M’Cheyne Bible Reading Plan
রূবেণের উত্তরপুরুষ
5 1-3 রূবেণ ছিলেন ইস্রায়েলের প্রথম সন্তান। তাই, প্রথামত তাঁরই বড় ছেলের বিশেষ সম্মান ও সুবিধে পাবার কথা। কিন্তু যেহেতু রূবেণ তাঁর পিতার স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন সেই কারণে বড় ছেলের অধিকার যোষেফের পুত্ররা পেয়েছিলেন। পারিবারিক ইতিহাসেও, রূবেণের নাম বড় ছেলে হিসেবে নথিভুক্ত করা নেই। যিহূদা যেহেতু তাঁর ভাইদের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন, সেহেতু তাঁর পরিবার থেকেই নেতা স্থির করা হত। তা সত্ত্বেও, বড় ছেলের বিশেষ অধিকার ও অন্যান্য ক্ষমতা যোষেফের বংশের লোকরাই ভোগ করতেন।
রূবেণের পুত্ররা ছিল হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী।
4 যোয়েলের উত্তরপুরুষদের তালিকা নিম্নরূপ: যোয়েলের পুত্রের নাম শিময়িয়, শিময়িয়র পুত্রের নাম গোগ, গোগের পুত্রের নাম শিমিয়ি, 5 শিমিয়ির পুত্রের নাম মীখা, মীখার পুত্রের নাম রায়া, রায়ার পুত্রের নাম বাল, 6 বালের পুত্রের নাম ছিল বেরা। অশূররাজ তিগ্লৎ-পিলেষর রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর এই নেতাকে তার জায়গা ছাড়তে বাধ্য করেন এবং তাঁকে নির্বাসন দেন।
7 যোয়েলের ভাইদের ও তাঁর পরিবারের পরিচয় তাঁর পরিবারগোষ্ঠীর ইতিহাস অনুযায়ী ছিল নিম্নরূপ: এই বংশের বড় ছেলে ছিলেন যিয়ীয়েল, তারপর সখরিয় আর 8 আসসের পুত্র বেলা। আসস ছিলেন শেমার পুত্র। শেমা ছিলেন যোয়েলের পুত্র। এঁরা অরোয়ের থেকে নবো এবং বাল্-মিয়োন পর্যন্ত অঞ্চলে বাস করতেন। 9 পূর্বদিকে ফরাৎ নদীর কাছে মরুভূমি পর্যন্ত অঞ্চলে এঁদের বসবাস ছিল। বসবাসের জন্য তাঁরা এই অঞ্চল বেছে নিয়েছিলেন কারণ তাঁদের গিলিয়দে অনেক গবাদি পশু ছিল। 10 শৌলের রাজত্ব কালে, বেলার লোকরা হাগরীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করে, তাঁদের হারিয়ে তাঁদের তাঁবুতে বসবাস করতে শুরু করেন এবং গিলিয়দের পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেন।
গাদের উত্তরপুরুষ
11 গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের কাছেই বাশন অঞ্চলের শহর সলখা পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করতেন। 12 বাশনের প্রথম নেতা ছিলেন যোয়েল। তারপরে যথাক্রমে শাফম ও যানয় নেতা হন। 13 মীখায়েল, মশুল্লম, শেবা, যোরায়, যাকন, সীয় আর এবর হলেন এই পরিবারের সাত ভাই। 14 এঁরা সকলেই হূরির পুত্র অবীহয়িলের উত্তরপুরুষ। আবার হূরি ছিলেন যারোহর পুত্র, যারোহ গিলিয়দের পুত্র, গিলিয়দ মীখায়েলের পুত্র, মীখায়েল যিশীশয়ের পুত্র, যিশীশয় যহদোর পুত্র আর যহদো ছিলেন বূষের পুত্র। 15 অন্য এক পরিবারের নেতা অহির পিতার নাম অব্দিয়েল। তিনি ছিলেন গূনির পুত্র।
16 গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা গিলিয়দ অঞ্চলে বসবাস করত। এঁরা বাশন ও বাশনের পার্শ্ববর্তী ছোট খাটো শহর থেকে সীমান্তে শারোণ পর্যন্ত সমস্ত সমভূমিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন।
17 এই সমস্ত নামগুলি গাদের পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং এগুলি যিহূদার রাজা যোথম ও ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের সময়ে নথিভুক্ত করা হয়।
যুদ্ধে কিছু রন-কুশলী সৈনিক
18 রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে 44,760 জন সাহসী লোক ছিল। ঢাল-তরোয়াল ছাড়াও তীর-ধনুক নিয়ে যুদ্ধ করাতেও তারা ছিল পারদর্শী। 19 এরা হাগরীয়, যিটূর, নাফীশ ও নোদবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। 20 মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে যুদ্ধে তাদের সাহায্য করার জন্য প্রার্থনা করেন। ঈশ্বর তাদের সাহায্য করেন কারণ তারা তাঁকে বিশ্বাস করেছিল এবং তারা হাগরীয়দের ও অন্যান্য সকলকে যুদ্ধে পরাস্ত করে। 21 তাদের 50,000 উট, 250,000 মেষ এবং 2000 গাধা নিয়ে নেওয়া ছাড়াও তারা 100,000 ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন। 22 ঈশ্বর স্বয়ং রূবেণের বংশের লোকদের সহায় হওয়ায় বহু হাগরীয় যুদ্ধে নিহত হন এবং অতঃপর মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারের লোকেরা হাগরীয়দের বাসভূমিতে থাকতে শুরু করেন। ইস্রায়েলের লোকরা বন্দী হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁরা ওখানেই বাস করেছেন।
