M’Cheyne Bible Reading Plan
শৌলের পরিবারে সমস্যা ঘনিয়ে এলো
4 শৌলের পুত্র ঈশ্ বোশত্ শুনলেন যে হিব্রোণে অব্নের মারা গেছেন। ঈশ্বোশৎ এবং তাঁর লোকরা ভীষণ ভয় পেয়ে গেল। 2 দুজন লোক শৌলের পুত্র ঈশ্বোশতের সঙ্গে দেখা করতে গেল। ঐ দুজন লোক সৈন্যবাহিনীর প্রধান ছিল। তারা ছিল বেরোতীয় রিম্মোণের পুত্র রেখব এবং বানা। (এরা ছিল বিন্যামীনীয় যেহেতু বেরোত শহর বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর ছিল। 3 কিন্তু বেরোতের সব লোক গিত্তয়িমে পালিয়ে গিয়েছিল এবং এখনও পর্যন্ত তারা সেখানেই বসবাস করছে।)
4 শৌলের পুত্র যোনাথনের মফীবোশৎ নামে একটি পুত্র ছিল। শৌল এবং যোনাথন নিহত হয়েছেন এই খবর যখন যিষ্রিয়েল থেকে এল তখন মফীবোশতের বয়স পাঁচ বছর। মফীবোশৎকে যে মহিলা দেখাশোনা করতো এই সংবাদে সে অত্যন্ত ভীত হল এবং শত্রুরা আসছে এই ভেবে সে মফীবোশতকে নিয়ে পালিয়ে গেল। কিন্তু দৌড়ে পালাবার সময়, সে ছেলেটিকে ফেলে দিল, তাই তার দুটো পা-ই পঙ্গু।
5 রিম্মোণের পুত্ররা রেখব ও বানা বিরোত থেকে দুপুর বেলায় ঈশ্বোশতের বাড়ী গিয়েছিল। প্রচণ্ড গরম ছিল বলে ঈশ্বোশৎ বিশ্রাম করছিলেন। 6-7 রেখব ও বানা এমন ভাবে বাড়ীতে এল যেন তারা কিছু গম নিতে এসেছে। ঈশ্বোশৎ শোয়ার ঘরে তাঁর বিছানায় শুয়েছিলেন। রেখব ও বানা ছুরি বিদ্ধ করে তাঁকে হত্যা করল। তারা তাঁর মাথা কেটে সঙ্গে নিয়ে নিল। এরপর সারারাত তারা যর্দন উপত্যকার মধ্য দিয়ে হাঁটল। 8 তারা হিব্রোণে এলো এবং মাথাটি দায়ূদকে দিল।
রেখব এবং বানা রাজা দায়ূদকে বলল, “এই যে আপনার শত্রু শৌলের পুত্র ঈশ্বোশতের মাথা। সে আপনাকে হত্যার চেষ্টা করছিল। আপনার জন্য, শৌল এবং তার পরিবারকে প্রভু আজ শাস্তি দিলেন।”
9 কিন্তু দায়ূদ রেখব এবং তার ভাই বানাকে বললেন, “এ কথা জীবিত প্রভুর মতই সত্য যে তিনি সব সমস্যা থেকে আমাকে রক্ষা করেছেন। 10 এর আগে একবার এক ব্যক্তি ভেবেছিল সে আমার কাছে সুসংবাদ আনবে। সে বলেছিল, ‘দেখুন শৌল মারা গেছে।’ সে ভেবেছিল যে আমার কাছে এই খবর আনার জন্য আমি তাকে পুরস্কার দেব। কিন্তু আমি এই লোকটিকে ধরে ফেলেছিলাম এবং তাকে সিক্লগে হত্যা করি। 11 সেই মত আমি তোমাদের হত্যা করে এই দেশ থেকে সরিয়ে দেব। কেন? কারণ একজন সৎ লোককে তার বাড়ীতে, তার বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায়, তোমরা মন্দ লোকরা হত্যা করেছ।”
12 তখন দায়ূদ রেখব ও বানাকে হত্যা করার জন্য তরুণ সেনাদের আদেশ দিলেন। সেনারা রেখব ও বানার হাত পা কেটে নিল এবং হিব্রোণের একটি পুকুরের পাড়ে তাদের দেহ ঝুলিয়ে দিল। তারপর তারা ঈশ্বোশতের মাথাটি নিয়ে হিব্রোণে ঠিক সেখানেই কবর দিল যেখানে অব্নেরকে কবর দেওয়া হয়েছিল।
ইস্রায়েলীয়রা দায়ূদকে রাজা মনোনীত করল
5 তারপর ইস্রায়েলের সব কটি পরিবারগোষ্ঠী হিব্রোণে দায়ূদের কাছে এল এবং তারা তাঁকে বলল, “দেখুন, আমরা একই পরিবারভুক্ত।[a] 2 এমন কি শৌল যখন আমাদের রাজা ছিলেন, তখনও যুদ্ধে আপনি আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আপনিই ইস্রায়েলকে যুদ্ধ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। এমনকি প্রভু স্বয়ং আপনাকে বলেছেন ‘তুমিই আমার প্রজা সকলের মেষপালক হবে। তুমিই ইস্রায়েলের শাসনকর্তা হবে।’”
