Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
1 শমূয়েল 28

পলেষ্টীয়রা যুদ্ধের জন্য তৈরী হল

28 পরে পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সৈন্য সংগ্রহ করতে লাগল। আখীশ দায়ূদকে বললেন, “লোকদের নিয়ে তুমি আমার সঙ্গে ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে যাবে, বুঝতে পেরেছ?”

দায়ূদ বললেন, “নিশ্চয়ই, দেখবেন আমি কি করি।”

আখীশ বললেন, “বেশ! তুমি হবে আমার দেহরক্ষী। সবসময় তুমি আমাকে রক্ষা করবে।”

ঐন্-দোরে শৌল এবং একজন স্ত্রীলোক

শমূয়েল মারা গেল। তার মৃত্যুতে ইস্রায়েলীয়রা সকলেই শোক প্রকাশ করল। তারা তাকে তার নিজের দেশ রামায় কবর দিল।

যারা প্রেতাত্মা নামায় আর ভবিষ্যৎ বলতে পারে তাদের সকলকে শৌল বলপূর্বক ইস্রায়েল থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।

পলেষ্টীয়রা যুদ্ধের জন্য তৈরী হল। তারা শূনেমে তাঁবু খাটাল। ইস্রায়েলীয়দের নিয়ে শৌল গিলবোয় তাঁবু খাটালেন। পলেষ্টীয় সৈন্যদের দেখে শৌল ভয় পেয়ে গেলেন। ভয়ে তাঁর বুক কাঁপতে লাগলো। শৌল, প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। কিন্তু প্রভু সে প্রার্থনার কোন উত্তর দিলেন না। স্বপ্নের মধ্যেও ঈশ্বর শৌলকে কিছু বললেন না। ঊরীমের দ্বারাও ঈশ্বর উত্তর দিলেন না। কোনো ভাববাদীর মাধ্যমেও ঈশ্বর শৌলের উদ্দেশ্যে কোন বাণী শোনালেন না। অবশেষে, শৌল তাঁর আধিকারিকদের বললেন, “একজন স্ত্রীলোকের খোঁজ কর যে একজন প্রেতাত্মার মাধ্যম। তাকে জিজ্ঞেস করব যুদ্ধে কি হতে পারে।” তারা বলল, “ঐন্-দোরে এরকম একজন আছে।”

শৌল নানারকম পোশাকে সাজলেন যাতে কেউ তাঁকে চিনতে না পারে। সেই রাত্রে শৌল দুজন লোক নিয়ে সেই স্ত্রীলোকটিকে দেখতে গেলেন। তারপর তার দেখা পেয়ে শৌল বললেন, “আমি চাই তুমি একা আত্মাকে উঠিয়ে আন। সে আমায় ভবিষ্যতে কি হবে না হবে তা বলবে। আমি যার নাম বলব তুমি তাকে ডেকে আনবে।”

সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “শৌল যা করেছেন তার সবই আপনি জানেন। তিনি তো ইস্রায়েলের থেকে সব জ্যোতিষী আর ভূত নামানো মাধ্যমদের জোর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আপনি আমায় আসলে ফাঁদে ফেলে মেরে ফেলতে চাইছেন।”

10 শৌল প্রভুর নামে শপথ করে সেই স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “প্রভুর দিব্য দিয়ে বলছি যে তুমি এর জন্য শাস্তি ভোগ করবে না।”

11 স্ত্রীলোকটি বলল, “আপনার জন্য কাকে এনে দিতে হবে?”

শৌল বললেন, “শমূয়েলকে উঠিয়ে আন।”

12 তাই হল। স্ত্রীলোকটি শমূয়েলকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করে উঠল। সে শৌলকে বলল, “তুমি আমাকে প্রতারণা করেছ, তুমিই তো শৌল।”

13 রাজা সেই স্ত্রীলোকটিকে বলল, “ভয় পেও না। তুমি কি দেখছ?”

