M’Cheyne Bible Reading Plan
শমূয়েল শৌলকে অভিষিক্ত করল
10 শমূয়েল তার তেলের বোতল শৌলের মাথায় ঢেলে দিল। তারপর সে শৌলকে চুমু খেয়ে বলল, “প্রভু তোমাকেই তাঁর লোকদের নেতা হিসাবে মনোনীত করেছেন। তুমিই প্রভুর লোকদের নিয়ন্ত্রণ করবে। চতুর্দিকে যে সব শত্রু আছে তাদের হাত থেকে তুমি তাদের বাঁচাবে। এই চিহ্ন থেকে বুঝবে কথাটা সত্য। 2 আমার কাছ থেকে চলে যাবার পর তুমি রাচেলের সমাধির কাছে বিন্যামীন সীমানার সেল্সহতে দুটি লোকের সাক্ষাৎ পাবে। ঐ লোক দুটো তোমাকে বলবে, ‘যে গাধাগুলো তোমরা খুঁজছ তা কোন একজন দেখতে পেয়েছে। তোমার পিতা গাধাগুলো নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করছেন না, বরং তোমাকে নিয়েই তাঁর যত ভাবনা। শুধু বলছেন, আমার পুত্রের ব্যাপারে আমি কি করব।’”
3 শমূয়েল বলল, “তারপর যেতে যেতে তাবোরের কাছে একটা বড় ওক গাছ দেখতে পাবে। সেখানে তিনজন লোক তোমার সঙ্গে দেখা করবে। ঐ তিনজন বৈথেলে ঈশ্বরের উপাসনার জন্য যাচ্ছে। তুমি তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তিনটে বাচ্চা ছাগল দেখতে পাবে। দ্বিতীয় জনের কাছে থাকবে তিন টুকরো রুটি। তৃতীয় জনের কাছে থাকবে এক বোতল দ্রাক্ষারস। 4 এই তিনজন লোক তোমায় অভিবাদন করবে। তারা তোমায় দু-টুকরো রুটি দেবে। তুমি তাদের কাছ থেকে সেটা নেবে। 5 তারপর তুমি যাবে গিবিয়াথ এলোহিম। সেখানে একটা পলেষ্টীয় দুর্গ আছে। এই শহরে তুমি যখন আসবে তখন একদল ভাববাদী বার হয়ে আসবে। তারা আসবে উপাসনার স্থান থেকে। তারা ভাববাণী[a] করতে থাকবে। তারা বীণা, তম্বুরা, বাঁশি ও অন্যান্য তন্ত্রবাদ্য বাজাবে। 6 তারপর প্রভুর আত্মা তোমার ওপর সবলে ভর করবেন। তুমি বদলে যাবে। তুমি একজন আলাদা ব্যক্তির মত হবে। তুমি অন্য ভাববাদীদের সঙ্গে ভাববাণী করতে শুরু করবে। 7 যখন এইসব চিহ্নগুলি পরিপূর্ণ হবে, তখন তুমি যা চাইবে তাই করতে পারবে। কারণ তখন ঈশ্বর তোমার সঙ্গেই বিরাজ করবেন।
8 “এবার আমার আগে গিল্গলে যাও। আমি তোমাকে যেতে দেখব। তারপর আমি সেখানে তোমার সঙ্গে দেখা করব। তারপর হোমবলি ও মঙ্গল নৈবেদ্য উৎসর্গ করব; কিন্তু সাতদিন তোমায় অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আমি এসে তোমায় কি করতে হবে বলে দেব।”
শৌল ভাববাদীদের মত হয়ে গেলেন
9 শমূয়েলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যে মূহুর্তে শৌল ঘাড় ফেরালেন, ঈশ্বর শৌলের হৃদয়ের সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটালেন। সেই দিন ঐসব চিহ্নগুলি পরিপূর্ণ হয়েছিল। 10 শৌল আর তার ভৃত্য গিবিয়াথ এলোহিমে চলে গেল। সেখানে একদল ভাববাদীর সঙ্গে শৌলের দেখা হল। সেই সময় শৌলের ওপর সবলে ঈশ্বরের আত্মা নেমে এল। অন্য ভাববাদীদের সঙ্গে তিনিও ভাববাণী করলেন। 11 যারা শৌলকে আগেই জানত, তারা এখন শৌলকে অন্য ভাববাদীদের সঙ্গে ভাববাণী করতে দেখল। তারা বলাবলি করল, “কীশের পুত্রর এ কি হল? শৌলও কি একজন ভাববাদী হয়ে গেল?”
