M’Cheyne Bible Reading Plan
শিবার রাণী শলোমনের সঙ্গে দেখা করলেন
9 শিবার রাণী শলোমনের খ্যাতির কথা শুনে তাঁকে পরীক্ষা করতে স্বয়ং জেরুশালেমে এলেন। শিবার রাণীর সঙ্গে একটা বড় সড় দল উটের পিঠে মশলাপাতি, প্রচুর পরিমাণে সোনা ও মূল্যবান পাথর বয়ে নিয়ে এসেছিল। তিনি শলোমনের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে অনেক শক্ত শক্ত প্রশ্ন করলেন। 2 শলোমন তাঁর সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন কারণ তাঁর ব্যাখ্যার অতীত বা বোধগম্য নয় এমন কিছুই ছিল না। 3 শিবার রাণী তাঁর প্রজ্ঞার পরিচয় পেলেন এবং তাঁর বানানো প্রাসাদের চারদিকে তাকিয়ে, 4 শলোমনের টেবিলে পরিবেশন করা খাবার দাবার, তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রাজকর্মচারী, ভৃত্যদের কাজের ধারা ও তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ, শলোমনের দ্রাক্ষারস পরিবেশক, তাদের পরিধেয় বস্ত্র, ইত্যাদি ছাড়াও প্রভুর মন্দিরে শলোমনের দেওয়া হোমবলির পরিমাণ দেখে তিনি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলেন।
5 তারপর তিনি রাজা শলোমনকে বললেন, “আমি আমার দেশে বসে আপনার অতুল কীর্তি ও জ্ঞানের সম্পর্কে যা শুনেছিলাম দেখছি তার সবই সত্যি। 6 এখানে এসে স্বচক্ষে না দেখা পর্যন্ত আমি সেসব কথা বিশ্বাস করি নি, কিন্তু এখন দেখছি আমি যেসব গল্প শুনেছিলাম, আপনার প্রকৃত জ্ঞান তার চেয়েও ঢের বেশী। 7 আপনার স্ত্রীদের ও আপনার অধীনস্থ কর্মচারীদের কি সৌভাগ্য যে তাঁরা সর্বক্ষণ আপনার সেবা করতে করতে আপনার বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তা শুনতে পান। 8 আপনার প্রভু ঈশ্বরের যথার্থই প্রশংসা করুন। তিনি আপনার মতো একজন সেবককে তাঁর সিংহাসনে বসিয়ে নিশ্চয়ই খুবই সন্তুষ্ট। তিনি প্রকৃতই ইস্রায়েলকে সহানুভূতি ও প্রেমসহ দেখেন এবং তাকে চিরকালের মতো দাঁড় করিয়ে দিতে চান এবং সেজন্যই তিনি আপনাকে যথাযথ এবং ঠিক কাজ করবার জন্য ইস্রায়েলের রাজা করেছেন।”
9 এরপর শিবার রাণী শলোমনকে 4 1/2 টন সোনা সহ বহু মশলাপাতি ও দামী দামী পাথর উপহার দিলেন। তাঁর মতো এতো উৎকৃষ্ট মশলাপাতি রাজা শলোমনকে কেউ কখনো উপহার দেননি।
10 রাজা হূরম ও শলোমনের ভৃত্যরা ওফীর থেকে সোনা ছাড়াও, চন্দন কাঠ ও বহু দামী দামী পাথর এনেছিলেন। 11 রাজা শলোমন সেই কাঠ দিয়ে প্রভুর মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের সিঁড়িগুলি এবং বীণা ও বাদ্যযন্ত্রাদি বানিয়েছিলেন। যিহূদার কেউ এর আগে চন্দন কাঠ দিয়ে বানানো এতো সুন্দর জিনিস দেখে নি।
12 রাজা শলোমনও, শিবার রাণীকে তিনি যা যা চেয়েছিলেন সবই দিয়েছিলেন। তিনি শলোমনকে যা উপহার দিয়েছিলেন শলোমন তার থেকেও অনেক বেশী পরিমাণ উপহার শিবার রাণীকে দিয়েছিলেন। তারপর শিবার রাণী ও তাঁর ভৃত্যরা নিজের দেশে ফিরে গেলেন।
শলোমনের বিপুল ঐশ্বর্য
13 প্রতি বছর শলোমনের প্রায় 25 টন সোনা সংগ্রহ হতো। 14 বণিক ও ব্যবসায়ীরা ছাড়াও আরবের সমস্ত রাজারা এবং দেশের শাসনকর্তারা শলোমনের জন্য বহু পরিমাণে সোনা ও রূপো নিয়ে আসতেন। সোনা ও রূপো ছাড়াও তাঁরা ঘোড়া ও খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে কাপড়চোপড়, অস্ত্রশস্ত্র, মশলাপাতি নিয়ে আসতেন।
