M’Cheyne Bible Reading Plan
গৃহযুদ্ধ
12 1-3 নবাটের পুত্র যারবিয়াম তখনও মিশরে লুকিয়ে ছিল। যখন সে শলোমনের মৃত্যু সংবাদ পেল, তার জন্মভূমি ইফ্রয়িমে পার্বত্য অঞ্চলের সেরেদতে ফিরে এল। এদিকে রাজা শলোমনের মৃত্যুর পর তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সমাধিস্থ করা হলে নতুন রাজা হলেন তাঁর পুত্র রহবিয়াম।
ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দা রহবিয়ামকে রাজপদে অধিষ্ঠিত করতে শিখিমে গিয়েছিল। কারণ রহবিয়াম তখন সেখানেই ছিলেন। সকলে রহবিয়ামকে বলল, 4 “আপনার পিতা আমাদের খাটিয়ে খাটিয়ে জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছিলেন। আপনি দয়া করে আমাদের কাজের বোঝা একটু হাল্কা করে দিলেই আমরা আপনার হয়ে কাজ করব।”
5 রহবিয়াম তাদের উত্তর দিলেন, “তোমরা তিনদিন পরে আমার কাছে এস। তখন আমি আমার সিদ্ধান্ত তোমাদের জানাব।” একথা শুনে সবাই ফিরে গেল।
6 শলোমনের যে সমস্ত প্রবীণ পরামর্শদাতা তখনও জীবিত ছিলেন, রাজা রহবিয়াম তাদের তাঁর কর্তব্য কর্ম সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন, “আমার এক্ষেত্রে কি করা উচিৎ? আমি এদের কি বলব?”
7 প্রবীণরা তাঁকে বললেন, “তুমি যদি আজ ওদের কাছে দাসের মতো হও, ওরা সত্যি তোমার সেবা করবে। তুমি যদি ওদের সঙ্গে দয়াপরবশ হয়ে কথা বলো, তাহলে ওরা চির দিনই তোমার হয়ে কাজ করবে।”
8 কিন্তু রহবিয়াম এই পরামর্শে কর্ণপাত করলেন না। তিনি তাঁর বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। 9 তিনি তাদের বললেন, “লোকরা বলছে, ‘আপনার পিতা যা কাজ দিতেন তার চেয়েও আমাদের হাল্কা কাজ দিন।’ কি করা যায় বলো তো? আমি এখন ওদের কি বলি?”
10 রাজার বন্ধুরা রহবিয়ামকে বলল, “শোন কথা! ওরা নাকি বলছে তোমার পিতা ওদের বেশী খাটাতেন। তুমি কেবল মাত্র ওদের ডেকে বলে দাও, ‘দেখ হে, আমার কড়ে আঙ্গুল আমার পিতার পুরো দেহের চেয়েও শক্তিশালী। 11 আমার পিতার জন্য তোমরা যে কাজ করেছ তার চেয়েও অনেক কঠিন কাজ আমি তোমাদের দিয়ে করাব। কাজ আদায় করার জন্য আমার পিতা তোমাদের শুধু চাবকাতেন, আমি ধারালো লোহা বসানো চাবুক দিয়ে চাবকাবো।’”
12 রহবিয়াম লোকদের তিন দিন পরে আসতে বলেছিলেন তাই ঠিক তিন দিন পরে ইস্রায়েলের লোকরা আবার রহবিয়ামের কাছে ফিরে এল। 13 রহবিয়াম তখন প্রবীণদের কথা না শুনে 14 তাঁর বন্ধু-বান্ধবদের পরামর্শ অনুযায়ী বললেন, “আমার পিতা তোমাদের জোর করে বেশি খাটিয়েছিল বলছো, এখন আমি আরো বেশী খাটাবো। আমার পিতা তোমাদের শুধু চাবকেছেন, আমি লোহা বসানো চাবুক দিয়ে চাবকাবো।” 15 অর্থাৎ রাজা লোকদের আবেদনে সাড়া দিলেন না। প্রভুর অভিপ্রায়েই এই ঘটনা ঘটল। প্রভু নবাটের পুত্র যারবিয়ামের কাছে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখার জন্যই এই ঘটনা ঘটালেন। শীলোনীয় ভাববাদী অহিয়ের মাধ্যমে প্রভু যারবিয়ামের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন।
16 ইস্রায়েলের সমস্ত লোক দেখল নতুন রাজা তাদের আবেদনে কর্ণপাত পর্যন্ত করল না। তখন তারা রাজাকে এসে বলল,
“আমরা কি দায়ূদের পরিবারভুক্ত?
