M’Cheyne Bible Reading Plan
শৌলের প্রথম ভুল
13 সেই সময় শৌল সবে এক বছর রাজা হয়েছেন। ইস্রায়েলের ওপর দু-বছর রাজত্ব করবার পর,[a] 2 তিনি ইস্রায়েল থেকে 3000 পুরুষকে মনোনীত করলেন। বৈথেলের পাহাড়ে মিক্মস দেশে শৌলের সঙ্গে রইল 2000 জন। 1000 জন রইল যোনাথনের কাছে। তারা ছিল বিন্যামীনের গিবিয়া শহরে। সৈন্যদলের বাকি লোকদের তিনি বাড়ী পাঠিয়ে দিলেন।
3 যোনাথন গেবা শিবিরে পলেষ্টীয়দের প্রধান সেনাপতিকে হত্যা করল। এখবর শুনে পলেষ্টীয়রা বলল, “ইব্রীয়রা বিদ্রোহ করেছে।”
শৌল বলল, “কি হয়েছে ইব্রীয়রা শুনুক।” শৌল তার লোকদের বলল সমস্ত ইস্রায়েলে তারা শিঙা বাজিয়ে দিক। 4 ইস্রায়েলীয়রা খবরটা শুনল। তারা বলল, “শৌল পলেষ্টীয় নেতাকে হত্যা করেছে। এবার পলেষ্টীয়রা সত্যিই ইস্রায়েলীয়দের ঘৃণা করবে!”
ইস্রায়েলীয়দের বলা হল, তারা যেন গিল্গলে শৌলের সঙ্গে যোগ দেয়। 5 পলেষ্টীয়রা জড়ো হয়ে ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেল। পলেষ্টীয়দের ছিল 3000 রথ আর 6000 অশ্বারোহী সৈন্য। সমুদ্রের বালির মত পলেষ্টীয়দের অসংখ্য সৈন্য ছিল। এদের শিবির পড়ল মিক্মসে। মিক্মস হচ্ছে বৈৎ-আবনের পূর্ব দিকে।
6 ইস্রায়েলীয়রা দেখল তারা বিপদের মুখে। ফাঁদে পড়েছে বলে মনে হল তাদের। তারা পালিয়ে গিয়ে গুহায়, পাহাড়ের ফাঁকে ফোকরে লুকিয়ে রইল। লুকিয়ে রইল কুয়োয়, মাটির ভেতরে যে কোন গর্তের মধ্যে। 7 কিছু ইব্রীয় যর্দন নদী পেরিয়ে গাদ আর গিলিয়দের দিকেও চলে গেল। শৌল তখনও গিল্গলে। তার সৈন্যরা সবাই ভয়ে কাঁপছে।
8 শমূয়েল বলল যে সে গিল্গলে শৌলের সঙ্গে দেখা করবে। শৌল তার জন্যে সাতদিন অপেক্ষা করে রইলেন। কিন্তু শমূয়েল তবুও গিল্গলে এল না। সৈন্যরা শৌলকে ছেড়ে চলে যেতে লাগল। 9 তখন শৌল বললেন, “আমার কাছে হোমবলি ও মঙ্গল নৈবেদ্যগুলি এনে দাও।” তারপর শৌল সেই হোমবলি উৎসর্গ করলেন। 10 শৌলের হোমবলি উৎসর্গ করা শেষ করতেই শমূয়েল এল। শৌল তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
11 শমূয়েল বলল, “এ কি করেছ?”
শৌল বললেন, “দেখলাম সৈন্যরা আমায় ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তুমিও সময় মতো আসো নি। ওদিকে পলেষ্টীয়রা মিক্মসে জড়ো হয়েছে। 12 তখন আমি মনে মনে বললাম, ‘পলেষ্টীয়রা এখানে আসবে। ওরা গিল্গলে আমাকে আক্রমণ করবে। এখনও আমি প্রভুর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি নি। তাই অবশেষে আমি নিজেই জোর করে হোমবলি উৎসর্গ করেছি।’”[b]
13 শমূয়েল বলল, “খুব বোকামি করেছ! তুমি তোমার প্রভু ঈশ্বরের কথা শোন নি। তাঁর আদেশ শুনলে তিনি তোমাদের পরিবারকে চিরকাল ইস্রায়েলকে শাসন করতে দিতেন। 14 কিন্তু এখন আর তোমার রাজত্ব স্থির থাকবে না। প্রভু এমনই একজনকে খুঁজছিলেন যে তাঁর কথা শুনবে। তিনি সেই লোক পেয়ে গেছেন। তিনি তাঁর প্রজাদের জন্য নতুন নেতা হিসেবে তাকেই মনোনীত করেছেন। তুমি প্রভুর কথার বাধ্য হও নি বলেই তিনি নতুন নেতা নির্বাচন করেছেন।” 15 এই বলে শমূয়েল উঠে দাঁড়াল এবং গিল্গল থেকে চলে গেল।
মিকমশে যুদ্ধ
বাকি সৈন্যদের নিয়ে শৌল গিল্গল ছেড়ে বিন্যামীনের গিবিয়ায় চলে গেলেন। শৌল মাথা গুনে দেখলেন তাঁর সঙ্গে রয়েছে প্রায় 600 জন। 16 শৌল, তাঁর পুত্র যোনাথন এবং সৈন্যরা বিন্যামীনের গিবিয়াতে গেল।
