Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
1 বংশাবলি 9-10

ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দাদের নাম তাদের পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ ছিল। সেই সমস্ত পারিবারিক ইতিহাস সঙ্কলিত করে ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থটি লেখা হয়।

জেরুশালেমের লোক

যিহূদার লোকদের জোর করে বাবিলে নির্বাসিত করা হয়েছিল কারণ তারা ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছিল। পরবর্তীকালে নিজেদের বাসস্থানে প্রথম যাঁরা ফিরে এসে আবার বাস করতে শুরু করেন তাঁদের মধ্যে যাজকবর্গ, লেবীয়, মন্দিরের দাস ছাড়াও কিছু ইস্রায়েলীয় ব্যক্তি ছিলেন।

জেরুশালেমে বসবাসকারী যিহূদা, বিন্যামীন, ইফ্রয়িম আর মনঃশি পরিবার গোষ্ঠীর লোকদের তালিকা নিম্নরূপ:

উথয়ের পিতা অম্মীহূদ, অম্মীহূদের পিতা অম্রি, অম্রির পিতা ইম্রি, ইম্রির পিতা বানি, যিনি ছিলেন যিহূদার সন্তান খোদ পেরসের উত্তরপুরুষ।

শীলোনীয়দের মধ্যে জেরুশালেমে থাকতেন অসায় আর তাঁর পুত্ররা।

সেরহদের মধ্যে যুয়েল ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন সহ মোট 690 জন থাকতেন।

বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর যাঁরা জেরুশালেমে থাকতেন তাঁরা হলেন: সল্লূর পিতা মশুল্লম, মশুল্লমের পিতা হোদবিয়, হোদবিয়র পিতা হস্নূয়, যিরোহমের পুত্র ছিল যিব্নিয়, এলা ছিল উষির পুত্র, উষি ছিল মিখ্রির পুত্র, মশুল্লম ছিল শফটিয়র পুত্র, শফটিয় ছিল রূয়েলের পুত্র এবং রূয়েল ছিল যিব্নিয়র পুত্র। বিন্যামীনদের পারিবারিক ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই পরিবারের মোট 956 জন জেরুশালেমে বাস করতেন এবং এঁরা সকলেই নিজেদের পারিবারিক নেতা ছিলেন।

10 যাজকদের মধ্যে জেরুশালেমে বাস করতেন যিদয়িয়, যিহোয়ারীব, যাখীন এবং হিল্কিয়র পুত্র অশূরীয়। 11 হিল্কিয় ছিলেন মশুল্লমের পুত্র, তাঁর পিতা ছিলেন সাদোক। সাদোকের পিতা মরায়োত, তাঁর পিতা অহীটূব। অহীটূব ঈশ্বরের মন্দিরের একজন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ছিলেন। 12 এঁরা ছাড়াও বাস করতেন: অদায়ার পিতা যিরোহম, তাঁর পিতা পশ‌্হূর, তাঁর পিতা মল্কিয়, আর অদীয়েলের পুত্র মাসয়, অদীয়েলের পিতা যহসেরা, তাঁর পিতা মশুল্লুম, তাঁর পিতা মশিল্লমীত ও মশিল্লমীতের পিতা ইম্মের প্রমুখ।

13 সব মিলিয়ে যাজকদের সংখ্যা ছিল 1760 জন। এঁরা সকলে ঈশ্বরের মন্দিরে সেবার জন্য নিযুক্ত ও নিজেদের পরিবারের নেতা ছিলেন।

14 লেবীয় পরিবারের মধ্যে যাঁরা জেরুশালেমে বাস করতেন তাঁদের তালিকা নিম্নরূপ: শময়িয়র পিতা হশূব, তাঁর পিতা অস্রীকাম, তাঁর পিতা মরারির উত্তরপুরুষ হশবিয়। 15 এছাড়াও জেরুশালেমে থাকতেন বকবকর, হেরশ, গালল আর মত্তনিয়। মত্তনিয় ছিলেন মীখার পুত্র, মীখা সিখ্রির পুত্র, সিখ্রি আসফের পুত্র। 16 ওবদিয় ছিলেন শময়িয়র পুত্র, শময়িয় গাললের পুত্র, গালল যিদূথূনের পুত্র, যিদূথূন বেরিখিয়র পুত্র, বেরিখিয় আসার পুত্র আর আসা ছিল ইল‌্কানার পুত্র। বেরিখিয় নটোফার লোকদের কাছাকাছি ছোট শহরগুলোয় বসবাস করতেন।