মোটেই না। আমরা কি যিশয়ের জমির কোনো ভাগ পাই? না!
তাহলে দেশবাসীরা চলো আমরা আমাদের নিজের বাড়িতে ফিরে যাই।
দায়ূদের পুত্র তার নিজের লোকদের ওপর রাজত্ব করুক।”
একথা বলে ইস্রায়েলের লোকরা যে যার বাড়িতে ফিরে গেল। 17 ইস্রায়েলের যে সমস্ত লোক যিহূদার শহরগুলিতে থাকত রহবিয়াম শুধুমাত্র তাদের ওপর রাজত্ব করেছিলেন।
18 অদোরাম নামে একজন লোক কর্মচারীদের তত্ত্বাবধান করত। রাজা তাকে ডেকে পাঠিয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলতে বললেন। কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা পাথর ছুঁড়ে তাকে মেরে ফেলল। রহবিয়াম তখন কোন মতে তাঁর রথে চড়ে জেরুশালেমে পালিয়ে গেলেন। 19 অতএব ইস্রায়েলের লোকরা দায়ূদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল এবং এখনও পর্যন্ত তারা দায়ূদ পরিবার বিরোধী।
20 ইস্রায়েলের সমস্ত লোক যখন যারবিয়ামের ফিরে আসার কথা জানতে পারল, তারা একটি সমাবেশের আয়োজন করে তার সঙ্গে দেখা করে তাকেই সমগ্র ইস্রায়েলের রাজা হিসেবে ঘোষণা করল। একমাত্র যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী দায়ূদের পরিবারের অনুসরণ করতে লাগল।
21 রহবিয়াম জেরুশালেমে ফিরে গেলেন এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীকে একত্রে জড়ো করলেন। এই দুই গোষ্ঠী মিলিয়ে মোট 180,000 জনের একটি সেনাবাহিনী গঠিত হল। রহবিয়াম ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাঁর রাজত্ব উদ্ধার করতে চেয়েছিলেন।
22 কিন্তু প্রভু শময়িয় নামে এক ঈশ্বরের লোকের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন, 23 “যাও যিহূদার রাজা শলোমনের পুত্র রহবিয়াম আর যিহূদার লোক ও বিন্যামীনকে গিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ করতে বারণ করো। 24 ওদের সকলকে ঘরে ফিরে যেতে বলো কারণ আমিই এইসব ঘটিয়েছি।” রহবিয়ামের সেনাবাহিনী প্রভুর আদেশ মেনে বাড়ি চলে গেল।
25 শিখিম হল ইফ্রয়িমের পার্বত্য অঞ্চলের একটি শহর। যারবিয়াম শিখিমকে সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করে সেখানেই বসবাস করতে লাগল। পরে সে পনূয়েল নামে একটি শহরে গিয়ে সেটিকে সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করেছিলো।
