M’Cheyne Bible Reading Plan
ঈশ্বর শমূয়েলকে ডাকলেন
3 এলির অধীনে থেকে বালক শমূয়েল প্রভুর সেবা করতে লাগল। সেই সময় প্রভু প্রায়ই লোকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন না। দর্শন ছিল বিরল।
2 এলির দৃষ্টিশক্তি এত কমে গিয়েছিল যে এক রকম অন্ধই বলা চলে। এক রাত্রিতে সে শুয়ে ছিল, 3 শমূয়েল প্রভুর পবিত্র মন্দিরে শুয়ে ছিল। সেখানেই ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক ছিল। প্রভুর প্রদীপ তখনও জ্বলছিল। 4 প্রভু শমূয়েলকে ডাকলেন; শমূয়েল সাড়া দিল, “এই যে, আমি এখানে।” 5 শমূয়েল মনে করেছিল, এলি তাকে ডাকছে। তাই সে ছুটে এলির কাছে গেল। এলিকে বলল, “এই যে আমি। আপনি আমাকে ডাকছিলেন?”
এলি বলল, “কই, আমি তো তোমাকে ডাকি নি, তুমি ঘুমোও।”
শমূয়েল চলে গেল। 6 আবার প্রভু ডাকলেন, “শমূয়েল!” শমূয়েল ছুটে গেল এলির কাছে। এলিকে বলল, “এই যে আমি। আপনি আমাকে ডাকছিলেন?”
এলি বলল, “আমি তোমাকে ডাকি নি। তুমি ঘুমোও।”
7 শমূয়েল তখনও পর্যন্ত প্রভুকে জানত না, চিনত না। কারণ প্রভু তখনও তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন নি।
8 প্রভু তৃতীয়বার শমূয়েলকে ডাকলেন। আবার শমূয়েল উঠল, এলির কাছে আবার গেল। সে বলল, “এই যে আমি, আপনি আমাকে ডাকছিলেন?”
তখন এলি বুঝতে পারল ছেলেটিকে আসলে স্বয়ং প্রভুই ডেকেছেন। 9 এলি শমূয়েলকে বলল, “এখন তুমি শোও। এবার যদি কেউ তোমাকে ডাকে, তুমি তার কাছে গিয়ে বলবে, ‘বলুন প্রভু, আপনার দাস শুনছে।’”
শমূয়েল শুতে গেল। 10 প্রভু সেখানে এসে দাঁড়ালেন। আবার তিনি আগের মতো ডাকলেন: “শমূয়েল, শমূয়েল!”
এবার শমূয়েল সাড়া দিল: “বলুন প্রভু, আপনার দাস শুনছে।”
11 প্রভু শমূয়েলকে বললেন, “শোনো, আমি শীঘ্রই ইস্রায়েলে একটা কিছু ঘটাব। যারা এই সম্বন্ধে শুনবে তারা অতিশয় বেদনাহত হবে। 12 এলি আর তার পরিবারের বিরুদ্ধে আমি যা যা করবার করব। আমি একেবারে গোড়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সব কিছুই করব। 13 আমি এলিকে বলেছিলাম, ওর পরিবারকে চিরকালের জন্যে আমি শাস্তি দেবই। আমি শাস্তি দেব, কারণ এলি জানত তার পুত্ররা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ কাজ করছে। কিন্তু এলি তাদের সামলায় নি। 14 তাই আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যতই বলি আর শস্য নৈবেদ্য উৎসর্গ করা হোক্ না কেন, তাতে এলির পুত্রদের পাপ ঘুচবে না।”
15 ভোর পর্যন্ত শমূয়েল বিছানায় শুয়ে রইল। ভোর হলে সে প্রভুর মন্দিরের দরজা খুলল। দর্শনে কি দেখেছে এবং কি শুনেছে তা এলিকে জানাতে শমূয়েল সাহস করল না।
16 কিন্তু এলি শমূয়েলকে বলল, “শমূয়েল, আমার পুত্র!”
