M’Cheyne Bible Reading Plan
হিষ্কিয় ভাববাদী যিশাইয়র সঙ্গে কথা বললেন
19 সমস্ত কথা শুনে রাজা হিষ্কিয়ও শোকার্ত হয়ে ভাল পোশাক ছিঁড়ে চটের পোশাক পরে প্রভুর মন্দিরে গেলেন।
2 হিষ্কিয় রাজপ্রাসাদের তত্ত্বাবধায়ক ইলীয়াকীম, রাজ-সচিব শিব্ন ও প্রধান যাজকদের আমোসের পুত্র ভাববাদী যিশাইয়র কাছে পাঠালেন। তারাও সকলে শোক প্রকাশের জন্য চটের পোশাক পরেছিল। 3 এরা সকলে গিয়ে যিশাইয়কে বলল, “হিষ্কিয় বলেছেন, ‘এই সঙ্কটের দিনে আমাদের করা ভুল-ভ্রান্তি ও পাপ আচরণের কথা স্মরণ করা উচিৎ। কিন্তু অবস্থা এখন এরকম যে নবজাতকের জন্ম দিতে হবে অথচ প্রসূতির কোন শক্তি নেই। 4 অশূররাজের সেনাপতি এসে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে পর্যন্ত প্রশ্ন তুলেছে, অনেক খারাপ কথা শুনিয়ে গিয়েছে। সম্ভবতঃ আপনার প্রভু ঈশ্বর সে সবই শুনতে পেয়েছেন, হয়তো এর জন্য প্রভু তাঁর শত্রুদের যথোচিত শাস্তিও দেবেন। অনুগ্রহ করে আপনি, যে সমস্ত লোক এখনও জীবিত আছে তাদের জন্য প্রার্থনা করুন।’”
5 মহারাজ হিষ্কিয়র উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীরা যিশাইয়র কাছে গেলে 6 তিনি তাদের বললেন, “তোমাদের গুরুকে গিয়ে খবর দাও: ‘প্রভু বলেছেন: অশূররাজের কর্মচারীরা আমাকে অপমান করার জন্য যে সব কথা বলে গিয়েছে, তা শুনে ভয় পাবার কোন কারণ নেই! 7 আমি ওর ওপর ভর করার জন্য এক অপদেবতাকে পাঠাচ্ছি। তারপর দেখো, গুজবে ভয় পেয়ে ও নিজেই নিজের দেশে ছুটে পালাবে। সেখানে আমি তরবারির আঘাতে ওর মৃত্যুর জন্য সমস্ত আয়োজন করে রাখছি।’”
হিষ্কিয়কে অশূর-রাজ আবার সতর্ক করলেন
8 অশূর-রাজের সেনাপতি খবর পেলেন, তাদের মহারাজ লাখীশ ছেড়ে গিয়ে লিব্নার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। 9 ইতিমধ্যে অশূর-রাজ গুজব শুনলেন, “কূশদেশের রাজা তির্হকঃ তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসছেন!”
তখন অশূর-রাজ হিষ্কিয়র কাছে আবার দূত মারফৎ খবর পাঠালেন। এই বার্তায় বলা হল: 10 “যিহূদা-রাজা হিষ্কিয় সমীপেষু,
‘আপনাদের ঈশ্বরের দ্বারা প্রতারিত হয়ে যদি আস্থা রাখেন অশূর-রাজ জেরুশালেমকে পদানত করতে পারবেন না তাহলে ভুল করবেন। 11 আপনি নিশ্চয়ই অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে অশূর-রাজের যুদ্ধযাত্রা ও তাদের পরিণতির কথা অবগত আছেন। এই সমস্ত দেশকে আমরা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছি। আপনারা কি ভাবছেন যে আপনারা উদ্ধার পাবেন? 12 এই সমস্ত জাতির দেবতা তাঁদের নিজেদের লোকদের বাঁচাতে পারেন নি। আমার পূর্বপুরুষরা, গোষণ, হারণ, রেৎসফ, তলঃশর এদোনের লোকরা এদের সবাইকেই ধ্বংস করেছিলেন। 13 কোথায় গেলেন হমাৎ, অর্পদ, সফর্বয়িম, হেনা, ইব্বার রাজারা? এঁরা সকলেই মরে ভূত হয়ে গিয়েছেন!’”
