M’Cheyne Bible Reading Plan
অম্মোনের রাজার কাছে যিপ্তহর বার্তা
12 অম্মোনদের রাজার কাছে যিপ্তহ কয়েকজন বার্তাবাহক পাঠাল। বার্তাবাহকরা রাজার কাছে এই বার্তা শোনাল, “অম্মোনবাসী আর ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে সমস্যাটা কি? কেন তোমরা আমাদের দেশে যুদ্ধ করতে এসেছ?”
13 রাজা তাদের বলল, “ইস্রায়েলের সঙ্গে আমাদের লড়াই জারি রয়েছে কারণ ওরা মিশর থেকে চলে আসার সময় আমাদের সমস্ত জমিজায়গা কেড়ে নিয়েছে। অর্ণোন নদী থেকে যব্বোক নদী এবং যর্দন নদী পর্যন্ত আমাদের যত জমি আছে, সব ওরা নিয়ে নিয়েছে। এখন যাও ইস্রায়েলীয়দের গিয়ে বলো, আমাদের জায়গাগুলো যেন কোনো ঝামেলা না করে ফিরিয়ে দেয়।”
14 দূতরা যিপ্তহর কাছে এই কথা শোনাল। তারপর যিপ্তহ আবার তাদের অম্মোনদের রাজার কাছে পাঠাল। 15 তারা যে বার্তা নিয়ে গেল তা এরকম:
“যিপ্তহ এই কথা বলেন: ইস্রায়েল মোয়াব বা অম্মোনদের কোন জায়গা নেয়নি। 16 ইস্রায়েলীয়রা যখন মিশর থেকে চলে আসে তখন তারা মরুভূমিতে ছিল। সেখান থেকে গেল লোহিত সাগরে। তারপর কাদেশে। 17 ইস্রায়েলীয়রা ইদোমের রাজার কাছে দূত পাঠাল। দূতরা সাহায্য চাইল। তারা বলল, ‘ইস্রায়েলীয়দের তোমাদের দেশের ওপর দিয়ে যেতে দাও।’ কিন্তু ইদোমের রাজা আমাদের যেতে দিল না। মোয়াবের রাজার কাছেও আমরা একই রকম বার্তা পাঠালাম। সেও তার দেশের ওপর দিয়ে আমাদের যেতে দিল না। অগত্যা ইস্রায়েলীয়রা কাদেশেই থেকে গেল।
18 “তারপর ইস্রায়েলীয়রা মরুভূমি দিয়ে আর ইদোম ও মোয়াব দেশের পাশ দিয়ে যেতে লাগল। তারা মোয়াবের পূর্বদিকে গিয়ে অর্ণোন নদীর ওপারে তাঁবু গাড়ল। মোয়াবের সীমানা তারা পেরোল না। মোয়াবের ধারেই অর্ণোন নদী।
19 “তারপর ইমোরীয় রাজা সীহোনের কাছে ইস্রায়েলীয়রা দূত পাঠাল। সীহোন ছিল হিষ্বোনের রাজা। দূতেরা সীহোনকে বলল, ‘তোমাদের দেশের মধ্যে দিয়ে ইস্রায়েলীয়দের যেতে দাও। আমরা আমাদের দেশে যেতে চাই।’ 20 কিন্তু ইমোরীয়দের রাজা সীহোন ইস্রায়েলীয়দের ঢুকতে দিল না। সীহোন লোকদের নিয়ে যহসে তাঁবু খাটাল। তারপর তারা ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করল। 21 কিন্তু প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের সহায় ছিলেন, তাই সীহোন ও তার সৈন্যরা পরাজিত হল। তাই ইমোরীয়দের দেশ হল ইস্রায়েলীয়দের সম্পত্তি। 22 তারা ইমোরীয়দের সব জমিজায়গা পেয়ে গেল। দেশটি অর্ণোন নদী থেকে বিস্তৃত হল। তাছাড়া মরুভূমি থেকে যর্দন নদী পর্যন্ত দেশটা বড় হয়ে গেছে।