পলেষ্টীয়রা মিকমশে তাঁবু গেড়েছিল। 17 সেখানে যত ইস্রায়েলীয় ছিল তাদের পলেষ্টীয়রা শায়েস্তা করতে চাইল। তাদের সেরা সৈন্যরা আক্রমণের জন্য তৈরী হল। তারা তিনটি দলে ভাগ হয়ে গেল। একটা দল গেল উত্তরে, শূয়ালের কাছে অফ্রার রাস্তায়। 18 দ্বিতীয় দল গেল দক্ষিণ পূর্ব দিকে, বৈৎ-হোরোণের রাস্তায়। তৃতীয় দল পূর্বদিকে, সীমান্তের পথে। সেই পথে মরুভূমির দিকে সিবোয়িম উপত্যকা চোখে পড়ে।
19 ইস্রায়েলের কেউই লোহার জিনিসপত্র তৈরী করতে পারত না। ইস্রায়েলে কোন কামার ছিল না। পলেষ্টীয়রা ওদের এসব বানাতে শেখায়নি। কারণ তাদের ভয় ছিল, ইস্রায়েলীয়রা তাহলে লোহার তরবারি আর বর্শা তৈরী করে ফেলবে। 20 পলেষ্টীয়রাই শুধু লোহার জিনিসপত্র ধার দিতে পারত। সেই জন্য যদি ইস্রায়েলীয়দের লাঙল, নিড়ানি, কুড়ুল, কাস্তে শান দিতে হত, তাহলে তাদের পলেষ্টীয়দের কাছেই যেতে হত। 21 একটা লাঙল আর নিড়ানির জন্যে পলেষ্টীয়রা মজুরি নিত 1/3 আউন্স রূপো। গাঁইতি, কুড়ুল, আর ষাঁড় খোঁচানো শাবল ধার করার জন্য নিত 1/6 আউন্স রূপো। 22 তাই যুদ্ধের দিন শৌলের কোন ইস্রায়েলীয় সৈন্যই লোহার তরবারি বা বর্শা নিয়ে যায় নি। শুধুমাত্র শৌল ও তাঁর পুত্র যোনাথনের কাছেই লোহার অস্ত্র ছিল।
23 একদল পলেষ্টীয় সৈন্য মিক্মসের গিরিপথ পাহারা দিচ্ছিল।
ঈশ্বর তাঁর লোকদের ভুলে যান নি
11 তাহলে আমি জিজ্ঞাসা করি, “ঈশ্বর কি তাঁর লোকদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন?” নিশ্চয়ই না, কারণ আমিও অব্রাহামের বংশধর, বিন্যামীন গোষ্ঠীর একজন ইস্রায়েলী।
2 পূর্বেই ঈশ্বর যাদের তাঁর নিজের লোক বলে মনোনীত করেছিলেন তাদের তিনি দূরে সরিয়ে দেন নি। শাস্ত্রে এলিয় সম্বন্ধে কি বলে তোমরা কি জান না? এলিয় যখন ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, 3 তখন তিনি বললেন, “প্রভু তারা তোমার ভাববাদীদের হত্যা করেছে, তোমার সমস্ত যজ্ঞবেদী ধ্বংস করেছে। আমিই একমাত্র ভাববাদী এখনও জীবিত আছি আর লোকরা আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করছে।”(A) 4 কিন্তু ঈশ্বর তখন এলিয়কে কি উত্তর দিয়েছিলেন? ঈশ্বর বললেন, “এখনও আমার সাত হাজার লোককে বাঁচিয়ে রেখেছি, যারা আমার উপাসনা করে। এই সাত হাজার লোক বালের সামনে জানুপাত করে নি।”(B)
5 ঠিক সেই ভাবেই এখনও কিছু লোক আছে, ঈশ্বর যাদের নিজ অনুগ্রহে মনোনীত করেছেন। 6 ঈশ্বর যদি তাঁর লোকদের অনুগ্রহে মনোনীত করেছেন, তবে তাদের কৃতকর্মের ফলে তারা ঈশ্বরের লোক বলে গন্য হয় নি, কারণ তাই যদি হত তবে ঈশ্বরের অনুগ্রহ আর অনুগ্রহ হত না।
7 তবে ব্যাপারটি দাঁড়াল এই: ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে চাইলেও সফলকাম হয় নি। কিন্তু ঈশ্বর যাদের মনোনীত করলেন, তারাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হল। বাকি ইস্রায়েলীয়রা তাদের অন্তঃকরণ কঠোর করে তুলল ও ঈশ্বরের কথা অমান্য করল।
8 শাস্ত্রে তাই লেখা আছে:
“ঈশ্বর তাদের এক জড়তার আত্মা দিয়েছেন।”(C)
“ঈশ্বর তাদের চক্ষু রুদ্ধ করেছেন, তাই তারা চোখে সত্য দেখতে পায় না।
ঈশ্বর তাদের কান বন্ধ করে দিয়েছেন, তাই তারা কানে সত্য শুনতে পায় না,
এ কথা আজও সত্যি।”(D)
9 দায়ূদ এ সম্বন্ধে বলেছেন:
“তাদের ভোজ হোক্ ফাঁদের মতো, জালের মতো যা তাদের ধরে।
তাদের পতন হোক্ ও তারা দণ্ড ভোগ করুক্।