17 দ্বাররক্ষীদের মধ্যে জেরুশালেমে বাস করতেন শল্লুম, অক্কুব, টল্‌মোন, অহীমান এবং তাঁদের আত্মীয়রা। শল্লুম ছিলেন এঁদের নেতা। 18 এঁরা ছিলেন লেবি পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য এবং পূর্বদিকে রাজদ্বারের পাশে দাঁড়াতেন। 19 শল্লুম ছিলেন কোরির পুত্র, কোরি ইবীয়াসফের পুত্র, ইবীয়াসফ কোরহের পুত্র ছিলেন। শল্লুম এবং তাঁর ভাইরা ছিলেন কোরহ পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের পূর্বপুরুষদের মতোই তাঁরাও পবিত্র তাঁবুর দরজায় পাহারা দিতেন। 20 অতীতে ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস মন্দিরের দ্বার রক্ষীদের তত্ত্বাবধান করতেন। প্রভু তাঁর সহায় ছিলেন। 21 মশেলেমিয়র পুত্র সখরিয়ও পবিত্র তাঁবুর দ্বাররক্ষীর কাজ করতেন।

22 সব মিলিয়ে 212 জন ব্যক্তি পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথগুলো পাহারা দিতেন। এঁদের সকলের নামই তাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে লেখা আছে। এঁরা সকলে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই ভাববাদী দায়ূদ ও শমূয়েল তাঁদের ও 23 তাঁদের উত্তরপুরুষদের প্রভুর গৃহ ও পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথ পাহারার কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। 24 উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম সব মিলিয়ে মোট চারটি প্রবেশ-পথ ছিল। 25 প্রায়ই দ্বাররক্ষীদের আত্মীয়রা তাদের ছোট ছোট শহরতলী থেকে এসে এঁদের 7 দিনের জন্য সাহায্য করতেন। 26 লেবীয় পরিবারের চারজন এই সমস্ত দ্বাররক্ষীদের নেতা ছিলেন। এঁদের সকলেরই কাজ ছিল ঈশ্বরের মন্দিরের ঘর-দোরের যত্ন নেওয়া ও মন্দিরের ধনসম্পদ রক্ষা করা। 27 সারা রাত ধরে তাঁরা মন্দির পাহারা দিতেন এবং তারপর সকালে ঈশ্বরের মন্দিরের দরজা খুলে দিতেন।

28 কিছু দ্বার রক্ষীদের কাজ ছিল মন্দিরের নিত্য ব্যবহৃত থালার হিসেব রাখা। এঁরা এই সমস্ত থালা বাইরে আনা ও নিয়ে যাওয়ার সময়ে গুনে রাখতেন। 29 কিছু দ্বার রক্ষী আসবাবপত্র, বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহৃত থালা ছাড়াও ময়দা, দ্রাক্ষারস, তেল, ধুপধূনো ও বিশেষ তেলের[a] দেখাশোনা করত। 30 কিন্তু যাজকরাই ব্যবহৃত সুগন্ধী তেলের দেখাশোনা করতেন।

31 কোরহ পরিবারের শল্লুমের বড় ছেলে মত্তিথিয় নামে জনৈক লেবীয় হোমের জন্য ব্যবহৃত রুটি সেঁকার দায়িত্বে ছিলেন। 32 কোরহ পরিবারের কিছু দ্বার রক্ষীর কাজ ছিল বিশ্রামের দিনে যে সমস্ত রুটি টেবিলে পরিবেশন করা হত সেগুলি প্রস্তুত করা।

33 যে সমস্ত লেবীয়রা গান গাইতেন এবং তাঁদের পরিবারের নেতা ছিলেন তাঁরা মন্দিরের ভেতরে ঘরে বাস করতেন। যেহেতু তাঁদের সারা দিন সারা রাত মন্দিরের কাজ করতে হত সেহেতু তাঁদের অন্য কোন কাজ করতে হত না।

34 পারিবারিক ইতিহাসে জেরুশালেমে বসবাসকারী এই সমস্ত লেবীয়দের তাঁদের পরিবারের নেতা হিসেবে উল্লেখ করা আছে।

রাজা শৌলের পারিবারিক ইতিহাস

35 গিবিয়োনের পিতা যিয়ীয়েল গিবিয়োনে বাস করতেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল মাখা। 36 তাঁদের পুত্রদের নাম যথাক্রমে অব্দোন, সূর, কীশ, বাল, নের, নাদব, 37 গাদোর, অহিয়ো, সখরিয় ও মিক্লোত্‌। 38 মিক্লোতের পুত্র ছিল শিমিয়াম। যিয়ীয়েলের পরিবারের সকলেই তাঁদের আত্মীয়দের কাছাকাছি জেরুশালেমে বাস করতেন।