23 “প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর নিজে ইমোরীয়দের তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই দেশ তিনি ইস্রায়েলীয়দের হাতে তুলে দিলেন। তোমরা কি মনে করো ইস্রায়েলীয়দের তোমরা দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারবে? 24 অবশ্যই তোমাদের দেবতা কমোশ তোমাদের জন্যে যে দেশ দিয়েছেন সেখানে তোমরা থাকতে পারো। এবং আমরাও আমাদের প্রভু ঈশ্বরের দেওয়া ভূখণ্ডে থাকব। 25 তুমি কি সিপ্পোরের পুত্র বালাকের চেয়ে উৎকৃষ্ট? বালাক ছিল মোয়াবের রাজা। সে কি ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে তর্ক করেছিল? সে কি বস্তুত তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল? 26 ইস্রায়েলীয়রা 300 বছর ধরে হিষ্বনে আর সেই শহরের লাগোয়া কয়েকটি জায়গায় বাস করেছে। অরোয়েরে এবং তার পাশের শহরেও 300 বছর ধরে বাস করেছে। 300 বছর ধরে তারা বাস করেছে অর্ণোন নদীর ধারে সমস্ত শহরে। এতদিন তোমরা কেন এইসব শহর দখল করো নি? 27 ইস্রায়েলীয়রা তোমাদের কাছে কোনো অপরাধ করে নি। অথচ তোমরা তাদের ওপর ঘোর অন্যায় করেছ। প্রভুই পরম বিচারক। স্বয়ং তিনিই বিচার করুন, ইস্রায়েল আর অম্মোনদের মধ্যে কারা ঠিক কাজ করেছে।”
28 অম্মোনের রাজা যিপ্তহর এইসব কথা শুনতে চাইল না।
যিপ্তহের প্রতিশ্রুতি
29 তখন যিপ্তহর ওপর প্রভুর আত্মা ভর করলেন। গিলিয়দ এবং মনঃশি প্রদেশের ভেতর দিয়ে যিপ্তহ হেঁটে গেল। সে গিলিয়দের মিস্পা শহরে পৌঁছাল। সেখান থেকে সে অম্মোনদের দেশে গেল।
30 প্রভুর কাছে যিপ্তহ একটি প্রতিশ্রুতি করেছিল। সে বলেছিল, “যদি অম্মোনদের হারিয়ে দেবার কাজে তুমি আমাদের সহায় হও, 31 তবে যখন আমি বিজয়ী হয়ে বাড়ী ফিরব তখন আমাকে অভিনন্দন জানাতে যে আমার বাড়ি থেকে প্রথমে বেরিয়ে আসবে, প্রভুকে আমি তা হোমবলি রূপে উৎসর্গ করব।”
32 যিপ্তহ অম্মোনদের দেশে গেল। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করল; প্রভুর কৃপায় সে জয়লাভ করল। 33 অরোয়ের শহর থেকে মিন্নীত শহর পর্যন্ত যত অম্মোন ছিল যিপ্তহ সকলকে পরাজিত করল। সে 20টি শহর জয় করল। তারপর সে আবেল ও করামীম শহরের অম্মোনদের পরাজিত করল। এভাবে ইস্রায়েলীয়রা অম্মোনদের পরাজিত করল। অম্মোনদের মস্ত বড় পরাজয় হল।
34 যিপ্তহ মিস্পায় ফিরে এলো। বাড়ি পৌঁছতেই তাকে দেখবার জন্য তার মেয়ে বেরিয়ে এল। মেয়েটি তবলা বাজিয়ে নাচছিল। সে ছিল তার একমাত্র মেয়ে। যিপ্তহ তাকে খুব ভালবাসত। যিপ্তহের আর কোন ছেলেমেয়ে ছিল না। 35 যিপ্তহ যখন দেখল তার মেয়েই বাড়ি থেকে সবচেয়ে আগে বেরিয়ে এসেছে তখন সে শোকে নিজের কাপড় ছিঁড়ে ফেলল। সে বলল, “হায়, ওরে আমার মেয়ে। তুই আমার একি সর্বনাশ করলি! তুই আমায় কি দুঃখ দিলি জানিস না। আমি যে প্রভুর কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সে তো ফেলতে পারব না!”
