Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
আদি 18

তিনজন অতিথি

18 পরে প্রভু পুনরায় অব্রাহামের সামনে আবির্ভূত হলেন। মম্রির ওক বৃক্ষগুলির কাছে অব্রাহাম বাস করছিলেন। একদিন অব্রাহাম নিজের তাঁবুর প্রবেশ পথে বসেছিলেন। তখন দিনের সবচেয়ে চড়া গরমের সময়। অব্রাহাম চোখ তুলে দেখলেন যে তাঁর সামনে তিনজন আগন্তুক দাঁড়িয়ে। তাঁদের দেখে অব্রাহাম তাঁদের কাছে গিয়ে অভিবাদন জানালেন। অব্রাহাম বললেন, “মহাশয়গণ, আমি আপনাদের সেবক, আমার এখানে আপনারা কিছুক্ষণ অবস্থান করুন। আপনাদের পা ধোয়ার জন্য আমি জল এনে দিচ্ছি। আপনারা গাছের ছায়ায় বিশ্রাম করুন। আমি আপনাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি এবং আপনারা ইচ্ছামত আহার করে আবার আপনাদের গন্তব্যস্থল অভিমুখে যাত্রা করতে পারেন।”

ঐ তিনজন বললেন, “বেশ কথা! যেমন বললেন, আমরা তেমনই করব।”

অব্রাহাম তাড়াতাড়ি তাঁবুর ভেতরে গেলেন। অব্রাহাম সারাকে বললেন, “চট করে তিনজনের মত রুটির ব্যবস্থা করো।” তারপর অব্রাহাম তাঁর গোয়ালে দৌড়ে গেলেন। সবচেয়ে ভাল বাছুরটা বেছে নিলেন। অব্রাহাম তখনই এক ভৃত্যকে ওটাকে মেরে রান্না করার জন্যে বললেন। তারপর অব্রাহাম সেই মাংস আর খানিকটা দুধ ও পনীর এনে অতিথি তিনজনের সামনে রাখলেন। পরিবেশন করার জন্য অব্রাহাম সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং তাঁরা গাছের ছায়ায় বসে ভোজন করলেন।

তারপর তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার স্ত্রী সারা কোথায়?”

অব্রাহাম বললেন, “ওখানে ঐ তাঁবুর মধ্যে।”

10 তখন প্রভু বললেন, “আমি আবার বসন্তকালে আসব। তখন তোমার স্ত্রী সারার একটি পুত্র হবে।”

তাঁবুর ভেতর থেকে সারা সমস্ত কথাবার্তা শুনছিলেন। 11 অব্রাহাম ও সারা তখন রীতিমত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়স সারা অনেকদিন আগে পার হয়ে এসেছেন। 12 স্বভাবতই সারা যা শুনলেন তা বিশ্বাস করলেন না। নিজের মনে মনে সারা হেসে বললেন, “আমি বৃদ্ধা হয়েছি আর আমার স্বামীও বৃদ্ধ। সন্তান প্রসবের পক্ষে আমার অনেক বেশী বয়স হয়েছে।”

13 তখন প্রভু অব্রাহামকে বললেন, “সারা হাসছে। সারা ভাবছে যে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পক্ষে তার অনেক বেশী বয়স হয়েছে। 14 কিন্তু প্রভুর পক্ষে কি কোনও কাজ খুব কঠিন? না! আমি যেমন বলেছি, আবার বসন্তকালে, তেমনই আসব এবং তোমার স্ত্রী সারার তখন সন্তান হবে।”

15 কিন্তু সারা বললেন, “আমি হাসি নি!” (একথা বললেন কারণ তিনি ভয় পেয়েছিলেন।)

কিন্তু প্রভু বললেন, “না! আমি জানি, তা সত্যি নয়! তুমি হেসেছিলে!”

16 তারপর সেই তিনজন আগন্তুক যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। সদোমের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন এবং সদোম অভিমুখে চলতে শুরু করলেন। তাঁদের এগিয়ে দেওয়ার জন্য অব্রাহামও তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটতে শুরু করলেন।