শমূয়েল বলল, “আমি এইখানে।”
17 এলি জিজ্ঞাসা করল, “প্রভু তোমায় কি বলেছেন? আমার কাছে কিছু লুকিও না। লুকোলে ঈশ্বর তোমাকে শাস্তি দেবেন।”
18 অগত্যা শমূয়েল এলিকে সব খুলে বলল, কিছুই গোপন করল না।
এলি বলল, “তিনি প্রভু, তিনি যা ভাল বুঝবেন তাই করুন।”
19 প্রভু শমূয়েলের সঙ্গে ছিলেন আর শমূয়েল বড় হয়ে উঠতে লাগল। শমূয়েলের একটি কথাকেও প্রভু মিথ্যা প্রমাণিত হতে দিলেন না। 20 দান থেকে বের্-শেবা পর্যন্ত সমস্ত ইস্রায়েলের লোকরা জেনে গেল যে শমূয়েল প্রভুর একজন প্রকৃত ভাববাদী। 21 শীলোতে শমূয়েলের সামনে প্রভু প্রায়ই দেখা দিতে লাগলেন। প্রভু নিজেকে শমূয়েলের কাছে প্রভুর বাক্য হিসেবে প্রকাশ করলেন।
3 তাহলে ইহুদীদের এমন কি সুবিধা আছে যা অন্য লোকদের নেই? সুন্নতেরই বা মূল্য কি? 2 হ্যাঁ, সব দিক দিয়েই ইহুদীদের অনেক সুবিধা আছে। তাদের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই: ঈশ্বর তাঁর শিক্ষা প্রথমে ইহুদীদেরই দিয়েছিলেন। 3 একথা ঠিক যে কিছু কিছু ইহুদী ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না, কিন্তু তাতে কি? তারা অবিশ্বস্ত হয়েছে বলে কি ঈশ্বরও অবিশ্বস্ত হবেন? 4 না, নিশ্চয়ই নয়! সব মানুষ মিথ্যাবাদী হলেও, ঈশ্বর সবসময়ই সত্য। শাস্ত্রে যেমন বলে:
“তুমি তোমার বাক্যেই ন্যায়পরায়ণ প্রতিপন্ন হবে
আর বিচারের সময় তোমার জয় হবেই।”(A)
5 আমরা যখন অন্যায় করি তখন আরো স্পষ্টভাবে জানা যায় যে ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ। তবে কি আমরা বলব যে ঈশ্বর যখন আমাদের শাস্তি দেন তখন অন্যায় করেন? কারো কারো মনে যেমন চিন্তা থাকে আমি সেই রকম বলছি। 6 ঈশ্বর যদি ন্যায়পরায়ণ না হতেন, তবে জগতের বিচার করা তাঁর দ্বারা সম্ভব হত না।
7 কেউ আবার বলতে পারেন, “যদি আমার মিথ্যার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশ পায় তবে পাপী হিসেবে আমার বিচার কেন হয়?” 8 তাহলে একথা দাঁড়ায় যে, “এস আমরা মন্দ কিছু করি যাতে তার থেকে ভাল কিছু পাওয়া যায়।” অনেকে আমাদের সমালোচনা করে বলে যে আমরা নাকি এমনি শিক্ষা দিই। যাঁরা এমন কথা বলে তারা ভুল করছে এবং তারা বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবেই।
সমস্ত লোকই দোষী
9 তাহলে কি আমরা ইহুদীরা অন্যদের থেকে ভাল? না কখনই না, কারণ আমরা এর আগেই বলেছি যে ইহুদী বা অইহুদী সকলেই সমান। তারা সকলেই পাপের শক্তির অধীন। 10 শাস্ত্রে যেমন বলে:
“এমন কেউ নেই যে ধার্মিক; এমনকি একজনও নেই।
11 এমন কেউ নেই যে বোঝে।
এমন কেউ নেই যে ঈশ্বরকে পাবার চেষ্টা করে।
12 সকলেই ঈশ্বর হতে দূরে সরে গেছে,
সকলেই অপদার্থ,
কেউই ভাল কাজ করে না, একজনও না!”(B)
13 “তাদের মুখ এক উন্মুক্ত কবর;
জিভ দিয়ে তারা ছলনার কথা বলে।”(C)
“তাদের বাক্যে সাপের বিষ ঢালা।”(D)
14 “সবসময়ই তাদের মুখে শুধু অভিশাপ ও কটু কথা।”(E)
15 “রক্ত ঝরানোর কাজে তারা ব্যগ্র;
16 তাদের চরণ যে পথেই যায়, সে পথেই রেখে যায় বিনাশ ও বিষাদ।
17 শান্তির পথ তারা কখনও চেনে নি।”(F)
18 “ঈশ্বরের জন্যে তাদের শ্রদ্ধা নেই।”(G)
19 তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বিধি-ব্যবস্থা যা কিছু বলে তা বিধি-ব্যবস্থার অধীন লোকদেরই বলে। তাই মানুষের আর অজুহাত দেখাবার কিছু নেই, তাদের মুখ বন্ধ। সমস্ত জগত, ইহুদী কি অইহুদী, ঈশ্বরের সামনে দোষী। 20 কারণ বিধি-ব্যবস্থা পালন করলেই যে ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া যায় তা নয়, বিধি-ব্যবস্থা কেবল পাপকে চিহ্নিত করে।