15 রাজা শলোমন পেটানো সোনা দিয়ে 200টি বড় বড় ঢাল বানিয়েছিলেন। এক একটা ঢাল বানাতে প্রায় 7 1/2 টন করে সোনা ব্যবহার করা হয়েছিল। 16 এছাড়াও তিনি পেটানো সোনায় ছোট ছোট 300টি ঢাল বানিয়েছিলেন, যার এক একটা বানাতে প্রায় 3 3/4 টন করে সোনা ব্যবহার করা হয়েছিল। এই সমস্ত ঢালগুলো শলোমন তাঁর প্রাসাদে টাঙিয়ে রেখেছিলেন।
17 শলোমন হাতির দাঁত দিয়ে একটা বিশাল রাজসিংহাসনও বানিয়েছিলেন এবং সেটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন। 18 এই সিংহাসনে ছটা ধাপ দিয়ে উঠতে হতো আর এর পা-দানীটি ছিল খাঁটি সোনায় বানানো। সিংহাসনের দুধারের হাতলের পাশে ছিল একটা করে সিংহের প্রতিমূর্ত্তি। 19 সিংহাসনে ওঠার ধাপগুলোর প্রত্যেকটার দুধারে একটা করে ছ’টা ছ’টা মোট 12টা সিংহের প্রতিকৃতি ছিল। অন্য কোন রাজ্যে কখনো এধরনের কোন সিংহাসন বসানো হয়নি।
20 শলোমনের প্রত্যেকটা পানপাত্র ছিল সোনায় বানানো। প্রাসাদের সমস্ত জিনিস ছিল সোনায় তৈরী। শলোমনের রাজত্বের সময় সোনা ও রূপো এতো সুলভ হয়ে পড়েছিল যে সোনা ও রূপোকে কেউ মূল্যবান জিনিস বলে গণ্যই করতো না,
21 কারণ রাজার জাহাজ প্রতি তিন বছর অন্তর তর্শীশে পাড়ি দিত এবং হূরমের নাবিকরা জাহাজ ভরে সোনা ও রূপো, হাতির দাঁত, নানান প্রজাতির বাঁদর ও মযূর নিয়ে আসত।
22 সম্পদে ও বুদ্ধিতে পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত রাজাদের তুলনায় শলোমন অনেক বড় ছিলেন। 23 পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজারা শলোমনের কাছে তাঁর ঈশ্বর প্রদত্ত জ্ঞান ও সূক্ষ্ম বিচার বুদ্ধির পরিচয় পেতে আসতেন। 24 প্রত্যেক বছর এই সমস্ত রাজারা শলোমনের জন্য সোনা ও রূপোয় বানানো জিনিসপত্র, জামাকাপড়, মশলাপাতি, ঘোড়া, খচ্চর ইত্যাদি নিয়ে আসতেন।
25 ঘোড়া ও রথ রাখার জন্য শলোমন 4000 আস্তাবল বানিয়েছিলেন। তাঁর সারথির মোট সংখ্যা 12,000 ছিল। এদের থাকার জন্য বানানো বিশেষ কয়েকটি শহর ও তাঁর কাছে জেরুশালেমে তাদের রাখা হতো। 26 শলোমন, ফরাৎ নদী থেকে শুরু করে পলেষ্টীয়দের দেশ বরাবর মিশরের সীমানা পর্যন্ত সমস্ত রাজাদের শাসক হলেন। 27 রাজা শলোমন তাঁর সময়ে এত প্রচুর পরিমাণ রূপো সংগ্রহ করেছিলেন যে তিনি জেরুশালেমে রূপোকে পাথরের মত সস্তা করে তুলেছিলেন। ইস্রায়েলের উপকূলবর্তী অরণ্যে অন্য যে কোন গাছের মতো দামী ধরণের এরস গাছপালা ছিল খুব মামুলি। 28 লোকেরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শলোমনের কাছে ঘোড়া নিয়ে আসতেন।
শলোমনের মৃত্যু
29 শলোমন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে সমস্ত কাজ করেছিলেন ভাববাদী নাথনের ইতিহাস থেকে, শীলোনীয় অহীয়র ভবিষ্যদ্বাণী থেকে এবং ভাববাদী ইদ্দোর নবাটের পুত্র যারবিয়াম সম্পর্কিত দর্শন থেকে সে সমস্তই জানা যায়। 30 শলোমন 40 বছর ধরে জেরুশালেম থেকে সমগ্র ইস্রায়েল শাসন করেছিলেন। 31 তারপর তাঁর মৃত্যু হলে তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে দায়ূদ নগরে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হল। এরপর শলোমনের পুত্র রহবিয়াম শলোমনের জায়গায় নতুন রাজা হলেন।
1 আমি যিহূদা, যীশু খ্রীষ্টের দাস এবং যাকোবের ভাই, এই চিঠি তাদের উদ্দেশ্যে লিখছি যাদের ঈশ্বর আহ্বান করেছেন।
