M’Cheyne Bible Reading Plan
আদোনিয় রাজা হবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন
1 রাজা দায়ূদ বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর এতো বয়স হয়েছিল যে কোনো মতেই আর তাঁর শরীর উষ্ণ হয় না। এমন কি ভৃত্যরা তাঁর শরীর কম্বল দিয়ে ঢাকা সত্ত্বেও তাঁর শীত আর কাটে না। 2 তখন ভৃত্যরা রাজাকে বলল, “আমরা তবে আপনার যত্ন করার জন্য একটি যুবতী মেয়েকে খুঁজে আনি। সে আপনার পাশে শয়ন করবে এবং আপনাকে উষ্ণ রাখবে।” 3 তখন রাজকর্মচারীরা রাজাকে উষ্ণ রাখার জন্য ইস্রায়েলের সর্বত্র সুন্দরী যুবতী মেয়ে খুঁজে বেড়াতে লাগল। এমনি করে খুঁজতে খুঁজতে শূনেম শহরে সুন্দরী অবীশগের খোঁজ মিলল। তারা তখন ঐ মেয়েটিকে রাজার কাছে নিয়ে এলো। 4 অবীশগ সত্যি সত্যিই অপরূপ সুন্দরী ছিল। সে রাজার সব রকম যত্ন বা পরিচর্যা করলেও তার সঙ্গে রাজা দায়ূদের কোনো শারীরিক সম্পর্ক ছিল না।
5-6 রাজা দায়ূদ ও রাণী হগীতের পুত্রের নাম আদোনিয়। এই আদোনীয খুবই সুপুরুষ ছিলেন। রাজা দায়ূদ কখনও তাঁকে শোধরাবার চেষ্টা করেন নি। তিনি তাঁকে কখনও জিজ্ঞেস করেন নি, “কেন তুমি এসব করছ?” যদিও অবশালোম নামে তাঁর এক ভাই ছিলেন, উচ্চাকাঙ্খী ও ক্ষমতাভিলাষী। আদোনিয় মনে মনে ঠিক করলেন যে এরপর তিনিই রাজা হবেন; আর একথা স্থির করে তিনি নিজের সুবিধের জন্য তাড়াতাড়ি একটা রথ, কিছু ঘোড়া ও তাঁর রথের সামনে দৌড়োনোর জন্য প্রায় 50 জন লোক জোগাড় করে ফেললেন।
7 রাজা হবার বিষয়টা নিয়ে তিনি সরূয়ার পুত্র যোয়াব ও যাজক অবিয়াথরের সঙ্গে পরামর্শও সেরে ফেললেন। তারা তাঁকে নতুন রাজা হতে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিল। 8 কিন্তু রাজা দায়ূদের প্রতি অনুগত কিছু ব্যক্তির আদোনিয়র এই উচ্চাভিলাষ পছন্দ হয় নি। এরা হল যাজক সাদোক, যিহোয়াদার পুত্র বনায়, ভাববাদী নাথন, শিমিয়ি, রেয়ি ও রাজা দায়ূদের বিশেষ রক্ষীদল। এরা কেউই আদোনিয়র সঙ্গে যোগ দেয় নি।
9 এক দিন আদোনিয় ঐন্-রোগেলের কাছে সোহেলত্ পাথরে বেশ কিছু মেষ, ষাঁড় ও বাছুর মঙ্গল নৈবেদ্য হিসেবে বলি দিয়ে তাঁর ভাইদের (রাজা দায়ূদের অন্যান্য পুত্রদের) ও যিহূদার সমস্ত আধিকারিকদের নিমন্ত্রণ করলেন। 10 কিন্তু আদোনিয় তাঁর পিতার বিশেষ রক্ষীদের, তাঁর ভাই শলোমন, বনায় ও যাজক নাথনকে এদিন নিমন্ত্রণ করেন নি।
শলোমনের হয়ে নাথন ও বৎশেবা কথা বলল
11 নাথন একথা জানতে পেরে শলোমনের মা বৎশেবার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “হগীতের পুত্র আদোনিয় কি করছে আপনি কি কিছু জানেন? তিনি রাজা হবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে রাজা দায়ূদ এসবের বিন্দু-বিসর্গ জানেন না। 12 এক্ষেত্রে আপনার ও আপনার পুত্র শলোমনের প্রাণের আশঙ্কা থাকতে পারে বলেই আমার ধারণা। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি আপনাকে আত্মরক্ষার একটা উপায় বলে দিচ্ছি। 13 রাজা দায়ূদের কাছে যান এবং তাঁকে বলুন, ‘হে রাজাধিরাজ, আপনি আমার কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আপনার পরে আমার পুত্র শলোমনই পরবর্তী রাজা হবে। তাহলে আদোনিয় কেন পরবর্তী রাজা হচ্ছে?’ 14 আপনি যখন রাজার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে থাকবেন, আমি তখন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হব এবং তখন আমি রাজাকে সমস্ত কিছু জানাব, তাতে আপনার কথার সত্যতাও প্রমাণ হবে।”
15 বৎশেবা তখন রাজার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর শয়ন কক্ষে যেখানে শূনেমীয়া অবীশগ বৃদ্ধ রাজার পরিচর্যা করছিল, সেখানে গিয়ে উপস্থিত হল। 16 বৎশেবা রাজার সামনে আনত হবার পর রাজা জিজ্ঞেস করলেন, “আমি তোমার জন্য কি করতে পারি বল?”
