Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
যিশাইয় 11-13

শান্তিরাজ আসছেন

11 একটি ছোট গাছ (শিশু) যিশয়ের গোড়া (পরিবার) থেকে বাড়বে। ঐ শাখাটি যিশয়ের শিকড়গুলি থেকে বাড়বে। আর প্রভুর আত্মা এই বালকটির ওপরে ভর করবে। এই আত্মা বালকটিকে জ্ঞান, বুদ্ধি, পথনির্দেশ এবং শক্তি দেবে। এই আত্মা বালকটিকে প্রভুকে জানার এবং তাঁকে সম্মান করার শিক্ষা দেবে। প্রভুর প্রতি সমীহ দ্বারা বালকটি অনুপ্রাণিত হবে।

সে বাইরের চেহারা দিয়ে কোন কিছু বিচার করবে না। কোন কিছু শোনার ভিত্তিতে সে রায় দেবে না। 4-5 সে সততা ও ধার্মিকতার সঙ্গে দীন-দরিদ্রদের বিচার করবে। সে ন্যায়ের সঙ্গে দেশের দীনহীনদের বিভিন্ন বিষয়ের নিষ্পত্তি করবে। যদি সে কোন লোককে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তার আদেশমতো ঐ লোকটিকে শাস্তি পেতেই হবে। যদি সে লোকদের মৃত্যুর আদেশ দেয় তাহলে তাদের হত্যা করা হবে। সুবিচার, ধার্মিকতাই এই শক্তির অন্যতম উৎস। এই গুণগুলি তাঁর কোমরের বন্ধনীর মতো হবে।

সে সময় নেকড়ে বাঘ এবং মেষশাবক এক সঙ্গে শান্তিতে বাস করবে। বাঘ এবং ছাগল ছানা এক সঙ্গে শান্তিতে শুয়ে থাকবে। বাছুর, সিংহ এবং ষাঁড় একসঙ্গে শান্তিতে বাস করবে। এবং একটা ছোট্ট শিশু তাদের চালনা করবে। গরু এবং ভাল্লুক একসঙ্গে শান্তিতে বাস করবে। তাদের সমস্ত শাবকরাও একসঙ্গে বাস করবে। কেউ কারো অনিষ্ট করবে না। সিংহ গরুর মতো খড় খাবে। এমনকি সাপও মানুষকে দংশন করবে না। একটা শিশুও নির্ভয়ে কেউটে সাপের গর্তের ওপর খেলা করতে পারবে। বিষাক্ত সাপের গর্তের মধ্যেও সে নির্দ্বিধায় হাত দিতে পারবে।

এইসব বিষয়গুলি আসলে প্রমাণ করে কেউ কারও কোন ক্ষতি না করে পরস্পর শান্তিতে বাস করবে। লোকরা আমার পবিত্র পর্বতের কোন অংশে হিংসা কিংবা ধ্বংসের আশ্রয় নেবে না। কারণ এইসব লোকরা যথার্থভাবে প্রভুকে চেনে ও জানে। ভরা সমুদ্রের জলের মতো প্রভু বিষয়ক অগাধ জ্ঞানে তারা পরিপূর্ণ থাকবে।

10 সে সময় যিশয়ের পরিবারবর্গ থেকে একজন বিশেষ ব্যক্তি থাকবেন। এই ব্যক্তি লোকের পতাকা স্বরূপ হবেন। এই “পতাকা” সকল দেশকে তাঁর চারপাশে আসার জন্য পথ দেখাবে। সব দেশ তাঁর কাছে তাঁদের করণীয় কর্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইবে এবং তাঁর বিশ্রামস্থল মহিমান্বিত হবে।

11 সেদিন প্রভু (ঈশ্বর) তাঁর লোকদের অবশিষ্ট অংশকে মুক্ত করে আনতে দ্বিতীয় বারের জন্য হস্তক্ষেপ করবেন। (অর্থাৎ‌ তিনি অশূর, মিশর, পথ্রোষ, এলম, বাবিল, হমাৎ এবং সমুদ্রের চতুর্দিকের সমস্ত উপত্যকা থেকে অবশিষ্ট লোকদের আনবেন।) 12 আর তিনি সমস্ত লোকদের জন্য “পতাকা” তুলবেন। ইস্রায়েল ও যিহূদা থেকে বিতাড়িত লোক যারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ছিন্নমূলের মতো বাস করছিল তাদের তিনি একত্রিত করবেন।