পিতা ঈশ্বর তোমাদের ভালোবাসেন এবং যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা তোমাদের রক্ষা করেন।
2 ঈশ্বর তাঁর দয়া, শান্তি এবং প্রেম আরো অধিক পরিমাণে তোমাদের জীবনে দান করুন।
অধার্মিক লোকদের ঈশ্বর শাস্তি দেবেন
3 প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের সকলের জন্য যে পরিত্রাণের ব্যবস্থা রয়েছে তারই বিষয়ে আমি তোমাদের কিছু লিখতে আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু তবু একবার যে বিশ্বাস তোমরা লাভ করেছ, বা চিরদিনের জন্য উত্তম, যা ঈশ্বর তাঁর পবিত্র লোকদের দিয়েছেন, তার পক্ষে যেন তোমরা প্রাণপণে যুদ্ধ কর সেই বিষয়ে উৎসাহ দেবার জন্য তোমাদের কাছে লেখা দরকার বলে আমি মনে করলাম। 4 কারণ এমন কিছু লোক গোপনে তোমাদের দলে ঢুকে পড়েছে যাদের সম্বন্ধে বহুপূর্বেই শাস্ত্রে দণ্ডাজ্ঞার কথা লেখা হয়েছে। এই অধার্মিক লোকরা ঈশ্বরের অনুগ্রহকে তাদের অনৈতিক কাজকর্মের অজুহাতে পরিণত করেছে; আর যীশু খ্রীষ্ট যে আমাদের একমাত্র কর্তা ও প্রভু তা এরা অস্বীকার করে।
5 আমি তোমাদের কিছু কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যদিও তোমরা সকলেই এসব বিষয় জান। তবু বলব প্রভু মিশর দেশ থেকে তাঁর প্রজাদের উদ্ধার করে পরে যারা অবিশ্বাসী তাদের সকলকে ধ্বংস করেছিলেন। 6 আমি তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যে সেই স্বর্গদূতরা যারা নিজেদের আধিপত্য রক্ষা না করে নিজ বাসস্থান ত্যাগ করেছিল, তাদের তিনি (ঈশ্বর) ঘোর অন্ধকার কারাগারে অনন্তকালীন শেকলে বেঁধে রেখেছেন আর মহাবিচারের দিনে তাদের বিচার করা হবে। 7 সদোম, ঘমোরা ও তাদের আশেপাশের নগরগুলির কথা ভুলে যেও না। এই স্বর্গদূতদের মতো তারাও নীতিহীন যৌনতায় প্রবৃত্ত হত এবং অস্বাভাবিক যৌনসংসর্গে লিপ্ত হত। অনন্ত আগুনে শাস্তি ভোগ করে তারা আমাদের সামনে দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়ে রয়েছে।
8 একইভাবে এই লোকরা, যারা তোমাদের দলে এসেছে, তারা নিজেদের স্বপ্ন দ্বারা চালিত হয় এবং নিজেদের দেহকে পাপে কলুষিত করে। তারা প্রভুর কর্তৃত্ত্ব (নিয়ম) অগ্রাহ্য করে আর যারা সম্মানীয় ব্যক্তি তাদের নিন্দা করে। 9 কিন্তু প্রধান স্বর্গদূত মীখায়েলের কথা আমরা জানি, যখন তিনি মোশির দেহ নিয়ে দিয়াবলের সঙ্গে তর্ক করছিলেন তখন তিনি দিয়াবলকে কোন কটু কথা বলতে সাহস করেন নি, তার পরিবর্তে শুধু বলেছিলেন, “প্রভু তোমাকে তিরস্কার করুন।”
10 কিন্তু এই লোকরা যে সব বিষয় বোঝে না তারই নিন্দা করে; আর চিন্তা দ্বারা নয় বরং তাদের স্বাভাবিক অনুভূতির দ্বারা যা বোঝে, যুক্তিবিহীন পশুদের মত তাই করে নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে। 11 তাদের ধিক্, কারণ কয়িন যে পথে গিয়েছিল তারাও সেই পথ ধরেছে। তারা বিলিয়মের মতো টাকার লোভে ভ্রান্ত পথে চলেছে। আর কোরহের মতো বিদ্রোহী হয়ে ধ্বংসের পথে চলেছে।
12 এইসব লোকরা তোমাদের প্রেমভোজে ময়লা দাগের মতো। কোন ভয় না করে তারা তোমাদের সঙ্গে ভোজ খায় এবং কেবল নিজেদের কথাই ভাবে। তারা হাওয়ায় ভেসে যাওয়া বৃষ্টিহীন মেঘের মতো, ফলনের ঋতুতে ফলহীন বলে শেকড় সমেত উপড়ে ফেলা গাছের মতো; সুতরাং তারা দুই বার মৃত। 13 তাদের লজ্জাজনক কাজ উত্তাল সমুদ্রে তৈরী ছড়িয়ে যাওয়া ফেনার মতো। ঐ লোকগুলি আকাশে ইতস্ততঃ ভ্রমণরত তারার মতো। ঘনতম অন্ধকারের মধ্যে তাদের জন্য এক অনন্তকালীন স্থান রয়েছে।