স্ত্রীলোকটি বলল, “আমি দেখছি একটা আত্মা ভূমি থেকে উঠে আসছে।”[a]

14 শৌল বলল, “তাকে কার মতো দেখতে?” স্ত্রীলোকটি বলল, “তাকে দেখতে বিশেষ পোশাক পরা একজন বৃদ্ধলোকের মতো।”

শৌল বুঝতে পারলেন উনি হচ্ছেন শমূয়েল। শৌল মাথা নোয়ালেন। মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লেন। 15 শমূয়েল শৌলকে বলল, “তুমি কেন আমাকে বিরক্ত করছ? কেন আমাকে তুলে আনলে?”

শৌল বললেন, “আমি বিপদে পড়েছি। পলেষ্টীয়রা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছে, কিন্তু ঈশ্বর আমায় ত্যাগ করেছেন। তিনি আমার ডাকে আর সাড়া দিচ্ছেন না। কোনো ভাববাদী বা কোনো স্বপ্নের মধ্যে দিয়েও তিনি উত্তর দিচ্ছেন না। তাই আমি আপনাকে ডেকেছি। আপনি বলুন আমাকে কি করতে হবে?”

16 শমূয়েল বললেন, “প্রভু তোমায় ত্যাগ করেছেন। তিনি এখন তোমার প্রতিবেশী (দায়ূদের) কাছে। তবে কেন আমায় জ্বালাতন করছ? 17 আমার মাধ্যমে প্রভু তোমাকে জানিয়েছেন তিনি কি করবেন। এখন তিনি তাঁর কথা অনুযায়ী কাজ করছেন। তিনি তোমার হাত থেকে রাজত্ব কেড়ে নিচ্ছেন। তিনি তোমার একজন প্রতিবেশীকে সেই রাজ্য সমর্পণ করছেন। সেই প্রতিবেশীর নাম দায়ূদ। 18 তুমি প্রভুর কথা মান্য করো নি। তুমি অমালেকীয়দের ধ্বংস করো নি এবং তাদের দেখাও নি যে প্রভু তাদের ওপর কত ক্রুদ্ধ ছিলেন। তাই তিনি তোমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করছেন। 19 তাঁর ইচ্ছাতেই পলেষ্টীয়রা তোমাকে আর ইস্রায়েলীয় যোদ্ধাদের পরাজিত করবে। আগামীকাল তুমি আর তোমার পুত্ররা এখানে আমার কাছে আসবে।”

20 শৌল সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে গেলেন। তিনি শুয়ে রইলেন। শমূয়েলের কথায় তিনি বেশ ভয় পেয়েছিলেন। তাছাড়া সারাদিন সারারাত কিছু না খেয়ে তিনি খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।

21 স্ত্রীলোকটি শৌলের কাছে এসে দেখল শৌল সত্যিই বেশ ভয় পেয়ে গেছেন। সে তাকে বলল, “শুনুন আমি আপনার দাসী। আপনার আদেশ আমি পালন করেছি। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনার কথা আমি শুনেছি। 22 এখন দয়া করে আমার কথা শুনুন। আমি আপনাকে কিছু খেতে দিচ্ছি। আপনি খেয়ে শক্তি সঞ্চয় করুন যাতে পথে চলতে ফিরতে পারেন।”

23 কিন্তু শৌল কথা শুনলেন না। তিনি বললেন, “আমি খাব না।”

এমনকি শৌলের আধিকারিকরাও স্ত্রীলোকটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে শৌলকে খাবার জন্যে মিনতি করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত শৌল তাদের কথা শুনলেন। তিনি মাটি থেকে উঠে বিছানার ওপর বসলেন। 24 স্ত্রীলোকটির বাড়িতে একটি মোটাসোটা বাছুর ছিল। সে চট্‌পট্ বাছুরটিকে জবাই করল। কিছু ময়দা খামির না দিয়ে মেখে হাতে লেচি তৈরী করে সেঁকে ফেলল। 25 শৌল ও কর্মচারীদের সে খেতে দিল। তারা খাওয়া দাওয়া করে সেই রাত্রে উঠে বেরিয়ে পড়ল।