ঈশ্বরের সঙ্গে অব্রাহামের দরাদরি

17 প্রভু আপন মনে বললেন, “এখন আমি কি করব তা কি অব্রাহামকে বলব? 18 অব্রাহাম থেকে জন্মলাভ করবে এক মহান ও শক্তিশালী জাতি এবং অব্রাহামের জন্যেই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে। 19 আমি অব্রাহামের সাথে এক বিশেষ চুক্তি করেছি। প্রভুর ইচ্ছা অনুসারে জীবনযাপনের জন্য যাতে অব্রাহামের সন্তান-সন্ততি ও উত্তরপুরুষগণ অব্রাহামের আজ্ঞা পালন করে তাই এই ব্যবস্থা করেছি। এটা করেছি যাতে তারা ন্যায়পরায়ণ হয় ও সৎ‌‌ জীবনযাপন করে। তাহলে আমি প্রভু, প্রতিশ্রুত জিনিসগুলি দিতে পারব।”

20 তারপরে প্রভু বললেন, “যে নিদারুণ পাপ সেখানে সংঘটিত হচ্ছে, তার জন্য আমি সদোম এবং ঘমোরার বিরুদ্ধে তীব্র আর্তনাদ শুনেছি। 21 যত খারাপ বলে শুনেছি তা সত্যিই তত খারাপ কিনা তা আমি নিজে গিয়ে দেখব। তাহলে আমি নিশ্চিতভাবে সব জানব।”

22 তখন তাঁরা তিনজন সদোম অভিমুখে হাঁটতে শুরু করলেন। কিন্তু অব্রাহাম প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে রইলেন। 23 অব্রাহাম প্রভুর কাছে এলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, “প্রভু, আপনি কি ভাল লোকেদেরও ধ্বংস করবেন যেমন আপনি মন্দ লোকেদের ধ্বংস করেন? 24 সদোম নগরে যদি 50 জনও ভাল লোক থাকে তাহলে আপনি কি করবেন? তাহলেও কি আপনি নগরটা ধ্বংস করবেন? নিশ্চয়ই আপনি ঐ নগরবাসী 50 জন ভাল লোকের জন্য নগরটা রক্ষা করবেন? 25 তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ঐ নগরটা বা ঐ খারাপ লোকদের ধ্বংস করতে গিয়ে ঐ 50 জন ভাল লোকদেরও ধ্বংস করবেন না? যদি তা করেন তাহলে ভাল এবং মন্দ লোকেদের একই পরিণতি হবে। তার অর্থ, ভাল এবং মন্দ জাতীয় উভয় লোকদেরই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আপনি সমস্ত পৃথিবীর বিচারক। আমি জানি আপনি ঠিক বিচারই করবেন।”

26 তখন প্রভু বললেন, “আমি যদি সদোম নগরে 50 জন ভাল লোক পাই তাহলে আমি সমগ্র নগরটাকেই রক্ষা করব।”

27 তখন অব্রাহাম বললেন, “আপনার তুলনায় আমি নেহাতই ধুলো আর ছাই। কিন্তু একটা প্রশ্ন করে আবার আপনাকে বিরক্ত করছি। 28 যদি ভাল লোকদের থেকে 5 জনকে খুঁজে না পাওয়া যায় তখন কি করবেন? নগরে যদি মাত্র 45 জন ভাল লোক থাকে? মাত্র 5 জনকে পাওয়া গেল না বলে কি আপনি গোটা নগর ধ্বংস করে ফেলবেন?”

তখন প্রভু বললেন, “যদি আমি 45 জন ভাল লোককেও পাই তাহলে ঐ নগর ধ্বংস করব না।”

29 অব্রাহাম আবার বললেন, “সেখানে গিয়ে আপনি যদি মাত্র 40 জন ভাল লোককে পান তাহলে কি আপনি পুরো নগর ধ্বংস করবেন?”

প্রভু বললেন, “আমি যদি 40 জন ভাল লোককেও পাই তাহলে আমি নগরটা ধ্বংস করব না।”

30 অব্রাহাম বললেন, “প্রভু দয়া করে আমার ওপর রাগ করবেন না। একটা প্রশ্ন করি! যদি নগরে মাত্র 30 জন ভাল লোককে পান তাহলেও কি আপনি ঐ নগর ধ্বংস করবেন?”

তখন প্রভু বললেন, “আমি যদি 30 জন ভাল লোক পাই তাহলে নগরটা ধ্বংস করব না।”

31 তখন অব্রাহাম বললেন, “আপনাকে কি আর একবার বিরক্ত করতে পারি? যদি সেখানে মাত্র 20 জন ভাল লোক পান তাহলে কি করবেন?”

