Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
1 বংশাবলি 21

ইস্রায়েলকে গণনা করে দায়ূদের পাপ

21 শয়তান ইস্রায়েলের লোকদের বিপক্ষে ছিল। তার প্ররোচনায় পা দিয়ে দায়ূদ ইস্রায়েলে আদমশুমারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি যোয়াব ও ইস্রায়েলের নেতাদের ডেকে বললেন, “যাও বের্-শেবা থেকে দান পর্যন্ত সমগ্র ইস্রায়েলের জনসংখ্যা গণনা করে আমাকে জানাও। আমি যাতে বুঝতে পারি এদেশে মোট কত জন বাস করে।”

কিন্তু যোয়াব উত্তর দিলেন, “প্রভু তাঁর লোকদের শতগুণ বাড়িয়ে চলুন! মহারাজ, ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দাই তো আপনার অনুগত ভৃত্য। কেন আপনি এই কাজ করতে চাইছেন? আপনি সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের পাপের ভাগী করবেন।”

কিন্তু রাজা দায়ূদ তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় যোয়াব তাঁর আদেশ মানতে বাধ্য হলেন। তিনি সমগ্র ইস্রায়েলে ঘুরে ঘুরে জনসংখ্যা গুনে আবার জেরুশালেমে ফিরে খবর দিলেন যে ইস্রায়েলে মোট 1,100,000 লোক আছে যারা তরবারির ব্যবহার জানে। আর যিহূদায় এই ধরণের লোকের সংখ্যা 470,000। রাজা দায়ূদের নির্দেশ মনঃপুত না হওয়ায় যোয়াব লেবি ও বিন্যামীন পরিবারের বংশধরদের জনসংখ্যা গণনা করেন নি। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে দায়ূদ একটি খারাপ কাজ করেছিলেন। তাই প্রভু ইস্রায়েলকে শাস্তি দিলেন।

ঈশ্বরের ইস্রায়েলেকে শাস্তি

দায়ূদ তারপর ঈশ্বরকে বললেন, “আমি মূর্খের মতো জনসংখ্যা গণনা করে গুরুতর পাপ করেছি। এখন আমি তোমায় অনুনয় করছি, তুমি আমায়, তোমার দাসকে এই পাপ থেকে মুক্ত কর।”

9-10 প্রভু তখন দায়ূদের ভাববাদী গাদকে বললেন, “যাও দায়ূদকে গিয়ে বল: ‘প্রভু এই কথা বলেছেন: তোমাকে শাস্তি দেবার জন্য আমি তিনটে উপায়ের কথা ভেবেছি। তুমি যে ভাবে বলবে সে ভাবেই আমি তোমায় শাস্তি দেব।’”

11-12 তখন, গাদ নির্দেশ মত দায়ূদকে গিয়ে বললেন, “প্রভু বলেছেন, ‘তোমায় শাস্তি দেবার জন্য তিনটি পথের কথা আমি ভেবেছি। প্রথমটি হল—তিন বছর দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। দ্বিতীয়টি হল—যারা তরবারি নিয়ে তাড়া করবে সেই সব শত্রুদের কাছ থেকে তোমায় তিনমাস ধরে পালিয়ে বেড়াতে হবে। আর তৃতীয়টি হল—তিন দিন তোমাকে প্রভুর হাতে শাস্তি ভোগ করতে হবে। মহামারীতে দেশ ছেয়ে যাবে। প্রভুর দূতরা ইস্রায়েলের ঘরে ঘরে লোকদের প্রাণ নেবে।’ এবার তুমি বল আমি প্রভুকে কি জানাব।”

13 দায়ূদ গাদকে বললেন, “হায়! কি বিপদে পড়েছি! আমি কিভাবে শাস্তি পাবো তা ঠিক করার ভার আমি অন্যদের হাতে দিতে চাই না। প্রভু করুণাময়, তিনিই আমায় যথাযোগ্য শাস্তি দেবেন।”

14 অতঃপর প্রভু ইস্রায়েলে মহামারী পাঠালেন, তাতে 70,000 লোকের মৃত্যু হল। 15 প্রভু জেরুশালেমকে ধ্বংস করতে একজন দেবদূতও পাঠালেন। কিন্তু সে যখন জেরুশালেম ধ্বংস করতে শুরু করল তখন প্রভুর করুণা হল। যিবূষীয় অর্ণানের শস্য মাড়াইয়ের উঠানের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সেই দূতকে প্রভু বললেন, “আর নয়, থাক! যথেষ্ট হয়েছে।”

