M’Cheyne Bible Reading Plan
16 প্রভু তখন হনানির পুত্র যেহূর সঙ্গে কথা বললেন এবং রাজা বাশার বিরুদ্ধে কথা বললেন। 2 তিনি বললেন, “আমি তোমাকে ধূলো থেকে উঠিয়ে এনে ইস্রায়েলে আমার লোকদের নেতা করেছিলাম। কিন্তু তুমি যারবিয়ামের আচরণ অনুসরণ করেছ। আমার ইস্রায়েলের লোকদের পাপ আচরণের কারণ হয়েছ এবং তারা তাদের পাপ দিয়ে আমাকে ক্রুদ্ধ করেছে। 3 তাই বাশা, আমি তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে ধ্বংস করব। নবাটের পুত্র যারবিয়ামের পরিবারের যে দশা হয়েছিল তোমাদেরও তাই হবে। 4 তোমার পরিবারের সবাই শহরের পথেঘাটে মারা পড়বে, কুকুরে তাদের মৃতদেহ ছিঁড়ে খাবে। অন্যরা মাঠেঘাটে মরে পড়ে থাকবে। চিল শকুনী তাদের মৃতদেহ ঠোকরাবে।”
5 বাশা ও তাঁর উল্লেখযোগ্য কীর্তির সব কিছুই ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 6 বাশার মৃত্যুর পর তাঁকে তির্সাতে সমাধিস্থ করা হল। এরপর তাঁর পুত্র এলা নতুন রাজা হলেন।
7 যারবিয়ামের পরিবারের মতোই বাশাও প্রভুর বিরুদ্ধে বহু পাপ আচরণ করে, যার ফরে প্রভু তার প্রতি ক্রুদ্ধ হন এবং ভাববাদী যেহূকে বাশার পরিণতির কথা জানিয়ে দেন। বাশা যারবিয়ামের পরিবারের সবাইকে হত্যা করার জন্যও প্রভু তাঁর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন।
ইস্রায়েলের রাজা এলা
8 আসার যিহূদায় রাজত্বের 26 বছরের মাথায় বাশার পুত্র এলা ইস্রায়েলের নতুন রাজা হলেন। এলা তির্সাতে দুবছর রাজত্ব করেছিলেন।
9 সিম্রি ছিলেন এলার অধীনস্থ একজন রাজকর্মচারী। সিম্রি এলার অর্ধেক রথ বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন। সিম্রি এলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। রাজা এলা তখন অর্সার বাড়িতে বসে দ্রাক্ষারস পান করছিলেন। অর্সা তির্সার প্রাসাদরক্ষক ছিল। 10 সিম্রি সে সময় ঐ বাড়িতে ঢুকে এলাকে হত্যা করেন। যিহূদাতে আসার রাজত্বের 27 বছরের মাথায় এই ঘটনা ঘটে। সিম্রি এলার পরে ইস্রায়েলের নতুন রাজা হলো।
ইস্রায়েলের রাজা সিম্রি
11-12 সিম্রি ইস্রায়েলের নতুন রাজা হবার পর তিনি একে একে বাশার পরিবারের সকলকে হত্যা করলেন, কাউকে রেহাই দিলেন না। সিম্রি বাশার বন্ধু-বান্ধবদেরও সবাইকে হত্যা করলেন। প্রভু যেভাবে ভাববাদী যেহূর কাছে বাশার মৃত্যু সম্পর্কে ভাববাণী করেছিলেন ঠিক সে ভাবেই বাশা ও তাঁর পরিবারের সকলের মৃত্যু হল। 13 বাশা ও তাঁর পুত্র এলার পাপ আচরণের জন্যই এই ঘটনা ঘটলো। তাঁরা শুধু নিজেরাই পাপ করেন নি, ইস্রায়েলের লোকদেরও পাপ আচরণে বাধ্য করেছিলেন। এই কারণে প্রভু তাদের ওপর ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়াও তারা মূর্ত্তি পূজা করতেন বলে প্রভু ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন।
14 এলা আর যা কিছু করেছিলেন তা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।