3 তাই ইস্রায়েলের নেতারা রাজা দায়ূদের সঙ্গে দেখা করতে হিব্রোণে এলেন। রাজা দায়ূদ প্রভুর সামনে, সেই নেতাদের সঙ্গে একটা চুক্তি করলেন। তারপর ঐ নেতারা দায়ূদকে ইস্রায়েলের রাজারূপে অভিষিক্ত করলেন।
4 দায়ূদের যখন 30 বছর বয়স তখন তিনি শাসনকার্য শুরু করেন এবং 40 বছর ধরে তিনি রাজা হিসেবে বহাল ছিলেন। 5 হিব্রোণে তিনি 7 বছর 6 মাস ধরে যিহূদা শাসন করেন এবং জেরুশালেমে থাকার সময় ইস্রায়েল ও যিহূদাকে 33 বছর শাসন করেন।
দায়ূদ জেরুশালেম শহর জয় করলেন
6 রাজা দায়ূদ এবং তাঁর অনুচররা, জেরুশালেমে বসবাসকারী যিবূষীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলেন। যিবূষীয়রা দায়ূদকে বলল, “তুমি এই শহরে ঢুকতেই পারবে না।[b] আমাদের অন্ধ ও পঙ্গু লোকরাই তোমাকে আটকে দেবে।” (তারা এই কথা বলেছিল কারণ তারা ভেবেছিল দায়ূদ তাদের শহরে ঢুকতে পারবেন না। 7 কিন্তু দায়ূদ সিয়োন দুর্গ দখল করলেন। এই দুর্গটি দায়ূদের শহর হল।)
8 সেইদিন দায়ূদ তাঁর সঙ্গীদের বললেন, “যদি তোমরা যিবুষীয়দের হারাতে চাও তবে জলের সুড়ঙ্গ[c] পথ দিয়ে সেই সব ‘পঙ্গু ও অন্ধ’ শত্রুদের কাছে পৌঁছে যাও।” এই জন্য লোকে বলে, “অন্ধ ও পঙ্গুরা মন্দিরে ঢুকতে পারে না।”
9 দায়ূদ সেই দুর্গে বাস করতে লাগলেন এবং সেই শহরকে “দায়ূদের শহর” বললেন। দায়ূদ মিল্লো নামে একটি অঞ্চল নির্মাণ করলেন। তিনি শহরের মধ্যে আরও অনেক বাড়ী তৈরী করলেন। 10 দায়ূদ ক্রমশঃই শক্তিশালী হয়ে উঠলেন কারণ সর্বশক্তিমান প্রভু তার সঙ্গে ছিলেন।
11 সোরের রাজা হীরম দায়ূদের কাছে বার্তাবাহক পাঠালেন। হীরম এরস গাছসমূহ, ছুতোর মিস্ত্রীগণ এবং পাথর দিয়ে বাড়ী তৈরীর মিস্ত্রীও পাঠালেন। তারা দায়ূদের জন্য একটা বাড়ী তৈরী করল। 12 তখন দায়ূদ বুঝতে পারলেন, যে প্রভু সত্যিসত্যিই তাঁকে ইস্রায়েলের রাজা করেছেন এবং তাঁর রাজ্যকে (দায়ূদের রাজ্যকে), তাঁর লোকদের, ইস্রায়েলীয়দের জন্য উন্নীত করেছেন।
13 দায়ূদ হিব্রোণ থেকে জেরুশালেমে এলেন। জেরুশালেমে এসে দায়ূদ আরও স্ত্রী এবং দাসী পেলেন। জেরুশালেমে দায়ূদের আরও সন্তানাদি হল। 14 জেরুশালেমে দায়ূদের যে সব পুত্র জন্মেছিল তাদের নাম: সম্মূয়, শোবব, নাথন, শলোমন, 15 যিভর ইলীশূয়, নেফগ, যাফিয়, 16 ইলিয়াদা, ইলীশামা এবং ইলীফেলট।
দায়ূদ পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন
17 পলেষ্টীয়রা শুনল যে ইস্রায়েলীয়রা দায়ূদকে তাদের রাজারূপে অভিষিক্ত করেছে। সেইজন্য পলেষ্টীয়রা দায়ূদকে হত্যা করবার জন্য খুঁজে বেড়াতে লাগল। দায়ূদ তা জানতে পেরে জেরুশালেমের দুর্গের মধ্যে চলে গেলেন। 18 পলেষ্টীয়রা এসে রফায়ীম উপত্যকায় তাঁবু গাড়লো।
19 দায়ূদ প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব? পলেষ্টীয়দের হারাতে আপনি কি আমায় সাহায্য করবেন?”