23 মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক লোক বাল্-হর্ম্মোণ, সনীর ও হর্ম্মোণ পর্বত পর্যন্ত বাশন অঞ্চলে বসবাস করতেন। এমশঃ তাঁরা একটি বড় গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছিলেন।
24 এফর, যিশী, ইলীয়েল, অস্রীয়েল, যিরমিয়, হোদবিয়, যহদীয়েল প্রমুখ বিখ্যাত সাহসী বীররা ছিলেন এঁদের নেতা। 25 কিন্তু এঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষের আরাধ্য ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ আচরণ করে এই অঞ্চলের প্রাক-বাসিন্দাদের ভ্রান্ত দেবদেবীর আরাধনা শুরু করলেন। এ কারণেই ঈশ্বর কিন্তু প্রাক-বাসিন্দাদের ধ্বংস করেছিলেন।
26 ফলতঃ, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অশূররাজ পূল যিনি তিগ্লৎ-পিলেষর নামেও পরিচিত ছিলেন, যুদ্ধ করবার উস্কানি দিলেন এবং তিনি রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বন্দী করে নির্বাসনে নিয়ে গেলেন। এই সমস্ত বন্দীদের পূল হেলহ, হাবোর ও হারা এবং গোষণ নদীর কাছে নিয়ে এলেন। সে দিন থেকে আজ পর্যন্ত তারা সেখানেই বসবাস করে আসছেন।
লেবির উত্তরপুরুষ
6 লেবির পুত্রদের নাম ছিল: গের্শোন, কহাৎ আর মরারি।
2 কহাতের পুত্রদের নাম ছিল: অম্রাম, যিষ্হর, হিব্রোণ আর উষীয়েল।
3 অম্রামের সন্তানদের নাম ছিল: হারোণ, মোশি আর মরিয়ম।
হারোণের পুত্ররা ছিল নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর এবং ঈথামর। 4 ইলিয়াসরের পুত্রের নাম পীনহস, পীনহসের পুত্রের নাম অবিশূয়, 5 অবিশূয়র পুত্রের নাম বুক্কি, বুক্কির পুত্রের নাম উষি, 6 উষির পুত্রের নাম সরহিয়, সরহিয়র পুত্রের নাম মরায়োৎ, 7 মরায়োতের পুত্র অমরিয়, অমরিয়র পুত্রের নাম অহীটূব, 8 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক, সাদোকের পুত্রের নাম অহীমাস, 9 অহীমাসের পুত্রের নাম অসরিয়, অসরিয়র পুত্রের নাম যোহানন, 10 যোহাননের পুত্রের নাম অসরিয়। এই অসরিয় শলোমনের জেরুশালেমে বানানো মন্দিরের যাজক ছিলেন। 11 অসরিয়র পুত্রের নাম অমরিয়, অমরিয়র পুত্রের নাম অহীটূব, 12 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক, সাদোকের পুত্রের নাম শল্লুম, 13 শল্লুমের পুত্রের নাম হিল্কিয়, হিল্কিয়র পুত্রের নাম অসরিয়, 14 অসরিয়র পুত্রের নাম সরায় আর সরায়ের পুত্রের নাম ছিল যিহোষাদক।
15 প্রভু যখন যিহূদা আর জেরুশালেমের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, যিহোষাদকও তখন বাসভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রভু নবূখদ্নিৎসরকে দিয়ে এই সময় যিহূদা আর জেরুশালেমের সমস্ত লোকদের বন্দী করিয়ে ভিন দেশে পাঠিয়ে ছিলেন।
লেবির অন্যান্য উত্তরপুরুষ
16 লেবির পুত্ররা ছিল: গের্শোন, কহাৎ আর মরারি।
17 গের্শোনের পুত্রদের নাম ছিল লিব্নি আর শিমিয়ি।
18 কহাতের পুত্রদের নাম ছিল অম্রাম, যিষ্হর, হিব্রোণ আর উষীয়েল।
19 মরারির দুই পুত্রের নাম মহলি আর মূশি।
পিতৃপুরুষদের নামানুসারে লেবীয় পরিবারের তালিকা নিম্নরূপ:
20 গের্শোনের উত্তরপুরুষ: গের্শোমের পুত্র ছিল লিব্নি, লিব্নির পুত্র যহত্, যহতের পুত্র সিম্ম, 21 সিম্মর পুত্র যোয়াহ, যোয়াহের পুত্র ইদ্দো, ইদ্দোর পুত্র সেরহ আর সেরহর পুত্র ছিল যিয়ত্রয়।
22 কহাতের উত্তরপুরুষ: কহাতের পুত্র ছিল অম্মীনাদব, অম্মীনাদবের পুত্র কোরহ, কোরহের পুত্র অসীর, 23 অসীরের পুত্র ইল্কানা, ইল্কানার পুত্র ইবীয়াসফ, ইবীয়াসফের পুত্র অসীর, 24 অসীরের পুত্র তহৎ, তহতের পুত্র ঊরীয়েল, ঊরীয়েলের পুত্র ঊষিয় আর ঊষিয়র পুত্র শৌল।
25 ইল্কানার পুত্রের নাম ছিল অমাসয় আর অহীমোৎ। 26 ইল্কানার আরেক পুত্রের নাম ছিল সোফী, তার পুত্রের নাম নহৎ, 27 নহতের পুত্রের নাম ইলীয়াব, ইলীয়াবের পুত্রের নাম যিরোহম, যিরোহমের পুত্রের নাম ইল্কানা আর ইল্কানার পুত্রের নাম ছিল শমূয়েল। 28 শমূয়েলের দুই পুত্রের নাম যোয়েল আর অবিয়। যোয়েল ছিল শমূয়েলের বড় ছেলে।
