M’Cheyne Bible Reading Plan
দায়ূদ বহু যুদ্ধে জয়ী হলেন
8 পরে, দায়ূদ যুদ্ধে পলেষ্টীয়দের পরাজিত করলেন। পলেষ্টীয়দের রাজধানী শহরের অধীনে বহু জমি জায়গা ছিল। দায়ূদ সেইসব জমিজায়গা নিজের অধীনে আনলেন। 2 দায়ূদ মোয়াবীয় লোকদেরও পরাজিত করলেন। সেই সময় তিনি তাদের মাটিতে শুয়ে পড়তে বাধ্য করেন। তারপর তিনি দড়ির সাহায্যে তাদের সারিবদ্ধভাবে আলাদা করেন। দুটি সারির লোকদের হত্যা করা হয়। কিন্তু তৃতীয় সারির লোকদের বাঁচতে দেওয়া হয়। এইভাবে মোয়াবীয়রা দায়ূদের দাসে পরিণত হল। তারা তাঁকে নৈবেদ্য দিল।
3 সোবার রাজা রহোবের পুত্রের নাম ছিল হদদেষর। যখন দায়ূদ ফরাৎ নদীর নিকটবর্তী অঞ্চল দখল করতে গেলেন তখন তিনি হদদেষরকে পরাজিত করলেন। 4 দায়ূদ হদদেষরের কাছ থেকে 1700 অশ্বারোহী সৈন্য এবং 20,000 পদাতিক সৈন্য ছিনিয়ে নিলেন। দায়ূদ 100টি রথ ছাড়া, বাকী সমস্ত রথগুলি নষ্ট করে দিলেন।
5 সোবার রাজা হদদেষরকে সাহায্য করার জন্য দম্মেশকের অরামীয়রা এল। কিন্তু দায়ূদ 22,000 অরামীয়কে পরাজিত করলেন। 6 তারপর দায়ূদ দম্মেশকের অরামে কিছু সৈন্যকে রেখে দিলেন। অরামীয়রা দায়ূদের দাসে পরিণত হল এবং তার জন্য উপঢৌকন নিয়ে এল। দায়ূদ যে দিকে গেলেন, প্রভু সে দিকেই তাঁকে জয়ী করলেন।
7 হদদেষরের দাসদের কাছে যে সব সোনার ঢাল ছিল, দায়ূদ সেগুলি নিয়ে নিলেন। সেই ঢালগুলি নিয়ে দায়ূদ জেরুশালেমে এলেন। 8 এছাড়াও দায়ূদ, বেটহ ও বেরোথা শহর থেকে বহু তামার জিনিসপত্র এনেছিলেন। (বেটহ এবং বেরোথা ছিল হদদেষরের অধীনস্থ দুটি নগরী।)
9 হমাতের রাজা তয়ি খবর পেলেন যে দায়ূদ হদদেষরের সৈন্যদলকে পরাজিত করেছেন। 10 তখন তয়ি নিজের পুত্র যোরামকে দায়ূদের কাছে পাঠালেন। হদদেষরের বিরুদ্ধে দায়ূদ যুদ্ধ করেছেন এবং তাদের পরাজিত করেছেন বলে যোরাম দায়ূদকে অভিনন্দন জানালেন এবং আশীর্বাদ করলেন। এর আগে হদদেষর তয়ির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। যোরাম রূপো, সোনা এবং তামার তৈরী জিনিসপত্র সঙ্গে করে এনেছিলেন। 11 দায়ূদ সেই সব জিনিসপত্র গ্রহণ করলেন এবং সেগুলি প্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদন করলেন। প্রভুকে উৎসর্গ করা অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে তিনি সেই জিনিসগুলি রেখে দিলেন। তিনি যে সব জাতিকে পরাজিত করেছিলেন, সেই সব জাতির কাছ থেকে তিনি ঐ সব জিনিসপত্র এনেছিলেন। 12 অরাম, মোয়াব, অম্মোন, পলেষ্টীয় এবং অমালেক এইসব জাতিকে দায়ূদ পরাজিত করেছিলেন। এছাড়াও তিনি সোবার রাজা, রহোবের পুত্র হদদেষরকে পরাজিত করেছিলেন। 13 দায়ূদ 18,000 অরামীয়কে লবণ উপত্যকায় পরাজিত করেন। যখন তিনি বাড়ী ফিরে এলেন তখন তিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন। 14 দায়ূদ কয়েক দল সৈন্যকে ইদোমে রাখলেন। ইদোমের সব লোকরা দায়ূদের দাস হয়ে গেল। দায়ূদ যেখানে যেখানে গেলেন, সেখানেই প্রভু তাঁকে জয়ী হতে সাহায্য করলেন।
দায়ূদের শাসনকাল
15 দায়ূদ সমগ্র ইস্রায়েলের ওপর শাসন করেছিলেন। তিনি তাঁর লোকদের জন্য ভাল এবং ন্যায্য সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। 16 সরূয়ার পুত্র যোয়াব সেনাপ্রধান হয়েছিল। অহীলূদের পুত্র যিহোশাফট ছিলেন ঐতিহাসিক। 17 অহীটুবের পুত্র সাদোক এবং অবীয়াথরের পুত্র অহীমেলক ছিলেন যাজকগণ। সরায় ছিলেন সচিব। 18 যিহোয়াদার পুত্র বনায় করেথীয় এবং পলেথীয়দের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। আর দায়ূদের দুই পুত্র ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।[a]
দায়ূদ শৌলের পরিবারের প্রতি সদয় হলেন
9 দায়ূদ জিজ্ঞাসা করলেন, “শৌলের পরিবারের কোন লোক কি এখনও রয়ে গেছে? আমি তার প্রতি দয়া দেখাতে চাই। এটা আমি যোনাথনের জন্য করব।”
2 সীবঃ নামে শৌলের পরিবারের এক দাস ছিল। দায়ূদের দাস সীবঃকে দায়ূদের কাছে নিয়ে এল। রাজা দায়ূদ জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি সীবঃ?”
