M’Cheyne Bible Reading Plan
আহস যিহূদার রাজা হলেন
16 রমলিয়র পুত্র পেকহর ইস্রায়েলে রাজত্বের 17তম বছরে যোথমের পুত্র আহস যিহূদার রাজা হলেন। 2 আহস যখন রাজা হন সে সময়ে তাঁর বয়স ছিল 20 বছর। তিনি 16 বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। আহস তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মত ছিলেন না, তিনি তাঁর রাজত্ব কালে প্রভুর অভিপ্রেত কাজকর্ম করেন নি। 3 আহস ইস্রায়েলের রাজাদের মতো জীবনযাপন করতেন। এমন কি তিনি তাঁর নিজের পুত্রকেও আগুনে বলিদান দিয়েছিলেন।[a] ইস্রায়েলীয়দের আবির্ভাবের আগে, প্রভু বীভৎস পাপ আচরণের জন্য যে সমস্ত দেশ পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, আহস সেই সমস্ত পাপ কার্য অনুসরণ করেছিলেন। 4 বলিদান করা ছাড়াও, আহস উচ্চস্থানে, পাহাড়ে ও প্রতিটি সবুজ গাছের নীচে ধুপধূনো দিতেন।
5 অরামের রাজা রৎসীন ও রমলিয়ের পুত্র ইস্রায়েলের রাজা পেকহ জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসে আহসকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেললেও শেষপর্যন্ত পরাজিত করতে পারেন নি। 6 কিন্তু, সেই সময়ে, অরামরাজ রৎসীন যিহূদার লোকদের যারা সেখানে বাস করত তাদের তাড়িয়ে এলত্ দখল করেন। এরপর অরামীয়রা এলতে বসবাস শুরু করে এবং তারা এখনো সেখানেই আছে।
7 আহস অশূররাজ তিগ্লৎ-পিলেষরের কাছে দূত পাঠিয়ে জানালেন, “আমি আপনার দাসানুদাস। আমাকে আপনার সন্তান জ্ঞান করে অরামের রাজা এবং ইস্রায়েলের রাজার হাত থেকে রক্ষা করুন! এরা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছে!” 8 প্রভুর মন্দিরের এবং রাজকোষের সমস্ত সোনা রূপো নিয়ে আহস উপহারস্বরূপ সেসব অশূররাজকে পাঠিয়ে দেন। 9 আহসের মিনতিতে সাড়া দিয়ে অশূররাজ দম্মেশকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দম্মেশক দখল করেন এবং রৎসীনকে হত্যা করে সেখানকার লোকদের বন্দী করে কীরে নিয়ে যান।
10 দম্মেশকে অশূররাজ তিগ্লৎ-পিলষরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে আহস সেখানকার বেদীটি দেখে তার একটা নকশা যাজক ঊরিয়র কাছে পাঠান। 11 যাজক ঊরিয় তখন আহস ফিরে আসার আগেই দম্মেশকের বেদীটির মতো অবিকল দেখতে আরেকটা বেদী বানিয়ে রাখলেন।
12 দম্মেশক থেকে ফিরে এসে আহস সেই বেদীতে শস্য নৈবেদ্য ও হোমবলি দিলেন। 13 এছাড়াও তিনি ওই বেদীতে হোমবলি ও শস্য নৈবেদ্য পোড়ালেন। তিনি বেদীর ওপর পেয় নৈবেদ্য ঢাললেন এবং মঙ্গল নৈবেদ্যের রক্ত ছিটিয়ে দিলেন।
