M’Cheyne Bible Reading Plan
দায়ূদের শেষ বাক্য
23 এইগুলি হল যিশয়ের পুত্র দায়ূদের শেষ বাক্য।
“এই বার্তা এসেছে সেই লোকটির কাছ থেকে
যাকে ঈশ্বর মহান করেছেন।
যিনি যাকোবের ঈশ্বরের মনোনীত রাজা,
ইস্রায়েলের সুমধুর গায়ক, এইগুলি তাঁর বাণী।
2 প্রভুর আত্মা আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেছেন।
আমার মুখ দিয়ে তাঁর বাক্য উচ্চারিত হয়েছে।
3 ইস্রায়েলের ঈশ্বর কথা বলেছেন।
ইস্রায়েলের ঈশ্বর আমায় বলেছেন,
‘সেই ব্যক্তি যিনি সৎভাবে শাসন করেন।
4 সেই ব্যক্তি যে ঈশ্বরে শ্রদ্ধা রেখে শাসন করে।
সেই ব্যক্তি ঊষাকালের প্রভাত কিরণের মত,
পরিষ্কার আকাশের মত, বৃষ্টির পর সূর্য কিরণের মত,
সেই বৃষ্টির মত যার ছোঁয়ায় মাটির ওপর নতুন ঘাস জন্ম নেয়।’
5 “ঈশ্বর আমার পরিবারকে শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত করেছেন।
আমার সঙ্গে তিনি চিরদিনের জন্য একটি চুক্তি করেছেন।
এই চুক্তিকে ঈশ্বর সবদিক থেকে
সুরক্ষিত ও সুনিশ্চিত করেছেন।
তাই, নিশ্চিতভাবে তিনি আমায় সকল জয় ও সাফল্য দেবেন।
আমি যা চাই তার সবই তিনি আমায় দেবেন।
6 “কিন্তু মন্দ লোকরা কাঁটার মত।
লোক কাঁটা রাখে না;
তারা কাঁটাগুলো ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
7 লোক যখন সেই কাঁটাগুলি স্পর্শ করে,
তারা কাঠের বর্শার মত অথবা লোহার ডাণ্ডার মত নিজেদের আহত করে।
হ্যাঁ, সেইসব লোক কাঁটার মত।
তাদের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে,
তারা সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হবে।”
তিনজন বীর যোদ্ধা
8 এইগুলি হল দায়ূদের বীর সৈনিকের নাম:
তখমোনীয় যোশেব-বশেবৎ। যোশেব-বশেবৎ তিনজন শৌর্য্যপূর্ণ সেনার অধিনায়ক ছিল। তাকে ইস্নীয আদীনো বলে ডাকা হত। যোশেব-বশেবৎ একসঙ্গে 800 লোককে হত্যা করেছিল।
9 পরবর্ত্তী বীর হল, অহোহীয়ের অধিবাসী, দোদয়ের পুত্র ইলিয়াসর। ইলিয়াসর সেই তিনজন যোদ্ধাদের একজন যারা পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় দায়ূদের সঙ্গে ছিল। তারা যুদ্ধের জন্য জমায়েত হয়েছিল কিন্তু ইস্রায়েলীয় সেনারা দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। 10 ইলিয়াসর প্রচণ্ড অবসন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। সে দৃঢ়ভাবে তরবারি ধরে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিল। সেই দিন প্রভু ইস্রায়েলকে একটা বড় জয় এনে দিলেন। ইলিয়াসর যুদ্ধে জয়ী হলে লোকরা সকলে ফিরে এল। কিন্তু তারা শুধুমাত্র মৃত শত্রুদের থেকে জিনিসপত্র নিতে এসেছিল।