হিষ্কিয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন
14 দূতদের কাছ থেকে এই চিঠি নিয়ে পড়ার পর হিষ্কিয় প্রভুর মন্দিরে গিয়ে প্রভুর সামনে চিঠিখানা মেলে ধরলেন। 15 তারপর তিনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, “প্রভু করূব দূতদের মধ্যে আসীন ইস্রায়েলের ঈশ্বর আপনি এই পৃথিবীর সমস্ত ভূ-ভাগ, সমস্ত দেশেরই নিয়ামক। স্বর্গ ও পৃথিবী আপনারই হাতে গড়া। 16 প্রভু, অনুগ্রহ করে আমার কথা শুনুন, চোখ খুলে এই চিঠিখানা দেখুন। কিভাবে সন্হেরীব জীবন্ত ঈশ্বরকে অপমান করেছেন তা শুনুন। 17 প্রভু এটা সত্য অশূর-রাজ এসমস্ত দেশ ধ্বংস করেছেন। 18 তারা তাদের মূর্ত্তিসমূহকে আগুনে ছুঁড়ে ফেলেছেন এসবই সত্যি কথা। কিন্তু সেই সব মূর্ত্তি তো আসলে মানুষের বানানো কাঠ এবং পাথরের পুতুল মাত্র ছিল। যে কারণে অশূর-রাজ ওদের ধ্বংস করতে পেরেছিলেন। 19 কিন্তু এখন প্রভু, আমাদের ঈশ্বর অশূর-রাজের কবল থেকে উদ্ধার করুন। তাহলে পৃথিবীর সর্বত্র সবাই জানবে প্রভুই একমাত্র ঈশ্বর।”
20 আমোসের পুত্র যিশাইয়, হিষ্কিয়কে খবর পাঠালেন, “প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর জানিয়েছেন: তুমি সন্হেরীবের বিরুদ্ধে আমার কাছে যে প্রার্থনা করেছো, আমি তা শুনতে পেয়েছি।
21 “সন্হেরীব সম্পর্কে প্রভু বলেন:
‘সিয়োনের কুমারী কন্যা মনে করে তুমি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নও।
তাই সে তোমায় টিটকিরি করে,
তোমার পেছনে তোমায় অপমান করছে।
22 তুমি কাকে অপমান করেছ এবং ঈশ্বরের নামে কাকে অভিশাপ দিয়েছ বলে মনে কর?
তুমি কার বিরুদ্ধে গলা তুলেছ এবং গর্বিত ভাবে তাকিয়েছ?
সেটা ইস্রায়েলের সেই পবিত্র একজনের বিরুদ্ধে।
23 তাই তুমি তোমার বার্তাবাহকদের এই কথা বলবার জন্য পাঠিয়ে প্রভুকে অপমান করেছ।
তুমি বলেছ, “আমার অজস্র রথবাহিনী নিয়ে আমি উচ্চতম পর্বত থেকে লিবানোনের গভীরতম প্রদেশ পর্যন্ত গিয়েছি।
সেখানকার উচ্চতম দেবদারু গাছ থেকে শুরু করে সব চেয়ে ভাল আর দুর্মূল্য গাছও কেটে টুকরো করেছি।
আমি লিবানোনের সবচেয়ে উঁচু প্রান্তর থেকে গভীর জঙ্গল পর্যন্ত গিয়েছি।
24 আমি কুয়ো খুঁড়ে নিত্যনতুন জায়গার জল পান করেছি।
মিশরের নদীর জল শুকিয়ে,
খট্খটে শুকনো জমিতে পায়ে হেঁটেছি।”
25 ‘তুমি তো তাই বললে। কিন্তু প্রভু যা বলেন তা তুমি তোমার দূরদেশে শোনোনি।
এসবই আমার (ঈশ্বর) পূর্ব পরিকল্পিত।
সেই অনাদি-অনন্তকাল থেকে
আমিই সব ঠিক করে ঘটিয়ে চলেছি!
