M’Cheyne Bible Reading Plan
দায়ূদ তাঁর সৈন্য গণনার সিদ্ধান্ত নিলেন
24 প্রভু ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে আবার ক্রুদ্ধ হলেন। প্রভু দায়ূদকে ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করলেন। তিনি দায়ূদকে বললেন, “যাও, গিয়ে ইস্রায়েল এবং যিহূদার লোকসংখ্যা গণনা কর।”
2 রাজা দায়ূদ তাঁর সেনাপতি যোয়াবকে বললেন, “যাও, দান থেকে বের-শেবা পর্যন্ত লোকসংখ্যা গণনা করে এসো। তাহলে আমি জানতে পারব সেখানে কত লোকজন আছে।”
3 যোয়াব রাজাকে বললেন, “ঠিক কত সংখ্যক লোক আছে তাতে কিছু এসে যায় না। প্রভু, আপনার ঈশ্বর যেন তার 100 গুণ বেশী লোকজন আপনাকে দেন। এই ঘটনাগুলি যেন আপনি নিজের চোখে ঘটতে দেখেন। কিন্তু কেন আপনি এই গণনার কাজ করতে চাইছেন?”
4 রাজা দায়ূদ বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে তাঁর সেনাপতিদের এবং যোয়াবকে লোকগণনার হুকুম দিলেন। তখন যোয়াব এবং সেনাপতি রাজার কাছ থেকে চলে গেল এবং লোকগণনার কাজ করতে লাগল। 5 তারা যর্দন নদী পার হয়ে গেল। অরোয়ের নামক স্থানে তারা ঘাঁটি গাড়লো। তাদের ঘাঁটি শহরের ডানদিকে অবস্থিত ছিল। (এই শহরটি যাসেরের পথে যেতে গাদ উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত ছিল।)
6 তারপর তারা পূর্বদিকে গিয়ে তহতীম-হদ্শি দেশের দিকে গিলিয়দে এল। তারপর তারা উত্তরদিকে দান-যান হয়ে সীদোন পর্যন্ত গেল। 7 তারা সোর দূর্গেও গিয়েছিল। তারা হিব্বীয় ও কনানীয়দের প্রত্যেকটি শহরে গিয়েছিল। দক্ষিণ দিকে তারা যিহূদার দক্ষিণস্থ বের্-শেবা পর্যন্ত গিয়েছিল। 8 গোটা দেশে যেতে তাদের 9 মাস 20 দিন সময় লেগেছিল। তারা 9 মাস 20 দিন পরে জেরুশালেমে ফিরে এসেছিল।
9 যোয়াব রাজার হাতে লোকসংখ্যার তালিকা তুলে দিল। তরবারি ব্যবহার করতে পারে এমন লোকের সংখ্যা ইস্রায়েলে ছিল 800,000 এবং যিহূদার লোকসংখ্যা ছিল 500,000 জন।
প্রভু দায়ূদকে শাস্তি দিলেন
10 লোকসংখ্যা গণনার পর দায়ূদ লজ্জিত হলেন। দায়ূদ প্রভুকে বললেন, “আমি যা করেছি তাতে আমার মস্ত বড় পাপ হয়েছে। হে প্রভু, মিনতি করি, আপনি আমার পাপ ক্ষমা করে দিন। আমি সত্যি বোকার মত কাজ করেছি।”