সীবঃ উত্তর দিল, “হ্যাঁ, আমি আপনার দাস সীবঃ।”
3 রাজা বললেন, “শৌলের পরিবারের কোন লোক কি বেঁচে আছে? আমি তার প্রতি ঈশ্বরের দয়া দেখাতে চাই।”
সীবঃ রাজা দায়ূদকে বললেন, “যোনাথনের একজন পুত্র এখনও বেঁচে আছে। তার দু পা-ই পঙ্গু।”
4 রাজা সীবঃকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সেই ছেলেটি কোথায় আছে?”
সীবঃ উত্তর দিল, “সে লো-দবারে, অম্মীয়েলের পুত্র মাখীরের বাড়ীতে আছে।”
5 তখন রাজা দায়ূদ তাঁর কয়েকজন আধিকারিককে লো-দবারে অম্মীয়েলের পুত্র মাখীরের বাড়ীতে পাঠালেন, যোনাথনের পুত্রকে নিয়ে আসার জন্য। 6 যোনাথনের পুত্র মফীবোশৎ দায়ূদের কাছে এলো এবং মাটিতে মাথা নত করে প্রণাম করল।
দায়ূদ জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি মফীবোশৎ?”
মফীবোশৎ উত্তর দিল, “হ্যাঁ, আমি আপনার দাস মফীবোশৎ।”
7 দায়ূদ মফীবোশতকে বলল, “ভয় পেও না। আমি তোমার প্রতি সদয় হব। আমি তোমার পিতা যোনাথনের জন্যই এটা করব। আমি তোমার পিতামহ শৌলের সব জমি তোমাকে ফিরিয়ে দেব। তুমি সবসমযই আমার সঙ্গে একাসনে বসে আহার করতে পারবে।”
8 মফীবোশৎ পুনরায় দায়ূদকে প্রণাম করল। মফীবোশৎ বলল, “একটা মরা কুকুরের থেকে আমি কোন অংশে ভাল নই, কিন্তু আপনি আমার প্রতি অত্যন্ত সদয় হয়েছেন।”
9 তখন রাজা দায়ূদ শৌলের দাস সীবঃকে ডাকলেন। দায়ূদ সীবঃকে বললেন, “আমি তোমার মনিবের নাতি মফীবোশতকে শৌলের পরিবারের যা কিছু আমার কাছে ছিল সব ফিরিয়ে দিয়েছি। 10 মফীবোশতের জন্য তুমি সেই জমি চাষ করবে। মফীবোশতের জন্য তুমি এবং তোমার পুত্ররা এটা করবে। তোমরা ফসল ফলাবে। তাহলে তোমার মনিবের নাতি মফীবোশতের অন্নের জন্য প্রচুর খাদ্যশস্য হবে। কিন্তু তোমার মনিবের নাতি মফীবোশৎ সবসময়েই আমার সঙ্গে একাসনে বসে আহার করতে পারবে।”
সীবঃ এর 15 জন ছেলে এবং 20 জন দাস ছিল। 11 সীবঃ উত্তর দিল, “আমি আপনার দাস। আমার মনিব যা যা আদেশ করেন আমি তাই তাই করব।”
মফীবোশৎ দায়ূদের সঙ্গে একাসনে বসে, রাজার একজন ছেলের মতই আহার করল। 12 মীখা নামে মফীবোশতের একটা কিশোর ছেলে ছিল। সীবঃর পরিবারের প্রত্যেকে মফীবোশতের দাস হয়ে গেল। 13 মফীবোশতের দু পা-ই পঙ্গু ছিল। মফীবোশৎ জেরুশালেমে থাকত। প্রত্যেকদিন মফীবোশৎ রাজার সঙ্গে একাসনে আহার করত।
2 তাই আমি স্থির করেছিলাম যে আবার তোমাদের দুঃখ দেওয়ার জন্য তোমাদের কাছে যাব না। 2 কারণ তোমাদের যদি আমি দুঃখ দিই তবে আমাকে সুখী করবে কে? একমাত্র তোমরাই যারা আমার কাছে দুঃখ পেয়েছ। 3 এইজন্য সেই সব কথা লিখেছিলাম, যাতে যখন আমি আসব তখন যাদের কাছ থেকে আমার আনন্দ পাওয়া উচিত, তাদের কাছ থেকে আমায় যেন দুঃখ পেতে না হয়। কারণ তোমাদের সকলের বিষয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে আমার আনন্দে তোমাদের সকলেরই আনন্দ। 4 অনেক কষ্ট, মনো বেদনা ও চোখের জলের মধ্যে দিয়ে সেই চিঠি তোমাদের লিখেছিলাম। আমি তোমাদের ব্যথা দিতে চাই নি, কিন্তু বোঝাতে চেয়েছিলাম যে আমি তোমাদের কতো ভালবাসি।
যে অন্যায় করে তাকে ক্ষমা কর