29 মরারির বংশধর: মরারির পুত্রের নাম মহলি, মহলির পুত্রের নাম লিব্নি, লিব্নির পুত্রের নাম শিমিয়ি, শিমিয়ির পুত্রের নাম উষঃ, 30 উষঃর পুত্রের নাম শিমিয়, শিমিয়র পুত্রের নাম হগিয় আর হগিয়র পুত্রের নাম ছিল অসায়।
মন্দিরের গায়করা
31 সাক্ষ্যসিন্দুক রাখার সিন্দুকটি প্রভুর গৃহতে রাখার পর মহারাজ দায়ূদ নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের সেখানকার ভজন ও কীর্তনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। 32 শলোমন প্রভুর জন্য জেরুশালেমে মন্দির বানানোর আগে পর্যন্ত এই সমস্ত গায়করা এই পবিত্র তাঁবু বা সমাগম তাঁবুতে তাঁদের কর্মসূচী অনুযায়ী গান-বাজনা আরাধনা করতেন।
33 এঁরা হলেন কহাতের পরিবারের:
যোয়েলের পুত্র গায়ক হেমন, যোয়েলের পিতা শমূয়েল, 34 শমূয়েলের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা যিরোহম, যিরোহমের পিতা ইলীয়েল, ইলীয়েলের পিতা তোহ, 35 তোহর পিতা সূফ, সূফের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা মাহত, মাহতের পিতা অমাসয়, 36 অমাসয়ের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা যোয়েল, যোয়েলের পিতা অসরিয়, অসরিয়র পিতা সফনিয়, 37 সফনিয়র পিতা তহত, তহতের পিতা অসীর, অসীরের পিতা ইবীয়াসফ, ইবীয়াসফের পিতা কোরহ, 38 কোরহর পিতা যিষ্হর, যিষ্হরের পিতা কহাৎ, কহাতের পিতা লেবি আর লেবির পিতা ছিলেন ইস্রায়েল।
39 আসফ ছিলেন হেমনের আত্মীয় এবং তিনি হেমনের ডানদিকে দাঁড়িয়ে কাজ করতেন। আসফের পিতা ছিলেন বেরিখিয়, বেরিখিয়র পিতা শিমিয়, 40 শিমিয়র পিতা মীখায়েল, মীখায়েলের পিতা বাসেয়, বাসেয়র পিতা মল্কিয়, 41 মল্কিয়়র পিতা ইৎনির, ইৎনিরের পিতা সেরহ, সেরহের পিতা অদায়া, 42 অদায়ার পিতা এথন, এথনের পিতা সিম্ম, সিম্মর পিতা শিমিয়ি, 43 শিমিয়ির পিতা যহত, যহতের পিতা গের্শোন আর গের্শোন ছিলেন লেবির পুত্র।
44 মরারির উত্তরপুরুষরা হেমন আর আসফের আত্মীয় ছিলেন এবং তাঁরা হেমনের বাঁদিকে দাঁড়িয়ে গান করতেন। এথন ছিলেন কীশির পুত্র, কীশি অব্দির পুত্র, অব্দি মল্লূকের পুত্র, 45 মল্লূক হশবিয়র পুত্র, হশবিয় অমৎসিয়ের পুত্র, অমৎসিয় হিল্কিয়র পুত্র, 46 হিল্কিয় অম্সির পুত্র, অম্সি বানির পুত্র, বানি শেমরের পুত্র, 47 শেমর মহলির পুত্র, মহলি মূশির পুত্র, মূশি মরারির পুত্র আর মরারি লেবির পুত্র।
48 হেমন আর আসফের ভাইরাও লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। লেবির পরিবারগোষ্ঠীকে লেবীয়ও বলা হত। ঈশ্বরের গৃহ, পবিত্র তাঁবুতে কাজ করার জন্যই লেবীয়দের বেছে নেওয়া হয়েছিল। 49 তবে বেদীতে ধুপধূনো দেবার এবং হোমবলি ও বলিদানের অধিকার ছিল শুধুমাত্র হারোণের উত্তরপুরুষদের। প্রভুর গৃহের পবিত্রতম স্থানের সমস্ত কাজ করতেন হারোণের পরিবারের সদস্যরা। ইস্রায়েলের লোকদের প্রায়শ্চিত্ত করাবার জন্য যে সমস্ত আচার অনুষ্ঠান করা হত সেটিও তাঁরাই করতেন। তাঁরা প্রভুর দাস মোশি প্রদত্ত সমস্ত বিধি ও আইনগুলি মেনে চলতেন।
হারোণের উত্তরপুরুষ
50 হারোণের পুত্রের নাম ছিল ইলিয়াসর, ইলিয়াসরের পুত্রের নাম ছিল পীনহস, পীনহসের পুত্রের নাম অবীশূয়, 51 অবীশূয়র পুত্রের নাম বুক্কি, বুক্কির পুত্রের নাম উষি, উষির পুত্রের নাম সরাহিয়, 52 সরাহিয়র পুত্রের নাম মরায়োৎ, মরায়োতের পুত্রের নাম অমরিয়, অমরিয়র পুত্রের নাম অহীটূব, 53 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক আর সাদোকের পুত্রের নাম ছিল অহীমাস।
লেবীয় পরিবারের বাসস্থান
54 হারোণের উত্তরপুরুষরা তাদের যে জমি দেওয়া হয়েছিল সেখানে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করত। লেবীয়দের যে জমি দেওয়া হয়েছিল তার প্রথম অংশটি পেয়েছিল কহাৎ পরিবারগুলি। 55 তাঁদের যিহূদার হিব্রোণ ও তার আশেপাশের জমিতে বাস করতে দেওয়া হয়েছিল। 56 হিব্রোণের দূরবর্তী মাঠ-ঘাট ও গ্রামাঞ্চলগুলি যিফুন্নির পুত্র কালেবকে দেওয়া হয়। 57 হারোণের উত্তরপুরুষদের হিব্রোণ, নিরাপত্তার শহর[a] দেওয়া হয়। লিব্না, যত্তীর, ইষ্টিমোয়, 58 হিলেন, দবীর, 59 আশন, বৈৎশেমশ প্রমুখ শহর ও তার পার্শ্ববর্তী মাঠগুলি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল। 60 বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর সদস্যরা গিবিয়োন, গেবা, অনাথোৎ, আলেমৎ প্রমুখ শহর ও তার আশেপাশের মাঠগুলি পেয়েছিলেন।