36 মেয়েটি যিপ্তহকে বলল, “পিতা, প্রভুর কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ তা তোমায় রাখতেই হবে। যা বলেছ তাই করো। সবচেয়ে বড় কথা প্রভুর কৃপায় তুমি শত্রু অম্মোনদের পরাজিত করেছ।”
37 তারপর যিপ্তহের মেয়ে তার পিতাকে বলল, “কিন্তু তার আগে আমার জন্য একটা কাজ করো। দু-মাস আমায় একলা থাকতে দাও। আমি পাহাড়ে পর্বতে যাব। আমি বিয়ে করব না, ছেলেমেয়েও হবে না। অনুমতি দাও আমি সঙ্গীদের নিয়ে যাই। সকলে মিলে আমরা কাঁদব।”
38 যিপ্তহ বলল, “বেশ তাই হোক্।” যিপ্তহ মেয়েকে দু-মাসের জন্য পাঠিয়ে দিল। সঙ্গীদের নিয়ে মেয়ে পাহাড় পর্বতে কাটাল। সে বিয়ে করবে না আর ছেলেমেয়ে হবে না এই দুঃখে সঙ্গীরা কেঁদে ভাসাল।
39 দু মাস কেটে গেলে মেয়ে পিতার কাছে ফিরে এল। যিপ্তহ প্রভুর কাছে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করল। তার মেয়ে কারও সঙ্গে কখনই কোন দৈহিক সম্পর্ক রাখে নি। আর এই ঘটনা থেকেই ইস্রায়েলীয়দের একটা রীতি চালু হল। 40 প্রতি বছর ইস্রায়েলীয়দের মেয়েরা যিপ্তহর মেয়েটিকে স্মরণ করে চারদিন ধরে কাঁদত।
জেরুশালেমে সভা
15 যিহূদা থেকে কয়েকজন লোক এসে শিক্ষা দিতে লাগল। তারা অইহুদী ভাইদের শিক্ষা দিয়ে বলল, “মোশির বিধান অনুসারে সুন্নত সংস্কার না করলে তোমরা উদ্ধার পাবে না।” 2 পৌল ও বার্ণবা এই শিক্ষার বিরোধিতা করলেন। সেই লোকদের সঙ্গে পৌল ও বার্ণবার তর্ক হল। ঠিক হল এই তর্কের মীমাংসার জন্য পৌল, বার্ণবা ও আরও কয়েকজনকে জেরুশালেমে প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের কাছে পাঠানো হবে।
3 তখন মণ্ডলী তাঁদের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। এই বিশ্বাসীরা যাত্রা পথে ফৈনীকিয়া ও শমরিয়া হয়ে গেলেন ও অইহুদীরা যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হয়েছে তা জানালেন, এতে বিশ্বাসীদের মধ্যে খুবই আনন্দ হল। 4 পৌল, বার্ণবা ও অন্যান্যরা জেরুশালেমে পৌঁছালেন। বিশ্বাসী মণ্ডলীর প্রেরিতরা ও প্রাচীনরা তাঁদের স্বাগত জানালেন। ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গে যা করেছেন, পৌল ও বার্ণবা সে সব কথা জানালেন। 5 কিন্তু ফরীশীদের মধ্যে যারা বিশ্বাসী হয়েছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন উঠে দাঁড়িয়ে বলতে লাগল, “অইহুদীদের মধ্যে যারা বিশ্বাসী হয়েছে, তাদের সুন্নত করা ও মোশির দেওয়া বিধি-ব্যবস্থা পালনে বাধ্য করা হবে।”
6 এরপর প্রেরিতরা ও প্রাচীনরা এই প্রশ্নের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সমবেত হলেন। 7 দীর্ঘক্ষণ ধরে নানা কথা কাটাকাটির পর পিতর উঠে দাঁড়িয়ে তাদের বললেন, “ভাইরা আপনারা জানেন, পূর্বের দিনগুলিতে ঈশ্বর আপনাদের মধ্য থেকে আমাকে মনোনীত করেছিলেন, যেন অইহুদীদের কাছে আমি সুসমাচার প্রচার করি। তারা আমার মুখে সুসমাচার শুনে বিশ্বাস করেছিল। 8 ঈশ্বর, যিনি অন্তর্যামী তিনি অইহুদীদের তাঁর রাজ্যে গ্রহণ করলেন এবং এর সাক্ষ্যস্বরূপ তাদের পবিত্র আত্মা দিলেন, যেমন আমাদের দিয়েছিলেন। 9 তাদের ও আমাদের মধ্যে ঈশ্বর কোন প্রভেদ রাখেন নি, বরং বিশ্বাস করলে পর ঈশ্বর তাদের অন্তরও শুদ্ধ করলেন। 10 এখন এই অইহুদী ভাইদের কাঁধে কেন আপনারা ভারী যোয়াল চাপিয়ে দিতে চাইছেন? ঈশ্বরকে কি আপনারা ক্রুদ্ধ করতে চান? আমরা ও আমাদের পিতৃপুরুষদের এমন শক্তি ছিল না যে সেই ভারী যোয়াল বহন করি। 11 কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে এই অইহুদী বিশ্বাসীরা আমাদের মত প্রভু যীশুর অনুগ্রহেই উদ্ধার লাভ করবে!”