13 এই সময় ইফ্রয়িমের (ইস্রায়েলের) ঈর্ষা দূর হবে। ইফ্রয়িম আর যিহূদাকে ঈর্ষা করবে না। যিহূদার আর কোন শত্রু থাকবে না। এবং যিহূদা ইফ্রয়িমের অসুবিধার কারণ হবে না। 14 কিন্তু ইফ্রয়িম এবং যিহূদা একসঙ্গে পলেষ্টীয়দের আক্রমণ করবে। কোন ছোট্ট প্রাণীর ওপর দুটি পাখি এক সঙ্গে ছোঁ মারলে যেমন হয় তাদের আক্রমণ অনেকটা সে রকম হবে। দুটি দেশ এক সঙ্গে পূর্বের দেশ থেকে ধনসম্পদ লুঠ করবে। ইফ্রয়িম এবং যিহূদা ইদোম, মোয়াব এবং অম্মোনের লোকদের নিয়ন্ত্রণ করবে।

15 প্রভু মিশরের উপসাগরকে শুকিয়ে ফেলবেন এবং ধ্বংস করে ফেলবেন। তিনি ফরাৎ নদীর ওপর তাঁর হাত আন্দোলিত করবেন এবং ফরাৎ সাতটা ছোট ছোট নদীতে বিভক্ত হবে। এই ছোট ছোট নদীগুলি গভীর হবে না। লোকরা অনায়াসেই জুতো পরে নদীগুলির ওপর দিয়ে হেঁটে পার হতে পারবে। 16 আর মিশর দেশ থেকে ইস্রায়েল বেরিয়ে আসার সময় যেমন তার জন্য পথের সৃষ্টি হয়েছিল তেমনি অশূরে জীবিত থাকা তাঁর লোকদের অশূর ত্যাগের জন্য ঈশ্বর একটি নতুন পথের সৃষ্টি করবেন।

ঈশ্বরের প্রশংসামুখর গান

12 আর সেদিন তুমি বলবে:
“হে প্রভু আমি তোমার প্রশংসা করি!
তুমি আমার প্রতি ক্রুদ্ধ ছিলে।
    কিন্তু এখন আর আমার প্রতি ক্রুদ্ধ থেকো না!
আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা প্রদর্শন কর।
ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেন।
    আমি তাকে বিশ্বাস করি।
আমি ভয় পাই না, তিনি আমাকে রক্ষা করেন।
    প্রভু যিহোবা আমার শক্তিও বটে।
    তিনি আমাকে রক্ষা করেন এবং আমি তাঁর প্রশংসার গান গাই।”

পরিত্রাণের ঝর্ণা থেকে তোমরা জল তুলবে
    এবং তারপর তোমরা আনন্দিত হবে।
তারপর তুমি বলবে, “প্রভুর প্রশংসা কর!
তাঁর নাম উপাসনা কর!
    সমস্ত দেশে তাঁর কর্মের কথা বিদিত করে দাও।
    ঘোষণা কর যে তাঁর নাম মহান!”
প্রভুর প্রশংসার গান গাও!
    কেন না, তিনি মহান কাজ করেছেন।
এই খবর পৃথিবীময় ছড়িয়ে দাও।
    পৃথিবীর সব মানুষ তা জানুক।
হে সিয়োনবাসীগণ, উচ্চস্বরে ঈশ্বরের স্তবগান কর।
    ইস্রায়েলের পবিত্রতম ঈশ্বর অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে তোমার সঙ্গে আছেন।
    তাই সকলে খুশী হও।

বাবিলের প্রতি ঈশ্বরের বার্তা

13 আমোসের পুত্র যিশাইয় ঈশ্বরের কাছ থেকে বাবিল বিষয়ক এই দুঃখজনক বার্তা পান।

ঈশ্বর বললেন, “তোমরা বৃক্ষশূন্য পর্বতের ওপরে পতাকা তোল।
    লোকদের হাত নেড়ে চিৎকার করে ডাক।
তাদের বল, গুরুত্বপূর্ণ লোকদের জন্য যে প্রবেশপথ
    সেই পথ দিয়ে প্রবেশ করতে।”

ঈশ্বর বললেন, “আমি ঐসব লোকদের অন্যান্যদের থেকে আলাদা করেছি
    এবং তাদের বিষয়ে আমি নিজে আদেশ দিয়েছি।
    আমি ক্রুদ্ধ।
আমি লোকদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আমার শক্তিশালী যোদ্ধাদের একত্র করেছি,
    যারা আমার গর্ব ও আনন্দ।

