M’Cheyne Bible Reading Plan
25 তাই বাবিল-রাজ নবূখদ্নিৎসর, তাঁর সমস্ত সেনাবাহিনী নিয়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এলেন। সিদিকিয়র রাজত্ব কালের নবম বছরের 10 মাসের 10 দিনে এই ঘটনা ঘটেছিল। জেরুশালেম শহরে যাতায়াত বন্ধ করতে নবূখদ্নিৎসর শহরের চারপাশে তাঁর সেনাবাহিনী মোতায়েন করে একটা দেওয়াল বানিয়ে শহরটা অবরোধ করেছিলেন। 2 এইভাবে তাঁর সেনাবাহিনী সিদিকিয়র রাজত্বের একাদশ বছর পর্যন্ত জেরুশালেম ঘিরে রেখেছিল। 3 এদিকে শহরের ভেতরে খাদ্যাভাব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল। চতুর্থ মাসের 9ম দিনের পর থেকে শহরে সাধারণ মানুষের খাবার মত এককণা খাবারও আর অবশিষ্ট ছিল না।
4 শেষ পর্যন্ত নবূখদ্নিৎসরের সেনাবাহিনী শহরের প্রাচীর ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়লে, সে রাতেই বাগানের গুপ্তপথের ফাঁপা দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে রাজা সিদিকিয় ও তাঁর সেনাবাহিনীর লোকরা পালিয়ে যায়। যদিও শত্রুপক্ষের সেনাবাহিনী সারা শহর ঘিরে রেখেছিল, কিন্তু তবুও সিদিকিয় ও তাঁর পার্শ্বচররা মরুভূমির পথে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। 5 কিন্তু বাবিলের সেনাবাহিনী তাঁদের ধাওয়া করে যিরীহোর কাছে রাজা সিদিকিয়কে বন্দী করে। সিদিকিয়র সমস্ত সেনা তাঁকে একলা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
6 বাবিলীয়রা তাঁকে বন্দী করে বাবিলে রাজার কাছে নিয়ে যায় যা তখন ছিল রিব্লাতে যিনি তাকে শাস্তি দেন। 7 তারা সিদিকিয়র সামনেই তাঁর চার পুত্রকে হত্যা করে, তাঁর চোখ গেলে দিয়ে শিকল পরিয়ে তাঁকে বাবিলে নিয়ে গিয়েছিল।
জেরুশালেম ধ্বংস হল
8 নবূখদ্নিৎসরের বাবিল শাসনের উনিশ বছরের পঞ্চম মাসের সপ্তম দিনে নবূষরদন জেরুশালেমে আসেন। নবূষরদন ছিলেন তাঁর সর্বাপেক্ষা রণকুশলী সৈন্যদের সেনাপতি। 9 তিনি প্রভুর মন্দির এবং রাজপ্রাসাদ পুড়িয়ে ফেললেন। তিনি ছোট বড় সমস্ত ঘর বাড়ীও ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
10 এরপর, নবূখদ্নিৎসরের সৈন্যবাহিনীর সেনারা জেরুশালেমের চারপাশের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে 11 অবশিষ্ট যে কজন লোক তখন পড়ে ছিল তাদের বন্দী করে নিয়ে যায়। এমনকি যে সমস্ত লোক আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল তাদেরও রেহাই দেওয়া হয় নি। 12 নবূষরদন একমাত্র দীনদরিদ্র লোকদের দ্রাক্ষা ক্ষেত ও শস্য ক্ষেতের দেখাশোনা করার জন্য ফেলে রেখে গিয়েছিলেন।
13 বাবিলীয় সেনাবাহিনী প্রভুর মন্দিরের পিতলের সমস্ত জিনিসপত্র ভেঙে টুকরো টুকরো করে। পিতলের জলাশয়, সেই ঠেলাগাড়িটা কিছুই তারা ভাঙতে বাকি রাখেনি। তারপর সেই পিতলের ভাঙা টুকরোগুলো তারা বাবিলে নিয়ে যায়। 14 গাছের টব, কোদাল, বাতিদানের শিখা উস্কানোর যন্ত্র থেকে শুরু করে পিতলের থালা, চামচ, কড়াই, পাত্র, 15 সোনা ও রূপোর সমস্ত জিনিসপত্রই নবূষরদন সঙ্গে করে নিয়ে যান। 16-17 তিনি যা নিয়েছিলেন তার তালিকা নীচে দেওয়া হল: 27 ফুট দৈর্ঘ্যের 2টি পিতলের স্তম্ভ, স্তম্ভের মাথার ওপরের কারুকার্যখচিত 4 1/2 ফুট উঁচু গম্বুজ, পিতলের বড় জলাধার, প্রভুর মন্দিরের জন্য শলোমনের তৈরী করা ঠেলাগাড়িটা; সব মিলিয়ে এগুলোর ওজন সঠিক কত ছিল তা বলাও কঠিন!