26-27 যারবিয়াম মনে মনে ভাবলেন, “যদি লোকরা জেরুশালেমে প্রভুর মন্দিরে নিয়মিত যাতায়াত চালিয়ে যেতে থাকে তাহলে তারা শেষ পর্যন্ত দায়ূদের উত্তরপুরুষদের দ্বারাই শাসিত হতে চাইবে। তারা আবার যিহূদার রাজা রহবিয়ামকে অনুসরণ করবে আর আমাকে হত্যা করবে।” 28 তাই রাজা তাঁর পরামর্শদাতাদের কাছে তাঁর করণীয় কর্তব্য সম্পর্কে উপদেশ চাইলেন। তাঁরা রাজাকে তাঁদের পরামর্শ দিলেন। তখন যারবিয়াম দুটো সোনার বাছুর বানিয়ে লোকদের বললেন, “তোমরা কেউ আরাধনা করতে জেরুশালেমে যাবে না। ইস্রায়েলের অধিবাসীরা শোনো, এই দেবতারাই তোমাদের মিশর থেকে উদ্ধার করেছিলেন।”[a] 29 একথা বলে যারবিয়াম একটা সোনার বাছুর বৈথেলে রাখলেন। অন্য বাছুরটাকে রাখলেন দান শহরে। 30 ইস্রায়েলের লোকরা তখন বৈথেলে ও দানে বাছুর দুটোকে আরাধনা করতে গেল। কিন্তু এটি অত্যন্ত গর্হিত ও পাপের কাজ হল।
31 এছাড়াও যারবিয়াম উচ্চ স্থানে মন্দির বানিয়েছিল। (শুধুমাত্র লেবীয়দের পরিবারগোষ্ঠী থেকে যাজক বেছে নেওয়ার পরিবর্তে সে ইস্রায়েলের বিভিন্ন পরিবারগোষ্ঠী থেকে যাজকদের বেছে নিয়েছিল।) 32 এরপর রাজা যারবিয়াম ইস্রায়েল উৎসবের মতো একটি নতুন ছুটির দিনের প্রবর্তন করল। অষ্টম মাসের 15 দিনে এই ছুটি পালিত হত। এসময় রাজা বৈথেল শহরের বেদীতে বলিদান করত। সে তার বানানো বাছুর দুটোর সামনে বলি দিত। রাজা যারবিয়াম বৈথেলে ও উঁচু জায়গায় তার বানানো পূজোর জায়গাগুলোর জন্য যাজকদের বেছে নিয়েছিল। 33 অর্থাৎ রাজা যারবিয়াম তার সুবিধা মতো ইস্রায়েলীয়দের জন্য উৎসবের সময় বেছে নিয়েছিল। অষ্টম মাসের 15 দিনের মাথায় ঐ ছুটির দিনটিতে বৈথেল শহরে তার বানানো বেদীতে বলিদান ছাড়াও ধূপধূনো দেওয়া হতো।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেন খ্রীষ্ট
3 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরা প্রভুতে আনন্দ কর। এই একই কথা আবার লিখতে আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না; আর এটি তোমাদের নিরাপত্তার জন্য।
2 “কুকুরদের” থেকে সাবধান! যারা মন্দ কাজ করে ও যারা দেহকে ছিন্নভিন্ন করতে চায় তাদের থেকে সাবধান! 3 কারণ আমরাই তো প্রকৃত সুন্নত হওয়া লোক; আমরা ঈশ্বরের আত্মায় উপাসনা করি, আর খ্রীষ্ট যীশুতে গর্ব বোধ করি। আমরা নিজেদের ওপর বা বাহ্যিক কোন কিছু করার ওপর আস্থা রাখি না। 4 যদিও আমি নিজের ওপর আস্থা রাখতে পারতাম, তবুও আমি তা করি না। যদি কোন লোকের মনে হয় যে সে নিজের ওপর আস্থা রাখতে পারে তবে তার জানা ভাল যে নিজের ওপর আস্থা রাখার জন্য আরো বড় কারণ আমার আছে। 5 জন্মের পর যখন আমার বয়স আট দিন তখন আমার সুন্নত হয়েছে; আমি ইস্রায়েলীয়, বিন্যামীন গোষ্ঠীর লোক। আমি একজন ইব্রীয়, আমার বাবা-মা ইব্রীয়। মোশির বিধি-ব্যবস্থা পালনে গোঁড়া হওয়ায় আমি ফরীশী হয়েছিলাম। 6 আমার নিজের ইহুদী ধর্মের বিষয়ে আমি এতই উৎসাহী ছিলাম যে আমি খ্রীষ্ট মণ্ডলীর প্রতি নির্যাতন করতাম। আমি এমন নিখুঁতভাবে মোশির বিধি-ব্যবস্থা পালন করতাম যে তার মধ্যে কোন ত্রুটি ছিল না।