11 দায়ূদ যখন সকালে ঘুম থেকে উঠলেন, তখন দায়ূদের ভাববাদী গাদের কাছে প্রভুর বাক্য নেমে এল। 12 প্রভু গাদকে বললেন, “যাও গিয়ে দায়ূদকে বল, ‘প্রভু এই কথাই বললেন: আমি তোমাকে তিনটি বিষয় দিচ্ছি। তুমি পছন্দ কর কোনটা আমি তোমার প্রতি বরাদ্দ করব।’”
13 গাদ দায়ূদের কাছে এসে বলল, “তিনটি বিষয়ের মধ্যে থেকে একটা বেছে নাও: তোমার রাজ্যে সাত বছরের দুর্ভিক্ষ। তোমার শত্রুরা তিন মাস ধরে তোমায় তাড়া করবে। তোমার দেশে তিন দিনের মহামারী আসবে। এ বিষয়ে চিন্তা করে, তিনটের মধ্যে একটা বিষয় বেছে নাও। তোমার কোনটা পছন্দ হল সে সম্পর্কে আমি প্রভুকে বলব। প্রভু আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছেন।”
14 দায়ূদ গাদকে বলল, “আমি সত্যিই খুব সমস্যায় পড়েছি। কিন্তু প্রভু সত্যি বড় ক্ষমাশীল। সুতরাং প্রভুই আমাদের শাস্তি দিন। আমার শাস্তি যেন লোকদের কাছ থেকে না আসে।”
15 অতএব প্রভু ইস্রায়েলে একটি মহামারী পাঠালেন। এই মহামারী সকালে শুরু হল এবং মনোনীত সময় পর্যন্ত চলল। দান থেকে বের্-শেবা পর্যন্ত সারা ইস্রায়েলের 70,000 লোক মারা গেল। 16 দেবদূত জেরুশালেমকে ধ্বংস করার জন্য তাঁর বাহু ওপরে ওঠালেন। ঈশ্বর শাস্তির ব্যাপারে তাঁর মন পরিবর্তন করলেন। যে দূত ধ্বংস করছিলেন, প্রভু তাঁকে বললেন, “অনেক হয়েছে। তোমার হাত গুটিয়ে নাও।” সেই সময় তাঁরা যিবূষীয় অরৌনার খামারের কাছে ছিলেন।
দায়ূদ অরৌণার শস্য মাড়ানোর জমি কিনলেন
17 যে দূত লোকদের হত্যা করছিল দায়ূদ তাকে দেখলেন। দায়ূদ প্রভুর সঙ্গে কথা বললেন। দায়ূদ বললেন, “আমি পাপ করেছি। আমি গর্হিত কাজ করেছি। আমি ওদের যা করতে বলেছি এইসব লোক তাই করেছে। তারা বাধ্য মেষের মত আমায় অনুসরণ করেছে। তারা কোন ভুল করে নি। দয়া করে আপনার শাস্তি আমাকে এবং আমার পিতার পরিবারকে দিন।”
18 সেই দিন গাদ দায়ূদের কাছে এল। গাদ দায়ূদকে বলল, “যাও, যিবূষীয় অরৌণার শস্য মাড়ানোর জমিতে প্রভুর জন্য একটি বেদী তৈরী কর।” 19 যেমন গাদ তাকে বলল সেইমত দায়ূদ করল। প্রভু যা চান দায়ূদ ঠিক তাই করল। দায়ূদ অরৌণার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। 20 অরৌণা দেখল যে রাজা দায়ূদ এবং তাঁর আধিকারিকরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসছে। অরৌণা বাইরে বেরিয়ে গিয়ে মাথা নত করে প্রণাম করল। 21 অরৌণা বলল, “আমার গুরু এবং রাজা কেন আমার কাছে এসেছেন?”