14 মন্দিরের সামনে প্রভুর সম্মুখভাগ থেকে আগের পিতলের বেদীটি আহস তুলে ফেলেন কারণ এটি তাঁর বানানো বেদী ও প্রভুর মন্দিরের মাঝখানে ছিল। আগের বেদীটাকে আহস তাঁর নিজের বানানো বেদীর উত্তর দিকে বসিয়ে দেন। 15 আহস যাজক ঊরিয়কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, “সকালের হোমবলি, বিকেলের শস্য নৈবেদ্য ও দেশের লোকদের পেয় নৈবেদ্য যেন বড় বেদীর ওপর দেওয়া হয়। বলিদানের পর ও হোমবলির নৈবেদ্য থেকেও সমস্ত রক্ত যেন বড় বেদীটায় ঢালা হয়। পিতলের বেদীটা আমি ঈশ্বরকে প্রশ্ন করার সময় ব্যবহার করব।” 16 যাজক ঊরিয় রাজা আহসের নির্দেশ মতোই সমস্ত কাজ করেছিলেন।
17 মন্দিরে যাজকদের হাত ধোবার জন্য পাটাতনের ওপর পিতলে খোপ ও গামলা বসানো ছিল। আহস সেই সমস্ত খোপ ও গামলা সরিয়ে পাটাতনটি কেটে ফেলেন। তিনি ওটার তলায় রাখা পিতলের ষাঁড়ের সঙ্গে লাগানো বড় জল রাখার পাত্রটাও খুলে সান বাঁধানো মেঝেতে নামিয়ে দিয়েছিলেন। 18 কর্মীরা বিশ্রামের দিনের জমায়েতের জন্য মন্দিরের ভেতরে একটা ঢাকা জায়গা তৈরী করছিল। কিন্তু আহস সেই জায়গাটা সরিয়ে দেন। এছাড়াও আহস প্রভুর মন্দিরের বাইরের রাজাদের প্রবেশদ্বারটি খুলে নিয়েছিলেন। এসবই তিনি অশূররাজের জন্য করেছিলেন।
19 আহস যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন সে সব যিহূদার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 20 আহসের মৃত্যুর পর, তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে দায়ূদ নগরীতে সমাধিস্থ করা হয়। তারপর তাঁর পুত্র হিষ্কিয় নতুন রাজা হলেন।
সত্য শিক্ষার অনুসরণ
2 সত্য শিক্ষা অনুসরণের জন্য তুমি অবশ্যই লোকেদের এইসব কাজ করতে বলবে। 2 বৃদ্ধদের বল, যেন তাঁরা আত্মসংযমী, গম্ভীর ও বিজ্ঞ হন। তাঁরা যেন বিশ্বাসে, ভালোবাসায় ও ধৈর্য্য্যে দৃঢ় হন।
3 সেইভাবে বৃদ্ধদের বল তাঁরা যেন আচরণে পবিত্র হন। তাঁরা যেন অপরের সম্বন্ধে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে না বেড়ান ও দ্রাক্ষারসপানে আসক্ত না হন। কিন্তু তাঁরা যেন সৎ শিক্ষা দিয়ে বেড়ান 4 এবং যুবতীদের শিক্ষা দেন যেন তারা তাদের স্বামীদের ও সন্তানদের ভালবাসে। 5 তারা যেন বিচক্ষণ, পরিশুদ্ধ, গৃহকার্যে নিষ্ঠাবতী, দয়াময়ী ও স্বামীর প্রতি অনুগত হয় তাহলে কেউ ঈশ্বরের বার্তা সম্বন্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে পারবে না।
6 সেইভাবে যুবকদের বল যেন তারা সব কিছুতেই আত্মসংযম বজায় রাখে; 7 আর তুমি নিজে সব বিষয়ে তাদের সামনে সৎ কাজের আদর্শ হও। তুমি যখন শিক্ষা দেবে তখন সততা ও গাম্ভীর্য়ের সঙ্গে তা দিও। 8 যখন কথা বলবে তখন সত্য বলো যেন তুমি যা বলছ কেউ তার সমালোচনা করতে না পারে। এর ফলে তোমার বিপক্ষরা লজ্জায় পড়বে, কারণ তোমার সম্পর্কে সে খারাপ কিছুই বলতে পারবে না।
9 দাসদের তুমি এই শিক্ষা দাও: তারা যেন সবসময় নিজেদের মনিবদের আজ্ঞা পালন করে, তাদের সন্তুষ্ট রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে, এবং মনিবদের কথার প্রতিবাদ না করে। 10 তারা যেন মনিবদের কিছু চুরি না করে এবং তাদের মনিবদের বিশ্বাসভাজন হয়। এইভাবে তাদের সমস্ত আচরণে প্রকাশ পাবে যে আমাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বরের শিক্ষা উত্তম।