প্রভু বললেন, “আমি যদি 20 জন ভাল লোক পাই তাহলে আমি নগরটা ধ্বংস করবো না।”

32 তখন অব্রাহাম বললেন, “প্রভু দয়া করে রাগ করবেন না, কিন্তু শেষবারের মতো আর একটি প্রশ্ন দিয়ে আপনাকে বিরক্ত করি। আপনি যদি সেখানে মাত্র 10 জন ভাল লোক পান তাহলে আপনি কি করবেন?”

প্রভু বললেন, “ঐ নগরে 10 জন ভাল লোক পেলেও আমি তা ধ্বংস করব না।”

33 প্রভুর অব্রাহামকে যা বলার ছিল, সব বলা হয়ে গেল। এবার প্রভু তাঁর পথে চলে গেলেন এবং অব্রাহাম নিজের বাসস্থানে ফিরে গেলেন।

মথি 17

মোশি ও এলিয়ের সঙ্গে যীশুকে দেখা গেল

(মার্ক 9:2-13; লূক 9:28-36)

17 ছ’দিন পর যীশু পিতর, যাকোব ও তার ভাই যোহনকে সঙ্গে নিয়ে নির্জন এক পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে উঠলেন। সেখানে তাঁদের সামনে যীশুর রূপান্তর হল। তাঁর মুখমণ্ডল সূর্যের মতো উজ্জ্বল ও তাঁর পোশাক আলোর মত সাদা হয়ে গেল। তারপর হঠাৎ‌ মোশি ও এলিয় তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।

এই দেখে পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, ভালই হয়েছে যে আমরা এখানে আছি। যদি আপনার ইচ্ছে হয় তবে আমি এখানে তিনটে তাঁবু খাটাতে পারি, একটা হবে আপনার, একটা মোশির জন্য আর একটা এলিয়র জন্য।”

পিতর যখন কথা বলছিলেন, সেই সময় একটা উজ্জ্বল মেঘ তাঁদের ঢেকে দিল। সেই মেঘ থেকে একটি রব শোনা গেল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, এর প্রতি আমি খুবই প্রীত। তোমরা এঁর কথা শোন।”

যীশুর শিষ্যরা একথা শুনে খুব ভয় পেয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে গেলেন। তখন যীশু এসে তাদের স্পর্শ করে বললেন, “ওঠো, ভয় করো না।” তাঁরা মুখ তুলে তাকালে যীশু ছাড়া আর কাউকে সেখানে দেখতে পেলেন না।

তাঁরা যখন সেই পাহাড় থেকে নেমে আসছিলেন, সেই সময় যীশু তাদের বললেন, “তোমরা যা দেখলে তা মানবপুত্র মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে না ওঠা পর্যন্ত কাউকে বলো না।”

10 তখন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তাহলে ব্যবস্থার শিক্ষকরা কেন বলে থাকেন যে, প্রথমে এলিয়র আসা আবশ্যক?”[a]

11 এর উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “এলিয় আসবেন, আর তিনি সব কিছু পুনঃস্থাপন করবেন। 12 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলিয় এসে গেছেন, আর লোকে তাকে চেনেনি। লোকেরা তাঁর প্রতি যাচ্ছেতাই ব্যবহার করেছে। মানবপুত্রকেও তাদের হাতে সেই একই রকম নির্যাতন ভোগ করতে হবে।” 13 তখন তাঁর শিষ্যরা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাঁদের বাপ্তিস্মদাতা যোহনের কথা বলছেন।

যীশু অসুস্থ ছেলেকে সুস্থ করলেন

(মার্ক 9:14-29; লূক 9:37-43)

14 যীশু যখন লোকদের মাঝে আবার ফিরে এলেন, তখন একজন লোক যীশুর কাছে এসে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বলল, 15 “প্রভু আমার ছেলেটিকে দয়া করুন। তার মৃগী রোগ হয়েছে, তাতে সে খুবই কষ্ট পাচ্ছে। সে প্রায়ই হয় আগুনে, নয় তো জলে পড়ে যায়। 16 আমি তাকে আপনার শিষ্যদের কাছে এনেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাকে সুস্থ করতে পারেন নি।”

17 এর উত্তরে যীশু বললেন, “তোমরা অবিশ্বাসী ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। কতকাল আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব? কতকাল আমি তোমাদের বহন করব? ছেলেটিকে আমার কাছে নিয়ে এস।” 18 তখন যীশু সেই ভূতকে তিরস্কার করলে ভূতটি ছেলেটির মধ্য থেকে বার হয়ে গেল, আর সেই মুহূর্ত্ত থেকেই ছেলেটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল।

19 পরে শিষ্যরা একান্তে যীশুর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “আমরা সেই ভূতকে তাড়াতে পারলাম না কেন?”