যে কারণে তুমি একের পর এক শক্তিশালী দেশ ধ্বংস করে,
তাদের পাথরের ভগ্নস্তূপে পরিণত করতে পেরেছ।
26 এই সমস্ত দেশের লোক শক্তিহীন।
এই লোকরা ভীত এবং বিভ্রান্ত
তারা জমিতে ঘাস ও গাছপালা
এবং বাড়ীর ছাদের উপর ঘাস ও গাছপালা বড় না হতেই মারা যায়।
27 আমি এটা জানি তুমি কখন বসে থাকো,
কখন আসো, কখন যাও
এবং কখন তুমি আমার বিরুদ্ধে।
28 তুমি কখন আমাকে অপমান করো,
কখন তোমার সঙ্গীত নাসা শূন্যে তুলে গর্ব কর, সে সবই আমি খেয়াল রাখি।
এবার তাই আমি তোমার এই সঙ্গীত নাসায় দড়ি বেঁধে
তোমায় কলুর বলদের মতো ঘোরাবো আর জাবর কাটাবো,
ঠিক যে ভাবে তোমায় টেনে তুলেছিলাম
সে ভাবেই এক ফুঁয়ে তোমায় নীচে ফেলবো।’”
হিষ্কিয়র প্রতি প্রভুর বার্তা
29 এটি হবে তোমার পক্ষে একটি চিহ্নস্বরূপ। এবছর তুমি মাঠে যে শস্য আপনিই জন্মায় তাই খাবে। পরের বছর তুমি বীজ থেকে যে শস্য হয় তাই খাবে। আর তার পরের বছর, তৃতীয় বছরে তুমি তোমার নিজের বোনা বীজের শস্য থেকে খেতে পারবে। এর থেকেই, আমি যে তোমার সহায় তা প্রমাণিত হবে। তুমি দ্রাক্ষা ক্ষেতে গাছ পুঁতে সেই দ্রাক্ষা নিজে খাবে। 30 যিহূদার যে সমস্ত লোক পালিয়ে গিয়েছে এবং বেঁচে আছে আবার সংখ্যায় বৃদ্ধি পাবে। 31 যে সমস্ত অল্প সংখ্যক লোক বাকী আছে তারা জেরুশালেম থেকে বেরিয়ে আসবে এবং কিছু সংখ্যক সিয়োন পর্বত ছেড়ে চলে যাবে।
32 “তাই প্রভু অশূর-রাজ সম্পর্কে জানিয়েছেন:
‘অশূর-রাজ এ শহরে নিজের দল নিয়ে আসবে না
বা এখানে একটা তীরও ছুঁড়তে পারবে না।
এ শহর আক্রমণ করে, দেয়াল ভেঙে
ধূলোর পাহাড়ও বানাতে পারবে না।
33 যে পথ দিয়ে অশূর-রাজ এসেছিল, সে পথেই আবার ফিরে যাবে।
এ শহরে তার ঢোকা আর হবে না!
34 আমি এই শহরকে রক্ষা করব আর বাঁচাব।
আমার নিজের জন্য আর আমার সেবক দায়ূদের জন্যই আমি এই কাজ করব।’”
অশূর-রাজের সেনাবাহিনী ধ্বংস হল
35 সেই রাতেই প্রভুর পাঠানো দূত গিয়ে অশূর-রাজের 185,000 সেনা ধ্বংস করলেন। সকালে উঠে সবাই শুধু মৃতদেহ দেখতে পেল।
36 সন্হেরীব তখন নীনবীতে ফিরে গিয়ে বাস করতে শুরু করলেন। 37 এক দিন তিনি যখন তাঁর ইষ্টদেবতা নিষ্রোকের মন্দিরে পূজা করছিলেন, সে সময় তাঁর দুই পুত্র অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর তাঁকে তরবারির আঘাতে হত্যা করে অরারট দেশে পালিয়ে গেলে, তাঁর আর এক পুত্র এসর-হদ্দোন তাঁর জায়গায় নতুন রাজা হলেন।
ঈশ্বর তাঁর পুত্রের মাধ্যমে কথা বলেছেন
1 অতীতে ঈশ্বর ভাববাদীদের মাধ্যমে বহুবার নানাভাবে আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। 2 এখন এই শেষের দিনগুলোতে ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আবার কথা বললেন। ঈশ্বর তাঁর পুত্রের দ্বারাই সমগ্র জগত সৃষ্টি করেছেন। তাঁর পুত্রকেই সবকিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন। 3 একমাত্র ঈশ্বরের পুত্রই ঈশ্বরের মহিমার ও তাঁর প্রকৃতির মূর্ত প্রকাশ। ঈশ্বরের পুত্র তাঁর পরাক্রান্ত বাক্যের দ্বারা সবকিছু ধরে রেখেছেন। সেই পুত্র মানুষকে সমস্ত পাপ থেকে শুচিশুদ্ধ করেছেন। তারপর স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমার ডানপাশের আসনে বসেছেন। 4 ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে এমন এক নাম দিয়েছেন যা স্বর্গদূতদের নাম থেকে শ্রেষ্ঠ; আর স্বর্গদূতদের তুলনায় তিনি হয়ে উঠেছেন আরো মহান।