7 এক সময়ে ঐসব বিষয় আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল; কিন্তু আমি খ্রীষ্টকে পেয়েছি, তাই ঐসব বিষয়ের মূল্য আর আমার কাছে রইল না। 8 কেবল ঐসব বিষয় নয়, বরং সমস্ত কিছুই আমার প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জ্ঞানের শ্রেষ্ঠতার কাছে নিতান্তই নগন্য বলে মনে করলাম। তাঁর জন্য আমি সবই বর্জন করেছি। এখন আমি ঐ সবকিছু আবর্জনার মতোই মনে করি, আর খ্রীষ্টকে আরো বেশী করে পেতে এ আমায় সাহায্য করে, 9 এবং তাঁর সঙ্গে সংযুক্ত রাখে। খ্রীষ্টেতে আমি ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়েছি। এই ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া আমার বিধি-ব্যবস্থা পালনের মধ্য দিয়ে আসে নি। ঈশ্বরের কাছ থেকে দানরূপে এ আমি পেয়েছি। খ্রীষ্টে আমার সে বিশ্বাস আছে, এই বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বর আমাকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন। 10 আমি চাই খ্রীষ্টকে ও মৃতদের মধ্য থেকে তাঁর পুনরুত্থানের শক্তিকে জানতে। আমি খ্রীষ্টের দুঃখভোগের সহভাগীতা লাভ করতে চাই। এইভাবে যেন তাঁর মৃত্যুতে তাঁর সমরূপ হই। 11 আমি যদি এসবের সহভাগী হই, তবে আমি প্রত্যাশা করতে পারি যে আমিও মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হতে পারব।
লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা কর
12 একথা বলছি না যে আমি লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি বা পূর্ণতা পেয়েছি। আমি সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চেষ্টা করছি এবং যে উদ্দেশ্যে খ্রীষ্ট আমাকে ধরেছিলেন তাঁর সেই উদ্দেশ্য পর্যন্ত আমি পৌঁছতে চাই। 13 ভাই ও বোনেরা, আমি জানি যে আমি সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি নি। 14 কিন্তু একটি বিষয়ে আমি চেষ্টা করে চলেছি; অতীতের সবকিছু ভুলে সামনের লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রাণপণ চেষ্টা করছি যাতে পুরস্কার লাভ করি। উর্ধস্থ জীবনের জন্য খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের আহ্বানস্বরূপ এই পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি আমাকে দেওয়া হয়েছে।
15 আমরা যারা আত্মিকভাবে পরিপক্ক, আমাদের উচিত এইভাবে চিন্তা করা; আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের অন্যরকম মনোভাব থাকে তবে ঈশ্বর সে বিষয়ে তোমাদের কাছে পরিষ্কার করে দেবেন। 16 এস আমরা ইতিমধ্যে যে সত্যে পৌঁছেছি, সেই সত্য অনুসরণ করি।