যিহূদার লোকদের বন্দী করা হল
18 মন্দির থেকে নবূষরদন, প্রধান যাজক সরায়, সহকারী যাজক সফনিয়, প্রবেশদ্বারের তিন জন দারোয়ানকে বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
19 আর শহর থেকে তিনি 1 জন সেনাসচিব, রাজার 5 জন পরামর্শদাতা, সেনাপ্রধানের ব্যক্তিসচিব যিনি লোকদের মধ্যে থেকে বাছাই করে সেনা নিয়োগ করতেন, এরা ছাড়াও 60 জন সাধারণ মানুষকে বন্দী করেন।
20-21 তারপর নবূষরদন এদের সবাইকে হমাতের রিব্লায বাবিল-রাজের কাছে নিয়ে গেলে, বাবিল-রাজ সেখানেই তাদের হত্যা করেন। আর যিহূদার লোকদের বন্দী করে তাঁরা সঙ্গে নিয়ে যান।
যিহূদার রাজ্যপাল গদলিয়
22 বাবিল-রাজ নবূখদ্নিৎসর কিছু লোককে যিহূদায় রেখে গিয়েছিলেন। তিনি শাফনের পৌত্র অহীকামের পুত্র গদলিয়কে এই সমস্ত লোকদের শাসন করার জন্য শাসক হিসেবে যিহূদায় বসিয়ে যান।
23 এদিকে এ খবর পেয়ে নথনিয়়ের পুত্র ইশ্মায়েল, কারেয়ের পুত্র যোহানন, নটোফাতীয় তনহূমতের পুত্র সরায় আর মাখাথীয়ের পুত্র যাসনিয় প্রমুখ সেনাবাহিনীর প্রধানরা তাদের দলবল নিয়ে মিস্পাতে গদলিয়র সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। 24 গদলিয় তাদের আশ্বস্ত করে বললেন, “বাবিলীয় রাজকর্মচারীদের ভয় পাবার কোন কারণ নেই। তোমরা যদি এখানে থেকে বাবিল-রাজের অধীনে কাজ কর তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।”
25 কিন্তু নথনিয়ের পুত্র ইশ্মায়েল ছিলেন রাজপরিবারের সদস্য। এভাবে সাতমাস কাটার পর তিনি ও তাঁর দলের দশ জন মিলে গদলিয় ও সমস্ত ইহুদীদের হত্যা করলেন। মিস্পাতে গদলিয়র সঙ্গে যে সমস্ত বাবিলীয়রা বাস করছিল তারাও রক্ষা পেল না। 26 তারপর সেনাবাহিনীর লোক থেকে শুরু করে ছোট বড় সবাই বাবিলীয়দের ভয়ে মিশরে পালিয়ে গেল।
27 পরবর্তীকালে ইবিল-মরোদক বাবিলের রাজা হলেন। তিনি যিহূদার রাজা যিহোয়াখীনকে তাঁর বন্দীত্বের 37 বছরের মাথায় জেল থেকে মুক্ত করলেন। মরোদকের রাজত্বের বারো মাসের 27 দিনের মাথায় এই ঘটনা ঘটেছিল। 28 তিনি যিহোয়াখীনের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছিলেন এবং রাজসভায় অন্যান্য রাজাদের তুলনায় তাঁকে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসার অধিকার দিয়েছিলেন। 29 মরোদক, যিহোয়াখীনের আসামীর পোশাক খুলে দিয়েছিলেন। এবং জীবনের বাকী কটা দিন যিহোয়াখীন মরোদকের সঙ্গে একই টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করেন। 30 রাজা ইবিল-মরোদক যিহোয়াখীনকে এরপর থেকে পোষণ করছিলেন।
যাজক মল্কীষেদক
7 এই মল্কীষেদক শালেমের রাজা ও পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক ছিলেন। অব্রাহাম যখন রাজাদের পরাস্ত করে ঘরে ফিরছিলেন তখন এই মল্কীষেদক অব্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন। 2 অব্রাহাম যুদ্ধ জয় করে যা কিছু পেয়েছিলেন তার দশ ভাগের একভাগ তাঁকে দিয়েছিলেন।