5 কারণ ঈশ্বর ঐ স্বর্গদূতদের মধ্যে কাকে কখন বলেছিলেন,
“তুমি আমার পুত্র;
আজ আমি তোমার পিতা হয়েছি।”(A)
আবার ঈশ্বর কখনই বা স্বর্গদূতদের বলেছেন,
“আমি তার পিতা হব
আর সে আমার পুত্র হবে।”(B)
6 আবার তাঁর প্রথম পুত্রকে যখন তিনি জগতে নিয়ে এলেন তখন ঈশ্বর বললেন,
“ঈশ্বরের সমস্ত স্বর্গদূতরা তাঁর উপাসনা করুক।”[a]
7 স্বর্গদূতদের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন:
“আমার স্বর্গদূতদের আমি তৈরী করি বায়ুর মতো করে
আর আমার সেবকদের আগুনের শিখার মতো করে।”(C)
8 কিন্তু তাঁর পুত্রের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন:
“হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন হবে চিরস্থায়ী;
আর ন্যায় বিচারের মাধ্যমে তুমি তোমার রাজ্য শাসন করবে।
9 তুমি ন্যায়কে ভালবাস এবং অন্যায়কে ঘৃণা কর।
এই কারণে তোমার ঈশ্বর তোমাকে পরম আনন্দ দিয়েছেন;
তোমার সঙ্গীদের থেকে তোমায় অধিক পরিমাণে দিয়েছেন।”(D)
10 ঈশ্বর একথাও বলেছেন:
“হে প্রভু, আদিতে তুমিই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ;
স্বর্গ তোমারই হাতের সৃষ্টি।
11 সেসব একদিন অদৃশ্য হয়ে যাবে; কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী।
সেসব পোশাকের মতো পুরানো হয়ে যাবে।
12 তুমি সেসব পোশাকের মতো গুটিয়ে রাখবে;
আর পোশাকের মতো সেগুলির পরিবর্তন হবে।
কিন্তু তোমার কোন পরিবর্তন হবে না,
তোমার অনুগ্রহ শেষ হবে না।”(E)
13 কিন্তু ঈশ্বর স্বর্গদূতদের মধ্যে কাউকে কখনও বলেন নি:
“আমি তোমার শত্রুদের যতক্ষণ না তোমার পদানত করি,
তুমি আমার ডানপাশে বস।”(F)
14 ঐ স্বর্গদূতরা কি পরিচর্যাকারী আত্মা নয়? আর যাঁরা পরিত্রাণ লাভ করেছে তাদের পরিচর্যা করার জন্যই কি এদের পাঠানো হয় নি?
ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে প্রভু
12 ইফ্রয়িম তার সময় নষ্ট করছে—ইস্রায়েল সারাদিন ধরে “হাওয়ার পেছনে ছুটছে।” জনসাধারণ আরো বেশী করে মিথ্যা বলছে। তারা আরো বেশী চুরি করছে। তারা অশূরের সঙ্গে চুক্তি করেছে, এবং তাদের জলপাই তেল মিশরে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।
2 প্রভু বলেছেন, “ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে আমার বলবার বিষয় আছে। যাকোব তার কাজের জন্যে অবশ্যই শাস্তি পাবে। যে সব খারাপ কাজ সে করেছে তার জন্য সে অবশ্যই শাস্তি পাবে। 3 এমন কি যাকোব যখন তার মায়ের গর্ভে ছিল, তখন থেকেই সে তার ভাইদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে শুরু করে দিয়েছিল। যাকোব একজন শক্তিশালী যুবক ছিল; এবং সেই সময় সে ঈশ্বরের সঙ্গে লড়াই করেছিল। 4 সে ঈশ্বরের দূতের সঙ্গে লড়াই করেছিল এবং জিতেছিল। সে কেঁদে অনুগ্রহ চেয়েছিল। বৈথেলে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে, সে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিল। 5 হ্যাঁ, সৈন্যবাহিনীর ঈশ্বর হচ্ছেন যিহোবা। তাঁর নাম যিহোবা (প্রভু)। 6 সেজন্য তোমরা তোমাদের ঈশ্বরের কাছে ফিরে এসো। তাঁর বশবর্তী হও, সঠিক কাজ কর! সব সময় তোমার ঈশ্বরকে বিশ্বাস কর!