12 তখন সমস্ত লোক নীরব হয়ে গেল আর বার্ণবা ও পৌলের মাধ্যমে অইহুদীদের মধ্যে ঈশ্বর কি কি অলৌকিক কাজ করেছেন, তাদের কাছ থেকে সে সব ঘটনার কথা শুনল। 13 তাদের কথা বলা শেষ হলে যাকোব বলতে শুরু করলেন, “ভাইরা, আমার কথা শুনুন। 14 অইহুদীদের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসার কথা আপনারা ভাই শিমোনের মুখে শুনেছেন। এই প্রথম ঈশ্বর অইহুদীদের গ্রহণ করলেন ও তাদের তাঁর প্রজা করে নিলেন। 15 ভাববাদীদের কথাও এর সাথে মেলে যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে:
16 ‘এরপর আমি ফিরে আসব,
আর দায়ূদের যে ঘর ভেঙে গেছে,
তা পুনরায় গাঁথব।
আমি তার ধ্বংসস্থান আবার গেঁথে তুলব,
তা নতুন করে স্থাপন করব।
17 যেন মানবজাতির বাকি অংশ প্রভুর অন্বেষণ করে,
আর সমস্ত অইহুদীদের যাদের আমার নামে আহ্বান করা হয়েছে,
তারাও সকলে প্রভুর অন্বেষণ করে।
ঈশ্বর একথা বলেন এবং তিনিই এসব করেছেন।’(A)
18 ‘ঈশ্বর বহুপূর্বেই এই বিষয়গুলি জানিয়েছেন।’[a]
19 “তাই আমার বিচার হল যে অইহুদীদের মধ্য থেকে যাঁরা ঈশ্বরের দিকে ফিরেছে আমরা তাদের কষ্ট দেব না। 20 এর পরিবর্তে আমরা তাদের পত্র লিখে এই কথা জানাবো।
তারা যেন প্রতিমা সংক্রান্ত কোন অশুচি খাদ্য না খায়,
যৌন পাপ কার্য থেকে বিরত থাকে,
গলা টিপে মারা কোন প্রাণীর মাংস না খায় বা রক্ত আস্বাদন না করে।
21 তাদের এবিষয়ে নিবৃত্ত হওয়া প্রয়োজন, কারণ সেই আদিকাল থেকেই প্রতিটি শহরে ইহুদীদের সমাজ-গৃহে এখনও মোশির এমন লোক আছে, যারা তাঁকে অর্থাৎ তাঁর বিধি-ব্যবস্থার কথা প্রচার করে। তাছাড়া প্রতি বিশ্রামবারে ইহুদীদের সমাজ-গৃহে মোশির বিধি-ব্যবস্থা পাঠ করা হয়।”
অইহুদী বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে পত্র
22 তখন প্রেরিতরা ও প্রাচীনরা মণ্ডলীর বিশ্বাসীবর্গের সঙ্গে একযোগে তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মনোনীত করে পৌল ও বার্ণবার সঙ্গে আন্তিয়খিয়ায় পাঠাবার বিষয়ে ঠিক করলেন। তাঁরা যিহূদা (বার্ণবা) ও সীলকে মনোনীত করলেন, এরা ভাইদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ছিলেন।
23 তাঁদের সঙ্গে তাঁরা এইরকম এক পত্র লিখে পাঠালেন:
আন্তিয়খিয়ায়, সুরিয়া ও কিলিকিয়ার অইহুদী সমবিশ্বাসী ভাইদের কাছে
প্রেরিতদের ও মণ্ডলীর প্রাচীনদের শুভেচ্ছা।
প্রিয় ভাইরা,
24 আমরা শুনতে পেয়েছি যে আমাদের নির্দেশ ছাড়াই এমন কয়েকজন লোক এখান থেকে গিয়ে নানা কথা বলে তোমাদের মন অস্থির করে তুলেছে ও তোমাদের নানা সমস্যার মধ্যে ফেলেছে! 25 আমরা সকলে একমত হয়েছি যে কয়েকজনকে মনোনীত করে আমাদের প্রিয় ভাই বার্ণবা ও পৌলের সঙ্গে তোমাদের কাছে পাঠান। 26 এই লোকেরা আমাদের প্রভু, যীশু খ্রীষ্টের নামে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। 27 তাই এঁদের সঙ্গে আমরা যিহূদা ও শীলকে পাঠাচ্ছি, এঁরা তোমাদের একই কথা বলবেন। 28 কারণ পবিত্র আত্মার কাছে এবং আমাদের কাছেও এটাই ভাল মনে হল যে এই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি ছাড়া অতিরিক্ত কোন কিছুই তোমাদের ওপর ভারস্বরূপ চাপিয়ে দেব না।