16 দায়ূদ ও নেতারা ওপরে তাকিয়ে, জেরুশালেমের ওপর প্রভুর তরবারি হাতে প্রভুর সেই দূতকে দেখতে পেলেন। তখন তারা শোকের পোশাক পরে আভূমি নত হলেন। 17 দায়ূদ ঈশ্বরকে বললেন, “আমি জনসংখ্যা গণনা করতে বলে পাপ করেছি। আমিই পাপাত্মা। ইস্রায়েলের লোকরা তো নিরপরাধ। প্রভু আমার ঈশ্বর, মহামারীতে ওদের প্রাণ না নিয়ে তুমি আমায় আর আমার পরিবারকে শাস্তি দাও।”

18 তখন প্রভুর দূত গাদকে বললেন, “দায়ূদকে যিবূষীয় অর্ণানের খামারের কাছে প্রভুর উপাসনার জন্য একটা বেদী নির্মাণ করতে বলো।” 19 গাদ দায়ূদকে একথা জানালে তিনি অর্ণানের খামারে গেলেন।

20 অর্ণান তখন গম ঝাড়াই করছিল। সে পেছন ফিরে দূতকে দেখতে পেল। অর্ণানের চার পুত্র ভয়ে লুকিয়ে পড়লো। 21 দায়ূদ স্বয়ং হেঁটে হেঁটে টিলার ওপরে অর্ণানের কাছে গেলেন। তাঁকে দেখতে পেয়ে খামার ছেড়ে এসে অর্ণান তাঁর সামনে আভূমি নত হলেন।

22 দায়ূদ বললেন, “তোমার খামার বাড়িটা আমায় বেচে দাও। যা দাম লাগে আমি দেব। তারপর আমি এখানে প্রভুর উপাসনার জন্য একটি বেদী বানাব। তাহলে এই মহামারী বন্ধ হবে।”

23 অর্ণান দায়ূদকে বলল, “আপনিই আমার রাজা ও প্রভু। আপনার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি অবশ্যই আমার শস্য মাড়াই এর ক্ষেত্রটা নিতে পারেন। এছাড়াও আমি হোমবলির জন্য আপনাকে ষাঁড় আর গম দিচ্ছি এবং ময়দা শস্য নৈবেদ্যর জন্য আপনার যা কিছু দরকার সবই আপনাকে দেব।”

24 কিন্তু রাজা দায়ূদ উত্তর দিলেন, “না, তা সম্ভব নয়। আমি তোমার থেকে বিনামূল্যে কিছু নিয়ে তা প্রভুকে দিতে পারব না। আমি ঈশ্বরকে এমন কিছুই দেব না যার জন্য আমায় দাম দিতে হবে না। তোমাকে আমি এ সব কিছুর পুরো দাম দেব।”

25 তখুনি তিনি অর্ণানকে জায়গাটির জন্য প্রায় 15 পাউণ্ড সোনা দিলেন। 26 তারপর দায়ূদ সেই শস্য মাড়াইয়ের জায়গায় প্রভুর উপাসনার জন্য বেদী বানালেন। সেই বেদীতে হোমবলি ও মঙ্গল নৈবেদ্য দিয়ে দায়ূদ প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। প্রভু আকাশ থেকে বেদীতে অগ্নিশিখা পাঠিয়ে সেই ডাকে সাড়া দিলেন। 27 তারপর প্রভু তাঁর দেবদূতকে উন্মুক্ত তরবারী কোষবদ্ধ করতে আদেশ দিলেন।

28 দায়ূদ দেখলেন, অর্ণানের খামার বাড়িতে প্রভু তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তিনি সেখানেই প্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান উৎসর্গ করলেন। 29 (পবিত্র তাঁবু এবং হোমবলি অর্পণের বেদীটি ছিল গিবিয়োন শহরে একটি উঁচু জায়গায়। ইস্রায়েলের বাসিন্দারা যখন মরুভূমিতে ঘুরছিলেন তখন মোশি এই পবিত্র তাঁবু বানিয়ে ছিলেন। 30 কিন্তু দায়ূদ ঈশ্বরের দূতের তরবারীর ভয়ে পবিত্র তাঁবুতে ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলতে যাননি।)

1 পিতর 2

জীবন্ত প্রস্তর এবং পবিত্র জাতি

তাই তোমরা এমন কিছু করো না যাতে অপরে ব্যথা পায়। মিথ্যা বলো না, ছলনা করো না, হিংসা করো না, কারো সম্পর্কে নিন্দাবাদ করো না। এসব মন্দ বিষয়গুলি তোমাদের অন্তর থেকে দূর করে দাও। নবজাত শিশুর মতো হও, খাঁটি আধ্যাত্মিক দুধের জন্য আকাঙ্খা রাখ, যা পান করে তোমরা বৃদ্ধিলাভ করবে ও তোমাদের পরিত্রাণ হবে। তোমরা এর মধ্যেই প্রভুর সেই দয়ার আস্বাদ পেয়েছ।

