Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 5

দবোরার গান

যেদিন ইস্রায়েলবাসীরা সীষরাকে পরাজিত করলো, সে দিন দবোরা আর অবীনোযমের পুত্র বারক এই গানটি গেয়েছিল:

“ইস্রায়েলের লোকরা যুদ্ধের প্রস্তুতি করল।
    তারা স্বেচ্ছায় যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে চাইল।
প্রভুর নাম ধন্য হোক্।

“রাজারা সকলে শোন,
    শাসকরা মন দিয়ে শোন।
আমি, আমিই প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাইব,
    ইস্রায়েলের ঈশ্বর ও প্রভুর উদ্দেশ্যে গানটি গাইব।

“হে প্রভু, তুমি সেয়ীর থেকে এসেছিলে।
    তোমার অভিযান ইদোম দেশ থেকে শুরু হয়েছিল।
তোমার পদপাতে কেঁপে উঠেছিল পৃথিবী।
    আকাশ থেকে অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল।
    মেঘরা ঝরিয়ে ছিল জল।
প্রভু, সীনয় পর্বতের ঈশ্বরের সামনে,
    প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সামনে পর্বতমালা কেঁপে উঠেছিল।

“অনাতের পুত্র শম‌্গর
    এবং যায়েলের সময়ে সমস্ত রাজপথ জনমানবহীন।
    বণিকরা এবং পথিকরা অন্য পথ দিয়ে যাতায়াত করত।

“সেখানে কোন সৈন্য ছিল না।
    দবোরা যতদিন তুমি ইস্রায়েলের মা হয়ে আসোনি
    ততদিন ইস্রায়েলে কোন সৈন্য ছিল না।

“ঈশ্বর নতুন নেতাদের নির্বাচন করেছিলেন।
    তারা নগরের প্রবেশদ্বারে যুদ্ধে রত ছিল।
ইস্রায়েলে 40,000 সৈন্য ছিল।
    তাদের মধ্যে কেউ একটাও ঢাল অথবা বর্শা খুঁজে পায় নি।

“আমার হৃদয় ইস্রায়েলের সেই সেনাপতিদের সঙ্গে রয়েছে,
    যারা স্বেচ্ছায় যুদ্ধে গিয়েছিল।
প্রভুর নাম ধন্য হোক্।

10 “তোমরা যারা সাদা গর্দভের পিঠে চড়ে
    কম্বলের জিনে বসে আছো
    এবং যারা রাস্তায় হাঁটো,
    তারা এ সম্বন্ধে গান কর।
11 পশুরা যেখানে জল পান করে
    সেই চৌবাচ্চায় শুনি রণদামামার মহাসঙ্গীত ধ্বনি।
লোকরা গায় প্রভুর বিজয়গীতি,
    ইস্রায়েলে তাঁর সৈন্যের জয় গৌরব গীতি
    যখন তাঁরই বাহিনী নগরদ্বারে করেছে যুদ্ধ আর তাদেরই কেবল শোন জয় জয়কার।

12 “জাগো হে মা দবোরা,
    জেগে ওঠো, গাও গান!
বারক তুমিও জাগো।
    হে অবীনোয়মের পুত্র তোমার শত্রুদিগকে বন্দী করো।

13 “তারপর তিনি ইস্রায়েলে যারা বেঁচে আছে তাদের শক্তিমান লোকদের বিজয়ী করলেন।
    প্রভু আমায় যোদ্ধাদের ওপর শাসন করতে দিলেন।

14 “অমালেকদের পাহাড়ী দেশ হতে
    ইফ্রয়িমের লোকরা এসেছিল।
হে বিন্যামীন, তারা তোমায়
    ও তোমার লোকদের
এবং মাখীর পরিবার থেকে আসা অধ্যক্ষগণকে অনুসরণ করেছিল।
হে সবূলূন তোমার নেতারা
    সেনাপতির দণ্ড নিয়ে এসেছিল।
15 ইষাখরের নেতারা দবোরার সঙ্গে ছিল।
    ইষাখরের লোকরা বারকের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল।
    দেখ, ঐ লোকরা কুচকাওয়াজ করে উপত্যকায় নামছে।