20 যীশু তাদের বললেন, “তোমাদের অল্প বিশ্বাসের কারণেই তোমরা তা পারলে না। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট্ট সরষে দানার মতো এতটুকু বিশ্বাসও যদি তোমাদের থাকে, তবে তোমরা যদি এই পাহাড়কে বল, ‘এখান থেকে সরে ওখানে যাও’ তবে তা সরে যাবে। তোমাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব হবে না।” 21 [b]

যীশু নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বললেন

(মার্ক 9:30-32; লূক 9:43-45)

22 যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা একসঙ্গে যখন গালীলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, তখন যীশু তাঁদের বললেন, “মানবপুত্রকে মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। 23 তারা তাঁকে হত্যা করবে; কিন্তু তিন দিনের দিন মানবপুত্র মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন।” এতে শিষ্যরা খুবই দুঃখিত হলেন।

কর দেওয়ার বিষয়ে যীশুর শিক্ষা

24 যীশু ও তাঁর শিষ্যরা কফরনাহূমে গেলে, মন্দিরের জন্য যারা কর আদায় করত তারা পিতরের কাছে এসে বলল, “আপনাদের গুরু কি মন্দিরের কর দেন না?”

25 পিতর বললেন, “হ্যাঁ, দেন।”

আর তিনি ঘরে গিয়ে কিছু বলার আগেই যীশু প্রথমে তাঁকে বললেন, “শিমোন তোমার কি মনে হয়? এই পৃথিবীর রাজারা কাদের কাছ থেকে নানারকম কর আদায় করে? তারা কি তাদের নিজের সন্তানদের কাছ থেকে কর আদায় করে, না বাইরের লোকেদের কাছ থেকে কর আদায় করে?”

26 পিতর বললেন, “তারা অন্য লোকদের কাছ থেকেই আদায় করে।”

তখন যীশু বললেন, “তাহলে তাদের সন্তানদের জন্য ছাড় আছে। 27 কিন্তু আমরা যেন ঐ কর আদায়কারীদের কোনরকম অপমান বোধের কারণ না হই, সেই জন্য তুমি হ্রদে গিয়ে বঁড়শী ফেল আর প্রথমে যে মাছটা উঠবে তা নিয়ে এসে সেই মাছটার মুখ খুললে তুমি একটি মুদ্রা পাবে, ওটা দিয়ে আমার ও তোমার দেয় কর মিটিয়ে দিও।”

নহিমিয় 7

আমাদের দেওয়াল বানানোর কাজ শেষ হল। তারপর আমরা দরজায় পাল্লা বসালাম ও কারা সেই সব দরজায় পাহারা দেবে তার জন্য লোক ঠিক করলাম। আমরা গায়কদের এবং লেবীয়দেরও নিযুক্ত করলাম। এরপর আমি আমার ভাই হনানি ও হনানিয় নামে আরেক ব্যক্তিকে যথাক্রমে জেরুশালেম শহরের দায়িত্ব ও দুর্গের সেনাপতির দায়িত্ব দিলাম। আমি আমার ভাই হনানিকে বেছে নিয়েছিলাম কারণ অন্যান্যদের থেকে সে খুবই সৎ‌ ও তার ঈশ্বরে বেশী ভয় ছিল। আমি তখন তাদের নির্দেশ দিলাম, “প্রতিদিন সূর্যোদয়ের কয়েক ঘন্টা পরে জেরুশালেমের ফটকগুলি খুলবে। আর সূর্যাস্তের পূর্বেই তোমরা ফটক বন্ধ করে তালা লাগাবে। এছাড়াও, রক্ষী হিসেবে যাদের নিয়োগ করবে তারা যেন এ শহরেরই বাসিন্দা হয়। এই সমস্ত রক্ষীদের কয়েক জনকে শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাহারা দিতে পাঠাবে আর বাদবাকিরা যেন তাদের বাড়ির কাছাকাছি অঞ্চলেই পাহারা দেয়।”