প্রভু দায়ূদকে উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, পলেষ্টীয়দের হারাতে আমি নিশ্চয়ই তোমাকে সাহায্য করব।”
20 তখন দায়ূদ বাল পরাসীমে গিয়ে সেই জায়গায় পলেষ্টীয়দের পরাজিত করলেন। দায়ূদ বললেন, “প্রভু আমার শত্রুদের ঠিক তেমনভাবেই ভেদ করলেন যেমন ভাবে বন্যার জল একটি বাঁধের মধ্যে দিয়ে সবলে পথ করে বেরিয়ে যায়।” এই কারণে দায়ূদ এই জায়গার নাম “বাল পরাসীম” রাখলেন। 21 পলেষ্টীয়রা বাল্-পরাসীমে তাদের দেবতাদের মূর্ত্তি ফেলে গিয়েছিল। দায়ূদ এবং তাঁর লোকরা সেইসব মূর্ত্তি নিয়ে গেলেন।
22 পলেষ্টীয়রা আবার এসে রফায়ীম উপত্যকায় তাঁবু গেড়ে বসল।
23 দায়ূদ প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। এবারে প্রভু দায়ূদকে বললেন, “ওখানে যেও না। তুমি ওদের সৈন্যবাহিনীর পিছন দিকে যাও। তুমি বালসাম গাছের উল্টো দিক থেকে ওদের আক্রমণ কর। 24 বালসাম গাছগুলোর ওপর থেকে তোমরা পলেষ্টীয়দের যুদ্ধ ক্ষেত্রে যাবার কুচকাওয়াজের শব্দ শুনতে পাবে। সেই সময় তোমরা তাড়াতাড়ি করবে, কারণ সেই সময় তোমাদের জন্য পলেষ্টীয়দের পরাজিত করতে প্রভু তোমাদের সামনে সামনে যাবেন।”
25 প্রভু যা যা করার আদেশ দিলেন, দায়ূদ সেইমত করলেন এবং তিনি পলেষ্টীয়দের হারিয়ে দিলেন। তিনি গেবা থেকে গেষর পর্যন্ত পলেষ্টীয়দের তাড়া করতে করতে এবং হত্যা করতে করতে গেলেন।
খ্রীষ্টর সম্বন্ধে সুসমাচার
15 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের কাছে আমি যে সুসমাচার প্রচার করেছি, এখন আমি সে কথা তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তোমরা এই বার্তা গ্রহণ করেছ ও সবল আছ। 2 এই বার্তার মাধ্যমে তোমরা উদ্ধার পেয়েছ, অবশ্য তোমরা যদি তা ধরে রাখ এবং তাতে পূর্ণরূপে বিশ্বাস রাখ। তা না করলে তোমাদের বিশ্বাস বৃথা হয়ে যাবে।
3 আমি যে বার্তা পেয়েছি তা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। সেগুলি এইরকম: শাস্ত্রের কথা মতো খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরলেন, 4 এবং তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল। আবার শাস্ত্রের কথা মতো মৃত্যুর তিন দিন পর তাঁকে মৃতদের মধ্যে থেকে জীবিত করা হল। 5 আর তিনি পিতরকে দেখা দিলেন এবং পরে সেই বারোজন প্রেরিতকে দেখা দিলেন। 6 এরপর তিনি একসঙ্গে সংখ্যায় পাঁচশোর বেশী বিশ্বাসী ভাইদের দেখা দিলেন। তাদের মধ্যে বেশীর ভাগ লোক এখনও জীবিত আছেন। কিছু লোক হয়তো এতদিনে মারা গেছেন। 7 এরপর তিনি যাকোবকে দেখা দিলেন এবং পরে প্রেরিতদের সকলকে দেখা দিলেন। 8 সব শেষে আমাকেও অসময়ে জন্মেছি যে আমি, সেই আমাকেও দেখা দিলেন।
9 প্রেরিতরা আমার থেকে মহান, কারণ ঈশ্বরের মণ্ডলীকে আমি নির্যাতন করতাম; প্রেরিত নামে পরিচিত হবার যোগ্যও আমি নই। 10 কিন্তু এখন আমি যা হয়েছি, তা ঈশ্বরের অনুগ্রহের গুনেই হয়েছে। আমার প্রতি তাঁর যে অনুগ্রহ তা নিষ্ফল হয় নি, বরং আমি তাদের সকলের থেকে অধিক পরিশ্রম করেছি। তবে আমি যে এই কাজ করেছিলাম তা নয়; কিন্তু আমার মধ্যে ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ ছিল তাতেই তা সম্ভব হয়েছে। 11 সুতরাং আমি বা অন্যরা যারাই তোমাদের কাছে প্রচার করে থাকি না কেন, সকলে একই সুসমাচার প্রচার করেছিলাম, যা তোমরা বিশ্বাস করেছ।
