Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
2 বংশাবলি 19-20

19 যিহূদার রাজা যিহোশাফট অক্ষত অবস্থায় জেরুশালেমে তাঁর বাড়িতে ফিরে এলেন। ভাববাদী হনানির পুত্র যেহূ যিহোশাফটের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি যিহোশাফটকে বললেন, “আপনি কেন যেসব ব্যক্তিরা প্রভুকে ঘৃণা করেন সেই সমস্ত অসৎ ব্যক্তিদের সাহায্য করেছেন? এ কারণেই প্রভু আপনার ওপর ক্রুদ্ধ হয়েছেন। তা সত্ত্বেও আপনার মধ্যে এখনও ভাল কিছু আছে যেহেতু আপনি সর্বান্তঃকরণে ঈশ্বরকে খুঁজতে দৃঢ়সংকল্প করেছেন এবং এদেশ থেকে আশেরার খুঁটিগুলোও সরিয়ে দিয়েছেন।”

যিহোশাফটের বিচারক নির্বাচন

জেরুশালেমে থাকাকালীন যিহোশাফট আবার বের্-শেবা থেকে পার্বত্য দেশ ইফ্রয়িম পর্যন্ত লোকদের সঙ্গে মিশলেন এবং তাদের প্রভুর কাছে, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনলেন। যিহোশাফট যিহূদার প্রত্যেকটা দুর্গের জন্য আলাদা আলাদা বিচারক নির্বাচন করে তাঁদের বলেছিলেন, “আপনারা অত্যন্ত সতর্কভাবে নিজেদের কাজ করবেন। কারণ আপনারা যে বিচার করবেন তা কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, স্বয়ং প্রভুর হয়ে আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্তগুলি লোকদের দেবেন। আর আমি নিশ্চিত, যখন আপনারা কোন সিদ্ধান্ত নেবেন প্রভু স্বয়ং আপনাদের সহায় হবেন। প্রভু কিন্তু নিরপেক্ষ, তাঁর চোখে সকলেই সমান। ঘুষ দিয়ে তাঁর বিচার বদলানো যায় না। আপনারা সকলে এ কথা মাথায় রেখে, প্রভুর শক্তি ও ক্রোধের কথা স্মরণ করে নিজেদের কাজ করবেন।”

জেরুশালেমে বিচারক হিসেবে কাজ করার জন্য যিহোশাফট কয়েকজন লেবীয়, কিছু যাজক ও ইস্রায়েলের পরিবারগোষ্ঠী নেতাদের বেছে নিয়েছিলেন। এদের ওপর দায়িত্ব ছিল প্রভুর বিধি নির্দেশ মেনে জেরুশালেমের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার প্রতিবিধান করা। যিহোশাফট এদের বলেছিলেন, “প্রভুর ভয়ে তোমাদের কর্ত্তব্যে তোমাদের একনিষ্ঠ হতে হবে, সমস্ত হৃদয় দিয়ে তা করতে হবে। 10 তোমাদের বিভিন্ন ধরণের মামলা যেমন খুন-জখম, জুয়াচুরি, আইন, বিধি-নির্দেশ অমান্য করার সন্মুখীন হতে হবে। আর এসব মামলা আসবে এইসব শহরে বসবাসকারী তোমাদেরই সহ নাগরিকদের মধ্যে থেকে। তোমরা সবসময়েই লোকদের প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ আচরণ করার বিষয়ে সতর্ক করে দেবে। তোমরা যদি নিজেদের কর্তব্যের ব্যাপারে নিষ্ঠাবান না হও তাহলে প্রভুর ক্রোধ তোমাদের এবং তোমাদের সহ নাগরিকদের ওপর গিয়ে পড়বে। কিন্তু যা বললাম তা যদি তোমরা করো তাহলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।

11 “সর্বোচচ পদস্থ যাজক অমরিয় ধর্ম ও প্রভু সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা নিষ্পত্তির সময়ে তোমাদের সাহায্য করবেন। রাজার বিষয়ে মামলার কাজকর্মে তোমরা ইশ্মায়েলের পুত্র, যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর অন্যতম নেতা, সবদিয়র কাছ থেকে সাহায্য পাবে। লেবীয়রা লেখকের কাজ করবে। সাহসে ভর করে, নিজেদের ওপর আস্থা রেখে তোমরা তোমাদের কাজ করো। প্রার্থনা করি, প্রভু যেন ন্যায়ের পক্ষে থাকেন।”