11 ঐভাবেই আমাদের চলা উচিত কারণ ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে। সে অনুগ্রহ প্রত্যেক মানুষকে রক্ষা করতে পারে, সেই অনুগ্রহ আমাদের দেওয়া হয়েছে। 12 সেই অনুগ্রহ আমাদের শিক্ষা দেয় যেন আমরা ঈশ্বরবিহীন জীবনযাপন না করি ও জগতের কামনা বাসনা অগ্রাহ্য করে এই বর্তমান জগতে আত্মনিয়ন্ত্রিত, ন্যায়পরায়ণ এবং ধার্মিকভাবে জীবনযাপন করি। 13 আমাদের মহান ঈশ্বর এবং ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের মহিমার আবির্ভাবের জন্য যখন অপেক্ষা করছি, তখন যেন আমরা সবাই এইভাবেই চলি। তিনিই আমাদের মহান প্রত্যাশা, যিনি মহিমা নিয়ে আসবেন। 14 খ্রীষ্ট আমাদের জন্যে নিজেকে দিলেন, যাতে সমস্ত মন্দ থেকে আমাদের উদ্ধার করতে পারেন, যাতে আমরা সৎ কর্মে আগ্রহী ও পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে কেবল তাঁর হই।
15 এসব কথা বল এবং পূর্ণ কর্তৃত্ত্বের সঙ্গে তাদের উৎসাহিত কর ও তিরস্কার কর। কেউ যেন তোমাকে তুচ্ছ করতে না পারে।
নির্বাসনের দুঃখ
9 ইস্রায়েল, তোমরা অন্য জাতির মতো উৎসব কোরো না, আনন্দিত হয়ো না! তোমরা পতিতার মতো ব্যবহার করেছো এবং তোমরা ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেছো। প্রত্যেক মাড়াইয়ের জমিতে তোমরা যৌন পাপ কাজ করেছিলে। 2 কিন্তু ওই মাড়াইয়ের জমি থেকে পাওয়া শস্য যথেষ্ট পরিমাণে ইস্রায়েলকে খাদ্য দেবে না। সেখানে ইস্রায়েলের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে দ্রাক্ষারসও থাকবে না।
3 ইস্রায়েল জাতি প্রভুর দেশে বাস করতে পারবে না। ইফ্রয়িম মিশরে ফিরে যাবে। যে খাদ্যগুলো তাদের খাওয়া উচিত নয়, সেই খাদ্যগুলি তারা অশূরীয়তে খাবে। 4 ইস্রায়েল জাতি প্রভুকে দ্রাক্ষারস নৈবেদ্য দেবে না। তারা তার কাছে বলি উৎসর্গ করবে না। তাদের উৎসর্গীকৃত খাদ্য শেষের সময়কার খাদ্যের মতো মনে হবে। তারা যা খাবে তা অপরিচ্ছন্ন হবে। তাদের রুটি প্রভুর মন্দিরে যাবে না—তা তাদের নিজেদেরই খেতে হবে। 5 তারা (ইস্রায়েল জাতি) প্রভুর ছুটির দিন অথবা উৎসবের দিন উদ্যাপন করতে পারবে না।
6 ইস্রায়েলের লোকরা সে দেশ ত্যাগ করেছে তার কারণ শত্রুরা তাদের সর্বস্ব নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু মিশর লোকগুলোকেই নেবে। মোফ তাদের সমাহিত করবে। তাদের রূপোর কোষাগারে আগাছা জন্মাবে। যেখানে ইস্রায়েলীয়রা বাস করত সেখানে কাঁটাগাছ জন্মাবে।
ইস্রায়েল প্রকৃত ভাববাদীদের বাতিল করেছে
