Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
2 শমূয়েল 13

অম্নোন এবং তামর

13 অবশালোম নামে দায়ূদের এক পুত্র ছিল। অবশালোমের বোন ছিল তামর। তামর ছিল অত্যন্ত সুন্দরী। দায়ূদের আর এক পুত্র অম্নোন তামরকে ভালোবেসেছিল। তামর ছিল কুমারী। অম্নোন কখনও ভাবে নি যে সে তামরের প্রতি কোন খারাপ ব্যবহার করবে। কিন্তু অম্নোন তাকে প্রচণ্ডভাবে চাইত। অম্নোন তামর সম্পর্কে খুব চিন্তা করত এবং একসময় সে ভান করে নিজেকে অসুস্থ করে তুলল।

শিমিয়ের পুত্র যোনাদব অম্নোনের বন্ধু ছিল। (শিমিয় ছিল দায়ূদের ভাই।) যোনাদব প্রচণ্ড চালাক ছিল। যোনাদব তাকে বলল, “প্রতিদিনই তুমি রোগা হয়ে যাচ্ছ! তুমি তো রাজার পুত্র। তোমার তো খাওয়ার অভাব নেই, তাহলে কেন তোমার স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে? আমাকে বল!”

অম্নোন যোনাদবকে বলল, “আমি তামরকে ভালোবাসি। কিন্তু সে আমার ভাই অবশালোমের বোন।”

যোনাদব অম্নোনকে বলল, “যাও, বিছানায় শুয়ে অসুস্থতার ভান কর। যখন তোমার পিতা তোমাকে দেখতে আসবেন তখন তাকে বলবে, ‘তামরকে আমার কাছে আসতে দিন। সে আমার জন্য খাবার আনুক। সে আমার সামনে আহার প্রস্তুত করুক। আমি তার রান্না করা দেখব এবং তার হাতে খাব।’”

এরপর অম্নোন বিছানায় শুয়ে পড়ে অসুস্থতার ভান করল। রাজা দায়ূদ তাকে দেখতে এলেন। অম্নোন রাজা দায়ূদকে বলল, “আমার বোন তামরকে আমার কাছে আসতে দিন। আমার সামনে তাকে দুটো পিঠে বানাতে দিন। তারপর আমি ওর হাতেই পিঠে খাব।”

দায়ূদ তামরের বাড়ীতে বার্তাবাহক পাঠালেন। বার্তাবাহক গিয়ে তামরকে বলল, “তোমার ভাই অম্নোনের বাড়ী যাও এবং তার জন্য খাবার তৈরী কর।”

তখন তামর তার ভাই অম্নোনের বাড়ী গেল। অম্নোন বিছানায় শুয়ে ছিল। তামর এক তাল ময়দা নিয়ে দু হাতে মেখে পিঠে তৈরী করল। সে যখন এইসব করছিল তখন অম্নোন দেখছিল। তারপর তামর চাটু থেকে পিঠেগুলিকে অম্নোনের জন্য উঠিয়ে আনলো। কিন্তু অম্নোন তা খেল না। অম্নোন তার ভৃত্যদের বলল, “এখান থেকে বেরিয়ে যাও। আমাকে একা থাকতে দাও।” তখন তার সব ভৃত্য ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।

অম্নোন তামরকে ধর্ষণ করল

10 তখন অম্নোন তামরকে বলল, “খাবারগুলি আমার শোবার ঘরে নিয়ে এসো এবং আমাকে নিজে হাতে খাইয়ে দাও।”

তখন তামর তার তৈরী করা পিঠেগুলি নিয়ে তার ভাইয়ের শোবার ঘরে গেল। 11 সে যখন অম্নোনকে খাওয়াতে শুরু করেছে তখন অম্নোন তার হাত চেপে ধরল। সে তাকে বলল, “বোন, এসো আমার সঙ্গে শোও।”

12 তামর অম্নোনকে বলল, “না ভাই! আমাকে এইসব করতে বাধ্য করো না। এই ধরণের লজ্জাজনক কাজ করো না। এই ধরণের ভয়াবহ কাজ ইস্রায়েলে হওয়া উচিৎ‌ নয়। 13 আমি আমার লজ্জা থেকে কোনদিন মুক্তি পাব না। লোকরা ভাববে যে তুমি অপরাধীদের একজন। রাজার সঙ্গে কথা বল, তিনি তোমাকে আমায় বিয়ে করতে অনুমতি দেবেন।”

14 কিন্তু অম্নোন তামরের কথা শুনল না। সে তামরের থেকে শক্তিশালী ছিল। সে তাকে নিজের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করল। 15 তারপর অম্নোন তামরকে ঘৃণা করতে শুরু করল। অম্নোন আগে তামরকে যতখানি ভালোবেসেছিল এখন তার থেকে বেশী ঘৃণা করতে লাগল। অম্নোন তামরকে বলল, “ওঠো এবং এখান থেকে বেরিয়ে যাও।”