যিহোশাফট যুদ্ধের সম্মুখীন হলেন

20 কিছুকাল পরে, মোয়াবীয়, অম্মোনীয় ও মায়োনীয় ব্যক্তিরা যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিলেন। কিছু লোক এলো এবং যিহোশাফটকে বলল, “মৃত সাগরের ওপারে, ইদোম থেকে একটা বড় সড় সৈন্যদল যাত্রা শুরু করেছে। দলটা কিন্তু ইতিমধ্যেই হৎসসোন তামর পর্যন্ত এসে গেছে।” (হৎসসোন তামরকে ঐন্-গদীও বলা হয়ে থাকে।) যিহোশাফট ভীত হলেন এবং প্রভুর সাহায্য চাইবেন বলে ঠিক করলেন। তিনি যিহূদার সমস্ত লোককে উপবাস করতে আদেশ দিলেন। যিহূদার প্রত্যেক শহর থেকে লোকরা প্রভুর কাছ থেকে সাহায্য চাইবার জন্য জড়ো হলো। যিহোশাফট প্রভুর মন্দিরের নতুন উঠোনে যিহূদা ও জেরুশালেমের সমবেত লোকদের সামনে দাঁড়ালেন এবং বললেন,

“হে প্রভু! আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, তুমিই স্বর্গের অধীশ্বর। বিশ্বের প্রত্যেক জাতি ও দেশের ভবিতব্যের তুমি নিয়ামক। তুমি সর্বশক্তিমান, কেউ তোমার বিরোধিতা করতে পারে না। হে ঈশ্বর, এই দেশের লোকদের তুমি এই স্থান পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলে এবং তারা ইস্রায়েলের লোকদের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তুমি স্বয়ং এই ভূখণ্ড চিরকালের জন্য তোমার বন্ধু অব্রাহামের উত্তরপুরুষদের হাতে তুলে দিয়েছিলে। তারা এই অঞ্চলে বাস করত এবং এখানে তোমার নামের জন্য একটি পবিত্র স্থান নির্মাণ করেছে। তারা বলেছিল, ‘যদি কোনদিন কোনো বিপদ আমাদের কাছে আসে—তরবারি, শাস্তি, রোগসমূহ অথবা দুর্ভিক্ষ, আমরা এসে এই মন্দিরের সামনে, প্রভু তোমার সন্মুখে দাঁড়াব। যেহেতু তোমার নাম রয়েছে এই মন্দিরে, বিপদের সময়ে আমরা চিৎকার করে তোমাকেই ডাকবো আর তখন তুমি আমাদের ডাক শুনবে এবং আমাদের উদ্ধার করবে।’

10 “কিন্তু এখন অম্মোন, মোয়াব আর সেয়ীয়ের পার্বত্য অঞ্চলের সেইসব অধিবাসীরা এসে ইস্রায়েলের অধিবাসীদের আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছেন যাদের রাজ্য তুমিই স্বয়ং একদিন ইস্রায়েলীয়দের আক্রমণ করতে দাওনি বলে তারা রক্ষা পেয়েছিল। মিশর থেকে আসার পথে তোমার নির্দেশ মেনে ইস্রায়েলীয়রা সেদিন এদের ধ্বংস করেনি। 11 অথচ দেখো আজ তারা তার কি প্রতিদান দিচ্ছে। তারা তোমার দেওয়া ভূখণ্ড থেকে আমাদের উৎ‌খাত করতে আসছে। 12 হে আমাদের প্রভু ঈশ্বর, তুমি কি এদের শাস্তি দেবে না? এই যে বিপুল সৈন্যবাহিনী আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসছে তার বিরুদ্ধে আমরা ক্ষমতাহীন। আমরা জানি না আমরা কি করব। তাই আমরা তোমার দিকে তাকিয়ে আছি।”