মল্কীষেদকের নামের অর্থ হল, “ন্যায়ের রাজা,” এরপর তিনি আবার “শালেমের রাজা” অর্থাৎ “শান্তিরাজ।” 3 মল্কীষেদকের মা, বাবা, বা তাঁর পূর্বপুরুষের কোন বংশতালিক পাওয়া যায় না, তার শুরু বা শেষের কোন নথি নেই। ঈশ্বরের পুত্রের মতো তিনি হলেন অনন্তকালীন যাজক।
4 তাহলে তোমরা দেখলে, মল্কীষেদক কতো মহান ছিলেন। এমন কি আমাদের কুলপিতা অব্রাহাম যুদ্ধ জয় করে লুঠ করা দ্রব্যের দশ ভাগের এক ভাগ তাঁকে দিয়েছিলেন। 5 লেবির সন্তানদের মধ্যে যাঁরা যাজক হন তাঁরা তাঁদের ভাই ইস্রায়েলের সন্তানদের কাছ থেকে বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে এক দশমাংশ গ্রহণ করার অধিকার লাভ করেন, যদিও তাঁরা উভয়েই অব্রাহামের বংশধর। 6 মল্কীষেদক লেবির বংশের ছিলেন না, কিন্তু তিনি অব্রাহামের কাছ থেকে দশমাংশ নিয়েছিলেন; আর ঈশ্বর যাকে আশীর্বাদ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন সেই অব্রাহামকে আশীর্বাদ করেছিলেন। 7 এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ক্ষুদ্রতর ব্যক্তিই সব সময় মহত্তর ব্যক্তির কাছ থেকে আশীর্বাদ লাভ করে।
8 ইহুদী যাজকরা মরণশীল হয়েও এক দশমাংশ পেয়েছিলেন। কিন্তু মল্কীষেদক, যিনি অব্রাহামের কাছ থেকে এক দশমাংশ পেয়েছিলেন তিনি জীবিত, শাস্ত্র এই কথা বলে। 9 আবার এও বলা যেতে পারে যে লেবি নিজেও অব্রাহামের মধ্য দিয়ে মল্কীষেদককে দশমাংশ দিয়েছেন। 10 মল্কীষেদক যখন অব্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন লেবি তাঁর পিতৃকুলপতির (অব্রাহামের) দেহে অবস্থান করছিলেন।
11 যাঁরা যাজকের কাজ করতেন সেই লেবির বংশধরদের কাজের উপর ভিত্তি করে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের তাঁর বিধি-ব্যবস্থা দিয়েছিলেন। সেই যাজকের মাধ্যমে যখন লোকেরা আত্মিকভাবে সিদ্ধি লাভ করতে পারে নি তখন অন্য এক যাজকের আসার প্রয়োজন হল, অন্য একজন যাজক যিনি হারোণের মতো নন কিন্তু মল্কীষেদকের মতো। 12 যখন যাজকত্ব বদলানো হয় তখন বিধি-ব্যবস্থারও পরিবর্তন আবশ্যক হয়ে পড়ে। 13 আমরা এসব কথা খ্রীষ্টের বিষয়ে বলছি। তিনি তো অন্য বংশভুক্ত। সেই বংশের কেউ তো যাজকরূপে যজ্ঞবেদীর পরিচর্যা কখনও করেন নি। 14 কারণ এটা সুস্পষ্ট যে আমাদের প্রভু যিহূদা বংশ থেকেই এসেছেন; আর এই বংশের ব্যাপারে মোশি যাজক হওয়ার বিষয়ে কিছুই বলেন নি।
যীশু মল্কীষেদকের মতোই যাজক