“রূবেণ, তোমার সেনাদলে প্রচুর সাহসী সৈন্য আছে।
16 তবে কেন তোমাদের মেষপালের আশেপাশে বসে রয়েছ?
রূবেণ তোমার সাহসী সেনারা যুদ্ধ সম্পর্কে এত চিন্তা করেছিল।
    তবু কেন তারা বাড়ীতে বসে মেষপালকের বাঁশীর বাজনা শোনে?
17 যর্দন নদীর ওপারে গিলিয়দবাসী তাঁবুতেই বসে ছিল।
এবং তোমার দান এর লোকরা,
    কেন জাহাজের আশেপাশে বসেছিল?
আশের গোষ্ঠী সাগরের তীরে নিরাপদ বন্দরে
    মনের মতন করে তাঁবু গেড়েছিল।

18 “কিন্তু সমস্ত সবূলূনবাসী, নপ্তালি অধিবাসী পাহাড়ের গায়ে জীবনের বাজী রেখে প্রত্যেকে মহাসংগ্রামে মেতেছিল।
19 কনানের রাজারা যুদ্ধে এলেন,
    তানক শহরে মগিদ্দোর জলের ধারে যুদ্ধ চলল,
তবু কোন সম্পদ না নিয়ে তাঁরা ঘরে ফিরলেন।
20 আকাশের যত তারা, নিজ নিজ পথ হতে
    মেতেছিল যুদ্ধে সেদিন সীষরার বিরুদ্ধে।
21 প্রাচীন কালের কীশন নদী
    সীষরার সৈন্যবাহিনীকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
হে আমার আত্মা, শক্তির সঙ্গে বেরিয়ে এস।
22 অশ্ব ক্ষুরের আঘাতে মাটি কেঁপে ওঠে।
    সীষরার পরাক্রমী অশ্বরা সব ছুটে যাও, ছুটে যাও।

23 “প্রভুর দূত বলল,
মেরোস শহরকে অভিশাপ দাও।
    তার শহরবাসীদের অভিশাপ দাও।
কারণ তারা সৈন্যবাহিনী নিয়ে
    প্রভুকে সাহায্য করতে আসে নি।”
24 কেনীয় হেবরের পত্নী—যায়েল তার নাম।
    সর্বোত্তমা মহীয়সী নারী, প্রণাম তারে প্রণাম।
25 সীষরা চাইল জল;
    জল নয়, যায়েল তাকে দুধের পাত্র এগিয়ে দিল।
রাজারই পক্ষে মানায় তেমন পাত্র।
    তাতে ক্ষীর ননী সাজিয়ে দিল যায়েল।
26 যায়েল তার হাত বাড়ালো, তাঁবু খাটানোর গোঁজ হাতে পেলো।
    ডান হাত বাড়ালে কর্মকারের হাতুড়ি উঠে এলো।
তারপর সে সীষরার মস্তকে আঘাত হানল।
    সে হাতুড়ির আঘাতে তার কপালের দুই পাশের মধ্য দিয়ে একটা ছিদ্র করল।
27 যায়েলের পায়ে মাথা গুঁজে দিয়ে
    পড়ে গেল সীষরা।
ভূতলশায়িত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল
    এক চরম বিপর্যয়।

28 “সীষরার মা জানালা থেকে উঁকি দেয়।
    সীষরার মা পর্দা সরিয়ে তাকায় আর কাঁদে,
‘সীষরার রথ ফিরতে দেরী করে কেন?
    কেন আমি এখন অবধি তার মালগাড়ীর শব্দ শুনছি না?’