ফিরে আসা বন্দীদের তালিকা

জেরুশালেম শহরটি খুবই বড়। শহরে অনেক জায়গা থাকলেও, তুলনায় বাসিন্দার সংখ্যা কম। বাড়ি-ঘরও তখন সমস্ত বানানো হয়নি। এমতাবস্থায ঈশ্বর আমার হৃদয়ে সমস্ত বাসিন্দাদের একত্রিত করার বাসনা প্রবেশ করালেন। আমি তখন সমস্ত গন্যমাণ্য ব্যক্তি, আধিকারিকবর্গ ও সাধারণ লোকদের একসঙ্গে ডেকে পাঠালাম। বসবাসকারী সমস্ত ব্যক্তিদের একটি তালিকা বানানোই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল। ইতিমধ্যে বন্দীদশা থেকে যারা প্রথম এ শহরে ফিরে এসেছিল তার একটি তালিকা আমি পেয়েছিলাম। তাতে লেখা ছিল:

এই ইহুদীরা বন্দীদশা থেকে জেরুশালেম এবং যিহূদায় ফিরে এসেছিল। রাজা নবূখদ্‌নিৎ‌সর এদের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরা হল: যেশূয়, নহিমিয়, অসরিয়, রয়মিয়া, নহমানি, মর্দখয়, বিল‌্শন, মিস্পরৎ, বিগ্‌বয়, নহূম ও বানা। তারা সরুব্বাবিলের সঙ্গে ফিরে এসেছিল। ইস্রায়েলের যে সমস্ত লোক ফিরে এসেছিল তাদের নাম ও সংখ্যা নিম্নে দেওয়া হল:

পরোশের উত্তরপুরুষ2172
শফটিয়ের উত্তরপুরুষ372
10 আরহের উত্তরপুরুষ652
11 যেশূয় ও যোয়াবের পরিবারগোষ্ঠীর পহৎ-মোয়াবের উত্তরপুরুষ2818
12 এলমের উত্তরপুরুষ1254
13 সত্তূর উত্তরপুরুষ845
14 সক্কয়ের উত্তরপুরুষ760
15 বিন্নূয়ির উত্তরপুরুষ648
16 বেবয়ের উত্তরপুরুষ628
17 আস‌্গদের উত্তরপুরুষ2322
18 অদোনীকামের উত্তরপুরুষ667
19 বিগ্‌বয়ের উত্তরপুরুষ2067
20 আদীনের উত্তরপুরুষ655
21 যিহিষ্কিয়ের বংশজাত আটেরের উত্তরপুরুষ98
22 হশুমের উত্তরপুরুষ328
23 বেৎ‌সয়ের উত্তরপুরুষ324
24 হারীফের উত্তরপুরুষ112
25 গিবিয়োনের উত্তরপুরুষ95
26 বৈৎ‌লেহম ও নটোফা শহরের লোক188
27 অনাথোত শহরের128
28 বৈৎ‌-অস্মাবৎ শহরের42
29 কিরিয়ৎ-যিয়ারীম, কফীরা ও বেরোত শহরের743
30 রামা ও গেবা শহরের621
31 মিক্‌মস শহরের122
32 বৈথেল ও অয় শহরের123
33 নবো শহরের52
34 এলম শহরের1254
35 হারীম শহরের320
36 যিরীহো শহরের345
37 লোদ, হাদীদ ও ওনো শহরের721
38 সনায়া শহরের3930

39 যাজকগণ হল:

যেশূয়ের বংশজাত যিদয়িয়র উত্তরপুরুষ973
40 ইম্মেরের উত্তরপুরুষ1052
41 পশ‌্হূরের উত্তরপুরুষ1247
42 হারীমের উত্তরপুরুষ1017

43 এরা হল লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর লোক:

হোদবিয়র বংশজাত যেশূয় ও কদ‌্মীয়েলের উত্তরপুরুষ74

44 এরা হল গায়ক বৃন্দ:

আসফের উত্তরপুরুষ148

45 এরা হল দ্বার-রক্ষকগণ:

শল্লুম, আটের, টল্‌মোন, অক্কুব, হটীটা ও শোবয়ের উত্তরপুরুষ138

46 এরা হল মন্দিরের বিশেষ দাস:

সীহ, হসূফা ও টব্বায়োতের উত্তরপুরুষরা,

47 কেরোস, সীয় ও পাদোনের বংশধরবর্গ,

48 লবানা, হগাব ও শল্ময়ের বংশধরবর্গ,

49 হানন, গিদ্দেল ও গহরের বংশধরবর্গ,

50 রায়া, রৎসীন ও নকোদের বংশধরবর্গ,

51 গসম, ঊষ ও পাসেহের বংশধরবর্গ,

52 বেষয়, মিয়ূনীম ও নফুষয়ীমের বংশধরবর্গ,

53 বকবূক, হকূফা ও হর্হূরের বংশধরবর্গ,

54 বসলীত, মহীদা ও হর্শার বংশধরবর্গ,

55 বর্কোস, সীষরা ও তেমহের বংশধরবর্গ,

56 নৎসীহ ও হটীফার বংশধরবর্গ।

57 শলোমনের উত্তরপুরুষ দাসদের মধ্যে:

