M’Cheyne Bible Reading Plan
যাজক গোষ্ঠী
24 হারোণের পুত্রদের নাম নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর আর ঈথামর। 2 হারোণের আগেই নাদব আর অবীহূর অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যু হয়। তাই ইলিয়াসর এবং ঈথামর যাজকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। 3 ইলিয়াসর এবং ঈথামরের পরিবারগোষ্ঠীকে দায়ূদ দুটি পৃথক গোষ্ঠীতে ভাগ করেছিলেন যাতে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। দুই পরিবারকে পৃথক করার সময় দায়ূদ ইলিয়াসরের উত্তরপুরুষ সাদোক এবং ঈথামরের উত্তরপুরুষ অহীমেলকের সাহায্য নিয়েছিলেন। 4 ঈথামরের পরিবারের তুলনায় ইলিয়াসরের পরিবার থেকে হওয়া নেতার সংখ্যা বেশি ছিল। ইলিয়াসরের পরিবারের মোট নেতার সংখ্যা ছিল 16 আর ঈথামরের পরিবারের নেতার সংখ্যা ছিল 8। 5 ঘুঁটি চেলে প্রত্যেক পরিবার থেকে নেতা নির্বাচিত করা হত। কিছু লোককে পবিত্র স্থানের দায়িত্বে বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং ইলিয়াসর ও ঈথামরের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অন্যদের যাজক হিসাবে বাছা হয়েছিল।
6 লেবি পরিবারগোষ্ঠীর নথনেলের পুত্র শময়িয় ছিলেন সচিব। রাজা দায়ূদের সামনে তিনি যাজক সাদোক, অবিয়াথরের পুত্র অহীমেলক ও যাজকগণ এবং লেবি পরিবারগোষ্ঠীর নেতাদের নাম লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এক একবার অক্ষ নিক্ষেপ করে এক এক জনের নাম উঠতো আর শময়িয় তা লিখে নিতেন। এইভাবে ইলিয়াসর এবং ঈথামর পরিবারের মধ্যে কাজকর্ম ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।
7 এইভাবে প্রথম বার উঠেছিল যিহোয়ারীব গোষ্ঠীর নাম।
দ্বিতীয় বার যিদয়িয় গোষ্ঠীর নাম।
8 তৃতীয় বার হারীম গোষ্ঠীর নাম।
চতুর্থ বার সিয়োরীম গোষ্ঠীর নাম।
9 পঞ্চম বার মল্কিয় গোষ্ঠীর নাম।
ষষ্ঠ বার মিয়ামীন গোষ্ঠীর নাম।
10 সপ্তম বার হক্কোষ গোষ্ঠীর নাম।
অষ্টম বার অবিয় গোষ্ঠীর নাম।
11 নবম বার যেশূয় গোষ্ঠীর নাম।
দশম বার শখনিয় গোষ্ঠীর নাম।
12 একাদশ বার ইলীয়াশীব গোষ্ঠীর নাম।
দ্বাদশ বার যাকীম গোষ্ঠীর নাম।
13 ত্রয়োদশ বার হুপ্পের গোষ্ঠীর নাম।
চতুর্দশ বার যেশবাব গোষ্ঠীর নাম।
14 পঞ্চদশ বার বিল্গা গোষ্ঠীর নাম।
ষষ্ঠদশ বার ইম্মের গোষ্ঠীর নাম।
15 সপ্তদশ বার হেষীরে গোষ্ঠীর নাম।
অষ্টাদশ বার হপ্পিসেস গোষ্ঠীর নাম।
16 উনবিংশতি বার পথাহিয় গোষ্ঠীর নাম।
বিংশতি বার যিহিষ্কেল গোষ্ঠীর নাম।
17 একবিংশতি বার যাখীন গোষ্ঠীর নাম।
দ্বাবিংশতি বার গামূল গোষ্ঠীর নাম।
18 ত্রয়োবিংশতি বার দলায় গোষ্ঠীর নাম।
আর চতুর্বিংশতি বার উঠল মাসিয় গোষ্ঠীর নাম।
19 এইভাবে যাদের নাম উঠল তাদের প্রভুর মন্দিরের কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। হারোণকে প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রদত্ত নিয়ম অনুযায়ী এঁদের মন্দিরের কাজ করতে হত।
অন্যান্য লেবীয়রা
20 অন্যান্য লেবিদের উত্তরপুরুষদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন তাঁদের তালিকা দেওয়া হল:
অম্রামের উত্তরপুরুষদের মধ্যে ছিলেন শবূয়েল