16 তামর অম্নোনকে বলল, “না! আমাকে এইভাবে তাড়িয়ে দিও না। এমনকি আমার সঙ্গে একটু আগে যা করলে তার থেকেও সেটা খারাপ কাজ হবে।”

অম্নোন তার কথা শুনল না। 17 অম্নোন তার ভৃত্যদের ডেকে বলল, “এই মেয়েটাকে এখুনি আমার ঘর থেকে দূর করে দাও এবং দরজা বন্ধ করে দাও।”

18 তখন অম্মোনের ভৃত্যরা তামরকে ঘর থেকে দূর করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।

তামর বহু রঙে রঙিন একটা বড় কাপড় পরেছিল। রাজার কুমারী মেয়েরা এই ধরণের কাপড় পরতো। 19 তামর সেই কাপড় ছিঁড়ে ফেলল এবং মাথায় কিছুটা ছাই দিল। তারপর সে নিজের মাথায় হাত দিয়ে কাঁদতে লাগল।

20 তখন তামরের ভাই অবশালোম তাকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি তোমার ভাই অম্নোনের কাছে ছিলে? সে কি তোমায় আঘাত দিয়েছে? বোন আমার, এখন শান্ত হও।[a] অম্নোন তোমার ভাই, তাই এই ব্যাপারটা আমরা ভেবে দেখব। তুমি কিছু চিন্তা করো না।” তাই তামর কিছু না বলে চুপচাপ তার ভাই অবশালোমের বাড়ী গেল এবং সেই খানেই থাকল।

21 এই সংবাদ শুনে রাজা দায়ূদ প্রচণ্ড রেগে গেলেন। 22 অবশালোম অম্নোনকে ঘৃণা করতে শুরু করল। অবশালোম অম্নোনকে ভালো বা মন্দ কোন কথাই বলল না। অবশালোম অম্নোনকে ঘৃণা করতে লাগল কারণ অম্নোন তার বোন তামরকে ধর্ষণ করেছিল।

অবশালোমের প্রতিশোধ

23 দু বছর পরে, অবশালোমের লোকরা তাদের মেষের গা থেকে পশম কাটতে বাল্-হাৎসোরে এলো। অবশালোম তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য রাজার সব সন্তানদের ডাকল। 24 অবশালোম রাজার কাছে গিয়ে বলল, “আমার কিছু লোকরা আমার মেষগুলির গা থেকে লোম কাটতে আসছে। দয়া করে আপনার ভৃত্যদের সঙ্গে নিয়ে এসে দেখুন।”

25 রাজা দায়ূদ অবশালোমকে বলল, “না, পুত্র। আমরা যাব না। তাতে তোমার সমস্যাই বাড়বে।”

অবশালোম, দায়ূদকে যাওয়ার জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করলো। কিন্তু দায়ূদ গেলেন না, তিনি তাকে তাঁর আশীর্বাদ দিলেন।

26 অবশালোম বলল, “যদি আপনি যেতে না চান তাহলে আমার ভাই অম্নোনকে আমার সঙ্গে যেতে দিন।”

রাজা দায়ূদ অবশালোমকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন সে তোমার সঙ্গে যাবে?”

27 অবশালোম দায়ূদের কাছে অনুনয় করেই চলল। সব শেষে দায়ূদ, অম্নোন এবং রাজার অন্যান্য সন্তানদের অবশালোমের সঙ্গে যেতে দিতে রাজী হলেন।

অম্নোন নিহত হল

28 তারপর অবশালোম তার ভৃত্যদের এই নির্দেশ দিল, “অম্নোনকে নজরে রাখ। যখন দেখবে সে দ্রাক্ষারস পান করে মেজাজে আছে তখন আমি তোমাদের নির্দেশ দেব। তোমরা অবশ্যই অম্নোনকে আক্রমণ করবে এবং হত্যা করবে। তোমরা কেউ শাস্তি পাবার ভয় করো না। সর্বোপরি তোমরা তো কেবল আমার আদেশ পালন করবে। বীরের মত সাহসী হও।”

29 অতএব অবশালোমের সৈন্যরা তাই করল যা সে তাদের করতে বলেছিল। তারা অম্নোনকে হত্যা করল। কিন্তু দায়ূদের অন্যান্য পুত্ররা পালিয়ে গেল। প্রতিটি পুত্র তাদের খচ্চরে চড়ে পালাল।

