M’Cheyne Bible Reading Plan
যিপ্তহ ও ইফ্রয়িম
12 ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা সৈন্যদের ডাক দিল। তারপর নদী পেরিয়ে তারা সকলে সাফোন শহরে গেল। তারা যিপ্তহকে বলল, “কেন তুমি অম্মোনদের সঙ্গে লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য চাও নি? আমরা তোমায় পুড়িয়ে মারব। তোমার বাড়িও জ্বালিয়ে দেব।”
2 যিপ্তহ জবাব দিল, “অম্মোনরা আমাদের নানা সমস্যায় ফেলেছিল। তাই আমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। আমি তো তোমাদের সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউই আমায় সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নি। 3 যখন দেখলাম তোমরা কেউ কোন সাহায্য করবে না, তখন আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে অম্মোনদের সঙ্গে যুদ্ধে নেমে পড়লাম। ওদের হারাতে প্রভু আমায় সাহায্য করলেন। তাহলে আজ কেন তোমরা আমার সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছ?”
4 তারপর যিপ্তহ গিলিয়দের সব লোকদের ডাকল। তারা ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করল। কারণ ইফ্রয়িমরা গিলিয়দের লোকদের অপমান করেছিল। তারা বলেছিল, “তোমরা গিলিয়দের লোকরা শুধুমাত্র ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর থেকে বেঁচে যাওয়া লোক, এছাড়া তোমাদের কোনো পরিচয় নেই। তোমাদের থাকার মতো কোন জমিজায়গা নেই। তোমরা কিছুটা ইফ্রয়িমের, কিছুটা মনঃশির।” গিলিয়দের লোকরা ইফ্রয়িমের লোকদের হারিয়ে দিল।
5 যে যে জায়গা দিয়ে লোকরা যর্দন নদী অতিক্রম করত গিলিয়দের লোকরা সেইসব জায়গা দখল করে নিল। এসব জায়গা দিয়ে ইফ্রয়িমের দেশে যাওয়া যেত। যখনই ইফ্রয়িমের কোন বেঁচে থাকা লোক বলত, “আমায় নদী পার হতে দাও,” গিলিয়দের লোক জিজ্ঞাসা করত, “তুমি কি একজন ইফ্রয়িম?” যদি সে বলত, “না,” 6 তাহলে তারা বলত, “আচ্ছা, তবে বলো তো ‘শিব্বোলেৎ।’” ইফ্রয়িমের লোকরা শব্দটা ঠিকমত উচ্চারণ করতে পারত না। তারা উচ্চারণ করত “সিব্বোলেৎ।” তাই তাদের মধ্যে কোন লোক যদি বলত, “সিব্বোলেৎ” তাহলে গিলিয়দের লোকরা বুঝতে পারতো সে একজন ইফ্রয়িম। সঙ্গে সঙ্গে তারা তাকে ঘাট পারাপারের জায়গায় মেরে ফেলতো। এইভাবে তারা 42,000 ইফ্রয়িমের লোককে হত্যা করেছিল।
7 ছ’বছর যিপ্তহ ইস্রায়েলীয়দের বিচারক ছিল। তারপর সে মারা গেল। গিলিয়দে তার শহরে তাকে ওরা কবর দিল।
বিচারক ইবসন
8 যিপ্তহর মৃত্যুর পর ইস্রায়েলবাসীদের বিচারক হল ইব্সন। তার বাড়ি বৈৎলেহেম শহরে। 9 তার 30 জন পুত্র আর 30 জন কন্যা ছিল। 30জন কন্যাকে ইব্সন বলল যারা আত্মীয় নয় এমন পুরুষদেরই বিয়ে করতে। তার 30জন পুত্রও বিয়ে করল অনাত্মীয় 30জন কন্যাকে। ইব্সন সাত বছর ধরে ইস্রায়েলের বিচারক ছিল। 10 ইবসন মারা গেলে তাকে বৈৎলেহমে কবর দেওয়া হল।
বিচারক এলোন
11 ইব্সনের পর বিচারক হল এলোন। সবূলূন পরিবারগোষ্ঠীর লোক। সে দশ বছর ইস্রায়েলীয়দের বিচারক ছিল। 12 তারপর তার মৃত্যু হল। তাকে সবূলূন দেশের অয়ালোন শহরে কবর দেওয়া হয়েছিল।
বিচারক অব্দোন
13 এলোনের পর, হিল্লেলের পুত্র অব্দোন ইস্রায়েলীয়দের বিচারক হল। অব্দোন পিরিয়াথোন শহর থেকে এসেছিল। 14 অব্দোনের 40 জন পুত্র আর 30 জন পৌত্র ছিল। তারা 70টা গাধার ওপর চড়ে বেড়াত। অব্দোন আট বছর বিচারক ছিল। 15 তারপর সে মারা গেল। তাকে পিরিয়াথোন শহরে কবর দেওয়া হল। শহরটি ইফ্রয়িমদের দেশে অবস্থিত। অমালেকীয়রা এই পাহাড়ী দেশে বাস করত।