1 করিন্থীয় 9

যে সব অধিকার পৌল প্রয়োগ করেন নি

আমি কি স্বাধীন মানুষ নই? আমি কি একজন প্রেরিত নই? আমাদের প্রভু যীশুকে কি আমি দেখিনি? তোমরাই কি প্রভুতে আমার কাজের দৃষ্টান্ত নও? অন্যরা আমাকে যদি প্রেরিত বলে গ্রহণ নাও করে, তবু তোমরা নিশ্চয় আমাকে প্রেরিত বলে মেনে নেবে। প্রভুতে আমি যে প্রেরিত তোমরাই তো তার প্রমাণ।

কিছু লোক যারা আমার দোষগুণ বিচার করে, তাদের কাছে আমার উত্তর এই; আমাদের কি ভোজন পান করার অধিকার নেই? অন্যান্য প্রেরিতেরা, প্রভুর আপন ভাইরা ও কৈফা যেমন করেন তেমনভাবে আমাদের কি কোন বিশ্বাসীকে স্ত্রী হিসাবে সঙ্গে নিয়ে যাবার অধিকার নেই? বার্ণবা ও আমাকেই কি কেবল জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করতে হবে? কোন সৈনিক কি তার নিজের খরচে সৈন্যদলে থাকে? যে দ্রাক্ষা ক্ষেত প্রস্তুত করে সে কি তার ফল খায় না? যে মেষপাল চরায় সে কি মেষদের দুধ পান করে না?

আমি এসব মানুষের বিচার বুদ্ধির ওপর নির্ভর করে বলছি না। ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থায় কি একই কথা বলে না? কারণ মোশির বিধি-ব্যবস্থায় আছে, “যে বলদ শস্য মাড়ে তার মুখে জালতি বেঁধো না।”(A) ঈশ্বর কি কেবল বলদের কথা ভেবেই একথা বলেছেন? 10 তা নয়, কিন্তু আমাদের কথা চিন্তা করেই তিনি এসব কথা বলেছেন, শাস্ত্রে আমাদের জন্যই এসব লেখা হয়েছে, কারণ যে চাষ করে, সে ফসল পাবার প্রত্যাশাতেই তা করে; আর যে শস্য মাড়াই করে, সে মাড়াই করা শস্য থেকে কিছু পাবার প্রত্যাশাতেই তা করে। 11 আমরা তোমাদের মাঝে আত্মিক বীজ বুনেছি, যেন এখন ফসল হিসাবে যদি তোমাদের কাছ থেকে পার্থিব কোন কিছু পাই, তবে তা কি খুব বেশী কিছু পাওয়া হবে? 12 এই ব্যাপারে তোমাদের কাছ থেকে অন্যেরা যখন দাবী করে, তখন তা পাবার জন্য আমাদের নিশ্চয় আরও বেশী অধিকার আছে। আমরা তোমাদের ওপর এই অধিকার খাটাই না। আমরা বরং সকলই সহ্য করছি, পাছে খ্রীষ্টের সুসমাচার গ্রহণের পথে কোন বাধার সৃষ্টি হয়। 13 তোমরা তো জান, যারা মন্দিরে কাজ করে, তারা মন্দির থেকেই তাদের খাবার পায়। যারা যজ্ঞবেদীর ওপর নিয়মিত নৈবেদ্য উৎসর্গ করে, তারা তারই অংশ পায়। 14 তেমনি প্রভুও সুসমাচার প্রচারকদের জন্য এই বিধান দিয়েছেন, যেন সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমেই তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়।