7 ভাববাদীরা বলে, “ইস্রায়েল, এই বিষয়গুলি তোমরা শেখো: শাস্তির সময় এসেছে। তোমরা যে মন্দ কাজগুলো করেছিলে তার খেসারত দেবার সময় এসেছে।” কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা বলছে, “ভাববাদীরা নির্বোধ। ঈশ্বরের আত্মা বিশিষ্ট এই ব্যক্তিটি বিকৃত মস্তিষ্ক।” ভাববাদীরা বলছে, “তোমার খারাপ কাজের জন্য এবং তোমার ঘৃণার জন্যও তুমি শাস্তি পাবে। তোমার কুৎসিত পাপ ও ঘৃণার জন্য তুমি শাস্তি পাবে।” 8 ঈশ্বর এবং ভাববাদীরা হচ্ছে পাহারাওয়ালার মতো যারা ইফ্রয়িমের ওপর নজর রাখছে। কিন্তু পথে অনেক ফাঁদ পাতা আছে। লোকরা ভাববাদীদের ঘৃণা করে। এমনকি, ঈশ্বরের আবাসের মধ্যেও লোকরা ভাববাদীকে ঘৃণা করে।
9 গিবিয়ার সময়ের মতই ইস্রায়েলীয়রা দুষ্ট। প্রভু ইস্রায়েল জাতির পাপ কাজ মনে রাখবেন। তিনি তাদের পাপের জন্য শাস্তি দেবেন।
মূর্ত্তির পূজা করার জন্য ইস্রায়েল ধ্বংস হয়েছে
10 “যে সময় আমি ইস্রায়েলকে পেলাম, সে সময় তারা ছিল মরুভূমিতে পাওয়া টাটকা দ্রাক্ষার মতো। তারা ঋতু সূচনায় গাছের প্রথম ডুমুরগুলির মতো ছিল। কিন্তু তারপর তারা বালপিয়োরের কাছে এল এবং বদলে গেল, তাই তাদের আমায় পচে যাওয়া ফলের মত ছুঁড়ে ফেলে দিতে হল। তারা সেই ভয়ঙ্কর জিনিসের (মূর্ত্তির) মতোই হয়ে উঠল যাদের তারা ভালবাসত।
ইস্রায়েল জাতির কোন সন্তান হবে না
11 “একটি পাখীর মতোই ইফ্রয়িমের মহিমা উড়ে যাবে। সেখানে আর কেউ গর্ভবতী হবে না। কোন জন্ম হবে না, কোন শিশু থাকবে না। 12 কিন্তু যদি কোন ইস্রায়েলীয়রা তাদের সন্তানদের লালন-পালন করে তাহলেও সে তাদের কোন সাহায্যে আসবে না। আমি তাদের কাছ থেকে শিশুদের নিয়ে নেব। আমি তাদের ত্যাগ করব, এবং ঝামেলা ছাড়া তাদের কাছে আর কিছুই থাকবে না।”
13 আমি দেখতে পাচ্ছি যে ইফ্রয়িম তার সন্তানদের ফাঁদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইফ্রয়িম তার সন্তানদের হত্যাকারীর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 14 প্রভু, আপনি যা চান তাই তাদের দিন। তাদের এমন একটি জরায়ু দিন যাতে সন্তান ধারণ না করে। তাদের এমন স্তন দিন যা দুধ দিতে পারে না।
15 তাদের সব মন্দতা গিল্গলে রয়েছে।
আমি সেখানে তাদের ঘৃণা করতে আরম্ভ করেছি।
আমি তাদের আমার বাড়ি ছাড়তে বলপ্রয়োগ করব
কারণ তারা সব পাপ কাজ করেছে।
আমি তাদের আর কখনোই ভালবাসব না।
তাদের নেতারা বিদ্রোহী, তারা আমার বিরুদ্ধে গেছে।
16 ইফ্রয়িম শাস্তি পাবে। তাদের মূল শুকিয়ে যাচ্ছে।
তাদের আর সন্তান হবে না।
সন্তানের জন্ম হয়ত তারা দিতে পারে,
কিন্তু তাদের শরীর থেকে যে প্রিয় সন্তান সৃষ্টি হবে
তাদের আমি হত্যা করব।
17 ওই লোকরা আমার ঈশ্বরের কথা শুনবে না।
সেজন্য তিনিও তাদের কথা শুনতে অস্বীকার করবেন।
তারা গৃহহীন হয়ে অন্য জাতের মানুষের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
126 সিয়োন থেকে নির্বাসিত লোকদের প্রভু যখন ফিরিয়ে আনলেন,
সেই সময় যেন স্বপ্নের মতই ছিলো!