প্রভু যীশু হলেন জীবন্ত প্রস্তর। জগতের লোক সেই প্রস্তর অগ্রাহ্য করল; কিন্তু তিনিই সেই “প্রস্তর” যাঁকে ঈশ্বর মনোনীত করেছেন। ঈশ্বরের চোখে তিনি মহামূল্য, তাই তোমরা তাঁর কাছে এস। তোমরাও এক একটি জীবন্ত প্রস্তর সুতরাং সেই আত্মিক ধর্মধাম গড়বার জন্য তোমাদের ব্যবহার করতে দাও, যাতে পবিত্র যাজক হিসাবে তোমরা আত্মিক বলি উৎসর্গ করতে পার, যা খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণীয় হবে। আর শাস্ত্রেও একথা আছে:

“দেখ, আমি সিয়োনে একটি প্রস্তর স্থাপন করছি,
    যা মনোনীত মহামূল্য কোণের প্রধান প্রস্তর।
তার ওপর যে মানুষ বিশ্বাস রাখবে তাকে কখনই লজ্জায় পড়তে হবে না।”(A)

যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদের কাছে সেই প্রস্তর (যীশু) মহামূল্যবান; কিন্তু যারা তাঁকে অবজ্ঞা করে তাদের কাছে তিনি হলেন সেই প্রস্তর:

“রাজমিস্ত্রিরা যে প্রস্তর বাতিল করে দিয়েছিল,
    সেটাই হয়ে উঠল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তর।”(B)

শাস্ত্র আবার এই কথাও বলে যারা বিশ্বাস করে না তাদের পক্ষে

“এটা এমনই এক প্রস্তর যাতে মানুষ হোঁচট খায়,
    আর সেই প্রস্তরের দরুণ অনেক লোক হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে।”(C)

তারা ঈশ্বরের বাক্য অমান্য করে বলেই হোঁচট খায় আর এটাই তো তাদের বিধি নির্দিষ্ট পরিণাম।

কিন্তু তোমরা সেরকম নও, তোমরা মনোনীত মানবগোষ্ঠী, রাজকীয় যাজককুল, এক পবিত্র জাতি। তোমরা ঈশ্বরের আপন জনগোষ্ঠী, তাই তোমরা ঈশ্বরের আশ্চর্য কর্মকাণ্ডের কথা বলতে পারো। যিনি তোমাদের অন্ধকার থেকে তাঁর অপূর্ব আলোয় নিয়ে এসেছেন, তোমরা তাঁরই গুণগান কর।

10 আগে তোমরা তাঁর প্রজা ছিলে না
    কিন্তু এখন তোমরা ঈশ্বরের আপন প্রজাবৃন্দ;
একসময় তোমরা ঈশ্বরের দয়া পাও নি
    কিন্তু এখন তা পেয়েছ।[a]

ঈশ্বরের জন্য বেঁচে থাক

11 প্রিয় বন্ধুরা, তোমরা এই পৃথিবীতে বিদেশী ও আগন্তুক। এই জন্য আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, দৈহিক কামনা বাসনা থেকে নিজেদের দূরে রাখ, কারণ এসব তোমাদের আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে; 12 তোমরা এমন লোকদের মধ্যে বসবাস করছ যারা সত্য ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না; তারা বলতে পারে যে তোমরা ভুল কাজ করছ। তাই সৎ‌ এবং ভাল জীবনযাপন কর, তাহলে তোমাদের সৎ‌ কাজ স্বচক্ষে দেখে প্রভুর প্রত্যাগমনের দিন তারা ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করবে।

শাসনকর্তাদের মান্য কর

13 জগতের শাসনকর্তাদের বাধ্য হও; প্রভুর জন্যই তা কর। 14 রাজ্যের সর্বময় কর্তা হিসাবে রাজার বাধ্য হও। অন্যায়কারীদের শাস্তি দিতে এবং যারা সৎ‌ কাজ করে তাদের প্রশংসা করতে রাজা কর্ত্তৃক যে নেতারা নিযুক্ত, তাদের বাধ্য হও। 15 এইভাবে তোমরা ভালো ভালো কাজ করে, সেই সব মূর্খ লোকদের তোমাদের সম্পর্কে মূর্খের মত কথা বলা থেকে বিরত কর। ঈশ্বরও তাই চান। 16 স্বাধীন লোক হিসাবে বাস কর; কিন্তু এই স্বাধীনতাকে অন্যায় কাজ করার ছুতো হিসেবে ব্যবহার করো না, বরং ঈশ্বরের লোক হিসাবে জীবনযাপন কর। 17 সকল লোককে যথোচিত সম্মান দিও। সব জায়গায় সকল বিশ্বাসী ভাইদের ভালবাস। ঈশ্বরকে ভয় কর আর রাজাকে সম্মান দিও।