11 পরবর্তী বীর শম্ম। সে হরারীয় আগির সন্তান। পলেষ্টীয়রা একসঙ্গে যুদ্ধ করতে এল। একটি মুসুর ক্ষেতে তাদের লড়াই হল। পলেষ্টীয়দের কাছ থেকে লোকরা ছুটে পালিয়ে গেল। 12 কিন্তু শম্ম যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ করল। সে পলেষ্টীয়দের পরাজিত করল। সেই দিন, প্রভু ইস্রায়েলকে এক মহান বিজয় এনে দিলেন।
13 একদিন, দায়ূদ অদুল্লম গুহাতে অবস্থান করছিলেন এবং পলেষ্টীয়রা রফায়ীম উপত্যকায় ছিল। দায়ূদের খুব ঘনিষ্ঠ ত্রিশ জন বীর যোদ্ধার[a] মধ্য থেকে এই তিন জন মাটিতে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ে সরীসৃপের মত বুকে ভর দিয়ে দায়ূদের গুহায় পৌঁছে গিয়েছিল এবং দায়ূদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল।
14 অন্য আর এক সময়, দায়ূদ এক দুর্গের মধ্যে ছিলেন এবং সেই সময় একদল পলেষ্টীয় সেনা বৈৎলেহমে ছিল। 15 একটু জলের জন্য দায়ূদ তৃষ্ণার্ত ছিলেন। তিনি বললেন, “আমার ইচ্ছা, বৈৎলেহমের নগরদ্বারের কুয়ো থেকে কেউ আমায় খানিকটা জল এনে দিক!” আসলে দায়ূদ প্রকৃতই জল চান নি, তিনি এমনি সে কথা বলেছিলেন।
16 কিন্তু সেই তিনজন শৌর্য্যপূর্ণ যোদ্ধা পলেষ্টীয় সেনাদের মধ্যে দিয়ে যুদ্ধ করল এবং গিয়ে বৈৎলেহম শহরের ফটকের কাছে কুয়ো থেকে জল এনেছিল। তারা সেই জল দায়ূদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু দায়ূদ সেই জল পান করতে অস্বীকার করলেন। তিনি সেই জল মাটিতে ঢেলে দিয়ে তা প্রভুর কাছে উৎসর্গ করলেন। 17 দায়ূদ বললেন, “হে প্রভু, এই জল আমি পান করতে পারি না। যদি আমি এই জল পান করি, তাহলে তা তাদের রক্ত পান করার মতই অন্যায় কাজ হবে, যারা আমার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই জল এনেছে।” এই কারণে দায়ূদ সেই জল পান করতে অস্বীকার করেন। এই তিন জন বীর এই রকম আরও অনেক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
অন্যান্য বীর সৈন্যদের কথা
18 যোয়াবের ভাই এবং সরূয়ার পুত্রের নাম অবীশয়। অবীশয় এই তিনজন যোদ্ধার নেতা ছিল। অবীশয় 300 শত্রুর বিরুদ্ধে তার বর্শাকে ব্যবহার করেছে এবং তাদের হত্যা করেছে। সেও এই তিন জন বীর যোদ্ধার মতই বিখ্যাত হয়েছিল। 19 অবীশয় ঐ তিন জন বীরের মতই বিখ্যাত হয়েছিল। যদিও সে ঐ তিন জন বীরের একজনও নয় তবু সে ঐ তিন বীরের নেতা হয়ে গিয়েছিল।
