M’Cheyne Bible Reading Plan
যিহূদায় মনঃশির কু-শাসন শুরু
21 মাত্র 12 বছর বয়সে রাজা হয়ে মনঃশি মোট 55 বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল হিফ্সীবা।
2 প্রভু যে সব পাপ আচরণ করতে বারণ করেন মনঃশি সেসবই করেছিলেন। ইতিপূর্বে যে সব ভয়ঙ্কর পাপ আচারের জন্য প্রভু বিভিন্ন জাতিকে দেশচ্যূত করেছিলেন, মনঃশি সেই সমস্ত পাপ আচরণ করেন। 3 তাঁর পিতা হিষ্কিয় যে সমস্ত উচ্চস্থান ভেঙে দিয়েছিলেন, মনঃশি আবার নতুন করে সেই সব বেদী নির্মাণ করেছিলেন। বাল মূর্ত্তির পূজার জন্য বেদী বানানো ছাড়াও, ইস্রায়েলের রাজা আহাবের মতই মনঃশি আশেরার খুঁটি পুঁতেছিলেন। তিনি আকাশের তারাদেরও পূজা করতেন। 4 মূর্ত্তিসমূহের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে তিনি প্রভুর প্রিয় ও পবিত্র মন্দিরের মধ্যেও বেদী বানিয়েছিলেন। (এই সেই জায়গা যেখানে প্রভু বলেছিলেন, “আমি জেরুশালেমে আমার নাম স্থাপন করব।”) 5 মন্দিরের দুটো উঠোনে তিনি আকাশের নক্ষত্ররাজির জন্য বেদী বানান। 6 তাঁর নিজের পুত্রকে তিনি যজ্ঞবেদীর আগুনে আহুতি দেন। ভবিষ্যৎ জানার জন্য তিনি প্রেতাত্মা ও পিশাচদের কাছে যাতায়াত করতেন।
প্রভুকে অসন্তুষ্ট করার মত আরো অনেক কাজই মনঃশি করেছিলেন। ফলতঃ প্রভু খুবই ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। 7 মনঃশি পাথর কুঁদে আশেরার একটা মূর্ত্তি বানিয়ে সেটাকে মন্দিরে বসিয়েছিলেন। প্রভু দায়ূদ ও তাঁর পুত্র শলোমনকে বলেছিলেন, “সমস্ত শহরের মধ্যে থেকে আমি জেরুশালেমকে বেছে নিয়েছি। এখানকার এই মন্দিরে আমার নাম চির দিনের জন্য থাকবে। 8 ইস্রায়েলীয়দের পূর্বপুরুষদের আমি যে ভূখণ্ড দিয়েছিলাম, ইস্রায়েলীয়রা যদি আমায় মান্য করে চলে, আমার দাস মোশির দেওয়া বিধি ও আদেশগুলো অনুসরণ করে, তাহলে সেই ভূখণ্ড থেকে আমি কখনও তাদের উৎখাত করব না।” 9 কিন্তু লোকরা ঈশ্বরের কথা গ্রাহ্য করল না। মনঃশি লোকদের বিপথে চালনা করলেন, যাতে তারা আরো বেশী পাপ কাজ করল সেই সব জাতিসমূহের চেয়েও, যাদের প্রভু ধ্বংস করেছিলেন এবং ইস্রায়েলীয়দের দিয়ে দিয়েছিলেন।
10 প্রভু তাঁর দাস ভাববাদীদের মাধ্যমে বলে পাঠিয়েছিলেন: 11 “যিহূদার রাজা মনঃশি, ইমোরীয়দের থেকেও বহুগুণে ঘৃণ্য অপরাধ করেছে এবং মূর্ত্তিপূজা করে যিহূদাকেও পাপের পথে ঠেলে দিয়েছে। তাই 12 ইস্রায়েলের প্রভু বলেছেন, ‘জেরুশালেম ও যিহূদায় আমি এমন সঙ্কট ঘনিয়ে তুলব যে, যে শুনবে সেই শিউরে উঠবে, আতঙ্কিত হবে। 13 আমি জেরুশালেমের ওপর শমরিয়াতে যে সূত্র এবং আহাবকুলে যে ওলন ব্যবহার করেছিলাম, তা বিস্তৃত করব। মানুষ যে ভাবে থালা মুছে, উপুড় করে রাখে ঠিক সে ভাবেই আমি জেরুশালেমের সব কিছু ওলট-পালট করে খল নলচে পাল্টে দেব। 