15 কিন্তু আমি এই অধিকার কখনও প্রয়োগ করিনি। আমি তোমাদের কাছ থেকে ঐরকম সাহায্য নেবার জন্যও লিখছি না। এ বিষয়ে আমার যে গর্ব আছে, তা যদি কেউ কেড়ে নেয় তবে তার থেকে আমার মরণ ভাল। 16 তবে আমি সুসমাচার প্রচার করি বলে গর্ব করছি না। সুসমাচার প্রচার করা আমার কর্তব্য, এটি আমার অবশ্য করণীয়। আমি যদি সুসমাচার প্রচার না করি তবে তা আমার পক্ষে কত দুর্ভাগ্যের বিষয় হবে! 17 যদি নিজের ইচ্ছায় সুসমাচার প্রচার করতাম তবে আমি পুরস্কার পাবার যোগ্য হতাম। কিন্তু যেখানে আমি নিজে থেকে এই কাজ করিনি কিন্তু দায়িত্ব হিসাবে আমার ওপর এই কাজ ন্যস্ত হয়েছে, 18 সেখানে আমি কি পুরস্কার পাব? এই আমার পুরস্কার; যখন আমি সুসমাচার প্রচার করি, তা বিনামূল্যে করি। এইভাবে সুসমাচার প্রচার করা কালীন আমার বেতন পাবার যে অধিকার আছে, তা আমি ব্যবহার করি না।

19 আমি স্বাধীন! আমি কারোর অধীনে নেই, তবু আমি সকলের দাস হলাম, যাতে অনেককে আমি খ্রীষ্টের জন্য লাভ করতে পারি। 20 ইহুদীদের জয় করার জন্য আমি ইহুদীদের কাছে ইহুদীদের মতো হলাম। যারা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবন কাটাচ্ছে, তাদের লাভ করার জন্য আমি নিজে বিধি-ব্যবস্থার অধীন না হলেও আমি তাদের মত হলাম। 21 আবার যারা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে নেই তাদের জয় করার জন্য আমি তাদের মতো হলাম। অবশ্য এর মানে এই নয় যে আমি বিধি-ব্যবস্থা মানি না, আমি তো খ্রীষ্টের বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবনযাপন করছি। 22 যারা দুর্বল, তাদের কাছে আমি দুর্বল হলাম, যেন তাদেরকে জয় করতে পারি। আমি সকলের কাছে তাদের মনের মত হলাম, যাতে সম্ভাব্য সকল উপায়ে তাদের বাঁচাতে পারি। 23 আমি এসব সুসমাচারের জন্যই করি, যেন এর আশীর্বাদের সহভাগী হই।

24 তোমরা কি জান না, যখন দৌড় প্রতিযোগিতা হয় তখন অনেকেই দৌড়ায়; কিন্তু কেবল একজনই বিজয়ী হয়ে পুরস্কার পায়। তাই এমনভাবে দৌড়োও যেন পুরস্কার পাও! 25 আবার দেখ, যে সব প্রতিযোগী খেলায় অংশগ্রহণ করে, তারা কঠিন নিয়ম পালন করে। তারা অস্থায়ী বিজয় মুকুট পাবার জন্য তা করে; কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুটে ভূষিত হবার জন্য করি। 26 তাই সেইভাবে একটা লক্ষ্য নিয়ে আমি দৌড়োচ্ছি। শূন্যে মুষ্ট্যাঘাত করছে, এমন লোকের মত আমি লড়াই করি না। 27 বরং আমি আমার দেহকে কঠোরতা ও সংযমের মধ্যে রেখেছি, যেন অন্য লোকদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার পর নিজে কোনভাবে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অযোগ্য বলে বিবেচিত না হই।

যিহিষ্কেল 7

তারপর প্রভুর বাক্য আমার কাছে এল। তিনি বললেন, “এখন, মনুষ্যসন্তান, প্রভু আমার সদাপ্রভুর কাছ থেকে এই বার্তা এসেছে। এই বার্তাটি ইস্রায়েল দেশের জন্য।

“শেষ কাল!
    শেষ সময় আসছে,
    সমস্ত দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
তোমার শেষ দশা এবার আসছে!
    আমি দেখাব যে আমি তোমার ওপর কত ক্রুদ্ধ।
তুমি যেসব মন্দ কাজ করেছ তার জন্য আমি তোমায় শাস্তি দেব।
    তুমি যে সব জঘন্য কাজ করেছ তার জন্য আমি তোমায় তার মূল্য দিতে বাধ্য করব।
আমি তোমার প্রতি কোন দয়া দেখাব না।
    আমি তোমার জন্য দুঃখ অনুভব করব না।
তুমি যেসব মন্দ কাজ করেছ
    তার জন্য আমি তোমাকে শাস্তি দিচ্ছি।
তুমি এমন জঘন্য কাজগুলি করেছ।
    এখন, তুমি জানবে যে আমিই প্রভু।”