20 এছাড়া যিহোয়াদার পুত্র বনায় ছিল আর এক বীর। সে এক পরাক্রমশালী পিতার সন্তান। সে কব্সেল থেকে এসেছিল। বনায় অনেকগুলি দুঃসাহসের কাজ করেছিল। মোয়াবীয় অরীয়েলের দুই পুত্রকে সে হত্যা করেছিল। একদিন যখন তুষারপাত হচ্ছে, বনায় মাটির একটা গর্তের মধ্যে ঢুকে এক সিংহকে বধ করে। 21 বনায় এক মিশরীয় সৈন্যকেও হত্যা করে। মিশরীয় সৈন্যটির হাতে একটা বর্শা ছিল। কিন্তু বনায়ের হাতে একটি মাত্র মুগুর ছিল। বনায় মিশরীয় সৈন্যটির বর্শাটা মুঠো করে চেপে ধরে এবং তার কাছ থেকে তা ছিনিয়ে নেয়। তারপর তার নিজের বর্শা দিয়ে সেই মিশরীয় সৈন্যকে হত্যা করে। 22 যিহোয়াদার পুত্র বনায় এই রকম নানা দুঃসাহসিক কাজ করেছিল। সে সেই তিন বীরপুরুষের মতই বিখ্যাত ছিল। 23 বনায় সেই ত্রিশ জন বীরের থেকেও বিখ্যাত ছিল, কিন্তু সে সেই তিন জন বীরপুরুষের একজন ছিল না। দায়ূদ বনায়কে তার দেহরক্ষীদের নেতা রূপে মনোনীত করেন।
তিরিশ জন বীরের কথা
24 ত্রিশ জন যোদ্ধার অন্যান্য বীররা হল:
যোয়াবের ভাই অসাহেল;
বৈৎলেহমের দোদয়ের পুত্র ইল্হানন;
25 হরোদীয় শম্ম;
সহরোদীয় ইলীকা;
26 পল্টীয় হেলস্;
তকোয়ীয় ইক্কেশের পুত্র ঈরা;
27 অনাথোতীয় অবীয়েষর;
হূশাতীয় মবুন্নয়;
28 অহোহীয় সল্মোন;
নটোফাতীয় মহরয়;
29 নটোফৎ থেকে বানা এর পুত্র হেলব;
গিবিয়ার বিন্যামীনের রীবয়ের পুত্র ইত্তয়;
30 পিরিয়াথোনীয় বনায়;
গাশ উপত্যকা নিবাসী হিদ্দয়;
31 অর্বতীয় অবি-যলবোন;
বরহূমীয় অস্মাবৎ;
32 শাল্বোনীয় ইলিয়হবা;
যাশেনের পুত্ররা;
33 হরার থেকে শম্মের পুত্র যোনাথন;
হরার থেকে সাররের পুত্র অহীয়াম;
34 মাখাথীয় অহসবয়ের পুত্র ইলীফেলট;
গীলোনীয় অহীথোফলের পুত্র ইলীয়াম;
35 কর্মিলীয় হিষ্রয়;
অব্বীয় পারয়;
36 সোবা নিবাসী নাথনের পুত্র যিগাল;
গাদীয় বানী;
37 অম্মোনীয় সেলক;
বেরোতীয় নহরয় (যে সরূয়ার পুত্র যোয়াবের বর্ম বহন করেছিল।)
38 যিত্রীয় ঈরা;
যিত্রীয় গারেব;
39 এবং হিত্তীয় ঊরিয়।
সেই দলে মোট 37জন ছিল।
বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ
3 ওহে অবুঝ গালাতীয়ের লোকেরা! তোমাদের কে যাদু করেছে? ক্রুশের ওপর যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যুর কথা তোমাদের তো স্পষ্ট করেই বোঝানো হয়েছিল। 2 কেবল আমার এই কথাটির জবাব দাও যে তোমরা কিভাবে পবিত্র আত্মা পেয়েছিলে? বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা কি পেয়েছিলে? না সুসমাচার শুনে ও তাতে বিশ্বাস করাতেই পবিত্র আত্মা পেয়েছিলে? 3 তোমরা কি এতই অবোধ যে, পবিত্র আত্মায় খ্রীষ্টীয় জীবন শুরু করে এখন তা স্থুল দৈহিক শক্তির ওপর নির্ভর করে শেষ করতে চাও? 4 তোমরা কি বৃথাই এত রকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছ? আমি আশা করি তা বৃথা হবে না। 5 তোমরা বিধি-ব্যবস্থা পালন করেছিলে বলেই কি ঈশ্বর তোমাদের পবিত্র আত্মা দিয়েছিলেন এবং তোমাদের মধ্যে অলৌকিক কাজ করেছিলেন, না তোমরা সুসমাচার শুনে বিশ্বাস করেছিলে বলে?