সোটয়, সোফেরৎ‌ ও পরীদার বংশধরবর্গ,

58 যালা, দর্কোন ও গিদ্দেলের বংশধরবর্গ,

59 শফটিয়ের, হটীল ও পোখেরৎ-হৎসবায়ীম ও আমোন;

60 মন্দিরের দাস ও শলোমনের দাসদের উত্তরপুরুষ392

61 কয়েকজন লোক তেল্‌মেলহ, তেল‌্হর্শা, করূব, অদ্দন ও ইম্মের শহর থেকে জেরুশালেমে এসেছিল। তাদের পরিবারগুলি ইস্রায়েল থেকে উদ্ভূত কিনা তা তারা প্রমাণ করতে পারেনি।

62 দলায়, টোবিয় ও নকোদের উত্তরপুরুষ642

63 এরা ছিল যাজক পরিবারের উত্তরপুরুষ:

হবায়, হক্কোস ও বর্সিল্লয়। গিলিয়দের বর্সিল্লয় পরিবারের কন্যাকে যদি একজন পুরুষ বিয়ে করত ওই পুরুষকে বর্সিল্লয়দের উত্তরপুরুষ হিসাবে গণ্য করা হতো।

64 যেহেতু তারা তাদের বংশতালিকা বা তাদের পূর্বপুরুষরা যাজক ছিলেন কিনা তা প্রমাণ করতে পারল না, সেহেতু যাজকদের তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হল না। 65 রাজ্যপাল ওই সমস্ত ব্যক্তিদের, পবিত্র খাবার খেতে বারণ করলেন যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রধান যাজক ঊরীম ও তুম্মীম ব্যবহার করে ঈশ্বরের কাছে জেনে নেন কি করতে হবে।

66-67 7337 জন দাসদাসীকে বাদ দিলে, যারা ফিরে এসেছিল তাদের মধ্যে সব মিলিয়ে ছিল 42,360 জন। এছাড়াও, এদের সঙ্গে ছিল 245 জন গায়ক-গায়িকা, 68-69 তাদের 736 টি ঘোড়া, 245 টি খচ্চর, 435 টি উট ও 6720 টি গাধা ছিল।

70 বেশ কিছু পরিবার প্রধান কাজ চালিয়ে যাবার জন্য অর্থ দান করেন। রাজ্যপাল স্বয়ং কোষাগারে 19 পাউণ্ড স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি 50টি পাত্র ও যাজকদের পোশাকের জন্য 530 পোশাক দান করেন। 71 বিভিন্ন পরিবারের প্রধানরা কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য 375 পাউণ্ড স্বর্ণমুদ্রা এবং 1 1/3 টন পরিমাণ রূপো দান করেছিলেন। 72 সব মিলিয়ে অন্যান্য ব্যক্তিরা 375 পাউণ্ড স্বর্ণমুদ্রা, 1 1/3 টন রূপা এবং যাজকদের জন্য 67 টি বস্ত্রখণ্ড দিয়েছিলেন।

73 যাজকগণ, লেবীয়রা, দ্বাররক্ষীরা, গায়করা ও মন্দিরের সেবাদাসরা ও অন্যান্য সমস্ত ইস্রায়েলীয়রা যে যার নিজের শহরে বাস করতে লাগল। ওই বছরের সপ্তম মাসের মধ্যেই দেখা গেল ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দারা তাদের নিজেদের বাসভূমিতে বসবাস শুরু করেছে।

প্রেরিত 17

পৌল ও সীল থিষলনীকীতে

17 এরপর তারা আম্ফিপলি ও অপল্লোনিয়ার ভেতর দিয়ে থিষলনীকীতে এলেন। এখানে ইহুদীদের একটি সমাজ-গৃহ ছিল। পৌল তাঁর রীতি অনুযায়ী ইহুদীদের দেখার জন্য একটি সমাজ-গৃহে গেলেন। তিনটি বিশ্রামবারে তিনি তাদের সঙ্গে শাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করলেন। ইহুদীদের কাছে শাস্ত্র ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলেন যে খ্রীষ্টের দুঃখভোগ করা ও মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের প্রয়োজন ছিল। পৌল বললেন, “এই যে যীশুকে আমি তোমাদের কাছে প্রচার করছি, ইনিই খ্রীষ্ট।” তাদের মধ্যে কেউ কেউ এতে সম্মতি জানাল এবং পৌল ও সীলের সঙ্গে যোগ দিল। এদের মধ্যে অনেক ঈশ্বরভক্ত গ্রীক ছিল যারা সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করত, ও কিছু গন্য-মান্য মহিলাও ছিলেন।