15 এই বিষয়গুলি আরও সুস্পষ্ট হয়ে যায় যখন আমরা মল্কীষেদকের মতো আর একজন যাজককে মূর্ত্তমান হতে দেখি। 16 তিনি মানুষের রীতি-নীতি এবং বিধি-ব্যবস্থা অনুযায়ী যাজক হন নি, কিন্তু তিনি অবিনশ্বর জীবনী শক্তির অধিকারী হয়েই তা হয়েছিলেন। 17 কারণ তাঁর বিষয়ে শাস্ত্রে একথা বলা হয়েছে: “মল্কীষেদকের মতো তুমি অনন্তকালীন যাজক।”(A)
18 পুরানো বিধান বাতিল করা হল, কারণ তা দুর্বল ও অকেজো হয়ে পড়েছিল। 19 কারণ মোশির বিধি-ব্যবস্থা কিছুই সিদ্ধ করতে পারে নি। এখন আমাদের কাছে মহত্তর আশা রয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হতে পারি।
20 আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে ঈশ্বর যখন যীশুকে মহাযাজক করেন তখন ঈশ্বর শপথ করেছিলেন, অন্যরা যাজক হবার সময় ঈশ্বর কোন শপথ করেন নি, 21 কিন্তু তিনি যীশুকে যাজক করার সময় শপথ করলেন। ঈশ্বর বললেন:
“প্রভু এক শপথ করলেন,
আর তিনি এ বিষয়ে তাঁর মন বদলাবেন না,
‘তুমি অনন্তকালীন যাজক।’”(B)
22 এই শপথের কারণে যীশু ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের উত্কৃষ্টতর এক চুক্তির জামিনদার হয়েছেন।
23 অনেকে যাজক হয়েছিলেন, কারণ মৃত্যু কোনও একজন যাজককে অনন্তকালের জন্য থাকতে দেয় নি। 24 কিন্তু ইনি (যীশু) চিরজীবি বলে তাঁর এই যাজকত্ব চিরস্থায়ী। 25 তাই যাঁরা খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে আসে তাদের তিনি চিরকাল উদ্ধার করতে পারেন, কারণ তাদের জন্য তাঁর কাছে আবেদন করতে তিনি চিরকাল জীবিত আছেন।
26 প্রকৃতপক্ষে যীশুর মতো এইরকম পবিত্র, নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক একজন মহাযাজক আমাদের প্রয়োজন ছিল। তিনি পাপীদের থেকে স্বতন্ত্র, আর আকাশ মণ্ডলের উর্দ্ধেও তাঁকে উন্নীত করা হয়েছে। 27 তিনি অন্যান্য যাজকদের মতো নন। অন্যান্য যাজকদের মতো প্রতিদিন আগে নিজের পাপের জন্য ও পরে লোকদের পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করার তাঁর কোন প্রয়োজন নেই, কারণ তিনি যখন নিজেকে বলিরূপে একবার উৎসর্গ করেন তখনই তিনি সেই কাজ চিরকালের জন্য সম্পন্ন করেন। 28 বিধি-ব্যবস্থানুসারে যে সব মহাযাজক নিয়োগ করা হয় তারা দুর্বল মানুষ; কিন্তু পরে ঈশ্বরের শপথ বাক্যের দ্বারা, যাঁকে মহাযাজকরূপে নিয়োগ করা হয়, তিনি ঈশ্বরের পুত্র, যিনি চির সিদ্ধ।
ভূমিকা
1 আমোষের বার্তা। তকোয় শহরে আমোষ নামে একজন মেষপালক ছিলেন। উষিয় যখন যিহূদার রাজা ছিলেন এবং যোয়াশের পুত্র যারবিয়াম যখন ইস্রায়েলের রাজা ছিলেন সেই সময়ে আমোষ ইস্রায়েল সম্পর্কে দর্শন পেয়েছিলেন। ঘটনাটা ভূমিকম্প হবার দু’বছর আগেকার কথা।
অরামের জন্য শাস্তি
2 আমোষ বললেন:
“সিয়োনে প্রভু সিংহের মতো গর্জন করবেন।
জেরুশালেম থেকে তাঁর কণ্ঠের উচ্চস্বর গর্জিত হবে।
মেষপালকদের সবুজ তৃণভূমি শুকিয়ে বাদামী হয়ে যাবে।
এমনকি কর্ম্মিলের শিখর শুকিয়ে যাবে।”