15 যিহূদাতে আসার রাজত্বের 27তম বছরে সিম্রি ইস্রায়েলের রাজা হলেন। সিম্রি মাত্র 7 দিনের জন্য তির্সাতে রাজত্ব করেছিলেন। পলেষ্টীয় অধিকৃত গিব্বথোনের কাছে ইস্রায়েলের সেনাবাহিনী তখন শিবির গেড়েছিল। তারা সে সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। 16 তাদের কানে এলো সিম্রি ইস্রায়েলের রাজার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁকে হত্যা করেছেন। তখন ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দা সেই শিবিরেই সেনাপতি অম্রিকে ইস্রায়েলের রাজা হিসেবে ঠিক করলো। 17 তখন অম্রি ও ইস্রায়েলের সবাই গিব্বথোন থেকে এসে তির্সা আক্রমণ করলো।
18 সিম্রি যখন বুঝতে পারলেন তির্সা শত্রুপক্ষের দখলে চলে গেছে, তখন তিনি রাজপ্রাসাদে নিজেকে বন্ধ করে প্রাসাদে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন। 19 সিম্রিও যারবিয়ামের মতোই প্রভুর অনভিপ্রেত পাপ আচরণ করেছিলেন ও ইস্রায়েলের লোকদের পাপ কার্য্যের কারণ হয়েছিলেন। আর এই পাপের জন্যই সিম্রির মৃত্যু হল।
20 সিম্রির গল্প, তাঁর চক্রান্ত ও অন্যান্য যা কিছু তিনি করেছিলেন তা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। সিম্রি রাজা এলার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর কি হয়েছিল সেই কথাও এই গ্রন্থে লেখা আছে।
ইস্রায়েলের রাজা অম্রি
21 সে সময়ে ইস্রায়েলের বাসিন্দারা দুটি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। অর্ধেক লোক চাইছিল গীনতের পুত্র তিব্নিকে রাজা করতে, বাকী অর্ধেক ছিল অম্রির অনুগামী। 22 অম্রির সমর্থকরা বেশী শক্তিশালী হওয়ায় তিব্নি নিহত হলেন এবং অম্রি নতুন রাজা হলেন।
23 আসা যিহূদায় রাজত্ব করার 31 বছরের মাথায় অম্রি ইস্রায়েলের রাজা হন। তিনি 12 বছর ইস্রায়েল শাসন করেন। তার মধ্যে 6 বছর তিনি তির্সা শহর থেকে রাজত্ব করেছিলেন। 24 অম্রি 150 পাউণ্ড রূপো দিয়ে শেমরের কাছ থেকে শমরিয়া পাহাড়টি কিনে সেখানে একটি শহর বানান। পাহাড়ের আগের মালিক শেমরের নামেই তিনি ঐ শহরটির নাম শমরিয়া দিয়েছিলেন।
25 প্রভু যা যা অনুচিত বলে ঘোষণা করেছিলেন, রাজা অম্রি ঠিক সেইগুলোই করেছিলেন। তাঁর আগে যে সব রাজারা রাজত্ব করেছিলেন তিনি তাঁদের চেয়েও খারাপ ছিলেন। 26 নবাটের পুত্র যারবিয়াম যে সব পাপ করেছিলেন তিনিও ঠিক সেই পাপগুলো করেছিলেন এবং তিনি ইস্রায়েলের লোকদেরও পাপের কারণ হয়েছিলেন। অতএব তাঁরা ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রভুকে ক্রুদ্ধ করে তুলেছিলেন কারণ তাঁরা অর্থহীন, মূল্যহীন মূর্ত্তিসমূহের পূজা করেছিলেন।
27 অম্রি সম্পর্কে আর সব কিছু তিনি যা যা উল্লেখযোগ্য কাজ করেছিলেন ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। 28 অম্রির মৃত্যুর পর তাঁকে শমরিয়া শহরেই সমাধিস্থ করা হল। তাঁরপর তাঁর পুত্র আহাব নতুন রাজা হলেন।
ইস্রায়েলের রাজা আহাব