কিন্তু ইহুদীদের মনে ঈর্ষা জাগল। তারা কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোককে বাজার থেকে জোগাড় করল আর এইভাবে একটা দল তৈরী করে শহরে গণ্ডগোল বাধিয়ে দিল। তারা লোকসমক্ষে পৌল ও সীলকে দাঁড় করানোর জন্য যাসোনের বাড়িতে চড়াও হয়ে সেখানে তাঁদের খুঁজতে লাগল। কিন্তু সেখানে তাঁদের না পেয়ে তারা যাসোন ও অন্য কয়েকজন ভাইকে ধরে টানতে টানতে শহরের শাসনকর্তাদের কাছে নিয়ে গেল। তারপর তারা চিৎকার করে বলল, “এই যে লোকরা সারা জগতে গোলমাল পাকিয়ে বেড়াচ্ছে, এরা এখন এখানে এসেছে! আর যাসোন কিনা তাদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছে? এরা সকলে কৈসরের আইনের বিরোধিতা করে। এরা বলে বেড়াচ্ছে যে যীশু বলে আর একজন রাজা আছে।”

এই কথা শুনে সমবেত জনতা ও কর্ত্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হল। তারা যাসোন ও বাকী আর সকলের জরিমানা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিল।

বিরয়াতে পৌল এবং সীল

10 সেই রাতেই ভাইরা পৌল ও সীলকে বিরয়াতে পাঠিয়ে দিল। সেখানে পৌঁছে তাঁরা ইহুদীদের সমাজ-গৃহে গেলেন। 11 থিষলনীকীয়র লোকদের থেকে এই লোকরা আরো উদার মনোভাবাপন্ন ছিল। এরা আগ্রহের সঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য শুনল। পৌল ও সীলের বক্তব্যের বিষয় সত্য কিনা তা মিলিয়ে দেখার জন্য তারা প্রতিদিন শাস্ত্রের মধ্যে অনুসন্ধান করতে লাগল। 12 এর ফলে ইহুদীদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করল, এদের মধ্যে কয়েকজন সম্ভ্রান্ত গ্রীক মহিলা ও বহু পুরুষও ছিলেন।

13 থিষলনীকীয় ইহুদীরা যখন শুনতে পেল যে পৌল বিরয়াতে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করছেন, তখন তারা সেখানে এসে লোকদের ক্ষেপিয়ে তুলল। 14 তখন সেখানকার ভাইরা তাড়াতাড়ি করে পৌলকে সমুদ্রতীরে পাঠিয়ে দিলেন, কিন্তু সীল ও তীমথিয় বিরয়াতে রয়ে গেলেন। 15 পৌলকে সঙ্গে নিয়ে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা আথীনী পর্যন্ত গেলেন। সীল ও তীমথিয়র উদ্দেশ্যে এক বার্তা নিয়ে ভাইরা বিরয়াতে ফিরে এলেন। বার্তাতে বলা ছিল, “যত শীঘ্র সম্ভব তোমরা আমার কাছে চলে এস।”

আথীনীতে পৌল

16 তীমথীয় ও সীলের জন্য পৌল যখন আথীনীতে অপেক্ষা করছিলেন, তখন সেই শহরের সব জায়গায় নানা দেব-দেবীর মূর্তি দেখে অন্তর আত্মায় তিনি খুবই ব্যথিত হয়ে উঠলেন। 17 তাই তিনি সমাজ-গৃহে গিয়ে ইহুদী ও ভক্ত গ্রীকদের সঙ্গে ও হাটে বাজারে লোকদের কাছে প্রতিদিন ধর্মালোচনা করতে লাগলেন। 18 ইপিকূরের ও স্তোয়িকীর দার্শনিক সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েকজন তাঁর সঙ্গে তর্কবিতর্ক করতে লাগল।