3 প্রভু এই কথাগুলো বলেন: “আমি অবশ্যই দম্মেশকবাসীদের তাদের বহু দণ্ডার্হ অপরাধের জন্য শাস্তি দেব। কিন্তু কেন? কারণ তারা লোহার তৈরী শস্য মাড়াইয়ের যন্ত্র দিয়ে গিলিয়দকে মর্দন করেছিল। 4 সেই জন্য আমি হসায়েলের বাড়ীতে (অরাম) আগুন লাগিয়ে দেব এবং সেই আগুন বিনহদদের রাজপ্রাসাদগুলিকে ধ্বংস করবে।
5 “তাছাড়াও, আমি দম্মেশকের গেটের শক্ত শিকগুলো ভাঙব। আবনের উপত্যকাতে যে ব্যক্তি সিংহাসনে বসে আছে তাকে আমি সরিয়ে দেব। বৈৎ-এদনে যে রাজা রাজদণ্ড ধরে আছে তাকে আমি নিয়ে চলে যাব। অরামের লোকরা পরাস্ত হবে এবং জনসাধারণ তাদের কীর রাজ্যে নিয়ে যাবে।” প্রভু ঐ কথাগুলোই বলেছিলেন।
পলেষ্টীয়দের জন্য শাস্তি
6 প্রভু এই কথাটি বলেন: “আমি সত্যিই ঘসাবাসীদের তাদের বহু অন্যায় কাজের জন্য শাস্তি দেব। কেন? কারণ তারা একটি দেশের সমস্ত লোককে নিয়েছিল এবং তাদের ক্রীতদাস হিসাবে ইদোমে পাঠিয়েছিল। 7 সে জন্যে আমি ঘসার দেওয়ালে আগুন পাঠাব। এই আগুন ঘসার উঁচু মিনার ধ্বংস করবে। 8 এবং আমি অস্দোদের সিংহাসনে যে ব্যক্তি বসে আছে তাকে সরিয়ে দেব। অস্কিলোনে যে রাজাটি রাজদণ্ড ধরে আছে তাকে আমি নিয়ে চলে যাব। আমি ইক্রোণর সাধারণ মানুষদের শাস্তি দেব। তখন পলেষ্টীয়দের মধ্যে যারা এখনও পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় বেঁচে আছে তারা মরবে।” প্রভু ঈশ্বর ঐ কথাগুলো বলেছিলেন।
ফৈনীকিয়র জন্য শাস্তি
9 প্রভু এই কথাগুলো বলছেন: “আমি অবশ্যই সোরের লোকদের তাদের বহু দণ্ডার্হ অপরাধের জন্য শাস্তি দেবো। কেন? কারণ তারা একটি সমগ্র জাতিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল এবং ক্রীতদাস হিসেবে তাদের ইদোমে পাঠিয়েছিল। তারা তাদের ভাইদের (ইস্রায়েল) সঙ্গে মিলিত হয়ে যে চুক্তি করেছিল তা তারা মনে রাখেনি। 10 সে জন্যে আমি সোরের দেওয়ালে আগুন দেব। সেই আগুন সোরের রাজপ্রাসাদগুলিকে ধ্বংস করবে।”
ইদোমবাসীদের জন্য শাস্তি
11 প্রভু এই কথাগুলো বলেছেন: “আমি অবশ্যই ইদোমের লোকদের তাদের বহু দণ্ডার্হ অপরাধের জন্য শাস্তি দেব। কেন? কারণ ইদোম তরবারি নিয়ে তার ভাইদের (ইস্রায়েল) পেছনে তাড়া করে ছুটে ছিল। ইদোম কোন কৃপা দেখায়নি। ইদোমের ক্রোধ সারা জীবন ধরে অব্যাহত ছিল। বন্য পশুর মত ইস্রায়েলকে সে কেবল ছিঁড়েই চলেছে। 12 সে জন্য আমি তৈমনে আগুন দেব। সেই আগুন বস্রারের উঁচু মিনারগুলো ধ্বংস করবে।”
অম্মোনবাসীদের জন্য শাস্তি