খ্রীষ্টের পদাঙ্ক অনুসরণ

18 দাসেরা, তোমরা অবশ্যই তোমাদের মনিবদের সম্মান করবে এবং তাদের অনুগত থাকবে। কেবল দয়ালু ও ভাল মনিবদের নয়, নিষ্ঠুর প্রকৃতির মনিবদেরও বাধ্য হও। 19 কারণ যদি ঈশ্বর সম্বন্ধে সচেতন এমন কেউ অন্যায়ভাবে পাওয়া কষ্টের ব্যথা সহ্য করে, তাতে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। 20 বাস্তবে যখন অন্যায় কাজ করার জন্য তোমরা মার খাও এবং তা সহ্য কর তাতে প্রশংসার কিছু আছে কি? কিন্তু ভাল কাজ করে যদি কষ্টভোগ সহ্য কর তবে ঈশ্বরের চোখে তা প্রশংসার যোগ্য। 21 ঈশ্বর এই জন্যই তোমাদের আহ্বান করেছেন। খ্রীষ্টও তোমাদের জন্য কষ্টভোগ করেছেন, আর এইভাবে তিনি তোমাদের কাছে এক আদর্শ রেখে গেছেন, যেন তোমরা তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ কর।

22 “তিনি কখনও কোন পাপ করেন নি,
    এবং তাঁর মুখে কখনও কোন ছলনার কথা শোনা যায় নি।”(D)

23 তাঁকে অপমান করলে, তিনি তার জবাবে কাউকে অপমান করেন নি। তাঁর কষ্টভোগের সময় তিনি প্রতিশোধ নেবার ভয় দেখান নি। কিন্তু যিনি ন্যায় বিচার করেন, তাঁরই ওপর বিচারের ভার দিয়েছিলেন। 24 ক্রুশের ওপরে তিনি নিজ দেহে আমাদের সমস্ত পাপের বোঝা বইলেন, যেন আমরা আমাদের পাপের দিক থেকে মৃত হয়ে ধার্মিকতার জন্য জীবনযাপন করি। তাঁর দেহের ক্ষত দ্বারা তোমরা সুস্থতা লাভ করেছ। 25 তোমরা ভুল পথে যাওয়া মেষের মত ঘুরে বেড়াচ্ছিলে, কিন্তু এখন তোমরা তোমাদের প্রাণের পালক ও রক্ষকের কাছে ফিরে এসেছ।

যোনা 4

ঈশ্বরের কৃপা যোনাকে ক্রুদ্ধ করল

যোনা ভাবলেন এটা খুবই খারাপ যে ঈশ্বর শহরটি রক্ষা করেছেন। যোনা ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। যোনা প্রভুকে অভিযোগ করে বললেন, “আমি জানি এইসব ঘটনাই ঘটবে! আমি আমার দেশে ছিলাম এবং আপনিই আমাকে এখানে আসতে বলেছিলেন। সেই সময়, আমি জানতাম যে আপনি এই মন্দ শহরের লোকদের ক্ষমা করবেন। সে জন্য আমি ঠিক করেছিলাম তর্শীশে পালিয়ে যাব। আমি জানি যে আপনি খুবই দয়ালু ঈশ্বর! আমি জানি যে আপনি লোকদের ক্ষমা করেন এবং কাউকে শাস্তি দেন না। আমি জানি যে আপনি করুণায় পরিপূর্ণ! আমি জানি যে যদি এই লোকরা তাদের মন্দ কাজকর্ম বন্ধ করে, তাহলে আপনি তাদের ধ্বংস করার পরিকল্পনা পরিবর্তন করবেন। সেজন্য এখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, প্রভু দয়া করে আমাকে হত্যা করুন। আমার পক্ষে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই ভালো হবে!”

তখন প্রভু বললেন, “তুমি কি মনে কর যে, আমি ওই লোকদের ধ্বংস করলাম না বলে তোমার রাগ করা ঠিক হচ্ছে?”