29 আসার যিহূদায় রাজত্ব কালের 38 বছরের সময়ে অম্রির পুত্র আহাব ইস্রায়েলের রাজা হন। আহাব শমরিয়া শহর থেকে 22 বছর ইস্রায়েল শাসন করেছিলেন। 30 আহাব তাঁর আগের রাজাদের তুলনায় আরো খারাপ ছিলেন। প্রভু যা কিছু অন্যায় বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি সেগুলোই করেছিলেন। 31 নবাটের পুত্র যারবিয়ামের মতো পাপ আচরণ করেও আহাব ক্ষান্ত হন নি, উপরন্তু তিনি সীদোনীয় রাজা ইৎবালের কন্যা ঈষেবলকে বিয়ে করেছিলেন। এরপর আহাব বাল মূর্ত্তির পূজা করতে শুরু করেন এবং 32 শমরিয়া শহরে বাল পূজার জন্য একটা মন্দির করে সেখানে বেদী বানিয়ে দিয়েছিলেন। 33 আশেরার আরাধনার জন্যও তিনি একটি খুঁটি পুঁতে দিয়েছিলেন। ইস্রায়েলে তাঁর আগে অন্য যে সব রাজা শাসন করেছিলেন তাঁদের তুলনায় প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে ক্রুদ্ধ করার মতো আহাব অনেক বেশী পাপকার্য করেছিলেন।
34 আহাবের শাসন কালে বৈথেলের হীয়েল যিরীহো শহরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। এই কাজের ফলস্বরূপ হীয়েল যে সময়ে শহরটি বানানোর কাজ শুরু করেন, সে সময় তাঁর বড় ছেলে অবীরাম মারা যায়। আর শহরের তোরণ বসানোর কাজ শেষ হলে হীয়েলের ছোট ছেলে সগুবেরও মৃত্যু হল। নূনের পুত্র যিহোশূয়ের মাধ্যমে প্রভু যে ভাবে ভাববাণী করেছিলেন ঠিক সে ভাবেই এইসব ঘটেছিল।
খ্রীষ্টে তোমার নতুন জীবন
3 খ্রীষ্টের সঙ্গে তোমরা মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছ; তাই স্বর্গীয় বিষয়গুলির জন্য চেষ্টা কর, যেখানে খ্রীষ্ট ঈশ্বরের দক্ষিণ পাশে বসে আছেন। 2 সেই স্বর্গীয় বিষয়সকলের কথা ভাব, যে সকল বিষয়বস্তু জগতে আছে সেগুলির বিষয় নয়। 3 কারণ তোমাদের পুরানো সত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে আর তোমাদের নতুন জীবন খ্রীষ্টের সঙ্গে ঈশ্বরের মধ্যে নিহিত আছে। 4 খ্রীষ্ট যখন ফিরে আসবেন, তখন তোমরাও তাঁর সঙ্গে মহিমামণ্ডিত হয়ে প্রকাশিত হবে।
5 তাই তোমাদের জাগতিক স্বভাব থেকে সব মন্দ বিষয় দূর করে দাও। যেমন: যৌনপাপ, অপবিত্রতা, অশুচি চিন্তার বশবর্তী হওয়া, মন্দ বিষয়ের লালসা করা এবং লোভ। লোভ এক প্রকার প্রতিমা পূজা। 6 এইসবের জন্য ঈশ্বরের ক্রোধ হচ্ছে। 7 তোমাদের অতীতের পাপময় জীবনে তোমরা সেইসব মন্দ কাজে লিপ্ত ছিলে।
8 কিন্তু এখন তোমাদের জীবন থেকে রাগ, ক্রোধ, ঘৃণাপূর্ণ অনুভূতি, অপমানসূচক আচরণ এবং লজ্জাজনক আলাপ সব দূর করে দাও। 9 পরস্পরের কাছে মিথ্যা বলো না, কারণ তোমরা তোমাদের পুরানো পাপময় সত্ত্বাকে তার সমস্ত মন্দ কর্ম সমেত ত্যাগ করেছ। 10 তোমরা নতুন সত্ত্বাকে পরিধান করেছ; এই নতুন জীবনে তোমাদের নতুন করে তৈরী করা হচ্ছে। তোমাদের যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমরা তাঁর মতো হয়ে উঠছ, এই নতুন জীবনের মাধ্যমে তোমরা ঈশ্বরের সত্য পরিচয় পাচ্ছ। 11 এই নতুন জীবনে ইহুদী কি গ্রীক এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যাদের সুন্নত হয়েছে আর যাদের সুন্নত হয় নি, অথবা কোন বিদেশী বা বর্বর এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ক্রীতদাস বা স্বাধীনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। খ্রীষ্ট ঐসব বিশ্বাসীদের মধ্যে বাস করেন। একমাত্র খ্রীষ্টই হলেন প্রয়োজনীয় বিষয়।