29 “তার প্রজ্ঞাবতী দাসী উত্তর দিল,
    ব্যাকুলা মায়ের দেখ এই দুর্গতি।
30 দাসীটি বলল, ‘আমি নিশ্চিত তারা যুদ্ধে জিতেছে,
    এবং এখন তারা তাদের লুটের প্রচুর দ্রব্যসামগ্রী
নিজেদের মধ্যে ভাগ করছে।
    প্রত্যেক সৈন্য নেবে দু একটি করে রমণী
এবং বিজয়ী সীষরা হয়তো পরবার জন্য
    দু-একটি রঙীন সুতোর কাজ করা পোশাক পাবে।’

31 “ওগো প্রভু, যেন এভাবেই মরে তোমার শত্রুরা।
    যারা তোমায় ভালবাসে তারা যেন প্রভাত সূর্যসম শক্তি অর্জন করে।”

এইভাবেই 40 বছর সে দেশে শান্তি বিরাজ করছিল।

প্রেরিত 9

শৌলের মন পরিবর্তন

এদিকে শৌল জেরুশালেমে যীশুর অনুগামীদের তখনও হত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন। তিনি মহাযাজকের কাছে গেলেন। দম্মেশকস্থ সমাজ-গৃহে ইহুদীদের দেবার জন্য মহাযাজকের কাছে চিঠিগুলি চাইলেন, যেন স্ত্রী হোক্ বা পুরুষ হোক্, খ্রীষ্টের অনুগামী এমন কোন লোককে পেলেই গ্রেপ্তার করে জেরুশালেমে নিয়ে আসতে পারেন।

তাই শৌল দম্মেশকে রওনা হয়ে গেলেন। যেতে যেতে তিনি যখন দম্মেশকের কাছাকাছি এলেন, সেই সময় হঠাৎ‌ আকাশ থেকে এক উজ্জ্বল আলো তাঁর চারিদিকে চমকে উঠল। তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন এবং এক রব শুনতে পেলেন, সেই রব তাঁকে বলছে, “শৌল, শৌল! কেন তুমি আমাকে এত কষ্ট দিচ্ছ?”

শৌল বললেন, “প্রভু আপনি কে?”

তিনি বললেন, “আমি যীশু; তুমি যার ক্ষতি করার চেষ্টা করছ। ওঠ, ঐ শহরে যাও আর তোমায় কি করতে হবে তা তোমায় বলা হবে।”

যে সব পুরুষ তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিল তারা নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। তারা সেই রব শুনতে পেল, কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না। শৌল মাটি থেকে উঠলেন, কিন্তু তিনি যখন চোখ খুললেন তখন কিছুই দেখতে পেলেন না। তাই তারা তাঁকে হাত ধরে দম্মেশকে নিয়ে গেল। তিন দিন তিনি সম্পূর্ণ অন্ধ অবস্থায় রইলেন, সেই সময় তিনি অন্ন জল কিছুই মুখে তুললেন না।

10 দম্মেশকে অননিয় নামে একজন খ্রীষ্টের অনুগামী ছিলেন। এক দর্শনের মাধ্যমে প্রভু তাঁকে বললেন, “অননিয়!”

তিনি বললেন, “প্রভু, এই তো আমি।”

11 প্রভু তাকে বললেন, “ওঠ, আর ‘সরল’ নামে রাস্তায় যাও। সেখানে যিহূদার বাড়ীর খোঁজ কর। সেখানে তার্ষ থেকে এসেছে শৌল বলে একজন লোক, তার খোঁজ কর, কারণ সে প্রার্থনা করছে। 12 তার এই দর্শনলাভ হয়েছে যে অননিয় নামে একজন লোক এসে তার ওপর হাত রাখাতে সে আবার তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে।”

13 অননিয় বললেন, “প্রভু, আমি অনেক লোকের কাছে এই লোকের বিষয়ে শুনেছি। জেরুশালেমে আপনার পবিত্র লোকদের প্রতি সে যে সব জঘন্য কাজ করেছে তাও আমি শুনেছি। 14 আর এখানে যত লোক আপনাকে বিশ্বাস করে,[a] তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবার জন্য সে প্রধান যাজকদের কাছ থেকে বিশেষ পরোয়ানা নিয়ে এসেছে।”

15 কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, “তুমি যাও, কারণ অইহুদীদের কাছে, রাজাদের ও ইস্রায়েলীয়দের কাছে আমার নাম নিয়ে যাবার জন্য আমি তাকে মনোনীত করেছি। 16 আমার নামের জন্য তাকে কত দুঃখভোগ করতে হবে, আমি নিজে তাকে তা দেখিয়ে দেব।”