“পর্বতগুলোতে একটা বিরাট শব্দ আছে, সেই শব্দটি শোন!
    এটা পর্বতমালায় বহু জনসমাগমের শব্দ।
অনেক রাজ্যের লোকরা একসঙ্গে জড়ো হয়েছে।
    প্রভু সর্বশক্তিমান তাঁর সেনাবাহিনীকে ডাকছেন।
প্রভু এবং তার সেনাদল আসছে।
    দূর দেশ থেকে তারা আসছে, দিগন্তের ওপার থেকে।
প্রভু তাঁর ক্রোধ প্রদর্শন করতে সেনাদলকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করবেন,
    এই সেনাদল গোটা দেশকে ধ্বংস করবে।”

হাহাকার কর, নিজেদের জন্য দুঃখ কর। কেননা প্রভুর বিশেষ দিন আগত প্রায়। সেই সময়ে আসছে যখন শত্রুরা তোমার সম্পদ লুঠ করবে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর স্বয়ং তা ঘটাবেন। লোকরা তাদের সাহস হারাবে। ভয় মানুষকে দুর্বল করবে। প্রতিটি মানুষই ভয় পাবে। এই ভয় মহিলাদের প্রসব বেদনার মতো তাদের কষ্ট দেবে। তাদের মুখ হবে অগ্নিবর্ণ। লোকে একে অপরের দিকে ভয়ার্ত চোখে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবে।

বাবিলের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার

দেখ, প্রভুর বিশেষ দিন আসছে। এই দিন হবে ভয়ঙ্কর। ঈশ্বর ক্রোধে গোটা দেশকে ধ্বংস করবেন। ঈশ্বর এই দেশের সমস্ত পাপী লোকদের ধ্বংস করবেন। 10 সেই দিন আকাশে অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে। সূর্য, চাঁদ এবং তারারা কিরণ দেবে না।

11 ঈশ্বর বললেন, “আমি পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটাব। আমি দুষ্ট লোকদের তাদের পাপের জন্য শাস্তি দেব। আমি অহঙ্কারী লোকদের তাদের দর্প হারিয়ে দেব। আমি নিষ্ঠুর লোকদের গর্ব চূর্ণ করে দেব। 12 শুধুমাত্র অল্প কয়েকজন লোক বেঁচে থাকবে। এদের সংখ্যা এত নগন্য হবে যে তা সোনা খোঁজার মতোই কঠিন। এবং এইসব লোকেরা খাঁটি সোনার থেকেও অনেক বেশী দামী। 13 ক্রোধে আমি আকাশমণ্ডলকে কম্পিত করব। এর ফলে পৃথিবী টলে গিয়ে স্থান ভ্রষ্ট হবে।”

যেদিন প্রভু সর্বশক্তিমান তাঁর ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন সেদিন এসব ঘটনা ঘটবে। 14 তখন বাবিল থেকে লোকরা আহত হরিণের মতো, মেষপালকবিহীন মেষের মতো নিজ নিজ দেশের দিকে ছুটে পালাবে। 15 কিন্তু শত্রুরা বাবিলের লোকদের তাড়া করবে এবং যে ধরা পড়বে তাকেই তারা তরবারি দিয়ে হত্যা করবে। 16 তাদের বাড়িগুলি লুণ্ঠিত হবে। তাদের স্ত্রীরা ধর্ষিত হবে। আর তাদের চোখের সামনেই তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হবে।

17 ঈশ্বর বললেন, “দেখ আমি মাদীয়দের সেনা দ্বারা বাবিলকে আক্রমণ করাব। রূপো ও সোনা দেওয়া হলেও মাদীয়র সেনারা লড়াই থামাবে না। 18 তীরন্দাজরা যুবকদের হত্যা করবে। শিশুদের তারা ক্ষমা করবে না। তারা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের প্রতিও করুণা করবে না। 19 ঈশ্বর বাবিলকে ধ্বংস করবেন ঠিক যে ভাবে তিনি সদোম ও ঘমোরাকে ধ্বংস করেছিলেন।

“যদিও বাবিল হচ্ছে সব চেয়ে সুন্দর রাজ্য এবং সেখানকার নাগরিকদের গর্বস্বরূপ 20 কিন্তু বাবিল আর সুন্দর থাকবে না। ভবিষ্যতে লোক সেখানে বাস করবে না। আরবীও সে স্থানে তাঁবু ফেলবে না। মেষপালকরা সেখানে মেষ চরাবে না। 21 শুধুমাত্র মরুভূমির হিংস্র বন্য জন্তু জানোয়াররাই সেখানে বাস করবে। বাবিলের বাড়িতে কোন লোক বাস করবে না। সেখানে বন্য জন্তুরা শুয়ে থাকবে। বন্য ছাগলরা খেলা করবে। পেঁচা এবং বড় বড় পাখিতে বাড়িগুলি ভর্ত্তি হয়ে যাবে। 22 বাবিলের সুন্দর প্রাসাদোপম মনোরম বাড়িগুলিতে বন্য কুকুর এবং নেকড়েরা চিৎকার করতে থাকবে। বাবিলকে ধ্বংস করা হবে। বাবিলের শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। বাবিলের দিন আর বাড়ানো হবে না।”