6 অব্রাহামের সম্পর্কে শাস্ত্র যেমন বলে: “অব্রাহাম ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস করেছিলেন এবং ঈশ্বর তাঁর বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, তার ফলে ঈশ্বরের সাক্ষাতে অব্রাহাম ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়েছিলেন।”(A) 7 তোমাদের জানা ভাল, যে যারা বিশ্বাসের পথে চলে তারাই অব্রাহামের প্রকৃত সন্তান। 8 পবিত্র শাস্ত্রে এবিষয়ে আগেই লেখা ছিল যে, অইহুদী লোকদের ঈশ্বর তাদের বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিক প্রতিপন্ন করবেন। আগে থেকেই এই সুসমাচার অব্রাহামকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, “অব্রাহাম, সমস্ত জাতি তোমার মাধ্যমে আশীর্বাদ পাবে।”(B) 9 অব্রাহাম বিশ্বাস করে যেমন আশীর্বাদ পেয়েছেন তেমনি যে সমস্ত লোক এখন বিশ্বাস করছে তারাও সেই আশীর্বাদ লাভ করছে।
10 যারা ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে বিধি-ব্যবস্থা পালনের ওপর নির্ভর করে, তাদের ওপর অভিশাপ থাকে। কারণ শাস্ত্র বলে: “বিধি-ব্যবস্থায় যে সকল লেখা আছে তার সব কটি যে পালন না করে সে শাপগ্রস্ত!”(C) 11 এখন এটা পরিষ্কার যে বিধি-ব্যবস্থার দ্বারা ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া যায় না। কারণ শাস্ত্র বলে: “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসের জন্যই বাঁচবে।”[a]
12 কিন্তু বিধি-ব্যবস্থার সঙ্গে বিশ্বাসের কোন সম্পর্ক নেই, বরং শাস্ত্র বলে, “যে বিধি-ব্যবস্থা পালন করে, সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”[b] 13 বিধি-ব্যবস্থা আমাদের ওপর যে অভিশাপ চাপিয়ে দিয়েছে তার থেকে খ্রীষ্ট আমাদের উদ্ধার করেছেন। খ্রীষ্ট আমাদের স্থানে দাঁড়িয়ে নিজের ওপর সেই অভিশাপ গ্রহণ করলেন। কারণ শাস্ত্র বলছে: “যার দেহ গাছে টাঙ্গানো হয় সে শাপগ্রস্ত।”(D) 14 খ্রীষ্ট এই কাজ সম্পন্ন করলেন যাতে যে আশীর্বাদ অব্রাহাম লাভ করেছিলেন তা খ্রীষ্টের মাধ্যমে অইহুদীরাও লাভ করে, এবং যেন বিশ্বাসের দ্বারা আমরা সেই প্রতিশ্রুত আত্মাকে পাই।
বিধি-ব্যবস্থা ও প্রতিশ্রুতি
15 আমার ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের কাছে সাধারণ একটি উদাহরণ দিচ্ছি: দুজনের মধ্যে একটা চুক্তির কথা চিন্তা কর। সেই চুক্তি একবার বৈধ হয়ে গেলে কেউ তা বাতিল করতে পারে না বা তাতে কোন কিছু যোগ করতে পারে না। 16 ঈশ্বর, অব্রাহাম ও তাঁর বংশধরকে আশীর্বাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। লক্ষ্য কর যে এখানে “বংশধর” বলা হয়েছে, “বংশধরদের” নয়, যেন অনেককে নয় বরং একজনকে অর্থাৎ খ্রীষ্টকে নির্দেশ করা হয়। 17 আমি এটাই বলতে চাই যে ঈশ্বর অব্রাহামের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, আর তার চারশো তিরিশ বছর পরে বিধি-ব্যবস্থা এসেছিল। তাই বিধি-ব্যবস্থা এসে পূর্বেই যে চুক্তি ঈশ্বরের সাথে অব্রাহামের হয়েছিল তা বাতিল করতে পারে না।
18 যদি উত্তরাধিকার বিধি-ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করত তাহলে তা আর প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভরশীল হত না; কিন্তু ঈশ্বর মুক্ত হস্তে এই উত্তরাধিকার অব্রাহামকে তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যে দিয়েছিলেন।
19 তাহলে বিধি-ব্যবস্থা কিসের জন্য? অপরাধ কি, এটা বোঝাবার জন্য বিধি-ব্যবস্থা সেই বংশধরের (অব্রাহামের) আসা পর্যন্ত যোগ করা হল, যাকে সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মানুষের কাছে সেই বিধি-ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে স্বর্গদূতরা মোশিকে মধ্যস্তরূপে ব্যবহার করেছিলেন। 20 কিন্তু কেবলমাত্র একজন থাকলে কোন মধ্যস্থের দরকার হয় না; আর ঈশ্বর এক।