কহাতের পরিবারদের তেরোটি শহর দেওয়া হয়।
61 কহাতের উত্তরপুরুষের বাদবাকি সদস্যরা মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের মধ্যে থেকে দশটি শহর পেয়েছিলেন।
62 গের্শোমের উত্তরপুরুষরা 13টি শহর পেয়েছিল। তারা শহরগুলি ইষাখর পরিবার, আশের পরিবার, নপ্তালি পরিবার, বাশনে বসবাসকারী মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর একাংশের কাছ থেকে পেয়েছিল।
63 মরারির উত্তরপুরুষরা, রূবেণ, গাদ আর সবূলূন পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে অক্ষ নিক্ষেপ করে 12 টি শহর পেয়েছিলেন।
64 এইভাবে ইস্রায়েলীয়রা লেবীয়দের শহর ও জমিজমা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিলেন। 65 এই সমস্ত শহরই যিহূদা, শিমিয়োন ও বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর ছিল। তাঁরাই অক্ষ নিক্ষেপ করে কোন্ লেবীয় পরিবার কোন্ শহর পাবেন তা ঠিক করেছিলেন।
66 ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠী কহাৎ পরিবারের কিছু লোককে কয়েকটি শহরতলী দিলেন। ঘুঁটি চেলে এই শহরতলীসমূহ নির্বাচিত হয়েছিল। 67 নিরাপত্তার শহর শিখিম তাদের দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও তাদের দেওয়া হয়েছিল গেষর নগর। 68 যক্মিয়াম, বৈৎ-হোরণ, 69 আইজালন এবং গাৎ-রিম্মোণ শহরগুলি। এই শহরগুলির সঙ্গে তারা ইফ্রয়িমের পার্বত্য অঞ্চলের মাঠগুলিও পেয়েছিল। 70 এবং কহাতের বাকি পরিবারগুলিকে ইস্রায়েলীয়রা মনঃশি পরিবারের অর্ধেকের কাছ থেকে দিল আনের, বিল্যম এবং তাদের মাঠগুলি।
অন্যান্য লেবীয়রাও বাসস্থান পেলেন
71 মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের কাছ থেকে গের্শোন পরিবারের সদস্যরা বাশনের গোলন শহর ও অষ্টারোৎ এবং তার আশেপাশের মাঠগুলো বসবাসের জন্য পেলেন।
72-73 এছাড়াও তাঁরা ইষাখর পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে কেদশ, দাবরত্, রামোৎ ও গন্নিম প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো পেলেন।
74-75 আশের পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাঁরা পেলেন মশাল, আব্দোন, হূকোক, রহোব প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো।
76 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাঁরা পেলেন গালীলের কেদশ, হম্মোন, কিরিয়াথয়িম প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো। 77 লেবীয়দের বাদবাকিরা ছিলেন মরারি পরিবারের সদস্য। তারা সবূলূন পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে যখনিয়ম, করতহ, রিম্মোণো এবং তাবোর প্রমুখ শহর ও তার নিকটবর্তী মাঠগুলো পেলেন।
78-79 মরারি পরিবারের সদস্যরা এছাড়াও মরু অঞ্চলের বেৎসর নগর, যাহসা, কদমোৎ, মেফাত্ প্রমুখ শহর ও তার আশেপাশের মাঠগুলো রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে পেলেন। রূবেণের উত্তরপুরুষরা যর্দন নদী ও যিরিহো শহরের পূর্বপ্রান্তে বসবাস করতেন।
80-81 মরারি পরিবারের সদস্যরা গাদ পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন গিলিয়দের রামোৎ, মহনয়িম, হিষ্বোণ, যাসের প্রমুখ শহরের নিকটবর্তী মাঠগুলো।
খ্রীষ্টের বলিদান আমাদের পূর্ণতা দিল
10 ভবিষ্যতে যে সকল উৎকৃষ্ট বিষয় আসবে, বিধি-ব্যবস্থা হচ্ছে তারই অস্পষ্ট ছায়া মাত্র। বিধি-ব্যবস্থা ঐসব বিষয়ের বাস্তবরূপ নয়। তাই যারা ঈশ্বরের উপাসনা করতে আসে, বছর বছর তারা একই রকম বলিদান বারবার করে, কিন্তু বিধি-ব্যবস্থা সেই লোকদের সিদ্ধি দিতে পারে না। 2 বিধি-ব্যবস্থা যদি পারত, তবে ঐ বলিদান কি শেষ হত না? কারণ যারা উপাসনা করে তারা যদি একবার শুচি হয় তবে তাদের পাপের জন্য নিজেকে আর দোষী ভাববার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিধি-ব্যবস্থা তা করতে সক্ষম নয়। 3 ঐসব লোকের বলিদান বছর বছর তাদের পাপের ক্ষমা স্মরণ করিয়ে দেয়, 4 কারণ বৃষের কি ছাগের রক্ত পাপ দূর করতে পারে না।
5 সেইজন্যই খ্রীষ্ট এ জগতে আসার সময় বলেছিলেন:
“তুমি বলিদান ও নৈবেদ্য চাও নি,
কিন্তু আমার জন্য এক দেহ প্রস্তুত করেছ।
6 তুমি হোমে ও পাপার্থক বলিদান
উৎসর্গে প্রীত নও।
7 এরপর তিনি বললেন, ‘এই আমি!