পৌল ও সীলের সঙ্গে তীমথিয়র যাত্রা
16 পৌল দর্বী ও লুস্ত্রার শহরে গেলেন; সেখানে তীমথিয় নামে একজন খ্রীষ্টানুসারী ছিলেন। তীমথিয়র মা ছিলেন ইহুদী খ্রীষ্টীয়ান, তাঁর বাবা ছিলেন গ্রীক। 2 লুস্ত্রা ও ইকনীয়ের সকল ভাইরা তীমথিয়কে শ্রদ্ধা করত ও তাঁর বিষয়ে সুখ্যাতি করত। 3 পৌল চাইলেন সুসমাচার প্রচারের জন্য যেন তীমথিয় তাঁর সঙ্গে যান। তাই তিনি ঐসব জায়গায় ইহুদীদের সন্তুষ্ট করতে তীমথিয়কে সুন্নত করালেন, কারণ তাঁর বাবা যে গ্রীক একথা সকলে জানত।
4 পরে পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা বিভিন্ন শহরের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে, সেখানকার বিশ্বাসী ভাইদের কাছে জেরুশালেমের প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের নির্ধারিত নির্দেশ জানালেন। 5 এইভাবে মণ্ডলীগুলি বিশ্বাসে দৃঢ় হতে থাকল ও প্রতিদিন সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকল।
এশিয়ার বাইরে পৌলকে আহ্বান
6 পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা ফরুগিয়া ও গালাতিয়ায় গেলেন, কারণ এশিয়ায় সুসমাচার প্রচার করার বিষয়ে পবিত্র আত্মা তাঁদের অনুমতি দিলেন না। 7 তাঁরা মুশিয়ার সীমান্তে এলেন এবং বিথুনিয়ায় যেতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু যীশুর আত্মা তাদের সেখানেও যেতে দিলেন না। 8 তাই তাঁরা মুশিয়ার মধ্য দিয়ে ত্রোয়াতে গিয়ে পৌঁছালেন।
9 সেই রাত্রে পৌল এক দর্শন পেলেন; তিনি দেখলেন একজন মাকিদনিয়ান লোক দাঁড়িয়ে অনুনয় করে বলছে, “মাকিদনিয়ায় আসুন! আমাদের সাহায্য করুন।” 10 পৌলের এই দর্শন পাওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে মাকিদনিয়ায় যাওয়ার স্থির করলাম, আমরা বুঝতে পারলাম যে সেখানে সুসমাচার প্রচার করার জন্য ঈশ্বর আমাদের ডাকছেন।
লুদিয়ার মন পরিবর্তন
11 আমরা ত্রোয়া ছেড়ে জলপথে সোজা সামথ্রাকীতের দিকে রওনা দিলাম, আর পরদিন নিয়াপলিতে পৌঁছালাম। 12 সেখান থেকে আমরা ফিলিপীতে গেলাম। ফিলিপী হল মাকিদনিয়ার ঐ অংশের এক উল্লেখযোগ্য শহর, এক রোমান উপনিবেশ। আমরা সেখানে কিছুদিন থাকলাম।
13 বিশ্রামবারে আমরা শহরের ফটকের বাইরে নদীর ধারে গেলাম, মনে করলাম সেখানে নিশ্চয়ই কোন প্রার্থনার জায়গা আছে। আর সেখানে যে সব স্ত্রীলোক সমবেত হয়েছিলেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলাম। 14 সেখানে লুদিয়া নামে এক মহিলা ছিলেন, তাঁর বেগুনে রঙের কাপড়ের ব্যবসা ছিল। থুয়াতীরা শহর থেকে আগত এই মহিলা সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করতেন। তিনি আমাদের কথা শুনছিলেন, আর ঈশ্বর তাঁর হৃদয় খুলে দিলে তিনি পৌলের কথা মন দিয়ে শুনে বিশ্বাস করলেন। 15 তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলে বাপ্তাইজ হলে পর, তিনি অনুরোধের সুরে আমাদের বললেন, “আপনারা যদি আমাকে প্রভুর প্রকৃত বিশ্বাসী মনে করে থাকেন, তবে আমার বাড়িতে এসে থাকুন।” আর তাঁর বাড়িতে থাকবার জন্য আমাদের অনেক পীড়াপীড়ি করলেন।
কারাগারে পৌল ও সীল