মোশির বিধি-ব্যবস্থার উদ্দেশ্য
21 তাহলে কি বিধি-ব্যবস্থা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে? নিশ্চয়ই নয়! যদি এমন বিধি-ব্যবস্থা থাকত যা মানুষকে জীবন দান করতে পারে, তবে বিধি-ব্যবস্থা পালন করেই আমরা ধার্মিক হতে পারতাম। 22 কিন্তু এ সত্য নয়, কারণ শাস্ত্র দেখাচ্ছে যে সকলে পাপের কাছে বন্দী এবং লোকেরা বিশ্বাসের মাধ্যমেই সেই প্রতিশ্রুত আশীর্বাদ পেতে পারে। যারা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করবে, তাদের উদ্দেশ্যেই এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে।
23 এই বিশ্বাস আসার আগে আমরা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে বন্দী ছিলাম। আমাদের কোন স্বাধীনতা ছিল না, যে পর্যন্ত না ঈশ্বর আমাদের কাছে সেই বিশ্বাসের কথা জানালেন। 24 খ্রীষ্টের কাছে আসার জন্য বিধি-ব্যবস্থাই ছিল আমাদের কঠোর অভিভাবক, যেন বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক বলে গণিত হই। 25 এখন যখন বিশ্বাস আমাদের মধ্যে এসেছে, তখন আমরা আর বিধি-ব্যবস্থার অধীন নই।
26-27 কারণ তোমাদের মধ্যে যাদের খ্রীষ্টে বাপ্তিস্ম হয়েছে, তাদের সবাই খ্রীষ্টকে পরিধান করেছে। খ্রীষ্ট যীশুর মাধ্যমে বিশ্বাস দ্বারা তোমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান। 28 এখন খ্রীষ্ট যীশুতে যারা আছে তাদের মধ্যে পুরুষ বা স্ত্রীতে কোন ভেদাভেদ নেই, ইহুদী কি গ্রীক, স্বাধীন অথবা দাসের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা এক। 29 তোমরা খ্রীষ্টের, তাই তোমরা অব্রাহামের বংশধর; সুতরাং অব্রাহামের কাছে ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তোমরাও তার উত্তরাধিকারী হবে।
বাবিলের সৈন্যরা মিশর আক্রমণ করবে
30 প্রভুর বাক্য আবার আমার কাছে এল, তিনি বললেন, 2 “মনুষ্যসন্তান, আমার হয়ে ভাববাণী করে বল, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথাগুলো বলেন:
“‘চিৎকার করে বল,
“সেই ভয়ঙ্কর দিন আসছে।”
3 সেই দিন নিকট!
হ্যাঁ, প্রভুর সেই বিচারের দিন নিকটেই।
সেই দিন হবে মেঘাচ্ছন্ন এক দিন,
সেটা হবে জাতিগণের বিচারের দিন!
4 মিশরের বিরুদ্ধে একটি তরবারি আসবে এবং তার পতন হবে!
তাই দেখে, কূশ দেশের লোকরা ভয়ে কাঁপবে।
বাবিলের সৈন্যরা মিশরের লোকদের বন্দী করে নিয়ে যাবে।
মিশরকে তার ভিত্তি থেকে উৎপাটন করা হবে!
5 “‘বহু লোক মিশরের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিল, যেমন কূশ, পূট, লূদ-এর লোকরা, আরবীয়রা সবাই এবং লিবিয়ার লোকরা। কিন্তু তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে এবং যারা চুক্তি করেছিল সেই সমস্ত লোকরাও[a] ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে!
6 “‘প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথাগুলি বলেন:
“যারা মিশরের স্তম্ভের মত তারা পতিত হবে।
তার পরাক্রমের যে গর্ব তার শেষ হবে।
মিগ্দোল থেকে সিবেনী পর্যন্ত মিশরের লোকে যুদ্ধে হত হবে।”
প্রভু আমার সদাপ্রভুই এইসব কথা বলেছেন!
7 যে সব দেশ ধ্বংস হয়েছিল
মিশর তাদের সঙ্গে যোগ দেবে।
মিশরের শহরগুলো
ঐ শূন্য শহরগুলোর মধ্যে থাকবে।
8 আমি মিশরে এক আগুন লাগাব,
আর তার সমস্ত সাহায্যকারীরা ধ্বংস হবে।
তখন তারা জানবে যে আমিই প্রভু!
9 “‘সেই সময় আমি বার্তাবাহক পাঠাব, যারা জাহাজে করে সেই দুঃসংবাদ নিয়ে কূশ দেশে যাবে। কূশ এখন নিজেকে নিরাপদ ভাবে কিন্তু মিশরকে শাস্তি পেতে দেখে কূশ ভয়ে কাঁপবে। সেই দিন আসছে!’”