শাস্ত্রে আমার বিষয়ে যেমন লেখা আছে, হে ঈশ্বর দেখ,
আমি তোমার ইচ্ছা পূর্ণ করতেই এসেছি।’”(A)
8 প্রথমে তিনি বললেন, “বলিদান, নৈবেদ্য, হোমবলি ও পাপার্থক বলি তুমি চাও নি; আর তাতে তুমি প্রীত হও নি।” (যদিও সেইসব বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে উৎসর্গ করা হয়।) 9 এরপর তিনি বললেন, “দেখো, আমি তোমার ইচ্ছা পালন করবার জন্যই এসেছি।” তিনি দ্বিতীয়টি প্রবর্তন করার জন্য প্রথমটিকে বাতিল করতে এসেছেন। 10 ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারেই তিনি এই কাজ সমাপ্ত করেছেন। এইজন্যই খ্রীষ্ট তাঁর দেহ একবারেই চিরকালের জন্য উৎসর্গ করেছেন যাতে আমরা চিরকালের জন্য পবিত্র হই।
11 প্রত্যেক যাজক প্রত্যেকদিন দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের সেবা করেন। তাঁরা বারবার সেই একই বলি উৎসর্গ করেন। কিন্তু তাঁদের বলিদান কখনও পাপ দূর করতে পারে না। 12 খ্রীষ্ট পাপের জন্য একটি বলিদান উৎসর্গ করলেন যা সকল সময়ের জন্য যথেষ্ট। তারপর তিনি ঈশ্বরের দক্ষিণ পাশে বসলেন। 13 তাঁর শত্রুদের মাথা তাঁর পায়ের নীচে অবনত না হওয়া পর্যন্ত এখন তিনি সেখানে অপেক্ষা করছেন। 14 তিনি একটি বলিদান উৎসর্গ করে চিরকালের জন্য তাঁর লোকদের নিখুঁত করেছেন। তারাই সেই লোক যাদের পবিত্র করা হয়েছে।
15 পবিত্র আত্মাও আমাদের কাছে এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। প্রথমে তিনি বলেন:
16 “ঐ সময়ের পর প্রভু বলেছেন, আমি তাদের সঙ্গে এই চুক্তি করব।
আমি তাদের হৃদয়ে আমার নিয়মগুলো গেঁথে দেব,
আর তাদের মনে আমি তা লিখে দেব।”(B)
17 এরপর তিনি বলেন:
“আমি তাদের সব পাপ
ও অধর্ম আর কখনও মনে রাখবো না।”(C)
18 তাই একবার যখন সেইসব পাপ ক্ষমা করা হল, তখন পাপের জন্য বলিদান উৎসর্গ করার আর কোন প্রয়োজন নেই।
ঈশ্বরের নিকটে এস
19 তাই আমার ভাই ও বোনেরা, মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আমাদের আছে। যীশুর রক্তের গুণে আমরা নির্ভীকতার সঙ্গে সেখানে প্রবেশ করতে পারি। 20 খ্রীষ্ট এই নতুন পথ একটি পর্দার মধ্য দিয়ে অর্থাৎ তাঁর দেহের মধ্য দিয়ে আমাদের জন্য খুলে দিয়েছেন। এ এক জীবন্ত পথ। এই নতুন পথে আমরা পর্দার মধ্য দিয়ে অর্থাৎ খ্রীষ্টের দেহের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত হতে পারি। 21 তাই আমাদের এক মহান যাজক রয়েছেন যিনি ঈশ্বরের গৃহের ওপর কর্তৃত্ত্ব করেন। 22 আমাদের শুচি করা হয়েছে ও দোষী বিবেকের হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে। আমাদের দেহকে শুচিশুদ্ধ জলে ধৌত করা হয়েছে। তাই এস, আমরা শুদ্ধ হৃদয়ে বিশ্বাসের কৃত নিশ্চয়তায় ঈশ্বরের সামনে হাজির হই। 23 তাই এস, আমরা আমাদের প্রত্যাশাকে দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করে থাকি এবং অপরের কাছে তাকে জানাতে ব্যর্থ না হই। আমরা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করতে পারি যে তিনি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা তিনি পূরণ করবেন।
পরস্পরকে বলশালী হতে সাহায্য কর
24 আমাদের উচিত একে অপরের বিষয়ে চিন্তা করা, যেন ভালবাসতে ও সৎ কাজ করতে পরস্পরকে উৎসাহ দান করতে পারি। 25 আমরা যেন একত্র সমবেত হওয়ার অভ্যাস ত্যাগ না করি, যেমন কেউ কেউ সেইরকম করছে। কিন্তু এস, আমরা পরস্পরকে উৎসাহ ও চেতনা দিই। তোমরা যতই সেই দিন এগিয়ে আসতে দেখছ, ততই এ বিষয়ে আরো বেশী করে উদ্যোগী হও।