ঈশ্বর কি করে মানুষকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন
21 কিন্তু এখন বিধি-ব্যবস্থা ছাড়াই ঈশ্বর লোকদের তাঁর সম্মুখে ধার্মিক প্রতিপন্ন করার যে কাজ করেছেন তা প্রকাশিত হয়েছে। বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীরা এই নতুন পথের কথাই বলে গেছেন। 22 যীশু খ্রীষ্টের ওপর বিশ্বাস দ্বারাই মানুষ ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়। যারাই খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের সবার জন্যই এই কাজ ঈশ্বর করেন, কারণ তাদের মধ্যে কোন প্রভেদ নেই। 23 সকলেই পাপ করেছে এবং ঈশ্বরের মহিমা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। 24 কিন্তু তারা ঈশ্বরের অনুগ্রহে বিনামূল্যে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্তিলাভ করে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক প্রতিপন্ন হযেছে। 25 ঈশ্বর যীশুকে উৎসর্গীকৃত বলিরূপে আমাদের কাছে দিলেন যেন যারা তাঁকে বিশ্বাস করে, বিশ্বাসের মাধ্যমেই তাদের পাপ সকল ক্ষমা হয়। ঈশ্বর এই কাজের মাধ্যমে দেখান যে তিনি সর্বদাই যা ন্যায় তাই করেন। অতীতেও তিনি সহিষ্ণুতা দেখিয়েছিলেন এবং লোকদের পাপ অনুযায়ী শাস্তি দেন নি; 26 তাঁর পুত্র যীশুকে দান করে আজও তিনি দেখান যে তিনি ন্যায়বান। ঈশ্বর এই কাজ করেছেন যাতে তিনি বিচারে ন্যায়পরায়ণ থাকেন ও যে কেউ যীশুতে বিশ্বাস করে সেও ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়।
27 সেজন্য গর্ব করার মত আমাদের কিছুই রইল না, কারণ বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা নয়, বিশ্বাসের ব্যবস্থা দ্বারা গর্ব করার পথ রুদ্ধ হল। 28 সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি মানুষ বিধি-ব্যবস্থা পালনের জন্য যা করে তার দ্বারা নয়, কিন্তু বিশ্বাসেই সে ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়। 29 ঈশ্বর কেবল ইহুদীদের ঈশ্বর নন, তিনি অইহুদীদেরও ঈশ্বর। 30 ঈশ্বর এক এবং একই উপায়ে সকলকে উদ্ধার করেন। তিনি ইহুদীদের বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন। আবার তিনি অইহুদীদের তাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন। 31 তবে বিশ্বাসের পথে চলে কি আমরা বিধি-ব্যবস্থাকে বাতিল করে দিচ্ছি? কখনই না। বরং বিশ্বাসের পথে চলে আমরা বিধি-ব্যবস্থার যথার্থ উদ্দেশ্য তুলে ধরি।
41 সাত মাসের মাথায় নথনিয়ের পুত্র, ইলীশামার পৌত্র ইশ্মায়েল এসেছিল গদলিয়র কাছে। ইশ্মায়েল সঙ্গে নিয়ে এসেছিল আরো দশ জনকে। ঐ দশ জন লোক, ইশ্মায়েলের সঙ্গীরা এসে ছিল মিস্পা শহরে। ইশ্মায়েল ছিল রাজপরিবারের একজন সদস্য। সে ছিল যিহূদার রাজার রাজসভার একজন সভাসদ। ইশ্মায়েল ও তার সঙ্গীরা গদলিয়র সঙ্গে এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছিল। 2 যখন তারা এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছিল, তখন ইশ্মায়েল ও তার দশ জন সঙ্গী তাদের তরবারি বার করেছিল এবং গদলিয়ের ওপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করেছিল। গদলিয় ছিল সেই জন যে বাবিলের রাজার দ্বারা যিহূদার রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছিল। 3 ইশ্মায়েল হত্যা করেছিল গদলিয়ের সঙ্গে মিস্পায় বাস করা যিহূদার লোকদের এবং বাবিলের সৈন্যদেরও।