প্রভু আমার সদাপ্রভু ঐ কথাগুলি বলেছিলেন। “একের পর এক অমঙ্গল ঘটবে! শেষ কাল আসছে আর তা খুব শীঘ্রই আসবে! তোমরা যারা ইস্রায়েলে বাস করছ তোমাদের অন্তিমকাল আসছে। শাস্তির সেই দিন খুব শীঘ্রই ঘনিয়ে আসছে। পর্বতের ওপর কোলাহল ক্রমে ক্রমে বেড়েই চলেছে। এখন খুব শীঘ্রই আমি দেখাব যে আমি কত ক্রুদ্ধ। আমি তোমাদের বিরুদ্ধে আমার সমস্ত ক্রোধ প্রকাশ করব। তোমাদের সমস্ত মন্দ কাজের জন্য আমি তোমাদের শাস্তি দেব। তোমরা যে সমস্ত ঘৃণিত কাজ করেছিলে তার জন্য তোমাদের আমি শাস্তি দেব। আমি তোমাদের প্রতি কোন দয়া দেখাব না। তোমাদের জন্য দুঃখিত হব না। তোমরা যেসব মন্দ কাজ করেছ তার জন্য আমি তোমাদের শাস্তি দিচ্ছি। তোমরা এমন সমস্ত ঘৃণিত কাজ করেছ। এখন, জানবে যে আমিই প্রভু।

10 “শাস্তির ঐ সময়, যেমন করে উদ্ভিদের অঙ্কুরোদ‌্গম, মুকুলায়ন ও কুসুম প্রস্ফুটিত হয়, সেই রকম ভাবে এসেছে। ঈশ্বর সঙ্কেত দিয়েছেন, শত্রু তৈরী, গর্বিত রাজা নবূখদ্‌নিৎ‌সর প্রস্তুত। 11 সেই লোক ঐসব মন্দ লোকদের শাস্তি দেবার জন্য তৈরী। ইস্রায়েলে অনেক লোকই রয়েছে কিন্তু সে তাদের একজনও নয়। সে ঐ জনতার ভীড়ের কেউ নয়। সে ঐ লোকদের কোন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও নয়।

12 “শাস্তির সেই সময় এসেছে। সেই দিন এখানে লোকে যারা জিনিস কেনাকাটা করে তারা আনন্দিত হবে না, আর যারা জিনিস বেচে তারাও বেচতে খারাপ বোধ করবে না। কারণ সেই ভয়ানক শাস্তি সবার প্রতিই ঘটবে। 13 লোকে যারা তাদের সম্পত্তি বিক্রি করেছিল তারা আর তার কাছে ফিরে যাবে না। এমনকি যদি কেউ জীবিতও পালিয়ে যায় তাও সে নিজের সম্পত্তির কাছে ফিরে যাবে না। কারণ এই দর্শন সমস্ত জনতার জন্য। তাই যদি কোন ব্যক্তি জীবিত পালায় তাতে অন্যেরা ভাল বোধ করবে না।

14 “তারা লোকদের সাবধান করতে শিঙা বাজাবে। লোকরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে। কিন্তু তারা যুদ্ধ করতে যাবে না। কারণ আমি সমস্ত জনতাকে দেখাব আমি কত ক্রুদ্ধ। 15 শত্রু তার তরবারি নিয়ে শহরের বাইরে রয়েছে। রোগ ও ক্ষুধা শহরের মধ্যে। যদি কোন লোক থেকে যায় তবে এক শত্রুসেনা তাকে হত্যা করবে। যদি সে শহরে থাকে তবে ক্ষুধা ও রোগ তাকে ধ্বংস করবে।