আমাদের মৃত্যু থেকে ওঠানো হবে
12 কিন্তু আমরা যদি প্রচার করে থাকি যে খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, তখন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ কি করে বলছে যে মৃতদের পুনরুত্থান নেই? 13 মৃতদের যদি পুনরুত্থান না হয়, তাহলে খ্রীষ্টও তো উত্থিত হন নি, 14 আর খ্রীষ্ট যদি পুনরুত্থিত না হয়ে থাকেন তাহলে তো আমাদের সেই সুসমাচার ভিত্তিহীন, আর তোমাদের বিশ্বাসও ভিত্তিহীন। 15 আবার আমরা যে ঈশ্বরের বিষয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছি, সেই দোষে আমরা দোষী সাব্যস্ত হব, কারণ আমরা ঈশ্বরের বিষয়ে প্রচার করতে গিয়ে একথা বলেছি যে তিনি খ্রীষ্টকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন। 16 মৃতদের পুনরুত্থান যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হন নি; 17 আর খ্রীষ্ট যদি পুনরুত্থিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তোমাদের বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই, তোমরা এখনও তোমাদের পাপের মধ্যেই আছ। 18 হ্যাঁ, আর খ্রীষ্টানুসারী যারা মারা গেছে তারা সকলেই বিনষ্ট হয়েছে। 19 খ্রীষ্টের প্রতি প্রত্যাশা যদি শুধু এই জীবনের জন্যই হয়, তবে অন্য লোকদের চেয়ে আমাদের দশা শোচনীয় হবে।
20 কিন্তু সত্যিই খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, আর যেসব ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি তাদের মধ্যে প্রথম ফসল। 21 কারণ একজন মানুষের মধ্য দিয়ে যেমন মৃত্যু এসেছে, মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানও তেমনিভাবেই একজন মানুষের দ্বারা এসেছে। 22 কারণ আদমে যেমন সকলের মৃত্যু হয়, ঠিক সেভাবে খ্রীষ্টে সকলেই জীবন লাভ করবে। 23 কিন্তু প্রত্যেকে তার পালাক্রমে জীবিত হবে; খ্রীষ্ট, যিনি অগ্রনী, তিনি প্রথমে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হলেন, আর এরপর যারা খ্রীষ্টের লোক তারা তাঁর পুনরুত্থানের সময়ে জীবিত হয়ে উঠবে। 24 এরপর খ্রীষ্ট যখন প্রত্যেক শাসনকর্তার কর্ত্তৃত্ব ও পরাক্রমকে পরাস্ত করে পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজ্য সঁপে দেবেন তখন সমাপ্তি আসবে।
25 কারণ যতদিন না ঈশ্বর তাঁর সমস্ত শত্রুকে খ্রীষ্টের পদানত করছেন, ততদিন খ্রীষ্টকে রাজত্ব করতে হবে। 26 শেষ শত্রু হিসেবে মৃত্যুও ধ্বংস হবে। 27 কারণ, “ঈশ্বর সব কিছুই তাঁর অধীনস্থ করে তাঁর পায়ের তলায় রাখবেন।” যখন বলা হচ্ছে যে, “সব কিছু” তাঁর অধীনস্থ করা হয়েছে, তখন এটি স্পষ্ট যে ঈশ্বর নিজেকে বাদ দিয়ে সব কিছু খ্রীষ্টের অধীনস্থ করেছেন। 28 সব কিছু খ্রীষ্টের অধীনস্থ হলে পুত্র ঈশ্বরের অধীনস্থ হবেন। যেন ঈশ্বর, যিনি তাঁকে সব কিছুর ওপর কর্ত্তৃত্ব করতে দিয়েছেন, তিনিই সর্বেসর্বা হন।[a]
29 কিন্তু যারা মৃত লোকদের উদ্দেশ্যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে তাদের কি হবে? মৃতেরা যদি কখনও পুনরুত্থিত না হয়, তাহলে তাদের জন্য এই লোকেরা কেন বাপ্তাইজ হয়?