10 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন:
“আমি মিশর ধ্বংস করার জন্য
বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরকে ব্যবহার করব।
11 নবূখদ্রিৎসর ও তার লোকরা সমস্ত জাতির মধ্যে ভয়াবহ।
আমি মিশর ধ্বংস করার জন্য তাদের আনব।
তারা মিশরের বিরুদ্ধে তাদের খড়্গ বার করে দেশ শবে পূর্ণ করবে।
12 আমি নীল নদকে শুষ্ক ভূমিতে পরিণত করব।
তারপর সেই শুষ্ক ভূমি আমি দুষ্ট লোকদের কাছে বেচে দেব।
আমি সেই দেশ শূন্য করতে বিদেশীদের ব্যবহার করব।
আমিই প্রভু এই কথা বলেছি!”
মিশরের মূর্ত্তিগুলি ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে
13 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন:
“আমি মিশরের মূর্ত্তিদেরও ধ্বংস করব।
আমি নোফ থেকেও মূর্ত্তিগুলো দূর করব।
মিশরে কোন নেতা থাকবে না
আর আমি মিশর দেশে ভয় সৃষ্টি করব।
14 আমি পথ্রেষকে শূন্য করে দেব।
আমি সোয়নে আগুন লাগাব।
আমি থিব্স্কে শাস্তি দেব।
15 এবং আমি মিশরের দুর্গ বেষ্টিত শহর সীনের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ ঢেলে দেব।
আমি থিব্স্-এর লোকদের ধ্বংস করব!
16 আমি মিশরে আগুন লাগাব।
সীন শহর ভয়ে ছটফট করবে।
সৈন্যরা থিব্স্এ প্রবেশ করবে
আর প্রতিদিন নোফে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দেবে।
17 আবেন ও পী-বেশতের যুবকরা যুদ্ধে মারা পড়বে।
আর স্ত্রীলোকদের বন্দী করা হবে।
18 সেই দিন, দিনের বেলায় তফন্হেষে অন্ধকার নেমে আসবে।
কারণ আমি সেই স্থানে মিশরের ক্ষমতা ভেঙে দেব।
মিশরের নির্ভিকতার গর্ব শেষ হবে।
একটা মেঘ মিশরকে ঢেকে দেবে আর তার কন্যাদের বন্দী করা হবে।
19 সুতরাং আমি মিশরকে শাস্তি দেব।
তখন তারা জানবে যে আমিই প্রভু।”
মিশর চিরদিনের জন্য দুর্বল হয়ে পড়বে
20 নির্বাসনের এগারোতম বছরের প্রথম মাসের সপ্তম দিনে প্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এল; তিনি বললেন, 21 “মনুষ্যসন্তান, আমি মিশরের রাজা ফরৌণের বাহু ভগ্ন করেছি। পটি দিয়ে কেউ তার সেই হাত বেঁধে দেবে না। তা আরোগ্যও হবে না তাই সেই হাত তরবারিও ধরতে পারবে না।”
22 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি মিশরের রাজা ফরৌণের বিরুদ্ধে। আমি তার দুটো হাতই ভেঙে ফেলব, শক্ত হাতটা আর যে হাতটা ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে সেটাকেও। আমি তার হাত থেকে খড়্গ ফেলে দেব। 23 আমি মিশরীয়দের জাতিগণের মধ্যে ছিন্ন ভিন্ন করে দেব। আমি তাদের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেব।
24 “আমি বাবিলের রাজার হাত শক্ত করে তার হাতে আমার তরবারি দেব। কিন্তু আমি ফরৌণের হাত ভেঙ্গে দেব। তখন ফরৌণ ব্যথায চিৎকার করে কাঁদবে যেমন একজন মৃত্যু পথযাত্রী আহত মানুষ কাঁদে। 25 তাই আমি বাবিলের রাজার হাত দৃঢ় করব কিন্তু ফরৌণের বাহু খসে পড়বে এবং তখন তারা জানবে যে আমিই প্রভু।
“আমি বাবিলের রাজার হাতে খড়্গ দেব আর সে মিশর দেশের বিরুদ্ধে তা ব্যবহার করবে। 26 আমি মিশরীয়দের জাতিগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেব এবং তাদের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেব। তখন তারা জানবে যে আমিই প্রভু!”