আর শবূয়েলের উত্তরপুরুষদের মধ্যে থেকে যেহদিয়়।
21 রহবিয়র বংশধরদের মধ্যে ছিলেন বড় ছেলে যিশিয়।
22 যিষহরীয় পরিবারগোষ্ঠী থেকে ছিলেন শলোমোৎ।
আর শলোমোতের পরিবার থেকে যহৎ।
23 হিব্রোণের পুত্রদের মধ্যে যথাক্রমে যিরিয়,
অমরিয়, যহসীয়েল
এবং যিকমিয়াম।
24 উষীয়েলের পুত্রদের মধ্যে মীখা
আর তার পুত্র শামীর।
25 মীখার ভাই যিশিয়র
পুত্রদের মধ্যে সখরিয়।
26 মরারির উত্তরপুরুষদের মধ্যে মহলি, মূশি আর যাসিয়।
27 এবং যাসিয়ের পুত্ররা ছিল শোহম, সক্কুর ও ইব্রি।
28 মহলির পুত্র ইলিয়াসরের কোনো পুত্র ছিল না।
29 কীশের পুত্রদের মধ্যে ছিলেন যিরহমেল।
30 আর মূশির পুত্রদের মধ্যে মহলি, এদর আর যিরেমোৎ।
পরিবার অনুযায়ী এই সমস্ত লেবির নেতাদের নামই নথিভুক্ত আছে। 31 তারা বিশেষ কাজের জন্য মনোনীত হয়েছিল। তারা তাদের আত্মীয় হারোনের উত্তরপুরুষদের যাজকদের মতো ঘুঁটি চালতো। তারা লেবীয়র রাজা দায়ূদ, সাদোক অহীমেলক এবং যাজক ও লেবীয় পরিবারের নেতাদের সামনে ঘুঁটি চেলে ঠিক করতেন যে কে কি কাজ করবে। কাজের ভার দেবার সময় বড় পরিবার ও ছোট পরিবারগুলির সঙ্গে একই রকম ব্যবহার করা হত।
গায়ক গোষ্ঠী
25 দায়ূদ এবং সৈন্যাধ্যক্ষরা আসফের পুত্র হেমন আর যিদূথূনের ঈশ্বরের দৈববাণী বীণা, তানপুরা, খোল ও কর্তালের সঙ্গে গানের মাধ্যমে পরিবেশন করার জন্য পৃথক করেছিলেন। এই কাজে যাঁরা নিযুক্ত হয়েছিলেন তাঁদের তালিকা নিম্নরূপ:
2 আসফের পরিবার থেকে এই কাজের জন্য দায়ূদ আসফকে বেছে নিয়েছিলেন। আসফ তাঁর পুত্র সক্কুর, যোষেফ, নথনিয় ও অসারেলকে এই কাজে নেতৃত্ব দিতেন।
3 যিদূথূনের পরিবার থেকে যিদূথূন তাঁর ছয় পুত্র গদলিয়, সরী, শিমিয়ি, যিশায়াহ, হশবিয় ও মত্তিথিয়কে নিয়ে বীণা বাজিয়ে প্রভুর প্রশংসা করতেন ও প্রভুকে ধন্যবাদ দিতেন।
4 দায়ূদের নিজস্ব ভাববাদী হেমনের পুত্রদের মধ্যে ছিলেন বুক্কিয়, মত্তনিয়, উষীয়েল, শবূয়েল, যিরীমোৎ, হনানিয়, হনানি, ইলীয়াথা, গিদ্দল্তি, রোমাম্তি, এষর, যশ্বকাশা, মল্লোথি, হোথীর, মহসীয়োৎ প্রমুখ। 5 ঈশ্বর হেমনকে বলশালী ও বীর্যবান করেছিলেন। তাঁর চোদ্দ জন পুত্র আর তিনটি কন্যা ছিল।
6 প্রভুর মন্দিরে বীণা, তানপুরা, খোল ও কর্তাল সহ সঙ্গীতে হেমন তাঁর পুত্রদের নেতৃত্ব দিতেন। আর রাজা ছিলেন আসফ, যিদূথূন এবং হেমনের আদেশকর্ত্তা। দায়ূদ নিজে এদের সবাইকে মনোনীত করেছিলেন। 7 এদের এবং লেবি পরিবারগোষ্ঠী এদের আত্মীয়দের মোট 288 জনকে প্রভুর প্রশংসা করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। 8 কে কি করবে তার জন্য অক্ষ নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এখানে নবীন এবং প্রবীণ, শিক্ষক এবং ছাত্র সকলের সাথে সমান ব্যবহার করা হত।
9 প্রথম বার আসফ (যোষেফ) এর পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
দ্বিতীয় বার গদলিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
10 তৃতীয় বার সক্কুরের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
11 চতুর্থ বার যিষ্রি পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
12 পঞ্চম বার নথনিয়়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