17 বৎশেবা বললেন, “মহাশয়, আপনি আপনার প্রভু, ঈশ্বরের নামে শপথ করে আমার কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আপনার পর আমার পুত্র শলোমনই রাজা হবে। সে আপনার সিংহাসনে বসবে। 18 কিন্তু আপনি বোধ হয় জানেন না আদোনিয় ইতিমধ্যেই রাজা হবার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। 19 সে মঙ্গল নৈবেদ্য হিসেবে বহু গরু ও মেষ বলি দিয়ে বড়সড় একটা ভোজসভার আয়োজন করে সেখানে আপনার অন্যান্য সমস্ত পুত্রদের নিমন্ত্রণ করেছে। সে যাজক অবিয়াথর, যোয়াব, আপনার সেনাবাহিনীর প্রধানকে এই ভোজসভায় নিমন্ত্রণ করলেও আপনার অনুগত পুত্র শলোমনকে নিমন্ত্রণ করে নি। 20 রাজা, এখন ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা আপনার গতিবিধি লক্ষ্য করছে। আপনার পর কে রাজা হবে, সে বিষয়ে তারা আপনার সিদ্ধান্ত জানতে চায়। 21 আপনার মৃত্যুর আগেই এবিষয়ে আপনাকে অতি অবশ্যই কিছু একটা করতে হবে। তা না হলে, আপনার পূর্বপুরুষদের সঙ্গে আপনাকে সমাধিস্থ করার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্ত লোকরা শলোমন ও আমাকে অপরাধী বলবে।”
22 বৎশেবা যখন রাজার সঙ্গে এ নিয়ে কথাবার্তা বলছেন, তখন ভাববাদী নাথন রাজার সঙ্গে দেখা করতে এলো। 23 রাজার ভৃত্যরা তাঁকে বলল, “ভাববাদী নাথন আপনার কাছে এসেছেন।” নাথন রাজার সামনে আনত হয়ে রাজাকে সম্মান দেখিয়ে বলল, 24 “মহারাজ আপনি কি আদোনিয়কে আপনার পরবর্তী রাজা হিসেবে ঘোষণা করেছেন? আপনি কি ঠিক করেছেন এখন থেকে সে-ই রাজ্য শাসন করবে? 25 আমি একথা বলছি কারণ আদোনিয় আজ উপত্যকায় গিয়ে মঙ্গল নৈবেদ্য হিসেবে বহু গরু ও মেষ বলি দিয়েছে। তারপর যাজক অবিয়াথর, আপনার অন্যান্য পুত্রদের ও সেনাপতিদের সবাইকে ভোজসভায় নিমন্ত্রণ করেছে। ওরা সবাই মিলে এখন আদোনিয়র জয়ধ্বনি দিয়ে বলছে, ‘মহারাজ আদোনিয় দীর্ঘ জীবন লাভ করুন।’ 26 কিন্তু আদোনিয় ভোজসভায় আপনার পুত্র শলোমন, যাজক সাদোক, যিহোয়াদার পুত্র বনায় বা আমাকে নিমন্ত্রণ করে নি। 27 মহারাজ আপনি কি আমাদের কিছু না জানিয়েই সব ঠিক করে ফেললেন? দয়া করে বলুন, আপনার পর কে রাজা হবে।”
28 তখন রাজা দায়ূদ বললেন, “বৎশেবাকে ভেতরে আসতে বলো।” বৎশেবা এসে রাজার সামনে দাঁড়ালেন।