39 নেরের পুত্রের নাম ছিল কীশ, কীশের পুত্রের নাম শৌল, আর শৌলের পুত্রদের নাম ছিল যোনাথন, মল্কীশূয়, অবীনাদব ও ইশ্বাল।

40 যোনাথনের পুত্রের নাম ছিল মরিব্-বাল আর পৌত্রের নাম মীখা।

41 মীখার পুত্রদের নাম ছিল পিথোন, মেলক, তহরেয় আর আহস। 42 আহসের পুত্র ছিল যারঃ। যারের পুত্ররা ছিল আলেমৎ‌, অস্মাবৎ এবং সিম্রি। সিম্রি ছিল মোৎসার পিতা। 43 মোৎসার পুত্রের নাম বিনিয়া, বিনিয়ার পুত্রের নাম রফায়, রফায়ের পুত্রের নাম ছিল ইলীয়াসা আর ইলীয়াসার পুত্রের নাম আৎসেল।

44 আৎসেলের ছয় পুত্রের নাম ছিল অস্রীকাম, বোখরূ, ইশ্মায়েল, শিয়রিয়, ওবদিয় আর হানান।

রাজা শৌলের মৃত্যু

10 পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলীয় লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এলে ইস্রায়েলীয়রা পালিয়ে গিয়েছিল। গিল্‌বোয় পাহাড়ে মারাও গিয়েছিল অনেকে। পলেষ্টীয়রা রাজা শৌল ও তাঁর পুত্রদের পেছনে ধাওয়া করে শেষ পর্যন্ত তাঁদের ধরে ফেলে হত্যাও করেছিল। শৌলের তিন পুত্র যোনাথন, অবীনাদব ও মল্কি-শূয় পলেষ্টীয়দের হাতে মারা পড়েছিলেন। এবং শৌলের চারপাশে যুদ্ধ তীব্র হয়ে ওঠে এবং শৌলকে পলেষ্টীয় তীরন্দাজরা তীর ছুঁড়ে আহত করে।

রাজা শৌল তখন তাঁর অস্ত্রবাহককে বললেন, “তুমি তরবারি বের করে নিজের হাতে আমায় হত্যা কর। তাহলে আর এই ভিন দেশীরা এসে আমায় নিয়ে মস্করা করতে বা আমায় আঘাত করতে পারবে না।”

কিন্তু রাজার অস্ত্রবাহক মহারাজকে হত্যা করতে ভয় পেল। তাই শৌল তখন নিজের তরবারি দিয়েই আত্মহত্যা করলেন। অস্ত্রবাহক যখন দেখতে পেল রাজা শৌলের মৃত্যু হয়েছে তখন সেও নিজের তরবারি দিয়ে নিজেকে হত্যা করল। অর্থাৎ‌ রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্র এক সঙ্গে মারা গেলেন।

সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ইস্রায়েলের বাসিন্দারা দেখল তাদের সেনাবাহিনী রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছে আর রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্র মারা গিয়েছে। তখন তারাও তাদের শহর ছেড়ে পালাল। পলেষ্টীয়রা সেই সমস্ত শহর দখল করে সেখানে বাস করতে শুরু করল।

পরের দিন পলেষ্টীয়রা মৃতদেহ থেকে দামী জিনিসপত্র খুলে নিতে এসে গিল্‌বোয় পর্বতে রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্রের মৃতদেহ খুঁজে পেল। শৌলের দেহ থেকে দুর্মূল্য জিনিসপত্র নিয়ে নেওয়ার পর পলেষ্টীয়রা শৌলের মুণ্ড এবং বর্ম নিয়ে নিল এবং তাদের লোকদের এবং তাদের দেবতাদের খবরটা জানানোর জন্য রাজ্যের সর্বত্র বার্তাবাহক পাঠাল। 10 তারপর তাদের ভ্রান্ত দেবতার মন্দিরে শৌলের কাটা মুণ্ডুটা ঝুলিয়ে দিল।

11 যাবেশ-গিলিয়দের সমস্ত লোকরা যখন জানতে পারল পলেষ্টীয়রা শৌলের কি দশা করেছে 12 তখন তারা শহরের সাহসী লোকদের রাজা ও রাজপুত্রদের মৃতদেহ ফেরত আনতে পাঠাল। যাবেশ-গিলিয়দে রাজা ও রাজপুত্রদের মৃতদেহ নিয়ে আসার পর তারা চার জনকেই যাবেশে একটা বড় গাছের তলায় সমাধিস্থ করে সাত দিন ধরে শোক প্রকাশ এবং উপোস করল।