5 কিন্তু কেউ যদি ব্যথা দিয়ে থাকে তবে সে যে শুধু আমাকে ব্যথা দিয়েছে তা নয়, বেশী বাড়িয়ে না বলে এটুকু বলছি যে, তোমাদের সকলকেই সে কিছু পরিমাণ ব্যাথা দিয়েছে। 6 তোমাদের মধ্যে বেশীর ভাগ লোক মিলে এই ধরণের লোককে যে শাস্তি দিয়েছ সেটাই তার পক্ষে যথেষ্ট। 7 কিন্তু এখন তোমাদের বরং তাকে ক্ষমা করা ও সান্ত্বনা দেওয়া উচিত। তা না হলে সে হয়তো অত্যধিক মনোবেদনায় হতাশ হয়ে পড়বে। 8 আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা যে তাকে এখনও ভালবাস এটা তাকে বুঝতে দাও। 9 তোমরা সমস্ত বিষয়ে আমার বাধ্য হও কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে আমি তোমাদের কাছে সেই চিঠিটা লিখেছিলাম। 10 যদি তোমরা কাউকে ক্ষমা কর, আমিও তাকে ক্ষমা করি। যদি ক্ষমা করার মত কিছু থেকেই থাকে তবে আমি যা ক্ষমা করেছি তা খ্রীষ্টের সামনে তোমাদের ভালোর জন্যেই করেছি। 11 যেন আমরা শয়তানের চতুরতার দ্বারা প্রতারিত না হই, কারণ আমরা তার ষড়যন্ত্র সম্বন্ধে অজ্ঞ নই।
খ্রীষ্টর মধ্য দিয়ে জয়লাভ
12 আমি যখন ত্রোয়াতে খ্রীষ্ট সম্বন্ধে সুসমাচার প্রচার করতে এসেছিলাম, তখন দেখলাম প্রভু কাজের জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছেন। 13 কিন্তু আমি খুব উদ্বেগে ছিলাম, কারণ সেখানে আমি আমার ভাই তীতকে পাই নি; তাই আমি তাদের বিদায় জানিয়েছিলাম এবং মাকিদনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
14 কিন্তু ঈশ্বর ধন্য, কারণ তিনি খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে সর্বদাই আমাদের জয়লাভের পথ দেখান এবং আমাদের মধ্য দিয়ে সর্বত্র তাঁর সম্বন্ধে জ্ঞান সৌরভের মত ছড়িয়ে দেন। 15 যারা উদ্ধার পাচ্ছে এবং যারা বিনাশ হচ্ছে তাদের সামনে আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে খ্রীষ্টের সুগন্ধযুক্ত ধূপ। 16 যারা হারিয়ে যাচ্ছে তাদের কাছে আমরা মৃত্যুমূলক মৃত্যুজনক গন্ধ; কিন্তু যারা পরিত্রাণ পাচ্ছে তাদের কাছে আমরা জীবনমূলক জীবনদায়ক গন্ধ; সুতরাং কে এইরকম কাজ করার উপযুক্ত? 17 অনেকে যেমন করে সেরকম আমরা ঈশ্বরের বাক্য নিয়ে লাভ করার জন্য ফেরিওয়ালার মত ফেরি করে বেড়াই না বরং খ্রীষ্টেতে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে ঈশ্বর হতে আগত লোক হিসাবে ঈশ্বরের সামনে কথা বলি।
16 তখন প্রভুর বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন: 2 “মনুষ্যসন্তান, জেরুশালেমের লোকরা যে সমস্ত ঘৃণিত কাজ করেছে সে সম্বন্ধে তাদের বল। 3 তুমি অবশ্যই বলবে, ‘প্রভু আমার সদাপ্রভু জেরুশালেমকে এইসব কথা বলেন: তোমার দিকে দেখ। তুমি জন্মেছিলে কনানে। তোমার বাবা ছিলেন ইমোরীয়, তোমার মা হিত্তীয়া। 4 জেরুশালেম যে দিন তোমার জন্ম হয়, তোমার নাড়ি কাটার জন্য কোন জায়গা ছিল না। কেউ তোমার গায়ে লবণ ছড়িয়ে তোমাকে পরিষ্কার করার জন্য স্নান করায় নি। কেউ তোমায় কাপড়ে মোড়ায়নি। 5 জেরুশালেম, তুমি সম্পূর্ণ একা ছিলে। কেউ তোমার জন্য দুঃখ বোধ করেনি, তোমার যত্নও নেয়নি। জেরুশালেম তোমার জন্মদিনে, তোমার পিতামাতা তোমাকে ক্ষেতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। তারা এরকম করেছিল কারণ তারা তোমাকে ঘৃণা করত।