29 এরপর রাজা দায়ূদ ঈশ্বরকে সাক্ষী করে বললেন, “প্রভু আমাকে জীবনের সমস্ত বিপদ-আপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। আমি সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নামে যে কথা আগে শপথ করেছিলাম সে কথাই আবার বলছি। 30 আমি প্রতিশ্রুতি করেছিলাম যে আমার পর তোমার পুত্র শলোমন রাজা হবে। আমি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করব না। তাই আজও বলছি, আমার পরে শলোমনই আমার সিংহাসনে বসবে।”
31 তখন বৎশেবা রাজার সামনে ভূমিষ্ঠ হয়ে বললেন, “রাজা দায়ূদ দীর্ঘজীবী হোন।”
শলোমন নতুন রাজা হিসেবে মনোনীত হলেন
32 এরপর রাজা দায়ূদ যাজক সাদোক, ভাববাদী নাথন ও যিহোয়াদার পুত্র বনায়কে ডেকে পাঠালেন। তারা তিন জন রাজার সঙ্গে দেখা করতে এলো। 33 রাজা তাদের বললেন, “শলোমনকে আমার নিজের খচ্চরে চড়িয়ে, আমার সমস্ত আধিকারিকবর্গকে নিয়ে গীহোন ঝর্ণার কাছে যাও। 34 সেখানে পবিত্র তেল ছিটিয়ে যাজক সাদোক ও ভাববাদী নাথন তাকে নতুন রাজা হিসেবে অভিষিক্ত করবে। আর তারপর তোমরা শিঙা বাজিয়ে শলোমনের রাজপদে অভিষিক্ত হবার কথা ঘোষণা করে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। 35 এরপর শলোমনই আমার সিংহাসনে বসবে এবং আমার জায়গায় রাজা হবে। আমি শলোমনকে ইস্রায়েল ও যিহূদার শাসক হিসেবে নির্বাচন করলাম।”
36 যিহোয়াদার পুত্র বনায় রাজার কথার উত্তরে বলল, “আমেন! ধন্য মহারাজ! প্রভু ঈশ্বর স্বয়ং যেন আপনার মুখ দিয়ে একথা বললেন। 37 হে মহারাজ, মহান প্রভু ঈশ্বর বরাবর আপনার সহায় ছিলেন। আমরা আশা করব তিনি একই ভাবে শলোমনের পাশে থাকবেন এবং শলোমনের রাজ্য আপনার রাজ্য থেকে অনেক বড় ও শক্তিশালী হবে।”
38 সাদোক, নাথন, বনায় ও রাজার আধিকারিকবর্গ রাজা দায়ূদের কথা পালন করল এবং শলোমনকে রাজা দায়ূদের খচ্চরে চড়িয়ে গীহোন ঝর্ণায় নিয়ে গেল। 39 যাজক সাদোক পবিত্র তাঁবুর থেকে তৈলাধারটি নিজে বহন করে নিয়ে গিয়ে শলোমনের মাথায় প্রথামতো খানিক তেল ছিটিয়ে তাকে রাজা হিসেবে অভিষিক্ত করল। তখন চতুর্দিকে শিঙা বেজে উঠল এবং চারপাশ থেকে সমস্ত লোকরা চিৎকার করে উঠল, “মহারাজ শলোমন দীর্ঘজীবি হোন!” 40 আনন্দিত ও উত্তেজিত জনতা শলোমনের পেছন পেছন শহরে এল। খুশী হয়ে, বাঁশী বাজাতে বাজাতে তারা সকলে এতো শব্দ করছিল যে মাটিও কাঁপছিল।
41 এদিকে আদোনিয় ও তাঁর অতিথিরা তখন সবেমাত্র ভোজনপর্ব শেষ করেছে। হঠাৎ তারা সবাই শিঙার শব্দ শুনতে পেল। যোয়াব বলল, “কিসের শব্দ হচ্ছে? শহরে এতো হৈ চৈ কিসের?”
42 যোয়াব যখন কথা বলছে তখন যাজক অবিয়াথরের পুত্র যোনাথন এসে উপস্থিত হল। আদোনিয় তাকে বলল, “এসো, এসো, এখানে এসো! তুমি একজন ভাল ও বিশ্বাসী মানুষ। তুমি নিশ্চয়ই আমার জন্য কোনো সুখবর এনেছো?”