পরস্পরের সাহচর্য্যে তোমাদের নতুন জীবন
12 ঈশ্বর তোমাদের মনোনীত করেছেন ও তোমাদের তাঁর পবিত্র লোক বলে নিরূপণ করেছেন। তিনি তোমাদের ভালবাসেন, তাই এইসব ভাল গুণগুলি ধরে রেখে সহানুভূতিপূর্ণ, দয়ালু, নম্র, ভদ্র এবং ধৈর্য্য্যবান হও। 13 পরস্পরের প্রতি ক্রুদ্ধ ভাব রেখো না কিন্তু একে অপরকে ক্ষমা কর। কেউ যদি তোমার বিরুদ্ধে কোন অন্যায় করে, তবে একে অপরকে ক্ষমা করো। অপরকে ক্ষমা করো, কারণ প্রভু তোমাদের ক্ষমা করেছেন। 14 এসব তো করবেই কিন্তু সবার ওপরে পরস্পরের প্রতি ভালবাসা রেখো, সেই ভালোবাসা তোমাদের একসূত্রে গাঁথে আর পরিপূর্ণতা দেয়। 15 প্রভু খ্রীষ্ট যে শান্তি দেন তা তোমাদের অন্তরের সমস্ত চিন্তাকে সংযত রাখুক। তোমরা তো সেই কারণেই শান্তি পেতে একদেহে আহূত হয়েছ। তোমরা সব সময় কৃতজ্ঞ থাক।
16 খ্রীষ্টের শিক্ষা তোমাদের অন্তরে প্রচুর পরিমাণে থাকুক। সকল বিজ্ঞতা ব্যবহার করে পরস্পরকে বলিষ্ঠ কর এবং শিক্ষা দাও। কৃতজ্ঞচিত্তে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গীতসংহিতার গীত, প্রশংসার গীত এবং আত্মিক গীত গাও। 17 কথায় বা কাজে যা কিছু করো, সবই প্রভুর নামে কর এবং পিতা ঈশ্বরকে যীশুর মাধ্যমে ধন্যবাদ দাও।
অন্যের সঙ্গে তোমার নতুন জীবন
18 স্ত্রীরা, তোমরা তোমাদের স্বামীর অনুগতা থাক, এটাই হবে প্রভুর অনুসারীদের উপযুক্ত কাজ।
19 স্বামীরা, তোমরা তোমাদের স্ত্রীকে ভালবাস, তাদের সঙ্গে মধুর ব্যবহার করো।
20 সন্তানরা, তোমরা সব বিষয়ে তোমাদের বাবা-মার বাধ্য হয়ো, এতে প্রভু সন্তুষ্ট হন।
21 পিতারা তোমরা তোমাদের সন্তানদের বিরক্ত করো না, তাদের খুশী মতো চলতে না পারলে তারা উৎসাহ হারাবে।
22 ক্রীতদাসরা, তোমাদের মনিবদের সব বিষয়ে মান্য করবে। তাঁরা দেখুন বা না দেখুন তোমরা সব সময় তাঁদের বাধ্য থেকো। এতে তোমরা মানুষকে খুশী করতে নয়, কিন্তু প্রভুকেই খুশী করতে চেষ্টা করছ, সুতরাং সততার সঙ্গে মনিবদের মান্য করো, কারণ তোমরা প্রভুকে সম্মান করো। 23 তোমরা সমস্ত কাজ আন্তরিকতার সঙ্গে করো। মানুষের জন্য যে করছ তা নয়, কিন্তু প্রভুর কাজ মনে করেই কাজ করে যাও। 24 মনে রেখো, প্রভুর কাছ থেকেই তোমরা তার পুরস্কার পাবে। ঈশ্বর তাঁর আপনজনদের দেবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তোমরা তার অংশীদার হবে। তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টেরই সেবা করছ। 25 মনে রেখো, কেউ যদি অন্যায় কাজ করে, সেই ব্যক্তিকে তার অন্যায় কাজের জন্য শাস্তি পেতে হবে। প্রভু সকলকেই সমভাবে বিচার করেন।
নিস্তারপর্বের নৈবেদ্য