12 একটি লোক যে গিবিয়াথ এলোহিমে থাকত, সে বলল, “ওদের পিতা কে?” সেই থেকে এই কথাটা একটা প্রসিদ্ধ প্রবাদে পরিণত হয়েছে: “শৌলও কি ভাববাদীদের মধ্যে একজন?”
শৌল বাড়ী এলেন
13 ভাববাণী করবার পর, সে তার বাড়ির কাছে উপাসনার জায়গায় পৌঁছল।
14 শৌলের কাকা শৌলকে ও তার ভৃত্যকে জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা কোথায় ছিলে?”
শৌল বলল, “আমরা গাধা খুঁজতে গিয়েছিলাম, কিন্তু গাধা খুঁজে না পেয়ে আমরা শমূয়েলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।”
15 শৌলের কাকা বলল, “শমূয়েল তোমায় কি বলল দয়া করে বল।”
16 শৌল বলল, “শমূয়েল বলছে গাধাগুলো পাওয়া গেছে।” শৌল তার কাকাকে সবটা বলল না। রাজত্ব সম্বন্ধে শমূয়েল তাকে যা বলেছিল সে বিষয়ে শৌল কিছুই বলল না।
শমূয়েল শৌলকে রাজা বলে ঘোষণা করল
17 শমূয়েল ইস্রায়েলবাসীদের মিস্পায় প্রভুর সঙ্গে মিলিত হবার জন্য বলল। 18 সে বলল, “ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর, আমাদের প্রভু বলেন, ‘আমি ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে বার করে এনেছি। আমি তোমাদের মিশরের ক্ষমতা থেকে এবং যে সমস্ত রাজ্যগুলি তোমাদের নিষ্পেষিত করে দুর্দশাগ্রস্ত করেছিল, তাদের থেকে বাঁচিয়েছি।’ 19 কিন্তু আজ তোমরা সেই ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেছ। ঈশ্বরই তোমাদের সব বিপদ ও বিপত্তি থেকে উদ্ধার করেছেন, কিন্তু তোমরা বলছ, ‘আমাদের শাসন করবার জন্য আমরা একজন রাজা চাই।’ বেশ তবে তাই হোক্। এখন তোমাদের পরিবারগোষ্ঠী অনুসারে প্রভুর সামনে দাঁড়াও।”
20 শমূয়েল ইস্রায়েলবাসীদের সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীকে তার কাছে ডাকল। তারপর সে নতুন রাজা মনোনয়ন করতে শুরু করল। প্রথমে বাছা হল বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীকে। 21 সেই পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারকে শমূয়েল তার সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে বলল। শমূয়েল এবার পছন্দ করল মট্রীয়দের পরিবার। তারপর মট্রীয়দের পরিবারের প্রত্যেককে শমূয়েল হেঁটে যেতে বলল। কীশের পুত্র শৌলকে সে এবার মনোনীত করল।
কিন্তু লোকরা যখন শৌলকে খুঁজল, তারা তাকে পেল না। 22 তখন তারা প্রভুকে জিজ্ঞাসা করল, “শৌল কি এখানে এসেছে?”