16 “কিন্তু কিছু লোক পালাবে। ঐ অবশিষ্টরা পাহাড়ে দৌড়ে যাবে। কিন্তু তারা সুখী হবে না, তাদের পাপের জন্য দুঃখ বোধ করবে। তারা ঘুঘুর মত গোঙাবে। 17 লোকে তাদের হাত তুলতে ক্লান্ত ও দুঃখ বোধ করবে। তাদের পা জলের মত শিথিল মনে হবে। 18 তারা শোকবস্ত্র পরবে এবং ভয়ে আচ্ছন্ন হবে। তুমি তাদের মুখে লজ্জা দেখতে পাবে। তারা তাদের শোক ব্যক্ত করতে মাথা কামাবে। 19 তারা তাদের রূপো রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলবে। তাদের সোনাগুলিকে[a] নোংরা বস্তার মত জ্ঞান করবে। কারণ প্রভু ক্রোধান্বিত হলে ঐসব জিনিস তাদের রক্ষা করতে পারবে না। ঐসব জিনিস আর কিছুই না কেবল লোককে পাপে ফেলার ফাঁদ। ঐসব জিনিস লোকদের প্রাণ তৃপ্ত করবে না অথবা তাদের পেটও ভরাতে পারবে না।

20 “ঐ লোকরা তাদের সুন্দর অলঙ্কার ব্যবহার করে প্রতিমা গড়েছিল। তারা ঐ প্রতিমার বিষয়ে গর্ব করেছিল। তারা তাদের ভয়ঙ্কর প্রতিমা গড়েছিল, ঐসব নোংরা জিনিস বানিয়েছিল। তাই আমি (ঈশ্বর) তাদের নোংরা বস্তার মত ছুঁড়ে ফেলব। 21 আমি আগন্তুক লোকদেরও তাদের ধনসম্পদ নিয়ে যেতে দেব। ঐ আগন্তুকরা তাদের নিয়ে ঠাট্টা করবে। ঐ দুষ্ট লোকরা তাদের সোনা ও রূপো নিয়ে চলে যাবে। 22 আমি তাদের থেকে আমার মুখ ফিরিয়ে নেব, তাদের দিকে তাকাব না। ঐ আগন্তুকরা আমার মন্দির ধ্বংস করবে, তারা পবিত্র গৃহের গোপনস্থানে ঢুকে তা অশুচি করবে।

23 “বন্দীদের জন্য শেকল তৈরী কর! কারণ হত্যা করার জন্য এবং অন্যায়ের অপরাধে বহু লোককে শাস্তি দেওয়া হবে। 24 এই কারণে আমি অন্য জাতির মন্দ লোকদের নিয়ে আসব। আর ঐ মন্দ লোকরা ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত বাড়িঘর অধিকার করবে। আমি বলবান সমস্ত লোকদের গর্ব চূর্ণ করব। অন্য জাতির ঐ লোকরা তোমাদের পূজার সমস্ত স্থান অধিকার করবে।

25 “তোমরা ভয়ে কাঁপবে। তোমরা শান্তির অন্বেষণ করবে কিন্তু শান্তি পাবে না। 26 তোমরা একটার পর একটা দুঃখের ঘটনা শুনবে। তোমরা দুঃসংবাদ ছাড়া আর কিছুই শুনতে পাবে না। তোমরা ভাববাদীর খোঁজ করবে এবং তার কাছে দর্শন চাইবে, কিন্তু পাবে না। যাজকরা তোমাদের শিক্ষা দেবার জন্য কিছুই খুঁজে পাবে না। প্রবীণরাও শিক্ষা দেবার জন্য কোন ভাল উপদেশ খুঁজে পাবে না। 27 তোমাদের রাজা মৃত লোকদের জন্য কাঁদবে। নেতারা শোকবস্ত্র পরবে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হবে। কেন? কারণ তারা যা করেছে তার জন্য তাদের পরিশোধ করতে আমি বাধ্য করব। তাদের শাস্তি আমি ঠিক করব। আর আমি তাদের শাস্তি দেব। তাহলে ঐ লোকরা জানবে যে আমিই প্রভু।”