খ্রীষ্টের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না
26 সত্যের জ্ঞানলাভের পর যদি আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে চলি, তবে সেই পাপের জন্য বলিদান উৎসর্গ করার মতো আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না। 27 আমরা যদি পাপ করেই চলি তবে বিচারের জন্য সেই ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা আর প্রচণ্ড ক্রোধাগ্নি সমস্ত ঈশ্বর বিরোধীকে গ্রাস করবে। 28 কেউ যদি মোশির দেওয়া বিধি-ব্যবস্থা লঙ্ঘন করতো তবে দুজন কিংবা তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে নিষ্ঠুরভাবে তাকে হত্যা করা হত, তাকে ক্ষমা করা হত না। 29 ভেবে দেখো, যে লোক ঈশ্বরের পুত্রকে ঘৃণা করেছে, চুক্তির যে রক্তের মাধ্যমে সে শুচি হয়েছিল তা তুচ্ছ করেছে, আর যিনি অনুগ্রহ করেন সেই অনুগ্রহের আত্মাকে অপমান করেছে—হ্যাঁ, নতুন চুক্তির রক্তকে যে অবমাননা করেছে সেই ব্যক্তির কতোই না ঘোরতর শাস্তি হওয়া উচিত। 30 আমরা জানি, ঈশ্বর বলেন, “যারা মন্দ কাজ করে, তাদের আমি শাস্তি দেব; তাদের প্রতিফল দেব।”(D) ঈশ্বর আবার বলেছেন, “প্রভু তাঁর লোকদের বিচার করবেন।”(E) 31 জীবন্ত ঈশ্বরের হাতে গড়া পাপী মানুষের পক্ষে কি ভয়ঙ্কর বিষয়।
আনন্দ ও সাহস বজায় রাখ
32 সেই আগের দিনগুলির কথা মনে করে দেখ, প্রথমে যখন তোমরা সত্য গ্রহণ করলে, তখন তোমাদের অনেক কষ্ট ও দুঃখভোগ করতে হয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তোমরা বেশ অটল ছিলে। 33 কখনও কখনও লোকেরা প্রকাশ্যে তোমাদের বিদ্রূপ করেছে ও অনেক লোকের সামনে তোমাদের নির্যাতিত হতে হয়েছে। কখনও অন্যের ওপর তোমাদের মতো নির্যাতিত হচ্ছে দেখে তোমরা তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছ। 34 যারা কারাগারে বন্দী ছিল, তোমরা তাদের সাহায্য করেছ ও তাদের দুঃখভোগের অংশ নিয়েছ। তোমাদের সম্পত্তি লুঠ করে নিলেও তোমরা আনন্দ করেছ, কারণ তোমরা জানতে যে এসব থেকে উৎকৃষ্ট ও চিরস্থায়ী এক সম্পদ তোমাদের জন্য আছে।
35 তাই অতীতে তোমাদের যে সাহস ছিল তা হারিও না, কারণ সেই সাহসের জন্য তোমরা পুরস্কৃত হবে। 36 তোমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে, ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার পর তোমরা তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ফল লাভ করবে। 37 কারণ এখন থেকে অল্প সময়ের মধ্যে,
“যাঁর আসবার কথা আছে তিনি আসবেন,
তিনি দেরী করবেন না।
38 আমার দৃষ্টিতে যাদের ধার্মিক প্রতিপন্ন করেছি
তারা বিশ্বাসের ফলেই বেঁচে থাকবে,
কিন্তু সে যদি ভয়ে বিশ্বাস থেকে সরে যায়
তবে আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট হব না।”(F)
39 কিন্তু আমরা এমন লোক নই যারা বিশ্বাস থেকে সরে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাই, বরং আমরা সেই রকম লোক যারা বিশ্বাসে রক্ষা পাই।
যে নারীরা প্রেম ভালোবাসে
4 শমরিয়ার পর্বতে বাশনের যে গাভীরা চরে বেড়াচ্ছে তোমরা শোন। শমরিয়ার ধনী নারীদের কথাই বলা হচ্ছে। বাশন যর্দ্দন নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত একটি জায়গা। এই অঞ্চলের বড় বড় ষাঁড় ও গরু বিখ্যাত। তোমরা গরীবদের আঘাত করছ। তোমরা ওই গরীব মানুষদের সর্বনাশ করছ। তোমরা তোমাদের স্বামীদের বলছ, “আমাদের জন্য কিছু পানীয় আনো।”