10 তাদের চোখ রুদ্ধ হয়ে যাক্ যাতে তারা দেখতে না
পায় আর তারা কষ্টের ভারে সর্বদা নুয়ে থাকুক।”(E)
11 আমি বলি ইহুদীরা হোঁচট খেয়েছিল। সেই হোঁচট খেয়ে তারা কি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল? না। বরং তাদের ভুলের জন্যই অইহুদীরা পরিত্রাণ পেয়েছে। এটা ইহুদীদের ঈর্ষাতুর করে তোলার জন্য ঘটেছিল। 12 ইহুদীদের সেই ভুল, জগতের জন্য মহা আশীর্বাদ নিয়ে এসেছে। ইহুদীরা যা হারাল তাদের সেই ক্ষতি অইহুদীদের সমৃদ্ধ করল। তবে একথা নিশ্চিত যে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইহুদীরা যদি ঈশ্বরের দিকে মন দেয় তবে জগত কত না আশীর্বাদ পূর্ণ হবে।
13 এখন আমি অইহুদীদের বলছি, আমি অইহুদীদের জন্য একজন প্রেরিত, আর আমি এই কাজ সাধ্যমত করব। 14 আমি আশা রাখি যে আমার স্বজাতীয় ইহুদীদের এতে অন্তর্জ্বালা হবে আর হয়তো সেইভাবে কিছু লোককে আমি সাহায্য করতে পারব, যেন তারা উদ্ধার পায়। 15 ঈশ্বর ইহুদীদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে জগতের অন্য লোকদের মিত্র করে নিলেন। তাই ঈশ্বর ইহুদীদের আবার যখন গ্রহণ করবেন তার ফল কি হতে পারে? সে কি মৃতের জীবন পাওয়ার মত অবস্থা হবে না? 16 ময়দার তালের থেকে তৈরী প্রথম রুটি যদি ঈশ্বরকে নিবেদন করা হয় তাহলে পুরো তালটাই পবিত্র; আর একটি গাছের শিকড় পবিত্র হলে তার সব শাখাই পবিত্র হবে।
17 সেই জলপাই গাছের কয়েকটি শাখা ভেঙে গেলে সেই জায়গায় তোমার মত বুনো জলপাইয়ের এক শাখা, ঐ গাছে কলম করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তুমি আসল জলপাই গাছের বাকী শাখা প্রশাখার সঙ্গে শেকড়ের রস ও জীবনী শক্তি টেনে নিচ্ছ। 18 সুতরাং, তুমি সেই ভাঙা শাখাগুলির চেয়ে নিজেকে উন্নত ভেবে গর্ব করো না; কিন্তু যদি কর তাহলে মনে রেখো যে শেকড়কে তুমি ধারণ করছ না বরং শেকড়ই তোমাকে ধারণ করে আছে। 19 তাহলে তুমি বলতেই পার যে তোমাকে কলম লাগাবার জন্যেই শাখাগুলো ভাঙা হয়েছিল। 20 হ্যাঁ, ঠিক। ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না বলেই তাদের ভাঙ্গা হয়েছিল, আর তোমার বিশ্বাস ছিল বলেই তুমি সেই গাছের অংশরূপে আছ, এর জন্য গর্ব না করে বরং ভয় কর। 21 ঈশ্বর যখন সেই প্রকৃত শাখাগুলিই কেটে ফেলেছিলেন তখন বিশ্বাস না থাকলে তিনি তোমাকেও রেহাই দেবেন না।
22 তাহলে ঈশ্বরের দয়ার ভাব ও কঠোরভাব দেখ। যারা আর ঈশ্বরের অনুগামী হয় না তাদের তিনি দণ্ড দেন। কিন্তু ঈশ্বর তোমার প্রতি দয়াবান হন যদি তুমি তাঁর দয়ায় অবস্থান করতে থাক। যদি না থাক তাহলে তোমাকে সেই প্রকৃত গাছ থেকে কেটে ফেলা হবে; 23 আর ইহুদীরা যদি ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসে, তাঁকে বিশ্বাস করে তবে ঈশ্বর ইহুদীদের আবার গ্রহণ করবেন। তারা যেখানে ছিল ঈশ্বর তাদের সেখানে আবার জুড়ে দেবেন। 24 বুনো জলপাই গাছের শাখা স্বাভাবিকভাবে উত্তম জলপাই গাছে লাগানো হয় না; কিন্তু তোমরা অইহুদীরা বুনো জলপাই গাছের শাখার মত হলেও তোমাদের সকলকে উত্তম জলপাই গাছের সঙ্গে যুক্ত করা হল। সুতরাং ইহুদীরা উত্তম জলপাই গাছের শাখা-প্রশাখা বলে তাদের ভেঙে ফেলা হলেও তাদের নিজস্ব উত্তম গাছের সঙ্গে আবার কত সহজেই না যুক্ত করা যাবে।