46 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ভিতরের প্রাঙ্গণের পূর্বের দিকের দরজা সপ্তাহে কাজ করার ছয় দিন বন্ধ থাকবে কিন্তু নিস্তারপর্বের দিন ও অমাবস্যায় তা খুলে দেওয়া হবে। 2 শাসক সেই দরজার অলিন্দ দিয়ে গিয়ে চৌকাঠে দাঁড়াবে। যাজক তখন শাসকের সেই হোমবলি ও সহভাগীতার নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। শাসক কিন্তু দরজার মুখে উপাসনা করবে এবং তারপর বাইরে যাবে। সূর্য্যাস্ত পর্যন্ত সেই দরজা বন্ধ করা হবে না। 3 সাধারণ লোকরাও নিস্তারপর্বের দিনে ও অমাবস্যার দিনে সেই দরজায় দাঁড়িয়ে প্রভুর উপাসনা করবে।
4 “শাসক নিস্তারপর্বের দিন প্রভুকে উৎসর্গ করার জন্য অবশ্যই ছটি নির্দোষ মেষশাবক ও নিখুঁত পুং মেষের যোগান দেবে। 5 নৈবেদ্য হিসাবে মেষের সাথে তাকে এক ঐফা শস্য দিতে হবে তবে মেষশাবকের সাথে দেওয়া শস্য নৈবেদ্যর পরিমাণ শাসকের ইচ্ছানুসারেই হবে। কিন্তু প্রতি ঐফা শস্যের সাথে তিনি অবশ্যই এক হিন পরিমাণ তেল দেবেন।
6 “অমাবস্যার দিন তাকে এক নির্দোষ যুব ষাঁড়, ছটি মেষশাবক ও একটি পুং মেষ উৎসর্গ করতে হবে। 7 শাসক প্রতি ষাঁড়ের সাথে ও প্রতি পুং মেষের সঙ্গে এক এক ঐফা শস্য আনবে। মেষশাবকের সাথে যে শস্য নৈবেদ্য দিতে হবে তার পরিমাণ শাসকের ইচ্ছানুযায়ী হতে পারে কিন্তু প্রতি ঐফা শস্যের সঙ্গে তাকে অবশ্যই এক হিন পরিমাণ তেল দিতে হবে।
8 “ঢোকার সময় শাসক অবশ্যই পূর্ব দিকের দরজার বারান্দায় প্রবেশ করবে এবং সেই দিক দিয়েই বেরিয়ে আসবে।
9 “বিশেষ পর্বের সময় সাধারণ মানুষ যখন প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসে, তখন যে ব্যক্তি উপাসনা করার জন্য উত্তরের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সে দক্ষিণের দরজা দিয়ে বাইরে যাবে আর যে ব্যক্তি দক্ষিণের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সে উত্তরের দরজা দিয়ে বাইরে যাবে। যে পথে প্রবেশ করা হয়েছে সেই পথ দিয়ে কেউ যেন বাইরে না যায়। প্রত্যেক ব্যক্তি যেন সোজা পথ চলে বাইরে বার হয়। 10 শাসক লোকদের মধ্যে থাকবে। লোকেরা ভেতরে প্রবেশ করলে শাসকও প্রবেশ করবে এবং তারা বার হলে সেও বার হবে।
11 “পর্বের সময় এবং বিশেষ বিশেষ সমাবেশের সময় প্রতিটি বৃষ-বৎসের সঙ্গে এক ঐফা শস্য নৈবেদ্য এবং প্রতি পুং মেষের সঙ্গেও এক ঐফা করে শস্য নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে হবে। মেষশাবকের সাথে শস্য নৈবেদ্যর পরিমাণ যে ব্যক্তি ঐটি উৎসর্গ করছে তার ইচ্ছানুযায়ী হতে পারে কিন্তু তাকে প্রতি ঐফা শস্যের সঙ্গে অবশ্যই যেন এক হিন পরিমাণ তেল দিতে হবে।
12 “শাসক যখন প্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের ইচ্ছানুসারে উপহার আনে তখন তা হোমবলি, সহভাগীতার বলি বা মনের ইচ্ছানুযায়ী উৎসর্গ হতে পারে—এর জন্য পূর্ব দিকের দরজা খোলা থাকবে। শাসক নিস্তারপর্বের মত তার হোমবলি ও সহভাগীতার বলি উৎসর্গ করবে এবং সে চলে গেলে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রতি দিনের নৈবেদ্য