13 প্রভুর প্রতি অনুগত না হওয়ার কারণেই এবং প্রভুর বাণী উপেক্ষা করার জন্যই শৌলের মৃত্যু হয়েছিল। প্রভুর উপদেশ নেবার পরিবর্তে শৌল এক মাধ্যমের কাছে পরামর্শের জন্য যেতেন। 14 এসব কারণেই প্রভু রাজা শৌলের মৃত্যু ঘটিয়ে যিশয়ের পুত্র দায়ূদের হাতে রাজ্য তুলে দিয়েছিলেন।

ইব্রীয় 12

আমাদেরও যীশুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা উচিত

12 আমাদের চারপাশে ঈশ্বর বিশ্বাসী ঐসব মানুষরা রয়েছেন। তাঁদের জীবন ব্যক্ত করছে বিশ্বাসের প্রকৃতরূপ, তাই আমাদের উচিত তাঁদের অনুসরণ করা। আমাদেরও উচিত সেই দৌড়ে যোগ দেওয়া যা আমাদের জন্য নির্দিষ্ট আছে, কখনই থেমে যাওয়া উচিত নয়। জীবনে যা বাধার সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কিছু আমরা যেন দূরে ফেলে দিই। যে পাপ সহজে জড়িয়ে ধরে তা যেন দূরে ঠেলে দিই। আমাদের সর্বদাই যীশুর আদর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। বিশ্বাসের পথে যীশুই আমাদের নেতা; তিনি আমাদের বিশ্বাসকে পূর্ণতা দেন। তিনি ক্রুশের উপর মৃত্যুভোগ করলেন; ক্রুশের মৃত্যুর অপমান তুচ্ছ জ্ঞান করে তা সহ্য করলেন। তাঁর সম্মুখে ঈশ্বর যে আনন্দ রেখেছিলেন সেই দিকে দৃষ্টি রেখেই যীশু তা করতে পেরেছিলেন। এখন তিনি ঈশ্বরের সিংহাসনের ডানপাশে বসে আছেন। যীশুর কথা ভাবো, যখন পাপীরা তাঁর বিরোধিতা করে অনেক নিন্দা-মন্দ করেছিল, তখন তিনি এই সমস্ত বিরোধিতা সহ্য করেছিলেন। যীশু তা করেছিলেন যাতে তোমরাও তাঁর মতো সহিষ্ণু হও এবং চেষ্টা করা থেকে বিরত না হও।

ঈশ্বর হলেন পিতার মতো

পাপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তোমরা এখনও মৃত্যুর মুখোমুখি হও নি। তোমরা ঈশ্বরের সন্তান, তিনি তোমাদের সান্ত্বনার কথা বলেন। তোমরা সম্ভবতঃ সেই উৎসাহব্যঞ্জক কথা ভুলে গেছ। তিনি বলেছেন:

“হে আমার পুত্র, প্রভু যখন তোমায় শাসন করেন, মনে করো না যে তার কোন মূল্য নেই।
    তিনি যখন তোমায় সংশোধন করেন তখন নিরুৎসাহ হয়ো না।
কারণ প্রভু যাকে ভালবাসেন তাকেই শাসন করেন,
    সমস্ত পুত্রই পিতা কর্ত্তৃক শাসিত হয়।”(A)

এখন যা কিছু কষ্ট পাচ্ছ তা পিতার কাছ থেকে শাসন বলে মেনে নাও। পিতা যেমন তাঁর সন্তানকে শাসন করেন, তেমনি করেই ঈশ্বর তোমাদের জীবনে এইসব আসতে দিয়েছেন। সব সন্তানই পিতার অনুশাসনের অধীন। তোমরা যদি কখনই শাসিত না হও (পুত্র মাত্রেই শাসিত হয়) তবে তোমরা তো তাঁর প্রকৃত সন্তান নও, যথার্থ পুত্র নও। এই পৃথিবীতে আমাদের সবার পিতাই আমাদের মার্জিত ও সংশোধিত করেন এবং আমরা তাঁদের সম্মান করি। যিনি আমাদের আত্মিক পিতা তাঁর অনুশাসনের কাছে আমাদের সত্যিকারের জীবনের জন্য আমরা কি আরো বেশী মাথা নোয়াবো না? 10 পৃথিবীতে আমাদের পিতারা অল্প সময়ের জন্য শাস্তি দেন। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করার জন্য শাস্তি দেন যেন আমরা তাঁর মত পবিত্র হই। 11 কোনও ধরণের শাসনই শাসনের মুহূর্তে আমাদের আনন্দ দেয় না, বরং আমরা তাতে দুঃখ পাই; কিন্তু এটা যাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে, পরে তাদের জীবনে ধার্মিকতা ও শান্তি রাজত্ব করে।