দায়ূদ অম্নোনের মৃত্যুর খবর শুনলেন

30 রাজার ছেলেরা তখনও নগরীর পথেই রয়েছে। কিন্তু কি ঘটেছে তা রাজা দায়ূদ সংবাদ পেয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি এ রকম ভুল সংবাদ পেয়েছিলেন: “অবশালোম রাজার সব ছেলেদেরই হত্যা করেছে এবং একটা ছেলেও বেঁচে নেই।”

31 রাজা দায়ূদ শোকে দুঃখে নিজের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেললেন এবং মাটিতে শুয়ে পড়লেন। দায়ূদের যে সব আধিকারিক তাঁর কাছে দাঁড়িয়েছিল তারাও নিজেদের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলল।

32 কিন্তু, তখন যোনাদব, শিমিয়র পুত্র যে দায়ূদের একজন ভাই ছিল, সে বলল, “একথা ভাববেন না যে রাজার সব ছেলেই মারা গেছে। একমাত্র অম্নোনই মারা গেছে। যে দিন অম্নোন তামরকে ধর্ষণ করে সেদিন থেকেই অবশালোম এই ঘটনা ঘটানোর জন্য ফন্দি আঁটছিলো। 33 হে আমার মনিব এবং রাজা, আপনি ভাববেন না যে আপনার সব ছেলে মারা গেছে, শুধুমাত্র অম্নোনই মারা গেছে।”

34 অবশালোম দৌড়ে পালিয়ে গেল।

নগরীর প্রাচীরে একজন প্রহরী দাঁড়িয়েছিল। সে দেখল পাহাড়ের ওদিক থেকে বহু লোকজন আসছে। 35 তখন যোনাদব রাজা দায়ূদকে বলল, “দেখুন, আমি কি বলেছি! রাজার পুত্ররা আসছে।”

36 যোনাদব এই কথা বলার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাজার পুত্ররা এসে পড়ল। তারা উচ্চস্বরে কাঁদছিল। দায়ূদ এবং তাঁর সব আধিকারিকরাও কাঁদতে শুরু করে দিল। তারা সকলে উথালি পাথালি হয়ে কাঁদল। 37 দায়ূদ প্রতিদিনই তাঁর পুত্র অম্নোনের জন্য কাঁদতেন।

অবশালোম গশূরে পালালেন

অবশালোম গশূরের রাজা, অম্মীহূরের পুত্র তল্ময়ের কাছে পালিয়ে গেল। 38 গশূরে পালিয়ে যাবার পর অবশালোম সেখানে তিন বছর ছিল। 39 অম্মোনের মৃত্যুতে রাজা দায়ূদকে সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি অবশালোমের অভাব প্রচণ্ডভাবে অনুভব করেছিলেন।

2 করিন্থীয় 6

ঈশ্বরের সহকর্মী হিসাবে আমরা তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ লাভ করেছ তা নিষ্ফল হতে দিও না। কারণ ঈশ্বর বলেন,

“আমি উপযুক্ত সময়ে তোমাদের প্রার্থনা শুনলাম
    এবং পরিত্রাণের দিনে আমি তোমাদের সাহায্য করলাম।”(A)

আমি যা বলছি শোন, এখনই সেই “উপযুক্ত সময়।” আজই “পরিত্রাণের দিন।”

আমরা চেষ্টা করি যেন আমাদের কোন কাজের দ্বারা কেউ বিঘ্নিত না হয়। যেন আমাদের কাজের কোন রকম নিন্দা কেউ করতে না পারে। আমরা সব বিষয়ে নিজেদের ঈশ্বরের সেবক বলে প্রমাণ করি। আমরা ধৈর্য্যের সঙ্গে দুঃখভোগ করে সবসময় কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করেছি। আমাদের মারধোর করা হয়েছে, কারাগারে দেওয়া হয়েছে, মারমুখী জনতার সামনে আমাদের দাঁড়াতে হয়েছে। কাজ করতে করতে অবসন্ন হয়েছি, কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি, এমনকি অনাহারেও কতদিন কেটেছে। 6-7 এসব সত্ত্বেও আমরা আমাদের জীবনের পবিত্রতা, জ্ঞান, ধৈর্য্য, স্নেহ, মমতা, পবিত্র আত্মা, প্রকৃত ভালবাসা ও সত্যের প্রচার দ্বারা এবং ঈশ্বরের পরাক্রমের দ্বারা, কি আক্রমণে কি আত্মরক্ষায় উভয় ক্ষেত্রেই সদাচারের অস্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ দিয়েছি যে আমরা ঈশ্বরের সেবক।