38 কিন্তু ঈশ্বর করুণাময় ছিলেন।
তিনি ওদের সব পাপ ক্ষমা করে দিলেন, তিনি কিন্তু ওদের ধ্বংস করেন নি।
বহুবার ঈশ্বর তাঁর ক্রোধ সংবরণ করেছেন।
তিনি নিজেকে কখনই অতিরিক্ত ক্রুদ্ধ হতে দেন নি।
39 ঈশ্বর মনে রেখেছিলেন যে ওরা ন্যায়পরায়ণ মানুষ।
লোকরা বাতাসেরই মত, যারা বয়ে যায় এবং চলে যায়।
40 ওঃ, কতবার ঐ লোকগুলো মরুভূমিতে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে!
ওরা তাঁকে কত দুঃখই দিয়েছে!
41 ওই লোকগুলো বার বার ঈশ্বরের ধৈর্য্য পরীক্ষা করেছে।
ইস্রায়েলের পবিত্র একজনকে ওরা সত্যই ক্রুদ্ধ করেছে।
42 ওই লোকরা ঈশ্বরের পরাক্রমের কথা ভুলে গিয়েছিলো।
ঈশ্বর যে বহুবার শত্রুদের হাত থেকে ওদের রক্ষা করেছিলেন, তা ওরা ভুলে গিয়েছিলো।
43 মিশরে ঈশ্বর যে সব চমৎকার কাজগুলি করেছিলেন তার কথা ওরা ভুলে গিয়েছিলো,
সোয়ন প্রান্তরের চমৎকার কাজের কথা ওরা ভুলে গিয়েছিলো।
44 ঈশ্বর নদীগুলিকে রক্তে পরিণত করেছিলেন!
মিশরবাসীরা সেই জল পান করতে পারলো না।
45 ঈশ্বর ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি পাঠালেন যারা মিশরবাসীদের কামড় দিলো,
তিনি অগনিত ব্যাঙ পাঠালেন যারা মিশরবাসীর জীবন ধ্বংস করে দিলো।
46 ওদের শস্যকে ঈশ্বর গঙ্গা ফড়িংয়ের কবলে
এবং ওদের বৃক্ষ লতাকে পঙ্গপালের কবলে করে দিলেন।
47 ঈশ্বর শিলাবৃষ্টির দ্বারা ওদের দ্রাক্ষাক্ষেত নষ্ট করলেন।
শিলাবৃষ্টির দ্বারা তিনি ওদের বৃক্ষরাজি ধ্বংস করলেন।
48 শিলাবৃষ্টি দিয়ে তিনি ওদের পশুদের মারলেন
এবং বজ্র-বিদ্যুৎ দিয়ে গবাদি পশুদের মারলেন।
49 ঈশ্বর মিশরের লোকদের তাঁর ক্রোধ দেখালেন।
ওদের বিরুদ্ধে তিনি তাঁর বিধ্বংসকারী দূতদের পাঠালেন।
50 ক্রোধ প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর একটা রাস্তা পেয়েছিলেন।
ওদের একটা লোককেও তিনি বাঁচতে দিলেন না।
এক মহামড়কের মধ্যে দিয়ে তিনি ওদের মরতে দিলেন।
51 মিশরের প্রত্যেকটি প্রথমজাত সন্তানকে ঈশ্বর হত্যা করলেন।
হাম পরিবারের প্রত্যেকটি প্রথম জাতককে তিনি হত্যা করলেন।
52 তারপর একজন মেষপালকের মত তিনি ইস্রায়েলকে পথ দেখিয়েছিলেন।
একজন মেষপালকের মত তিনি তাঁর লোকেদের, মেষপালকের মত জনহীন প্রান্তরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
53 ঈশ্বর তাঁর লোকদের নিরাপদে চালনা করেছিলেন।
তাঁর লোকদের ভয় করার মত কিছু ছিল না।
তাদের শত্রুদের তিনি লোহিত সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।
54 তাঁর পবিত্র ভূখণ্ডে ঈশ্বর তাঁর লোকদের পৌঁছে দিয়েছিলেন।
তিনি তাঁর লোকদের নিজ ক্ষমতা বলে পাওয়া সেই পর্বতে যেটা তিনি রূপ দিয়েছিলেন সেটাতে নিয়ে গেলেন।
55 ঈশ্বর অন্যান্য জাতিদের সেই ভূখণ্ডের থেকে বাইরে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
প্রত্যেকটি পরিবারকে বাধ্য করিয়েছেন।