কেউ কেউ বলল, “এই সবজান্তা কি বলতে চায়?” আবার কেউ কেউ বলল, “এ দেখছি বিদেশী দেবতাদের বিষয়ে প্রচার করছে।” কারণ পৌল সুসমাচার এবং যীশু ও তাঁর পুনরুত্থানের বিষয় বলছিলেন।

19 তারা পৌলকে আরেয়পাগের সভায় নিয়ে গিয়ে বলল, “আপনি এই যে নতুন বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন, এটা কি? আমরা কি তা জানতে পারি? 20 আপনি কিছু অদ্ভুত কথা শোনাচ্ছেন, তাই আমাদের জানতে ইচ্ছা হয়, এসবের অর্থ কি?” 21 আথীনীয় লোকেরা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশীরা সব সময় কেবল নিত্য-নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সময় কাটাত।

22 তখন পৌল আরেয়পাগের সভার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকলেন, “হে আথীনীয় লোকেরা, আপনারা দেখছি সমস্ত ব্যাপারেই খুব ধর্মপ্রবণ। 23 কারণ আমি বেড়াতে বেড়াতে আপনারা যাদের উপাসনা করেন সেগুলি লক্ষ্য করতে করতে একটা বেদী দেখলাম, যার গায়ে লেখা আছে, ‘অজানা দেবতার উদ্দেশ্যে!’ তাই যে অজানা দেবতার উপাসনা আপনারা করছেন তাঁকেই আমি আপনাদের কাছে উপস্থিত করছি।

24 “ঈশ্বর, যিনি এই জগত ও তার মধ্যেকার সমস্ত কিছুর নির্মাণকর্তা, তিনিই স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু, তিনি মানুষের হাতে তৈরী মন্দিরে বাস করেন না। 25 মানুষের হাতের সেবা কার্যের প্রয়োজন তাঁর নেই। তাঁর তো কোন কিছুরই অভাব নেই। তিনিই সকলকে জীবন, শ্বাস ও যা কিছু প্রয়োজন তা দিচ্ছেন। 26 শুরুতে ঈশ্বর একটি মানুষকে সৃষ্টি করে সেই একজন মানুষ থেকেই মানবজাতির সৃষ্টি করেছেন, আর গোটা পৃথিবীটা তাদের বসবাসের জন্য দিয়েছেন। তিনি নির্ধারণ করে রেখেছেন কোথায় ও কখন তারা থাকবে।

27 “ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন মানুষ তাঁর অন্বেষণ করে। তাঁর খোঁজ করতে করতে তারা যেন শেষ পর্যন্ত তাঁর নাগাল পায়। অথচ তিনি আমাদের কারো কাছ থেকে তো দূরে নন, 28 ‘কারণ তাঁর সত্ত্বাতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্ত্বা।’ আবার আপনাদের কোন কোন কবিও একথা বলেছেন: ‘কারণ আমরা তাঁর সন্তান।’

29 “তাহলে আমরা যখন ঈশ্বরের সন্তান, তখন ঈশ্বরকে মানুষের শিল্পকলা বা কল্পনা অনুসারে সোনা, রূপো বা পাথরের তৈরী কোন মূর্তির সঙ্গে তুলনা করা আমাদের উচিত নয়। 30 মানুষের এই অজ্ঞতার সময়কে ঈশ্বর ক্ষমার চোখে দেখেছেন, কিন্তু এখন সব জায়গায় সকল মানুষকে তিনি এর জন্য মন-ফেরাতে বলছেন। 31 কারণ তিনি একটি দিন স্থির করেছেন, যে দিনে তিনি তাঁর নিরূপিত একজনকে দিয়ে সারা জগত সংসারের বিচার করবেন। এই বিষয়ে সকলে যেন বিশ্বাস করতে পারে এমন প্রমাণও তিনি দিয়েছেন: এই প্রমাণস্বরূপ তিনি মৃতদের মধ্য থেকে তাঁকে পুনরত্থিত করেছেন!”

32 মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের কথা শুনে তাদের মধ্যে কয়েকজন উপহাস করতে লাগল, কিন্তু অন্যরা বলল, “আমরা এ বিষয়ে আর একদিন আপনার কাছ থেকে শুনব!” 33 এরপর পৌল তাদের কাছ থেকে চলে গেলেন। 34 তাদের মধ্যে কয়েকজন বিশ্বাস করল ও পৌলের সঙ্গ নিল। এদের মধ্যে আরেয়পাগীয়ের[a] সভ্য দিয়নুষিয়, দামারী নামে এক মহিলা ও আরো কয়েকজন ছিলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International