14 আদমের থেকে সপ্তম পুরুষ যে হনোক, তিনিও এই লোকদের সম্বন্ধে ভাববাণী করেছেন: “দেখ তাঁর লক্ষ লক্ষ পবিত্র স্বর্গদূতদের সঙ্গে নিয়ে প্রভু আসছেন। 15 তিনি সকলের বিচার করার জন্য এবং সকলকে তাদের কৃত সকল অধার্মিক কাজকর্মের জন্য শাস্তি দিতে আসছেন। এইসব অধার্মিক পাপী তাঁর বিরুদ্ধে যত সব উদ্ধত কথাবার্তা বলেছে সেই কারণে তাদের দোষী ঘোষণা করার জন্য আসছেন।”
16 তারা সব সময় অভিযোগ ও নিন্দা করে, তাদের নিজেদের অভিলাষ অনুসারে চলে। নিজেদের বিষয়ে গর্ব করে এবং লাভের আশায় তারা অন্যদের তোষামোদ করে।
একটি সতর্কবাণী ও কিছু কাজের কথা
17 প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিতরা যা বলে গেছেন তা মনে রেখো। 18 তাঁরা তো তোমাদের বলতেন, “শেষের সময় এমন সব উপহাসকরা আসবে যারা নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী ঈশ্বর-বিরুদ্ধ কাজ করবে।” 19 এই লোকরাই তোমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। তারা তাদের পাপ প্রবৃত্তির দাস। তাদের সেই আত্মা নেই।
20 কিন্তু প্রিয় বন্ধু, তোমরা নিজেদের পরম পবিত্র বিশ্বাসের ওপর গেঁথে তোল। পবিত্র আত্মাতে প্রার্থনা কর। 21 নিজেদের ঈশ্বরের প্রেমে রাখ; আর অনন্ত জীবনের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দয়া লাভের অপেক্ষায় থাক।
22 যাদের মনে সন্দেহ আছে, এমন লোকদের সাহায্য কর। 23 নরকের আগুন থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের পরিত্রাণ দ্বারা রক্ষা কর। অন্যদের প্রতি সতর্কভাবে করুণা প্রদর্শন কর; কিন্তু পাপের দ্বারা কলঙ্কিত তাদের বস্ত্রকে ঘৃণা কর।
ঈশ্বরের প্রশংসা কর
24 ঈশ্বর শক্তিশালী, তিনি তোমাদের পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবেন আর নিজের মহিমার সামনে নির্দোষ অবস্থায় আনন্দের সঙ্গে তোমাদের উপস্থিত করতে তিনি সক্ষম। 25 তিনিই একমাত্র ঈশ্বর, আমাদের উদ্ধারকর্তা। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা তাঁরই প্রতাপ, মহিমা, পরাক্রম ও কর্তৃত্ত্ব যুগপর্যায়ে যুগে যুগে অবিচল থাকুক্। আমেন।
1 প্রভু এই বার্তাটি সফনিয়কে দিয়েছিলেন। আমোনের পুত্র যোশিয় যখন যিহূদার রাজা, সেই সময়ে সফনিয় এই বার্তাটি পেয়েছিলেন। সফনিয় ছিলেন কূশির পুত্র। কূশি ছিলেন গদলিয়ের পুত্র। গদলিয় ছিলেন অমরিয়ের পুত্র। অমরিয় ছিলেন হিষ্কিয়ের পুত্র।
জনসাধারণকে বিচারের জন্য প্রভুর দিন
2 প্রভু বলেছেন, “আমি পৃথিবীর ওপর সব কিছু ধ্বংস করব! 3 আমি সব মানুষ এবং পশুদের ধ্বংস করব। আকাশের পাখী এবং সমুদ্রের মাছকেও আমি ধ্বংস করব। আমি দুষ্ট লোক এবং যে সমস্ত জিনিষ তাদের পাপকাজে প্ররোচিত করে তা ধ্বংস করব। আমি পৃথিবী থেকে সমস্ত মনুষ্য জাতিকে সরিয়ে দেব।” প্রভু এই কথাগুলো বলেন।