জীবনযাপন সম্পর্কে সতর্ক হও

12 তাই তোমাদের শিথিল হাত দুটোকে শক্ত করো, অবশ হাঁটু দুটোকে সবল করে তোল। 13 তোমাদের চলার পথ সরল কর, খোঁড়া পা যেন গাঁট থেকে খুলে না যায়, বরং তা যেন সুস্থ হয়।

14 সবার সঙ্গে শান্তিতে জীবনযাপন করতে চেষ্টা কর, কারণ এই ধরণের জীবন ছাড়া কেউ প্রভুর দর্শন লাভ করে না। 15 দেখো, কেউ যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত না হও। দেখো তোমাদের মধ্যে যেন তিক্ততার শেকড় না গজিয়ে ওঠে। তোমাদের মধ্যে এমন লোক থাকলে গোটা দলকে কলুষিত করতে পারে। 16 সাবধান, কেউ যেন যৌন পাপে না পড়ে অথবা এষৌর মতো ঈশ্বর ভক্তি জলাঞ্জলি না দেয়। এষৌ ছিল জ্যেষ্ঠ পুত্র, সে তার পিতার সমস্ত কিছুর উত্তরাধিকারী ছিল; কিন্তু এক বেলার খাবারের জন্য সে নিজের জন্মাধিকার বিকিয়ে দিয়েছিল। 17 তোমরা তো জানো, পরে সে বাবার আশীর্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করেও বিফল হল। তার বাবা তাকে সেই আশীর্বাদ দিতে অস্বীকার করলেন, কারণ এষৌ তার ভুল শোধরাবার কোন পথ খুঁজে পেল না।

18 তোমরা এক নতুন স্থানে এসেছ; ইস্রায়েলীয়রা যেমন এক পাহাড়ের সামনে এসেছিল এ স্থান তেমন নয়। তোমরা সেই পাহাড়ের কাছে আসো নি যা স্পর্শ করা যেত না, যা আগুনে জ্বলছিলো, তোমরা এমন স্থানে আসোনি যা অন্ধকারময়, বিষাদময়, ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ। 19 তারা যেমন শুনেছিল তেমন তূরীধ্বনি অথবা সেই কন্ঠস্বর তোমরা শুনতে পাচ্ছ না, যা শুনে তারা মিনতি করেছিল যেন আর কোন বাক্য তাদের কখনও শোনানো না হয়। 20 কারণ যে আদেশ তাদের দেওয়া হয়েছিল তা তারা সহ্য করতে পারল না। তাদের বলা হল, “যদি কোন কিছু, এমন কি কোন পশু পর্যন্ত পর্বত স্পর্শ করে, তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতে হবে।”(B) 21 সেই দৃশ্য এমন ভয়ঙ্কর ছিল যে মোশি বললেন, “আমি অত্যন্ত ভয় পেয়েছি আর কাঁপছি।”(C)

22 কিন্তু তোমরা সেরকম কোন স্থানে আসো নি। যে নতুন স্থানে তোমরা এসেছ তা হল সিয়োন পর্বত। তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের নগরী স্বর্গীয় জেরুশালেমে এসেছ। তোমরা সেই জায়গায় এসেছ যেখানে হাজার হাজার স্বর্গদূতরা পরমানন্দে একত্রিত হয়। 23 তোমরা এসেছ ঈশ্বরের প্রথম জাতদের সভাস্থলে, যাদের নাম স্বর্গে লিখিত রয়েছে। যিনি সকলের বিচারকর্তা সেই ঈশ্বরের কাছে এসেছ। সিদ্ধিপ্রাপ্ত আত্মার সমাবেশে এসেছ। 24 তোমরা যীশুর কাছে এসেছ যিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে তাঁর লোকদের জন্য নতুন চুক্তি এনেছেন। সেই ছেটানো রক্তের কাছে এসেছ যা হেবলের রক্ত থেকে উত্তম কথা বলে।