7 “যাকোব একজন পাকা ব্যবসায়ী লোক। সে তার বন্ধুদেরও প্রতারণা করে! এমনকি তার দাঁড়িপাল্লাও ঠিক নেই। 8 ইফ্রয়িম বলেছিল, ‘আমি একজন ধনী! আমি প্রকৃত ধন খুঁজে পেয়েছি! কোনো ব্যক্তি আমার অপরাধ সম্পর্কে জানতে পারবে না। কোনও ব্যক্তিই আমার পাপের সম্বন্ধে জানতে পারবে না।’
9 “কিন্তু মিশরের ভূমিতে তোমরা যতদিন ছিলে ততদিন আমিই তোমাদের প্রভু, ঈশ্বর ছিলাম। ঈশ্বর সমাগম তাঁবুতে থাকার সময়ের মতো আমি তোমাদের তাঁবুতে বাস করবার ব্যবস্থা করব। 10 আমি ভাববাদীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাদের অনেক দর্শনশক্তি দিয়েছি। আমার শিক্ষা তোমাদের দেওয়ার জন্য আমি ভাববাদীদের অনেক পথ দেখিয়েছি। 11 কিন্তু গিলিয়দবাসীরা পাপী। সেখানে অনেকগুলো ভয়ঙ্কর মূর্ত্তি আছে। গিল্গলের লোকেরা ষাঁড়ের কাছে বলি উৎসর্গ করে। ওই লোকেদের বহু পূজোর বেদী আছে। চষা জমিতে আবর্জনার সারির মত সেখানে বেদীর সারি তৈরী হয়েছে।
12 “যাকোব অরামের দেশে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই জায়গায় ইস্রায়েল স্ত্রী পাবার জন্যে কাজ করেছিল। আরেকটি স্ত্রী পাবার জন্য সে মেষগুলির দেখাশোনা করেছিল। 13 কিন্তু ঈশ্বর একজন ভাববাদীকে ব্যবহার করে ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বার করে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ইস্রায়েলকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রভু একজন ভাববাদীকে ব্যবহার করবেন। 14 কিন্তু ইফ্রয়িম প্রভুকে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ করে তুলল। ইফ্রয়িম বহু লোককে হত্যা করেছিল। সেজন্য সে তার অপরাধের শাস্তি পাবে। তার গুরু (প্রভু) তাকে তার অবমাননা সহ্য করতে বাধ্য করবেন।”
135 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু নামের প্রশংসা কর!
হে প্রভুর দাসগণ, তাঁর প্রশংসা কর!
2 তোমরা যারা প্রভুর মন্দিরে দাঁড়িয়ে আছো,
আমাদের ঈশ্বরের মন্দিরের আঙিনায়, তারা তাঁর প্রশংসা কর।
3 প্রভুর প্রশংসা কর, কারণ তিনি ভালো।
তাঁর নামের প্রশংসা কর, কারণ তা অত্যন্ত মনোরম।
4 প্রভু যাকোবকে মনোনীত করেছেন।
ইস্রায়েল ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত।
5 আমি জানি প্রভু মহান!
আমাদের প্রভু সব দেবতাদের চেয়ে মহান!
6 স্বর্গে এবং পৃথিবীতে, সমুদ্র বা গভীর মহাসাগরে
ঈশ্বর যা চান তাই করতে পারেন।
7 ঈশ্বরই, সারা পৃথিবীতে মেঘ সৃষ্টি করেন।
ঈশ্বরই বৃষ্টি এবং বিদ্যুৎ সৃষ্টি করেন
এবং ঈশ্বরই বাতাস সৃষ্টি করেন।
8 ঈশ্বর, মিশরবাসীদের প্রথম সন্তান এবং সেখানকার পশুদের প্রথম শাবককে ধ্বংস করেছিলেন।
9 ঈশ্বর, মিশরে অনেক চমৎকার ও অলৌকিক কাজ করেছিলেন।
এমনকি ফরৌণ এবং তার আধিকারিকদের জন্যও ঈশ্বর এইসব ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
10 ঈশ্বর অনেক জাতিকে পরাজিত করেছিলেন।
অনেক শক্তিশালী রাজাকে ঈশ্বর হত্যা করেছিলেন।
11 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে ঈশ্বর পরাজিত করেছিলেন।
বাশনের রাজা ওগকে ঈশ্বর পরাজিত করেছিলেন।
কনানের সব রাজ্যগুলিকে ঈশ্বর পরাস্ত করেছিলেন।
12 এবং তাদের ভূখণ্ডগুলি প্রভু ইস্রায়েলকে দিয়েছেন।
তাদের ভূখণ্ড প্রভু তাঁর লোকদের দিয়েছেন।
13 প্রভু আপনার নাম চিরদিন ধরে বিখ্যাত থাকবে!