17 তখন অননিয় যিহূদার বাড়িতে গেলেন। তিনি শৌলের ওপর দুহাত রেখে বললেন, “ভাই শৌল, প্রভু যীশু আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছেন। এখানে আসার পথে তোমায় তিনি দর্শন দিয়েছিলেন। যীশু তোমার কাছে আমাকে পাঠালেন, যেন তুমি আবার দেখতে পাও আর পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হতে পার।” 18 সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চোখ থেকে মাছের আঁশের মত একটা কিছু খসে পড়ল, আর শৌল আবার দেখতে পেলেন। পরে তিনি উঠে গিয়ে বাপ্তিস্ম নিলেন। 19 এরপর কিছু খাওয়া-দাওয়া করে সবল হলেন।

দম্মেশকে শৌলের প্রচার কার্য্য

তিনি কিছুদিন দম্মেশেকে অনুগামীদের সঙ্গে থাকলেন। 20 এরপর তিনি সরাসরি সমাজ-গৃহে গিয়ে যীশুর কথা প্রচার করতে লাগলেন। তিনি বললেন, “এই যীশুই হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র।”

21 তার কথা শুনে সকলে আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা বলল, “একি, সেই লোক নয় যে জেরুশালেমে যাঁরা যীশুর নামে বিশ্বাস করত তাদের ধ্বংস করত? আর এখানে সে যীশুর অনুগামীদের গ্রেপ্তার করে প্রধান যাজকের কাছে নিয়ে যাবার জন্য কি আসে নি?”

22 কিন্তু শৌল ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে উঠলেন, আর দম্মেশকে যে সব ইহুদী বাস করত, শৌল তর্কে তাদের নীরব করে দিলেন, তিনি প্রমাণ দিতে থাকলেন যে যীশুই খ্রীষ্ট।

শৌল ইহুদীদের থেকে মুক্ত

23 বেশ কিছু দিন পর ইহুদীরা শৌলকে হত্যা করার চক্রান্ত করতে লাগল। 24 কিন্তু শৌল তাদের চক্রান্ত জানতে পারলেন। ইহুদীরা তাকে হত্যা করার জন্য শহরের প্রধান ফটকগুলির ওপর দিন রাত নজর রাখতে লাগল। 25 কিন্তু যারা শৌলের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছিল, তারা শৌলকে শহর ত্যাগ করতে সাহায্য করল। তারা শৌলকে একটা ঝুড়িতে রেখে শহরের প্রাচীরের এক গর্ত দিয়ে ঝুড়িশুদ্ধ শৌলকে বাইরে নামিয়ে দিল।

জেরুশালেমে শৌল

26 এরপর শৌল জেরুশালেমে গেলেন। সেখানে তিনি যীশুর অনুগামীদের সঙ্গে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন; কিন্তু তাঁরা সকলে তাঁকে ভয় করলেন। তাঁরা বিশ্বাস করতে চাইলেন না যে তিনি সত্যিকার যীশুর অনুগামী হয়েছেন। 27 কিন্তু বার্ণবা শৌলকে গ্রহণ করে তাঁকে নিয়ে প্রেরিতদের কাছে গেলেন। দম্মেশকের পথে শৌল কিভাবে যীশুর দেখা পেয়েছেন ও প্রভু যীশু যে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আর কিভাবে তিনি দম্মেশকে সাহসের সঙ্গে যীশুর নাম প্রচার করেছেন, সেসব কথা তাদের সবিস্তারে জানালেন।

28 শৌল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সঙ্গে জেরুশালেমে থাকতেন, তিনি সেখানে সব জায়গায় গিয়ে সাহসের সঙ্গে প্রভুর নাম প্রচার করতেন। 29 তিনি গ্রীকভাষী ইহুদীদের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন বলে তারা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করতে লাগল। 30 ভাইরা সে কথা জানতে পেরে তাঁকে কৈসরিয়াতে নিয়ে গেলেন ও সেখান থেকে তার্ষে পাঠিয়ে দিলেন।