25 ভাই ও বোনেরা, আমি চাই যে তোমরা নিগূঢ় সত্য বোঝ যাতে নিজের চোখে নিজেকে জ্ঞানী না মনে কর। এই হল সত্য যে ইস্রায়েলীয়দের কিছু অংশ শক্তগ্রীব হয়েছে। অইহুদীদের সংখ্যা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ইহুদীদের সেই মনোভাব বদলাবে না। 26 এইভাবে সমগ্র ইস্রায়েলের উদ্ধার হবে। শাস্ত্রে লেখা আছে:
“সিয়োন থেকে ত্রাণকর্তা আসবেন।
তিনি যাকোবের বংশ থেকে সব অধর্ম দূর করবেন।
27 আর তখন এই লোকদের সব পাপ হরণ করে
আমি তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি স্থাপন করব।”(F)
28 সুসমাচার গ্রহণ করতে অস্বীকার করে ইহুদীরা ঈশ্বরের শত্রু হয়েছে। তোমরা যাঁরা অইহুদী তোমাদের সাহায্য করতেই এমন হয়েছে; কিন্তু বেছে নেবার দিক থেকে ইহুদীরা এখনও ঈশ্বরের মনোনীত লোক। তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই সুবাদে তিনি তাদের ভালবাসেন। 29 ঈশ্বর কাউকে আহ্বান জানিয়ে ও দান করে অনুশোচনা করেন না। 30 একসময় তোমরা ঈশ্বরের অবাধ্য ছিলে, কিন্তু এখন ইহুদীদের অবাধ্যতার জন্য তোমরা তাঁর করুণা পেয়েছ। 31 ঠিক তেমনই তোমরা করুণা পেয়েছ বলে ইহুদীরা ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছে যাতে ইহুদীরা ঈশ্বরের করুণা পেতে পারে। 32 ঈশ্বর তাদের সকলকেই অবাধ্যতায় বন্দী করে রেখেছেন যাতে তিনি সকলের প্রতি দয়া করতে পারেন।
ঈশ্বরের প্রশংসা
33 হ্যাঁ, ঈশ্বর তাঁর করুণায় কতো ধনবান, তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা কতো গভীর তার বিচারের ব্যাখ্যা কেউ করতে পারে না। তাঁর পথ কেউ বুঝতে পারে না। 34 শাস্ত্রে যেমন বলে,
“প্রভুর মন কে জেনেছে?
কেই বা তাঁর মন্ত্রণাদাতা হয়েছে?”(G)
35 “আর কে-ই বা প্রথমে ঈশ্বরকে কিছু দান করেছে?
এমন কে আছে যার কাছে ঈশ্বর ঋণী?”(H)
36 কারণ ঈশ্বরই সবকিছু নির্মাণ করেছেন; সবকিছু তাঁর মধ্য দিয়েই অস্তিত্ব পেয়েছে এবং তাঁর জন্যই রয়েছে। চিরকাল ঈশ্বরের মহিমা অটুট থাকুক! আমেন।
বাবিল সম্পর্কে একটি বার্তা
50 প্রভুর এই বার্তাটি বাবিল দেশ ও বাবিলীয়দের সম্পর্কে। যিরমিয়র মাধ্যমে প্রভু এই বার্তাগুলি জানিয়েছেন।
2 “সমস্ত জাতিগুলির মধ্যে এই ঘোষণা করে দাও!
পুরো বার্তাটি পড়ে বল
‘বাবিলের জাতিকে বন্দী করা হবে।
বেল মূর্ত্তি লজ্জিত হবে।
মরোদক মূর্ত্তি খুবই ভীত হয়ে পড়বে।
বাবিলের দেবমূর্ত্তিদের লজ্জায় পড়তে হবে।
তার দেবমূর্ত্তিগুলি প্রচণ্ড ভয় পাবে।’
3 উত্তরের একটি জাতি বাবিলকে আক্রমণ করবে।
এই জাতির আক্রমণে বাবিল এক শুষ্ক মরুভূমিতে পরিণত হবে।
কোন মানুষই সেখানে বাস করতে পারবে না।
শুধু মানুষই নয় জীবজন্তুরাও ঐ জায়গা ছেড়ে পালিয়ে আসবে।”
4 প্রভু বললেন, “ঐ সময়ে
ইস্রায়েল ও যিহূদার অধিবাসীরা একত্র মিলিত হবে।
কাঁদতে কাঁদতে লোকেরা একত্রে খুঁজে ফিরবে
প্রভু, তাদের ঈশ্বরকে।
5 ঐসব লোকরা সিয়োনে যাওয়ার পথ জানতে চাইবে।
তারপর তারা সিয়োনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
যেতে যেতে তারা একে অপরের উদ্দেশ্যে বলবে, ‘এস, আমরা প্রভুর সঙ্গে মিলিত হই।
এসো, আমরা এক চুক্তি করি যা চিরকাল স্থায়ী হবে।
একটা চুক্তি করা যাক যা আমরা কখনও ভুলব না।’
6 “আমার লোকরা হারিয়ে যাওয়া মেষের মতো।
তাদের মেষপালকরা (নেতারা) তাদের ভুলপথে চালিত করেছে।
নানা পাহাড়ে পর্বতমালায় তাদের পথহারা করেছে।
লোকরা উদ্ভ্রান্তের মতো এক পর্বত থেকে অন্য পর্বতে ভ্রমণ করেছে।