29 তোমরা প্রতিমার সামনে উৎসর্গ করা কোন খাদ্যবস্তু খাবে না,
রক্ত এবং গলা টিপে মারা কোন প্রাণীর মাংস খাবে না,
আর যৌন পাপ কর্ম থেকে দূরে থাকবে।
তোমরা যদি নিজেদের এর থেকে দূরে রাখ তাহলে তোমাদের মঙ্গল হবে। তোমাদের সকলের জন্য আমাদের শুভেচ্ছা রইল।
30 তাই পৌল, বার্ণবা, যিহূদা ও সীল জেরুশালেম থেকে রওনা হয়ে আন্তিয়খিয়ায় এলেন। তাঁরা লোকদের সমবেত করে সেই চিঠিটি দিলেন। 31 চিঠিটি পড়ার পর তাঁরা সবাই সেই উৎসাহোদ্দীপক চিঠির জন্য আনন্দ করতে থাকলেন। 32 যিহূদা ও সীল উভয়ে ভাববাদী হওয়াতে ভাইদের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলে তাদের উৎসাহ দিলেন ও শক্তি জোগালেন। 33 যিহূদা ও সীল কিছুদিন সেখানে থাকার পর যাঁরা তাঁদের পাঠিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে অর্থাৎ জেরুশালেমে ফিরে যাবার জন্য ভাইদের কাছ থেকে শান্তিতে বিদায় পেলেন। 34 [b]
35 কিন্তু পৌল ও বার্ণবা আন্তিয়খিয়াতে কিছু সময় কাটালেন। তাঁরা অন্যান্য আরো অনেকের সঙ্গে প্রভুর বার্তা শিক্ষা দিতেন ও সুসমাচার প্রচার করতেন।
পৌল ও বার্ণবা আলাদা হলেন
36 কিছু সময় পর পৌল বার্ণবাকে বললেন, “চল আমরা ফিরে যাই, প্রতিটি শহরে যেখানে আমরা প্রভুর বার্তা প্রচার করেছিলাম, সেইসব জায়গায় গিয়ে দেখি ভাইরা কেমন আছে।”
37 বার্ণবা চাইলেন যেন যোহন অর্থাৎ মার্কও তাঁদের সঙ্গে যান। 38 কিন্তু পৌল ভাবলেন, একবার যে পাম্ফুলিয়াতে তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তাকে সঙ্গে না নেওয়াই ভাল। 39 এর ফলে তাঁদেব মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল। শেষ পর্যন্ত তাঁরা পরস্পর আলাদা হয়ে গেলেন। বার্ণবা মার্ককে সঙ্গে নিয়ে জাহাজে করে কুপ্রের দিকে রওনা দিলেন।
40 পৌল সীলকে সঙ্গে নিলেন। ভাইরা আন্তিয়খিয়াতে প্রভুর সেবার ভার পৌলকে দিলেন। 41 পৌল এবং সীল সুরিয়া ও কিলিকিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে বিভিন্ন মণ্ডলীকে আরও সুদৃঢ় করলেন।
ভাল ডুমুর এবং খারাপ ডুমুর
24 প্রভু আমাকে এই জিনিসগুলি দেখিয়ে ছিলেন: আমি ডুমুর ভর্ত্তি দুটি ঝুড়ি দেখেছিলাম প্রভুর মন্দিরের সামনে রাখা আছে। বাবিলের নবূখদ্রিৎসর যখন যিকনিয়কে বন্দী করে নিয়ে গিয়ে ছিলেন তখন আমার এই স্বপ্নদর্শন হয়েছিল। রাজা যিহোয়াকীমের পুত্র যিকনিয় ও তার গুরুত্বপূর্ণ সভাসদবৃন্দদের জেরুশালেম থেকে গ্রেপ্তার করে বাবিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যিহূদার সমস্ত ছুতোর ও কানাদেরও নবূখদ্রিৎসর বাবিলে নিয়ে এসেছিলেন। 2 একটা ঝুড়িতে ছিল খুব ভাল ডুমুর। ঐ ডুমুরগুলি ছিল মরশুমের শুরুতে পাকা ডুমুর। কিন্তু অপর ঝুড়িতে ছিল পচা ডুমুর। যা একেবারেই খাওয়ার অযোগ্য।
3 প্রভু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “যিরমিয়, তুমি কি দেখতে পাচ্ছ?”