14 তবে আমার কিছু ভক্ত থাকবে, যাদের আমি রেহাই দিলেও, শত্রুর হাত থেকে তারা বাঁচতে পারবে না। শত্রুরা তাদের বন্দী করে সঙ্গে নিয়ে যাবে। তারা সে রকম মূল্যবান জিনিসের মতো যাকে সৈন্যরা যুদ্ধে পেয়ে থাকে। 15 কারণ যে সব কাজ করাকে আমি অন্যায় বলেছিলাম ওরা তাই করেছে। মিশর থেকে ওদের পূর্বপুরুষরা আসার পর থেকে এইভাবে ক্রমে ক্রমে ওরা আমায় ক্ষেপিয়ে তুলেছে। 16 আর মনঃশি বহু নির্দোষ ব্যক্তিকেও হত্যা করেছে। মনঃশি জেরুশালেম রক্তে পরিপূর্ণ করেছে। তার এই সমস্ত পাপ, পক্ষান্তরে যিহূদারই পাপের ভার বৃদ্ধি করেছে। প্রভু যা করতে বারণ করেছেন, মনঃশি তা করতে যিহূদাকে বাধ্য করেছে।’”
17 মনঃশি যে সমস্ত কাজ করেছিলেন, এমন কি তাঁর সমস্ত পাপ আচরণের কথাও যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 18 মনঃশির মৃত্যুর পর তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁর বাড়ীর “বাগান উষে” সমাধিস্থ করা হল এবং তাঁর পুত্র আমোন নতুন রাজা হলেন।
আমোনের সংক্ষিপ্ত শাসনকাল
19 আমোন 22 বছর বয়সে রাজা হয়ে মাত্র দু বছরের জন্য জেরুশালেম শাসন করেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন যট্বাস্থ হারুষের কন্যা মশুল্লেমৎ।
20 পিতা মনঃশির মতোই আমোনও প্রভুর মনঃপূত নয় এমন সমস্ত কাজকর্ম করেছিলেন। 21 তাঁর পিতা যে সমস্ত মূর্ত্তিগুলোকে পূজা করতেন, আমোনও তাদের পূজা করতেন। আমোন তাঁর পিতার মতোই জীবনযাপন করেছেন। 22 তিনি তাঁর প্রভু পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের অভিপ্রায় অনুযায়ী জীবনযাপন না করে তাঁকে পরিত্যাগ করেন।
23 আমোনের ভৃত্যরা তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁকে তাঁর নিজের বাড়িতেই হত্যা করে। 24 ক্রুদ্ধ সাধারণ মানুষ আমোনের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের হত্যা করে তাঁর পুত্র যোশিয়কে তাঁর জায়গায় নতুন রাজা করল।
25 আমোন আর যা কিছু করেছিলেন সে সমস্তই যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 26 আমোনকেও তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে উষের বাগানে সমাধিস্থ করা হয়। এরপর তাঁর পুত্র যোশিয় রাজ্য পরিচালনা শুরু করেন।
যীশু মোশির থেকে মহান
3 তাই তোমরা সকলে যীশুর বিষয়ে চিন্তা কর। ঈশ্বর যীশুকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের ধর্ম বিশ্বাসের মহাযাজক। আমার পবিত্র ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের বলছি তোমরা এক স্বর্গীয় আহ্বান পেয়েছ। 2 ঈশ্বর যীশুকে আমাদের কাছে পাঠালেন আর তাঁকে তিনি আমাদের মহাযাজক করলেন। মোশির মতন যীশুও ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। যীশুর কাছে ঈশ্বর যা কিছু চেয়েছিলেন, ঈশ্বরের সেই গৃহরূপ মণ্ডলীতে তিনি সে সবই করলেন। 