6 “‘তখন আমি (ঈশ্বর) সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি তোমায় রক্তের মধ্যে ছট্ফট্ করতে দেখলাম। তুমি রক্তে ঢাকা ছিলে কিন্তু আমি বললাম, “বাঁচ!” হ্যাঁ, তুমি রক্তে ঢাকা ছিলে কিন্তু আমি বললাম, “বাঁচ!” 7 আমি তোমাকে মাঠের গাছের মত বেড়ে উঠতে সাহায্য করলাম। তুমি বাড়লে, বেড়ে উঠে একজন যুবতী হলে: তোমার মাসিক হতে লাগল, স্তন দুটি বেড়ে উঠল, চুল বড় হল। কেউ তোমার প্রতি স্নেহভরে তাকিয়ে তোমার প্রতি মায়া করে তোমার কোন যত্ন নেয়নি। কিন্তু তবুও তুমি উলঙ্গ ও ব্বিস্ত্রা ছিলে। 8 আমি তোমার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তোমাকে প্রেম করবার সময় হয়েছে। তাই আমি তোমার ওপর আমার কাপড় বিছালাম এবং তোমার উলঙ্গতা আবৃত করলাম। তোমাকে বিয়ে করার প্রতিজ্ঞাও করলাম। তোমার সঙ্গে বিয়ের চুক্তিও হল, আর তুমি আমার হলে।’” প্রভু আমার সদাপ্রভু এসব বলেছেন। 9 “‘আমি তোমায় জলে স্নান করালাম। তোমার রক্ত ধুলাম ও তোমার গায়ে তেল মালিশ করলাম। 10 তোমায় সুন্দর পোশাক ও পায়ে চামড়ার জুতো পরালাম। আমি তোমার মাথায় মসিনার পট্টি ও সিল্কের মাথা ঢাকা দিলাম। 11 তারপর তোমায় কিছু অলঙ্কার দিলাম, তোমার হাতে বালা ও গলায় হার দিলাম। 12 তোমার নাকে দিলাম নথ, কানে দুল, আর সুন্দর মুকুটও পরতে দিলাম। 13 তোমায় রূপো ও সোনার গহনায় বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিল; এমনকি তোমার মসিনা সিল্ক ও কাজ করা সজ্জায় সাজলে। তুমি সব থেকে উত্তম খাবার খেতে। তুমি খুব সুন্দরী হয়ে উঠলে। তুমি রাণী হলে! 14 তোমার রূপের জন্য তুমি হলে বিখ্যাত কারণ আমিই তোমায় সুন্দরী করেছিলাম।’” প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব কথা বলেছিলেন।
15 ঈশ্বর বললেন, “কিন্তু তুমি তোমার সৌন্দর্যের ওপর নির্ভর করতে শুরু করলে। তোমার সুনাম ব্যবহার করতে শুরু করলে ও আমার প্রতি অবিশ্বস্ত হলে। যেই যায় তার সঙ্গে তুমি বেশ্যার মত ব্যবহার করলে। তুমি তাদের সকলের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দিলে! 16 তুমি সেই সুন্দর কাপড় নিয়ে তোমার পূজার স্থান সাজালে। আর সেসব জায়গায় বেশ্যার মত আচরণ করলে। এরকম একটা ব্যাপার আগে কখনও হয়নি, পরেও আর কখনও হবে না। 17 তারপর আমি তোমায় যে সুন্দর অলঙ্কার দিয়েছিলাম তা তুমি নিলে। তারপর সেই রূপো ও সোনা ব্যবহার করে পুরুষ মানুষের মূর্ত্তি তৈরী করলে। তারপর তাদের সঙ্গেও যৌন কাজ করলে! 18 তারপর তুমি সেই সুন্দর কাপড় নিয়ে ঐসব মূর্ত্তির জন্য কাপড় বানালে। আমি তোমায় যে সব সুগন্ধি ও ধূনো দিয়েছিলাম তা তুমি ঐসব মূর্ত্তির সামনে রাখলে। 19 আমি তোমায় রুটি, মধু ও তেল দিয়েছিলাম, কিন্তু তুমি ওগুলো ঐসব মূর্ত্তিদের নিবেদন করলে। তুমি সেসব তোমার মূর্ত্তিদের সন্তুষ্ট করবার জন্য উৎসর্গ করলে। হ্যাঁ, তুমি তাই করেছিলে।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব কথা বলেছেন।
20 ঈশ্বর বলেছেন, “তোমার এবং আমার সন্তান ছিল। কিন্তু তুমি আমার সন্তানদের নিয়ে গেলে। এমনকি তুমি তাদের হত্যা করলে এবং তাদের ঐসব মূর্ত্তিদের দিলে। ঐ সব মূর্ত্তিদের কাছে যাওয়া এবং তাদের সঙ্গে বেশ্যার মত আচরণ করবার চেয়েও এটা নিকৃষ্ট কাজ ছিল। 21 তুমি আমার সন্তানদের বলি দিতে তাদের এই মূর্ত্তিদের উদ্দেশ্যে আগুনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করালে। 22 তুমি আমায় পরিত্যাগ করেছিলে এবং ঐসব ভয়ঙ্কর কাজ করেছিলে। তুমি কখনও তোমার যৌবনকাল স্মরণ করনি। স্মরণ করনি যে তোমাকে যখন আমি খুঁজে পেয়েছিলাম তখন তুমি রক্ত জড়ানো অবস্থায় উলঙ্গ হয়ে পড়েছিলে এবং শূণ্যে পা ছুঁড়ছিলে।