তারা তাদের বিশ্রামের জায়গা ভুলে গিয়েছে।
7 যারা আমার লোকদের দেখেছে তারাই তাদের আঘাত করেছে।
এবং ঐসব শত্রুরা বলেছে,
‘আমরা মোটেই অন্যায় করিনি।
ঐসব লোকরা প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ কাজ করেছে।
এই প্রভুই তাদের সত্যিকারের বিশ্রামস্থল।
এই প্রভুই তাদের ঈশ্বর যা তাদের পিতারাও বিশ্বাস করত।’
8 “বাবিল ছেড়ে পালিয়ে এস।
বাবিলদের দেশ ত্যাগ কর।
এবং পালের আগুয়ান ছাগলের মতো হও। (প্রকৃত নেতার মতো জনগণকে নেতৃত্ব দাও।)
9 আমি উত্তরের অনেক জাতিকে একত্রিত করব।
এই মিলিত জাতির দল বাবিলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হবে।
উত্তর দিকের লোকরাই বাবিলের দখল নেবে।
ঐ সব জাতির লোকরা বাবিলের দিকে অনেক তীর ছুঁড়বে।
ঐ সব তীরগুলি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে খালি হাতে ফিরে না আসা সৈন্যদের মতো হবে।
অর্থাৎ প্রতিটি তীরই তার লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করবে।
10 শত্রুরা কল্দীয় লোকদের সমস্ত ধনসম্পদ নিয়ে নেবে।
সৈন্যরা যা খুশী তাই নেবে।”
প্রভু এইগুলি বললেন।
11 “বাবিল তোমরা উল্লসিত এবং খুশী।
তোমরা আমার দেশ অধিকার করেছ।
শস্য ক্ষেত্রগুলিতে ছোট ছোট গরুর মত
তোমরা চারিদিকে নৃত্য করে বেড়াচ্ছ।
তোমাদের উল্লাস যেন
ঘোড়ার সুখী ডাকের মতো।
12 এখন তোমার মা হতবুদ্ধি হয়ে যাবে।
যে মা তোমার জন্মদাত্রী সে বিব্রত হবে।
বাবিল সমস্ত জাতিগুলির মধ্যে কম গুরুত্বপূর্ণ হবে।
তার অবস্থা হবে শুষ্ক, পরিত্যক্ত মরুভূমির মতো।
13 প্রভু তাঁর ক্রোধ প্রকাশ করবেন।
ফলে কোন মানুষই সেখানে বাস করতে পারবে না।
বাবিল পুরোপুরি পরিত্যক্ত হবে।
বাবিলের ওপর দিয়ে যারাই যাবে তারাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে।
বাবিলের ধ্বংসস্তূপ দেখে প্রত্যেকেই মাথা নাড়বে।
14 “বাবিলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।
তীরন্দাজ সৈন্যরা বাবিলের দিকে তীর ছোঁড়।
একটা তীরও রেখে দিও না।
কারণ বাবিল প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ কাজ করেছে।”
15 বাবিলকে চারিদিক থেকে ঘিরে রাখা সৈন্যরা
যুদ্ধ বিজয়ের নাদ গর্জন করল।
বাবিল আত্মসমর্পণ করেছে।
তার প্রাচীর এবং দুর্গগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এইসব লোকদের যা শাস্তি পাওনা ছিল
প্রভু তা দিচ্ছেন।
অন্য জাতিগুলির প্রতি বাবিল যে কাজ করেছে জাতিগুলির উচিৎ
বাবিলকে তার জন্য যোগ্য শাস্তি দেওয়া।
16 বাবিলের লোকদের চাষবাস করতে দিও না।
তাদের শস্য সংগ্রহ করতে দিও না।
বাবিলের সৈন্যরা অনেক বন্দীকে তাদের শহরে এনেছিল।
কিন্তু এখন শত্রু সৈন্যরা এসেছে।
তাই এখন ঐসব বন্দীরা তাদের ঘরে ফিরে যাচ্ছে।
ঐসব বন্দীরা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছে।
17 “ইস্রায়েল সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেষের পালের মতো।
সিংহসমূহের তাড়া খাওয়া মেষের মত ইস্রায়েল ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রথম আক্রমণকারী সিংহ হল অশূরের রাজা।
এবং শেষ আক্রমণকারী যে সিংহ ইস্রায়েলের হাড়গোড় গুঁড়িয়ে দেবে
সে হল বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসর।
