New Testament in a Year
21 বিধি-ব্যবস্থায় (শাস্ত্রে) বলে:
“অন্য ভাষার লোকদের দ্বারা
ও অন্য দেশীয়দের মুখ দিয়ে
আমি এই জাতির সঙ্গে কথা বলব;
কিন্তু সেই লোকরা আমার কথা শুনবে না।”(A)
প্রভু এই কথা বলেন।
22 তাই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা, এই চিহ্ন বিশ্বাসীদের জন্য নয় বরং তা অবিশ্বাসীদের জন্যই। কিন্তু ভাববাণী অবিশ্বাসীদের জন্য নয়, তা বিশ্বাসীদের জন্যই। 23 সেই জন্য যখন সমগ্র মণ্ডলী সমবেত হয়, তখন যদি প্রত্যেকে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলতে থাকে; আর সেখানে যদি কোন অবিশ্বাসী বা অন্য কোন বাইরের লোক প্রবেশ করে, তবে তারা কি বলবে না যে তোমরা পাগল? 24 কিন্তু যদি সকলে ভাববাণী বলে, সেই সময় যদি কোন অবিশ্বাসী লোক বা অন্য কোন সাধারণ লোক সেখানে আসে, তবে সেই ভাববাণী শুনে সে তার পাপের বিষয়ে সচেতন এবং সেই ভাববাণীর দ্বারাই বিচারপ্রাপ্ত হয়। 25 এইভাবে তার অন্তরের গোপন চিন্তা সকল প্রকাশ পায়। সে তখন মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে ঈশ্বরের উপাসনা করবে আর বলবে, “বাস্তবিকই, তোমাদের মধ্যে ঈশ্বর আছেন।”[a]
তোমাদের সভাগুলি মণ্ডলীকে সাহায্য করুক
26 আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তাহলে তোমরা কি করবে? তোমরা যখন উপাসনার জন্য এক জায়গায় সমবেত হও, তখন কেউ স্তব গীত করবে, কেউ শিক্ষা দেবে, কেউ যদি কোন সত্য প্রকাশ করে, তবে সে তা বলবে, কেউ বিশেষ ভাষায় কথা বলবে, আবার কেউ বা তার ব্যাখ্যা করে দেবে; কিন্তু সব কিছুই যেন মণ্ডলী গঠনের জন্য হয়। 27 দুজন কিংবা তিনজনের বেশী যেন কেউ অজানা ভাষায় কথা না বলে। প্রত্যেকে যেন পালা করে বলে, আর একজন যেন তার অর্থ বুঝিয়ে দেয়। 28 অর্থ বুঝিয়ে দেবার লোক যদি না থাকে, তাহলে সেই ধরণের বক্তা যেন মণ্ডলীতে নীরব থাকে। সে যেন কেবল নিজের সঙ্গে ও ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলে।
29 কেবলমাত্র দুই বা তিনজন ভাববাদী কথা বলুক এবং অন্যরা তা বিচার করুক। 30 সেখানে বসে আছে এমন কারো কাছে যদি ঈশ্বরের কোন বার্তা আসে তবে প্রথমে যে ভাববাণী বলছিল সে চুপ করুক, 31 যাতে একের পর এক সকলে ভাববাণী বলতে পারে ও সকলে শিক্ষালাভ করে ও উৎসাহিত হয় এবং 32 ভাববাদীদের আত্মা ও ভাববাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। 33 কারণ ঈশ্বর কখনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন না, তিনি শান্তির ঈশ্বর, যা ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের মণ্ডলীগুলিতে সত্য।
34 মণ্ডলীতে স্ত্রীলোকরা নীরব থাকুক। ঈশ্বরের লোকদের সমস্ত মণ্ডলীতে এই রীতি প্রচলিত আছে। স্ত্রীলোকদের কথা বলার অনুমোদন নেই। মোশির বিধি-ব্যবস্থা যেমন বলে সেইমত তারা বাধ্য হয়ে থাকুক। 35 স্ত্রীলোকরা যদি কিছু শিখতে চায় তবে তারা ঘরে নিজেদের স্বামীদের কাছে তা জিজ্ঞেস করুক, কারণ সমাবেশে কথা বলা স্ত্রীলোকের পক্ষে লজ্জার বিষয়।
36 তোমাদের মধ্য থেকেই কি ঈশ্বরের শিক্ষা প্রসারিত হয়েছিল? অথবা কেবল তোমাদের কাছেই কি তা এসেছিল? 37 যদি কেউ নিজেকে ভাববাদী বলে বা আত্মিক বরদান লাভ করেছে বলে মনে করে, তবে সে স্বীকার করুক যে আমি তোমাদের কাছে যা লিখছি সে সব প্রভুরই আদেশ;
38 আর যদি কেউ তা অবজ্ঞা করে তবে সে অবজ্ঞার শিকার হবে। 39 অতএব, আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরা ভাববাণী বলার জন্য আগ্রহী হও এবং বিশেষ ভাষায় কথা বলতে লোকদের নিষেধ করো না, 40 কিন্তু সবকিছু যেন যথাযথভাবে করা হয়।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International