আমরা সম্মানিত হয়েছি, আবার অসম্মানিতও হয়েছি। আমরা অপমানিত হয়েছি, আবার প্রশংসিতও হয়েছি। আমাদের মিথ্যাবাদী হিসেবে ধরা হয়েছে যদিও আমরা সত্য বলি। কিছু লোক আমাদের প্রেরিত বলে স্বীকার করে না, কিন্তু তবুও আমরা স্বীকৃত। মনে হচ্ছিল আমরা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু দেখ আমরা মরিনি। আমাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু মেরে ফেলা হচ্ছে না। 10 একদিকে মনে হয় আমরা দুঃখ পাচ্ছি কিন্তু আমরা সদাই আনন্দ করছি। মনে হয় আমরা নিঃস্ব, তবু সবকিছুই আমাদের আছে। ধরে নেওয়া হয় আমরা দরিদ্র কিন্তু আমরা অপরকে ধনবান করি।

11 হে করিন্থীয়গণ, খোলাখুলিভাবেই আমরা তোমাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের হৃদয় তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ খোলা রয়েছে। 12 তোমাদের প্রতি আমাদের ভালবাসা অটুট আছে; কিন্তু তোমরা তোমাদের ভালবাসা থেকে আমাদের দূরে রেখেছ। 13 আমি তোমাদের সন্তান মনে করে বলছি, আমরা যেমন তোমাদের ভালবেসেছি তোমরাও যেন তেমনি মনপ্রাণ খুলে আমাদের ভালবাস।

অবিশ্বাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কবাণী

14 তোমরা অবিশ্বাসীদের থেকে আলাদা, তাই তাদের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করো না, কারণ ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে কোন যোগ থাকতে পারে না। অন্ধকারের সাথে আলোর কি কোন যোগাযোগ থাকতে পারে? 15 খ্রীষ্ট এবং দিয়াবলের মধ্যে কি কোন সম্পর্ক থাকতে পারে? অবিশ্বাসীর সাথে বিশ্বাসীরই বা কি সম্পর্ক? 16 ঈশ্বরের মন্দিরের সাথে প্রতিমারই বা কি সম্পর্ক? কারণ আমরাই তো জীবন্ত ঈশ্বরের মন্দির; যেমন ঈশ্বর বলেছেন:

“আমি তাদের মধ্যে বাস করব এবং তাদের মধ্যে যাতায়াত করব;
আমি তাদের ঈশ্বর হবো ও তারা আমার লোক হবে।”(B)

17 প্রভু বলেন, “তোমরা তাদের মধ্য থেকে বেরিয়ে এস,
    তাদের থেকে পৃথক হও
এবং অশুচি জিনিস স্পর্শ করো না,
    তাহলে আমি তোমাদের গ্রহণ করব।”(C)

18 “আমি তোমাদের পিতা হব
    ও তোমরা আমার পুত্র কন্যা হবে।” একথা সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন।(D)

যিহিষ্কেল 20

20 এক দিন কয়েকজন প্রবীণ প্রভুর পরামর্শ জানতে আমার কাছে এসে আমার সামনে বসলেন। এটা ছিল নির্বাসনে থাকার সপ্তম বছরের পঞ্চম মাসের দশম দিন।

তখন প্রভুর বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন, “হে মনুষ্যসন্তান, ইস্রায়েলের প্রবীণদের কাছে এই কথা বল, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন: তোমরা কি আমার কাছে পরামর্শের জন্য এসেছ? যদি এসে থাক তবে আমি তা দেব না।’ প্রভু আমার সদাপ্রভুই এই কথা বলেন। তুমি কি তাদের বিচার করবে? হে মনুষ্যসন্তান, তুমি কি তাদের বিচার করবে? তবে তাদের পিতারা যে জঘন্য কাজগুলি করেছে তার কথা নিশ্চয়ই তাদের বল। তোমরা অবশ্যই তাদের বলবে, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন: যেদিন আমি ইস্রায়েলকে বেছে নিই, আমি যাকোব পরিবারের ওপর আমার হাত তুলে মিশরে তাদের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম এবং বলেছিলাম, “আমি তোমাদের প্রভু ও ঈশ্বর।” আমি তাদের মিশর থেকে বার করে নিয়ে যাবার এবং যে দেশ তাদের আমি দেব সেই ভূমিতে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই দেশ বহু উত্তম বিষয়ে পরিপূর্ণ[a] এবং অন্য বহুদেশের চেয়ে ভালো![b]