13 তাই যিহূদার সমস্ত লোকরা তাদের স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে নিয়ে প্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিল। 14 সেই সময়, প্রভুর আত্মা যহসীয়েলের ওপর ভর করল। যহসীয়েল ছিল সখরিয়র পুত্র; সখরিয় ছিল বনায়ের পুত্র। বনায় ছিল যিয়েলের পুত্র এবং যিয়েল ছিল লেবীয় মত্তনিয়ের পুত্র। এরা সবাই ছিল আসফের উত্তরপুরুষ। সেই জমায়েতের মাঝখানে, 15 যহসীয়েল বলল, “যিহূদা ও জেরুশালেমবাসীরা এবং রাজা যিহোশাফট, তোমরা সকলে শোনো। প্রভু বলেন, ‘এই বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে চিন্তা করবার বা ভয় পাবার কোনো দরকার নেই কারণ এই যুদ্ধ তোমাদের নয়, ঈশ্বরের যুদ্ধ। 16 আগামীকাল তোমরা সকলে গিয়ে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ওরা সীসের গিরিখাত দিয়ে আসবে এবং তোমরা তাদের যরূয়েল মরুভূমির পূর্বদিকে উপত্যকার প্রান্তে দেখতে পাবে। 17 এই সংঘর্ষে তোমাদের যুদ্ধ করবারও প্রয়োজন নেই। তোমাদের শুধু যে যার জায়গায় দৃঢ় চিত্তে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আর দেখো আমি কিভাবে তোমাদের আর যিহূদা ও জেরুশালেমকে রক্ষা করি। চিন্তা করো না। আগামীকালের যুদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াও এবং প্রভু তোমাদের সহায় হবেন।’”

18 যিহোশাফট তখন মুখ নীচের দিকে করে আভূমি আনত হলেন। যিহূদা ও জেরুশালেমের সমস্ত লোক প্রভুর সামনে আভূমি নত হল এবং প্রভুর উপাসনা করল। 19 কহাৎ‌ ও কোরহ পরিবারগোষ্ঠীর লেবীয়রা উঠে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগলো।

20 পরদিন ভোরবেলা যিহোশাফটের সেনাবাহিনী তকোয় মরুভূমি অভিমুখে যাত্রা করলো। তারা রওনা হবার ঠিক আগের মূহুর্তে যিহোশাফট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “তোমরা, যিহূদা আর জেরুশালেমের লোকরা, শোনো: প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রেখো তাহলে তোমাদের দেহে ও মনে শক্তি পাবে। তাঁর ভাববাণীর ওপর বিশ্বাস রেখো। জয় তোমাদের সুনিশ্চিত।”

21 যিহোশাফট তাঁর লোকদের অনুপ্রেরণা ও নির্দেশ দিতে লাগলেন। তারপর তিনি প্রভুর প্রশংসা ও সৌন্দর্য বর্ণনার জন্য এবং গাইবার জন্য কয়েকজনকে মনোনীত করলেন। তারা সেনাবাহিনীর সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে, প্রভুর প্রশংসা করে গান করল,

“প্রভুকে ধন্যবাদ দাও
    কারণ তাঁর করুণা চিরস্থায়ী।”

22 এই প্রশংসা গান গাইতে গাইতে তারা যেতে লাগলো। ইতিমধ্যে, এরা যখন ঈশ্বরের প্রশংসা সুচক গান করছিল, প্রভু তখন অম্মোনীয়, মোয়াবীয় ও সেয়ীরের লোকদের অতর্কিত আক্রমণের জন্য সেনা সাজাচ্ছিলেন। যারা যিহূদা আক্রমণ করতে এসেছিল তারা পরাজিত হল। 23 অম্মোনীয় ও মোয়াবীয়রা সেয়ীরের পার্বত্য অঞ্চলের লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শুরু করলো এবং তাদের হত্যা করলো। এরপর তারা একদল অপরদলকে হত্যা করলো!

24 যিহূদার লোকরা যুদ্ধের ওপর নজর রাখার জায়গায় এসে পৌঁছনোর পর শত্রুপক্ষের বিশাল সেনাবাহিনীর সন্ধান করতে গিয়ে চতুর্দিকে শুধুই স্তূপাকার মৃতদেহ দেখতে পেলো। কোন লোকই বেঁচে ছিল না। 25 যিহোশাফট আর তাঁর সেনাবাহিনী ঐসব মৃতদেহের স্তূপের কাছে এলো এবং মৃতদেহগুলোর থেকে বহু দুর্মূল্য জিনিসপত্র যেমন জন্তুজানোয়ার, অর্থ, পোশাক-পরিচ্ছদ উদ্ধার করে নিয়ে গেল। এতো বেশি জিনিসপত্র সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল যে তা বয়ে নিয়ে যেতে তিনদিন সময় লেগেছিল। 26 চতুর্থ দিনে যিহোশাফট আর তাঁর সেনাবাহিনী বরাখা উপত্যকায় উপনীত হয়ে প্রভুকে ধন্যবাদ জানালো। সেই জন্যই এই উপত্যকাকে সেই সময় থেকে “বরাখা উপত্যকা” বলা হয়।