প্রভু বললেন, “শৌল জিনিসপত্রের পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে।”
23 লোকরা ছুটে গিয়ে সেখান থেকে শৌলকে বার করে আনলে শৌল সকলের মাঝখানে দাঁড়াল। সকলের মধ্যে শৌলই ছিল লম্বায় এক মাথা উঁচু।
24 শমূয়েল সকলকে বলল, “এর দিকে তাকিয়ে দেখ। প্রভু একেই মনোনীত করেছেন। শৌলের মতো এখানে তোমাদের মধ্যে আর কেউ নেই।”
লোকরা বলে উঠল, “রাজা দীর্ঘায়ু হোন্।”
25 শমূয়েল তাদের সমস্ত রাজকীয় নিয়ম ও বিধিগুলি বুঝিয়ে দিল। সে সেগুলো একটা বইয়ে লিখে রাখল। পরে প্রভুর সামনে সেই বইখানি রেখে শমূয়েল সবাইকে বাড়ি চলে যেতে বলল।
26 শৌলও গিবিয়ায় তার বাড়ি চলে গেল। ঈশ্বর সাহসীদের হৃদয় স্পর্শ করল। এই সাহসীরা শৌলকে অনুসরণ করল। 27 কিন্তু কিছু অশান্তি সৃষ্টিকারী লোক বলল, “এই লোকটা কি করে আমাদের রক্ষা করবে?” শৌলকে নিয়ে তারা নিন্দামন্দ করতে লাগল। তারা শৌলকে কোন উপহার দিল না। কিন্তু শৌল এ নিয়ে কিছু বলল না।
অম্মোনদের রাজা নাহশ
অম্মোনদের রাজা নাহশ গাদ আর রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালাত। এদের প্রত্যেকেরই ডান চোখ সে উপড়ে নিয়েছিল, কেউ তাদের সাহায্য করুক নাহশ তা চাইত না। যর্দন নদীর পূর্বদিকে যেসব ইস্রায়েলীয় বসবাস করত, তাদের ডান চোখ সে উপড়ে নিয়েছিল। কিন্তু 7000 ইস্রায়েলীয় অম্মোনদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে যাবেশ গিলিয়দে চলে গিয়েছিল।
আত্মাতে জীবন
8 তাই যারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে তারা বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবে না। 2 কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে আত্মার যে বিধি-ব্যবস্থা জীবন আনে, তা আমাকে মুক্ত করেছে সেই পাপের ব্যবস্থা থেকে যা মৃত্যুর কারণ হয়। 3 মোশির বিধি-ব্যবস্থা যা পারে নি তা ঈশ্বর সাধন করলেন; কারণ আমাদের স্বভাবজাত দুর্বলতার জন্য মোশির বিধি-ব্যবস্থা শক্তিহীন ছিল। তাই তিনি তাঁর নিজের পুত্রকে আমাদের মত মনুষ্যদেহে পাঠালেন, যেন তিনি মানুষের পাপের জন্য বলি হন। ঈশ্বর এইভাবে সেই মানবীয় দেহে পাপকে দণ্ডিত করলেন। 4 যেন দেহের বশে নয় কিন্তু আত্মার বশে চলার দরুন আমাদের মধ্যে বিধি-ব্যবস্থার দাবী-দাওয়াগুলি পূর্ণ হয়।
5 যারা পাপ প্রবৃত্তির বশে চলে তাদের মন পাপ চিন্তাই করে। কিন্তু যারা পবিত্র আত্মার বশে চলে, তারা পবিত্র আত্মা যা চান সেই অনুসারে চিন্তা করে। 6 আমাদের চিন্তা যদি দেহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তবে তার ফল হয় মৃত্যু। কিন্তু যদি পবিত্র আত্মা দ্বারা পরিচালিত হয় তবে তার ফল হয় জীবন ও শান্তি। 7 তাই যে মন মানুষের পাপ স্বভাব দ্বারা পরিচালিত সে ঈশ্বর বিরোধী, কারণ সে নিজেকে ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থার অধীনে রাখে না। বাস্তবে সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা পালনে অসমর্থ। 8 যারা তাদের দৈহিক প্রবৃত্তির দ্বারা চালিত হয় তারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারে না।
9 কিন্তু তোমরা তোমাদের দৈহিক প্রবৃত্তির দ্বারা চালিত নও বরং আত্মা দ্বারা চালিত; অবশ্য যদি ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের অন্তরে বিরাজ করেন তাহলে তুমি আত্মার দ্বারা চালিত হবে; কিন্তু যার মধ্যে খ্রীষ্টের আত্মা নেই সে খ্রীষ্টের নয়। 10 পাপের ফলে তোমাদের দেহ মৃত্যুর অধীন, কিন্তু খ্রীষ্ট যদি তোমাদের অন্তরে থাকেন, তবে পবিত্র আত্মা তোমাদের জীবন দান করেন, কারণ খ্রীষ্ট তোমাদের ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেছেন। 11 ঈশ্বর যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন, আর ঈশ্বরের আত্মা যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন তবে তিনি তোমাদের মরণশীল দেহকে জীবনময় করবেন। ঈশ্বরই যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন, তাঁর যে আত্মা তোমাদের মধ্যে আছে তিনি সেই আত্মার দ্বারা তোমাদের দেহকে সঞ্জীবিত করবেন।