25 সাবধান, ঈশ্বর যখন কথা বলেন তা শুনতে অসম্মত হয়ো না। তিনি পৃথিবীতে যখন সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন যারা তাঁর কথা শুনতে অসম্মত হল তারা রক্ষা পেল না। এখন ঈশ্বর স্বর্গ থেকে বলছেন, তাঁর কথা না শুনলে তোমাদের অবস্থা ঐ লোকদের থেকেও ভয়াবহ হবে একথা সুনিশ্চিত জেনো। 26 সেই সময় তাঁর কথায় পৃথিবী কেঁপে উঠেছিল। কিন্তু এখন তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, “আমি আর একবার পৃথিবীকে কাঁপিয়ে তুলব। এমনকি স্বর্গকেও কাঁপিয়ে তুলব।”(D) 27 “আর একবার” এর অর্থ হল সমস্ত সৃষ্ট বস্তু যাদের নাড়ানো যায় তাদের তিনি দূর করে দেবেন, সুতরাং যা কিছু অনড় তা হবে চিরস্থায়ী।

28 আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত কারণ আমরা একটা জগতকে পেয়েছি যাকে নাড়ানো যায় না। আমরা কৃতজ্ঞ চিত্তে ঈশ্বরের উপাসনা করব যাতে তিনি প্রীত হন। আমরা তাঁর উপাসনা করবো শ্রদ্ধা ও ভীতির সঙ্গে। 29 কারণ আমাদের “ঈশ্বর সর্বগ্রাসী অগ্নিস্বরূপ।”(E)

আমোষ 6

ইস্রায়েলের কাছ থেকে সুসময়টুকু নিয়ে নেওয়া হবে

সিয়োনের তোমরা যারা খুব আরামে জীবনযাপন করছ
    এবং শমরিয়া পর্বতে যারা নিরাপত্তা অনুভব করছ তাদের জন্য খারাপ সময় আসছে।
সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতিতে গুরুত্বপূর্ণ নেতাসমূহ।
    ইস্রায়েলবাসীরা তোমাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসে।
কল্নীতে গিয়ে দেখো।
    সেখান থেকে বৃহৎ‌‌ শহর হমাতে যাও।
    পলেষ্টীয়দের শহর গাতে যাও।
তোমরা কি এই রাজ্যগুলি থেকে বেশী ভাল আছো?
    না। তাদের দেশগুলি তোমাদের দেশগুলির থেকে বড়।
তোমরা যারা খারাপ সময় এড়িয়ে যেতে চাইছ,
    তারা হিংসার শাসন এমশঃ কাছে নিয়ে আসছ।
কিন্তু এখন তোমরা সব রকম আরাম উপভোগ করছ।
    তোমরা হাতির দাঁতের খাটে শুয়ে আছো এবং তোমরা শয্যায় হাত-পা ছড়িয়ে দিয়েছ।
তোমরা আস্তাবল থেকে বাছুর
    এবং মেষের দল থেকে ছোট ছোট মেষগুলো এনে খাচ্ছো।
তোমরা তোমাদের বীণা বাজাচ্ছো
    এবং দায়ূদের মত, বাজনা বাজানো অভ্যাস করছ।
শৌখীন পেয়ালা থেকে তোমরা দ্রাক্ষারস পান করছ।
    এবং সব চেয়ে ভালো সুগন্ধি ব্যবহার করছ।
এবং যোষেফের পরিবার যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
    তার জন্য মোটেই উদ্বিগ্ন নও।

ওই লোকরা এখন তাদের শয্যায় শরীর এলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাদের সুসময় শেষ হবে। তাদের বন্দী হিসাবে বিদেশী রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। এবং তারাই হবে প্রথম নিয়ে যাওয়া বন্দী লোকের দল। প্রভু, আমার সদাপ্রভু তাঁর নাম ব্যবহার করেছেন এবং এই প্রতিশ্রুতি করেছেন:

“যে জিনিসের জন্য যাকোব গর্ব করে সে জিনিসকে আমি ঘৃণা করি।
    আমি তাদের প্রাসাদগুলিকে ঘৃণা করি।
তাই আমি শত্রুদের এই শহর
    এবং এর মধ্যে সব কিছু নিয়ে নিতে দেব।”

ইস্রায়েল জাতির মধ্যে অল্প কয়েকজনই বেঁচে থাকবে

সেই সময়, কোন বাড়ীতে যদি দশ জনও বেঁচে থাকে তবে তারাও মারা যাবে। 10 এবং যখন কেউ মারা যায় তখন একজন আত্মীয় সেই দেহ নিতে আসবে যাতে সে মৃতদেহ বার করে নিয়ে গিয়ে দাহ করতে পারে। আত্মীয়স্বজন অস্থিগুলোকে নিয়ে যাবার জন্য আসবে। আর ঘরের পিছনে থাকা কোন লোককে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে বলবে, “এখানে কি তোমার কাছে কোন মৃতদেহ আছে?”