27 এরপর যিহোশাফট যিহূদা আর জেরুশালেমের সবাইকে নেতৃত্ব দিয়ে জেরুশালেমে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। প্রভু তাদের শত্রুকে পরাজিত করেছেন বলে সকলেই খুব খুশি ছিল। 28 বীণা, বাঁশি, শিঙা, কর্তাল বাজিয়ে তারা জেরুশালেমে এলো এবং প্রভুর মন্দিরে গেল।

29 স্বয়ং প্রভু ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, এখবর জানতে পেরে অন্যান্য রাজ্যগুলির প্রত্যেকে ভীত হল। 30 সে কারণে যিহোশাফটের রাজত্বকালে ইস্রায়েলে শান্তি বিরাজ করেছিল। প্রভু সবদিক থেকে তাঁকে শান্তি দিয়েছিলেন।

যিহোশাফটের শাসনকালের অবসান

31 পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যিহূদার রাজা হবার পর যিহোশাফট 25 বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মাতা অসূবা ছিলেন শিল্হির কন্যা। 32 যিহোশাফট তাঁর পিতা আসার মতোই সৎ‌পথে জীবনযাপন করেছিলেন। তিনি সর্বদাই প্রভুর প্রতি বাধ্য ছিলেন। 33 কিন্তু অন্য মূর্ত্তিদের পূজোর জন্য বানানো উঁচু জায়গাগুলো ভেঙে দেওয়া হয় নি এবং লোকে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের কাছে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করেনি।

34 তাঁর রাজত্বকালে প্রথম থেকে শেষাবধি যিহোশাফট যা কিছু করেছিলেন তা হনানির পুত্র যেহূর লেখা সরকারি নথিপত্রে লেখা আছে, যা পরবর্তীকালে ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

35 যিহূদার রাজা যিহোশাফট তাঁর রাজত্বের শেষের দিকে ইস্রায়েলের রাজা অহসিয়র সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। অহসিয় বহু পাপ আচরণে লিপ্ত ছিলেন। 36 যিহোশাফট তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে তর্শীশে যাবার জন্য জাহাজ বানানোর কাজ শুরু করেন। ইৎ‌সিয়োন—গেবর শহরে এইসব জাহাজ বানানো হতো। 37 তখন মারেশা থেকে দোদাবাহূর পুত্র ইলীয়েষর যিহোশাফটকে বললেন, “তুমি অহসিয়র সঙ্গে হাত মিলিয়েছো, তাই প্রভু তোমার জাহাজগুলি ধ্বংস করবেন।” বানানো জাহাজগুলো ভেঙ্গে যায় এবং শেষ পর্যন্ত যিহোশাফট বা অহসিয় কেউই আর তর্শীশে জাহাজ পাঠাতে পারেন নি।

প্র.বা. 8

সপ্তম সীলমোহর

তারপর মেষশাবক সপ্তম সীলমোহরটি ভাঙলেন। তখন স্বর্গে প্রায় আধ ঘন্টার মতো সব নিস্তধ্ধ হয়ে গেল। তারপর আমি দেখলাম, ঈশ্বরের সামনে যে সাতজন স্বর্গদূত দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁদের হাতে সাতটি তূরী দেওয়া হল।

পরে আর এক স্বর্গদূত এসে যজ্ঞবেদীর কাছে দাঁড়ালেন, তাঁর হাতে সোনার ধুনুচি। তাঁকে প্রচুর ধূপ দেওয়া হল, যাতে তিনি তা স্বর্ণ সিংহাসনের সামনে ঈশ্বরের সমস্ত পবিত্র লোকের প্রার্থনার সঙ্গে নিবেদন করতে পারেন। ফলে ঈশ্বরের লোকদের প্রার্থনার সঙ্গে স্বর্গদূতের হাত থেকে সেই ধূপের ধোঁয়া ঈশ্বরের সামনে উঠল। পরে ঐ স্বর্গদূত ধুনুচি নিয়ে তাতে যজ্ঞবেদীর আগুন ভরে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করলেন। এর ফলে মেঘ গর্জন, উচ্চরব, বিদ্যুত্ চমক ও ভুমিকম্প হল।