দায়ূদ উত্তর দিলেন, “আমি তোমার কাছ থেকে খামার বাড়ীটি কিনতে এসেছি। তারপর আমি প্রভুর জন্য একটা বেদী বানাব। তাহলে এই মহামারী বন্ধ হয়ে যাবে।”
22 অরৌণা দায়ূদকে বলল, “হে আমার গুরু এবং রাজা, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ হিসেবে আপনি যা খুশী তাই নিতে পারেন। এখানে হোমবলির জন্য কিছু গরু এবং কাঠের জন্য এই ধান ঝাড়াইয়ের পাটাতন এবং বাঁকগুলোও দিয়ে দিচ্ছি। 23 হে রাজা, এইসব আমি আপনাকে দিয়ে দিচ্ছি!” অরৌণা রাজাকে আরও বলল, “প্রভু, আপনার ঈশ্বর, যেন আপনার প্রতি প্রসন্ন হন।”
24 কিন্তু রাজা অরৌণাকে বললেন, “না! আমি তোমাকে এই জমির দাম দিয়ে দেব। আমি আমার প্রভু ঈশ্বরকে হোমবলি উৎসর্গ করব না যার জন্য আমি কোন অর্থ দিইনি।”
তখন দায়ূদ 50 শেকেল রূপোর বিনিময়ে সেই ঢেঁকি এবং গরুগুলো কিনে নিলেন। 25 তারপর দায়ূদ প্রভুর উদ্দেশ্যে সেখানে এক বেদী নির্মাণ করলেন। তিনি তার ওপরে হোমবলি এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করলেন।
সারা দেশের জন্য দায়ূদের প্রার্থনায় প্রভু সাড়া দিলেন। প্রভু সেই মহামারীকে ইস্রায়েলে থামিয়ে দিলেন।
4 আমি তোমাদের একথা বলতে চাইছি—উত্তরাধিকারী যতদিন শিশু থাকে ততদিন তার সঙ্গে একজন দাসের কোন তফাত্ থাকে না; যদিও সেই শিশু সব কিছুর মালিক। 2 কারণ সে যত দিন শিশু অবস্থায় থাকে তাকে অভিভাবক এবং সংসার পরিচালকের কথা অনুযায়ী চলতে হয়। সাবালক হবার জন্য যে বয়স তার পিতা নির্ধারণ করে দেন, সেই বয়সে পৌঁছলে সে স্বাধীন হয়। 3 একথা আমাদের পক্ষে একইভাবে প্রযোজ্য। আমরা যখন শিশুদের পর্যায়ে ছিলাম, তখন আমরা এই জগতের কতকগুলি প্রাথমিক নিয়ম কানুনের অধীন ছিলাম, 4 কিন্তু নিরুপিত সময়ে ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠালেন। ঈশ্বরের পুত্র একজন স্ত্রীলোকের গর্ভজাত হলেন এবং বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবন কাটালেন, 5 যাতে তিনি বিধি-ব্যবস্থার অধীন সমস্ত লোকদের স্বাধীন করতে পারেন এবং যেন আমরা সকলে তাঁর পুত্ররূপে স্বীকৃতি পেতে পারি।
6 তোমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান, সেইজন্যই তাঁর পুত্রের আত্মাকে তিনি তোমাদের অন্তরে পাঠিয়েছেন। সেই আত্মা ডেকে ওঠে, “আব্বা, পিতা” বলে। 7 তাই তোমরা আগের মতো আর দাস নও কিন্তু ঈশ্বরের পুত্র। আর যেহেতু তোমরা পুত্র তাই ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুত বিষয়গুলি তোমাদের দেবেন।
গালাতীয় খ্রীষ্টানদের জন্য পৌলের ভালবাসা
8 অতীতে যখন তোমরা ঈশ্বরকে জানতে না, তখন তোমরা যে সমস্ত দেবতার সেবা করতে, তারা ঈশ্বর নয়। 9 কিন্তু তোমরা এখন সত্য ঈশ্বরকে জেনেছ অথবা এটা বলা ভাল যে ঈশ্বরই তোমাদের জেনেছেন। তাই পূর্বে যে সব নিরর্থক ও দুর্বল নিয়ম-কানুন ছিল সেদিকে আবার কেন ফিরছ? তোমরা কি আবার ঐ সকলের দাস হতে চাও? 10 তোমরা কেবল বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ। 11 তোমাদের দেখে আমার ভয় হয় যে, তোমাদের মধ্যে হয়তো আমি বৃথাই পরিশ্রম করছি।
12 আমার ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের মতো ছিলাম, তাই মিনতি করি তোমরা আমার মতো হও। তোমরা আমার সঙ্গে কোন খারাপ ব্যবহার কর নি। 13 তোমরা তো জান, আমি অসুস্থ ছিলাম বলে প্রথমেই তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করি। 14 যদিও আমার অসুস্থতা তোমাদের সবার কাছে এক পরীক্ষাস্বরূপ হয়েছিল, তবু তোমরা এমনভাবে আমাকে গ্রহণ করেছিলে যেন আমি ঈশ্বর হতে আগত স্বর্গদূত, যেন স্বয়ং যীশু খ্রীষ্ট। 15 এখন তোমাদের সেই আনন্দ কোথায়? আমি তোমাদের সম্বন্ধে এই সাক্ষ্য দিতে পারি যে তখন সম্ভব হলে তোমরা আমার জন্য নিজের নিজের চোখ উপড়ে আমাকে দিতে দ্বিধা করতে না। 16 এখন তোমাদের কাছে সত্য বলছি বলে কি আমি তোমাদের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছি?