“‘আমি ইস্রায়েল পরিবারকে তাদের জঘন্য মূর্ত্তিগুলো ছুঁড়ে ফেলতে বলেছিলাম। বলেছিলাম মিশরের ঐ সমস্ত নোংরা মূর্ত্তি দ্বারা তারা যেন নিজেদের অশুচি না করে। “আমি তোমাদের প্রভু ও ঈশ্বর।” কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছিল, আমার কথা শুনতে চায়নি। তারা তাদের জঘন্য মূর্ত্তিগুলো ফেলেও দেয়নি, মিশরে ছেড়েও আসেনি। তাই আমি (ঈশ্বর) তাদের মিশরেই ধ্বংস করার পরিকল্পনা করলাম—যেন তারা আমার ক্রোধের পূর্ণ মাত্রা বুঝতে পারে। কিন্তু আমি তাদের ধ্বংস করিনি। আমি আমার সুনাম রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। আমি চাইনি যে আমার নাম তাদের চারপাশের জাতিগুলোর মধ্যে কলঙ্কিত হোক্। আমি চেয়েছিলাম যে ঐ জাতিগুলি জানুক যে আমি ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে বার করে আনছিলাম। 10 আমি ইস্রায়েল পরিবারকে মিশর থেকে বার করে এনেছি, তাদের মরুভূমির মধ্যে পরিচালিত করেছি। 11 আমার বিধিগুলি তাদের দিয়েছিলাম, যে সমস্ত বিধি আমাকে জানতে তাদের সাহায্য করবে সেগুলো তাদের বলেছিলাম। যদি কোন ব্যক্তি সেই সমস্ত নিয়ম পালন করে তবে সে বাঁচবে। 12 আমি তাদের বিশ্রামের বিশেষ বিশেষ দিনের কথাও বলেছিলাম। সেই সমস্ত ছুটির দিনগুলো তাদের ও আমার মধ্যে বিশেষ চিহ্নস্বরূপ ছিল। তারা এই বোঝাত যে আমিই প্রভু আর আমি তাদের আমার বিশেষ প্রজা করে তুলেছি।

13 “‘কিন্তু ইস্রায়েল পরিবার মরুভূমিতে আমার বিরুদ্ধে গেল। তারা আমার বিধিগুলি মানল না, আমার বিধি মানতে অস্বীকার করল। ঐসব বিধি পালন করলে লোকরা বাঁচবে। তারা আমার বিশ্রামের বিশেষ দিনগুলিকে মান্য করেনি, ঐসব দিনে আরও বেশী কাজ করেছে। আমি তাদের মরুভূমিতে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিলাম, যেন তারা আমার ক্রোধের পূর্ণ মাত্রা বুঝতে পারে। 14 জাতিগণ আমায় ইস্রায়েলকে মিশর দেশ থেকে বার করে আনতে দেখেছিল। আমি আমার সুনাম নষ্ট করতে চাইনি তাই ইস্রায়েলকে ঐ লোকদের সামনে ধ্বংস করিনি। 15 ঐ লোকদের সঙ্গে মরুভূমিতে আমি আর একটি প্রতিশ্রুতি করে বলেছিলাম: যে দেশ আমি তাদের দিচ্ছি তাতে তারা পা রাখতে পাবে না। সেই দেশ উত্তম এবং বহু উত্তম বিচারে পরিপূর্ণ, সব দেশের চেয়ে সুন্দর!

16 “‘ইস্রায়েলের লোকরা আমার বিধি মানতে অস্বীকার করেছিল, তারা আমার বিধিসকল পালন করেনি, বিশ্রামের দিনকে কোন গুরুত্বই দেয়নি। তারা এইসব করেছে কারণ তাদের হৃদয় সেই সব নোংরা মূর্ত্তির অধিকারে। 17 কিন্তু আমি তাদের জন্য দুঃখ বোধ করেছি তাই তাদের মরুভূমিতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করিনি। 18 আমি তাদের সন্তানদের কাছে বলেছিলাম, “তোমরা তোমাদের পিতামাতার মতো হয়ো না। তাদের নোংরা মূর্ত্তি দ্বারা তোমাদের কলুষিত কোরো না। তাদের আজ্ঞার অনুসরণ ও আদেশ পালন করো না। 19 আমিই প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমরা আমারই বিধি পালন কর ও আদেশ রক্ষা কর। তোমাদের যা বলি তাই কর। 20 আমার বিশ্রাম দিনকে গুরুত্ব দিও। মনে রেখো যে, সব তোমার ও আমার মধ্যে বিশেষ চিহ্নস্বরূপ হবে যেন তোমরা জানতে পার যে আমিই তোমাদের প্রভু।”