30 আমরাই বা কেন প্রতি মুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হই? 31 আমি প্রতিদিন মরছি। খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের জন্য আমার যে গর্ব আছে তারই দোহাই দিয়ে আমি বলছি, একথা সত্য। 32 যদি শুধু মানবিক স্তরে ইফিষের সেই হিংস্র পশুদের সঙ্গে যুদ্ধ করে থাকি তাহলে আমার কি লাভ হয়েছে? কিছুই না। মৃতদের যদি পুনরুত্থান নেই তবে, “এস ভোজন পান করি কারণ কাল তো আমরা মরবই।”(A)
33 ভ্রান্ত হয়ো না, “অসৎ সঙ্গ সচ্চরিত্র নষ্ট করে।” 34 চেতনায় ফিরে এস, পাপ কাজ বন্ধ কর, কারণ তোমাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা ঈশ্বর সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। তোমাদের লজ্জা দেবার জন্যই আমি একথা বলছি।
আমাদের কি রকম দেহ হবে
35 কিন্তু কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করবে, “মৃতেরা কি করে পুনরুত্থিত হয়? তাদের কি রকম দেহই বা হবে?” 36 কি নির্বোধের মত প্রশ্ন! তোমরা যে বীজ বোনো, তা না মরা পর্যন্ত জীবন পায় না। 37 তুমি যা বোনো, যে “দেহ” উৎপন্ন হবে তুমি তা বোনো না, তার বীজ মাত্র বোনো, সে গমের বা অন্য কিছুর হোক্। 38 তারপর ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে তিনি তার জন্য একটা দেহ দেন। প্রতিটি বীজের জন্য তাদের নিজের নিজের দেহ দেন। 39 সকল প্রাণীর মাংস এক রকমের নয়; কিন্তু মানুষের এক রকমের মাংস, পশুদের আর এক ধরণের মাংস, পক্ষীদের আবার অন্য রকমের মাংস। 40 সেই রকম স্বর্গীয় দেহগুলি যেমন আছে, তেমনি পার্থিব দেহগুলিও আছে। স্বর্গীয় দেহগুলির এক প্রকার ঔজ্জ্বল্য, আবার পার্থিব দেহগুলির অন্যরকম। 41 সূর্যের এক প্রকারের ঔজ্জ্বল্য, চাঁদের আর এক ধরণের, আবার নক্ষত্রদের অন্য ধরণের। একটা নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্য ভিন্ন।
42 মৃতদের পুনরুত্থানও সেই রকম। যে দেহ কবর দেওয়া হয় তা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, যে দেহ পুনরুত্থিত হয় তা অক্ষয়। 43 যে দেহ মাটিতে কবর দেওয়া হয়, তার কোন কদর থাকে না, যে দেহ পুনরুত্থিত হয় তা গৌরবজনক। যে দেহ মাটিতে কবরস্থ হয়, তা দুর্বল, যে দেহ পুনরুত্থিত হয় তা শক্তিশালী। 44 যে দেহ মাটিতে কবরস্থ হয় তা জৈবিক দেহ; আর যে দেহ পুনরুত্থিত হয় তা আত্মিক দেহ।
যখন জৈবিক দেহ আছে, তখন আত্মিক দেহও আছে। 45 শাস্ত্রে এই কথাও বলছে: “প্রথম মানুষ (আদম) সজীব প্রাণী হল;”(B) আর শেষ আদম (খ্রীষ্ট) জীবনদায়ক আত্মা হলেন। 46 যা আত্মিক তা প্রথম নয় বরং যা জৈবিক তাই প্রথম; যা আত্মিক তা এর পরে আসে। 47 প্রথম মানুষ আদম এলেন পৃথিবীর ধূলো থেকে, দ্বিতীয় মানুষ (খ্রীষ্ট) এলেন স্বর্গ থেকে। 48 মৃত্তিকার মানুষটি যেমন ছিল, পৃথিবীর অন্যান্য মানুষও তেমন; আর স্বর্গীয় মানুষরা সেই স্বর্গীয় মানুষ খ্রীষ্টের মত। 49 আমরা যেমন মৃত্তিকার সেই মানুষদের মতো গড়া, তেমন আবার আমরা সেই স্বর্গীয় মানুষ খ্রীষ্টের মত হব।
50 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের বলছি: আমাদের রক্ত মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না। যা কিছু ক্ষয়শীল তা অক্ষয়তার অধিকারী হতে পারে না। 51 শোন, আমি তোমাদের এক নিগূঢ়তত্ত্ব বলি। আমরা সকলে মরব এমন নয়, কিন্তু আমাদের সকলেরই রূপান্তর ঘটবে। 52 এক মুহূর্তের মধ্যে যখন শেষ তূরী বাজবে তখন চোখের পলকে তা ঘটবে। হ্যাঁ, তূরী বাজবে, তাতে মৃতেরা সকলে অক্ষয় হয়ে উঠবে, আর আমরা সকলে রূপান্তরিত হব। 53 কারণ এই ক্ষয়শীল দেহকে অক্ষয়তার পোশাক পরতে হবে; আর এই পার্থিব নশ্বর দেহ অবিনশ্বরতায় ভুষিত হবে। 54 এই ক্ষয়শীল দেহ যখন অক্ষয়তার পোশাক পরবে আর এই পার্থিব দেহ যখন অবিনশ্বরতায় ভূষিত হবে তখন শাস্ত্রে যে কথা লেখা আছে তা সত্য হবে:
“মৃত্যু জয়ে কবলিত হল।”(C)
55 “মৃত্যু তোমার জয় কোথায়?