2 আমরা আনন্দে ভরে গিয়েছিলাম এবং আনন্দে গান গেয়েছিলাম!
তখন অন্যান্য জাতিতে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লো,
“ইস্রায়েলের লোকদের জন্য প্রভু বিস্ময়কর সব কাজ করেছেন।”
3 হ্যাঁ, প্রভু আমাদের জন্য চমৎকার জিনিসগুলি করেছেন এবং এই বিষয়ে আমরা খুশী।
4 হে প্রভু, মরুভূমিতে অতর্কিত বন্যার মত
আমাদের ভাগ্য[a] ফিরিয়ে দিন।
5 কোন ব্যক্তি যখন বীজ বোনে তখন হয়তো সে বিমর্ষ থাকে।
কিন্তু যখন সে ফসল সংগ্রহ করে তখন সে খুশী হয়।
6 যখন সে জমিতে বীজ বয়ে নিয়ে যায় তখন সে কাঁদতে পারে।
কিন্তু যখন সে শস্য ঘরে তোলে তখন সে খুশী হবে, আর উল্লাসে চিৎকার করবে!
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য শলোমনের একটি গীত।
127 যদি প্রভু স্বয়ং একটি বাড়ী না তৈরী করেন,
তাহলে নির্মাণকারীরা বৃথাই তাদের সময় নষ্ট করছে।
যদি প্রভু স্বয়ং শহরের নজরদারি না করেন
তাহলে রক্ষী বৃথাই তার সময় নষ্ট করছে।
2 জীবিকার জন্য ভোরে ওঠা
এবং অধিক রাত পর্যন্ত কাজ করা অবশ্যই সময়ের অপচয়।
ঈশ্বর যাদের ভালোবাসেন
তাদের রাত্রে সুনিদ্রা দেন।
3 শিশুরা ঈশ্বরেরই উপহার। তারা হল মায়ের গর্ভ থেকে পাওয়া পুরস্কার।
4 একজন যুবকের ছেলেরা একজন সৈনিকের তূণের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা তীরের মত।
5 যে লোক তার তূণকে সন্তান দ্বারা পূর্ণ করে সে ধন্য হবে।
সেই লোক কখনই পরাজিত হবে না নগরের ফটকগুলিতে, তার সন্তানরা তাকে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবে।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
128 প্রভুর প্রত্যেকটি অনুগামীই সুখী।
ঈশ্বর যেভাবে চান তারা সেইভাবেই বাঁচে।
2 যার জন্য তুমি পরিশ্রম করছো তা তুমি উপভোগ করবে।
তুমি সুখী হবে এবং তোমার ভাল হবে।
3 গৃহে তোমার স্ত্রী ফলদায়ী দ্রাক্ষালতার মতই হবে।
তোমার সন্তানরা তোমার পোঁতা জলপাই গাছের মতই তোমার টেবিলের চারপাশে থাকবে।
4 এইভাবেই প্রভু তাঁর অনুগামীকে তাঁর প্রকৃত আশীর্বাদ দেবেন।
5 সিয়োন থেকে প্রভু তোমায় আশীর্বাদ করুন।
সারা জীবন ধরে জেরুশালেমে তুমি তাঁর আশীর্বাদ উপভোগ কর।
6 তুমি যেন তোমার নাতি-নাতনিদের দেখার জন্য দীর্ঘ জীবন লাভ কর।
ইস্রায়েলের শান্তি বজায় থাকুক।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International