এইসব ব্যাপারের জন্য যোনা ক্রুদ্ধ হয়েই রইলেন। সে জন্য সে শহর থেকে চলে গেলেন। যোনা শহরের কাছেই পূর্বদিকে একটা জায়গায় গিয়ে হাজির হলেন। সেখানে যোনা তার নিজের জন্য একটা আশ্রয় তৈরী করলেন। তখন তিনি সেখানকার ছাউনির তলায় ছায়াতে বসলেন এবং শহরে কি ঘটবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।

কুমড়ো গাছ ও কীট পতঙ্গ

তৎ‌ক্ষনাৎ‌ প্রভু একটি কুমড়ো গাছ হওয়ার আদেশ দিলেন এবং সেটি যোনার ওপর খুব তাড়াতাড়ি যোনার মাথা ছাড়িয়ে বেড়ে উঠল। তাতে যোনার পক্ষে আরামে থাকবার জন্য একটি ঠাণ্ডা জায়গা তৈরী হল। এই গাছটির জন্য যোনা খুবই খুশি হল।

পরের দিন সকালে, ঈশ্বর একটি কীটকে ওই গাছটির অংশ খাবার জন্য পাঠালেন। কীটটি গাছটি খেতে আরম্ভ করল এবং গাছটি মরে গেল।

সূর্য যখন মধ্য আকশে এলো তখন ঈশ্বর পূর্ব দিক থেকে গরম হাওয়া বইয়ে দিলেন। যোনার মাথার ঠিক ওপরে সূর্য খুবই গরম হয়ে উঠলো এবং যোনা খুবই দুর্বল হয়ে পড়লেন। যোনা মরবার জন্য ঈশ্বরের অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, “আমার বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই বরং ভালো।”

কিন্তু ঈশ্বর যোনাকে বললেন, “তুমি কি মনে কর যে শুধু মাত্র গাছটি মরে যাবার জন্যই তোমার রাগ করা ঠিক হয়েছে?”

যোনা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, আমার রাগ করাই উচিত! আমি এতোই ক্রুদ্ধ যে মরতে চাই।”

10 এবং প্রভু বললেন, “তুমি ওই চারা গাছটার জন্য কিছুই করনি! তাকে তুমি বাড়িয়ে তোলনি! রাত্রিবেলায় চারাগাছটা বেড়ে উঠেছিলো এবং পরের দিন সকালেই মরে গেছে। আর এখন তুমি ওই গাছটার জন্য দুঃখিত! 11 তুমি যদি ওই চারাগাছটার জন্য এত মনঃক্ষুন্ন হতে পারো, তাহলে অবশ্যই আমি ঐ বড় শহর নীনবীর জন্য দুঃখ বোধ করতে পারি এবং তাকে ক্ষমা করতে পারি। ওই শহরে বহু লোক এবং জীবজন্তু আছে। সংখ্যায় 120,000 বেশী মানুষ ওই শহরে আছে, এবং তারা তাদের মন্দ কাজের সম্বন্ধে জানত না।”

লূক 9

যীশু সেই বারোজন প্রেরিতকে পাঠালেন

(মথি 10:5-15; মার্ক 6:7-13)

যীশু সেই বারোজন প্রেরিতকে ডেকে তাঁদের সব রকমের ভূত তাড়াবার ক্ষমতা ও নানান রোগ ভাল করার ক্ষমতা দিলেন। এরপর তিনি তাঁদের ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় প্রচার করতে ও রোগীদের সুস্থ করার জন্য পাঠালেন। তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরা যাত্রা পথের জন্য কিছুই নিও না, পথে যাবার জন্য লাঠি, ঝুলি, খাবার বা টাকা পয়সা কিছুই নিও না, এমন কি দুটো জামাও না। যে বাড়িতে তোমরা প্রবেশ করবে, সেই গ্রাম ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত সেই বাড়িতেই থেকো। যেখানে লোকেরা তোমাদের স্বাগত জানাবে না সেখানে শহর ছেড়ে অন্যত্র যাবার সময় তাদের বিরুদ্ধে প্রামাণিক সাক্ষ্যস্বরূপ তোমাদের পায়ের ধূলো ঝেড়ে ফেলো।”

তখন তাঁরা গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে যেতে যেতে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার ও রোগীদের সুস্থ করতে লাগলেন।

হেরোদ যীশু সম্পর্কে সন্দিহান

(মথি 14:1-12; মার্ক 6:14-29)