17 ভাই ও বোনেরা, তোমরা আমার মতো জীবনযাপন করো। তোমাদের যেমন দেখানো হয়েছে সেইভাবে যারা চলে, তাদের অনুকরণ করো। 18 অনেকে আছে যারা খ্রীষ্টের ক্রুশের শত্রুর মত আচরণ করে। আগে বহুবার আমি তাদের কথা তোমাদের বলেছি, এখন চোখের জল ফেলতে ফেলতে আমি তাদের কথা আবার তোমাদের বলছি। 19 যেভাবে তারা চলছে তার পরিণাম বিনাশ। তারা ঈশ্বরের সেবা করে না, কেবল নিজেদের তুষ্টির জন্যই বাঁচে। তারা লজ্জাকর কাজ করে আর তাই নিয়ে তারা গর্ব বোধ করে। তারা কেবল পার্থিব বিষয়েই ভাবে। 20 আমাদের যথার্থ রাজ্য স্বর্গে। সেই স্বর্গ থেকে আমাদের ত্রাণকর্তার আগমণের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। আমাদের ত্রাণকর্তা হলেন প্রভু যীশু খ্রীষ্ট। 21 তিনি এসে আমাদের এই দীনতার দেহকে বদলে তাঁর নিজের মহিমান্বিত দেহের সমরূপ করবেন। খ্রীষ্ট তাঁর নিজ পরাক্রমে এই কাজ করতে পারেন এবং তাঁর সেই পরাক্রমে খ্রীষ্ট সমস্ত বিষয়ের উপরে কর্তৃত্ত্ব করতে সমর্থ।
যাজকদের কামরা
42 তারপর সেই পুরুষটি উত্তর দিকের প্রবেশ দ্বারের মধ্যে দিয়ে আমাকে বাইরের প্রাঙ্গণে নিয়ে এল। সে আমাকে পশ্চিম দিকের অনেক কামরা রয়েছে এমন এক প্রাঙ্গণে নিয়ে চলল যেটি নিষিদ্ধ জায়গার পশ্চিমে এবং উত্তরের প্রাঙ্গণের দিকে ছিল। 2 পাথরের তৈরী বাড়ীটি লম্বায় 100 হাত ও চওড়ায় 50 হাত ছিল। লোক জন প্রাঙ্গণের উত্তর দিক দিয়ে এতে প্রবেশ করত। 3 পাথরের তৈরী বাড়ীটি ছিল তিনতলা উঁচু এবং তাতে ঝুল বারান্দা ছিল। 20 হাত মাপের ভিতরের প্রাঙ্গণটি ছিল ঐ বাড়ী ও মন্দিরের মধ্যস্থানে। অন্য দিকের কামরাগুলি বাইরের প্রাঙ্গণের শান বাঁধান জায়গাটির দিকে মুখ করে ছিল। 4 প্রবেশ পথটি উত্তর দিকে থাকা সত্ত্বেও, প্রস্থে 10 হাত ও দৈর্ঘ্যে 100 হাত একটি রাস্তা প্রাঙ্গণটির দক্ষিণ পাশ বরাবর চলে গিয়েছিল। 5-6 যেহেতু দালানটি উচ্চতায় তিনতল বিশিষ্ট ছিল এবং তাতে বাইরের প্রাঙ্গণের মত থাম ছিল না তাই উপরের কামরাগুলি মধ্যের ও তলার কামরাগুলির থেকে পিছনের দিকে ছিল। উপরের তল প্রস্থে মধ্যের তলের চেয়ে এবং মধ্যের তল প্রস্থে নীচের তলের চেয়ে সরু ছিল কারণ সেই স্থানে ঝুল বারান্দা ছিল। 7 তার বাইরে ছিল এক দেওয়াল, যা কামরাগুলির সাথে সমান্তরাল ভাবে বাইরের প্রাঙ্গণ বরাবর গিয়েছিল। কামরাগুলির সামনে তা 50 হাত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। 8 যে কামরাগুলি বাইরের প্রাঙ্গন বরাবর ছিল তারা দৈর্ঘ্যে 50 হাত যদিও মন্দিরের দিকের দালানটি সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যে 100 হাত ছিল। 9 দালানটির পূর্ব দিকে এই কামরাগুলির তলায় ছিল প্রবেশপথ আর তাই লোকে বাইরের প্রাঙ্গণ থেকে এতে প্রবেশ করতে পারত। 10 প্রবেশ পথটি ছিল প্রাঙ্গণের গায়ে দেওয়ালের আরম্ভে।