13 “প্রতিদিন তুমি একটি নির্দোষ এক বৎসর বয়স্ক মেষশাবকের যোগান দেবে। তা প্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি রূপে উৎসর্গ করা হবে। প্রতি সকালে তার যোগান দেবে। 14 তাছাড়া প্রতি দিন সকাল বেলা মেষশাবকের সঙ্গে শস্য নৈবেদ্যও উৎসর্গ করবে। গম ভেজাবার জন্য প্রতি 1/6 ঐফা গমের সঙ্গে 1/3 হিন পরিমান তেলও তোমাকে দিতে হবে। এ হবে প্রভুর উদ্দেশ্যে প্রতি দিনের জন্য উৎসর্গীকৃত শস্য নৈবেদ্য। 15 তারা চিরকাল প্রতি সকাল বেলা মেষশাবক, শস্য নৈবেদ্য, ও তেল হোমবলি উৎসর্গ করার জন্য দেবে।”
শাসকদের উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিধি সমূহ
16 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যদি শাসক তার জমির কোন অংশ তার পুত্রকে দেয়, তবে সেই অংশ পুত্রদের সম্পত্তি হবে। 17 কিন্তু শাসক যদি সেই জমির অংশ উপহার হিসাবে তার কোন এক দাসকে দেয় তবে তা কেবল মুক্তির বছর[a] পর্যন্ত সেই দাসের অধিকারে থাকবে তারপর তা শাসকের কাছে ফেরত যাবে। কেবল শাসকের পুত্ররাই উপহারের স্থায়ী অধিকারী হতে পারে। 18 শাসক লোকদের কোন জমি নেবে না বা তাদের জোরপূর্বক জমি ছেড়ে যেতে বাধ্য করবে না। শাসক কেবলমাত্র তার নিজের জমির কিছু অংশ তার পুত্রদের দেবে এবং এইভাবে আমার লোকরা তাদের জমি ছাড়তে বাধ্য হবে না।”
বিশেষ রান্নার ঘর
19 সেই পুরুষ আমায় দরজার পাশের প্রবেশ পথে চালিত করে উত্তর দিকে যাজকদের জন্য যে পবিত্র ঘরগুলি আছে সেইখানে নিয়ে গেলেন। সেখানে পশ্চিম প্রান্তের সরু রাস্তাটিতে আমি একটা স্থান দেখলাম। 20 সেই পুরুষটি আমায় বলল, “এইস্থানে যাজকদের দোষমোচনের বলি ও পাপমোচনের বলি অবশ্য সেদ্ধ করতে হবে। তারা শস্য নৈবেদ্য পোড়াবে, তাই তাদের এইসব নৈবেদ্য প্রাঙ্গণে নিয়ে আসার দরকার হবে না। তারা এইসব পবিত্র জিনিষ বাইরে আনবে না যেখানে লোকেরা থাকে।”
21 তখন সেই পুরুষটি আমাকে বাইরের প্রাঙ্গণে এনে প্রাঙ্গণের চারধারে চালিত করল। আমি বড় প্রাঙ্গণটির চার কোণে ছোট ছোট প্রাঙ্গণ দেখতে পেলাম। 22 প্রতি প্রাঙ্গণের কোণে একটি করে ছোট ঘেরা জায়গা ছিল। প্রতিটি ছোট প্রাঙ্গণ লম্বায় 40 হাত ও চওড়ায় 30 হাত করে ছিল। চারটি স্থানেরই মাপ এক। 23 প্রতিটি ছোট চার বারান্দার চারধার ইঁটের দেওয়ালে ঘেরা ছিল। ইঁটের দেওয়ালে স্থানে স্থানে রান্নার জায়গা ছিল। 24 সেই পুরুষটি আমায় বলল, “এই রান্না ঘরগুলিতেই, মন্দিরের সেবকরা লোকরা যে সব উৎসর্গগুলি আনবে সেগুলি সেদ্ধ করবে।”
যন্ত্রণা কাতর একটি মানুষের প্রার্থনা। সে যখন দুর্বল বোধ করে ও প্রভুকে তার অভিযোগ জানাতে চায় তখনকার প্রার্থনা।
102 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
সাহায্যের জন্য আমার ক্রন্দন শুনুন।
2 যখন আমি সমস্যার মধ্যে থাকি তখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
আমার কথা শুনুন, যখন আমি সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করি তখন আমায় উত্তর দিন।
3 ধোঁয়ার মত আমার জীবন কেটে যাচ্ছে।
আমার জীবন একটি আগুনের মত যা ধীরে ধীরে পুড়ে যাচ্ছে।
4 আমার শক্তি চলে গেছে।
আমি শুকনো মৃত প্রায় ঘাসের মত।
আমি আমার খাবার পর্যন্ত খেতে ভুলে গেছি।
5 দুঃখের কারণে আমার ওজন কমে যাচ্ছে।[a]