43 যোনাথন বলল, “আপনার পক্ষে সুখবর কিনা জানি না, তবে রাজা দায়ূদ শলোমনকে নতুন রাজা বলে ঘোষণা করেছেন। 44-45 রাজা নিজের খচ্চরে শলোমনকে চড়িয়ে যাজক সাদোক, ভাববাদী নাথন ও রাজ আধিকারিকবর্গকে দিয়ে তাঁকে গীহোন ঝর্ণায় পাঠিয়েছিলেন। সেখানে যাজক সাদোক ও ভাববাদী নাথন তাঁকে রাজপদে অভিষিক্ত করে। তারপর তারা সকলে এক সঙ্গে শহরে ফিরে যায়। লোকরাও সব তাদের পেছন পেছন যায়। এখানে সকলে দারুণ খুশি ও সবাই আনন্দ করছে। আপনারা সেই শব্দই শুনতে পাচ্ছেন। 46-47 এমনকি শলোমন রাজ সিংহাসনেও বসেছেন! রাজার সমস্ত আধিকারিকবর্গ রাজা দায়ূদকে এ কাজের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলছে, ‘মহারাজ দায়ূদ, আপনি একজন মহান রাজা এবং আমরা প্রার্থনা করি ঈশ্বর শলোমনকে একজন মহান রাজা করবেন। আমাদের বিশ্বাস প্রভু শলোমনকে আপনার চেয়েও খ্যাতিমান করবেন এবং তাঁর রাজ্য আপনার রাজ্যের থেকেও বড় হবে।’ রাজা দায়ূদও স্বয়ং সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিছানা থেকেই শলোমনের সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে বলেছেন, 48 ‘ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বর ধন্য হলেন! মহিমাময় প্রভু আমারই এক সন্তানকে আমার সিংহাসনে স্থাপন করলেন। এই শুভক্ষণ দেখার জন্য তিনি আমায় যথেষ্ট দিন বাঁচতে দিয়েছেন।’”
49 তখন আদোনিয়র সমস্ত অতিথিরা ভয়ে পাংশু হয়ে তাড়াতাড়ি ভোজসভা ছেড়ে চলে গেল। 50 এমন কি আদোনিয় শলোমনের ভয়ে ভীত হয়ে বেদীর কাছে গিয়ে বেদীর কোণগুলিকে ধরলেন।[a] 51 শলোমনকে গিয়ে একজন খবর দিল, “মহারাজ, আপনার ভয়ে ভীত হয়ে আদোনিয় এখন পবিত্র তাঁবুতে যজ্ঞবেদীর কোণগুলোকে ধরে আছে। আর সেখান থেকে কিছুতেই বেরোতে চাইছে না। সে বলছে, ‘আগে রাজা শলোমনকে প্রতিশ্রুতি করতে বলো যে তিনি আমাকে হত্যা করবেন না।’”
52 তখন শলোমন বললেন, “যদি আদোনিয়র আচার আচরণে প্রমাণ হয় যে সে একজন সৎ ব্যক্তি, আমি প্রতিশ্রুতি করছি আমি ওর মাথার একগাছি চুল পর্যন্ত ছোঁব না। কিন্তু ও যদি গোলমাল সৃষ্টি করে তাহলে ওকে মরতে হবে।” 53 তারপর রাজা শলোমন আদোনিয়কে নিয়ে আসার জন্য একজনকে পাঠালেন। সে আদোনিয়কে রাজা শলোমনের কাছে নিয়ে এলে, আদোনিয় রাজার সামনে অবনত হলেন। শলোমন তাঁকে বললেন, “যাও, বাড়ি যাও।”
স্বাধীন হয়ে থেকো
5 খ্রীষ্ট আমাদের স্বাধীন করেছেন, যেন আমরা স্বাধীনভাবে থাকতে পারি; তাই শক্ত হয়ে দাঁড়াও, দাসত্বে ফিরে যেও না। 2 শোন! আমি পৌল বলছি। যদি তোমরা সুন্নতের মাধ্যমে আবার বিধি-ব্যবস্থায় ফিরে যাও, তবে তোমরা খ্রীষ্টেতে লাভবান হবে না। 3 আবার আমি প্রত্যেক মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছি। তোমরা যদি সুন্নত করাতে চাও, তবে বিধি-ব্যবস্থার সবটাই তোমাদের পালন করতে হবে। 4 তোমরা যারা বিধি-ব্যবস্থার দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে নির্দোষ গণিত হতে চেষ্টা করছ, তারা খ্রীষ্টের কাছ থেকে নিজেদের আলাদা করেছ এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয়েছ। 5 কিন্তু আমরা বিশ্বাসের দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে নির্দোষ বলে গণিত হবার জন্য অধীর আগ্রহে আত্মায় অপেক্ষা করছি। 6 কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে যুক্ত থাকলে সুন্নত হওয়া বা না হওয়া এ প্রশ্ন মূল্যহীন; কিন্তু দরকারি বিষয় হল বিশ্বাস, যে বিশ্বাস ভালবাসার মধ্য দিয়ে কাজ করে।