সেই সময় যে সব ঘটনা ঘটছিল রাজ্যপাল হেরোদ তা শুনে খুবই বিচলিত হয়ে পড়লেন। কারণ কেউ কেউ বলছিল, “যোহন আবার বেঁচে উঠেছেন।” আবার অনেকে বলছিল, “এলিয় পুনরায় আবির্ভূত হয়েছেন।” কেউ কেউ বলছিল, “প্রাচীনকালের ভাববাদীদের মধ্যে কোন একজন পুনরায় মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন।” কিন্তু হেরোদ বললেন, “আমি যোহনের মাথা কেটে ফেলেছি; কিন্তু যার বিষয়ে আমি এসব কথা শুনছি, এ তবে কে?” আর তিনি যীশুকে দেখবার চেষ্টা করতে লাগলেন।

যীশু পাঁচ হাজারের বেশী লোককে খাওয়ালেন

(মথি 14:13-21; মার্ক 6:30-44; যোহন 6:1-14)

10 প্রেরিতরা ফিরে এসে তাঁরা কি কি করেছেন তা যীশুকে জানালেন। তখন যীশু তাঁদের নিয়ে নিভৃতে বৈৎসৈদা নগরে চলে গেলেন। 11 কিন্তু লোকেরা জানতে পেরে গেল যে তিনি কোথায় যাচ্ছেন, আর তারা যীশুর পিছু পিছু চলল। যীশুও তাদের সাদরে গ্রহণ করে তাদের কাছে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে বললেন, আর যে সব লোকের রোগ-ব্যাধি ভাল হবার প্রয়োজন ছিল, তাদের সুস্থ করলেন।

12 দিন প্রায় শেষ হয়ে আসছে, এমন সময় সেই বারোজন প্রেরিত যীশুর কাছে ফিরে এসে বললেন, “আমরা যেখানে আছি এটা একটা নির্জন স্থান, তাই এই লোকদের বিদায় দিন যেন এরা আশপাশের গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য থাকবার স্থান ও খাবার জোগাড় করে নিতে পারে।”

13 কিন্তু যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরাই এদের খেতে দাও।”

কিন্তু তারা বললেন, “আমাদের কাছে তো পাঁচখানা রুটি আর দুটো মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই। আমরা গিয়ে কি এইসব লোকদের জন্য খাবার কিনে আনব?” 14 (সেখানে পুরুষ মানুষই ছিল প্রায় পাঁচ হাজার।)

কিন্তু যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “ওদেরকে এক এক দলে পঞ্চাশ জন করে বসিয়ে দাও।”

15 তারা সেই রকমই করলেন; তাদের সকলকেই বসিয়ে দিলেন। 16 এরপর যীশু সেই পাঁচখানা রুটি ও দুটো মাছ নিয়ে সেগুলোর জন্য স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। পরে তিনি সেগুলোকে টুকরো টুকরো করে তা পরিবেশন করার জন্য শিষ্যদের হাতে দিলেন। 17 সকলে বেশ তৃপ্তি করে খেল, বাকি যা পড়ে রইল তা একসঙ্গে জড় করলে বারোটি টুকরি ভরে গেল।

যীশুই খ্রীষ্ট

(মথি 16:13-19; মার্ক 8:27-29)

18 একদিন যীশু কোন এক জায়গায় নিভৃতে প্রার্থনা করছিলেন। তাঁর শিষ্যরা সেখানে এলে তিনি তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, “লোকেরা কি বলে, আমি কে?”

19 তাঁরা বললেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন, কেউ বা বলে এলিয়, আবার কেউ কেউ বলে প্রাচীনকালের ভাববাদীদের মধ্যে একজন বেঁচে উঠেছেন।”

20 তিনি তাঁদের বললেন, “কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?”

পিতর বললেন, “ঈশ্বরের সেই খ্রীষ্ট।”

21 তখন তিনি তাঁদের সতর্ক করে দিলেন যেন একথা তাঁরা কারো কাছে প্রকাশ না করেন।

যীশু বললেন যে তাঁকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে

(মথি 16:21-28; মার্ক 8:31–9:1)

22 তিনি আরো বললেন, “মানবপুত্রের অনেক দুঃখ ও যাতনা ভোগ করার প্রয়োজন আছে; ইহুদী নেতারা, প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে, তারা তাঁকে হত্যা করবে; আর তিন দিনের মাথায় তিনি মৃত্যুলোক থেকে পুনরুত্থিত হবেন।”