ইফিষীয় 4

দেহের একতা

আমি প্রভুর বলে কারাগারে বন্দী। ঈশ্বর তোমাদের মনোনীত করেছেন যেন তোমরা তাঁর লোক হতে পার। আমি তোমাদের সেইরকম জীবনযাপন করতে অনুরোধ করি, যেভাবে ঈশ্বরের লোকদের জীবনযাপন করা উচিত। তোমরা সর্বদাই নতনম্র থাক, সহিষ্ণু হও, ভালবেসে একে অপরকে গ্রহণ কর। পবিত্র আত্মা তোমাদের যুক্ত করেছিলেন। সেই একতা রক্ষা করার জন্য সর্বোত্তমভাবে চেষ্টা কর। শান্তি তোমাদের একসঙ্গে ধরে থাকুক। দেহ এক ও আত্মা এক, ঠিক সেইরকমই ঈশ্বর তোমাদের সকলকে এক প্রত্যাশার জন্য আহ্বান করেছেন। কেবল একই প্রভু, এক বিশ্বাস ও এক বাপ্তিস্ম রয়েছে; আর আছেন এক ঈশ্বর যিনি সকলের পিতা। যিনি সকলের ওপরে কর্তৃত্ত্ব করেন। তিনি সর্বত্র আছেন ও সবকিছুতে আছেন।

খ্রীষ্ট আমাদের প্রত্যেককে বিশেষ বিশেষ বরদান দিয়েছেন। যাকে যা দিতে ইচ্ছা করেছেন তাকে তা দিয়েছেন। তাই শাস্ত্র বলছে:

“তিনি উর্দ্ধে আকাশে গেলেন,
    সঙ্গে বন্দীদের নিয়ে গেলেন,
    আর মানুষের হাতে তুলে দিয়ে গেলেন নানা বরদান।”(A)

যখন বলা হয়েছে, “তিনি উর্দ্ধে উঠে গেলেন,” তার অর্থ কি? তার অর্থ এই যে প্রথমে তিনি নিম্নে পৃথিবীতে নেমেছিলেন। 10 সেই জন যিনি নেমে এসেছিলেন (খ্রীষ্ট) তিনি সেই একই ব্যক্তি যিনি আকাশের থেকেও উচ্চে উঠেছিলেন, যাতে সব কিছুই তাঁর দ্বারা পূর্ণ করতে পারেন। 11 সেই খ্রীষ্ট লোকদের বরদান করলেন, তাদের কয়েকজনকে প্রেরিত করলেন, আবার কয়েকজনকে ভাববাদী, কয়েকজনকে সুসমাচার প্রচারক, কয়েকজনকে শিক্ষক ও পালক হবার ক্ষমতা দিলেন। 12 ঈশ্বরের লোকদের প্রস্তুত করার জন্য ও সেবার কাজ সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে খ্রীষ্ট এইসব বরদান করেছেন। খ্রীষ্টের দেহরূপে মণ্ডলীকে গঠন করার জন্য তিনি সেইসব বর দিয়েছেন। 13 যে পর্যন্ত না আমরা ঈশ্বরের পুত্রের বিষয়ে একই বিশ্বাস ও তত্ত্বজ্ঞানে সুষ্ঠভাবে যুক্ত হব, সেই পর্যন্ত এই কাজ চলতে থাকবে। আমাদের পরিণত মানুষের মতো হতে হবে। আমরা ততদিন বৃদ্ধি পেতে থাকব যে পর্যন্ত না খ্রীষ্টের মত হই ও তাঁর মত সম্পূর্ণ সিদ্ধ হই।