13 ষষ্ঠ বার বুক্কিয়়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
14 সপ্তম বার যিশারেলার পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
15 অষ্টম বার যিশায়াহের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
16 নবম বার মত্তনিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
17 দশম বার শিমিয়ির পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
18 একাদশ বারে অসরেলের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
19 দ্বাদশ বারে হশবিয়ের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
20 ত্রয়োদশ বারে শবূয়েলের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
21 চতুর্দশ বারে মত্তিথিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
22 পঞ্চদশ বারে যিরেমোতের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
23 ষষ্টদশ বারে হনানিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
24 সপ্তদশ বারে যশ্বকাশার পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
25 অষ্টাদশ বারে হনানির পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
26 উনবিংশতি বারে মল্লোথির পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
27 বিংশতি বারে ইলীয়াথার পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
28 একবিংশতি বারে হোথীর পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
29 দ্বাবিংশতি বারে গিদ্দল্তির পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
30 ত্রয়োবিংশতি বারে মহসীয়োতের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
31 আর চতুর্বিংশতি বারে রোমাম্তি এষরের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল।
ঈশ্বরের পাল
5 যারা মণ্ডলীর প্রাচীন তাদের কাছে এখন আমার এই বক্তব্য, আমি নিজেও একজন প্রাচীন হিসেবে খ্রীষ্টের দুঃখভোগের একজন সাক্ষী। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যে ঐশীমহিমা প্রকাশিত হবে আমি হব তার একজন অংশীদার। আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, 2 তোমাদের তত্ত্বাবধানে ঈশ্বরের যে পাল আছে তাদের দেখাশোনা কর। স্বেচ্ছায় তাদের পরিচর্যা কর, বাধ্য হয়ে নয় বা কিছু পাবার আশাতেও নয়, বরং স্বেচ্ছায় ও আগ্রহের সঙ্গে, ঈশ্বর যেমন চান। 3 যাদের দায়িত্বভার তোমরা পেয়েছ তাদের ওপর প্রভুত্ব চালিও না, কিন্তু পালের আদর্শ স্বরূপ হও। 4 যেদিন প্রধান পালক (খ্রীষ্ট) দেখা দেবেন সেদিন তোমরা নিশ্চয়ই সেই অম্লান মহিমাময় মুকুট লাভ করবে।
5 যুবকরা, তোমরা প্রাচীনদের অনুগত হও, আর নতনম্র হয়ে একে অপরের সেবা কর, কারণ
“ঈশ্বর অহঙ্কারীদের বিরোধিতা করেন;
কিন্তু নতনম্রদের অনুগ্রহ করেন।”(A)
6 তাই তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হাতের নীচে অবনত থাক, যেন ঠিক সময়ে তিনি তোমাদের উন্নীত করেন। 7 তোমাদের সমস্ত ভাবনা চিন্তার ভার তাঁকে দাও, কারণ তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।