13 প্রভু এই কথাগুলো বলেছেন: “আমি অবশ্যই অম্মোনের লোকদের তাদের বহু দণ্ডার্হ অপরাধের জন্য শাস্তি দেব। কেন? কারণ তারা গিলিয়দে গর্ভবতী নারীদের হত্যা করেছিল। অম্মোনবাসীরা এই কাজগুলো করেছিল এই জন্য যাতে তারা তাদের রাজ্য নিতে পারে এবং তাদের রাজ্যকে আরো বড় করতে পারে। 14 সে জন্য আমি রব্বার দেওয়ালে আগুন দেব। সেই আগুন রব্বার উঁচু মিনার ধ্বংস করবে। ঘূর্ণী ঝড়ের মত তাদের রাজ্যের মধ্যে বিপদ এসে ঢুকবে। 15 তখন তাদের রাজা এবং নেতাদের নির্বাসনে নিয়ে যাওয়া হবে। তাদের সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে।” প্রভু এই কথাগুলো বলেছিলেন।
দায়ূদের একটি গীত।
144 প্রভু আমার শিলা,
আমার নিরাপদ স্থান; প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু আমার হাতগুলোকে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেন।
তিনি আমার আঙ্গুলগুলিকে সংগ্রামের জন্য প্রশিক্ষণ দেন।
2 প্রভু আমায় ভালোবাসেন এবং রক্ষা করেন।
উঁচু পাহাড়ে প্রভু আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল,
প্রভুই আমায় উদ্ধার করেন।
প্রভুই আমার ঢাল।
আমি তাঁকে বিশ্বাস করি।
আমার লোকদের তিনি আমার অধীনস্থ করেন।
3 প্রভু, লোকরা কেন আপনার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?
কেন আপনি আমাদের সম্বন্ধে যত্ন নেন।
4 একজন লোকের জীবন বাতাসের ফুত্কারের মত।
একজন মানুষের জীবন চলমান ছায়ার মত।
5 প্রভু, আকাশ বিদীর্ণ করে নেমে আসুন।
পর্বত স্পর্শ করুন, পর্বত থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আসবে।
6 হে প্রভু, আপনি বিদ্যুতের চমক পাঠান এবং আমার শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করুন।
আপনার “তীরগুলি” নিক্ষেপ করুন এবং তাদের পালাতে বাধ্য করুন।
7 প্রভু, স্বর্গ থেকে নেমে আসুন এবং আমায় রক্ষা করুন!
শত্রুর সাগরে আমাকে ডুবে যেতে দেবেন না।
এইসব বিদেশীদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
8 এই শত্রুরা মিথ্যাবাদী।
ওরা এমন কথা বলে যা সত্য নয়।
9 প্রভু যে সব বিস্ময়কর কাজ আপনি করেন, সে সম্পর্কে আমি একটা নতুন গান গাইবো।
দশতারা বীণা বাজিয়ে আমি আপনার প্রশংসা করবো।
10 রাজাদের তাঁদের যুদ্ধসমূহে জয়ী হতে প্রভু সাহায্য করেন।
প্রভু তাঁর দাস দায়ূদকে শত্রুর তরবারি থেকে রক্ষা করেছেন।
11 এই বিদেশীর হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
এইসব শত্রুরা মিথ্যাবাদী।
ওরা এমন কথা বলে যা সত্য নয়।
12 আমাদের তরুণ ছেলেরা শক্ত গাছের মত।
আমাদের কন্যারা প্রাসাদের অনুপম কারুকার্যের মত।
13 আমাদের গোলাগুলি
সব রকম ফসলে পূর্ণ।
আমাদের চারণক্ষেত্রে
হাজারে হাজারে মেষ রয়েছে।
14 আমাদের সৈন্যরা সুরক্ষিত।
কোন শত্রু জোর করে এখানে প্রবেশ করতে চাইছে না।
আমরাও যুদ্ধ করতে যাচ্ছি না।
রাস্তাগুলোতে লোকজন চিৎকার করছে না।
15 এই রকম সময় লোকজন ভীষণ খুশী।
প্রভু যদি স্বয়ং তাদের ঈশ্বর হন লোকজন ভীষণ খুশী হয়।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International