সাত স্বর্গদূতের তূরীধ্বনি

তখন সেই সাতজন স্বর্গদূত তাদের সাতটি তূরী বাজাবার জন্য প্রস্তুত হলেন।

প্রথম স্বর্গদূত বাজালেন, তাতে পৃথিবীতে রক্ত মেশানো শিলা ও আগুন বর্ষন হল; ফলে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশে আগুন ধরে গেল, আর এক তৃতীয়াংশে গাছপালা ও সমস্ত সবুজ ঘাস পুড়ে গেল।

দ্বিতীয় স্বর্গদূত তূরী বাজালেন আর দেখা গেল যেন বিরাট এক জ্বলন্ত পাহাড় সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলা হল। তাতে সমুদ্রের এক তৃতীয়াংশ জল রক্তাক্ত হয়ে গেল ও সামুদ্রিক জীবের এক তৃতীয়াংশ মারা পড়ল; আর সমুদ্রগামী সমস্ত জাহাজের এক তৃতীয়াংশ ধ্বংস হয়ে গেল।

10 পরে তৃতীয় স্বর্গদূত তূরী বাজালেন। তখন আকাশ থেকে জ্বলন্ত মশালের মতো এক বিরাট নক্ষত্র পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ নদী ও জলের উৎসের ওপর খসে পড়ল। 11 সেই নক্ষত্রের নাম নাগদানা[a] কারণ তা পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ জল তিক্ত করে দিল। এভাবে জল তেতো হওয়ার কারণে অনেক লোক মারা পড়ল।

12 এরপর চতুর্থ স্বর্গদূত তূরী বাজালেন আর সূর্যের এক তৃতীয়াংশ, চন্দ্রের এক তৃতীয়াংশ এবং সমস্ত নক্ষত্রের এক তৃতীয়াংশ এমনভাবে ঘা খেল যে তাদের এক তৃতীয়াংশ অন্ধকার হয়ে গেল। সেইভাবে দিনেরও এক তৃতীয়াংশ আলোবিহীন হল, আর রাত্রির অবস্থাও একই রকম হল।

13 এইসব কিছু দেখতে দেখতে হঠাৎ‌ আমি শুনতে পেলাম আকাশের উঁচু দিয়ে একটা ঈগল পাখি উড়ে যেতে যেতে চিৎকার করে এই কথা বলছে, “সন্তাপ! সন্তাপ! পৃথিবীবাসীদের সন্তাপ! কারণ বাকী তিনজন স্বর্গদূত যখন তূরী বাজাবে তখন সেই সন্তাপ শুরু হবে।”

সখরিয় 4

বাতিদান ও দুটি অলিভ গাছ

যে দেবদূতটি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি আমাকে জাগাবার জন্য আমার কাছে এলেন। সেই মুহূর্তে আমি ছিলাম ঘুম থেকে সদ্য জেগে ওঠা একজন মানুষের মত। তখন দেবদূত আমায় জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি দেখতে পাচ্ছো?”

আমি বললাম, “আমি একটি নিরেট সোনার বাতিদান দেখতে পাছি। সেই বাতিদানে সাতটি বাতি রয়েছে এবং বাতিদানের ওপরে রয়েছে একটি পাত্র। সেই পাত্র থেকে সাতটা ফাঁপা নল বেরিয়ে এসেছে এবং প্রত্যেকটি বাতিতে গিয়েছে। নলগুলি পাত্র থেকে বাতিতে তেল বহন করে। পাত্রটির পাশে দুটি অলিভ গাছ, একটি ডান দিকে, অপরটি বাম দিকে। এই গাছেরা বাতির জন্য তেল উৎপন্ন করে।” তখন আমি আমার সঙ্গে যে দেবদূতটি কথা বলছিলেন তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “মহাশয়, এসবের অর্থ কি?”

দেবদূতটি বললেন, “এই জিনিসগুলো কি তা কি তুমি জানো না?”

আমি বললাম, “জানি না মহাশয়।”

তিনি বললেন, “এ হল সরুব্বাবিলের কাছে প্রভুর বার্তা: সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন, ‘তোমার শক্তি ও পরাক্রম তোমায় রক্ষা করবে না। তোমার সাহায্য আসবে আমার আত্মা থেকে।’ ওহে উঁচু পর্বত, তুমি সরুব্বাবিলের কাছে কিছুই নও। তার সামনে তুমি একটি সমতলভূমির মত। সে মন্দিরটি গড়বে এবং যখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাথরটি সেখানে স্থাপন করা হবে, তখন লোকেরা চেঁচিয়ে উঠবে, ‘চমৎ‌‌কার! অপূর্ব!’”