দক্ষিণ দিকেও, খোলা চত্বরে কয়েকটি ঘর ছিল এবং কয়েকটি ছিল এই ঘরগুলির সামনে। 11 এই কামরাগুলির সামনে একটি সরু রাস্তা ছিল। দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে সমান ছিল এবং একই অবস্থানে একই রকম দরজা ছিল এইগুলিতে। 12 বাড়িটির পূর্বদিকে দক্ষিণের ঘরগুলো প্রবেশের বিভিন্ন পথছিল যাতে লোকরা দেওয়ালের ধারে খোলা চত্বরের সরু রাস্তা দিয়ে এখানে প্রবেশ করতে পারে।
13 সেই পুরুষটি আমায় বলল, “সীমাবদ্ধ স্থানের এপাশের এবং ওপাশের উত্তরের ও দক্ষিণের কামরাগুলি পবিত্র। এই কামরাগুলি সেই সব যাজকদের জন্য যারা প্রভুর উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য উৎসর্গ করে। সেই স্থানেই যাজকরা পবিত্র নৈবেদ্য ভোজন করে এবং সেই স্থানেই তারা পবিত্র নৈবেদ্যগুলি রাখে কারণ এই স্থান পবিত্র। পবিত্রতম নৈবেদ্যগুলি হল: শস্য নৈবেদ্য, পাপমোচন নৈবেদ্য এবং অপরাধ খণ্ডন নৈবেদ্য। 14 যে যাজকরা পবিত্র-স্থানে প্রবেশ করে তাদের অবশ্য বাইরের প্রাঙ্গনে যাবার আগে পবিত্রস্থানে সেবার কাপড় খুলে রাখতে হবে। যাজকগণ যদি মন্দিরের অন্য অংশে, যেখানে অন্য যাজকরা রয়েছে সেখানে যেতে চায়, তবে তাকে এই ঘরে গিয়ে অন্য পোষাক পরতে হবে।” তাদের এই রকম অবশ্যই করতে হবে কারণ তাদের সেবা বস্ত্র হছে পবিত্র।
বাইরের প্রাঙ্গণ
15 সেই পুরুষটি মন্দিরের ভিতরের অংশের মাপ নেওয়া শেষ করে আমাকে পূর্বের দিকের দরজার কাছে এনে সেই সমস্ত জায়গা মাপল। 16 সে পূর্বের দিক একটা মাপকাঠির সাহায্যে মাপলে তা লম্বায় 500 হাত পাওয়া গেল। 17 তিনি উত্তর দিক মাপলে তাও দৈর্ঘ্যে 500 হাত হল। 18 দক্ষিণ দিক মাপলে তাও লম্বায় 500 হাত হল। 19 পশ্চিম দিকটাও লম্বায় 500 হাত হল। 20 তারপর তিনি মন্দিরের চারধারের চারটি দেওয়াল মাপলেন। দেওয়ালটি লম্বায় 500 হাত এবং চওড়ায় 500 হাত ছিল। এটি পবিত্র স্থানটিকে সাধারণ স্থানের থেকে আলাদা করে রেখেছিল।
94 প্রভু, আপনিই সেই ঈশ্বর যিনি আসেন এবং লোকেদের শাস্তি দেন।
আপনি সেই ঈশ্বর যিনি মানুষের জন্য শাস্তি নিয়ে আসেন।
2 আপনিই সারা পৃথিবীর বিচারক।
উদ্ধত লোকদের যে শাস্তি প্রাপ্য তা আপনি ওদের দিন।
3 প্রভু, দুষ্ট লোকরা আর কতকাল ধরে উল্লাস করবে?
আরও কতদিন প্রভু?
4 আরও কতদিন ধরে ওই দুষ্কৃতকারীরা
তাদের দুষ্কৃতির বড়াই করে যাবে?