16 একদিন আমরা যখন প্রার্থনা করার জন্য যাচ্ছিলাম, তখন একজন ক্রীতদাসী আমাদের সামনে এল। তার উপর এমন এক বিশেষ মন্দ আত্মা ভর করে ছিল যার প্রভাবে সে মানুষের ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারত। এই করে সে তার মনিবদেব বেশ রোজগারের রাস্তা করে দিয়েছিল। 17 সে আমাদের ও পৌলের পিছু ধরল আর চিৎকার করে বলতে লাগল, “এই লোকরা পরাৎপর ঈশ্বরের দাস। তাঁরা বলেন কিভাবে তোমরা উদ্ধার পেতে পারো।” 18 এভাবে সে অনেকদিন ধরে বলতে লাগল। শেষে পৌল এতে বিরক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই আত্মাকে বললেন, “যীশু খ্রীষ্টের নামে আমি তোকে আদেশ করছি যে তুই এর থেকে বেরিয়ে যা।” তাতে সেই মন্দ আত্মা সঙ্গে সঙ্গে বার হয়ে গেল।
19 সেই ক্রীতদাসীর মনিবরা তা দেখল, আর সেই ক্রীতদাসীকে কাজে লাগিয়ে তাদের অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হল বুঝতে পেরে তারা পৌল ও সীলকে ধরে টানতে টানতে বাজারে কর্ত্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে গেল। 20 তারা নগরের কর্ত্তৃপক্ষের সামনে পৌল ও সীলকে নিয়ে এসে বলল, “এরা ইহুদী, আর এরা আমাদের শহরে গণ্ডগোলের সৃষ্টি করছে! 21 এরা এমন সব রীতি নীতি পালনের কথা বলছে যা পালন করা আমাদের পক্ষে নীতিবিরুদ্ধ কাজ, কারণ আমরা রোমান নাগরিক। আমরা ঐসব পালন করতে পারি না।”
22 তখন সেই জনতা তাঁদের ওপর মারমুখী হয়ে উঠল। নগররক্ষকগণ পৌল ও সীলের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে তাঁদের বেত মারার জন্য হুকুম দিলেন। 23 পৌল ও সীলকে জনতা খুব মারধোর করার পর নেতারা তাঁদের কারাগারে পুরে দিল এবং কারারক্ষককে কড়া পাহারা দিতে বলল। 24 কারারক্ষক এই নির্দেশ পেয়ে পৌল ও সীলকে কারাগারের ভেতরের কক্ষে নিয়ে গিয়ে দেওয়ালে বসানো কাঠের বেড়িগুলির মধ্যে তাঁদের পা আটকে দিল।
25 মাঝরাতে পৌল ও সীল ঈশ্বরের স্তবগান ও প্রার্থনা করছিলেন, অন্য বন্দীরা তা শুনছিল। 26 হঠাৎ প্রচণ্ড ভূমিকম্পে কারাগারের ভিত কেঁপে উঠল আর সঙ্গে সঙ্গে কারাগারের সব দরজা খুলে গেল, বন্দীদের শেকল খসে পড়ল। 27 কারারক্ষক জেগে উঠে যখন দেখলেন যে কারাগারের সব দরজা খোলা তখন তিনি কোষ থেকে তাঁর তরবারি বার করে আত্মহত্যা করতে চাইলেন, কারণ তিনি ভাবলেন বন্দীরা সব পালিয়েছে। 28 কিন্তু পৌল চিৎকার করে বলে উঠলেন, “নিজের ক্ষতি করবেন না! আমরা সকলেই এখানে আছি!”
29 তখন কারারক্ষক কাউকে আলো আনতে বলে ভেতরে দৌড়ে গেলেন, আর ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পৌল ও সীলের সামনে উপুড় হয়ে পড়লেন। 30 পরে তাঁদের বাইরে নিয়ে এসে বললেন, “মহাশয়রা, উদ্ধার পেতে হলে আমায় কি করতে হবে?”
31 তাঁরা বললেন, “প্রভু যীশুর ওপর বিশ্বাস করুন, তাহলে আপনি ও আপনার গৃহের সকলেই উদ্ধার লাভ করবেন।” 32 এরপর তাঁরা সেই কারারক্ষক ও তাঁর বাড়ির লোকের কাছে প্রভুর বার্তা প্রচার করলেন। 33 বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু কারারক্ষক সেই রাতেই পৌল ঔ সীলের সমস্ত ক্ষত ধুয়ে দিলেন এবং সপরিবারে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন। 34 এরপর কারারক্ষক পৌল ও সীলকে নিজের গৃহে নিয়ে গিয়ে তাঁদের আহারের ব্যবস্থা করলেন। ঈশ্বরে বিশ্বাসী হওয়ায় তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলে খুব আনন্দিত হলেন।
35 পরদিন সকাল হলে শাসকগণ রক্ষীবাহিনীদের দিয়ে কারারক্ষককে বলে পাঠালেন, “ঐ লোকদের ছেড়ে দাও!”