8 তোমরা সংযত ও সতর্ক থাক, তোমাদের মহাশত্রু দিয়াবল গর্জনকারী সিংহের মত কাকে গ্রাস করবে তা খুঁজে বেড়াচ্ছে। 9 তোমরা দিয়াবলের প্রতিরোধ কর, বিশ্বাসে বলবান হও। তোমরা জান, সারা বিশ্বে তোমাদের বিশ্বাসী ভাইরাও এই রকম দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়েই দিন কাটাচ্ছে।
10 হ্যাঁ, তোমাদের দুঃখভোগ অল্পকালের জন্য; কিন্তু তারপর ঈশ্বর সব কিছু ঠিক করে দেবেন ও তোমাদের শক্তিশালী করে তুলবেন। তিনি পতন থেকে রক্ষা করার জন্য তোমাদের সাহায্য করবেন। তিনিই সেই ঈশ্বর যিনি সবাইকে অনুগ্রহ বিতরণ করেন। যীশু খ্রীষ্টে তাঁর অনন্ত মহিমার ভাগীদার হবার জন্য তিনি তোমাদের আহ্বান করেছেন। 11 যুগে যুগে তাঁরই পরাক্রম হোক্। আমেন।
শেষ শুভেচ্ছা
12 সীল, যাকে আমি খ্রীষ্টে বিশ্বস্ত ভাই বলে জানি তার মাধ্যমে তোমাদের কাছে এই সংক্ষিপ্ত চিঠি পাঠাচ্ছি। যেন তোমরা আশ্বস্ত ও উৎসাহিত হও। আমি একথা বলতে চাই, এই হচ্ছে ঈশ্বরের প্রকৃত অনুগ্রহ এবং সেই অনুগ্রহে দৃঢ়ভাবে স্থির থাক।
13 বাবিলের মণ্ডলী, যাকে ঈশ্বর তোমাদের সাথে মনোনীত করেছেন, তারা তাদের শুভেচ্ছা তোমাদের পাঠাচ্ছে এবং আমার পুত্র মার্কও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। 14 প্রেমচুম্বনে পরস্পর মঙ্গলাচার কর।
তোমরা যারা খ্রীষ্টে আছ তাদের সবার কাছে শান্তি নেমে আসুক।
ইস্রায়েলের নেতারা অন্যায়ের জন্য দোষী
3 তখন আমি বললাম, “এখন যাকোব কুলের নেতারা এবং ইস্রায়েল জাতির শাসকরা শোন।
তোমাদের জানা উচিত ন্যায় বিচার কি!
2 কিন্তু তোমরা ভালোকে ঘৃণা কর এবং মন্দকে ভালোবাস!
তোমরা লোকদের চামড়া ছাড়িয়ে নাও,
তাদের হাড় থেকে মাংস ছিঁড়ে নাও!
3 তোমরা আমার লোকদের ধ্বংস করছ![a]
তোমরা তাঁদের চামড়া তুলে নিচ্ছ এবং তাদের হাড়গোড় ভেঙে দিচ্ছ।
তোমরা মাংসের মতো তাদের হাড়গুলোকে কুচিয়ে পাত্রের মধ্যে রাখছ!
4 সেইজন্য তোমরা প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতে পারে;
কিন্তু তিনি তোমাদের উত্তর দেবেন না।
না, প্রভু তোমাদের কাছ থেকে তাঁর মুখ লুকোবেন।
কিন্তু কেন? কারণ তোমরা অন্যায় কাজ করছ!”
মিথ্যুক ভাববাদী
5 কয়েকজন মিথ্যুক ভাববাদীরা প্রভুর লোকদের কাছে মিথ্যে কথা বলে। প্রভু ঐ ভাববাদীদের সম্বন্ধে এই কথা বলেছেন:
“এই ভাববাদীরা তাদের উদর দ্বারা পরিচালিত হয়।
যখন লোকেরা তাদের খেতে দেয় তখন তারা শান্তির প্রতিশ্রুতি দেয়।
যদি তারা না খাওয়ায় তারা যুদ্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়।
6 “সেইজন্যই অবস্থাটা তোমাদের কাছে
রাতের অন্ধকারের মতো।
ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা তোমরা দেখতে পাও না।
ঐ ভাববাদীদের ওপরে সূর্য অস্ত গেছে;
তাই ভবিষ্যতে কি ঘটবে তারা তা দেখতে পায় না।
সেইজন্য অবস্থাটা তাদের কাছে অন্ধকারের মতোই।
7 তাই ভাববাদীরা লজ্জিত।
ভবিষ্যৎ বক্তারা লজ্জিত হবে।
তারা আর কিছুই বলবে না।
কেন? কারণ, ঈশ্বর তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না।”
মীখা ঈশ্বরের একজন সৎ ভাববাদী
8 কিন্তু প্রভুর আত্মা আমাকে ক্ষমতা,
ধার্মিকতা এবং শক্তি দিয়ে পরিপূর্ণ করেছেন।
কেন? কারণ, আমি যাকোবকে তার সম্বন্ধে
এবং ইস্রায়েলকে তার পাপগুলোর সম্বন্ধে বলতে পারি!
