৃত্যু কোনও একজন যাজককে অনন্তকালের জন্য থাকতে দেয় নি। 24 কিন্তু ইনি (যীশু) চিরজীবি বলে তাঁর এই যাজকত্ব চিরস্থায়ী। 25 তাই যাঁরা খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে আসে তাদের তিনি চিরকাল উদ্ধার করতে পারেন, কারণ তাদের জন্য তাঁর কাছে আবেদন করতে তিনি চিরকাল জীবিত আছেন।
26 প্রকৃতপক্ষে যীশুর মতো এইরকম পবিত্র, নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক একজন মহাযাজক আমাদের প্রয়োজন ছিল। তিনি পাপীদের থেকে স্বতন্ত্র, আর আকাশ মণ্ডলের উর্দ্ধেও তাঁকে উন্নীত করা হয়েছে। 27 তিনি অন্যান্য যাজকদের মতো নন। অন্যান্য যাজকদের মতো প্রতিদিন আগে নিজের পাপের জন্য ও পরে লোকদের পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করার তাঁর কোন প্রয়োজন নেই, কারণ তিনি যখন নিজেকে বলিরূপে একবার উৎসর্গ করেন তখনই তিনি সেই কাজ চিরকালের জন্য সম্পন্ন করেন। 28 বিধি-ব্যবস্থানুসারে যে সব মহাযাজক নিয়োগ করা হয় তারা দুর্বল মানুষ; কিন্তু পরে ঈশ্বরের শপথ বাক্যের দ্বারা, যাঁকে মহাযাজকরূপে নিয়োগ করা হয়, তিনি ঈশ্বরের পুত্র, যিনি চির সিদ্ধ।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International