36 তখন কারারক্ষক সেকথা পৌলকে জানালেন, “নগর অধ্যক্ষরা আপনাদের ছেড়ে দেবার জন্য বলে পাঠিয়েছেন, তাই এখন আপনারা নির্বিঘ্নে এখান থেকে চলে যান।”
37 কিন্তু পৌল তাদের বললেন, “আমরা রোমান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা আমাদের বিচার না করেই সকলের সামনে বেত মেরেছেন। শেষে আমাদের কারাগারে বন্দী করেছিলেন। এখন তাঁরা চুপি-চুপি আমাদের ছেড়ে দিতে চাইছেন? এ হতে পারে না! তাঁদের এখানে আসতে হবে আর এসে আমাদের কারাগারের বাইরে নিয়ে যেতে হবে।”
38 সেই রক্ষীবাহিনীর লোকরা বিচারকদের জানাল যে পৌল ও সীল রোমান নাগরিক, তখন তাঁরা ভয় পেয়ে গেলেন। 39 তাই তাঁরা এসে ক্ষমা চাইলেন, আর তাঁদের কারাগারের বাইরে নিয়ে গিয়ে সেই শহর ছেড়ে চলে যাবার জন্য অনুরোধ করলেন। 40 পৌল ও সীল কারাগার থেকে বাইরে এসে লুদিয়ার বাড়ি গেলেন। সেখানে বিশ্বাসীদের সঙ্গে দেখা হলে তাদের সকলকে উৎসাহ দিলেন। এরপর পৌল ও সীল শহর ছেড়ে চলে গেলেন।
যিরমিয়র ধর্মপ্রচারের সারমর্ম
25 যিহূদার লোকদের সম্বন্ধে যিরমিয়র কাছে এই বার্তা এসেছিল। যিহূদার রাজা হিসাবে যিহোয়াকীমের রাজত্ব কালের চতুর্থতম বছরে এই বার্তা এসেছিল। যোশিয়ের পুত্র যিহূদা রাজ যিহোয়াকীমের রাজত্ব কালের চতুর্থ বছর ছিল বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরের রাজত্ব কালের প্রথম বছর। 2 এই বার্তা ভাববাদী যিরমিয়, যিহূদা ও জেরুশালেমের সমস্ত মানুষকে শুনিয়েছিল:
3 বিগত 23 বছর ধরে আমি বার বার তোমাদের কাছে প্রভুর বাণী দিয়ে এসেছি। আমোনের পুত্র যোশিয় যিহূদার রাজা হবার ত্রয়োদশ বছর থেকে আমি একজন ভাববাদী। আমার ভাববাদী প্রাপ্তির সময় যিহূদার রাজা ছিলেন আমোনের পুত্র যোশিয়। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত আমি তোমাদের কাছে প্রভুর বার্তা প্রচার করে আসছি। কিন্তু তোমরা কেউ তা শোননি। 4 প্রভু তার ভৃত্যদের ও ভাববাদীদের বার বার পাঠানো সত্ত্বেও, তোমরা, তারা কি বলেছিল তা শোননি এবং তাদের দিকে মনোযোগ দাওনি।
5 এই ভাববাদীরা বলেছিল, “তোমাদের জীবনযাত্রা বদলাও এবং খারাপ কাজ করা বন্ধ করো! নিজেদের জীবনযাত্রা পাল্টালে তবে তোমরা প্রভুর দেশে ফিরতে পারবে যেটা প্রভুর দ্বারা বহু কাল আগে তোমাদের পূর্বপুরুষদের দেওয়া হয়েছিল এবং চিরকালের জন্য এখানে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। 6 অন্য দেবতাদের অনুসরণ কোরো না। মানুষের তৈরী মূর্ত্তিগুলোর পূজো অথবা সেবা কোরো না। যদি তা করো তাহলে আমি ক্রুদ্ধ হব। আর আমার ক্রোধ তোমাদেরই ক্ষতি করবে।”
7 “কিন্তু তোমরা আমার কথা শোন নি।” এই হল প্রভুর বার্তা। “ঐ মূর্ত্তিদের পূজা করে তোমরা আমাকে ক্রুদ্ধ করেছ এবং সেটা তোমাদেরই ক্ষতি করেছে।”