ইস্রায়েলের নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করা হল
9 যাকোব কুলের নেতারা এবং ইস্রায়েলের শাসকরা, আমার কথা শোন!
তোমরা জীবনযাপনের সঠিক পথকে ঘৃণা কর!
যদি কোন জিনিস সোজা থাকে
তখন তোমরা তাকে বেঁকিয়ে দাও!
10 সাধারণ লোকেদের হত্যা করে তোমরা সিয়োন গেঁথে তোল!
তোমরা রক্তপাত ঘটিয়ে জেরুশালেম গড়ো।
11 আদালতে কে জিতবে তা ঠিক করার জন্য
জেরুশালেমের যাজকরা ঘুষ নিয়ে তাদের সাহায্য করে।
জেরুশালেমের যাজকরা শিক্ষা দেয়
কারণ তারা তার জন্য বেতন পায়।
আর ভাববাদীরা টাকা পয়সার জন্য
ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বলে।
তারপর ঐ নেতারা প্রভুর সাহায্য আশা করে।
তারা বলে: “প্রভু এখানে আমাদের সঙ্গে আছেন,
তাই অমঙ্গল কিছুই আমাদের প্রতি ঘটবে না।”
12 নেতারা, তোমাদের জন্যই সিয়োন ধ্বংস হবে।
জায়গাটা লাঙল চাষা মাঠে পরিণত হবে।
জেরুশালেম পাথরের স্তূপে পরিণত হবে।
যে পর্বতে মন্দির ছিল সেটা কেবল ঝোপ জঙ্গলে ভরে যাবে।
ফরীশীদের মতো হয়ো না
12 এর মধ্যে হাজার হাজার লোক এসে জড়ো হল। প্রচণ্ড ভীড়ের চাপে ধাক্কা-ধাক্কি করে একে অপরের উপর পড়তে লাগল। তখন তিনি প্রথমে তাঁর শিষ্যদের বললেন, “ফরীশীদের খামির থেকে সাবধান থেকো। 2 এমন কিছুই লুকানো নেই যা প্রকাশ পাবে না, আর এমন কিছুই গুপ্ত নেই যা জানা যাবে না। 3 তাই তোমরা অন্ধকারে যা বলছ তা আলোতে শোনা যাবে। তোমরা গোপন কক্ষে ফিস্-ফিস্ করে কানে কানে যা বলবে তা বাড়ির ছাদের ওপর থেকে ঘোষণা করা হবে।”
কেবল ঈশ্বরকে ভয় কর
(মথি 10:28-31)
4 কিন্তু হে আমার বন্ধুরা, “আমি তোমাদের বলছি, যারা তোমাদের দেহটাকে ধ্বংস করে দিতে পারে, কিন্তু এর বেশী কিছু করতে পারে না তাদের তোমরা ভয় করো না। 5 তবে কাকে ভয় করবে তা আমি তোমাদের বলে দিচ্ছি। তোমাদের মেরে ফেলার পর নরকে পাঠাবার ক্ষমতা যাঁর আছে, তাঁকেই ভয় কর। হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, তাঁকেই ভয় করো।
6 “পাঁচটা চড়াই পাখি কি মাত্র কয়েক পয়সায় বিক্রি হয় না? তবু ঈশ্বর তার একটাকেও ভুলে যান না। 7 এমন কি তোমাদের মাথার প্রতিটি চুল গোনা আছে। ভয় নেই, বহু চড়াই পাখির চেয়ে তোমাদের মূল্য অনেক বেশী।
যীশুর জন্যে লজ্জা পেও না
(মথি 10:32-33; 12:32; 10:19-20)
8 “কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ অন্য লোকদের সামনে আমাকে স্বীকার করে, মানবপুত্রও ঈশ্বরের স্বর্গদূতদের সামনে তাকে স্বীকার করবেন। 9 কিন্তু যে কেউ সর্বসাধারণের সামনে আমায় অস্বীকার করবে, ঈশ্বরের স্বর্গদূতদের সামনে তাদের অস্বীকার করা হবে।