7 তোমরা বেশ ভালই দৌড়োচ্ছিলে, তাহলে সত্যের বাধ্য হয়ে চলতে কে তোমাদের বাধা দিল? 8 যিনি তোমাদের আহ্বান করেছেন, সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে এই ধরণের প্ররোচনা আসে নি। 9 সাবধান হও! “সামান্য একটু খামির গোটা ময়দার তালকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলে!” 10 তোমাদের জন্য প্রভুতে আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে তোমরা আমার শিক্ষা ছাড়া ভিন্ন কোন শিক্ষার দিকে ফিরবে না; কিন্তু যে লোক তোমাদের বিরক্ত করছে, সে যেই হোক্ না কেন, শাস্তি সে পাবেই।
11 আমার ভাই ও বোনেরা, যদি আমি এখনও সুন্নতের প্রয়োজন সম্বন্ধে শিক্ষা নিই, তবে আমি এখনও এতো নির্যাতন ভোগ করছি কেন? এবং আমি সুন্নতের প্রয়োজন সম্বন্ধে যদি এখনও বলি তাহলে ক্রুশের কথা বলতে কোন সমস্যাই হত না। 12 যাঁরা তোমাদের অস্থির করে তুলছে, আমি চাই তারা যেন নিজেদের ছিন্নাঙ্গও করে।
13 আমার ভাই ও বোনেরা, স্বাধীন মানুষ হবার জন্যই ঈশ্বর তোমাদের আহ্বান করেছেন, কেবল দেখ তোমাদের পাপ প্রবৃত্তিকে তৃপ্তি দিয়ে সেই স্বাধীনতার সুযোগ নিও না, বরং প্রেমে একে অপরের দাস হও। 14 যেহেতু সমস্ত বিধি-ব্যবস্থাকে এক করলে এটাই দাঁড়ায়: “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত করে ভালবাস।”(A) 15 কিন্তু তোমরা যদি নিজেদের মধ্যে কামড়া-কামড়ি, ছেঁড়াছেড়ি কর, তবে সাবধান! যেন তোমরা একে অপরের দ্বারা ধ্বংস না হও।
মানব প্রকৃতি এবং আত্মা
16 তাই আমি বলি যে, তোমরা সেই আত্মার পরিচালনায় চল, তাহলে তোমরা আর তোমাদের পাপ প্রকৃতির ইচ্ছা পূর্ণ করবে না। 17 কারণ আমাদের পাপ প্রকৃতি যা চায়, তা আত্মার বিরুদ্ধে এবং আত্মা যা চায় তা পাপ প্রকৃতির ইচ্ছার বিরুদ্ধে। এরা পরস্পরের বিরোধী, ফলে তোমরা যা চাও তা করতে পার না। 18 কিন্তু তোমরা যদি আত্মা দ্বারা পরিচালিত হও তবে তোমরা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে নও।
19 পাপ প্রবৃত্তির কাজগুলি স্পষ্ট: সেগুলি হল ব্যভিচার, অশুচিতা, স্বেচ্ছাচারিতা, 20 প্রতিমা পূজা, ডাইনি বিদ্যা, ঘৃণা, স্বার্থপরতা, হিংসা, ক্রোধ, নিজেদের মধ্যে বিতর্ক, মতভেদ, দলাদলি, ঈর্ষা, 21 মাতলামি, লাম্পট্য আর একই ধরণের অন্য অপরাধ। এর বিরুদ্ধে তোমাদের সাবধান করে দিচ্ছি যেমন এর আগেও করেছি। যারা এইসব কুকাজ করবে তাদের ঈশ্বরের রাজ্যে জায়গা হবে না। 22 কিন্তু আত্মার ফল হল ভালবাসা, আনন্দ, শান্তি, ধৈর্য্য, দয়া, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা, মৃদুতা ও আত্মসংযম। 23 এই সবের বিরুদ্ধে কোন বিধি-ব্যবস্থা নেই। 24 যারা যীশু খ্রীষ্টে রয়েছে, তারা তাদের পাপ প্রকৃতিকে কামনা বাসনা সমেত ক্রুশে বিদ্ধ করেছে, অর্থাৎ তাদের পুরানো জীবনের সব মন্দ লালসা ও প্রবৃত্তি ত্যাগ করেছে। 25 সুতরাং আত্মাই যখন আমাদের নতুন জীবনের উৎস তখন এস আমরা আত্মার অধীনে চলি। 26 এস আমরা যেন অযথা অহঙ্কার না করি, পরস্পরকে জ্বালাতন ও হিংসা না করি।
ফরৌণ সিংহ না দানব
32 দ্বাদশতম বছরের নির্বাসনের দ্বাদশতম মাসের প্রথম দিনে প্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন: 2 “হে মনুষ্যসন্তান, মিশরের রাজা ফরৌণের সম্বন্ধে শোকের এই গান গেয়ে তাকে বল:
“‘তুমি নিজেকে উপজাতির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়া যুব সিংহের মত মনে করতে।
কিন্তু আসলে তুমি হ্রদের দানবের মত।