মৃত্যু তোমার হুল কোথায়?”(D)
56 মৃত্যুর হুল পাপ আর পাপের শক্তি আসে বিধি-ব্যবস্থা থেকে। 57 কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই। তিনিই আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের বিজয়ী করেন।
58 তাই আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সুস্থির ও সুদৃঢ় হও। প্রভুর কাজে নিজেকে সব সময় সম্পূর্ণভাবে সঁপে দাও, কারণ তোমরা জান, প্রভুর জন্য তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল হবে না।
13 তখন প্রভুর বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন, 2 “মনুষ্যসন্তান, তুমি আমার হয়ে ইস্রায়েলের ভাববাদীদের অবশ্য এই কথা বলবে। এইসব ভাববাদীরা প্রকৃতপক্ষে আমার হয়ে কথা বলে না। এইসব ভাববাদীরা নিজেরা যা বলতে চায় তাই-ই বলে। তাই তুমি তাদের অবশ্যই এই কথা বোলো, ‘প্রভুর এই বার্তা শোন! 3 প্রভু আমার সদাপ্রভু এই কথা বলেন। ওহে মূর্খ ভাববাদীরা, তোমাদের প্রতি অমঙ্গল ঘটবে। তোমরা নিজের নিজের আত্মার অনুগমণ করছ। তোমরা দর্শনে প্রকৃতপক্ষে যা দেখছ তা লোকদের কাছে বলছ না।’
4 “‘ইস্রায়েল তোমার ভাববাদীরা পোড়ো বাড়ীর মধ্যে দৌড়ে যাওয়া শিয়ালের মতো হবে। 5 তোমরা ভাঙ্গা প্রাচীরের কাছে সৈন্য মোতায়েন করনি। ইস্রায়েল পরিবারকে রক্ষা করতে প্রাচীর তৈরী করনি। তাই যখন প্রভুর কাছ থেকে শাস্তির দিন নেমে আসবে তোমরা যুদ্ধে হারবে।
6 “‘মিথ্যা ভাববাদীরা বলে তারা দর্শন দেখেছে। তারা তাদের জাদু করে মিথ্যে মিথ্যে ওসব ঘটবে বলে বলেছে। তারা বলে প্রভুই তাদের পাঠিয়েছেন—কিন্তু তা মিথ্যা কথা। তারা এখনই তাদের মিথ্যা কথা সফল হবে ভেবে বসে আছে।
7 “‘মিথ্যা ভাববাদীর দল, তোমাদের দেখা দর্শন সত্যি নয়। তোমরা তোমাদের জাদু ব্যবহার করে ভবিষ্যতে কি ঘটবে বলেছ। সব মিথ্যে কথা। তোমরা বলেছ প্রভুই ঐসব কথা বলেছেন। কিন্তু আমি তোমাদের কোন কথাই বলিনি!’”
8 তাই এখন প্রভু, আমার সদাপ্রভু বলেন, “তোমরা মিথ্যে কথা বলেছ। তোমাদের দেখা দর্শন সত্যি নয়। তাই আমি এখন তোমাদের বিরুদ্ধে!” প্রভু, আমার সদাপ্রভু এইগুলো বলেছেন। 9 প্রভু বলেন, “যে সব ভাববাদী মিথ্যা দর্শন দেখেছে ও মিথ্যা বলেছে আমি তাদের শাস্তি দেব। আমি তাদের আমার প্রজাদের মধ্য থেকে উচ্ছেদ করব। ইস্রায়েলের পরিবারের নামের তালিকায় তাদের নাম থাকবে না। তারা কখনও ইস্রায়েল দেশে আর আসবে না। তখন তোমরা জানবে আমিই প্রভু এবং সদাপ্রভু!
10 “বার বার ঐসব ভাববাদীরা আমার প্রজাদের কাছে মিথ্যা বলেছে। ঐ ভাববাদীরা বলেছে শান্তি আসছে, কিন্তু শান্তি আসেনি। প্রাচীর মেরামত করে লোকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। কিন্তু তারা ভাঙ্গা প্রাচীরে কেবল চুনকাম করেছে। 11 ওদের বলো যে আমি শিলা ও প্রবল বৃষ্টি পাঠাব। বাতাস প্রবলভাবে বইবে আর ঘূর্ণিঝড় আসবে। তখন প্রাচীর ভেঙ্গে পড়বে। 12 প্রাচীর ভেঙ্গে পড়লে লোকে ভাববাদীদের জিজ্ঞেস করবে, ‘চুনকাম করা দেওয়ালের কি হল?’” 13 প্রভু আমার সদাপ্রভু বলেন, “আমি ক্রোধান্বিত এবং তোমাদের বিরুদ্ধে ঝড় পাঠাব। ক্রোধে আমি প্রবল বৃষ্টি পাঠাব। ক্রোধে আমি আকাশ থেকে শিলা বৃষ্টি পাঠাব এবং তোমাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করব। 14 তোমরা দেওয়ালে চুনকাম করেছ কিন্তু আমি সমস্ত দেওয়ালটাকেই ধ্বংস করব। আমি তা মাটিতে ফেলে দেব। সেই প্রাচীর তোমাদের ওপরেই পড়বে। তখন তোমরা জানবে যে আমিই প্রভু। 15 আমি সেই প্রাচীরের প্রতি ও যে লোকরা তার ওপর প্রলেপ লাগিয়েছে, তাদের প্রতি আমার ক্রোধ প্রকাশ শেষ করব। সেখানে আমি বলব, ‘দেওয়ালও নেই আর তার ওপর প্রলেপ লাগানোরও কেউ নেই।’