4 প্রভু বলেছেন, “যিহূদা এবং জেরুশালেমে যেসব লোক বাস করছে তাদের আমি শাস্তি দেব। আমি ঐ জায়গা থেকে এইসব জিনিসগুলো দূর করব। আমি বাল পূজোর বাকী চিহ্নগুলি সরিয়ে দেব। আমি যাজকদের সরিয়ে দেব। 5 লোকেরা ঐ সব ভ্রান্ত যাজকদের সম্বন্ধে ভুলে যাবে এবং যারা তাদের ছাদে গিয়ে তারকাসমূহের পূজো করে তাদের সরিয়ে দেব। কিছু লোক বলে যে তারা আমাকে উপাসনা করে। ঐসব লোকেরা আমাকে উপাসনা করার জন্য প্রতিশ্রুতি করেছিল, কিন্তু এখন তারা মালকামের মূর্ত্তি পূজো করছে। সেজন্য আমি ঐসব লোকেদের এই জায়গা থেকে সরিয়ে দেবো। 6 কিছু লোক প্রভুর পথ থেকে সরে গিয়েছিল। তারা আমাকে অনুসরণ করা ছেড়েছে। ঐ লোকেরা প্রভুর কাছ থেকে আর সাহায্য চায় না। সেজন্য আমি ঐসব লোকেদের সেই জায়গা থেকে দূর করে দেব।”
7 আমার প্রভু, সদাপ্রভুর সামনে নীরব থাকো! কেন? কারণ শীঘ্রই জনসাধারণকে বিচার করার জন্য প্রভুর দিন আসছে! প্রভু তাঁর উৎসর্গের আয়োজন করেছেন এবং তিনি তাঁর নিমন্ত্রিত অতিথিদের প্রস্তুত হয়ে থাকতে বলেছেন।
8 প্রভু বলেছেন, “প্রভুর উৎসর্গের দিনে, আমি রাজপুত্রদের এবং অন্যান্য নেতাদের শাস্তি দেব। অন্য দেশসমূহ থেকে পাওয়া পোষাক যারা পরে আমি সেইসব লোকেদের শাস্তি দেব। 9 সেই সময়ে চৌকাঠের ওপর যারা লাফায় তাদের আমি শাস্তি দেব। যারা তাদের প্রভুর গৃহ প্রবঞ্চনা ও হিংস্রতা দিয়ে ভরিয়ে রাখে তাদের আমি শাস্তি দেব।”
10 প্রভু আরো বলেছেন, “সেই সময়ে, জনসাধারণ সাহায্যের জন্য জেরুশালেমের মৎসদ্বারের সামনে এসে ডাকবে। শহরের অন্যান্য জায়গার লোকেরা কাঁদবে এবং পাহাড়ের চারিদিকে যেসব জিনিস ধ্বংস করা হচ্ছে তাদের বিশাল আওয়াজ জনসাধারণ শুনতে পাবে। 11 জনসাধারণ, তোমরা যারা শহরের নিম্নাঞ্চলে থাকো, তোমরা কাঁদবে। কেন? কারণ, সব ব্যবসায়ী এবং ধনী বণিকরা ধ্বংস হবে।
12 “সেই সময়ে আমি একটা প্রদীপ নেব এবং জেরুশালেমের ভেতর খুঁজব। যারা নীচভাবে জীবনাপন করছে আমি তাদের খুঁজে বার করব। সেইসব লোকেরা বলে, ‘প্রভু কিছুই করেন না। তিনি আমাদের সাহায্যও করেন না এবং ক্ষতিও করেন না!’ আমি সেইসব লোকদের খুঁজে বার করব এবং তাদের শাস্তি দেব! 13 তখন অন্যান্য লোকেরা তাদের সম্পত্তি নেবে এবং বাড়ীগুলি ধ্বংস করবে। সেই সময়ে, লোকে যে সব গৃহ তৈরী করেছে তাতে তারা বাস করতে পারবে না এবং মাঠে যে দ্রাক্ষাগাছ লাগিয়েছিল সেই দ্রাক্ষা থেকে তারা দ্রাক্ষারস পান করতে পারবে না—অন্যান্য লোকেরা সেইসব ভোগ করবে।”
14 বিচার করার জন্য প্রভুর বিশেষ দিন শীঘ্রই আসছে! সেই দিনটি কাছে এসে পড়েছে এবং তাড়াতাড়িই আসছে। প্রভুর বিচার করার বিশেষ দিনে লোকে খুবই বিষাদময় শব্দ শুনতে পাবে। এমনকি শক্তিশালী সৈন্যরাও বিলাপ করবে। 15 সেই মূহুর্তে ঈশ্বর তাঁর ক্রোধ প্রকাশ করবেন। সময়টা হবে ভয়ঙ্কর সঙ্কটের এবং ধ্বংসের। সময়টা হবে অন্ধকারের সময়—কালো, মেঘাচ্ছন্ন এবং ঝড়ের দিন। 16 সেটা যুদ্ধের সময়ের মতো, যখন লোকেরা প্রতিরক্ষার দুর্গে এবং সুরক্ষিত শহরগুলোতে শিঙা এবং ভেরীর আওয়াজ শুনতে পাবে।
17 প্রভু বলেছিলেন, “আমি লোকের জীবনকে খুবই কঠিন করে তুলব। অন্ধ লোকেরা যেমন জানে না তারা কোথায় ঘুরছে, সেইভাবেই লোকে চারিদিকে হাতড়ে বেড়াবে। কেন? কারণ ঐ লোকেরা প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছে। বহুলোক হত হবে। তাদের রক্ত মাটিতে চল্কে পড়বে। মাটিতে তাদের মৃতদেহগুলো গোবরের মত স্তুপাকার করা হবে। 18 সোনা এবং রূপো তাদের সাহায্যে আসবে না! সেই সময়ে প্রভু তাঁর ক্রোধ প্রকাশ করবেন এবং পুরো পৃথিবী ধ্বংস করে দেবেন। পৃথিবীর সবাইকে সম্পূর্ণরূপে প্রভু ধ্বংস করবেন!”