23 “ঐসব মন্দ কাজের পর, হায় জেরুশালেম, এ তোমার পক্ষে ভীষণ অমঙ্গলদায়ক হবে!” প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব কথা বলেছেন। 24 “ঐসব করার পর তুমি ঐ ঢিবি তৈরী করলে মূর্ত্তি পূজা করার জন্য। প্রতি রাস্তার কোণে ঐসব মূর্ত্তির উপাসনার স্থান তৈরী করলে। 25 প্রত্যেক রাস্তার মাথায় মাথায় ঐ ঢিবি তৈরী করলে। এইভাবে তোমার সৌন্দর্য নষ্ট করলে। পথিককে ধরার জন্য তুমি তা ব্যবহার করলে। তুমি তোমার কাপড়ের নীচের ভাগ ওঠালে যাতে তোমার পা দেখা যায়; তারপর তুমি ঐসব লোকদের সঙ্গে বেশ্যার মত ব্যবহার করলে। 26 তারপর তুমি তোমার প্রতিবেশী মিশরে গেলে যার যৌনাঙ্গ বড় বড়। তারপর আমাকে ক্রুদ্ধ করতে বহুবার তার সঙ্গে যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করলে। 27 তাই আমি তোমায় শাস্তি দিলাম! তোমার জমির অধিকারের অংশ নিয়ে নিলাম। আর তোমার শত্রু পলেষ্টীয়দের কন্যাদের শহর তোমাদের প্রতি তাদের যা ইচ্ছা তাই করতে দিলাম। এমনকি তারাও তোমাদের মন্দ কাজ শুনে চমকে উঠেছিল। 28 তারপর তুমি অশূরীয়দের সঙ্গে যৌন ক্রিয়া করতে গেলে। তোমার তৃপ্তি কিছুতেই হল না। 29 তাই তুমি কনানের দিকে ফিরলে, তারপর বাবিলের দিকে। তবু তোমার মন ভরল না। 30 তোমাকে দিয়ে ওসব কাজ করাবার জন্য তোমার হৃদয়কে অবশ্য দুর্বল হতে হবে। তুমি একজন দাপটময়ী বেশ্যার মত আচরণ করলে।” প্রভু আমার সদাপ্রভুই ঐসব কথা বলেছিলেন।
31 ঈশ্বর বলেছিলেন, “কিন্তু তুমি ঠিক একেবারে বেশ্যার মত ছিলে না। তুমি প্রত্যেক বড় রাস্তার মাথায় ও প্রত্যেক গলির কোণে উপাসনার জন্য ঢিবি তৈরী করেছিলে। ঐসব লোকের সাথে যৌনক্রিয়া করেছিলে কিন্তু বেশ্যার মত তাদের কাছ থেকে বেতন নাও নি। 32 তুমি ব্যভিচারী নারী। তোমার স্বামীর সাথে নয় কিন্তু আগন্তুকদের সঙ্গেই শুতে তুমি ভালোবাসো। 33 বেশীর ভাগ বেশ্যাই পুরুষদের বেতন দিতে বাধ্য করে; কিন্তু তুমি তোমার প্রেমিকদের অর্থ দিলে। তুমি চারধারের সমস্ত লোকেদের বেতন দিলে তোমার সঙ্গে যৌন কাজের জন্য। 34 বেশীর ভাগ বেশ্যার বিপরীত তুমি। অধিকাংশ বেশ্যা পুরুষদের বেতন দিতে বাধ্য করে কিন্তু যে পুরুষেরা তোমার সঙ্গে যৌন ক্রিয়া করে তাদের তুমি বেতন দাও।”
35 বেশ্যা, প্রভুর বার্তা শোন। 36 প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব কথা বলেন: “তুমি তোমার টাকা খরচ করে তোমার প্রেমিকদের ও নোংরা দেবতাদের তোমার উলঙ্গতা দেখিয়েছ এবং তাদের সঙ্গে যৌন কাজ করেছ এবং তাদের তোমার ছেলে-মেয়েদের রক্ত দিয়েছ। 37 তাই আমি তোমার সব প্রেমিকদের জড়ো করব। তুমি যাদের ভালোবেসেছিলে ও যাদের ঘৃণা করেছিলে সেই সমস্ত লোকদের আমি জড়ো করব আর তোমার উলঙ্গতা দেখাব। তারা তোমাকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ দেখবে। 38 তারপর আমি তোমায় শাস্তি দেব। আমি তোমায় নরঘাতকের ও ব্যভিচারিনীর উপযুক্ত যৌন পাপের শাস্তি দেব। তুমি এক ক্রোধান্বিত ও ঈর্ষান্বিত স্বামীর দ্বারা শাস্তি পাবে। 