18 তাই প্রভু সর্বশক্তিমান ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন,
‘আমি খুব শীঘ্রই বাবিল এবং তার রাজাকে শাস্তি দেব।
অশূরের রাজাকে আমি যেমন শাস্তি দিয়েছি বাবিলকে আমি তেমনই শাস্তি দেব।
19 “‘আমি ইস্রায়েলকে তার নিজের শস্য ক্ষেতে ফিরিয়ে আনব।
কর্মিল পাহাড়ের ওপর এবং বাশনের সমতলে যে সমস্ত শস্য জন্মায়,
ইস্রায়েলীয়রা তাই খাবে।
ইফ্রয়িম এবং গিলিয়দের পার্বত্য দেশগুলিতে তারা পেট ভরে খাবে।’”
20 প্রভু বলেন, “সেই সময় লোকরা ইস্রায়েলের দোষত্রুটি খুঁজতে জোরদার ভাবে চেষ্টা করবে।
কিন্তু খুঁজে পাওয়ার মত কোন দোষ থাকবে না।
লোকরা যিহূদার পাপও খুঁজে বার করতে চেষ্টা করবে।
কিন্তু তারা কোন পাপ খুঁজে পাবে না।
কেন? কারণ আমিই ইস্রায়েলের ও যিহূদার কিছু বেঁচে যাওয়া লোকদের পাপসমূহ ক্ষমা করব এবং আমি তাদের রক্ষা করব।”
21 প্রভু বললেন, “মরাথয়িম আক্রমণ কর।
পকোদের লোকদের আক্রমণ কর।
তাদের হত্যা করে পুরোপুরি ধ্বংস কর।
আমি যা আদেশ করছি তাই কর।
22 “গোটা দেশ জুড়ে যুদ্ধের দামামা শোনা যাচ্ছে।
এটা ব্যাপক ধ্বংসের দামামা।
23 ‘সমগ্র পৃথিবীর হাতুড়ি’ বলে পরিচিত ছিল বাবিল।
কিন্তু এখন এই ‘হাতুড়িই’ খণ্ড বিখণ্ড।
সমস্ত জাতিগুলির মধ্যে
বাবিলই সব চেয়ে বেশী ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
24 বাবিল, তোমার জন্য আমি একটা ফাঁদ পেতেছিলাম।
এবং তা জানার আগেই সেই ফাঁদে তুমি ধরা পড়েছ।
তোমরা প্রভুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছ।
তাই তোমাদের খুঁজে বন্দী করা হয়েছে।
25 প্রভু তাঁর অস্ত্র ভাণ্ডার খুললেন।
প্রভু তাঁর ক্রোধের অস্ত্রগুলি বার করে আনলেন।
প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ঐসব অস্ত্রগুলি আনলেন
কারণ কলদীয়দের দেশে তাঁর কিছু কাজ আছে।
26 “দূর দেশের লোকরা, তোমরা বাবিলের বিরুদ্ধে দাঁড়াও।
বাবিলের শস্য ভাণ্ডার ভেঙ্গে খুলে ফেল।
বাবিলকে পুরোপুরি ধ্বংস করো।
কাউকে জীবিত রেখো না।
অনেক শস্যকে যেমন স্তূপীকৃত করা হয়, তেমন বাবিলবাসীদের মৃতদেহগুলি স্তূপীকৃত কর।
27 বাবিলের সমস্ত যুবক ষাঁড়দের (লোকদের) হত্যা কর।
জন্তুদের মত তাদের বধ কর।
তাদের পরাস্ত করার সময় এসে গিয়েছে, তাই এটা তাদের পক্ষে খুবই খারাপ হবে।
তাদের শাস্তি পাওয়ার সময় হয়েছে।
28 বাবিল থেকে লোক ছুটে পালাচ্ছে।
তারা ঐ দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে এবং এইসব লোকরা সিয়োনের দিকে আসছে।
তারা প্রত্যেককে প্রভুর ধ্বংসলীলার কথা বলছে।
তারা লোকদের বলছে যে, প্রভু বাবিলকে উপযুক্ত শাস্তি দিচ্ছেন।
বাবিল প্রভুর উপাসনাগৃহ ধ্বংস করেছিল তাই প্রভু বাবিলকে ধ্বংস করছেন।
29 “তীরন্দাজদের ডাকো।
তাদের বাবিলকে আক্রমণ করতে বল।
ঐ সব তীরন্দাজদের শহরের চারিদিক ঘিরে ফেলতে বল।
কাউকে পালাতে দিও না।
বাবিলকে তাদের অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি দাও।
সে অন্য জাতিদের জন্য যা করেছিল, তাকেও তাই করো।
বাবিলীয়রা প্রভুকে সম্মান করেনি।
তারা ইস্রায়েলের পবিত্র একজনের সঙ্গে খুব রূঢ় ব্যবহার করেছে।
অতএব বাবিলকে শাস্তি দাও।
30 বাবিলের যুবকদের রাস্তায় হত্যা করা হবে।
তার সমস্ত সৈন্য ঐদিন মারা যাবে।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
31 “বাবিলের লোকরা, তোমরা খুবই অহঙ্কারী।
এবং আমি তোমাদের বিরুদ্ধে।”