8 প্রভু সর্বশক্তিমান যা বলেন তা হল, “তোমরা আমার কথাগুলো শোননি। 9 তাই শীঘ্রই উত্তরের সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীকে এবং বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরকে যিহূদার লোকদের বিরুদ্ধে পাঠাব। নবূখদ্রিৎসর হল আমার অনুচর। আমি তাদের যিহূদার চার পাশের সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে আনব। আমি যিহূদা ও তার চারপাশের সমস্ত দেশগুলিকে ধ্বংস করব এবং তাদের একটি চিরকালীন শূন্য মরুভূমিতে পরিণত করব। মানুষ শিস দিতে দিতে দেখবে কিভাবে সেই সব দেশ ধ্বংস হবে। 10 ঐ দেশগুলিতে আর কোন আনন্দমুখর ধ্বনির উৎপত্তি হবে না। বিয়ের সানাই বেজে উঠবে না। শস্যদানা পেষাইয়ের কোন আওয়াজ থাকবে না। আমি রাতে সমস্ত বাতিগুলোর আলো কেড়ে নেব। 11 পুরো এলাকাটি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং একটি শূন্য মরুভূমিতে পরিণত হবে। আর সমস্ত মানুষ আগামী 70 বছরের জন্য বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরের দাসত্ব করবে।
12 “কিন্তু 70 বছর পূর্ণ হবার পর বাবিলের রাজাকেও আমি শাস্তি দেব। শাস্তি দেব সমগ্র বাবিলবাসীকে তাদের পাপের জন্য।” এই হল প্রভুর বার্তা। “বাবিলও শূন্য মরুভূমিতে পরিণত হবে। 13 যিরমিয়র ভাববাণীর মাধ্যমে আমি ঐ বিদেশগুলির সম্বন্ধে যেসব খারাপ ঘটনা ঘটবে বলে আগে বলেছিলাম সেইগুলো সত্য হবে। এই বইয়ে ঐ সমস্ত সতর্কবাণী লেখা আছে। এবং এই বইয়ে যে সমস্ত সতর্কবাণী লেখা আছে সেগুলোও প্রচার করো। 14 হ্যাঁ, বাবিলের লোকদের বহু জাতিদের এবং মহৎ রাজাদের সেবা করতে হবে। তাদের কৃতকার্যের যোগ্য শাস্তি আমি দেব।”
বিশ্বের অন্যান্য জাতিগুলির বিচার
15 প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর আমাকে এই কথাগুলি বললেন: “যিরমিয়, আমার হাত থেকে এই পেয়ালা ভর্ত্তি দ্রাক্ষারস নাও। এই দ্রাক্ষারস হল আমার ক্রোধ। আমি তোমাকে অন্য জাতিদের কাছে পাঠাচ্ছি। অন্যান্য দেশগুলিকে এই পেয়ালা থেকে চুমুক দেওয়াও। 16 তারা এই দ্রাক্ষারস পান করবে। তারা বমি করবে। পাগলের মতো আচরণ করবে। তারা এরকম ব্যবহার করবে কারণ আমি শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে তরবারিটি পাঠাব।”
17 সুতরাং আমি প্রভুর হাত থেকে দ্রাক্ষা ভর্ত্তি পেয়ালা তুলে নিলাম। আমি সেই সমস্ত দেশে গেলাম এবং তাদের সেই পেয়ালার দ্রাক্ষারস পান করালাম। 18 আমি জেরুশালেম এবং যিহূদার লোকদের জন্য এই দ্রাক্ষারস ঢেলে দিলাম। আমি যিহূদার রাজা এবং তার নেতাদের এই দ্রাক্ষারস পান করালাম। আমি এমন করেছিলাম যাতে তারা মরুভূমির মতো শুকিয়ে যায়। জেরুশালেম ও যিহূদা যাতে এমন ভাবে ধ্বংস হয় যা দেখে লোকরা শিস দিয়ে অভিশাপ দিতে পারে। এবং তাই ঘটেছিল বলে যিহূদার এখন এই দুরবস্থা।