গীতসংহিতা 45

পরিচালকের প্রতি: “শোশন্নীম” গানটি যে পর্দায় গাওয়া সেই পর্দায় গাওয়া। কোরহ পরিবার থেকে মস্কীল একটি গীত। একটি প্রেম গীত।

45 রাজার জন্য যখন আমি এই গানটি লিখছি,
    আমার মন চমৎ‌‌কার শব্দসমূহে ভরে যাচ্ছে।
একজন দক্ষ লেখকের কলমে যেমন শব্দ আসে,
    তেমনি ভাবে আমার মুখে শব্দগুলো আসছে।

যে কোন লোকের থেকেই তুমি সুন্দর!
    তুমি একজন দারুণ বক্তা।
    তাই ঈশ্বর সর্বদাই তোমাকে আশীর্বাদ করবেন!
তোমার তরবারি কোমরে বেঁধে নাও।
    তোমার গৌরবময় উর্দি পরে নাও।
তোমাকে বড় সুন্দর দেখায়! যাও, ন্যায় এবং সত্যের যুদ্ধে বিজয়ী হও।
    তোমার বলবান ডান হাত বিস্ময়কর কাজ করবার শিক্ষা পেয়েছে।
হে রাজা আপনার ধারালো তীরসমূহ আপনার শত্রুদের হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হয়েছে, আপনার সামনেই তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়বে।
    আপনি চিরকাল আপনার শত্রুদের ওপরে শাসন করবেন।
হে ঈশ্বর, আপনার সিংহাসন চিরবিরাজমান থাকবে!
    আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে শাসন করেন।
আপনি ন্যায় ভালোবাসেন এবং আপনি মন্দ ঘৃণা করেন।
    তাই ঈশ্বর, আপনার ঈশ্বর
    আপনাকে আপনার অনুগামীদের রাজা করেছেন।
আপনার পোশাক চন্দন, ঘৃতকুমারী ও দারুচিনির গন্ধে সুবাসিত।
    হাতির দাঁতের কাজ করা আপনার প্রাসাদ থেকে আপনার বিনোদনের জন্য সঙ্গীত ভেসে আসছে।
আপনার সভা-নন্দিনীরা সকলেই রাজকন্যা, রাণী
    আপনার ডানদিকে খাঁটি সোনার রাজমুকুট পরে বসে আছেন।

10 হে আমার নারী, আমার কথা শোন।
    খুব মন দিয়ে শোন, তাহলে তুমি বুঝতে পারবে।
নিজের লোকজন
এবং বাপের বাড়ীর কথা ভুলে যাও।
11     তাহলে রাজা তোমার রূপে খুশী হবেন।
তিনি তোমার নতুন প্রভু হবেন।
    তাই তাঁকে তোমার সম্মান করা উচিৎ‌।
12 সোর প্রদেশের ধনী লোকরা, তোমার সাক্ষাৎ পাবার জন্য
    তোমার কাছে মূল্যবান উপহার সামগ্রী নিয়ে আসবে।

13 সোনার সুতো দিয়ে বোনা তাঁর পোশাকে
    রাজকন্যাকে দেখতে মহিযসী লাগছে।
14 সেই সুন্দর পোশাক পরে যখন তিনি রাজার কাছে যাবেন
    তখন রাজার সভা-নন্দিনীরা তাঁর পিছন পিছন যাবে।
15 নাচে, গানে, আনন্দে মশগুল হয়ে
    তারা রাজপ্রাসাদের দিকে যাবে।

16 হে রাজা, আপনার পরে, রাজ্য শাসন করার জন্য
    আপনি অনেক পুত্র সন্তান পাবেন। যাতে আপনার পরে তারা রাজ্য শাসন করতে পারে।
17 আমি আপনার নাম চিরদিনের জন্য বিখ্যাত করে যাবো।
    লোকে চিরকাল আপনার প্রশংসা করে যাবে!

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International