তুমি জলস্রোতের মধ্যে পথ করে নিয়ে এগিয়ে যেতে,
তোমার পা দিয়ে তুমি জল কাদাময় করে তুলতে।
তুমিই নদীগুলিকে আলোড়িত করে দিতে।’”
3 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথাগুলি বলেন:
“আমি বহু লোক জন একত্র করেছি।
এবার আমি তোমার উপরে আমার জাল ছুঁড়ব।
তারপর লোকে তোমায় টেনে তুলবে।
4 তারপর আমি তোমায় মাটিতে ফেলে দেব।
আমি তোমায় মাঠে ছুঁড়ে ফেলব।
আকাশের সমস্ত পাখী যাতে তোমার ওপর বিশ্রাম করে সেই ব্যবস্থাই আমি করব।
সমস্ত বন্য পশুরা এসে তৃপ্ত না হওয়া পর্যন্ত যাতে তোমাকে খেয়ে নেয় তার ব্যবস্থা আমি করব।
5 আমি তোমার দেহ পর্বতের উপরে ছড়িয়ে দেব।
উপত্যকাগুলি আমি তোমার মৃতদেহে পূর্ণ করে দেব।
6 আমি তোমার রক্ত পর্বতের উপর
ঢেলে মাটি ভিজিয়ে ফেলব।
নদীগুলি তোমার দ্বারা পূর্ণ হবে।
7 আমি তোমাকে অদৃশ্য করে দেব।
আমি আকাশ ঢেকে ফেলে তারাগুলিকে অন্ধকারময় করব।
আমি সূর্যকে মেঘের পেছনে লুকিয়ে রাখব।
আমি তোমার সমস্ত আলোকে অন্ধকার করে দেব।
8 কয়েকটি আলো আছে যা আকাশকে আলোকিত করে,
কিন্তু তোমার কাছে সেগুলো যাতে অন্ধকার দেখায় আমি তার ব্যবস্থা করব।
আমি তোমার সমস্ত দেশগুলিকে অন্ধকারময় করে দেব।”
প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব কথা বলেন।
9 “আমি যখন তোমাদের বন্দী হিসেবে যে দেশ তোমরা জান না এমন এক দেশে পাঠাব তখন বহু লোক দুঃখিত ও চিন্তাগ্রস্ত হবে। 10 উপজাতি তোমায় দেখে অবাক হয়ে যাবে। আমি যখন আমার তরবারিটি তাদের সামনে দোলাব তখন তারা তোমার দরুণ ভয়ে কাঁপবে। তোমার পতনের দিনে, প্রতি মুহুর্তে রাজারা ভয়ে কাঁপবে, প্রত্যেকে তার নিজের জীবনের জন্য ভীত হবে।”
11 কারণ প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেছেন: “বাবিলের রাজার তরবারি তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসবে। 12 আমি তোমার লোকদের হত্যা করার জন্য ঐসব সৈন্যদের ব্যবহার করব। ঐ সৈন্যরা ভয়ঙ্কর জাতির লোক; মিশর যা নিয়ে গর্ব করে তা তারা ধ্বংস করবে। মিশরের লোক জনও ধ্বংস হবে। 13 মিশরের নদীর ধারে যত পশু আছে আমি তাদের সব ধ্বংস করব। ফলে লোকরা তাদের পায়ে পায়ে আর জল ঘোলা করবে না, পশুদের ক্ষুরের দ্বারাও জল আর ঘোলা হবে না। 14 অর্থাৎ আমি মিশরের জল শান্ত করব। তাদের নদীগুলো আস্তে আস্তে তেলের মত বইবে।” প্রভু আমার সদাপ্রভুই এই কথা বলেছেন। 15 “আমি মিশরকে একটি শূন্য স্থানে পরিণত করব। দেশটি সব কিছুই হারাবে। মিশরে বাসকারী সমস্ত লোককেই আমি শাস্তি দেব। তখন তারা জানবে যে আমিই প্রভু।
16 “অন্য জাতির লোকরা ও কন্যারা এই শোকের গান গাইবে। মিশর ও মিশরের লোকেদের সম্বন্ধে তার শোকের এই গান গাইবে।” প্রভু আমার সদাপ্রভুই এইসব কথা বলেছেন।
মিশর ধ্বংসের জন্য রয়েছে
17 নির্বাসনের দ্বাদশতম বছরের প্রথম মাসের পঞ্চদশ দিনে প্রভুর এই বার্তা আমার কাছে এল। তিনি বললেন, 18 “মনুষ্যসন্তান, মিশরের লোকদের জন্য কাঁদ। মিশর এবং সেই শক্তিশালী জাতিদের কবরের দিকে পরিচালিত কর; তাদের পাতালের দিকে পরিচালিত কর। যেখানে তারা অন্যান্য গর্তগামীদের কাছে যাবে।
19 “মিশর তুমি অন্য কারও চেয়ে উৎকৃষ্ট নও! মৃত্যুর স্থানে যাও, ঐ সমস্ত বিদেশীদের সঙ্গে গিয়ে শোও।
20 “যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছিল মিশর তাদের কাছে যাবে। যুদ্ধে মিশর নিজেই নিহত হয়েছিল। শত্রুরা তাকে এবং তার সমস্ত লোককে টেনে নিয়েছে।