19 মিশরের রাজা ফরৌণকেও আমি ঐ পেয়ালার দ্রাক্ষারস পান করালাম। রাজার সভাষদ, নেতৃবৃন্দ এবং তার সমস্ত লোকরা প্রভুর ক্রোধের পেয়ালা থেকে দ্রাক্ষারস পান করল।
20 সমস্ত আরবের লোক এবং ঊষ দেশের সমস্ত রাজাকেও এই দ্রাক্ষারস পান করালাম।
আমি পলেষ্টীয় দেশের সমস্ত রাজাদেরও এর থেকে পান করালাম। এরা ছিল অস্কিলোন, ঘসা, ইক্রোণ শহরের এবং অস্দোদ শহরের বেঁচে যাওয়া অংশের রাজাগণ।
21 তারপর আমি ইদোম, মোয়াব এবং অম্মোন দেশের লোকদেরও ঐ দ্রাক্ষারস পান করালাম।
22 সোর এবং সীদোনের শহরের রাজাদের ঐ পেয়ালার দ্রাক্ষারস পান করালাম।
বহু দূরের দেশগুলির রাজাদেরও ঐ দ্রাক্ষারস পান করালাম। 23 দদান, টেমা, ছিন্নগুম্ফ এবং বূষ এর লোকদেরও ঐ দ্রাক্ষারস পান করালাম। যারা তাদের মন্দিরে চুল কেটেছে তাদেরও ঐ পেয়ালার দ্রাক্ষারস পান করালাম। 24 আরবের সমস্ত রাজা যারা মরুভূমিতে বাস করে তাদেরও পান করালাম। 25 সিম্রী, এলম এবং মাদীয়দের রাজাদেরও ঐ পেয়ালা থেকে পান করালাম। 26 আমি উত্তরের রাজাদের কাছে, যারা কাছে এবং দূরে ছিল তাদের কাছে গিয়েছিলাম। একের পর এক রাজাকে আমি ঐ দ্রাক্ষারস পান করালাম। ঐ দ্রাক্ষারসের পেয়ালা থেকে প্রভুর ক্রোধ পান করাবার জন্য আমি পৃথিবীর প্রত্যেকটি রাজ্যে গেলাম। কিন্তু বাবিলের[a] রাজা আর সমস্ত রাজ্যগুলির পরে এই দ্রাক্ষারস পান করবে।
27 “যিরমিয়, ঐ সমস্ত দেশগুলিকে বলো, সর্বশক্তিমান প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেছেন, ‘আমার ক্রোধ ভর্ত্তি ঐ দ্রাক্ষারস পান কর এবং তারপর বমি কর। তারপর শুয়ে পড়ো এবং উঠে দাঁড়িও না। কারণ এরপর আমি তোমাদের হত্যা করার জন্য তরবারি পাঠাচ্ছি।’
28 “তোমার হাত থেকে ঐ দ্রাক্ষারস পান করতে যে সমস্ত লোকরা অস্বীকার করবে তাদের বলবে, ‘প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বলেন: প্রকৃতপক্ষে তোমরা এই পেয়ালার দ্রাক্ষারস পান করবে! 29 আমার নামাঙ্কিত জেরুশালেম শহরে আমি ইতিমধ্যেই খারাপ ঘটনাগুলি ঘটাচ্ছি। যদি তোমরা ভেবে থাকো যে তোমরা হয়তো শাস্তি পাবে না, তাহলে ভুল ভাববে। শাস্তি তোমরাও পাবে। পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে আমি তরবারির দ্বারা আক্রমণ করব।’” এই হল প্রভুর বার্তা।
30 “যিরমিয়, তুমি আমার বার্তা তাদের দেবে:
‘ওপর থেকে, তাঁর পবিত্র মন্দির থেকে
প্রভু তাঁর পশুচারণ ভুমির (তাঁর লোক জন) প্রতি চিৎকার করে উঠলেন।
দ্রাক্ষারস তৈরীর সময় শ্রমিকরা যেমন দ্রাক্ষার উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সমস্বরে চিৎকার করে
তেমনি জোরে চিৎকার করছেন প্রভু।
31 পৃথিবীর সমস্ত লোকের মধ্যে এই আওয়াজ ছড়িয়ে পড়লো।
এটা কিসের আওয়াজ?