17 সেই লোকরা তোমাদের প্রতি আগ্রহী হয়েছে, কিন্তু তা কোন ভাল উদ্দেশ্যে নয়। তারা তোমাদের কাছ থেকে আমাদের আলাদা করতে চায়, যাতে তোমরা তাদের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ কর। 18 অবশ্য আগ্রহ দেখানো ভাল কেবল যদি সৎ উদ্দেশ্যে তা করা হয়। আমি যখন তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি কেবল তখনই নয় বরং সবসময়েই তা থাকা ভাল। 19 হে আমার প্রিয় সন্তানরা, তোমাদের জন্য আমি আর একবার প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করছি। তোমাদের নিয়ে আমাকে এই যন্ত্রণা ভোগ করতেই হবে যতদিন পর্যন্ত না তোমরা খ্রীষ্টের মতো হয়ে ওঠো। 20 এখন তোমাদের কাছে যেতে আমার খুব ইচ্ছা করছে, তাহলে ভিন্নভাবে এসব নিয়ে আলোচনা করতে পারতাম। আমি জানি না তোমাদের নিয়ে আমি কি করব।
হাগার এবং সারার উদাহরণ
21 আমাকে বলতো, তোমাদের মধ্যে কে মোশির বিধি-ব্যবস্থার অধীন থাকতে চাও? তোমরা কি জান না বিধি-ব্যবস্থা কি বলে? 22 শাস্ত্র বলছে যে অব্রাহামের দুটি পুত্র ছিল, একটি পুত্রের মা ছিল দাসী স্ত্রী, অপর পুত্রের মা ছিল স্বাধীন স্ত্রী। 23 দাসী স্ত্রীর গর্ভে অব্রাহামের যে সন্তান জন্মেছিল তার জন্ম স্বাভাবিকভাবেই হয়েছিল, কিন্তু স্বাধীন স্ত্রীর গর্ভে অব্রাহামের যে সন্তান জন্মেছিল, সে অব্রাহামের কাছে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির ফলেই জন্মেছিল।
24 এই বিষয়গুলি রূপকের মতো ব্যাখ্যা করা যায়। এই দুই মহিলা দুটি চুক্তির প্রতিনিধিত্ব করে, একটি চুক্তি যেটা সীনয় পর্বত থেকে এসেছিল, সেটা একদল লোকের জন্ম দিয়েছিল দাসত্বের জন্যে। যে মাতার নাম হাগার, সে এই চুক্তির সঙ্গে তুলনীয়। 25 হাগার হলেন আরবের সীনয় পর্বতের মতো। তিনি বর্তমান ইহুদীদের জেরুশালেমের প্রতিরূপ, কারণ সেই জেরুশালেম তার লোকদের সাথে দাসত্বের বন্ধনে বদ্ধ। 26 কিন্তু স্বর্গীয় জেরুশালেম স্বাধীন মহিলা স্বরূপ। সেই জেরুশালেম আমাদের মাতৃসম। 27 কারণ শাস্ত্রে লেখা আছে:
“হে বন্ধ্যা নারী, তোমরা যারা সন্তানের জন্ম দাও নি,
তোমরা আনন্দ কর, উল্লসিত হও!