3 কেউ যখন কোন গৃহ নির্মাণ করে তখন গৃহ থেকে গৃহনির্মাতার মর্যাদা অধিক হয়, যীশুর বেলায়ও ঠিক তাই হয়েছে, সুতরাং মোশির থেকে অধিক সম্মান যীশুরই প্রাপ্য। 4 প্রত্যেক গৃহ কেউ না কেউ নির্মাণ করে, কিন্তু ঈশ্বর সবকিছু নির্মাণ করেছেন। 5 মোশি ঈশ্বরের গৃহে সেবকরূপে বিশ্বস্তভাবে কাজ করেছিলেন আর ঈশ্বর ভবিষ্যতে যা বলবেন তা লোকদের কাছে মোশিই বললেন। 6 কিন্তু খ্রীষ্ট পুত্র হিসাবে ঈশ্বরের গৃহের কর্তা; আমরা বিশ্বাসীরাই তাঁর গৃহ, আর তাই থাকব যদি আমরা আমাদের সেই মহান প্রত্যাশা সম্পর্কে সাহস ও গর্ব নিয়ে চলি।
আমরা অবশ্যই নিয়ত ঈশ্বরকে অনুসরণ করব
7 তাই পবিত্র আত্মা যেমন বলছেন:
“আজ, তোমরা যদি ঈশ্বরের রব শোন,
8 অতীত দিনের মতো হৃদয় কঠিন করো না, যে দিন তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলে;
সেদিন তোমরা প্রান্তরে ঈশ্বরের পরীক্ষা করেছিলে।
9 সেই প্রান্তরে তোমাদের পিতৃপুরুষরা চল্লিশ বছর ধরে আমার সমস্ত কীর্তি দেখতে পেয়েছিল,
তবু তারা আমার ধৈর্য্য পরীক্ষা করল।
10 তাই আমি এই জাতির ওপর ক্রুদ্ধ হলাম ও বললাম,
‘এরা সব সময় ভুল চিন্তা করে,
এই লোকেরা কখনও আমার পথ বুঝল না।’
11 তখন আমি ক্রুদ্ধ হয়ে এই শপথ করলাম:
‘তারা কখনই আমার বিশ্রাম স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না।’”(A)
12 আমার ভাই ও বোনেরা, দেখো, তোমরা সতর্ক থেকো, তোমাদের মধ্যে কারো যেন দুষ্ট ও অবিশ্বাসী হৃদয় না থাকে যা জীবন্ত ঈশ্বর থেকে তোমাদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। 13 তোমরা দিনের পর দিন একে অপরকে উৎসাহিত কর যতক্ষণ সময় “আজ” আছে। পাপের ছলনা যেন তোমাদের হৃদয়কে নির্মম না করে। 14 শুরুতে আমাদের যে বিশ্বাস ছিল যদি শেষ পর্যন্ত আমরা সেই বিশ্বাসে স্থির থাকি তাহলে আমরা সকলেই খ্রীষ্টের সহভাগী। 15 শাস্ত্র তো এই কথা বলে:
“আজ যদি তোমরা ঈশ্বরের রব শোন,
তাহলে তোমাদের অন্তর কঠোর করো না, যেমন সেই বিদ্রোহের দিনে করেছিলে।”(B)
16 যারা ঈশ্বরের রব শোনার পরও তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, প্রশ্ন হল তারা কারা? মোশি যাদের মিশর থেকে বার করে নিয়ে এসেছিলেন তারাই কি নয়? 17 আর কাদের ওপরই বা ঈশ্বর চল্লিশ বছর ধরে ক্রুদ্ধ ছিলেন? সেই লোকদের ওপরে নয় কি যারা পাপ করেছিল ও তার ফলে প্রান্তরে মারা পড়েছিল? 18 তিনি কাদের বিরুদ্ধেই বা শপথ করে বলেছিলেন, “এরা আমার বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না?” যারা অবাধ্য হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কি নয়? 19 তাহলে এখন আমরা দেখলাম যে, অবিশ্বাসের দরুনই তারা ঈশ্বরের বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে পারল না।