21 “বলবান ও শক্তিশালী লোক যুদ্ধে হত হয়েছিল। ঐসব বিদেশী লোকরা মৃত্যুর স্থানে নেমে গিয়েছিল। ঐ স্থানে যারা হত হয়েছিল তারা মিশর এবং তার সাহায্যকারীর সাথে কথা বলবে।
22-23 “মৃত্যুর সেই স্থানে অশূর ও তার সমস্ত সৈন্যরা রয়েছে; তাদের কবর রয়েছে সেই গভীরতম গর্তে। ঐসব অশূরীয় সৈন্যরা যুদ্ধে হত হয়েছিল আর তাদের কবরগুলি তার ঐ কবরের পাশেই রয়েছে। জীবিত কালে তারা লোকদের ভীত করত কিন্তু এখন তারা সবাই শান্ত; তারা সবাই যুদ্ধে নিহত হয়েছে।
24 “এলম সেখানে রয়েছে; তার সৈন্যরা তার কবরের চারপাশে রয়েছে; তাদের সবাই যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। ঐ বিদেশীরা গভীরতম গর্তে গিয়েছে। জীবিত কালে তারা লোকদের ভীত করত কিন্তু তারা তাদের লজ্জা সমেত ঐ গভীর গর্তে গিয়েছে। 25 যুদ্ধে নিহত সমস্ত সৈন্য ও এলমের জন্য তারা বিছানা পেতেছে। এলমের সৈন্যরা তার কবরের চারপাশে রয়েছে। ঐসব বিদেশীরা যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। জীবিত কালে তারা লোকেদের সন্ত্রস্ত করত কিন্তু তারা তাদের লজ্জা সমেত ঐ গভীর গর্তে গিয়েছে। তারা নিহত অন্যসব লোকেদের সঙ্গে রয়েছে।
26 “মেশক, তূবল এবং তাদের সব সেনারা ঐখানে রয়েছে; তাদের কবরও তারই পাশে। ঐসব বিদেশীরা যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। এরাই জীবিতকালে লোকদের ভীত করত। 27 এখন তারা বহু পূর্বে যে সব শক্তিশালী লোকরা মারা গিয়েছিল তাদের সাথে শায়িত। তারা তাদের যুদ্ধের অস্ত্র সমেত কবরস্থ। তাদের অস্ত্রগুলি তাদের মাথার নীচে কিন্তু পাপ তাদের হাড়ের মধ্যে কারণ তাদের জীবন কালে তারা লোকদের ভীত করেছিল।
28 “মিশর, তুমিও ধ্বংস হবে এবং ঐসব বিদেশীদের পাশে শয়ন করবে। তুমি ঐসব অন্য সৈন্যরা, যারা যুদ্ধে নিহত হয়েছিল তাদের সাথে শয়ন করবে।
29 “ইদোমও সেখানে রয়েছে; তার রাজারা অন্য নেতাদের সঙ্গে সেখানে রয়েছে। তারাও শক্তিশালী সৈন্য ছিল কিন্তু এখন তারা যুদ্ধে হত অন্যান্য লোকদের সঙ্গে শায়িত। তারা ঐখানে ঐ বিদেশীদের পাশে শায়িত। গভীরতম গর্তে যারা গেছে তাদের সাথে তারা সেখানে রয়েছে।
30 “উত্তরের শাসকরা সবাই সেখানে রয়েছে। সীদোনের সব সৈন্যরা সেখানে রয়েছে। তাদের শক্তি লোকদের সন্ত্রস্ত করেছিল কিন্তু এখন তারা সবাই লজ্জিত। ঐ বিদেশীরা যুদ্ধে নিহত অন্য লোকদের সাথে শায়িত। তারা তাদের লজ্জা সমেত ঐ গভীরতম গর্তে গিয়েছে।
31 “যারা মৃত্যুর স্থানে গিয়েছে ফরৌণ তাদের দেখবে। ফরৌণ ও তার লোকরা দেখে সান্তনা লাভ করবে। হ্যাঁ, তার সমস্ত সৈন্য যুদ্ধে নিহত হবে।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন।
32 “ফরৌণ তার জীবদ্দশায় লোকদের ভয় দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন সে ঐ বিদেশীদের সঙ্গে শয়ন করবে। ফরৌণ ও তার সৈন্যবাহিনী যুদ্ধে নিহত অন্য সৈন্যদের সঙ্গে শয়ন করবে।” প্রভু আমার সদাপ্রভু ঐসব কথা বলেছেন।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: “চুক্তির লিলিফুল” গানটির পর্দায় গাওয়া আসফের একটি প্রশংসা গীত।
80 হে ইস্রায়েলের মেষপালক, আমার কথা শুনুন।
আপনি যোষেফের লোকদের মেষের মত পরিচালিত করেছেন।
করূব দূতের ওপর আপনি রাজার মত বসেন।
আপনাকে আমাদের দেখতে দিন।
2 হে ইস্রায়েলের মেষপালক ইফ্রয়িম, বিন্যামীন এবং মনঃশির প্রতি আপনার মহত্ব প্রদর্শন করুন।
আপনি এসে আমাদের রক্ষা করুন।
3 ঈশ্বর, পুনর্বার আমাদের গ্রহণ করুন।
আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন!