31 সেই সময় যিহূদিয়া, গালীল ও শমরিয়ায় বিশ্বাসী মণ্ডলীগুলিতে শান্তি বিরাজ করছিল। বিশ্বাসীরা প্রভুর ভয়ে জীবনযাপন করত ও পবিত্র আত্মায় উৎসাহিত হত; এর ফলে দলটি শক্তিশালী হয়ে উঠল এবং ক্রমে ক্রমে সংখ্যায় বৃদ্ধিলাভ করতে লাগল।

যাফোতে পিতর

32 পিতর জেরুশালেমের আশে পাশে বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করতে করতে লুদ্দার খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের কাছে এলেন। 33 লুদ্দায় তিনি ঐনিয় নামে একজন পঙ্গু লোকের দেখা পান; সে আট বছর ধরে পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী ছিল। 34 পিতর তাকে বললেন, “ঐনিয় যীশু তোমায় সুস্থ করেছেন, তুমি ওঠ, বিছানা গুটিয়ে নাও। তুমি নিজেই তা পারবে।” সঙ্গে সঙ্গে ঐনিয় উঠে দাঁড়াল। 35 তখন লুদ্দা ও শারোণের সব লোক তাকে দেখে প্রভুর প্রতি ফিরল ও বিশ্বাসী হল।

36 যাফোতে টাবিথা বা দর্কা যার অর্থ “হরিণী” নামে এক শিষ্য ছিলেন। তিনি সব সময় লোকের উপকার করতেন, বিশেষ করে গরীবদের সাহায্য করতেন। 37 পিতর যখন লুদ্দায় ছিলেন টাবিথা অসুস্থ হয়ে মারা যান; তাই তারা তাঁর দেহ স্নান করিয়ে ওপরের ঘরে শুইয়ে রাখল। 38 লুদ্দা যাফোর কাছাকাছি ছিল। অনুগামীরা যখন শুনলেন যে পিতর লুদ্দায় আছেন, তখন তাঁরা দুজন লোককে সেখানে পাঠিয়ে অনুরোধ করলেন, “যেন পিতর তাড়াতাড়ি করে একবার তাদের ওখানে আসেন!”

39 তখন পিতর প্রস্তুত হয়ে তাদের সঙ্গে চললেন। তিনি সেখানে হাজির হলে তারা তাঁকে ওপরের সেই ঘরে নিয়ে গেল; আর বিধবারা সকলে তাঁর চারদিকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগল, দর্কা জীবিত অবস্থায় তাদের সঙ্গে থাকবার সময়ে যেসব পোশাকগুলি তৈরী করেছিলেন তা দেখাতে লাগল। 40 পিতর সকলকে ঘরের বাইরে বার করে দিয়ে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করলেন। তারপর সেই দেহের দিকে ফিরে তিনি বললেন, “টাবিথা, ওঠ!” তাতে তিনি চোখ খুললেন ও পিতরকে দেখে উঠে বসলেন। 41 তখন পিতর হাত বাড়িয়ে তাঁকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন। এরপর তিনি বিশ্বাসীদের ও সেই বিধবাদের ডেকে তাঁকে জীবিত দেখালেন।

42 এই কথা যাফোর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল আর অনেক লোক প্রভুর ওপর বিশ্বাস করল। 43 পিতর যাফোতে শিমোন নামে এক চামড়া ব্যবসায়ীর ঘরে অনেক দিন রইলেন।

যিরমিয় 18

কুমোর এবং কাদামাটি

18 যিরমিয়র কাছে প্রভুর এই বার্তা এসেছিল: “যিরমিয় যাও, কুমোরের বাড়ি যাও। কুমোরের ঘরে আমি তোমাকে আমার বার্তা জানাব।”

তাই আমি কুমোরের বাড়ি গিয়েছিলাম। আমি দেখেছিলাম কুমোর তার চাকায় কাদামাটি নিয়ে কাজ করছে। কাদামাটি দিয়ে সে একটি পাত্র তৈরী করছিল। কিন্তু কোথাও কোন গণ্ডগোল হচ্ছিল। তাই কুমোর আবার কাদামাটি চড়াচ্ছিল নতুন পাত্র তৈরীর জন্য। মনের মতো করে হাত দিয়ে সে পাত্রের আকার গড়তে চাইছিল।