প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তন
14 ইস্রায়েল তোমাদের পতন হয়েছে এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তোমরা পাপ করেছো। সেজন্য তোমাদের প্রভু, ঈশ্বরের কাছে ফিরে এসো। 2 তুমি যে কথাগুলো বলবে তার সম্বন্ধে চিন্তা কর এবং প্রভুর কাছে ফিরে এসো। তাঁকে বলো,
“আমাদের পাপ দূর করে দিন।
আমাদের ভালো কথাগুলি গ্রহণ করুন।
উৎসর্গ হিসেবে আমরা আমাদের ওষ্ঠ দিয়ে আপনাকে প্রশংসা বাক্য নিবেদন করব।
3 অশূর আমাদের রক্ষা করতে সক্ষম হবে না।
আমরা যুদ্ধের ঘোড়ায় চাপব না।
যে জিনিসগুলো আমরা নিজেদের হাতে তৈরি করেছি
সেগুলোকে আমরা ‘আমাদের ঈশ্বর’ বলব না।
কেন? কারণ আপনিই একমাত্র সেই জন যিনি অনাথদের প্রতি কৃপা দেখান।
কেবলমাত্র আপনিই আমাদের রক্ষা করতে পারেন।”
প্রভু ইস্রায়েলকে ক্ষমা করবেন
4 প্রভু বলেন,
“আমাকে পরিত্যাগ করবার জন্য আমি তাদের ক্ষমা করব।
যেহেতু আমি ক্রুদ্ধ হওয়া থেকে বিরত হয়েছি
তাই আমি তাদের মুক্তমনে ভালোবাসব।
5 আমি ইস্রায়েলের কাছে শিশিরের মতো হব।
ইস্রায়েল লিলির মতো প্রস্ফুটিত হবে।
সে লিবানোনের সিডার গাছের মতো হবে।
6 তার শিকড়গুলি বাড়বে
এবং তাকে একটি সুন্দর জলপাই গাছের মত দেখাবে।
লিবানোনের সিডার গাছগুলো থেকে যে সুন্দর গন্ধ আসে
সেও সে রকম সুন্দর গন্ধ হবে।
7 ইস্রায়েলের জনসাধারণ আবার আমার আশ্রয়ে থাকবে।
তারা শস্যের মত বাড়বে।
তারা দ্রাক্ষা গাছের মত মুকুলিত হবে।
তারা লিবানোনের মদের মত হবে।
ইস্রায়েলের মূর্ত্তিগুলি সম্বন্ধে প্রভু সতর্ক করছেন
8 “ইফ্রয়িম, মূর্ত্তিগুলো নিয়ে আমার আর বেশী কিছু করবার থাকবে না।
আমিই সেই ‘এক’ যিনি তোমাদের প্রার্থনার উত্তর দেন, আমিই সেই যে তোমাদের ওপর নজর রাখে।
আমি সেই ফার গাছের মত যেটা চির সবুজ।
আমার কাছ থেকেই তোমাদের ফল আসে।”
সর্বশেষ উপদেশ
9 একজন জ্ঞানী ব্যক্তি এই বিষয়গুলো বুঝতে পারছে।
একজন চটকদার মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়গুলি শিখতে হবে।
প্রভুর পথ সকল সঠিক।
ভালো লোকরা সেই পথেই বাঁচবে।
পাপীরা তার দ্বারাই মারা যাবে।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি। দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
139 প্রভু আপনি আমায় পরীক্ষা করেছেন।
আমার সম্পর্কে আপনি সবই জানেন।
2 আমি কখন বসি এবং উঠি আপনি তাও জানেন।
বহু দূর থেকেই আপনি আমার চিন্তা-ভাবনা জানতে পারেন।
3 প্রভু, আমি কোথায় যাই এবং আমি কোথায় শুই তাও আপনি জানেন।
আমি যা করি তার সবই আপনি জানেন।
4 প্রভু, আমি কিছু বলার আগেই
আপনি বুঝে যান আমি কি বলতে চাই।