21 “‘কিন্তু ঐ সন্তানরা আমার বিরুদ্ধাচরণ করল। তারা আমার বিধি পালন ও আদেশ রক্ষা করল না। আমি তাদের যা বলেছি তারা তা করেনি। ঐসব বিধি মঙ্গলের জন্য। যদি কোন ব্যক্তি তা পালন করে সে বাঁচবে। তারা আমার বিশ্রামের বিশেষ দিনকে কোন গুরুত্বই দেয়নি। তাই আমি তাদের মরুভূমিতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যেন তারা আমার ক্রোধের পূর্ণ মাত্রা বুঝতে পারে। 22 কিন্তু আমি থামলাম কারণ অন্য জাতিগণ আমায় ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বার করে আনতে দেখেছিল। আমি চাইনি যে আমার উত্তম নাম ধ্বংস হোক্ তাই ঐসব জাতির সামনে ইস্রায়েলকে ধ্বংস করিনি। 23 তাই মরুভূমিতে তাদের সঙ্গে আর একটি প্রতিজ্ঞা করে বলেছিলাম তাদের আমি বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেব।

24 “‘ইস্রায়েলের লোকরা আমার বিধি পালন করেনি। তারা তা অগ্রাহ্য করেছিল। তারা আমার বিশ্রামের বিশেষ দিনকে কোন গুরুত্বই দেয়নি। তারা তাদের পিতাদের নোংরা মূর্ত্তিগুলি পূজো করেছে। 25 তাই আমি তাদের এমন আজ্ঞা দিলাম যা মঙ্গলজনক নয়। এমন আদেশ দিলাম যা জীবনদায়ী নয়। 26 তাদের উপহারেই তাদের অশুচি হতে দিলাম। এমনকি তারা তাদের প্রথমজাত পুত্রদের বলি দিতে শুরু করল। যেন আমি তাদের ধ্বংস করি আর তারা জানে যে আমিই প্রভু।’ 27 তাই, হে মনুষ্যসন্তান, এখন তুমি ইস্রায়েল পরিবার সমূহের কাছে এই কথা বল, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন: ইস্রায়েলের লোকরা আমার সম্বন্ধে ভয়ঙ্কর সব কথা বলছে এবং আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। 28 কিন্তু তবু আমি তাদের যে দেশ দেব বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সেখানে এনেছি। তারা যেখানে যেখানে পাহাড় ও সবুজ বৃক্ষ দেখেছে সেখানে সেখানেই পূজো করতে গেছে। তারা তাদের বলি ও ক্রোধ উত্তেজক নৈবেদ্য[c] নিয়ে ঐসব স্থানে গেছে। তারা ঐ স্থানে সৌরভ উৎপন্ন করে এমন বলি দিয়েছে ও পেয় নৈবেদ্যও উৎসর্গ করেছে। 29 আমি ইস্রায়েলের লোকদের জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন তারা ঐসব উচ্চ স্থানে যায়? কিন্তু সেই সব উচ্চ স্থান আজও এখানে রয়েছে।’”

30 ঈশ্বর বলেছেন, “ইস্রায়েলের লোকরা ঐসব মন্দ কাজগুলি করেছে। তাই ইস্রায়েল পরিবারের কাছে বল, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত কাজ করে নিজেদের নোংরা করেছ, তোমরা বেশ্যার মত ব্যবহার করেছ এবং আমাকে ছেড়ে তোমাদের পূর্বপুরুষদের এইসব জঘন্য দেবতাদের মধ্যে থাকতে গেছ। 31 তোমরা সেই একই ধরণের উপহার দিচ্ছ। তোমাদের দেবতাদের কাছে উপহারস্বরূপ তোমরা তোমাদের সন্তানদের আগুনে দিচ্ছ। তোমরা আজও ঐসব নোংরা মূর্ত্তি দ্বারা নিজেদের নোংরা করছ। ইস্রায়েলের পরিবারসমূহ, তোমরা কি মনে কর উপদেশ চাইবার জন্য আমি তোমাদের আমার কাছে আসতে দেব? আমিই প্রভু ও সদাপ্রভু; আমার জীবনের দিব্য, আমি তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দেব না; কোন উপদেশও দেব না। 32 তোমরা বল যে তোমরা অন্য জাতির মতো হতে চাও এবং তোমরা তাদের মত জীবনযাপন করতে চাও। তোমরা কাঠ ও পাথরের দেবতার সেবা করে থাক। সেটা অবশ্যই হওয়া উচিৎ‌ নয়!’”