তখন প্রভুর বার্তা এসে পৌঁছালো আমার কাছে: “ইস্রায়েলের পরিবার, তোমরা জানো যে আমি (ঈশ্বর) তোমাদের সঙ্গে এই রকমই করতে পারি। তোমরা হলে কুমোরের হাতে রাখা কাদামাটি আর আমি হলাম কুমোর। হয়তো এমন সময় আসতে পারে যখন আমি তোমাদের একটি দেশ অথবা একটি রাজ্যের সম্বন্ধে কথা বলব। আমি হয়ত বলতে পারি যে আমি ঐ দেশটিকে গড়ে তুলব। আবার এও বলতে পারি যে আমি ঐ দেশটি ও তার রাজধানীকে ধ্বংস করব। কিন্তু ঐ জাতির লোকরা হয়তো তাদের হৃদয় ও মনের পরিবর্তন করতে পারে। হয়তো তারা আর পাপ কাজসমূহ করবে না। তখন আমিও মত পরিবর্তন করব। তাহলে ঐ জাতির জন্য আমি আর ধ্বংস বয়ে আনব না। আবার সেখানে অন্য এক সময় আসতে পারে যখন আমি আরেকটি জাতির কথা বলবো। আমি হয়ত বলব যে আমি ঐ জাতিটিকে গড়ে তুলব এবং স্থাপন করব। 10 কিন্তু আমি যদি দেখি ঐ জাতি খারাপ কাজ করছে এবং আমাকে অমান্য করছে, তাহলে আমাকেও ঐ জাতির জন্য ভাল কাজ করবার যে পরিকল্পনা করেছিলাম তার সম্বন্ধে আবার বিবেচনা করতে হবে।

11 “অতএব, যিরমিয়, যিহূদা এবং জেরুশালেমের লোকদের এটা বলো, ‘প্রভু যা বলেছেন তা হল: এই মূহুর্তে আমি তোমাদের জন্য অশান্তি তৈরী করছি। আমি তোমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করছি। সুতরাং অসৎ‌ কাজ করা বন্ধ করো। প্রত্যেকে ভালো হওয়ার চেষ্টা করো।’ 12 কিন্তু যিহূদার লোকরা উত্তর দেবে, ‘চেষ্টা করে আমাদের বদলাতে চাইলে কোন লাভ হবে না। আমরা যা চাইছি তাই করে যাব। প্রত্যেকেই তার শয়তান হৃদয় যা চাইছে তাই করে যাচ্ছে।’”

13 প্রভু যা বলেছেন শোন:

“অন্য দেশগুলিকে এই প্রশ্নগুলো করো:
    ‘ইস্রায়েল যে খারাপ কাজগুলো করেছে সেইগুলো অন্য কোন লোককে কখনও করতে শুনেছ?’
ইস্রায়েল হল ঈশ্বরের বিশেষ কেউ।
    ইস্রায়েল হল ঈশ্বরের কনের মতো।
14 তোমরা জানো যে প্রস্তরখণ্ড কখনও নিজের ইচ্ছেয় মাঠ ছেড়ে যেতে পারে না।
    তোমরা জানো যে লিবানোনের পর্বত শৃঙ্গের বরফ কখনও গলে যায় না।
    তোমরা জানো যে শৈত্য প্রবাহ কখনও শুষ্ক হয়ে যায় না।
15 কিন্তু আমার লোকরা আমাকে ভুলে
    অসার মূর্ত্তিদের সামনে নৈবেদ্য সাজাচ্ছে।
আমার লোকরা তাদের এই কৃতকার্যের জন্য হোঁচট খাচ্ছে।
    তারা তাদের পূর্বপুরুষদের তৈরী পুরানো পথেও হোঁচট খাচ্ছে।
আমার লোকরা আমাকে ভালো রাস্তায় অনুসরণ করার চেয়ে
    বরং পিছনের রাস্তায় এবং খারাপ রাস্তা দিয়ে হাঁটবে।
16 সুতরাং যিহূদা শূন্য মরুভূমিতে পরিণত হবে।
    লোকরা তাদের দেশের এই করুণ অবস্থা দেখে প্রচণ্ড আঘাত পাবে।
    তারা শুধু শিস্ দিতে দিতে মাথা নাড়বে।
17 আমি যিহূদার লোকদেরও ছড়িয়ে দেব।
    তারা তাদের শত্রুদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
আমি পূর্বদিকের ঝড়ের মত যিহূদার লোকদের ছত্রভঙ্গ করে দেব।
    ধ্বংস করে দেব ওদের।
ওরা দেখতে পাবে আমি ওদের সাহায্য না করে
    দিব্যি ওদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি।”