প্রভু সমস্ত দেশের মানুষদের শাস্তি দিচ্ছেন।
লোকের বিরুদ্ধে প্রভু তাঁর যুক্তি দেখাচ্ছেন।
তিনি তাদের বিচার করেছেন
এবং এখন তিনি সমস্ত অসৎ লোকদের একটি তরবারি দিয়ে হত্যা করছেন।’”
এই হল প্রভুর বার্তা।
32 প্রভু সর্বশক্তিমান যা বলেছেন তা হল:
“শীঘ্রই এক দেশ থেকে আর এক দেশে
বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়বে।
ভয়ঙ্কর ঝড়ের মতো সেই প্রলয়
পৃথিবীর বহু দূরে দূরে ছড়িয়ে যাবে।”
33 মৃত দেহগুলি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকবে। কেউ শোক প্রকাশ করে কাঁদবে না। কেউ সেই মৃতদেহগুলি একত্রিত করে সৎকার করার বন্দোবস্ত করবে না। মৃত দেহগুলি পশুর বিষ্ঠার মতো মাটিতে পড়ে থাকবে।
34 মেষপালকরা (নেতারা) তোমরা মেষদের (লোকদের) নেতৃত্ব দেবে।
মহান নেতৃবৃন্দ এবার কাঁদতে শুরু করো।
মেষদের (মানুষদের) নেতারা যন্ত্রণায় মাটিতে ছটফট করো।
কেন? কারণ এখন তোমাদের জবাই করার সময় এসেছে।
আমি তোমাদের ছড়িয়ে দেব, ঠিক যেমন একটি মাটির পাত্র ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে তেমন করে।
35 সেখানে মেষপালকদের লুকানোর কোন জায়গা থাকবে না।
ঐ নেতারা পালাতে পারবে না।
36 আমি শুনতে পাচ্ছি মেষপালকরা চিৎকার করছে।
কান্নাকাটি করছে।
প্রভু তাদের গোচারণ ভূমিগুলি (দেশ) ধ্বংস করছেন।
প্রভু ক্রুদ্ধ হয়েছেন বলে এগুলো ঘটছে।
37 প্রভুর ক্রোধের জন্য
ঐ শান্তিপূর্ণ গোচারণ ভূমিগুলি একটি শূন্য মরুভূমির মত।
38 প্রভু হলেন গুহা থেকে বেরিয়ে আসা
একটি ভয়ঙ্কর সিংহের মত।
তাঁর ক্রোধে লোকরা আহত হবে।
এই দেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে।
রাজার মতো যীশুর জেরুশালেমে প্রবেশ
(মথি 21:1-11; লূক 19:28-40; যোহন 12:12-19)
11 এরপর তাঁরা জেরুশালেমের কাছাকাছি পৌঁছে জৈতুন পর্বতমালায় বৈৎফগী ও বৈথনিয়া গ্রামে এলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি তাঁর শিষ্যদের মধ্যে দুজনকে আগে পাঠিয়ে দিলেন। 2 তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরা তোমাদের সামনের ঐ গ্রামে যাও, গ্রামে ঢুকেই দেখবে একটা বাচ্চা গাধা বাঁধা আছে, যাতে কেউ কখনও বসে নি। সেই গাধাটাকে খুলে আন। 3 যদি কেউ তোমাদের জিজ্ঞাসা করে, ‘কেন তুমি গাধাটি খুলছ?’ তখন তাকে বলবে, ‘এটা প্রভুর কাজে লাগবে আর সে তখনই সেটা পাঠিয়ে দেবে।’”
4 তাঁরা সেখানে গেলেন এবং দেখলেন দরজার কাছে রাস্তার ওপর একটা গাধা বাঁধা আছে। তখন তাঁরা দড়িটাকে খুলতে লাগলেন, 5 আর কিছু লোক সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তারা তাঁদের বলল, “তোমরা কি করছ, গাধার বাচ্চাটাকে খুলছ কেন?” 6 তাতে যীশু যেমন বলেছিলেন, তাঁরা সেইমতো উত্তর দিলেন, তখন লোকেরা আর কিছু বলল না, গাধার বাচ্চাটাকে নিয়ে যেতে দিল।
7 তাঁরা গাধার বাচ্চাটাকে যীশুর কাছে নিয়ে এসে গাধাটির উপরে তাদের জামাকাপড় পেতে দিলেন এবং যীশু তার উপরে বসলেন। 8 তখন অনেকে তাদের জামাকাপড় রাস্তায় পেতে দিল আর অন্যেরা মাঠ থেকে পাতা ঝরা গাছের ডালপালা কেটে এনে রাস্তার উপরে ছড়িয়ে দিল। 9 আর যে সমস্ত লোক আগে এবং পেছনে যাচ্ছিল তারা চেঁচিয়ে বলতে লাগল,
10 “আমাদের পিতৃপুরুষ দায়ূদের যে রাজ্য আসছে,
তা ধন্য! হোশান্না!