12 তাই ভাই ও বোনেরা, আমরা ঋণী কিন্তু সেই ঋণ আমাদের দৈহিক প্রবৃত্তির কাছে নয়। আমরা অবশ্যই আর দৈহিক প্রবৃত্তির দ্বারা জীবন পরিচালিত করব না। 13 কারণ যদি তোমরা দৈহিক প্রবৃত্তির দ্বারা চল তবে মরবে। কিন্তু পবিত্র আত্মার সাহায্যে যদি দেহের মন্দ কাজগুলি থেকে বিরত থাক তবে জীবন পাবে।
14 ঈশ্বরের প্রকৃত সন্তানরা ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়। 15 তোমরা যে আত্মাকে পেয়েছ তা তো দাসত্বের আত্মা নয় যে পুনরায় ভয়ে থাকবে। বরং তোমরা যে আত্মাকে পেয়েছ তার দ্বারা পুত্রত্ব পেয়েছ; আর সেই আত্মাতে আমরা ডাকি, “আব্বা, পিতা।” 16 পবিত্র আত্মা নিজেও আমাদের আত্মার সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়ে বলছেন যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান। 17 আর যদি সন্তান হই, তবে আমরা তাঁর উত্তরাধিকারী এবং খ্রীষ্টের সাথে উত্তরাধিকারী, যদি অবশ্য খ্রীষ্ট যেমন দুঃখভোগ করেছিলেন, তেমনি আমরা তাঁর সঙ্গে দুঃখভোগ করি, আর তা করলে আমরা খ্রীষ্টের সঙ্গে মহিমান্বিত হব।
ভবিষ্যতে আমরা মহিমান্বিত হব
18 এখন আমরা দুঃখ ভোগ করছি; কিন্তু আমাদের জন্য যে মহিমা প্রকাশিত হবে তার সঙ্গে বর্তমান কালের এই দুঃখভোগ তুলনার যোগ্যই নয়। 19 বিশ্বসৃষ্টি ব্যাকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে ঈশ্বর কবে তাঁর পুত্রদের প্রকাশ করবেন। সমগ্র বিশ্ব এর জন্য আকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে। 20 বিশ্ব সৃষ্টিকে তো ব্যর্থতার বন্ধনে বেঁধে রাখা হয়েছে যদিও তা তার নিজের ইচ্ছায় নয় কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায়, যিনি সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রেখেছেন। 21 তবুও বিশ্বসৃষ্টির এই আশা রয়েছে যে সেও একদিন এই অবক্ষয়ের দাসত্ব থেকে মুক্ত হবে আর ঈশ্বরের সন্তানদের মহিমাময় স্বাধীনতার অংশীদার হবে।
22 আমরা জানি যে এখন পর্যন্ত ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টি ব্যথায় আর্তনাদ করছে যেমন করে নারী সন্তান প্রসবের ব্যথা ভোগ করে। 23 কেবল গোটা বিশ্ব নয়, আমরাও যাঁরা পবিত্র আত্মাকে উদ্ধারের জন্য প্রথম ফলরূপে পেয়েছি, আমাদের দেহের মুক্তিলাভের প্রতীক্ষায় অন্তরে আর্তনাদ করছি। 24 আমরা উদ্ধার পেয়েছি তাই আমাদের অন্তরে এই প্রত্যাশা রয়েছে। প্রত্যাশার বিষয় প্রত্যক্ষ হলে তা প্রত্যাশা নয়। যা পাওয়া হয়ে গেছে তার জন্য কে প্রত্যাশা করে? 25 আমরা যা এখনও পাই নি তারই জন্য প্রত্যাশা করছি, ধৈর্য্য্যের সঙ্গেই তার জন্য প্রতীক্ষা করছি।
26 একইভাবে আমাদের দুর্বলতায় পবিত্র আত্মাও আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন, কারণ আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করব জানি না, তাই স্বয়ং পবিত্র আত্মা আমাদের হয়ে অব্যক্ত আর্তস্বরে আবেদন জানিয়ে থাকেন। 27 মানুষের অন্তরে কি আছে ঈশ্বর তা দেখতে পান; আর ঈশ্বর পবিত্র আত্মার বাসনা কি তা জানেন; কারণ পবিত্র আত্মা ভক্তদের হয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে সেই আবেদন করেন।