প্রভুর বার্তা আমাকে আরো বলল, “সরুব্বাবিল আমার মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করবে। সে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করবে। তখন তুমি বুঝতে পারবে যে সর্বশক্তিমান প্রভু আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছেন। 10 শুরুতে কাজ অল্প হলেও লোকে তাতে লজ্জিত হবে না আর তারা ওলোন দড়ি হাতে সরুব্বাবিলকে দেখে ওরা খুব খুশী হবে, যে সমাপ্ত হওয়া নির্মাণ কাজ পরীক্ষা করছে এবং মাপ-জোক করছে। পাথরের যে সাতটি ধার তুমি এখন দেখলে, তা প্রভুর চক্ষুস্বরূপ—যা সব দিকে নজর রেখেছিল। পৃথিবীর সব কিছুই তারা দেখতে পায়।”

11 তখন আমি (সখরিয়) তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “বাতিদানের ডান ও বাম দিকের জলপাই গাছগুলি কি বোঝায়?” 12 আমি তাঁকে আরও বললাম, “সোনার নল দুটির পাশে আমি জলপাই গাছের দুটি শাখা দেখলাম। যেগুলোর মধ্যে দিয়ে সোনালী রঙের তেল বইছে—সেগুলিরই বা অর্থ কি?”

13 তখন দূত আমাকে বললেন, “তুমি কি জানো না এসবের অর্থ কি?”

আমি বললাম, “মহাশয় জানি না।”

14 তিনি বললেন, “এর অর্থ হল এরা সেই দুই ব্যক্তিকে যারা সমস্ত পৃথিবীর প্রভুকে সেবা করার জন্য মনোনীত হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিত্ব করছে।”

যোহন 7

যীশু ও তাঁর ভাইরা

এরপর যীশু গালীলের চারদিকে ভ্রমণ করছিলেন। তিনি যিহূদিয়ায় ভ্রমণ করতে চাইলেন না, কারণ ইহুদীরা তাঁকে খুন করবার সুযোগ খুঁজছিল। এই সময় ইহুদীদের কুটিরবাস পর্ব[a] এগিয়ে আসছিল। তখন তাঁর ভাইরা তাঁকে বলল, “তুমি এই জায়গা ছেড়ে যিহূদিয়াতে ঐ উৎসবে যাও যাতে তুমি যে সব অলৌকিক কাজ করছ তা তোমার শিষ্যরাও দেখতে পায়। কারণ কেউ যদি প্রকাশ্যে নিজেকে তুলে ধরতে চায় তবে সে নিশ্চয়ই তার কাজ গোপন করবে না। তুমি যখন এত সব মহত্ কাজ করছ তখন নিজেকে জগতের কাছে প্রকাশ কর। যেন সবাই তা দেখতে পায়।” তাঁর ভাইরাও তাঁকে বিশ্বাস করত না।

যীশু তাঁর ভাইদের বললেন, “আমার নিরূপিত সময় এখনও আসে নি; কিন্তু তোমাদের যাওয়ার জন্য যে কোন সময় সঠিক, এখনই তোমরা যেতে পার। জগত সংসার তোমাদের ঘৃণা করতে পারে না, কিন্তু আমাকে ঘৃণা করে। কারণ পৃথিবীর লোকেরা, যারা মন্দ কাজ করে, সেই সব লোকদের বিরুদ্ধে আমি সাক্ষ্য দিই। তোমরা পর্বে যাও, আমি এখন এই উৎসবে যাচ্ছি না, কারণ আমার নিরূপিত সময় এখনও আসে নি।” এই কথা বলার পর তিনি গালীলেই রয়ে গেলেন।

10 তাঁর ভাইরা উৎসবে চলে গেল। পরে তিনিও সেখানে গেলেন, কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে সেই পর্বে না গিয়ে গোপনে সেখানে গেলেন। 11 ইহুদী নেতারা উৎসবে এসে তাঁর খোঁজ করতে লাগল। তারা বলাবলি করতে লাগল, “সেই লোকটা গেল কোথায়?”