6 আমি একটি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বাস করা পেঁচার মত নিঃসঙ্গ।
ধ্বংসাবশিষ্ট অট্টালিকায় আমি একা পেঁচার মত বাস করছি।
7 আমি ঘুমোতে পারি না।
আমি ছাদে বাস করা এক নিঃসঙ্গ পাখির মত।
8 শত্রুরা সব সময়ে আমাকে অপমান করে।
ওরা আমাকে নিয়ে মজা করে ও ভৎর্সনা করে।
9 আমার খাদ্যই এখন আমার বিরাট দুঃখ।
আমার চোখের জল আমার পানীয়তে পড়ছে।
10 কেন? কারণ প্রভু আপনি আমার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন।
আপনিই আমাকে তুলে ধরেছেন এবং তারপর আপনিই আমায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।
11 দিনের শেষের দীর্ঘ ছায়াগুলির মত আমার জীবন প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
আমি শুকনো এবং মৃত প্রায় ঘাসের মত।
12 কিন্তু প্রভু, আপনি চিরদিনই বিরাজিত থাকবেন।
আপনার নাম চিরকাল এবং অনন্তকাল মনে রাখা হবে।
13 আপনাকে উত্থান করতে হবে এবং আপনি সিয়োনকে স্বস্তি দেবেন।
কারণ তাকে সান্ত্বনা দেবার সময় হয়েছে।
14 আপনার দাসগণ সিয়োনের পাথরগুলিকে ভালোবাসে।
এই শহরের ধূলোকে পর্যন্ত তারা ভালোবাসে।
15 লোকরা প্রভুর নামের উপাসনা করবে।
হে ঈশ্বর, পৃথিবীর সমস্ত রাজারা আপনাকে মহিমান্বিত করবে।
16 প্রভু সিয়োনকে আবার নির্মাণ করবেন।
লোকেরা আবার তাঁর মহিমা দেখবে।
17 যে সব লোককে ঈশ্বর বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনি আবার তাদের প্রার্থনার উত্তর দেবেন।
ঈশ্বর তাদের প্রার্থনা শুনবেন।
18 ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এইসব লিখে রাখো
এবং ভবিষ্যতে ওরা প্রভুর প্রশংসা করবে।
19 প্রভু, তাঁর পবিত্র স্থান থেকে নীচের দিকে চেয়ে দেখবেন।
স্বর্গ থেকে প্রভু পৃথিবীর দিকে চেয়ে দেখবেন।
20 তিনি বন্দীদের প্রার্থনা শুনবেন।
যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের তিনি মুক্ত করবেন।
21 তারপর সিয়োনে লোকরা প্রভুর কথা বলবে।
জেরুশালেমে তারা প্রভুর নামের প্রশংসা করবে।
22 সব জাতিসমূহ একসঙ্গে জড় হবে।
প্রভুর সেবার জন্য সব রাজ্য ছুটে আসবে।
23 আমার শক্তি কমে এসেছে।
আমার জীবনও ছোট হয়ে এসেছে।
24 তাই আমি বলেছিলাম, “আমি যতক্ষণ যুবক আছি আমাকে মরতে দেবেন না।
ঈশ্বর আপনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন!
25 সুদূর অতীতে আপনি এই বিশ্বসৃষ্টি করেছিলেন।
নিজের হাতে আপনি আকাশ সৃষ্টি করেছিলেন!
26 এই বিশ্ব, এই আকাশ একদিন শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আপনি চির বিরাজমান থাকবেন!
ওদের বস্ত্রের মতই পরিধান করা হবে।
এবং জামাকাপড়ের মতই আপনি ওদের বদল করবেন।
ওরা সবাই পরিবর্তিত হবে।
27 কিন্তু ঈশ্বর, আপনি পরিবর্তিত হবেন না।
আপনি চিরদিন বিরাজ করবেন!
28 আজ আমরা আপনার দাস।
আমাদের সন্তানরাও এখানে বসবাস করবে।
এমনকি তাদের উত্তরপুরুষরাও আপনার উপাসনা করার জন্য এখানেই বসবাস করবে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International