4-5 গদলিয় নিহত হবার পরের দিন 80 জন মানুষ মিস্পা শহরে এসেছিল। তারা প্রভুর উপাসনালয়ে এসেছিল শস্য নৈবেদ্য ও হোমবলি নিয়ে। ঐ 80 জন মানুষ তাদের দাড়ি কামিয়ে ফেলেছিল, তাদের জামাকাপড় ছিঁড়ে ছিল এবং তাদের নিজেদের ক্ষতবিক্ষত করেছিল। ঐ লোকরা এসেছিল শিখিম, শীলো এবং শমরিয়া থেকে। তাদের মধ্যে কেউই জানতো না যে গদলিয় নিহত হয়েছে। 6 ইশ্মায়েল মিস্পা ছেড়েছিল এবং ঐ লোকদের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছিল। হাঁটবার সময় সে কাঁদছিল।[a] ঐ লোকদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সে চিৎকার করে বলেছিল, “আমার সঙ্গে চলো তোমরা গদলিয়র সঙ্গে দেখা করতে।” 7-8 তারা যখন গদলিয়র সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে শহরে এসেছিল, ইশ্মায়েল ও তার সঙ্গীরা ঐ 80 জনকে হত্যা করে একটি গভীর জলাধারে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু হত্যার আগে ইশ্মায়েলকে ঐ 80 জনের 10 জন বলেছিল, “আমাদের অন্তত তুমি হত্যা কোরো না। আমরা মাঠের মধ্যে কিছু জিনিস লুকিয়ে রেখেছি। আমাদের গম আছে, যব আছে, তেল ও মধু আছে। এইসব তোমাকে আমরা দেব।” তাই ইশ্মায়েল অন্যদের হত্যা করার সময় ঐ 10 জনকে হত্যা করেনি। 9 (ইশ্মায়েল গভীর জলাধারটি মৃতদেহে ভরিয়ে ফেলেছিল। জলাধারটি ছিল বিশাল। জলাধারটি নির্মিত হয়েছিল যিহূদার রাজা আসার দ্বারা। আসা জলাধারটি তৈরী করেছিল যাতে যুদ্ধের সময় জলের অভাব না হয়। ইস্রায়েলের রাজা বাশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আসা ঐ জলাধারটি তৈরী করেছিল।)
10 ইশ্মায়েল মিস্পা শহরের লোকদের জোর করে তার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল নদী পার করে অম্মোন সম্প্রদায়ের লোকদের দেশে পৌঁছবার জন্য। (ঐ লোকদের মধ্যে ছিল রাজকন্যাগণ, এবং সাধারণ মানুষ যাদের নবূখদ্রিৎসর বন্দী করে নি। নবূষরদন, রাজার বিশেষ রক্ষীদের আধিকারিক, গদলিয়কে এই লোকদের রাজ্যপাল করেছিল।)
11 কারেহের পুত্র যোহানন এবং তার সঙ্গের সেনা আধিকারিকরা ইশ্মায়েলের দুষ্ট কর্মসমূহের কথা শুনেছিল। 12 তারা যুদ্ধের জন্য সৈন্যবাহিনী নিয়ে রওনা দিয়েছিল। তারা ইশ্মায়েলকে ধরেছিল গিবিয়োনে একটি বিশাল জলাশয়ের কাছে। 13 ইশ্মায়েলের বন্দীরা যোহানন এবং তার সঙ্গে সেনা আধিকারিকদের দেখে খুব খুশী হয়েছিল। 14 তারপর মিস্পাতে ইশ্মায়েল কর্ত্তৃক যাদের বন্দী করে নেওয়া হয়েছিল সেই সমস্ত লোকরা কারেহের পুত্র যোহাননের কাছে ছুটে এলো। 15 কিন্তু ইশ্মায়েল কোন মতে তার 8 জন সঙ্গী নিয়ে দৌড়ে লুকিয়ে পড়েছিল অম্মোন দেশের মানুষদের মধ্যে।
16 অতএব গদলিয়কে হত্যা করবার পর ইশ্মায়েল যাদের মিস্পা থেকে বন্দী করেছিল তাদের সবাইকে যোহানন ও তার সেনা আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিল। যারা পড়ে ছিল তারা হল সৈন্যগণ, মহিলাগণ, ছোট ছোট বাচ্চারা এবং রাজ সভার উচ্চপদস্থ কর্মচারীগণ। গিবিয়োন শহর থেকে এইসব লোকদের যোহানন ফেরৎ এনেছিল।
মিশরে পলায়ন