39 ঐ সমস্ত প্রেমিকদের হাতে তোমাকে দেব। তারা তোমার ঢিবিগুলো ধ্বংস করবে। তোমার পূজার স্থানগুলো জ্বালিয়ে দেবে। তারা তোমার কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তোমার সুন্দর অলঙ্কার নিয়ে নেবে। তারা তোমায় নিঃস্ব ও উলঙ্গ করে ছেড়ে যাবে সেই অবস্থায় যে অবস্থায় আমি তোমায় পেয়েছিলাম। 40 তারা জনতার ভিড় জড়ো করে পাথর ছুঁড়ে তোমায় মেরে ফেলবে। তারপর তাদের তরবারি দ্বারা তোমাকে টুকরো টুকরো করে কাটবে। 41 তারা তোমার গৃহ (মন্দির) জ্বালিয়ে দেবে। তোমায় শাস্তি দেবে যাতে অন্য মহিলারা তা দেখে। আমি তোমার বেশ্যার মত জীবনযাপন বন্ধ করব। তোমার প্রেমিকদের বেতন দেওয়া বন্ধ করব। 42 তারপর আমার ক্রোধ ও ঈর্ষা নিবৃত্ত করব। আমি শান্ত হব। আর ক্রোধ করব না। 43 কেন এইসব ঘটবে? কারণ তোমার যৌবনকালে কি ঘটেছিল তুমি তা মনে রাখোনি। তুমি ঐসব মন্দ কাজের দ্বারা আমাকে ক্রুদ্ধ করেছিলে। তাই তোমার এইসব মন্দ কাজের জন্য আমাকে তোমায় শাস্তি দিতে হল। কিন্তু তুমি আরও ভয়াবহ বিষয়ের পরিকল্পনা করলে।” প্রভু আমার সদাপ্রভু এইসব কথা বলেছেন।
44 “তোমার বিষয়ে যেসব লোকে কথা বলে তাদের আরেকটা কথা বলার থাকবে। তারা বলবে, ‘মা যেমন, মেয়ে তেমন।’ 45 তুমি তোমার মায়ের মেয়ে। তুমি তোমার স্বামী এবং সন্তানদের জন্য কোন চিন্তা করো না। তুমি তোমার বোনের মতোই। তোমরা দুজনেই তোমাদের স্বামী ও সন্তানদের ঘৃণা করতে। তোমরা তোমাদের মা বাবার মতোই। তোমার মা ছিলেন একজন হিত্তীয়া আর বাবা ছিলেন একজন ইমোরীয়। 46 তোমার বড় বোন শমরিয়া তার কন্যাদের নিয়ে তোমার উত্তর দিকে থাকত। আর তোমার ছোট বোন সদোম তার কন্যাদের[a] নিয়ে তোমার দক্ষিণে থাকত। 47 তারা যেসব ভয়ঙ্কর কাজ করেছিল তার সবগুলোই তোমরা করেছিলে। এমনকি তাদের থেকেও খারাপ কাজ করেছিলে! 48 আমিই প্রভু এবং সদাপ্রভু। আমার জীবনের দিব্য, তুমি ও তোমার কন্যারা যেসব মন্দ কাজ করেছে, তোমার বোন সদোম ও তার কন্যারাও তা করেনি।”
49 ঈশ্বর বলেছিলেন, “তোমার বোন সদোম ও তার কন্যারা গর্বিত হয়েছিল, পেট ভরে খেতে পেয়েছিল এবং তাদের হাতে প্রচুর সময় থাকত। তারা গরীব, অসহায় লোকদের সাহায্য করত না। 50 সদোম ও তার কন্যারা খুবই গর্বিত হয়ে উঠেছিল এবং আমার সামনে এবং ভয়ঙ্কর সব কাজ করতে শুরু করেছিল। আর আমি তাদের তা করতে দেখে তাদের শাস্তি দিয়েছিলাম।”
51 ঈশ্বর বলেছেন, “আর তুমি যেসব মন্দ কাজ করেছ, শমরিয়া তার অর্ধেকও করেনি। তোমার ভয়ঙ্কর কাজগুলো শমরিয়ার কাজের চেয়ে অনেক বেশী খারাপ! তোমার মন্দ কাজগুলি আসলে তোমার বোন শমরিয়াকে ভালো হিসেবে দেখায়। 52 তাই তুমি তোমার লজ্জা বইবে। তুমি তোমার বোনকে তোমার চেয়ে উত্তম প্রমাণ করেছ। তুমি ভয়ানক কাজ করেছ তাই তোমাকে অবশ্যই লজ্জা পেতে হবে।”
53 ঈশ্বর বলেছিলেন, “আমি সদোম ও তার চারপাশের শহর ধ্বংস করেছিলাম। আর তার পাশের শমরিয়াও ধ্বংস করেছিলাম। আর জেরুশালেম আমি তোমায় ধ্বংস করব। কিন্তু ঐ শহরগুলি আবার নির্মাণ করব। আর জেরুশালেম তোমাকেও আমি আবার নির্মাণ করব। 54 আমি তোমায় সান্তনা দেব। তখন তুমি তোমার করা ভয়ানক কাজগুলো মনে করবে আর লজ্জিত হবে। 55 তাই তোমাকে ও তোমার বোনকে আবার নতুন ভাবে গড়া হবে। সদোম ও তার চারপাশের শহরগুলিকে এবং শমরিয়া ও তার চারপাশের শহরগুলিকে এবং তোমাকে ও তোমার চারপাশের শহরগুলিকে আবার গড়া হবে।”