5 প্রভু, ওরা আপনার লোকদের আঘাত করে।
ওরা আপনার লোকদের কষ্ট দিয়েছে।
6 আমাদের দেশে যে সব বিধবা ও বিদেশী থাকে, ওই দুর্জনরা তাদের হত্যা করে।
অনাথদেরও ওরা খুন করে।
7 ওরা বলে, ওরা যে সব মন্দ কাজ করে প্রভু তা দেখেন না!
ওরা বলে কি ঘটেছে ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাও জানে না।
8 তোমরা নিষ্ঠুর লোকরা সত্যই নির্বোধ মানুষ!
আর কবে তোমরা শিক্ষা লাভ করবে?
তোমরা মন্দ লোকরা সত্যি অপগণ্ড!
তোমরা অবশ্যই বোঝবার চেষ্টা কর।
9 ঈশ্বর আমাদের কান সৃষ্টি করেছেন,
তাই নিশ্চয়ই তাঁরও কান রয়েছে এবং তিনি শুনতেও পান কি ঘটছে!
ঈশ্বর আমাদের চোখ দিয়েছেন,
তাই নিশ্চিতভাবে কি ঘটছে তা তিনি দেখতে পান!
10 ঈশ্বর ওই লোকদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা আনবেন।
ওই লোকেরা কি করবে তা ঈশ্বরই ওদের শেখাবেন।
11 মানুষ কি ভাবছে তাও ঈশ্বর জানেন।
ঈশ্বর জানেন যে মানুষ বাতাসের একটি ফুৎকারের মত।
12 প্রভু যে লোককে নিয়মানুবর্তী করেন সে সত্যই সুখী হবে।
ঈশ্বর তাকে বেঁচে থাকার প্রকৃত পথ কি তা দেখাবেন।
13 ঈশ্বর, সংকটের সময় যে লোক শান্ত থাকে তাকেই আপনি সাহায্য করবেন।
মন্দ লোকেদের যতক্ষণ পর্যন্ত না কবরে পাঠানো হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবেন।
14 প্রভু তাঁর লোকদের ত্যাগ করবেন না।
সাহায্য না করে তিনি ওদের ত্যাগ করবেন না।
15 ন্যায্য বিচার ফিরে আসবে এবং ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে আসবে।
তারপর সৎ এবং ভাল লোকরা অবশ্যই থাকবে।
16 মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কেউই আমায় সাহায্য করে নি।
যারা মন্দ কাজ করে, তাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য কোন লোক আমার পাশে দাঁড়ায় নি।
17 যদি প্রভু আমায় সাহায্য না করতেন
আমি এতদিনে কবরের গর্ভে নীরব হয়ে যেতাম।
18 আমি জানি আমি পতনোন্মুখ ছিলাম,
কিন্তু প্রভু তাঁর অনুগামীদের সাহায্য করেছেন।
19 আমি প্রচণ্ড চিন্তিত ও বিমর্ষ ছিলাম।
কিন্তু প্রভু, আপনি আমায় সান্ত্বনা দিয়ে আমায় সুখী করেছেন!
20 ঈশ্বর আপনি ক্রুর বিচারকদের সাহায্য করবেন না।
তাই মন্দ বিচারকরা মানুষের জীবনকে আরও কঠিনতর করার জন্য নিয়ম ব্যবহার করে।
21 ওই বিচারকরা ধার্ম্মিক লোকদের আক্রমণ করে।
ওরা নিরপরাধ লোকদের দোষী বলে বিচার করে এবং ওদের হত্যা করে।
22 কিন্তু পর্বতগুলির সু-উচ্চে প্রভুই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
ঈশ্বর আমার শিলা, আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
23 মন্দ কাজ করার জন্য ঈশ্বর ওই দুষ্ট বিচারকদের শাস্তি দেবেন।
পাপ করেছে বলে ঈশ্বর ওদের ধ্বংস করবেন।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, ওই দুষ্ট বিচারকদের ধ্বংস করবেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International