তোমরা যারা কখনই প্রসব যন্ত্রণা ভোগ কর নি;
তোমরা উল্লাস কর,
কারণ স্বামীর সঙ্গে বসবাসকারী স্ত্রীর চাইতে
নিঃসঙ্গ স্ত্রীর অনেক বেশী সন্তান হবে।”(A)
28 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরাও সেই ইস্হাকের মতো প্রতিশ্রুতির সন্তান। 29 কিন্তু ঠিক এখনকার মতোই তখনও যে পুত্র স্বাভাবিকভাবে জন্মেছিল, সে অন্য পুত্রকে অর্থাৎ পবিত্র আত্মার শক্তিতে যার জন্ম হয়েছিল তাকে নির্যাতন করত। 30 কিন্তু শাস্ত্র কি বলে? “দাসী স্ত্রী ও তার পুত্রকে তাড়িয়ে দাও! কারণ দাসীর পুত্র স্বাধীন স্ত্রীর পুত্রের সাথে কিছুরই উত্তরাধিকারী হবে না।”(B) 31 তাই বলি আমার ভাই ও বোনেরা, আমরা সেই দাসীর সন্তান নই, আমরা স্বাধীন স্ত্রীর সন্তান।
বিশাল এরস বৃক্ষ
31 নির্বাসনের এগারোতম বছরের তৃতীয় মাসের প্রথম দিনে প্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন, 2 “মনুষ্যসন্তান, এই কথাগুলি মিশরের রাজা ফরৌণ ও তার প্রজাদের গিয়ে বল।
“‘তুমি এত মহান!
তোমার সঙ্গে আমি কার তুলনা করব?
3 অশূরীয় হল লিবানোনের একটি এরস বৃক্ষের মত।[a]
তার শাখাসকল সুন্দর,
ঘন ছায়া বিশিষ্ট
আর দৈর্ঘ্যে বেশ লম্বা হওয়ায়
তার মাথা ছিল মেঘের মধ্যে!
4 জলে সেই গাছের বৃদ্ধি হত।
গভীর নদী সেই বৃক্ষকে আরো লম্বা করেছিল।
যেখানে বৃক্ষটি রোপণ করা হয়েছিল
সেই জায়গারই কাছাকাছি নদীটি বয়ে যেত।
এবং নদীটির সেই ভাগ থেকে ছোট ছোট জলধারা
ঐ জমির অন্যান্য গাছগুলির কাছে বয়ে যেত।
5 তাই সেই বৃক্ষ ক্ষেত্রের অন্যান্য বৃক্ষের চেয়ে উচ্চতায় লম্বা ছিল।
আর তাতে অনেক শাখাও জন্মাল।
অনেক জলও ছিল
তাই গাছের শাখাগুলি ছড়িয়ে গেল।
6 আকাশের সমস্ত পাখি
সেই গাছের ডালে বাসা বাঁধল।
আর মাঠের সমস্ত পশু
সেই শাখার তলায় সন্তান প্রসব করল।
সমস্ত মহান জাতি
সেই গাছের ছায়ায় বাস করল।
7 সেই বৃক্ষ অতি সুন্দর,
অতি বৃহৎ ও লম্বা ডাল যুক্ত ছিল।
তার মূলগুলি প্রচুর জলও পেত!