প্রভু মানুষ আপনাকে চিরকাল মনে রাখবে।
14 প্রভু জাতিগুলিকে শাস্তি দিয়েছিলেন।
কিন্তু প্রভু তাঁর সেবকদের প্রতি সদয় ছিলেন।
15 অন্যান্য লোকদের দেবতারা শুধুই সোনা ও রূপোর মূর্ত্তি।
ওদের দেবতারা নিছকই মানুষের হাতের তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
16 ওই মূর্ত্তিগুলোর মুখ ছিলো কিন্তু কথা বলতে পেতো না।
ওই মূর্ত্তিগুলোর চোখ ছিলো কিন্তু দেখতে পেতো না।
17 ওই মূর্ত্তিগুলোর কান ছিলো কিন্তু শুনতে পেতো না।
ওই মূর্ত্তিগূলোর নাক ছিলো কিন্তু ঘ্রাণ নিতে পারতো না।
18 যে লোকগুলো ওই মূর্ত্তিগুলো তৈরী করেছে তারাও ওই রকম হয়ে যাবে!
কেন? কারণ ওরা বিশ্বাস করে যে মূর্ত্তিগুলোই ওদের সাহায্য করবে।
19 হে ইস্রায়েলের পরিবারবর্গ, প্রভুর প্রশংসা কর!
হে হারোণের পরিবার, প্রভুর প্রশংসা কর!
20 হে লেবীয় পরিবার প্রভুর প্রশংসা কর!
হে প্রভুর অনুগামীরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
21 সিয়োন থেকে, তাঁর গৃহ জেরুশালেম থেকে,
প্রভু প্রশংসা প্রাপ্ত হন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
136 প্রভুর প্রশংসা কর কারণ তিনিই মঙ্গলকর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম বিরাজমান থাকে।
2 যিনি সব দেবতাদের দেবতা, সেই ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
3 সব প্রভুদের প্রভুকে প্রশংসা কর!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
4 ঈশ্বরের প্রশংসা কর যিনি একাই বিস্ময়কর সব কাজ করেন!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
5 ঈশ্বরের প্রশংসা কর যিনি প্রজ্ঞা দিয়ে আকাশ সৃষ্টি করেছেন!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
6 শুষ্ক ভূখণ্ডকে তিনি সাগরে স্থাপন করেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
7 ঈশ্বর মহান আলোগুলো সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
8 দিনকে শাসন করার জন্য ঈশ্বর সূর্য সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
9 রাত্রিকে শাসন করার জন্য ঈশ্বর চাঁদ এবং তারা সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
10 মিশরের প্রথম জাত মানুষ এবং প্রাণীকে ঈশ্বর হত্যা করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
11 ঈশ্বর ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বার করে এনেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
12 ঈশ্বর তাঁর বিপুল শক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে ছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগে ভাগ করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
14 ঈশ্বর লোহিত সাগরের মধ্যে দিয়ে ইস্রায়েলকে পরিচালিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম অনন্তকাল অব্যাহত থাকে।
15 ফরৌণ এবং সৈন্যবাহিনীকে ঈশ্বর লোহিত সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
16 ঈশ্বর তাঁর লোকদের মরুভূমির মধ্যে দিয়ে পথ দেখিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
17 ঈশ্বর শক্তিশালী রাজাদের পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
18 ঈশ্বর বলবান রাজাদের পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
19 ঈশ্বর ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
20 ঈশ্বর বাশনের রাজা ওগকে পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
21 ঈশ্বর তাদের ভূখণ্ড ইস্রায়েলকে দিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
22 ঈশ্বর সেই ভূখণ্ড ইস্রায়েলকে উপহারস্বরূপ দিয়েছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
23 যখন আমরা পরাজিত হয়েছিলাম, তখন ঈশ্বর আমাদের স্মরণে রেখেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
24 ঈশ্বর আমাদের শত্রুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
25 ঈশ্বর প্রত্যেকটি লোককে আহার দেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
26 স্বর্গের ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International