56 ঈশ্বর বলেছেন, “অতীতে তুমি গর্বিতমনা ছিলে ও তোমার বোন সদোমকে নিয়ে ঠাট্টা করতে কিন্তু তুমি আর তা করবে না। 57 শাস্তি পাবার আগে তুমি তা করেছিলে, তোমার প্রতিবেশীরা তোমাকে নিয়ে মজা করার আগে করেছিল। ইদোম ও পলেষ্টীয়ের কন্যারা, যারা তোমাকে ঘৃণা করে, তারা এখন তোমাকে নিয়ে ঠাট্টা করছে। 58 এখন তুমি অবশ্যই তোমার কৃত ভয়ঙ্কর কাজগুলির জন্য শাস্তি পাবে।” প্রভুই এই কথা বলেছেন।
59 প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন, “তুমি আমার সঙ্গে যেরূপ ব্যবহার করেছ আমিও তোমার সঙ্গে সেইরূপ ব্যবহার করব! তুমি তোমার বিবাহের প্রতিশ্রুতি ভেঙেছ। তুমি সেই কৃত চুক্তির সম্মান করনি। 60 কিন্তু তোমার যৌবনের সময় যে চুক্তি হয়েছিল তা আমি স্মরণে রেখেছি। তোমার সঙ্গে আমি এক চিরকালীন চুক্তি করেছিলাম! 61 আমি তোমার বোনদের, ছোট ও বড় উভয়কেই তোমার কাছে আনব এবং তাদের তোমার কন্যা করব। এটা চুক্তিতে ছিল না কিন্তু আমি এটা তোমার জন্য করব। তখন তুমি তোমার ভয়ঙ্কর কাজগুলি স্মরণ করবে আর লজ্জিত হবে। 62 সুতরাং আমি তোমার সাথে আমার চুক্তি করব আর তুমি জানবে যে আমিই প্রভু। 63 আমি তোমার প্রতি সদয় হব সুতরাং তুমি আমায় মনে করবে, এবং তোমার মন্দ কাজের জন্য এত লজ্জিত হবে যে কিছুই বলতে পারবে না। কিন্তু আমি তোমাকে শুচি করব, তুমি আর কখনও লজ্জিত হবে না!” প্রভু আমার সদাপ্রভুই এই কথা বলেন।
পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ করো না” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম।
58 ওহে বিচারকগণ, তোমরা তোমাদের বিচারে ন্যায় সঙ্গত নও।
তোমরা সৎভাবে লোকের বিচার করছো না।
2 না, তোমরা শুধুই খারাপ কাজ করার কথা ভাবো।
এই দেশে তোমরা হিংসাত্মক অপরাধসমূহ কর।
3 সেই সব মন্দ লোক যখনই জন্মায় তখন থেকেই ওরা ভুল কাজ করতে শুরু করে।
জন্ম থেকেই ওরা মিথ্যাবাদী।
4 ওদের ক্রোধ সাপের বিষের মতই ভয়ঙ্কর এবং বধির গোখুরে সাপের মত।
ওরা সত্য কথা শুনতে অস্বীকার করে।
5 গোখুরে সাপরা সাঁপুড়ের বীণের সুর বা গান শুনতে পায় না।
ঐসব মন্দ লোকরাও সেইসব সাপের মত, কারণ তারা কু-চক্রান্ত করে।
6 প্রভু, ঐ লোকগুলো সিংহের মত।
তাই হে প্রভু, ওদের দাঁতগুলো ভেঙে দিন।
7 নর্দমা দিয়ে যেমন জল গড়িয়ে যায়, ঐ লোকগুলোও যেন সেভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
পথের ধারে আগাছার মত ওরা যেন বিনষ্ট হয়।
8 ওরা শামুকের মত হোক্, নড়বার সময় যেন গলে গলে যায়।
ওরা যেন জন্ম-মৃত শিশুর মত কোনদিন দিনের আলো না দেখে।
9 যে কাঁটাঝোপকে জ্বালানী হিসেবে জ্বালিয়ে রান্নার পাত্র গরম করা হয়
ওরা যেন সেই কাঁটাঝোপের জ্বালানীর মত বিনষ্ট হয়।
10 একজন সৎ লোক তখন খুশী হবে যখন সে দেখবে
তার প্রতি করা অন্যায় কাজের জন্য মন্দ লোকরা শাস্তি পাচ্ছে।
সে সেই রকম সৈনিকের মত হবে যে
তার সমস্ত শত্রুদের পরাজিত করেছে।[a]
11 যখন এটা ঘটবে, তখন লোকে বলবে: “সৎ লোকেরা সত্যিই পুরস্কৃত।