8 এমনকি ঈশ্বরের বাগানের
এরস বৃক্ষও এত বড় ছিল না।
দেবদারু গাছেরও এতগুলো শাখা ছিল না।
এমনকি অম্মোন বৃক্ষেরও এত শাখা ছিল না।
ঈশ্বরের বাগানের
কোন বৃক্ষই এত সুন্দর ছিল না।
9 আমি তাকে অনেক শাখা বিশিষ্ট
ও সুন্দর করলাম।
এই দেখে, এদনের বৃক্ষগুলি, যেগুলি ঈশ্বরের বাগানে ছিল,
ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠল।’”
10 তাই প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “সেই গাছ বড় হল, তার মাথা মেঘ ছুঁলো আর তা এত উঁচু বলে তার মনে গর্ব হল! 11 সেই জন্য আমি একজন শক্তিশালী রাজার হাতে সেই বৃক্ষের ওপর নিয়ন্ত্রণভার দিলাম। সেই শাসক তার মন্দ কাজের জন্য সেই বৃক্ষকে শাস্তি দিল। আমি সেই বৃক্ষকে আমার উদ্যান থেকে তুলে ফেললাম। 12 বিদেশীরা পৃথিবীর ভয়ঙ্কর লোকরা তা কেটে তার শাখাগুলি পাহাড়ে ও উপত্যকায় ছড়িয়ে দিল। তার ভাঙা ডালগুলি সেই দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী ভাসিয়ে নিয়ে গেল। সেই গাছের তলায় আর ছায়া না থাকায় লোকে তাকে পরিত্যাগ করল। 13 এখন সেই পতিত বৃক্ষে পাখিরা বাস করে; বন্য পশুরা তার পতিত শাখাগুলি মাড়িয়ে যায়।
14 “এখন, জলের ধারের আর কোন গাছ ঐরকম বড়াই করবে না। তারা আর মেঘ পর্যন্ত পৌঁছাতে চাইবে না। যেসব বৃক্ষ জল পান করে, তাদের কেউ আর লম্বা বলে বড়াই করবে না। কারণ তারা সবাই মৃত্যুর জন্য নিরূপিত। তারা সবাই শিওলে চলে যাবে। অন্যরা, যারা মৃত্যুর পরে অগাধ গর্তে নেমেছে তাদের সঙ্গে তারা যোগ দেবে।”
15 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথাগুলি বলেন, “সেই দিন যখন সেই বৃক্ষ শিওলে গেল, আমি লোকদের কাঁদিয়েছিলাম। আমি তাকে গভীর সমুদ্র দ্বারা ঢেকে ফেললাম, নদীগুলির প্রবাহ বন্ধ করে দিলাম যাতে জল আর প্রবাহিত হতে না পারে। আমি লিবানোনকে তার জন্য শোক করালাম, অন্য সব গাছগুলো বড় গাছটির জন্য দুঃখে অসুস্থ হয়ে পড়ল। 16 আমি সেই বৃক্ষের পতন ঘটালাম আর জাতিগণ তার পতনের শব্দে ভয়ে কেঁপে উঠল। আমি সেই বৃক্ষকে মৃত্যুর স্থানে পাঠালাম যেন তা গিয়ে, যারা পাতালে প্রবেশ করেছে এমন সব লোকের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। অতীতে, এদনের সব গাছ, লিবানোনের সর্বোৎকৃষ্টরা সেই জল পান করত। সেই সমস্ত বৃক্ষ অগাধ গহবরে শান্তি পেয়েছিল। 17 হ্যাঁ, বড় বৃক্ষটির সঙ্গে ঐ বৃক্ষরাও মৃত্যুর স্থানে নেমে গেল। তারা যুদ্ধে নিহত লোকেদের সাথে যোগ দিল। সেই বড় বৃক্ষটি অন্য বৃক্ষদের বলবান করল। ঐ বৃক্ষগুলি জাতিগণের মধ্যে বড় বৃক্ষের ছায়ায় বাস করেছিল।
18 “হে মিশর, এদনে অনেক বড় ও বলবান বৃক্ষ ছিল। তার মধ্যে কোন বৃক্ষটির সঙ্গে আমি তোমার তুলনা করব? তারা সবাই অতল গহ্বরে চলে গেছে এবং তুমিও পাতালে ঐ বিদেশীদের সঙ্গে যোগ দেবে। তুমিও সেখানে যুদ্ধে হত লোকদের মধ্যে পড়ে থাকবে।