আমাদের মালিক, প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বলেন।
32 “গর্বিত বাবিল হোঁচট খাবে এবং পড়ে যাবে।
কেউই তাকে তুলে ধরতে এগিয়ে আসবে না।
আমি তার শহরগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেব।
এই আগুন শহরের প্রত্যেককে এবং তার চারপাশের প্রত্যেকটি জিনিষকে সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে দেবে।”
33 প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন:
“ইস্রায়েল এবং যিহূদার লোকরা হল দাস।
শত্রুরা তাদের নিয়ে গিয়েছিল এবং শত্রুরা ইস্রায়েলের লোকদের যেতে দেয়নি।
34 কিন্তু ঈশ্বর ঐসব লোকদের ফিরিয়ে আনবেন।
তাঁর নাম হল প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান।
তিনি ঐসব লোকদের সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করবেন।
তিনি তাদের রক্ষা করবেন যাতে তিনি দেশটিকে বিশ্রাম দিতে পারেন।
কিন্তু বাবিলবাসীদের কোন বিশ্রাম থাকবে না।”
35 প্রভু বলেন,
“তরবারি, বাবিলীয়দের তুমি হত্যা কর,
রাজার সভাসদদের
এবং জ্ঞানী লোকদের হত্যা কর।
36 তরবারি বাবিলের যাজকদের হত্যা কর।
ঐসব যাজকরা বোকা লোকদের মত হয়ে যাবে।
তরবারি, বাবিলের সৈন্যদের তুমি হত্যা কর।
ঐসব সৈন্যরা ভয়ে পূর্ণ হয়ে যাবে।
37 তরবারি বাবিলের ঘোড়া এবং যুদ্ধরথদের হত্যা কর।
তরবারি অন্য দেশ থেকে ভাড়া করে আনা সৈন্যদের হত্যা কর।
ঐসব লোকরা ভয়ার্ত মহিলার মতো হবে।
তরবারি বাবিলের সম্পদ ধ্বংস কর।
ঐসব সম্পদ নিয়ে যাওয়া হবে।
38 তরবারি বাবিলের জলকে আঘাত কর।
ঐসব জল শুকিয়ে যাবে।
বাবিলের অসংখ্য মূর্ত্তি আছে।
বাবিলের লোকরা যে বোকা ঐসব মূর্ত্তিরা সেটাই প্রমাণ করে।
তাই ঐসব লোকদের ভাগ্যে অঘটন ঘটবে।
39 বাবিল আর কখনও লোকে পরিপূর্ণ হবে না।
বন্য কুকুরসমূহ, উটপাখিরা এবং মরুভূমির অন্যান্য জন্তু-জানোয়াররা সেখানে বাস করবে।
কিন্তু কোন লোকই আর সেখানে কোন দিনের জন্য বাস করবে না।
40 ঈশ্বর সদোম এবং ঘমোরাকে
তাদের চারদিকের শহরগুলিসহ পুরোপুরি ধ্বংস করেছেন।
এবং কোন লোকই ঐসব শহরগুলিতে এখন বাস করে না।
একই ভাবে কোন লোকই বাবিলে বাস করবে না।
এবং কোন লোকই আর সেখানে কোনদিন বাস করতে যাবে না।
প্রভু এই কথাগুলি বলেছেন।
41 “দেখ, উত্তরের লোকরা আসছে।
তারা একটি শক্তিশালী জাতি থেকে আসছে।
পৃথিবীর চারিদিক থেকে অনেক রাজারা একসঙ্গে আসছে।
42 তাদের সৈন্যদের তীর-বল্লম আছে।
সৈন্যরা নিষ্ঠুর।
তাদের কোন মায়া মমতা নেই।
উত্তাল সমুদ্র গর্জনের মতো
সৈন্যরা তাদের ঘোড়ায় চড়ে আসছে।
বাবিল শহর, সৈন্যরা তোমাকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।
তারা তাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
43 বাবিলের রাজা ঐসব সৈন্যদের সম্বন্ধে শুনল।
এবং সে ভীষণ ভয়চকিত হয়ে পড়ল।
সে এতই ভীত হয়ে পড়ল যে তার হাত অবশ হয়ে পড়ল।
তার ভয় তাকে প্রসব বেদনায় কাতরানো মহিলার মতো যন্ত্রণা দিতে থাকল।”
44 প্রভু বলেন, “মাঝে মাঝে যর্দন নদীর পাশ্ববর্তী ঘন ঝোপঝাড় থেকে
একটি সিংহ আসবে।
যেখানে লোকরা জন্তু জানোয়ার রেখেছে
সেই মাঠের ওপর দিয়ে সিংহটি হেঁটে যাবে।
এবং সমস্ত জন্তুরা ভয়ে পালাবে।
আমি ঐ সিংহটির মতো হব।
আমি বাবিলবাসীদের তাদের দেশ থেকে তাড়া করব।
এটা করার জন্য আমি কাকেই বা মনোনীত করতে পারতাম?