33 প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন, “আমার জীবনের দিব্য, আমি তোমাদের ওপর রাজা হয়ে রাজত্ব করব। আমি আমার বলবান বাহু উঠিয়ে তোমাদের শাস্তি দেব। তোমাদের প্রতি আমার ক্রোধ প্রকাশ করব! 34 আমি তোমাদের ঐসব জাতিদের মধ্যে থেকে বার করে এনে জাতিগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমিই আবার সেই সব দেশ থেকে তোমাদের সংগ্রহ করে আনব; তবে আমার বলবান বাহু দ্বারা তাদের শাস্তি দেব। তোমাদের প্রতি আমার ক্রোধ প্রকাশ করব। 35 আমি আগের মত তোমাদের মরুভূমিতে চালিত করব, এ সেই জায়গা যেখানে জাতিগণ বাস করে। আমি সামনাসামনি হয়ে তোমাদের বিচার করব। 36 তোমাদের পূর্বপুরুষদের মিশরের লাগোয়া মরুভূমিতে আমি যে ভাবে বিচার করেছিলাম, সে ভাবেই তোমাদের বিচার করব।” প্রভু, আমার সদাপ্রভুই এই কথা বলেছেন।

37 “আমি বিচারে তোমাদের দোষী সাব্যস্ত করব ও বন্দোবস্ত অনুসারে তোমাদের শাস্তি দেব। 38 যে সব লোক আমার বিরুদ্ধে গেছে ও পাপ করেছে, তাদের সবাইকে আমি দূর করে দেব। তাদের আমি তোমাদের দেশ থেকে দূর করব। তারা আর কখনও ইস্রায়েলে ফিরে আসবে না। তখন তোমরা জানবে যে আমিই প্রভু।”

39 এখন হে ইস্রায়েল পরিবার, প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যদি কেউ তার নোংরা মূর্ত্তি পূজো করতে চায় তবে সে তার পূজো করুক কিন্তু যেন মনে না করে যে পরে সে আমার কাছ থেকে পরামর্শ পাবে! তোমরা আর আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করবে না এমনকি তোমাদের নোংরা মূর্ত্তিগুলোকে উপহার দান দ্বারাও নয়।”

40 প্রভু, আমার সদাপ্রভু বলেন, “লোকরা অবশ্যই ইস্রায়েলের পবিত্র উঁচু পর্বতে আমার সেবা করতে আসবে! সমস্ত ইস্রায়েল পরিবার তাদের ভূমিতে থাকবে আর তারা আমার কাছে উপদেশ চাইতে পারে। সেই স্থানেই তোমরা তোমাদের নৈবেদ্য আমার কাছে আনবে। তোমাদের ফসলের প্রথম অংশ ও সমস্ত পবিত্র উপহার সেই স্থানে আমার কাছে আনবে। 41 আমি তোমাদের বহু জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু আমিই আবার তোমাদের সংগ্রহ করে আমার বিশেষ প্রজা করে তুলব এবং তখন তোমাদের সুগন্ধযুক্ত বলির মত গ্রাহ্য করব আর ঐসব জাতি তা দেখবে। 42 আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ দেব বলে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম সেই ইস্রায়েল দেশে যখন আমি তোমাদের আনব তখন তোমরা জানবে যে আমিই প্রভু। 43 সেই দেশে তোমরা তোমাদের করা মন্দ কাজের কথা মনে করবে আর লজ্জিত হবে। ঐসব মন্দ বিষয় তোমাদের অশুচি করত। 44 ইস্রায়েল পরিবার, আমার সুনাম রক্ষার জন্য যে শাস্তি তোমাদের প্রাপ্য তা আমি তোমাদের দেব না। তখন তোমরা জানবে যে আমিই প্রভু।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

45 তখন প্রভুর বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন, 46 “হে মনুষ্যসন্তান, দক্ষিণের দিকে মুখ করো, এবং নেগেভের বিরুদ্ধে কথা বল। নেগেভের বনভূমির[d] বিরুদ্ধে ভাববাণী কর। 47 ‘প্রভুর বাক্য শোন। প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি বনে আগুন জ্বালাবার জন্যে তৈরী। সেই আগুন সমস্ত সবুজ ও শুষ্ক বৃক্ষ ধ্বংস করবে। প্রজ্জ্ব্বলিত শিখা নেভানো হবে না। দক্ষিণ হতে উত্তর দিকের সমস্ত ভূমিই আগুনে জ্বলে যাবে। 48 তখন লোকে দেখবে যে স্বয়ং প্রভুই অগ্নি প্রজ্জ্ব্বলিত করেছেন। সেই অগ্নি নেভানো হবে না!’”

49 তখন আমি বললাম, “হে প্রভু, আমার সদাপ্রভু! যদি আমি এসব কথা বলি, লোকে বলবে যে আমি ধাঁধাঁ তৈরী করেছি!”