2 আমার প্রভু, আমার সদাপ্রভু একটি প্রতিশ্রুতি করেছিলেন, তিনি তাঁর পবিত্রতার দ্বারা প্রতিশ্রুতি করেছিলেন তোমাদের কাছে বিপদ আসবেই। লোকে আংটার সাহায্যে তোমাদের বন্দী হিসেবে নিয়ে যাবে। তোমাদের সন্তানদের নিয়ে যাবার জন্য তারা বঁড়শি ব্যবহার করবে। 3 তোমাদের শহর ধ্বংস হবে। স্ত্রীলোকরা শহরের দেওয়ালের ফাটল দিয়ে বেরিয়ে নিজেদের ওই মৃত দেহের স্তূপের ওপর নিক্ষেপ করবে।
প্রভু এই কথাটি বলেছেন, 4 “বৈথেলে যাও এবং পাপ কর! গিল্গলে গিয়ে আরো বেশী করে পাপ কর। সকালে তোমাদের বলি উৎসর্গ কর। প্রতি তিন দিনের উৎসবের জন্য তোমাদের শস্যের এক দশমাংশ নিয়ে এসো। 5 খামির দিয়ে তৈরি কোনো জিনিস দিয়ে ধন্যবাদ উৎসর্গ নিবেদন করো। প্রত্যেককে স্বেচ্ছা উৎসর্গের কথা বলো। ইস্রায়েল, তুমি ঐ কাজগুলো করতে ভালবাস, সে জন্য যাও এবং সেগুলো কর।” প্রভু এই কথাগুলো বলেছিলেন।
6 “আমার কাছে তোমরা যাতে আসো তার জন্য আমি অনেক কাজ করেছিলাম। আমি তোমাদের কোন খাদ্য খেতে দিই নি। তোমাদের কোন শহরেও আর কোন খাবার ছিল না। কিন্তু তোমরা আমার কাছে ফিরে আসো নি।” প্রভু ঐ কথাগুলো বলেছিলেন।
7 “তাছাড়া আমি বৃষ্টিও বন্ধ করেছিলাম—এবং সেটা ফসল তোলার তিন মাস আগেকার কথা। সে জন্য কোন শস্য জন্মায় নি। তখন আমি একটি মাত্র শহরে বৃষ্টি হতে দিয়েছি, কিন্তু অন্য কোন শহরে নয়। দেশের একটি অংশে বৃষ্টি পড়েছিল, কিন্তু দেশের অন্য অংশের জমি খুবই শুকনো হয়ে গিয়েছিল। 8 সে জন্য দুটি অথবা তিনটি শহরের সাধারণ মানুষরা জল পাওয়ার জন্য অন্য শহরে কষ্ট করে গিয়েছিল—কিন্তু সেখানে প্রত্যেক মানুষের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে জল ছিল না। তখনও পর্যন্ত তোমরা আমার কাছে সাহায্যের জন্য আসো নি।” প্রভু ঐ কথাগুলো বলেছিলেন।
9 “তোমাদের ফসলগুলো রোদ এবং উত্তাপ দিয়ে আমিই মেরে ফেলেছি। আমি তোমাদের বাগান এবং দ্রাক্ষাক্ষেত ধ্বংস করেছি। পঙ্গপালরা তোমাদের ডুমুর গাছ এবং জলপাই গাছ খেয়ে নিয়েছে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত তোমরা আমার কাছে সাহায্যের জন্য আসোনি।” প্রভু ঐ কথাগুলো বলেছিলেন।
10 “আমি তোমাদের বিরুদ্ধে সংক্রামক ব্যাধি পাঠিয়েছি, মিশরে যেরকম আমি করেছিলাম। আমি তরবারি দ্বারা তোমাদের যুবকদের হত্যা করেছি। আমি তোমাদের ঘোড়াগুলোকে নিয়ে নিয়েছি। আমি তোমাদের তাঁবুগুলোকে শব দেহের দুর্গন্ধে ভরে দিয়েছিলাম। কিন্তু তখনও পর্যন্ত তোমরা সাহায্যের জন্য আমার কাছে আসোনি” প্রভু ঐ কথাগুলো বলেছিলেন।
11 “সদোম এবং ঘমোরাকে আমি যে ভাবে ধ্বংস করেছিলাম তোমাদেরও সেই রকম ভাবে আমি ধ্বংস করেছিলাম এবং ঐ শহরগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তোমরা তখন আগুন থেকে টেনে আনা জ্বলন্ত কাঠের মতোই হয়েছিলে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত তোমরা আমার কাছে সাহায্যের জন্য ফিরে আসোনি।” প্রভু ঐ কথাগুলো বলেছিলেন।
12 “সে জন্য ইস্রায়েল, আমি তোমার সঙ্গে এই কাজগুলো করব। আমি তোমার জন্য এই কাজটি করব। ইস্রায়েল, তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবার জন্য প্রস্তুত হও।”
13 আমি কে? আমিই হচ্ছি সেই, যে পর্বতগুলোকে তৈরি করেছিলাম।
আমি তোমাদের মনগুলোকে সৃষ্টি করেছিলাম।
আমি লোকদের শিক্ষা দিয়েছিলাম কি করে কথা বলতে হয়।
আমি ঊষাকে অন্ধকারে পরিবর্তিত করেছি।
আমি পৃথিবীর পর্বতগুলোর ওপর দিয়ে হাঁটি।
আমি কে? আমার নাম হচ্ছে যিহোবা, সৈন্যদলের ঈশ্বর।[a]
148 প্রভুর প্রশংসা কর!