12 আর জনতার মধ্যে তাঁকে নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়াতে লাগল। কেউ কেউ বলল, “আরে তিনি খুব ভালো লোক।” কিন্তু আবার অন্যরা বলল, “না, না, ও লোকদের ঠকাচ্ছে।” 13 কিন্তু ইহুদী নেতাদের ভয়ে তাঁর বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে চাইল না।

জেরুশালেমে যীশুর শিক্ষা

14 পর্বের আধা-আধি সময়ে যীশু মন্দিরে গিয়ে লোকদের মাঝে শিক্ষা দিতে লাগলেন। 15 ইহুদীরা এতে খুব আশ্চর্য হয়ে বলল, “এই লোক কোন কিছু অধ্যয়ন না করেই কিভাবে এত সব জ্ঞান লাভ করল?”

16 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি যা শিক্ষা দিই তা আমার নিজস্ব নয়। যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এসব সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া। 17 যদি কেউ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে চায় তাহলে সে জানবে আমি যা শিক্ষা দিই তা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, না আমি নিজের থেকে এসব কথা বলছি। 18 যদি কেউ নিজের ভাবনার কথা নিজে বলে, তাহলে সে নিজেই নিজেকে সম্মানিত করতে চায়; কিন্তু যে তার প্রেরণ কর্তার গৌরব চায়, সেই লোক সত্যবাদী, তার মধ্যে কোন অসাধুতা নেই। 19 মোশি কি তোমাদের কাছে বিধি-ব্যবস্থা দেন নি? কিন্তু তোমরা কেউই সেই বিধি-ব্যবস্থা পালন কর না। তোমরা কেন আমাকে হত্যা করতে চাইছ?”

20 জনতা উত্তর দিল, “তোমাকে ভূতে পেয়েছে, কে তোমাকে হত্যা করতে চাইছে?”

21 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি একটা অলৌকিক কাজ করেছি, আর তোমরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেছ। 22 মোশিও তোমাদের সুন্নতের বিধি-ব্যবস্থা দিয়েছিলেন। যদিও মুলতঃ সেই বিধি-ব্যবস্থা মোশির নয় কিন্তু এই বিধি-ব্যবস্থা প্রাচীন পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে এসেছে। আর তোমরা বিশ্রামবারেও শিশুদের সুন্নত করে থাকো। 23 মোশির বিধি-ব্যবস্থা যেন লঙ্ঘন করা না হয়, এই যুক্তিতে বিশ্রামবারেও যদি কোন মানুষের সুন্নত করা চলে, তাহলে আমি বিশ্রামবারে একটা মানুষকে সম্পূর্ণ সুস্থ করেছি বলে তোমরা আমার ওপর এত ক্রুদ্ধ হয়েছ কেন? 24 বাহ্যিকভাবে কোন কিছু দেখেই তার বিচার করো না। যা সঠিক সেই হিসাবেই ন্যায় বিচার কর।”

লোকেরা সংশয়গ্রস্ত যীশুই কি খ্রীষ্ট?

25 তখন জেরুশালেমের লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “এই লোককেই না ইহুদী নেতারা হত্যা করতে চাইছে? 26 কিন্তু দেখ! এ তো প্রকাশ্যেই শিক্ষা দিচ্ছে; কিন্তু তারা তো এঁকে কিছুই বলছে না। এটা কি হতে পারে যে নেতারা সত্যিই জানে যে, ইনি সেই খ্রীষ্ট? 27 আমরা জানি ইনি কোথা থেকে এসেছেন; কিন্তু মশীহ যখন আসবেন তখন কেউ জানবে না তিনি কোথা থেকে এসেছেন।”

28 তখন যীশু মন্দিরে শিক্ষা দিতে দিতে বেশ চেঁচিয়ে বললেন, “তোমরা আমায় জান, আর আমি কোথা থেকে এসেছি তাও তোমরা জান। তবু বলছি, আমি নিজের থেকে আসি নি, তবে যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনি সত্য; আর তোমরা তাঁকে জান না। 29 কিন্তু আমি তাঁকে জানি, কারণ তিনি আমায় পাঠিয়েছেন। আমি তাঁরই কাছ থেকে এসেছি।”

30 তখন তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করতে লাগল। তবু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না, কারণ তখনও তার সময় আসে নি। 31 কিন্তু সেই জনতার মধ্যে থেকে অনেকেই তাঁর ওপর বিশ্বাস করল; আর বলল, “মশীহ এসে কি তাঁর চেয়েও বেশী অলৌকিক চিহ্ন করবেন?”