স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমা হোক্।”
11 তিনি জেরুশালেমে ঢুকে মন্দিরে গেলেন। সেখানে চারদিকের সমস্ত কিছু লক্ষ্য করলেন; কিন্তু সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় বারোজন প্রেরিতকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বৈথনিয়াতে ফিরে গেলেন।
বিশ্বাসযুক্ত প্রার্থনার বিষয়ে শিক্ষা
(মথি 21:18-19)
12 পরের দিন বৈথনিয়া ছেড়ে আসার সময় তাঁর খিদে পেল। 13 দূর থেকে তিনি একটি পাতায় ভরা ডুমুর গাছ দেখে তাতে কিছু ফল পাবেন ভেবে তার কাছে গেলেন, কিন্তু গাছটির কাছে গেলে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না; কারণ তখন ডুমুর ফলের মরশুম নয়। 14 তখন তিনি গাছটিকে বললেন, “এখন থেকে তোমার ফল আর কেউ কোন দিন খাবে না!” এই কথা তাঁর শিষ্যেরা শুনতে পেলেন।
যীশু মন্দিরে গেলেন
(মথি 21:12-17; লূক 19:45-48; যোহন 2:13-22)
15 পরে তাঁরা জেরুশালেমে গেলেন; আর মন্দিরের মধ্যে ঢুকে যারা কেনা-বেচা করছিল সেইসব ব্যবসায়ীদের বাইরে বার করে দিলেন। তিনি পোদ্দারদের টেবিল এবং যারা পায়রা বিক্রি করছিল তাদের আসন উল্টে দিলেন। 16 তিনি মন্দিরের মধ্যে দিয়ে কাউকে কোন জিনিস নিয়ে যেতে দিলেন না। 17 তিনি শিক্ষা দিয়ে তাদের বললেন, “এটা কি লেখা নেই ‘আমার মন্দিরকে সমগ্র জাতির উপাসনা গৃহ বলা হবে?’(B) কিন্তু তোমরা এটাকে ‘দস্যুদের আস্তানায় পরিণত করেছ।’(C)”
18 প্রধান যাজকরা এবং ব্যবস্থার শিক্ষকরা এই কথা শুনে তাঁকে হত্যা করার রাস্তা খুঁজতে থাকল, কারণ তারা তাঁকে ভয় করত, যেহেতু তাঁর শিক্ষায় সমগ্র লোক আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল 19 সেই দিন সন্ধ্যে হলেই যীশু ও তাঁর শিষ্যরা মহানগরীর বাইরে গেলেন।
বিশ্বাসের শক্তি
(মথি 21:20-22)
20 পরের দিন সকালে যেতে যেতে তাঁরা দেখলেন, সেই ডুমুর গাছটি মূল থেকে শুকিয়ে গেছে। 21 পিতর আগের দিনের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, “হে গুরু, দেখুন, আপনি যে ডুমুর গাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন সেটি শুকিয়ে গেছে।”
22 তখন যীশু বললেন, “ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ! 23 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কেউ যদি ঐ পাহাড়কে বলে, ‘উপরে যাও এবং সমুদ্রে গিয়ে পড়,’ আর তার মনে কোন সন্দেহ না থাকে এবং সে যদি বিশ্বাস করে যে সে যা বলছে তা হবে, তাহলে ঈশ্বর তার জন্য তাই করবেন। 24 এইজন্য আমি তোমাদের বলি, তোমরা যা কিছুর জন্য প্রার্থনা কর, যদি বিশ্বাস কর যে, তোমরা তা পেয়েছ, তাহলে তোমাদের জন্য তা হবেই। 25 আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করতে দাঁড়াও, যদি কারোর বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাকে ক্ষমা কর, যাতে তোমাদের স্বর্গের পিতাও তোমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করেন।” 26 [b]
যীশুর কর্ত্তৃত্বের বিষয়ে ইহুদী নেতাদের সন্দেহ
(মথি 21:23-27; লূক 20:1-8)
27 পরে তাঁরা জেরুশালেমে ফিরে এলেন। আর যখন তিনি মন্দিরের মধ্যে দিয়ে হাঁটছেন, সেই সময় প্রধান যাজকরা, ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও বয়স্ক ইহুদী নেতারা তাঁর কাছে এলেন। 28 তাঁরা তাকে বললেন, “কোন ক্ষমতায় তুমি এসব করছ? এসব করতে তোমাকে কেই বা এই ক্ষমতা দিয়েছে?”
29 যীশু তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের একটা প্রশ্ন করছি, যদি তোমরা উত্তর দিতে পারো, তাহলে আমি তোমাদের বলব কোন ক্ষমতায় এসব করছি। 30 যোহন যে বাপ্তাইজ করেছিলেন তা করার অধিকার তিনি স্বর্গ থেকে পেয়েছিলেন না মানুষের কাছ থেকে পেয়েছিলেন? আমাকে বলো।”
31 তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বললেন, “যদি আমরা বলি, ‘স্বর্গ থেকে,’ তাহলে বলবে ‘তবে তোমরা তাকে বিশ্বাস কর নি কেন?’ 32 কিন্তু যদি আমরা বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তাহলে জনসাধারণ আমাদের ওপর রেগে যাবে।” (তাঁরা জনসাধারণকে ভয় করতেন কারণ জনসাধারণের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে যোহন একজন ভাববাদী।)
33 তাই তাঁরা যীশুকে বললেন, “আমরা জানি না।”
তখন যীশু তাঁদের বললেন, “তবে আমিও কোন্ ক্ষমতায় এসব করছি, তা তোমাদের বলব না।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International