রাজ্যপাল পীলাত যীশুকে প্রশ্ন করলেন
(মথি 27:1-2, 11-14; মার্ক 15:1-5; যোহন 18:28-38)
23 এরপর তারা সকলে উঠে প্রভু যীশুকে নিয়ে পীলাতের কাছে গেল। 2 আর তারা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, “আমরা দেখেছি, লোকটা আমাদের জাতিকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে। এ কৈসরকে কর দিতে বারণ করে আর বলে, সে নিজেই খ্রীষ্ট, একজন রাজা।”
3 তখন পীলাত যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি ইহুদীদের রাজা?”
যীশু তাঁকে বললেন, “তুমি নিজেই সে কথা বললে।”
4 এরপর পীলাত প্রধান যাজক ও লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, “এই লোকের বিরুদ্ধে কোন দোষই আমি খুঁজে পাচ্ছি না।”
5 কিন্তু তারা জেদ ধরে বলতে লাগল, “এই লোকটি যিহূদার সমস্ত জায়গায় শিক্ষা দিয়ে লোকদের ক্ষেপিয়ে তুলছে। গালীল থেকে শুরু করে এখন সে এখানে এসেছে।”
পীলাত যীশুকে হেরোদের কাছে পাঠালেন
6 এই কথা শুনে পীলাত জানতে চাইলেন যীশু গালীলের লোক কিনা। 7 তিনি যখন জানতে পারলেন যে হেরোদের শাসনাধীনে যে অঞ্চল আছে যীশু সেখানকার লোক, তখন তিনি যীশুকে হেরোদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, কারণ হেরোদ তখন জেরুশালেমেই ছিলেন।
8 রাজা হেরোদ যীশুকে দেখে খুবই খুশী হলেন, কারণ তিনি অনেকদিন থেকেই তাঁকে দেখতে চাইছিলেন। তাঁর বিষয়ে হেরোদ অনেক কথাই শুনেছিলেন এবং আশা করেছিলেন যে যীশু কোন অলৌকিক কাজ করে তাঁকে দেখাবেন। 9 তিনি যীশুকে অনেক প্রশ্ন করলেন; কিন্তু যীশু তাকে কোন উত্তরই দিলেন না। 10 প্রধান যাজকরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা সেখানে দাঁড়িয়ে প্রবলভাবে যীশুর বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে লাগল। 11 হেরোদ তার সৈন্যদের নিয়ে যীশুকে নানাভাবে অপমান ও উপহাস করলেন। পরে একটা সুন্দর আলখাল্লা পরিয়ে তাঁকে আবার পীলাতের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। 12 এর আগে পীলাত ও হেরোদ পরস্পর শত্রু ছিলেন; কিন্তু ঐ দিন তাঁরা পরস্পর আবার বন্ধু হয়ে গেলেন।
যীশুর মৃত্যু অবধারিত
(মথি 27:15-26; মার্ক 15:6-15; যোহন 18:39–19:16)
13 পীলাত প্রধান যাজকদের ও ইহুদী নেতাদের ডেকে বললেন, 14 “তোমরা আমার কাছে এই লোকটিকে নিয়ে এসে বলছ যে এ লোকদের বিপথে চালিত করছে। তোমাদের সামনেই আমি ভালভাবে একে জেরা করে দেখলাম; আর তোমরা এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছ তার কোন প্রমাণই পেলাম না, সে নির্দোষ। 15 এমন কি রাজা হেরোদও পান নি, তাই তিনি একে আবার আমাদের কাছে ফেরত পাঠিয়েছেন। আর দেখ, মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য কোন কাজই এ করে নি। 16 তাই একে আমি আচ্ছা করে চাবুক মেরে ছেড়ে দেব।” 17 [a]