সেই ব্যক্তিটি উত্তরে বলবে, “না!”

তখন সেই লোকটির আত্মীয় বাধা দিয়ে বলবে, “চুপ করো। আমরা প্রভুর নাম ব্যবহার করতে চাই না।”

11 দেখো, ঈশ্বর আদেশ দেবেন
    এবং বৃহৎ‌‌ বাড়ীগুলি টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়বে
    এবং ছোট বাড়ীগুলি ছোট ছোট খণ্ডে ভেঙে পড়বে।
12 ঘোড়ারা কি আলগা পাথরের উপর দিয়ে ছোটে?
    না! লোকরা কি লাঙ্গল দেওয়ার জন্য গরুগুলোকে পাথরের ওপর ব্যবহার করে?
না! কিন্তু তোমরা সব কিছু উল্টে ফেলো।
    তোমরা ধার্ম্মিকতাকে বিষে পরিণত করেছিলে আর ন্যায় বিচারকে তিক্ত বিষে পরিণত কর।
13 তোমরা লো-দেবরে[a] আনন্দ কর।
    তোমরা বলছ, “আমরা আমাদের নিজস্ব শক্তিবলে কার্নেম অধিকার করেছি।”

14 “কিন্তু ইস্রায়েল, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে একটি জাতিকে পাঠাব। সেই জাতি তোমাদের সমস্ত দেশের মধ্যে গণ্ডগোলের সৃষ্টি করবে। লেবো-হমাৎ থেকে আরবাহ্-ব্রুক পর্যন্ত সবটা জুড়ে।” প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ওই কথাগুলো বলেছিলেন।

লূক 1:39-80

সখরিয় ও ইলীশাবেতের সঙ্গে মরিয়মের সাক্ষাৎ

39 তখন মরিয়ম উঠে তাড়াতাড়ি করে যিহূদার পার্বত্য অঞ্চলের একটি নগরে গেলেন। 40 সেখানে সখরিয়র বাড়িতে গিয়ে ইলীশাবেতকে অভিবাদন জানালেন। 41 ইলীশাবেৎ যখন মরিয়মের সেই অভিবাদন শুনলেন, তখনই তাঁর গর্ভের সন্তানটি আনন্দে নেচে উঠল; আর ইলীশাবেৎ পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হলেন।

42 এরপর তিনি খুব জোরে জোরে বলতে লাগলেন, “সমস্ত স্ত্রীলোকের মধ্যে তুমি ধন্যা, আর তোমার গর্ভে যে সন্তান আছেন তিনি ধন্য। 43 কিন্তু আমার প্রভুর মা যে আমার কাছে এসেছেন, এমন সৌভাগ্য আমার কি করে হল? 44 কারণ যে মুহূর্তে তোমার কন্ঠস্বর আমি শুনলাম, আমার গর্ভের শিশুটি তখনই নড়ে উঠল। 45 আর তুমি ধন্যা, কারণ তুমি বিশ্বাস করেছ যে প্রভু তোমায় যা বলেছেন তা পূর্ণ হবে।”

মরিয়ম ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন

46 তখন মরিয়ম বললেন,

47 “আমার আত্মা প্রভুর প্রশংসা করছে,
    আর আমার আত্মা আমার ত্রাণকর্তা ঈশ্বরকে পেয়ে আনন্দিত।
48 কারণ তাঁর এই তুচ্ছ দাসীর দিকে
    তিনি মুখ তুলে চেয়েছেন।
হ্যাঁ, এখন থেকে সকলেই
    আমাকে ধন্যা বলবে।
49 কারণ সেই একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমার জীবনে কত না মহত্ কাজ করেছেন।
    পবিত্র তাঁর নাম।
50 আর যাঁরা বংশানুক্রমে তাঁর উপাসনা করে
    তিনি তাদের দয়া করেন।
51 তাঁর বাহুর যে পরাক্রম, তা তিনি দেখিয়েছেন।
    যাদের মন অহঙ্কার ও দম্ভপূর্ণ চিন্তায় ভরা, তাদের তিনি ছিন্নভিন্ন করে দেন।
52 তিনিই শাসকদের সিংহাসনচ্যুত করেন,
    যারা নতনম্র তাদের উন্নত করেন।
53 ক্ষুধার্তকে তিনি উত্তম দ্রব্য দিয়ে তৃপ্ত করেন;
    আর বিত্তবানকে নিঃস্ব করে বিদায় করেন।
54 তিনি তাঁর দাস ইস্রায়েলকে সাহায্য করতে এসেছেন।
55 যেমন তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তেমনই করবেন।
    অব্রাহাম ও তাঁর বংশের লোকদের চিরকাল দয়া করার কথা তিনি মনে রেখেছেন।”