সত্যই একজন ঈশ্বর আছেন যিনি পৃথিবীর বিচার করেন।”
পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ করো না।” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম যখন শৌল দায়ূদকে হত্যা করবার জন্য তাঁর বাড়ীতে লোক পাঠিয়েছিলেন।
59 ঈশ্বর আমাকে আমার শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
যারা আমার সঙ্গে লড়াই করতে এসেছে তাদের পরাজিত করতে আমায় সাহায্য করুন।
2 সেই সব লোক যারা মন্দ কাজ করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ঐসব খুনীদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
3 দেখুন শক্তিশালী লোকরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
যদিও আমি কোন পাপ বা অপরাধ করিনি
তবুও ওরা আমায় হত্যা করার জন্য অপেক্ষা করছে।
4 আমি কোন ভুল করি নি কিন্তু আমাকে আক্রমণ করার জন্য ওরা এখানে ছুটে এসেছে।
প্রভু, উঠুন এবং এসে আমায় সাহায্য করুন। দেখুন কি ঘটছে।
5 প্রভু, আপনিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর!
উঠুন এবং ঐসব লোককে শাস্তি দিন।
ঐসব বদ বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি এতটুকু দয়া দেখাবেন না।
6 ঐসব লোকরা কুকুরের মত
যারা সন্ধ্যা বেলায় ক্রুদ্ধ গর্জন করতে করতে
এবং রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে শহরে আসে।
7 ওদের হুমকি ও অপমান শুনুন।
ওরা ঐসব নির্মম কথাগুলো বলছে।
কিন্তু ওরা খেয়াল করে না কারা তা শুনছে।
8 প্রভু ওদের আপনি উপহাস করুন।
ওদের সকলকে বিদ্রূপ করুন।
9 আমি আপনার উদ্দেশ্যে আমার বন্দনা গান করবো।
ঈশ্বর, উঁচু পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ স্থান।
10 ঈশ্বর আমায় ভালোবাসেন এবং তিনি আমাকে জয়ী হতে সাহায্য করবেন।
তিনি আমায় শত্রুদের পরাজিত করতে সাহায্য করবেন।
11 হে ঈশ্বর, ওদের নিছক হত্যা করবেন না, নতুবা আমার লোকেরা তাদের ভুলে যেতে পারে। কে তাদের জয় এনে দিয়েছে?
হে আমার প্রভু এবং রক্ষাকারী, আপনার ক্ষমতা বলে ওদের আপনি পরাজিত করুন। ছত্রভঙ্গ করুন।
12 ঐসব মন্দ লোক মিথ্যা কথা বলে ও অভিশাপ দেয়।
ওরা যা বলেছে তার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
ওদেরই দম্ভের ফাঁদে ওদের পড়তে দিন।
13 আপনার ক্রোধে ওদের ধ্বংস করে দিন।
ওদের সম্পূর্ণরূপে বিনাশ করুন!
সারা পৃথিবীকে বুঝতে দিন যে স্বয়ং ঈশ্বর ইস্রায়েলে শাসন করছেন!
14 ঐসব মন্দ লোক, ঘেউ ঘেউ করা ভ্রাম্যমান কুকুরের মত,
রাতের বেলায় শহরে এসেছে।
15 তারা কিছু খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়াবে, কিন্তু কোন খাবার পাবে না,
রাতে বিশ্রাম করবার জন্যও কোন জায়গা তারা খুঁজে পাবে না।
16 কিন্তু সকালে, আমি আপনার প্রশংসা গান গাইবো।
আমি আপনার প্রেমে আনন্দ উল্লাস করবো।
কেন? কারণ উচ্চ পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
সংকট এলে আমি আপনার কাছে ছুটে যেতে পারবো।
17 আপনার প্রশংসা করে আমি গান গাইবো। কেন?
কারণ উচ্চ পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আপনি সেই ঈশ্বর যিনি আমায় ভালোবাসেন!
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International