4 প্রভু, হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, কখন আপনি আমাদের প্রার্থনা শুনবেন?
আপনি কি চিরদিনের মত আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে থাকবেন?
5 খাদ্য হিসেবে আপনার লোকদের আপনি চোখের জল দিয়েছেন।
আপনার লোকদের আপনি তাদেরই চোখের জলে ভর্ত্তি গামলা দিয়েছেন।
সেটাই ছিল তাদের পানীয় জল।
6 আমাদের শত্রুদের জন্য আপনি আমাদের ঝগড়ার কারণ হবার লক্ষ্য বানিয়েছেন
এবং শত্রুরা আমাদের বিদ্রূপ করে।
7 হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, পুনরায় আমাদের গ্রহণ করুন।
আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন।
8 অতীতে আপনি আমাদের প্রতি
গুরুত্বপূর্ণ চারা গাছের মতই যত্ন নিয়েছিলেন।
মিশর থেকে আপনি আপনার দ্রাক্ষালতা এনেছিলেন।
অন্যান্য লোকদের আপনি এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং আপনার দ্রাক্ষালতা আপনি এখানে রোপণ করেছিলেন।
9 সেই দ্রাক্ষালতার জন্য আপনি জমি তৈরী করেছিলেন।
এর শিকড়গুলোকে আপনি জমির গভীরে বাড়তে সাহায্য করেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই দ্রাক্ষালতা সারা দেশ ছেয়ে ফেলেছে।
10 এটি পর্বতকে ঢেকে দিয়েছে।
এর পাতাগুলি বৃহৎ এরস গাছকেও ছায়া দিয়েছে।
11 এই দ্রাক্ষালতা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে।
এর লতাপাতা ফরাৎ নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
12 ঈশ্বর, যে প্রাচীর আপনার দ্রাক্ষালতাকে রক্ষা করতো, কেন তাকে ভেঙে ফেললেন?
এখন যে কোন ব্যক্তিই এর ধার দিয়ে যায়, সেই এর দ্রাক্ষা তুলে নিয়ে যায়।
13 বুনো শূকররা এসে আমাদের দ্রাক্ষাক্ষেতে ঘুরে বেড়ায়।
বুনো জন্তুরা এসে এর পাতা খায়।
14 হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আপনি আসুন।
স্বর্গ থেকে আপনার দ্রাক্ষাক্ষেত দেখুন এবং তাকে রক্ষা করুন।
15 হে ঈশ্বর, নিজ হাতে যে দ্রাক্ষালতা আপনি লাগিয়েছিলেন, তার দিকে দেখুন।
যে চারাগাছকে[a] আপনি বড় হতে দিয়েছেন তার দিকে দেখুন।
16 শুকনো গোবরের মত আপনার দ্রাক্ষালতা পুড়ে গিয়েছিলো।
আপনি এর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে একে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
17 হে ঈশ্বর, যে সন্তান আপনার ডানদিকে দাঁড়িয়ে ছিল তার দিকে হাত বাড়ান।
যে সন্তানকে আপনি বড় করেছেন তার দিকে হাত বাড়ান।
18 সে আর আপনাকে ছেড়ে যাবে না।
তাকে বাঁচতে দিন, সে আপনার নামের উপাসনা করবে।
19 হে প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আমাদের কাছে ফিরে আসুন।
আমাদের গ্রহণ করুন। আমাদের রক্ষা করুন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International