56 ইলীশাবেতের ঘরে মরিয়ম প্রায় তিন মাস থাকলেন। পরে তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন।

যোহনের জন্ম

57 ইলীশাবেতের প্রসবের সময় হলে তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। 58 তাঁর প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনরা যখন শুনল যে প্রভু তাঁর প্রতি কি মহা দয়া করেছেন, তখন তারা তাঁর আনন্দে আনন্দিত হল।

59 শিশুটি যখন আট দিনের, সেই সময় তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে সুন্নত করাতে এলেন। সবাই শিশুটির বাবার নাম অনুসারে শিশুর নাম সখরিয় রাখার কথা চিন্তা করছিলেন। 60 কিন্তু তার মা বলে উঠলেন, “না! ওর নাম হবে যোহন।”

61 তখন তাঁরা ইলীশাবেতকে বললেন, “আপনার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে তো কারও ঐ নাম নেই!” 62 এরপর তারা ইশারা করে ছেলেটির বাবার কাছে জানতে চাইলেন তিনি কি নাম দিতে চান।

63 সখরিয় ইশারা করে লেখার ফলক চেয়ে নিলেন ও তাতে লিখলেন, “ওর নাম যোহন।” এতে তাঁরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেলেন, 64 তখনই সখরিয়র জিভের জড়তা চলে গেল ও মুখ খুলে গেল, আর তিনি ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগলেন। 65 আশপাশের সকলে এতে খুব ভয় পেয়ে গেল, যিহূদিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের লোকরা সকলে এবিষয়ে বলাবলি করতে লাগল। 66 যারা এসব কথা শুনল তারা সকলেই আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগল, “ভবিষ্যতে এই ছেলেটি কি হবে? কারণ প্রভুর শক্তি এর সঙ্গে আছে।”

সখরিয় ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন

67 পরে ছেলেটির বাবা সখরিয় পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে ভাববাণী বলতে লাগলেন:

68 “ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা হোক্,
    কারণ তিনি তাঁর নিজের লোকদের সাহায্য করতে
    ও তাদের মুক্ত করতে এসেছেন।
69 আমাদের জন্য তিনি তাঁর দাস দায়ূদের বংশে
    একজন মহাশক্তিসম্পন্ন ত্রাণকর্তাকে দিয়েছেন।
70 এ বিষয়ে তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের[a] মাধ্যমে
    তিনি বহুপূর্বেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
71 শত্রুদের হাত থেকে ও যারা আমাদের ঘৃণা করে
    তাদের কবল থেকে উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি।
72 তিনি বলেছিলেন, আমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি দয়া করবেন
    এবং তিনি সেই প্রতিশ্রুতি স্মরণে রেখেছেন।
73 এ সেই প্রতিশ্রুতি যা তিনি আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহামের কাছে করেছিলেন।
74     শত্রুদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি
যেন আমরা নির্ভয়ে তাঁর সেবা করতে পারি:
75     আর আমাদের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর দৃষ্টিতে পবিত্র ও ধার্মিক থেকে তাঁর সেবা করে যেতে পারি।

76 “এখন হে বালক, তোমাকে বলা হবে পরমেশ্বরের ভাববাদী;
    কারণ তুমি প্রভুর পথ প্রস্তুত করবার জন্য তাঁর আগে আগে চলবে।
77 তুমি তাঁর লোকদের বলবে, ঈশ্বরের দয়ায়
    তোমরা পাপের ক্ষমা দ্বারা উদ্ধার পাবে।

78 “কারণ আমাদের ঈশ্বরের দয়া ও করুণার উর্দ্ধ থেকে
    এক নতুন দিনের ভোরের আলো আমাদের ওপর ঝরে পড়বে।
79 যারা অন্ধকার ও মৃত্যুর ছায়ায় বসে আছে তাদের ওপর সেই আলো এসে পড়বে;
    আর তা আমাদের শান্তির পথে পরিচালিত করবে।”

80 সেই শিশু যোহন বড় হয়ে উঠতে লাগলেন, আর দিন দিন আত্মায় শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকলেন। ইস্রায়েলীয়দের কাছে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসার আগে পর্যন্ত তিনি নির্জন স্থানগুলিতে জীবনযাপন করছিলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International