হে দূতগণ স্বর্গ থেকে প্রভুর প্রশংসা কর!
2 তোমরা সব দূতগণ, প্রভুর প্রশংসা কর!
তাঁর সেনাবাহিনীরা[a] প্রভুর প্রশংসা কর!
3 চন্দ্র ও সূর্য প্রভুর প্রশংসা কর।
আকাশের তারকাগণ এবং আলো তাঁর প্রশংসা কর!
4 স্বর্গের উচ্চতম স্থানে প্রভুর প্রশংসা কর!
হে আকাশের উর্দ্ধের জলরাশি, তাঁর প্রশংসা কর!
5 প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
কারণ ঈশ্বর আদেশ দিয়েছিলেন এবং তাই প্রতিটি বস্তু অস্তিত্ব পেয়েছে!
6 চিরদিন অব্যাহত থাকবার জন্য ঈশ্বর এইসব সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বর তাদের অনন্ত বিধিসমুহ দিয়েছেন।
7 পৃথিবীর সব কিছুই প্রভুর প্রশংসা করে!
মহাসাগরের বড় বড় সামুদ্রিক প্রাণীরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
8 আগুন ও শিলাবৃষ্টি, তুষার এবং ধোঁয়া,
এবং ঝোড়ো বাতাস সবই ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন।
9 ঈশ্বর পাহাড় ও পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন,
ফলের বৃক্ষসমুহ ও এরস গাছ সৃষ্টি করেছেন।
10 সমস্ত প্রাণী ও গবাদি পশু এবং সরীসৃপ ও পাখি সৃষ্টি করেছেন।
11 ঈশ্বরই পৃথিবীতে রাজাগণকে এবং জাতিগণকে সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বরই নেতাদের ও বিচারকদের সৃষ্টি করেছেন।
12 ঈশ্বরই তরুণ তরুণীদের সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বরই বৃদ্ধ ও যুবকদের সৃষ্টি করেছেন।
13 প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
চিরদিনের জন্য তাঁর নামের সম্মান কর!
পৃথিবী এবং স্বর্গে যা কিছু রয়েছে,
তারা সবাই প্রভুর প্রশংসা কর!
14 ঈশ্বর তাঁর মানুষদের শক্তিশালী করবেন।
লোক ঈশ্বরের অনুগামীদের প্রশংসা করবে।
লোকে ইস্রায়েলের প্রশংসা করবে।
ওরা সেই লোক যাদের জন্য ঈশ্বর লড়াই করেন, প্রভুর প্রশংসা কর!
149 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু নতুন যা করেছেন তার জন্য একটা নতুন গান গাও!
যেখানে তাঁর অনুগামীরা একসঙ্গে জড় হয়, সেই সমাজে তাঁর প্রশংসা কর।
2 ইস্রায়েলকে তাদের স্রষ্টাকে নিয়ে আনন্দ করতে দাও।
সিয়োনের লোককে তাদের রাজাকে নিয়ে আনন্দ করতে দাও।
3 লোকেরা বীণা ও খঞ্জনী বাজাক
এবং নাচতে নাচতে ঈশ্বরের প্রশংসা করুক!
4 ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি প্রসন্ন।
ঈশ্বর তাঁর বিনম্র লোকদের জন্য এক বিস্ময়কর জিনিস করেছেন।
তিনি তাদের রক্ষা করেছেন!
5 হে ঈশ্বর অনুগামীরা, তোমাদের জয়কে উপভোগ কর!
বিছানায় যাওয়ার পরে পর্যন্ত সুখী হও।
6 লোকজনকে চিৎকার করে প্রভুর প্রশংসা করতে দাও
এবং তাদের হাতে তরবারি ধরতে দাও।
7 ওরা ওদের শত্রুদের শাস্তি দিতে যাক।
ওরা ওই সব লোকদের শাস্তি দিতে যাক।
8 ঈশ্বরের লোকরা ওদের রাজাদের এবং বড় বড় নেতাদের
লোহার শিকল দিয়ে শৃঙ্খলিত করবে।
9 ঈশ্বরের নির্দেশ মতই ঈশ্বরের লোকরা ওদের শাস্তি দেবে।
ঈশ্বরের সমস্ত অনুগামীরা, তাঁকে সম্মান জানাও।
প্রভুর প্রশংসা কর!
150 প্রভুর প্রশংসা কর!
ঈশ্বরের মন্দিরে তাঁর প্রশংসা কর!
স্বর্গে তাঁর ক্ষমতার প্রশংসা কর!
2 ঈশ্বর যে সব মহৎ কাজ করেন, তার জন্য তাঁর প্রশংসা কর!
তাঁর সকল মহত্বের জন্য তাঁর প্রশংসা কর!
3 শিঙা ও বাঁশির সাহায্যে তাঁর প্রশংসা কর!
বীণা ও লীরা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর!
4 খঞ্জনি বাজিয়ে নাচ করতে করতে তাঁর প্রশংসা কর!
তন্ত্রবাদ্যযন্ত্র ও বাঁশি বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর!
5 করতালের উচ্চ ধ্বনিতে তাঁর প্রশংসা কর!
কান ফাটানো করতালের শব্দে তাঁর প্রশংসা কর!
6 প্রত্যেকটি জীব তোমরা তাঁর প্রশংসা কর!
প্রভুর প্রশংসা কর!
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International