16 “ইস্রায়েলের মিথ্যা ভাববাদীদের প্রতি ঐ সবকিছুই ঘটবে। ঐ ভাববাদীরা জেরুশালেমের লোকদের কাছে কথা বলে। ঐ ভাববাদীরা বলে শান্তি হবে কিন্তু শান্তি হয় না।” প্রভু আমার সদাপ্রভু ঐসব কথা বলেছেন।
17 ঈশ্বর বলেছেন, “মনুষ্যসন্তান, ইস্রায়েলের ভাববাদিনীদের দিকে দেখ। ঐ সমস্ত ভাববাদিনীরা আমার হয়ে কথা বলে না। তারা নিজেরা যা চায় তাই বলে। তাই তুমি অবশ্যই আমার হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে। তুমি অবশ্যই এইসব কথা তাদের বলবে। 18 ‘প্রভু, আমার সদাপ্রভু এইসব কথা বলেন: ভাববাদিনীরা, তোমাদের প্রতি অমঙ্গল ঘটবে। লোকদের হাতে বাঁধার জন্য তোমরা কাপড়ের তাবিজ বানিয়েছ, লোকদের মাথায় বাঁধবার জন্য তোমরা একটি বিশেষ মাথার পাগড়ী তৈরী কর। তোমরা বলে থাক ঐসব জিনিসের যাদুর মত ক্ষমতা রয়েছে। যেন তোমরা অন্য লোকদের জীবন চালনা করতে পার। কেবল নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে তোমরা ঐসব লোকদের ফাঁদে ফেল! 19 তোমরা লোকদের ভাবতে শেখাও যে আমার আদৌ কোন গুরুত্ব নেই। কয়েক মুঠো বার্লি ও রুটির টুকরোর জন্য তোমরা আমাকে অসম্মান কর? তোমরা আমার প্রজাদের কাছে মিথ্যা বল আর তারাও মিথ্যা কথা শুনতে ভালোবাসে। যাদের বাঁচা উচিত তাদের তোমরা মেরে ফেল আর যাদের মৃত্যু হওয়া উচিৎ তাদের তোমরা বাঁচাও। 20 তাই প্রভু আমার সদাপ্রভু তোমাদের এই কথা বলেন: তোমরা ঐসব কাপড়ের তাবিজ লোকদের ফাঁদে ফেলতে তৈরী করে থাকো। কিন্তু আমি তাদের মুক্ত করব। তোমাদের হাত থেকে ঐসব তাবিজ ছিঁড়ে নেব, আর লোকরা মুক্ত হবে। তারা ফাঁদ থেকে উড়ে যাওয়া পাখীর মত হবে! 21 আর আমি ঐসব মাথার আবরণ ছিঁড়ে তোমাদের হাত থেকে আমার প্রজাদের বাঁচাব। ঐ লোকরা তোমাদের ফাঁদ থেকে পালাবে আর তোমরা জানবে যে আমিই প্রভু।
22 “‘তোমরা ভাববাদীরা মিথ্যা কথা বল। তোমাদের মিথ্যা ভালো লোকদের আঘাত করে। ঐসব ভাল লোকেদের আমি আঘাত করতে চাইনি! তোমরা মন্দ লোকদের পক্ষ সমর্থন কর আর তাদের খারাপ কাজ করতে উৎসাহ দাও যাতে তাদের প্রাণহানি হয়। 23 তাই তোমরা আর অযথা দর্শন দেখবে না, আর জাদু করবে না। আমি আমার প্রজাদের তোমাদের হাত থেকে বাঁচাব। আর তোমরা জানবে যে আমিই প্রভু।’”
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি মস্কীল। যখন ইদোমীয় দোয়েগ শৌলের কাছে গিয়েছিল এবং তাকে বলেছিল, “দায়ূদ অহীমেলকের ঘরে আছে।”
52 হে যোদ্ধা, তোমার কৃত অন্যায় নিয়ে তুমি এত বড়াই কর কেন?
তুমি অনবরত ঈশ্বরের সম্মানহানি ঘটাও।
2 তোমরা সবসময় অন্য লোকদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত কর। তোমাদের জিভ বিপজ্জনক, খুরের মতই ধারালো।
তোমরা সর্বদাই মিথ্যা কথা বল এবং কাউকে না কাউকে ঠকাতে চেষ্টা কর!