10 “মানবপুত্রের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে তাকে ক্ষমা করা হবে; কিন্তু কেউ পবিত্র আত্মার নামে নিন্দা করলে তাকে ক্ষমা করা হবে না।
11 “তারা তখন তোমাদের সমাজ-গৃহের সমাবেশে শাসনকর্তাদের বা কর্ত্তৃত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিদের সামনে হাজির করবে, তখন কিভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করবে বা কি বলবে তা নিয়ে চিন্তা করো না। 12 কারণ সেই সময় কি বলতে হবে তা পবিত্র আত্মা তোমাদের সেইক্ষণেই শিখিয়ে দেবেন।”
স্বার্থপরতার বিরুদ্ধে যীশুর সতর্কবাণী
13 এরপর সেই ভীড়ের মধ্য থেকে একজন লোক যীশুকে বলল, “গুরু, উত্তরাধিকার সূত্রে আমাদের যে সম্পত্তি রয়েছে তা আমার ভাইকে আমার সঙ্গে ভাগ করে নিতে বলুন।”
14 কিন্তু যীশু তাকে বললেন, “বিচারকর্তা হিসাবে কে তোমাদের ওপর আমায় নিয়োগ করেছে?” 15 এরপর যীশু লোকদের বললেন, “সাবধান! সমস্ত রকম লোক থেকে নিজেদের দূরে রাখ, কারণ মানুষের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পত্তি থাকলেও তার জীবন তার সম্পত্তির ওপর নির্ভর করে না।”
16 তখন তিনি তাদের একটি দৃষ্টান্ত দিলেন: “একজন ধনবান লোকের জমিতে প্রচুর ফসল হয়েছিল। 17 এই দেখে সে মনে মনে বলল, ‘আমি কি করব? এতো ফসল রাখার জায়গা তো আমার নেই।’
18 “এরপর সে বলল, ‘আমি এই রকম করব; আমার যে গোলাঘরগুলো আছে তা ভেঙে ফেলে তার থেকে বড় গোলাঘর বানাবো; আর সেখানেই আমার সমস্ত ফসল ও জিনিস মজুত করব। 19 আর আমার প্রাণকে বলব, হে প্রাণ, অনেক বছরের জন্য অনেক ভাল ভাল জিনিস তোমার জন্য সঞ্চয় করা হয়েছে। এখন আরাম করে খাও-দাও, স্ফূর্তি কর!’
20 “কিন্তু ঈশ্বর তাকে বললেন, ‘ওরে মূর্খ! আজ রাতেই তোমার প্রাণ কেড়ে নেওয়া হবে; আর তুমি যা কিছু আয়োজন করেছ তা কে ভোগ করবে?’
21 “যে লোক নিজের জন্য ধন সঞ্চয় করে কিন্তু ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধনবান নয়, তার এইরকম হয়।”
ঈশ্বরের রাজ্যের প্রথম স্থান
(মথি 6:25-34, 19-21)
22 এরপর যীশু তাঁর অনুগামীদের বললেন, “তাই আমি তোমাদের বলছি, কি খাব বলে প্রাণের বিষয়ে বা কি পরব বলে শরীরের বিষয়ে চিন্তা করো না। 23 কারণ খাদ্যবস্তু থেকে প্রাণ অনেক মূল্যবান এবং পোশাক-আশাকের থেকে দেহের গুরুত্ব অনেক বেশী। 24 কাকদের বিষয় চিন্তা কর, তারা বীজও বোনে না বা ফসলও কাটে না। তাদের কোন গুদাম বা গোলাঘর নেই, তবু ঈশ্বরই তাদের আহার যোগান। এইসব পাখিদের থেকে তোমরা কত অধিক মূল্যবান! 25 তোমাদের মধ্যে কে দুশ্চিন্তা করে নিজের আয়ু এক ঘন্টা বাড়াতে পারে? 26 এই সামান্য কাজটাই যদি করতে না পার তবে বাকী সব বিষয়ের জন্য এত চিন্তা কর কেন?