আমি উত্তর দিয়েছিলাম, “আমি ডুমুর দেখতে পাচ্ছি। ভাল ডুমুরগুলো খুবই ভাল। আর পচা ডুমুরগুলো এতোই পচা যে ওগুলো খাওয়া যাবে না।”
4 তারপর আমি প্রভুর কাছ থেকে বার্তা পেয়েছিলাম। 5 প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর আমাকে বলেছিলেন: “যিহূদার লোকদের তাদের দেশ থেকে শত্রুরা বাবিলে নিয়ে গিয়েছিল। সেই লোকগুলি হবে ঐ ভাল ডুমুরগুলোর মতো। এদের প্রতি আমি দয়ালু হবো। 6 আমি তাদের রক্ষা করব। আমি তাদের যিহূদায় ফিরিয়ে আনব। আমি তাদের ছিন্নভিন্ন না করে গড়ে তুলব। আমি তাদের উদ্ধার করবো। আমি তাদের প্রতিষ্ঠা করবো। যাতে তারা বেড়ে উঠতে পারে। 7 আমি তাদের একটি হৃদয় দেব যেটা আমাকে জানতে ইচ্ছা করবে। তখন তারা জানবে যে আমিই প্রভু। তারা হবে আমার লোক। আমি হব তাদের ঈশ্বর। আমি এটা করবো কারণ বাবিলের বন্দীরা সম্পূর্ণ ভাবে তাদের হৃদয় আমার কাছে সমর্পণ করবে।”
8 “কিন্তু যিহূদার রাজা সিদিকিয় হবে ঐ খাওয়ার অযোগ্য পচা ডুমুরগুলির মতো। সিদিকিয়র উচ্চপদস্থ পারিষদগণ, জেরুশালেমে পড়ে থাকা সমস্ত লোক ও মিশরে বসবাসকারী যিহূদার লোকরা হবে ঐ পচা ডুমুরের মতো।
9 “আমি ঐ লোকদের এমন একটি শাস্তি দেব যেটা পৃথিবীর সমস্ত লোককে বিস্ময়াভিভূত করবে। যিহূদার ঐ সব লোকেরা হবে অন্যদের উপহাসের সামগ্রী। আমি তাদের যেখানেই ছড়িয়ে দেব সেখানকার লোকরা তাদের শাপ দেবে। 10 তাদের বিরোধিতা করার জন্য আমি তরবারি, অনাহার এবং রোগ পাঠাব। আমি তাদের যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রত্যেকে মারা যায় ততক্ষণ আক্রমণ করব। তাহলে তারা এই দেশ যা আমি তাদের এবং তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম সেখান থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।”
বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(মথি 19:1-12)
10 এরপর যীশু সেই স্থান ছেড়ে যর্দন নদীর অন্য পাড়ে যিহূদিয়ার অঞ্চলে এলেন। আবার লোকরা তাঁর কাছে এল এবং তিনি তাঁর রীতি অনুসারে তাদের শিক্ষা দিলেন।
2 তখন কয়েকজন ফরীশী তাঁর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “একটি লোকের পক্ষে তার স্ত্রীকে ত্যাগ করা কি আইনত ঠিক?” তাঁরা তাঁকে পরীক্ষা করার জন্যই এই কথা জিজ্ঞাসা করলেন।
3 যীশু তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন “এই ব্যাপারে মোশি তোমাদের কি নির্দেশ দিয়েছেন?”
4 তাঁরা বললেন, “বিবাহ বিচ্ছেদ পত্র লিখে নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করবার অনুমতি মোশি দিয়েছেন।”[a]
5 যীশু তাঁদের বললেন, “তোমাদের কঠিন মনের জন্য তিনি আজ্ঞা লিখেছিলেন। 6 কিন্তু সৃষ্টির প্রথম থেকেই ‘ঈশ্বর স্ত্রী পুরুষ হিসাবে তাদের তৈরী করেছেন।’(A) 7 ‘সেইজন্যই মানুষ তার বাবা-মাকে ত্যাগ করে স্ত্রীর প্রতি আসক্ত হয়, 8 আর ঐ দুজন একদেহে পরিণত হয়।’(B) তখন তারা আর দুজন নয়, তারা এক। 9 অতএব ঈশ্বর যাদের যোগ করে দিয়েছেন, মানুষ তাদের বিচ্ছিন্ন না করুক।”
10 তারা বাড়িতে এলে শিষ্যেরা তাঁকে সেই বিষয় জিজ্ঞাসা করলেন। 11 যীশু তাদের বললেন, “কেউ যদি নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করে অন্য কাউকে বিয়ে করে তবে সে তার বিরুদ্ধে ব্যভিচার করে। 12 যদি সেই স্ত্রীলোকটি নিজের স্বামীকে ত্যাগ করে আর একজনকে বিয়ে করে সেও ব্যভিচার করে।”
যীশু ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আশীর্বাদ করলেন
(মথি 19:13-15; লূক 18:15-17)
13 পরে লোকরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের তাঁর কাছে নিয়ে এল, যেন তিনি তাদের স্পর্শ করেন: কিন্তু শিষ্যরা তাদের ধমক দিলেন। 14 যীশু তা দেখে ক্রুদ্ধ হলেন এবং তাদের বললেন, “ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও। তাদের বারণ করো না, কারণ এদের মত লোকদের জন্যই তো ঈশ্বরের রাজ্য। 15 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কেউ যদি ছোট ছেলেমেয়েদের মন নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্য গ্রহণ না করে, তবে সে কোনমতেই সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না।” 16 এরপর তিনি তাদের কোলে নিলেন এবং তাদের ওপর হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন।
একজন ধনী লোকের যীশুকে অনুসরণ করতে অস্বীকার
(মথি 19:16-30; লূক 18:18-30)
17 পরে তিনি বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, এমন সময় একজন লোক দৌড়ে এসে, তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে জিজ্ঞেস করলেন, “হে সৎ গুরু, অনন্ত জীবন লাভের জন্য আমি কি করব?”