18 কিন্তু তারা সকলে এক সঙ্গে চিৎকার করে বলে উঠল, “এই লোকটাকে দূর কর! আমাদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দাও!” 19 শহরের মধ্যে গণ্ডগোল বাধানো ও হত্যার অপরাধে বারাব্বাকে কারাবন্দী করা হয়েছিল।
20 পীলাত যীশুকে ছেড়ে দিতে চাইলেন, তাই তিনি আবার লোকদের বোঝাতে চেষ্টা করলেন। 21 কিন্তু তারা চিৎকার করেই চলল, “ওকে ক্রুশে দাও, ক্রুশে দাও।”
22 পীলাত তৃতীয় বার তাদের বললেন, “কেন? এই লোক কি অপরাধ করেছে? মৃত্যুদণ্ড দেবার মতো কোন দোষই তো এর আমি দেখছি না, তাই একে আমি চাবুক মেরে ছেড়ে দেব।”
23 কিন্তু তারা প্রচণ্ড চিৎকার করেই চলল, তাঁকে যেন ক্রুশে দেওয়া হয়, এই দাবিতে তারা অনড় থাকল। আর শেষ পর্যন্ত তাদের চিৎকারেরই জয় হল। 24 পীলাত তাদের অনুরোধ রক্ষা করবেন বলে ঠিক করলেন। 25 যাকে বিদ্রোহ ও খুনের অপরাধে কারাগারে রাখা হয়েছিল তাকেই তিনি মুক্তি দিলেন, আর যীশুকে তাদের হাতে তুলে দিলেন যেন তাকে নিয়ে তারা যা চায় তা করতে পারে।
যীশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হল
(মথি 27:32-44; মার্ক 15:21-32; যোহন 19:17-27)
26 তারা যখন যীশুকে নিয়ে যাচ্ছিল তখন কুরীশীর শহরের শিমোন নামে একজন লোককে সৈন্যরা ধরল, সে তখন মাঠ থেকে আসছিল। তারা সেই ক্রুশটা তার ঘাড়ে চাপিয়ে যীশুর পেছনে পেছনে সেটা বয়ে নিয়ে যেতে তাকে বাধ্য করল।
27 এক বিরাট জনতা তার পেছনে পেছনে যাচ্ছিল, তাদের মধ্যে কিছু স্ত্রীলোকও ছিল যাঁরা যীশুর জন্য কান্নাকাটি ও হা-হুতাশ করতে করতে যাচ্ছিল। 28 যীশু তাদের দিকে ফিরে বললেন, “হে জেরুশালেমের মেয়েরা, তোমরা আমার জন্য কেঁদো না, বরং নিজেদের জন্য ও তোমাদের সন্তানদের জন্য কাঁদ। 29 কারণ এমন দিন আসছে যখন লোকে বলবে, ‘বন্ধ্যা স্ত্রীলোকেরাই ধন্য! আর ধন্য সেই সব গর্ভ যা কখনও সন্তান প্রসব করে নি, ধন্য সেই সব স্তন যা কখনও শিশুদের পান করায় নি।’ 30 সেই সময় লোকে পর্বতকে বলবে, ‘আমাদের ওপরে পড়!’(A) তারা ছোট ছোট পাহাড়কে বলবে, ‘আমাদের চাপা দাও!’ 31 কারণ গাছ সবুজ থাকতেই যদি লোকে এরকম করে, তবে গাছ যখন শুকিয়ে যাবে তখন কি করবে?”
32 দুজন অপরাধীকে তাঁর সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওযা হচ্ছিল। 33 তারা “মাথার খুলি” নামে একটা জায়গায় এসে পৌঁছাল, সেখানে ঐ দুজন অপরাধীর সঙ্গে তারা যীশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করল। তারা একজনকে তাঁর বাঁদিকে, আর অন্যজনকে তাঁর ডানদিকে ক্রুশে টাঙিয়ে দিল।
34 তখন যীশু বললেন, “পিতা, এদের ক্ষমা কর, কারণ এরা যে কি করছে তা জানে না।”
তারা পাশার ঘুঁটি চেলে গুলিবাঁট করে নিজেদের মধ্যে তাঁর পোশাকগুলি ভাগ করে নিল। 35 লোকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছিল, ইহুদী নেতারা ব্যঙ্গ করে তাঁকে বলতে লাগল, “ওতো অন্যদের বাঁচাতো। ও যদি ঈশ্বরের মনোনীত সেই খ্রীষ্ট হয় তবে এখন নিজেকে বাঁচাক দেখি!”