28 আমরা জানি যে সব কিছুতে তিনি তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করেন যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে, যারা তাঁর সংকল্প অনুসারে আহুত। 29 জগৎ সৃষ্টির পূর্বে ঈশ্বর যাদের জানতেন, তাদের তিনি তাঁর পুত্রের মত করবেন বলে মনস্থ করলেন। এইভাবে যীশু হবেন অনেক ভাইদের মধ্যে প্রথমজাত। 30 আগে থেকে তিনি যাদের বেছে রেখেছিলেন তাদের আহ্বান করলেন; যাদের তিনি আহ্বান করলেন তাদের ধার্মিক গন্য করলেন এবং যাদের তিনি ধার্মিক গন্য করলেন তাদের মহিমান্বিত করলেন।
খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যেই ঈশ্বরের ভালবাসা
31 এইসব দেখে আমরা কি বলব? ঈশ্বর যখন আমাদেরই পক্ষে তখন আমাদের বিপক্ষে কে যাবে? 32 যিনি তাঁর নিজ পুত্রকেই নিষ্কৃতি দেন নি, এমন কি আমাদের সকলের জন্যে তাঁকে মৃত্যুর হাতে সঁপে দিলেন, তখন তিনি তাঁর পুত্রদানের সঙ্গে সবকিছুই কি আমাদের দান করবেন না? 33 ঈশ্বর নিজের বলে যাদের মনোনীত করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কে আনবে? ঈশ্বরই তাদের ধার্মিক করেছেন। 34 খ্রীষ্ট যীশু যিনি মারা গেলেন ও মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন, তিনি ঈশ্বরের ডানদিকে বসে আছেন আর আমাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে মিনতি করছেন। 35 খ্রীষ্টের ভালবাসা থেকে কোন কিছুই কি আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে? দুঃখ, দুর্দশা, ক্লেশ, সঙ্কট, তাড়না, দুর্ভিক্ষ, নগ্নতা বা প্রাণসংশয় কি তরবারির মৃত্যু? 36 যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে:
“তোমার জন্য আমরা সমস্ত দিন মৃত্যুবরণ করছি।
লোকচক্ষে আমরা বলির মেষের মতো।” (A)
37 কিন্তু ঈশ্বর, যিনি আমাদের ভালবাসেন তাঁর দ্বারা আমরা ঐ সবকিছুতে পূর্ণ বিজয়লাভ করি। 38-39 কারণ আমি নিশ্চিতভাবে জানি যে কোন কিছুই প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নিহিত ঐশ্বরিক ভালবাসা থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না, মৃত্যু বা জীবন, কোন স্বর্গদূত বা প্রভুত্বকারী আত্মা, বর্তমান বা ভবিষ্যতের কোন কিছু, উর্দ্ধের বা নিম্নের কোন প্রভাব কিংবা সৃষ্ট কোন কিছুই আমাদের সেই ভালবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
পলেষ্টীয়দের বিষয়ে বার্তা
47 পলেষ্টীয়দের সম্বন্ধে ভাববাদী যিরমিয়র কাছে প্রভুর বার্তা এসেছিল। ফরৌণ ঘসা শহর আক্রমণের আগে এই বার্তা এসেছিল।
2 প্রভু বলেছেন:
“দেখ, শত্রুপক্ষের সেনারা উত্তরে একত্রিত হচ্ছে।
তারা এগিয়ে আসছে কূলছাপানো প্রবল নদীর মতো।
ঐ সৈন্যদল সমগ্র দেশটিকে এবং তার সমস্ত শহরগুলোকে
এক শক্তিশালী বন্যার মত ঢেকে দেবে।
সমস্ত শহরের এবং গোটা দেশের মানুষ
সাহায্যের জন্য চিৎকার করে উঠবে।
3 তারা শুনতে পাবে ছুটন্ত ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দ।
শুনতে পাবে তীব্র গতিতে ছুটে আসা রথের চাকার শব্দ।
পিতারা তাদের সন্তানদের রক্ষা করতে পারবে না।
তারা এত দুর্বল হয়ে পড়বে যে সাহায্য করার শক্তিও তাদের মধ্যে অবশিষ্ট থাকবে না।
4 পলেষ্টীয় লোকদের ধ্বংসের সময় আসছে।
যারা সোর ও সীদোনের লোকদের সাহায্য করেছিল
তাদের ধ্বংসের সময় আসছে।
শীঘ্রই প্রভু পলেষ্টীয় লোকদের ধ্বংস করবেন।
তিনি ধ্বংস করবেন কপ্তোর দ্বীপের জীবিত অবশিষ্ট লোকদেরও।
5 ঘসার লোকরা তাদের মাথা কামাবে এবং শোক প্রকাশ করবে।
অস্কিলোনের লোকরা চুপ করে থাকবে।
উপত্যকায় বেঁচে যাওয়া লোকরা, তোমরা আর কত দিন নিজেদের আহত করবে?