23 পরে তিনি তাঁদের সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, “যদি কেউ আমার সঙ্গে আসতে চায়, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক; আর প্রতিদিন নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমায় অনুসরণ করুক। 24 যে কেউ নিজের জীবন রক্ষা করতে চায় সে তা হারাবে, কিন্তু যে কেউ আমার জন্য নিজের জীবন হারায় সে তা রক্ষা করবে। 25 সমগ্র জগৎ‌ লাভ করে কেউ যদি নিজেকে ধ্বংস করে তবে তার কি লাভ হল? 26 যদি কেউ আমার জন্য ও আমার শিক্ষার জন্য লজ্জা বোধ করে, তবে যখন মানবপুত্র নিজ মহিমায় এবং পিতা ও পবিত্র স্বর্গদূতদের মহিমায় আসবেন তখন তিনিও তার জন্য লজ্জিত হবেন। 27 কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এখানে এমন কয়েকজন আছে যাঁরা ঈশ্বরের রাজ্য না দেখা পর্যন্ত মৃত্যুর মুখ দেখবে না।”

মোশি, এলিয় ও যীশু

(মথি 17:1-8; মার্ক 9:2-8)

28 এইসব কথা বলার প্রায় আট দিন পর, তিনি পিতর, যাকোব ও যোহনকে নিয়ে প্রার্থনা করার জন্য একটা পর্বতে গেলেন। 29 যীশু যখন প্রার্থনা করছিলেন, তখন তাঁর মুখের চেহারা অন্যরকম হয়ে গেল, তাঁর পোশাক আলোক শুভ্র হয়ে উঠল। 30 দুই ব্যক্তি, মোশি ও এলিয় মহিমান্বিত হয়ে সেখানে এসে যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন। 31 তাঁরা ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী জেরুশালেমে কিভাবে যীশুর মৃত্যু হবে তাই নিয়ে কথা বলছিলেন। 32 কিন্তু পিতর ও তাঁর অন্য সঙ্গীরা সেই সময় ঢুলতে ঢুলতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাঁরা জেগে উঠে যীশুকে মহিমান্বিত রূপে দেখতে পেলেন, আর ঐ দুই ব্যক্তিকে যীশুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। 33 সেই ব্যক্তিরা যখন যীশুর কাছ থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পিতর যীশুকে বললেন, “গুরু, ভালোই হয়েছে যে আমরা এখানে আছি। আমরা এখানে তিনটে কুটীর তৈরী করি, একটা আপনার জন্য, একটা মোশির জন্য আর একটা এলিয়র জন্য।” তিনি জানতেন না যে তিনি কি বলছিলেন।

34 কিন্তু তিনি যখন এইসব কথা বলছিলেন, সেই সময় এক খণ্ড মেঘ এসে তাঁদের ঢেকে ফেলল, মেঘের মধ্যে প্রবেশ করে তাঁরা ভীত হলেন। 35 সেই মেঘের মধ্য থেকে এক রব শোনা গেল। সেই রব বলল, “এই আমার পুত্র, আমার মনোনীত পাত্র, তাঁর কথা শোন।”

36 সেই রব মিলিয়ে যাবার পরই দেখা গেল কেবল যীশু একা সেখানে রয়েছেন আর শিষ্যরা যা দেখলেন সে বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে চুপ করে রইলেন।

অশুচি আত্মায় পাওয়া একটি বালককে যীশু সুস্থ করলেন

(মথি 17:14-18; মার্ক 9:14-27)

37 পরদিন তাঁরা পর্বত থেকে নেমে এলে বহু লোক যীশুর সঙ্গে দেখা করতে এল, 38 আর সেই সময় ঐ ভীড়ের মধ্য থেকে একটি লোক চিৎকার করে বলল, “গুরু, আমি আপনাকে মিনতি করছি আপনি আমার এই একমাত্র সন্তানের দিকে একটু দেখুন। 39 হঠাৎ‌, একটা অশুচি আত্মা তাকে ধরে, আর সে চিৎকার করতে থাকে। সেই আত্মা যখন তাকে মুচড়ে ধরে তখন তার মুখ থেকে ফেনা কাটতে থাকে। এটা সহজে তাকে ছেড়ে যেতে চায় না, তাকে একবারে ঝাঁঝরা করে দেয়। 40 আমি আপনার শিষ্যদের কাছে মিনতি করেছিলাম যেন তাঁরা ঐ অশুচি আত্মাকে তাড়িয়ে দেন, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”

41 যীশু বললেন, “হে অবিশ্বাসী ও পথভ্রষ্ট লোকেরা, আমি আর কতকাল তোমাদের নিয়ে ধৈর্য্য ধরব, কতকালই বা তোমাদের সঙ্গে থাকব?” যীশু লোকটিকে বললেন, “তোমার ছেলেকে এখানে আন।”