36 সৈন্যরাও তাঁর কাছে এগিয়ে এসে তাঁকে উপহাস করতে লাগল। তারা পান করার সিরকা এগিয়ে দিয়ে যীশুকে বলল, 37 “তুই যদি ইহুদীদের রাজা, তবে নিজেকে বাঁচা দেখি!” 38 (তারা একটা ফলকে “এ ইহুদীদের রাজা” লিখে যীশুর ক্রুশের ওপর তা লটকে দিল।)
39 তাঁর দুপাশে যাঁরা ক্রুশের ওপর ঝুলছিল, তাদের মধ্যে একজন তাঁকে বিদ্রূপ করে বলল, “তুমি না খ্রীষ্ট? আমাদের ও নিজেকে বাঁচাও দেখি!”
40 কিন্তু অন্য জন তাকে ধমক দিয়ে বলল, “তুমি কি ঈশ্বরকে ভয় কর না? তুমি তো একই রকম শাস্তি পাচ্ছ। 41 আমরা যে শাস্তি পাচ্ছি তা ন্যায়, কারণ আমরা যা করেছি তার যোগ্য শাস্তিই পাচ্ছি; কিন্তু ইনি তো কোন অন্যায় করেন নি।” 42 এরপর সে বলল, “যীশু আপনি যখন আপনার রাজ্যে আসবেন তখন আমার কথা মনে রাখবেন।”
43 যীশু তাকে বললেন, “আমি তোমায় সত্যি বলছি, তুমি আজকেই আমার সঙ্গে পরমদেশে উপস্থিত হবে।”
যীশুর মৃত্যুবরণ
(মথি 27:45-56; মার্ক 15:33-41; যোহন 19:28-30)
44 তখন বেলা প্রায় বারোটা; আর সেই সময় থেকে তিনটা পর্যন্ত সমস্ত দেশ অন্ধকারে ছেয়ে গেল। 45 সেই সময় সূর্যের আলো দেখা গেল না; আর মন্দিরের মধ্যে ভারী পর্দাটা মাঝখানে থেকে চিরে দুভাগ হয়ে গেল। 46 যীশু চিৎকার করে বললেন, “পিতা আমি তোমার হাতে আমার আত্মাকে সঁপে দিচ্ছি।”(B) এই কথা বলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন।
47 সেখানে উপস্থিত শতপতি এইসব ঘটনা দেখে ঈশ্বরের প্রশংসা করে বলে উঠলেন, “ইনি সত্যিই নির্দোষ ছিলেন!”
48 যে লোকরা সেখানে জড়ো হয়েছিল, তারা এইসব ঘটনা দেখে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে সেখান থেকে চলে গেল। 49 কিন্তু যাঁরা যীশুর খুবই পরিচিত ছিলেন, তাঁরা শেষ পর্যন্ত কি ঘটে দেখার জন্য দূরে দাঁড়িয়ে রইলেন। যে সব স্ত্রীলোক গালীল থেকে যীশুর সঙ্গে এসেছিলেন, তাঁরাও এদের মধ্যে ছিলেন।
আরিমাথিয়ার যোষেফ
(মথি 27:57-61; মার্ক 15:42-47; যোহন 19:38-42)
50-51 সেখানে যোষেফ নামে একজন লোক ছিলেন, তিনি ছিলেন ইহুদী মহাসভার সভ্য; ভাল ও দয়ালু ব্যক্তি। তিনি পরিষদের সিদ্ধান্ত ও কার্যকলাপের সঙ্গে একমত হননি। যিহূদার আরিমাথিয়ার শহর থেকে তিনি এসেছিলেন এবং ঈশ্বরের রাজ্যের আগমণের প্রতীক্ষায় ছিলেন। 52 যোষেফ পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর মৃতদেহটি চাইলেন। 53 পরে যীশুর দেহটি ক্রুশের ওপর থেকে নামিয়ে নিয়ে একটি মসলিন কাপড়ে তা জড়ালেন। এরপর পাহাড়ের গা কেটে গর্ত করা একটি সমাধিগুহার মধ্যে দেহটি শুইয়ে রাখলেন। এই সমাধি সম্পূর্ণ নতুন ছিল, এর আগে কাউকে কখনও এখনে কবর দেওয়া হয় নি। 54 সেই দিনটা ছিল বিশ্রামবারের আয়োজনের দিন, আর বিশ্রামবার প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছিল।
55 যে স্ত্রীলোকেরা যীশুর সঙ্গে সঙ্গে গালীল থেকে এসেছিলেন, তাঁরা যোষেফের সঙ্গে গেলেন, আর সেই সমাধিটি ও তার মধ্যে কিভাবে যীশুর দেহ শায়িত রাখা হল তা দেখলেন। 56 এরপর তাঁরা বাড়ি ফিরে গিয়ে বিশেষ এক ধরণের সুগন্ধি তেল ও মশলা তৈরী করলেন।
বিশ্রামবারে তাঁরা বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে কাজকর্ম বন্ধ রাখলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International