18 তখন যীশু তাকে বললেন, “তুমি কেন আমাকে সৎ বলছ? ঈশ্বর ছাড়া আর কেউই সৎ নয়। 19 তুমি তো ঈশ্বরের সব আদেশ জানো, ‘নরহত্যা কোরো না, ব্যভিচার কোরো না, চুরি কোরো না, বাবা-মাকে সম্মান কোরো।’”(C)
20 লোকটি তাঁকে বলল, “হে গুরু, ছোটবেলা থেকে এগুলো আমি পালন করে আসছি।”
21 যীশু লোকটির দিকে সস্নেহে তাকালেন এবং বললেন, “একটা বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে। যাও তোমার যা কিছু আছে বিক্রি কর; আর সেই অর্থ গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দাও, তাতে তুমি স্বর্গে ধন পাবে। তারপর এসে আমাকে অনুসরণ কর।”
22 এই কথায় সে মর্মাহত ও দুঃখিত হল এবং ম্লান মুখে চলে গেল, কারণ তার অনেক সম্পত্তি ছিল।
23 তখন যীশু চারদিকে তাকিয়ে শিষ্যদের বললেন, “যাদের ধন আছে তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা খুবই দুষ্কর!”
24 শিষ্যরা তাঁর কথা শুনে অবাক হলেন। যীশু আবার তাঁদের বললেন, “শোন, ঈশ্বরের রাজ্যে যাওয়া সত্যিই কষ্টকর। 25 একজন ধনী লোকের ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার চেয়ে বরং সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।”
26 তখন তারা আরও আশ্চর্য হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন, “তবে কারা উদ্ধার পেতে পারে?”
27 তখন যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “এটা মানুষের পক্ষে অসম্ভব; কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে নয়, কারণ সমস্ত কিছুই ঈশ্বরের পক্ষে সম্ভব।”
28 তখন পিতর তাঁকে বলতে লাগলেন, “দেখুন! আমরা সবকিছু ত্যাগ করে আপনার অনুসারী হয়েছি।”
29 যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি যে কেউ আমার জন্য বা আমার সুসমাচার প্রচারের জন্য বাড়িঘর, ভাইবোন, মা-বাবা, ছেলেমেয়ে জমিজমা ছেড়ে এসেছে, 30 তার বদলে সে এই জগতে তার শতগুণ ফিরে পাবে। তাকে তাড়না ভোগ করতে হলেও এই জগতে শতগুণ বাড়িঘর, ভাইবোন, মা, ছেলেমেয়ে এবং জমিজমা পাবে, আর পরবর্তী যুগে পাবে অনন্ত জীবন। 31 কিন্তু আজ যারা প্রথম, এমন অনেক লোক শেষে পড়বে এবং যারা আজ শেষের তাদের মধ্যে অনেকে প্রথম হবে।”
যীশু পুনরায় নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বললেন
(মথি 20:17-19; লূক 18:31-34)
32 একদিন তাঁরা রাস্তা দিয়ে জেরুশালেমের দিকে যাচ্ছেন এবং যীশু তাঁদের আগে আগে চলেছেন। শিষ্যরা আশ্চর্য হচ্ছিলেন আর তাঁর সঙ্গে যারা চলছিল, সেই লোকেরা ভীত হল। তখন তিনি আবার সেই বারোজন প্রেরিতকে নিয়ে নিজের প্রতি যা যা ঘটবে তা তাদের বলতে লাগলেন। 33 শোন, “আমরা জেরুশালেমে যাচ্ছি আর প্রধান যাজক এবং ব্যবস্থার শিক্ষকের হাতে মানবপুত্রকে সঁপে দেওয়া হবে তারা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে এবং অইহুদীদের হাতে তুলে দেবে। 34 তারা বিদ্রূপ করবে, তাঁর মুখে থুথু দেবে, তাঁকে চাবুক মারবে এবং হত্যা করবে, আর তিন দিন পরে তিনি আবার বেঁচে উঠবেন।”
যাকোব এবং যোহনের অনুগ্রহ ভিক্ষা
(মথি 20:20-28)
35 পরে সিবদিয়ের ছেলে যাকোব এবং যোহন তাঁর কাছে এসে বললেন, “হে গুরু, আমাদের ইচ্ছা এই, আমরা আপনার কাছে যা চাইব, আপনি আমাদের জন্য তা করবেন।”
36 যীশু তখন তাঁদের বললেন, “তোমাদের ইচ্ছা কি, তোমাদের জন্য আমি কি করব?”