27 “ছোট্ট ছোট্ট লিলি ফুলের কথা চিন্তা কর দেখি, তারা কিভাবে বেড়ে ওঠে। তারা পরিশ্রমও করে না, সুতাও কাটেনা। তবু আমি তোমাদের বলছি, এমন কি রাজা শলোমন তাঁর সমস্ত প্রতাপ ও গৌরবে মণ্ডিত হয়েও এদের একটার মতোও নিজেকে সাজাতে পারেন নি। 28 মাঠে যে ঘাস আজ আছে আর কাল উনুনে ফেলে দেওয়া হবে, ঈশ্বর তা যদি এত সুন্দর করে সাজান, তবে হে অল্প বিশ্বাসীর দল, তিনি তোমাদের আরো কত না বেশী সাজাবেন!
29 “আর কি খাবে বা কি পান করবে এ নিয়ে তোমরা চিন্তা করো না, এর জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন দরকার নেই। 30 এই পৃথিবীর আর সব জাতির লোকেরা যাঁরা ঈশ্বরকে জানে না, তারাই এই সবের পিছনে ছোটে। কিন্তু তোমাদের পিতা ঈশ্বর জানেন যে এসব জিনিস তোমাদের প্রয়োজন আছে। 31 তার চেয়ে বরং তোমরা ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে সচেষ্ট হও তাহলে এসবই ঈশ্বর তোমাদের জোগাবেন।
অর্থকে বিশ্বাস করো না
32 “ক্ষুদ্র মেষপাল! তোমরা ভয় পেও না, কারণ তোমাদের পিতা আনন্দের সাথেই সেই রাজ্য তোমাদের দেবেন, এটাই তাঁর ইচ্ছা। 33 তোমাদের সম্পদ বিক্রি করে অভাবীদের দাও। নিজেদের জন্য এমন টাকার থলি তৈরী কর যা পুরানো হয় না, স্বর্গে এমন ধনসঞ্চয় কর যা শেষ হয় না, সেখানে চোর ঢুকতে পারে না বা মথ কাটে না। 34 কারণ যেখানে তোমাদের সম্পদ সেখানেই তোমাদের মনও পড়ে থাকবে।
সর্বদাই প্রস্তত থাক
(মথি 24:42-44)
35 “তোমরা কোমর বেঁধে বাতি জ্জ্বালিয়ে নিয়ে প্রস্তুত থাক। 36 তোমরা এমন লোকদের মতো হও যারা তাদের মনিব বিয়ে বাড়ি থেকে কখন ফিরে আসবে তারই অপেক্ষায় থাকে; যেন তিনি ফিরে এসে দরজায় কড়া নাড়লেই তখনই তাঁর জন্য দরজা খুলে দিতে পারে। 37 ধন্য সেই সব দাস, মনিব এসে যাদের জেগে প্রস্তুত থাকতে দেখবেন। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি নিজে পোশাক বদলে প্রস্তুত হয়ে তাদের খেতে বসাবেন, এবং নিজেই পরিবেশন করবেন। 38 তিনি রাতের দ্বিতীয় প্রহরে ও তৃতীয় প্রহরে এসে যদি তাদের প্রস্তুত থাকতে দেখেন তাহলে ধন্য তারা।
39 “কিন্তু একথা জেনে রেখো, চোর কোন সময় আসবে তা যদি বাড়ির কর্তা জানতে পারে তাহলে সে তার বাড়িতে সিঁদ কাটতে দেবে না। 40 তাই তোমরাও প্রস্তুত থেকো, কারণ তোমরা যে সময় আশা করবে না, মানবপুত্র সেই সময় আসবেন।”
বিশ্বস্ত দাস কে?
(মথি 24:45-51)
41 তখন পিতর বললেন, “প্রভু এই দৃষ্টান্তটি কি আপনি শুধু আমাদের জন্য বললেন, না এটা সকলের জন্য?”