প্রত্যেকটি পরিবারকে ঈশ্বর সে ভূখণ্ডের অংশ দিয়েছেন।
এখান বাস করার জন্য ইস্রায়েলের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীকে
ঈশ্বর সেই ভূখণ্ডে ঘর দিয়েছেন।
56 কিন্তু ওরা পরাৎপর ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলো এবং তাঁকে দুঃখী করেছিলো।
ওই সব লোক ঈশ্বরের আজ্ঞা মান্য করে নি।
57 ওরা ঠিক ওদের পূর্বপুরুষদের মতই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলো।
ওরা একটি বঞ্চক ধনুকের মত[a] দিক পরিবর্তন করেছিলো।
58 ইস্রায়েলের লোকরা উচ্চস্থান তৈরী করেছিলো এবং ঈশ্বরকে ক্রুদ্ধ করেছিলো।
তারা মূর্ত্তিসমূহ তৈরী করেছিলো এবং ঈশ্বরকে অত্যন্ত ঈর্ষান্বিত করে তুলেছিল।
59 এইসব শুনে ঈশ্বর ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন।
ঈশ্বর ইস্রায়েলকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছিলেন!
60 ঈশ্বর পবিত্র তাঁবুটি শীলোতে রেখেছিলেন।
সাধারণ লোকদের মধ্যে ঈশ্বর সেই তাঁবুতে থাকতেন।
61 ঈশ্বর অন্য জাতিকে তাঁর লোকদের অধিকার করতে দিয়েছেন।
শত্রুরা ঈশ্বরের সুন্দরতম রত্ন নিয়ে গিয়েছিলো।
62 ঈশ্বর তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করলেন।
তিনি তাদের যুদ্ধে নিহত হতে দিলেন।
63 তরুণরা সব পুড়ে মারা গেল
এবং যে মেয়েদের ওরা বিয়ে করবে ভেবেছিলো তারা কেউই বিয়ের গান গাইছিলো না।
64 যাজকরা মারা গেল
কিন্তু তাদের বিধবারা ওদের জন্য কাঁদে নি।
65 শেষ কালে, যেমন করে একজন লোক ঘুম থেকে ওঠে,
প্রচুর দ্রাক্ষারস পান করে যেমন একজন সৈনিক ওঠে,
তেমন করে আমাদের প্রভু উঠলেন।
66 ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের জোর করে হঠিয়ে দিয়ে ওদের পরাজিত করালেন।
ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের পরাজিত করে চিরদিনের জন্য ওদের অসম্মানিত করলেন।
67 তারপর ঈশ্বর যোষেফের তাঁবুটিকে[b] বাতিল করলেন
এবং ইফ্রয়িমের শাসন ক্ষমতা কেড়ে নিলেন।
68 তারপর ঈশ্বর যিহূদা জাতিকে শাসক জাতি হিসেবে মনোনীত করলেন
এবং তাঁর প্রিয় জেরুশালেমকে মন্দির নির্মাণের স্থান হিসেবে বেছে নিলেন।
69 সেই পাহাড়ের উঁচু জায়গায় ঈশ্বর তাঁর মন্দির নির্মাণ করলেন।
পৃথিবীর মত তিনি তাঁর মন্দির চিরকালের জন্য স্থাপন করলেন।
70 ঈশ্বর তাঁর বিশেষ সেবকরূপে দায়ূদকে মনোনীত করলেন।
দায়ূদ মেষ চরাচ্ছিলো, কিন্তু ঈশ্বর সেই কাজ থেকে তাকে নিয়ে এলেন।
71 ঈশ্বর দায়ূদকে, তাঁর লোকদের মেষপালক হওয়ার দায়িত্ব,
যাকোবের লোকদের দায়িত্ব এবং ইস্রায়েলের লোকদের ও তাদের সম্পত্তির দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
72 দায়ূদ পবিত্র মনে তাদের নেতৃত্ব দিলেন।
তিনি খুব প্রজ্ঞার সঙ্গে তাদের পরিচালিত করলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International