17-18 যোহানন এবং তার সেনা প্রধানরা কল্দীয়দের ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছিল। গদলিয় যিহূদার রাজ্যপাল হিসেবে বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসর দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিল, কিন্তু পরে ইশ্মায়েল তাকে হত্যা করে। তাই যোহানন ভেবেছিল যে এই খবর পেয়ে কল্দীয়রা রেগে যাবে। কারণ ইশ্মায়েল তাদের পরিচিত। তাই তারা দ্রুত মিশর ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মিশর যাওয়ার পথে বৈৎলেহেম শহরের কাছে গেরুথ কিমহমের যে সরাইখানা আছে সেখানে তারা থেকে গিয়েছিল।
দায়ূদের একটি প্রার্থনা।
17 হে প্রভু, ন্যায্য বিচারের জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
আমি উচ্চস্বরে আপনাকে ডাকছি
এবং আমি যা বলছি, সৎভাবে বলছি।
অতএব, আমার প্রার্থনা শুনুন।
2 আপনি আমার সম্পর্কে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন।
আপনি সত্যকে দেখতে পান।
3 আপনি আমার অন্তরের গভীর পর্যন্ত দেখেছেন।
সারারাত আপনি আমার সঙ্গে ছিলেন।
আপনি আমায় জিজ্ঞাসা করেছেন এবং আমার মধ্যে কোন ত্রুটি পান নি।
আমি কোন মন্দ ফন্দি করি নি।
4 আপনার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে,
মানুষের পক্ষে যতখানি কঠিন প্রচেষ্টা সম্ভব, তা আমি করেছি।
5 আমি আপনার পথ অনুসরণ করেছি।
আমার দুটি পা আপনার প্রদর্শিত জীবনের চলার পথ কখনও পরিত্যাগ করে নি।
6 হে ঈশ্বর, আমি আপনাকে ডাকছি, দয়া করে আমায় উত্তর দিন।
আমার কথা শুনুন, আমার প্রার্থনা শুনুন।
7 হে ঈশ্বর, যারা আপনার ওপর নির্ভর করে,
তাদের আপনি সাহায্য করেন।
সেই সব লোক আপনার ডানদিকে দাঁড়াবে।
তাই দয়া করে, আপনার এক অনুগামীর প্রার্থনা শুনুন।
8 আপনার চোখের মণির মত আমায় রক্ষা করুন।
আপনার ডানার ছায়ায় আমায় আশ্রয় দিন।
9 প্রভু, সেই সব মন্দ লোক, যারা আমাকে বিনষ্ট করতে চাইছে, তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
যারা আমার চার পাশে থেকে আমাকে আঘাত করতে চাইছে, তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
10 ঐসব মন্দ লোক এত অহঙ্কারী যে তারা ঈশ্বরের বাক্য শুনতেই চায় না
এবং তারা নিজেদের সম্পর্কে বড়াই করে।
11 ঐসব লোক আমাকে তাড়া করেছে।
এখন তারা আমার চারপাশে রয়েছে।
তারা আক্রমণ করার জন্য তৈরী হয়ে রয়েছে।
12 ঐসব মন্দ লোক সিংহের মত অন্য পশুকে হত্যা করে খাবার জন্য অপেক্ষা করছে।
তারা সিংহের মত লুকিয়ে থাকে, আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকে।
13 প্রভু উঠুন এবং শত্রুদের কাছে যান।
ওদের দিয়ে আত্মসমর্পণ করান।
আপনার তরবারি ব্যবহার করে আমাকে মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
14 প্রভু, আপনার ক্ষমতা দ্বারা
দুষ্ট লোকদের বসতভূমি থেকে উচ্ছেদ করুন।
প্রভু, বহু লোক আপনার সাহায্যের জন্য এসেছে।
এই জীবনে এইসব লোকদের খুব বেশী কিছু নেই।
ঐসব লোককে প্রচুর খাদ্য দিন।
ওদের শিশুরা যা চায় সব দিন।
ওদের শিশুদের এতই বেশী পরিমান দিন যেন, ওরা ওদের শিশুদের জন্যও উদ্বৃত্ত খাদ্য রেখে যেতে পারে।
15 আমি বিচারের জন্য প্রার্থনা করেছি, তাই হে প্রভু আমি আপনাকে দেখবো।
এবং হে প্রভু, আপনাকে দেখে পরিপূর্ণভাবে পরিতৃপ্ত হব।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International