কেউই আমার মতো নয়।
আমাকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা কারোর নেই। তাই আমি এটা করবই।
কোন মেষপালকই আমাকে ধাওয়া করতে আসবে না।
আমি বাবিলের লোকদের তাড়া করে নিয়ে যাব।”
45 বাবিলের প্রতি প্রভু যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
সেই পরিকল্পনার কথা শোন।
বাবিলের লোকদের প্রতি
প্রভুর সিদ্ধান্তের কথা শোন।
শত্রুরা বাবিলের পালের (লোক) ছোট ছেলেমেয়েদের জোর করে টেনে নিয়ে যাবে।
তাদের কৃতকর্মের জন্যই বাবিলের চারণভূমি শূন্য হবে।
46 বাবিলের পতন হবে।
এবং সেই পতনে পৃথিবী কেঁপে উঠবে।
সমস্ত জাতির লোকরা বাবিলের
এই ধ্বংসের কথা শুনবে।
দায়ূদের একটি গীত।
28 হে প্রভু, আপনি আমার শিলা।
আপনার সাহায্যের জন্য আমি আপনাকে ডাকছি।
আমার প্রার্থনা থেকে কান ফিরিয়ে নেবেন না।
যদি আপনি আমার ডাকে সাড়া না দেন,
লোকে ভাববে আমি কবরের মৃত ব্যক্তির চেয়ে উন্নত কিছু নই।
2 প্রভু, আমার দু হাত তুলে আপনার পবিত্রতম স্থানে আমি প্রার্থনা জানাই।
যখন আমি আপনাকে ডাকি আমার ডাক শুনুন।
আমার প্রতি কৃপা প্রদর্শন করুন।
3 প্রভু, আমাকে খারাপ লোকদের একজন ভাববেন না।
তারা তাদের প্রতিবেশীদের বন্ধুভাবে অভিবাদন করে।
কিন্তু মনে মনে তারা প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মন্দ ফন্দি আঁটে।
4 প্রভু, ঐসব লোক অন্যান্য লোকদের প্রতি মন্দ আচরণ করে।
অতএব তাদের যাতে খারাপ হয় তাই করুন।
যেমন ওরা অন্যদের করেছিল।
5 মন্দ লোকরা কখনই প্রভুর ভালো কাজগুলো বুঝতে পারে না।
প্রভু যে সব ভালো কাজ করেন তা তারা দেখে না।
না তারা বুঝতে চায় না, তারা শুধু ধ্বংস করতে চায়।
6 প্রভুর প্রশংসা কর!
তিনি আমার প্রতি করুণা করার প্রার্থনা শুনেছেন!
7 প্রভুই আমার শক্তি, তিনিই আমার ঢাল।
আমি তাঁকে বিশ্বাস করেছি।
তিনি আমায় সাহায্য করেছেন এবং আমি প্রচণ্ড খুশী!
এবং তাই আমি তাঁর প্রশংসা করে গান গাইছি।
8 প্রভু যাকে পছন্দ করেন তাঁকে রক্ষা করেন।
প্রভুই তাঁর শক্তি!
9 ঈশ্বর আপনার লোকদের রক্ষা করেন।
আপনার অধিকারভুক্ত যারা তাদের আশীর্বাদ করুন।
তাদের আপনি চিরকালের জন্য নেতৃত্ব দিন এবং তাদের সম্মান দিন!
দায়ূদের একটি গীত।
29 হে ঈশ্বরের সন্তানরা, তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর!
তাঁর শক্তি এবং মহিমার প্রশংসা কর।
2 প্রভুর প্রশংসা কর এবং তাঁর নামের সম্মান কর!
তোমরা পবিত্র বস্ত্র পরে তাঁর উপাসনা কর।
3 প্রভুর রব সমুদ্রের এপার থেকে ওপারে শোনা যায়।
মহিমান্বিত ঈশ্বরের রব মহাসমুদ্রের বজ্রধ্বনির মত।
4 প্রভুর রব তাঁর শক্তি ঘোষণা করে।
প্রভুর রব তাঁর মহিমা প্রকাশ করে।
5 প্রভুর রব বিরাট বড় এরস গাছদের ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেয়।
প্রভু লিবানোনের এরস গাছ ভেঙে দিয়েছেন।
6 প্রভু লিবানোনকে প্রকম্পিত করেছেন এবং দেখে মনে হয় যেন একটি বাচ্চা বাছুর নাচছে।
শিরিয়োণ[a] প্রকম্পিত হচ্ছে, দেখে মনে হয় যেন একটা বাচ্চা ছাগল লাফাচ্ছে।
7 বিদ্যুতের চমক দিয়ে প্রভুর রব বাতাসকে কেটে কেটে দিচ্ছে।
8 প্রভুর রব মরুভূমিকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে।
প্রভুর রবে কাদেশ মরুভূমি কেঁপে উঠছে।
9 প্রভুর রব দেবদারু গাছকে কাঁপিয়ে দেয়।
প্রভু বনস্থলী ধ্বংস করেন।
কিন্তু তাঁর পবিত্র মন্দিরে, লোকে তাঁর মহিমার গান গায়।
10 প্লাবনের সময় প্রভুই ছিলেন রাজা
এবং চিরদিনের জন্য প্রভুই রাজা থাকবেন।
11 প্রভু তাঁর লোকদের শক্তি দেন।
তিনি তাঁর লোকেদের শান্তি দিয়ে আশীর্বাদ করেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International