যিরমিয়র চতুর্থ অভিযোগ

18 তখন যিরমিয়র শত্রুরা বলল, “এসো আমরা একত্রে মিলে যিরমিয়র বিরুদ্ধে চক্রান্তের উপায় বার করি। যাজকের দেওয়া অনুশাসনের শিক্ষা নিশ্চয়ই হারিয়ে যাবে না এবং জ্ঞানীদের উপদেশ আমাদের সঙ্গে আছে। ভাববাদীদের কথাও আমাদের সঙ্গে এখনও আছে। সুতরাং চলো যিরমিয়র বিরুদ্ধে আমরা মিথ্যা প্রচার চালাই। এই প্রচারই তাকে শেষ করে দেবে। তার কোন কথাকেই আমরা পাত্তা দেব না।”

19 প্রভু আমার কথা শুনুন!
    আমার যুক্তি শুনে বিচার করুন কে সঠিক।
20 আমি লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছিলাম,
    কিন্তু তারা আমাকে খারাপ জিনিষ প্রতিদান দিচ্ছে।
    তারা আমাকে ফাঁদে ফেলতে চাইছে এবং হত্যা করতে চাইছে।
প্রভু, ঐ লোকদের ভালো করবার জন্য
    এবং ওদের ওপর রাগ করা বন্ধ করবার জন্য
    আপনার কাছে কত ভিক্ষা করেছিলাম মনে করুন।
21 সুতরাং ওদের ছেলেমেয়েরা খরায় অনাহারে মরল!
    শত্রুরা ওদের পরাজিত করুক।
তাদের মহিলারা সন্তান হারাক, তারা বিধবাও হয়ে যাক।
    যিহূদার সমস্ত পুরুষকে হত্যা করা হোক্।
ওদের স্ত্রীরা বিধবার জীবনযাপন করুক।
    যুদ্ধে মারা যাক যিহূদার সমস্ত যুবক।
22 ঘরে ঘরে কান্নার রোল উঠুক।
    যখন আপনি হঠাৎ‌‌ ওদের বিরুদ্ধে শত্রুর আক্রমণ ঘটাবেন তখন ওরা কাঁদুক।
এইসব কিছু ঘটুক কারণ আমার শত্রুরা আমাকে ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল।
    তারা আমার জন্য ফাঁদ পেতে রেখেছিল
    তার মধ্যে পড়বার জন্য।
23 প্রভু, আমাকে হত্যা করবার জন্য ওরা যে পরিকল্পনা করেছিল আপনি তা জানেন।
    ওদের এই অপরাধ ক্ষমা করবেন না।
ওদের পাপকে মুছে দেবেন না।
    আমার শত্রুদের ধ্বংস করে দিন।
    যখন আপনি ক্রুদ্ধ হবেন তখন ওদের শাস্তি দেবেন!

মার্ক 4

একজন চাষীর বীজ বোনার কাহিনী

(মথি 13:1-9; লূক 8:4-8)

পরে আবার তিনি হ্রদের ধারে লোকদের কাছে শিক্ষা দিতে লাগলেন। তাতে এত লোক তাঁর কাছে জড়ো হল যে, তিনি একটা নৌকায় উঠে বসলেন আর হ্রদের পাড়ে সমস্ত লোকরা এসে ভীড় করল। তখন দৃষ্টান্তের মাধ্যমে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে শিক্ষা দিতে লাগলেন, বললেন,