6 “প্রভুর তরবারি, তুমি এখনো ফিরে যাওনি।
আর কতদিন এইভাবে যুদ্ধ করে যাবে?
যাও এবার তোমার খাপে ফিরে যাও
এবং স্থির হও।
7 হে প্রভুর তরবারি, কি করে তুমি প্রভুর আদেশ অগ্রাহ্য করতে পারো
এবং তোমার খাপে ফিরে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারো?
প্রভুই তাঁর তরবারিকে আদেশ দিয়েছেন
অস্কিলোন শহর এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলকে আক্রমণ করার জন্য।”
দায়ূদের একটি গীত।
23 প্রভুই আমার মেষপালক।
আমার যা কিছু চাই, সবসময় আমি তা-ই নেব।[a]
2 তিনি আমাকে সবুজ চারণ ক্ষেত্রে শুইয়ে দেন।
তিনি আমাকে বিশ্রাম জলাধারের পাশে পরিচালিত করেন।
3 তাঁর নামের মহিমা উপলদ্ধি করার জন্য তিনি আমার আত্মাকে নতুন শক্তি দেন।
তাঁর নামের জন্য তিনি আমায় ঠিক পথে পরিচালিত করেন।
4 এমনকি, যদি আমি কবরের মত গাঢ় অন্ধকারময় কোন উপত্যকা দিয়ে হেঁটে যাই,
আমি কোন বিপদের দ্বারা ভীত হব না।
কেন? কারণ আপনি যে আমার সঙ্গে রয়েছেন প্রভু।
আপনার শাসনদণ্ড আমাকে স্বস্তি দেয়, নিরাপদে রাখে।
5 প্রভু, আপনি আমার শত্রুদের সামনে আমার টেবিল তৈরী করেছিলেন।
আপনি আমার মাথায় তেল দিয়ে আমাকে অভিবাদন করেছিলেন।
আমার পানপাত্র পরিপূর্ণ এবং তা উপচে পড়ছে।
6 ধার্ম্মিকতা এবং ক্ষমা আজীবন আমার সঙ্গে থাকবে।
এবং আমি প্রভুর মন্দিরে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকবো।
দায়ূদের একটি গীত।
24 এই পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত কিছুই প্রভুর।
এই জগৎ এবং জগতের সব লোকও তাঁর।
2 প্রভু জলের ওপর এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
তিনি নদীসমূহের ওপর এইসব তৈরী করেছেন।
3 কে প্রভুর পর্বতে আরোহণ করতে পারে?
কে প্রভুর পবিত্র মন্দিরে গিয়ে দাঁড়াতে পারে?
4 সেই সব লোক যারা মন্দ কাজ করে নি,
সেই সব লোক যাদের অন্তঃকরণ শুচি,
সেই সব লোকরা যারা মিথ্যেকে সত্যের মত করে বলবার সময় আমার নাম নেয় নি,
যারা মিথ্যা কথা বলে নি এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় নি একমাত্র সেই সব লোকই এখানে উপাসনা করতে পারে।
5 ভালো লোকরা প্রভুকে অন্যদের আশীর্বাদ করবার জন্য বলে।
ঐসব ভালো লোকরাও ঈশ্বর, তাদের পরিত্রাতাকে ভাল কাজই করতে বলে।
6 সেই সব ভালো লোক ঈশ্বরকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে।
তারা সাহায্যের জন্য যাকোবের ঈশ্বরের কাছে যায়।
7 হে ফটক সকল, তোমাদের মাথা তোল!
হে প্রাচীন দ্বারসমূহ, খুলে যাও,
কারণ মহিমান্বিত রাজা ভেতরে আসবেন।
8 কে সেই মহিমান্বিত রাজা?
প্রভুই সেই রাজা। তিনিই পরাক্রমী সৈনিক।
প্রভুই সেই রাজা, তিনিই যুদ্ধের নায়ক।
9 হে ফটক সকল, তোমাদের মাথা তোল!
হে প্রাচীন প্রবেশ দ্বারসমূহ, খুলে যাও,
কারণ মহিমান্বিত রাজা ভেতরে আসবেন।
10 কে সেই মহিমান্বিত রাজা?
সর্বশক্তিমান প্রভুই সেই রাজা। তিনিই সেই মহিমান্বিত রাজা!
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International