42 ছেলেটা যখন আসছিল, তখন সেই ভূত তাকে আছাড় মারল আর তাতে সে প্রবলভাবে হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে লাগল। যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমক দিলেন। তারপর ছেলেটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তার বাবার কাছে ফেরৎ দিলেন। 43 ঈশ্বর যে কত মহান তা দেখে লোকেরা অবাক হয়ে গেল।

যীশু তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বললেন

(মথি 17:22-23; মার্ক 9:30-32)

যীশু যা করলেন তা দেখে লোকেরা আশ্চর্য হচ্ছিল, তখন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, 44 “আমি তোমাদের যা বলছি তা মন দিয়ে শোন, শীঘ্রই মানবপুত্রকে মানুষের হাতে সঁপে দেওয়া হবে।” 45 কিন্তু এ কথার অর্থ কি শিষ্যরা তা বুঝতে পারলেন না। এটা তাঁদের কাছে গুপ্ত রয়ে গেল, তাই তাঁরা এর কিছুই উপলদ্ধি করতে পারলেন না।

শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি

(মথি 18:1-5; মার্ক 9:33-37)

46 সেই সময়ই তাঁদের মধ্যে এই বিতর্কের সূত্রপাত হল যে কে তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। 47 কিন্তু যীশু তাঁদের মনোভাব বুঝতে পেরে একটি শিশুকে এনে নিজের পাশে দাঁড় করালেন। 48 তিনি তাঁদের বললেন, “যে কেউ আমার নামে এই শিশুকে সাদরে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে; আর যে আমাকে সাদরে গ্রহণ করে, সে আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তাঁকেই গ্রহণ করে। তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে ছোট, সেই শ্রেষ্ঠ।”

যে কেউ তোমার বিপক্ষে নয় সে তোমার পক্ষে

(মার্ক 9:38-40)

49 যোহন বললেন, “প্রভু আমরা আপনার নামে একজনকে ভূত তাড়াতে দেখেছি। সে আমাদের সঙ্গী নয় বলে আমরা তাকে বারণ করেছি।”

50 কিন্তু যীশু তাঁকে বললেন, “তাকে বারণ করো না, কারণ যে তোমাদের বিপক্ষ নয়, সে তোমাদের সপক্ষ।”

শমরীয় শহর

51 যীশুর স্বর্গে যাবার সময় হয়ে এলে তিনি স্থির চিত্তে জেরুশালেমের দিকে এগিয়ে চললেন। 52 তিনি তাঁর পৌঁছাবার আগেই সেখানে কিছু বার্তবাহক পাঠালেন। তাঁরা গিয়ে শমরীয়দের এক গ্রামে উঠলেন, যেন যীশুর জন্য সব কিছু ব্যবস্থা করতে পারেন। 53 কিন্তু যীশু জেরুশালেমে যাবেন বলে স্থির করায় শমরীয়রা তাঁকে গ্রহণ করল না। 54 যীশুর অনুগামী যাকোব ও যোহন এই দেখে বললেন, “প্রভু, আপনি কি চান যে এদের ধ্বংস করার জন্য আমরা আকাশ থেকে আগুন নামিয়ে আনি?”[a]

55 কিন্তু যীশু ফিরে দাঁড়িয়ে তাদের ধমক দিলেন।[b] 56 তখন তাঁরা অন্য গ্রামে গেলেন।

যীশুকে অনুসরণ

(মথি 8:19-22)

57 তাঁরা যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, সেই সময় একজন লোক যীশুকে বলল, “আপনি যেখানেই যান না কেন আমিও আপনার সঙ্গে যাব।”

58 যীশু তাকে বললেন, “শেয়ালের গর্ত আছে, আকাশের পাখিদেরও বাসা আছে, কিন্তু মানবপুত্রের কোথাও মাথা রাখার ঠাঁই নেই।”

59 আর একজনকে তিনি বললেন, “আমায় অনুসরণ কর।”

কিন্তু সেই লোকটি বলল, “আগে গিয়ে আমার বাবাকে কবর দিয়ে আসতে দিন।”

60 কিন্তু যীশু তাকে বললেন, “মৃতরাই তাদের মৃতদের কবর দেবে। তুমি গিয়ে বরং ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় ঘোষণা কর।”

61 আর একজন লোক বলল, “প্রভু, আমি আপনার অনুসারী হব: কিন্তু প্রথমে আমার বাড়ির সকলকে বিদায় জানিয়ে আসতে দিন।”

62 কিন্তু যীশু তাকে বললেন, “লাঙ্গলে হাত রেখে যে পেছন ফিরে তাকায়, সে ঈশ্বরের রাজ্যের যোগ্য নয়।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International