3 ভালোর থেকে মন্দটাই তোমরা বেশী পছন্দ কর।
তোমরা সত্যের থেকে মিথ্যা বলতেই বেশী পছন্দ কর।
4 তোমরা এবং তোমাদের মিথ্যাবাদী জিভ মানুষকে আঘাত করতে ভালোবাসে।
5 তাই ঈশ্বর চিরদিনের জন্য তোমাদের ধ্বংস করবেন!
যেমন করে একটা লোক একটা গাছকে মূলসহ উপড়ে ফেলে, একইভাবে ঈশ্বর তোমাদের বাড়ী[a] থেকে তোমাদের বিচ্ছিন্ন করে দেবেন!
6 ভালো লোকরা তা দেখবে
এবং ঈশ্বরকে ভয় ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।
তারা তোমাদের দেখে উপহাস করে বলবে,
7 “দেখ, ঈশ্বরে যে ব্যক্তি নির্ভর করত না, তার কি অবস্থা হয়েছে।
ঐ লোকটা ভেবেছিলো ওর সম্পদ এবং মিথ্যাচার ওকে রক্ষা করবে।”
8 কিন্তু আমি সবুজ জলপাই গাছের মত প্রভুর মন্দিরে বড় হয়ে উঠছি।
আমি প্রভুর সত্য প্রেমে চিরদিন আস্থা রাখবো।
9 ঈশ্বর যা কিছু আপনি করেছেন তার জন্য চিরদিন আমি আপনার প্রশংসা করবো।
আপনার ভক্তদের সামনে আমি আপনার নামের প্রশস্তি গীত করবো,[b] কারণ সেটা খুব ভালো!
পরিচালকের প্রতি: মহলৎ এর ওপর দায়ূদের একটি মস্কীল।
53 একমাত্র বোকারা ভাবে ঈশ্বর বলে কিছু নেই।
এই ধরণের লোকরা দুর্নীতিগ্রস্ত, দুর্জন এবং ক্ষতিকর,
ওরা ভাল কিছু করে না।
2 প্রকৃতপক্ষে একজন ঈশ্বর আছেন
যিনি স্বর্গ থেকে আমাদের লক্ষ্য করছেন।
ঈশ্বর সেইসব জ্ঞানী মানুষের খোঁজ করছেন যারা ঈশ্বরের খোঁজ করে!
3 কিন্তু প্রত্যেকে ঈশ্বরের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।
প্রত্যেকটি লোকই খারাপ।
কেউ ভাল কিছু করে না।
না, একটা লোকও না।
4 ঈশ্বর বলেন, “ওই সব মন্দ লোকরা নিশ্চয় জানে সত্য কী!
কিন্তু ওরা আমার কাছে প্রার্থনা করে না।
দুষ্ট লোকরা এমনভাবে আমার লোকদের গ্রাস করে যেন ওরা খাবার খাচ্ছে।”
5 ঐসব মন্দ লোক এমন আতঙ্কিত হবে, যে আতঙ্কের অভিজ্ঞতা ওদের আগে কখনও হয় নি!
ঐ মন্দ লোকরা ইস্রায়েলের শত্রু।
ঈশ্বর ঐ মন্দ লোকদের বাতিল করে দিয়েছেন।
তাই ঈশ্বরের লোকরা ওদের পরাজিত করবে এবং ওদের হাড়গুলো ঈশ্বর দ্বারা ছিন্নভিন্ন হবে।
6 ঈশ্বর, ইস্রায়েলের জন্য
সিয়োন পর্বতে জয় নিয়ে আসুন!
ঈশ্বর যখন তাঁর লোকদের নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আনবেন
তখন যাকোবের লোকরা যেন আনন্দ করে।
পরিচালকের প্রতি: বাদ্যযন্ত্রসহ দায়ূদের একটি মস্কীল যখন সীফীয়রা এসে শৌলকে বলেছিল, “আমাদের মনে হয় দায়ূদ আমাদের লোকদের মধ্যে লুকিয়ে আছে।”
54 ঈশ্বর, আপনার ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমায় রক্ষা করুন।
আমাকে মুক্তি দিতে আপনার পরাক্রম কাজে লাগান।
2 ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনুন।
আমি যা বলি তা শুনুন।
3 বিদেশী লোকরা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে না তারা আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছে।
ঐসব শক্তিশালী লোকরা আমায় হত্যা করার চেষ্টা করছে।
4 দেখ, আমার ঈশ্বর আমায় সাহায্য করবেন।
আমার প্রভু আমায় সহায়তা দেবেন।
5 যারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে, আমার ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
ঈশ্বর আমার প্রতি বিশ্বস্ত হবেন এবং ঐসব লোকের বিনাশ করবেন।
6 হে ঈশ্বর, আমি আপনাকে স্বেচ্ছাবলি উৎসর্গ করব।
প্রভু, আমি আপনার নামের প্রশংসা করবো কারণ সেটি এত ভালো!
7 আমি আপনার নামের প্রশংসা করব কারণ আমার সব সঙ্কট থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
আমি আমার শত্রুদের পরাজিত হতে দেখেছি।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International