37 তাঁরা তাঁকে বললেন, “আমাদের এই বর দান করুন যাতে আপনি মহিমান্বিত হলে আমরা একজন আপনার ডানদিকে আর একজন বাঁ দিকে বসতে পাই।”
38 যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা জান না তোমরা কি চাইছ। আমি যে পেয়ালায় পান করি, তাতে তোমরা কি চুমুক দিতে পারবে বা আমি যে বাপ্তিস্মে বাপ্তাইজ হই তাতে কি তোমরা বাপ্তাইজ হতে পারবে?”
39 তাঁরা তাঁকে বললেন, “আমরা পারব!”
তখন যীশু তাদের বললেন, “আমি যে পেয়ালায় পান করি তাতে তোমরা অবশ্যই চুমুক দেবে এবং আমি যে বাপ্তিস্মে বাপ্তাইজ হই তাতে তোমরাও বাপ্তাইজ হবে। 40 কিন্তু আমার ডান দিকে বা বাঁদিকে বসতে দেবার অধিকার আমার নেই। কারা সেখানে বসবে তা আগেই স্থির হয়ে গেছে।”
41 এই কথা শুনে অন্য দশ জন যোহন ও যাকোবের প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। 42 কিন্তু যীশু তাঁদের ডেকে বললেন, “তোমরা জান জগতের মধ্যে যারা শাসনকর্তা বলে গন্য, তারা তাদের উপর প্রভুত্ব করে এবং তাদের মধ্যে যারা প্রধান, তারা তাদের উপর কর্ত্তৃত্ব করে। 43 তোমাদের ক্ষেত্রে সেই রকম হবে না। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি প্রধান হতে চায়, তবে সে তোমাদের ক্রীতদাস হবে, 44 এবং তোমাদের মধ্যে কেউ যদি প্রধান হতে চায়, সে সকলের দাস হবে। 45 কারণ বাস্তবে মানবপুত্রও সেবা পেতে আসেন নি, তিনি অন্যের সেবা করতেই এসেছেন এবং অনেক মানুষের মুক্তিপণ হিসাবে নিজের জীবন দিতে এসেছেন।”
অন্ধের দৃষ্টিলাভ
(মথি 20:29-34; লূক 18:35-43)
46 তারপর তাঁরা যিরীহোতে এলেন। তিনি যখন নিজের শিষ্যদের এবং বহুলোকের সাথে যিরীহো ছেড়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় পথের ধারে বরতীময় (অর্থ “তীময়ের ছেলে”) নামে এক অন্ধ ভিখারী বসেছিল। 47 সে যখন শুনতে পেল যে উনি নাসরতীয় যীশু, তখন চেঁচিয়ে বলতে লাগল, “হে যীশু, দায়ূদের পুত্র, আমার প্রতি দয়া করুন।”
48 তখন বহুলোক চুপ-চুপ বলে তাকে ধমক দিল। কিন্তু সে আরও জোরে চেঁচিয়ে বলতে লাগল, “হে দায়ূদের পুত্র, আমার প্রতি দয়া করুন!”
49 তখন যীশু সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে বললেন, “তাকে ডাকো।”
তারা সেই অন্ধ লোকটিকে ডাকল এবং বলল, “ওহে সাহস কর, ওঠ, উনি তোমাকে ডাকছেন।” 50 তখন সে নিজের পায়ের চাদর ফেলে দিয়ে লাফ দিয়ে উঠে যীশুর কাছে এল।
51 যীশু তাকে বললেন, “তুমি কি চাও, আমি তোমার জন্য কি করব?”
অন্ধ লোকটি তাকে বলল, “হে গুরু, আমি যেন দেখতে পাই।”
52 তখন যীশু তাকে বললেন, “যাও, তোমার বিশ্বাসই তোমায় সুস্থ করল।” সঙ্গে সঙ্গে সে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল এবং রাস্তা দিয়ে যীশুর পেছন পেছন চলতে লাগল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International