42 তখন প্রভু বললেন, “সেই বিশ্বস্ত ও বিচক্ষণ কর্মচারী কে, যাকে তার মনিব তাঁর অন্য কর্মচারীদের সময়মতো খাবার ভাগ করে দেবার ভার দেবেন? 43 ধন্য সেই দাস, যাকে তার মনিব এসে বিশ্বস্তভাবে কাজ করতে দেখবেন। 44 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, মনিব সেই কর্মচারীর ওপর তাঁর সমস্ত সম্পত্তি দেখাশোনার ভার দেবেন।
45 “কিন্তু সেই কর্মচারী যদি মনে মনে বলে, আমার মনিবের আসতে এখন অনেক দেরী আছে। এই মনে করে সে যদি তার অন্য দাস-দাসীদের মারধর করে আর পানাহারে মত্ত হয়, 46 তাহলে যে দিন ও যে সময়ের কথা সে একটুকু চিন্তাও করবে না, সেই দিন ও সেই সময়েই তার মনিব এসে হাজির হবেন। তার মনিব তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবেন; আর অবিশ্বাসীদের জন্য যে জায়গা ঠিক করা হয়েছে, তার স্থান সেখানেই হবে।
47 “যে দাস তার মনিবের ইচ্ছা জেনেও প্রস্তুত থাকে নি, অথবা যে তার মনিবের ইচ্ছানুসারে কাজ করে নি, সেই দাস কঠোর শাস্তি পাবে। 48 কিন্তু যে তার মনিব কি চায় তা জানে না, এই না জানার দরুন এমন কাজ করে ফেলেছে যার জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিৎ, সেই দাসের কম শাস্তি হবে। যাকে বেশী দেওয়া হয়েছে, তার কাছ থেকে বেশী পাবার আশা করা হবে। যার ওপর বেশী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, লোকেরা তার কাছ থেকে অধিক চাইবে।”
যীশুর বিষয়ে লোকেরা একমত হবে না
(মথি 10:34-36)
49 “আমি পৃথিবীতে আগুন নিক্ষেপ করতে এসেছি, আহা, যদি তা আগেই জ্বলে উঠত! 50 এক বাপ্তিস্মে আমায় বাপ্তাইজিত হতে হবে, আর যতক্ষণ না তা হচ্ছে, আমি ব্যাকুল হয়ে উঠেছি। 51 তোমরা কি মনে কর এই পৃথিবীতে আমি শান্তি স্থাপন করতে এসেছি? না, আমি তোমাদের বলছি, বরং বিভেদ ঘটাতে এসেছি। 52 কারণ এখন থেকে একই পরিবারে পাঁচজন থাকলে তারা পরস্পরের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। তিনজন দুজনের বিরুদ্ধে যাবে, আর দুজন তিনজনের বিরুদ্ধে যাবে।
53 বাবা ছেলের বিরুদ্ধে
ও ছেলে বাবার বিরুদ্ধে যাবে।
মা মেয়ের বিরুদ্ধে
ও মেয়ে মায়ের বিরুদ্ধে যাবে।
শাশুড়ী বৌমার বিরুদ্ধে
ও বৌমা শাশুড়ীর বিরুদ্ধে যাবে।”[a]
সময়কে বুঝতে হবে
(মথি 16:2-3)
54 এরপর যীশু সমবেত জনতার দিকে ফিরে বললেন, “পশ্চিমদিকে মেঘ জমতে দেখে তোমরা বলে থাকো, ‘বৃষ্টি আসলো বলে, আর তা-ই হয়।’ 55 যখন দক্ষিণা বাতাস বয়, তোমরা বলে থাক, ‘গরম পড়বে,’ আর তা-ই হয়। 56 ভণ্ডের দল! তোমরা পৃথিবী ও আকাশের চেহারা দেখে তার অর্থ বুঝতে পার; কিন্তু এ কেমন যে তোমরা বর্তমান সময়ের অর্থ বুঝতে পার না?
সমস্যার সমাধান কর
(মথি 5:25-26)
57 “যা কিছু ন্যায্য, নিজেরাই কেন তার বিচার কর না? 58 তোমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে তোমরা যখন বিচারকের কাছে যাও, তখন পথেই তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কর। নতুবা সে হয়তো তোমাকে বিচারকের কাছে টেনে নিয়ে যাবে, বিচারক তোমাকে সেপাইয়ের হাতে দেবে আর সেপাই তোমায় কারাগারে দেবে। 59 আমি তোমাকে বলছি, শেষ পয়সাটি না দেওয়া পর্যন্ত তুমি কোন মতেই কারাগার থেকে ছাড়া পাবে না।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International