14 তখন আমরা আর শিশুর মত থাকব না। জাহাজ যেমন তরঙ্গের দাপটে এদিক ওদিক চালিত হয়, তেমনি আমরা কোন নতুন শিক্ষা দ্বারা আর স্থানচ্যুত হব না; ঠগবাজ লোকের নতুন শিক্ষা দ্বারা আমরা প্রভাবিত হব না। এরা তাদের পরিকল্পনা ও চালবাজি দ্বারা মানুষকে ঠকিয়ে ভুল পথে নিয়ে যায়। 15 আমরা বরং প্রেমের সঙ্গে সত্য কথাই বলব, এইভাবে খ্রীষ্টের মতো সব বিষয়ে আমরা বৃদ্ধিলাভ করব। খ্রীষ্ট হলেন মস্তক, আমরা তাঁর দেহ। 16 সমস্ত দেহটা খ্রীষ্টের ওপর নির্ভরশীল। দেহের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরস্পরের সঙ্গে একত্রে যুক্ত রয়েছে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যখন তাদের করণীয় কাজ করে, তখন সমস্ত দেহ বৃদ্ধিলাভ করে প্রেমে শক্ত ও দৃঢ় হয়।

সঠিক জীবনযাপনের নির্দেশ

17 প্রভুর হয়ে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা বিশ্বাস করে না এমন লোকদের মতো জীবনযাপন করো না। এমন লোকের চিন্তাধারা মূল্যহীন। 18 তাদের জ্ঞান বুদ্ধি নেই। তারা কিছুই জানে না কারণ শুনতে চায় না। তাই যে জীবন ঈশ্বর তাদের দিতে চান তা থেকে তারা বঞ্চিত থাকে। 19 তাদের মনে লজ্জা বলে কোন অনুভূতিই নেই, তারা মন্দ পথে নিজেদের গা ভাসিয়ে দিয়েছে। বিনা দ্বিধায় তারা সব রকম খারাপ কাজ করে চলে। 20 কিন্তু খ্রীষ্টের কাছ থেকে তোমরা তো এমন মন্দ শিক্ষা পাও নি। 21 আমি জানি তাঁর অনুগামী হিসাবে সেই সত্য অনুসারে তোমাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল, যে সত্য খ্রীষ্ট যীশুতে রয়েছে। 22 তোমাদের পুরানো প্রবৃত্তিকে ত্যাগ করতে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আগে যেভাবে মন্দ জীবনযাপন করতে তা ছাড়তে বলা হয়েছে। সেই পুরানো সত্ত্বা দিন দিন মন্দ থেকে মন্দতর হয়, কারণ লোকরা তাদের মন্দ চিন্তা দ্বারা প্রবঞ্চিত হয়। 23 কিন্তু তোমাদের শেখানো শিক্ষা অনুসারে তোমরা আপন হৃদয়ে পুনরায় নতুন হয়ে ওঠ, 24 এবং সেই নতুন সত্ত্বাকে অবশ্যই পরিধান কর। সেই নতুন সত্ত্বা ঈশ্বরের মত হবার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সত্যই ভাল এবং পবিত্র।

25 তাই একে অপরের কাছে মিথ্যা বলা বন্ধ কর। “তোমরা অবশ্যই সর্বদা একে অপরের সঙ্গে সত্য কথা বলবে,”(B) কারণ আমরা পরস্পর এক দেহেরই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। 26 “রেগে গেলে তার প্রভাবে যেন পাপ করো না”(C) এবং সারাদিন রাগ করে থেকো না। 27 তোমাকে পরাস্ত করতে দিয়াবলকে কোন রকম সুযোগ নিতে দিও না। 28 যে এক সময় চুরি করত সে যেন আর কখনও চুরি না করে, বরং ভাল কিছু কাজ করতে নিজ হাতে পরিশ্রম করে। সে যেন সবরকম ভাল কাজ করে, তাহলে অভাবী লোকদের সঙ্গে ভাগ করে দেবার জন্যেও তার কিছু থাকবে।

29 অপরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার সময় কোন খারাপ কথা বলো না। লোকেদের প্রয়োজনীয় আত্মিক শক্তি দেবার জন্য যা ভাল কেবল তাই-ই বল। এমনভাবে কথা বল যেন তোমার কথায় অপরের উপকার হয়। 30 তোমরা ঈশ্বরের পবিত্র আত্মাকে বিষন্ন করো না। আত্মা ঈশ্বরের কাছে প্রমাণ করে যে তোমরা ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত। ঈশ্বরের নিরূপিত সময়ে ঈশ্বর যে তোমাদের মুক্ত করবেন তার প্রমাণস্বরূপ ঈশ্বর সেই আত্মাকে তোমাদের মধ্যে দিয়েছেন। 31 সব রকমের তিক্ততা, রোষ, ক্রোধ, চেঁচামেচি, নিন্দা ও সব রকমের বিদ্বেষভাব তোমাদের থেকে দূরে রাখ। 32 পরস্পরের প্রতি স্নেহশীল হও, পরস্পরকে একইভাবে ক্ষমা কর, যেভাবে ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদের ক্ষমা করেছেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International