“হ্যাঁ, ফরৌণের প্রতি এটা ঘটবে আর তা ঘটবে তার সঙ্গে থাকা লোকের ওপর!” প্রভু, আমার সদাপ্রভুই এইসব কথা বলেন।
আসফের প্রশংসা গীতের অন্যতম।
79 হে ঈশ্বর, অন্য জাতিসমূহের কিছু লোক আপনার লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছিলো।
ওই সব লোক আপনার পবিত্র মন্দির ধ্বংস করেছে।
ওরা জেরুশালেমকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
2 হিংস্র পাখীদের খাওয়ানোর জন্য ওরা আপনার সেবকদের দেহ ফেলে রেখে গেছে।
বুনো পশুদের খাওয়ানোর জন্য ওরা আপনার অনুগামীদের দেহ ফেলে রেখে গেছে।
3 হে ঈশ্বর, যতক্ষণ না জলের মত রক্ত বয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওরা আপনার লোকদের হত্যা করেছে,
মৃতদেহগুলোকে কবর দেওয়ার মত একজনও অবশিষ্ট নেই।
4 আমাদের চারপাশের দেশগুলো আমাদের অপমান করেছে।
আমাদের চারপাশের লোকেরা আমাদের নিয়ে উপহাস করেছে এবং আমাদের নিয়ে মজা করেছে।
5 ঈশ্বর, চিরদিনই কি আপনি আমাদের প্রতি ক্রুদ্ধ থাকবেন?
আপনার তীব্র আবেগ কি আগুনের মতই জ্বলতে থাকবে?
6 হে ঈশ্বর, যে সব জাতি আপনাকে জানে না তাদের ওপর আপনার ক্রোধ দেখান।
সেই সব রাজ্য যারা আপনার নামের উপাসনা করে না, তাদের ওপর আপনার ক্রোধ উজাড় করে দিন।
7 ওইসব জাতি যাকোবকে বিনষ্ট করেছে।
ওরা যাকোবের দেশকে ধ্বংস করেছে।
8 ঈশ্বর, আমাদের পূর্বপুরুষের পাপের জন্য আমাদের শাস্তি দেবেন না।
শীঘ্রই আপনার করুণা প্রদর্শন করুন!
আমাদের ভীষণভাবে আপনাকে প্রয়োজন!
9 হে আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বর, আমাদের সাহায্য করুন! সাহায্য করুন! পরিত্রাণ করুন!
তা আপনার নামের মহিমা এনে দেবে।
আপনার নামের ধার্ম্মিকতার জন্য
আমাদের পাপ মুছে দিন।
10 আমাদের উদ্দেশ্যে, অন্য জাতিকে এই কথা বলতে দেবেন না,
“কোথায় তোমাদের ঈশ্বর? তিনি কি তোমাদের সাহায্য করতে পারেন না?”
ঈশ্বর, ঐ লোকদের শাস্তি দিন এবং সেই শাস্তি যেন আমরা দেখতে পাই।
আপনার সেবকদের হত্যা করার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
11 দয়া করে বন্দীদের আর্তনাদ শুনুন!
ঈশ্বর, যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আপনার মহৎ শক্তি ব্যবহার করে তাদের রক্ষা করুন।
12 হে ঈশ্বর, আমাদের চারপাশের লোকরা আমাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, তার জন্য ওদের আপনি সাত গুণ বেশী শাস্তি দিন।
আপনাকে অপমান করার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
13 আমরা আপনারই লোক। আমরাই আপনার পালের মেষ।
আমরা চিরদিন আপনার প্রশংসা করবো।
ঈশ্বর, আদি অনন্তকাল ধরে আমরা আপনার প্রশংসা করবো!
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International