5 প্রভু, আপনি আমার সামনে পিছনে আমার চারদিকে রয়েছেন।
নম্রভাবে আমার ওপর আপনার হাত রাখুন।
6 আপনি যা জানেন তাতে আমি বিস্ময়াভিভূত।
এটা আমার বোধের অতীত।
7 যেখানে যেখানে আমি যাই সর্বত্রই আপনার আত্মা বিরাজ করে।
হে প্রভু, আমি আপনার কাছ থেকে পালাতে পারি না।
8 হে প্রভু, যদি আমি স্বর্গলোকে যাই, আপনি সেখানে রয়েছেন।
যদি আমি পাতালে যাই, আপনি সেখানেও রয়েছেন।
9 প্রভু, যেখানে সূর্যের উদয় হয় সেই পূর্বদিকে যদি আমি যাই আপনি সেখানে রয়েছেন।
যদি আমি পশ্চিমের সমুদ্রে যাই সেখানেও আপনি রয়েছেন।
10 সেখানেও আপনার ডান হাত আমায় ধরে থাকে
এবং আমায় পরিচালিত করে।
11 প্রভু, আমি আপনার কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতে চাইতে পারি এবং বলতে পারি,
“দিনের আলো এখন রাত্রিতে বদলে গেছে।
নিশ্চয়ই অন্ধকার আমাকে লুকিয়ে দেবে।”
12 কিন্তু অন্ধকার আপনার কাছে অন্ধকার নয়।
প্রভু, রাত আপনার কাছে দিনের মতই উজ্জ্বল।
13 প্রভু আপনি আমার সারা দেহ সৃষ্টি করেছেন।
যখন আমি মাতৃদেহে ছিলাম তখনও আপনি আমার সম্পর্কে সব জানতেন।
14 প্রভু, আমি আপনার প্রশংসা করি! আপনি অত্যন্ত বিস্ময়-বিহ্বলভাবে ও চমৎকার ভাবে আমাকে সৃষ্টি করেছেন।
আমি খুব ভালোভাবে জানি যে আপনি যা কিছু করেছেন সবই চমৎকার।
15 আপনি আমার সম্পর্কে সব কিছু জানেন।
মায়ের দেহে লুকিয়ে যখন আমার শরীর বড় হচ্ছিলো তখন আপনি আমার অস্থি মজ্জাকে পর্যন্ত লক্ষ্য করেছিলেন।
16 আমার প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে আপনি বাড়তে দেখেছিলেন।
আপনার গ্রন্থে আপনি সে সম্বন্ধে লিখে রেখেছেন।
প্রত্যেকদিন আপনি আমার ওপর লক্ষ্য রেখেছেন।
তার মধ্যে একটাও হারিয়ে যায় নি।
17 আপনার চিন্তাগুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
ঈশ্বর আপনি কত জানেন!
18 যদি আমি আপনার চিন্তাগুলোকে গুনতে পারতাম, তারা সংখ্যায় সমস্ত বালুকণার চেয়ে বেশী হতো
এবং যখন আমি শেষ করতাম, তখনও আমি আপনার সঙ্গে থাকতাম।
19 ঈশ্বর, দুষ্ট লোকদের শেষ করে দিন।
ওই ঘাতকদের আমার থেকে দূরে সরিয়ে নিন।
20 ওই মন্দ লোকরা আপনার সম্পর্কে মন্দ কথা বলে।
ওরা আপনার নাম সম্পর্কে বাজে কথা বলে।
21 প্রভু যারা আপনাকে ঘৃণা করে আমি তাদের ঘৃণা করি।
যারা আপনার বিরুদ্ধে যায় তাদের আমি ঘৃণা করি।
22 আমি তাদের পুরোপুরি ঘৃণা করি!
আপনার শত্রুরা আমারও শত্রু।
23 হে প্রভু, আমার দিকে দেখুন এবং আমার অন্তরকে জানুন।
আমায় পরীক্ষা করুন এবং আমার চিন্তাগুলো জানুন।
24 দেখুন কোন মন্দ চিন্তা আমার মনে আছে কিনা
এবং আমাকে সেই পথে পরিচালিত করুন যে পথ চির বিরাজমান থাকে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International