ইহুদীরা যীশুকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করল

32 ফরীশীরা শুনল যে সাধারণ লোক যীশুর বিষয়ে চুপি চুপি এইসব আলোচনা করছে। তখন প্রধান যাজকরা ও ফরীশীরা যীশুকে ধরে আনবার জন্য মন্দিরের কয়েকজন পদাতিককে পাঠাল। 33 তখন যীশু বললেন, “আমি আর অল্প কিছুকাল তোমাদের সঙ্গে আছি; তারপর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে ফিরে যাব। 34 তোমরা আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমার খোঁজ পাবে না, কারণ আমি যেখানে থাকব তোমরা সেখানে আসতে পারো না।”

35 ইহুদী নেতারা তখন পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, “সে এমন কোথায় যাবে যে আমরা ওকে খুঁজলেও পাব না? গ্রীকদের শহরে যে সব ইহুদীরা বসবাস করছে, ও কি তাদের কাছে যাবে আর সেখানে গিয়ে গ্রীকদেব কাছে শিক্ষা দেবে? নিশ্চয়ই নয়। 36 ও যে কথা বলল তার মানে কি যে, ‘তোমরা আমার খোঁজ করবে কিন্তু আমায় পাবে না?’ আর ‘আমি যেখানে যাব, তোমরা সেখানে আসতে পার না?’”

যীশু পবিত্র আত্মার বিষয়ে বললেন

37 পর্বের শেষ দিন, যে দিনটি বিশেষ দিন, সেই দিন যীশু উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বললেন, “কারোর যদি পিপাসা পেয়ে থাকে তবে সে আমার কাছে এসে পান করুক। 38 শাস্ত্রে এ কথা বলে, যে আমার ওপর বিশ্বাস করে তার অন্তর থেকে জীবন্ত জলের নদী বইবে।” 39 যীশু পবিত্র আত্মা সম্পর্কে এই কথা বললেন, “সেই পবিত্র আত্মা তখনও দেওয়া হয় নি, কারণ যীশু তখনও মহিমান্বিত হন নি; কিন্তু পরে যারা যীশুকে বিশ্বাস করে তারা সেই আত্মা পাবে।”

যীশুকে নিয়ে লোকদের মধ্যে তর্ক

40 সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী।”

41 অন্যরা বলল, “ইনি মশীহ (খ্রীষ্ট)।”

এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, “খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না। 42 শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই যে খ্রীষ্টকে দায়ূদের বংশধর হতে হবে; আর দায়ূদ যে বৈৎলেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?” 43 তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল। 44 কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইল; কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না।

ইহুদী নেতাদের অবিশ্বাস

45 তখন মন্দিরের সেই পদাতিকরা, প্রধান যাজক ও ফরীশীদের কাছে ফিরে গেল। তাঁরা মন্দিরের সেই পদাতিককে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা তাঁকে ধরে আনলে না কেন?”

46 পদাতিকরা বলল, “উনি যে সব কথা বলছিলেন কোন মানুষ কখনও সেই ধরণের কথা বলেনি!”

47 তখন ফরীশীরা বললেন, “তাহলে তোমরাও কি ঠকে গেলে? 48 ফরীশী বা নেতাদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিলেন যিনি তাঁর ওপর বিশ্বাস করেছেন? 49 কিন্তু এইসব লোকেরা বিধি-ব্যবস্থার কিছুই জানে না। তারা অভিশপ্ত এবং ঈশ্বরের কৃপা থেকে বঞ্চিত।”

50 তখন এই নেতাদের একজন নীকদীম, যিনি ফরীশীদের মধ্যে একজন, তাঁদের বললেন, তিনিই আগে একবার যীশুর কাছে গিয়েছিলেন। 51 কোন ব্যক্তির কথা না শুনে আমরা আমাদের বিধি-ব্যবস্থায় তার বিচার করতে পারি না। সে কি করেছে তা না জেনে আমরা তার বিচার করতে পারি না।

52 এর উত্তরে তারা তাকে বলল, “তুমি নিশ্চয়ই গালীলী থেকে আসো নি, তাই না? শাস্ত্র পড়ে দেখো তাহলে জানবে যে গালীলী থেকে কোন ভাববাদীর আবির্ভাব হয় নি।”

ব্যভিচারিণীর বিচার

53 এরপর ইহুদী নেতারা সেখান থেকে যে যার বাড়ি চলে গেলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International