গীতসংহিতা 66-67

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: একটি প্রশংসা গীত।

66 সমগ্র পৃথিবী উচ্চ স্বরে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আনন্দধ্বনি কর!
তাঁর মহিমাময় নামের প্রশংসা কর!
    প্রশংসা গান গেয়ে তাঁর নামের সম্মান কর!
ঈশ্বরকে বল তাঁর কীর্তিগুলি কি অনবদ্য!
    হে ঈশ্বর, আপনার পরাক্রমের মহত্বে আপনার শত্রুরা তাদের মাথা আপনার কাছে অবনত করে; ওরা আপনার ভয়ে ভীত!
সারা পৃথিবী যেন আপনার উপাসনা করে।
    প্রত্যেকে যেন আপনার নামের প্রশংসা করে।

ঈশ্বর যা যা করেছেন তার দিকে দেখ!
    এইসব জিনিস আমাদের বিস্ময় বিহ্বল করে।
ঈশ্বর, সমুদ্রকে শুষ্ক ভূমিতে পরিণত করেছেন।
    আনন্দে উল্লাস করতে করতে
    তাঁর লোকরা নদী হেঁটে পারাপার করেছে।
ঈশ্বর, তাঁর পরাক্রমে পৃথিবী শাসন করছেন।
    সর্বত্রই তিনি লোকের ওপর নজর রাখছেন।
    কেউই তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হতে পারবে না।

হে জনগণ, আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
    তাঁর কাছে উচ্চস্বরে প্রশংসা গান গাও।
ঈশ্বর আমাদের জীবন দিয়েছেন।
    ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করেন।
10 মানুষ যেমন করে আগুনে রূপো পরীক্ষা করে, তেমন করে ঈশ্বর আমাদের পরীক্ষা করেছেন।
11 ঈশ্বর, আপনি আমাদের ফাঁদে ফেলেছেন।
    আপনি আমাদের ওপর ভারি বোঝা চাপিয়েছেন।
12 আপনি আমাদের শত্রুদের আমাদের অতিক্রম করতে দিয়েছেন।
    আগুন ও জলের ভেতর দিয়ে আপনি আমাদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেছেন।
    কিন্তু আপনি আমাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছেন।
13-14 তাই আমি আপনার মন্দিরে বলি নিয়ে যাবো।
যখন আমি সংকটের মধ্যে ছিলাম আমি আপনার সাহায্য চেয়েছিলাম।
    আমি আপনার কাছে অনেক প্রতিশ্রুতি করেছিলাম।
যা আমি প্রতিশ্রুতি করেছিলাম, এখন তা আমি আপনাকে দিচ্ছি।
15     আমি আপনার কাছে পাপমোচনের নৈবেদ্য উৎসর্গ করি।
    আমি আপনাকে মেষসহ ধূপ উৎসর্গ করি।
    আমি আপনাকে ছাগল ও ষাঁড়সমূহ উৎসর্গ করি।

16 তোমরা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করছ তারা আমার কাছে এসো,
    আমি তোমাদের বলবো ঈশ্বর আমার জন্য কি করেছেন।
17-18 আমি তাঁর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম,
    আমি তাঁর প্রশংসা করেছিলাম।
আমার হৃদয় নির্মল ছিল
    তাই আমার প্রভু আমার কথা শুনেছেন।
19 ঈশ্বর আমার কথা শুনেছেন।
    ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনেছেন।
20 ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
    ঈশ্বর আমার দিক থেকে বিমুখ হন নি, তিনি আমার প্রার্থনা শুনেছেন।
    আমার প্রতি তিনি তাঁর ভালোবাসা দেখিয়েছেন!

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: বাদ্যযন্ত্রসহ একটি প্রশংসা গীত।

67 হে ঈশ্বর, আমাদের কৃপা করুন এবং আশীর্বাদ করুন।
    অনুগ্রহ করে আমাদের গ্রহণ করুন!

হে ঈশ্বর, পৃথিবীর সমস্ত লোক যেন আপনার সম্পর্কে জানতে পারে।
    প্রত্যেকটা জাতি যেন দেখতে পায় কেমন করে আপনি মানুষকে বাঁচান।
হে ঈশ্বর, লোকরা যেন আপনার প্রশংসা করে!
    যেন সমস্ত লোক আপনার প্রশংসা করে।
সমস্ত জাতি আহ্লাদিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করুন! কেন?
    কারণ আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে লোকের বিচার করেন।
    এবং আপনি প্রত্যেকটি জাতিকে শাসন করেন।
হে ঈশ্বর, লোকরা যেন আপনার প্রশংসা করে!
    সকল লোক যেন আপনার প্রশংসা করে।
হে ঈশ্বর, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের আশীর্বাদ করুন।
    আমাদের জমি যেন আমাদের ভাল আবাদ দেয়।
ঈশ্বর যেন আমাদের আশীর্বাদ করেন।
    পৃথিবীর সমস্ত লোক যেন ঈশ্বরকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International