“শোন! এক চাষী বীজ বুনতে গেল। বোনার সময় কতকগুলো বীজ পথের পাশে পড়ল, তাতে পাখিরা এসে তা খেয়ে ফেলল। আবার কতকগুলো বীজ পাথুরে জমিতে পড়ল, সেখানে বেশী মাটি ছিল না। বেশী মাটি না থাকাতে খুব তাড়াতাড়ি বীজ থেকে অঙ্কুর বার হল: কিন্তু সূর্য ওঠার সাথে সাথে অঙ্কুরগুলো শুকিয়ে গেল, কারণ এর শেকড় গভীরে ছিল না। কতকগুলো বীজ কাঁটাঝোপের মধ্যে গিয়ে পড়ল, কাঁটাবন বেড়ে গিয়ে চারাগাছগুলোকে বাড়তে দিল না, ফলে সে গাছে কোন ফল হল না। কতকগুলো বীজ ভাল জমিতে পড়ল এবং তার থেকে অঙ্কুর বেরল, আর তা বেড়ে ফল দিল। যা বোনা হয়েছিল তার ত্রিশ গুণ, ষাট গুণ ও একশো গুণ ফল দিল।”

তিনি তাদের বললেন, “যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক।”

যীশু কেন দৃষ্টান্তমূলক কাহিনীর ব্যবহার করলেন

(মথি 13:10-17; লূক 8:9-10)

10 পরে যখন তিনি একা ছিলেন, তাঁর শিষ্যরা সেই বারোজন প্রেরিতের সাথে তাঁকে তাঁর দৃষ্টান্তের অর্থ জিজ্ঞাসা করলেন।

11 তখন তিনি তাঁদের বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্যের নিগূঢ়তত্ত্ব তোমাদের বলা হয়েছে; কিন্তু যাঁরা ঈশ্বরের রাজ্যের বাইরের লোক তাদের কাছে সব কিছুই দৃষ্টান্তের মাধ্যমে বলা হচ্ছে। 12 যাতে,

‘তারা দেখবে কিন্তু উপলদ্ধি করতে পারবে না।
    তারা শুনবে অথচ বুঝবে না,
পাছে তারা ফিরে আসে ও তাদের ক্ষমা করা যায়।’”(A)

যীশু বীজ বোনার দৃষ্টান্ত ব্যাখ্যা করলেন

(মথি 13:18-23; লূক 8:11-15)

13 তিনি তাদের বললেন, “তোমরা কি এই দৃষ্টান্তের অর্থ বুঝতে পার না? তবে কেমন করে অন্য সব দৃষ্টান্ত বুঝবে? 14 সেই চাষী হল সেই লোক, যে ঈশ্বরের শিক্ষা মানুষেব কাছে নিয়ে যায়। 15 কিছু লোক সেই পথের পাশে পড়া বীজের মতো, যাদের মধ্যে ঈশ্বরের শিক্ষা বোনা যায়, আর তারা শোনার সঙ্গে সঙ্গে শয়তান এসে তাদের মন থেকে যে শিক্ষা বোনা হয়েছিল তা নিয়ে যায়।

16 “কিছু লোক সেই পাথুরে জমিতে পড়া বীজের মতো, যারা শিক্ষা শোনার সাথে সাথে তা আনন্দে গ্রহণ করে। 17 কিন্তু তাদের হৃদয়ের গভীরে মূল যায় না, তারা অল্প সময় স্থির থাকে। সেই শিক্ষা গ্রহণের জন্য যেই তাদের ওপর কষ্ট অথবা তাড়না আসে, অমনি তারা সেই পথ ছেড়ে দেয়।

18 “কিছু লোক সেই কাঁটাঝোপে বোনা বীজের মতো যারা শিক্ষা শোনে, 19 কিন্তু সংসারের চিন্তা, অর্থের মায়া ও অন্যান্য বিষয়ের অভিলাষ মনের ভেতর গিয়ে ঐ বাক্য চেপে রাখে, আর তাই তাতে কোন ফল হয় না।

20 “আর কিছু লোক সেই উর্বর জমিতে পড়া বীজের মত, যারা সেই বাক্য সকল শুনে গ্রহণ করে এবং ত্রিশ গুণ, কেউ ষাট গুণ ও কেউ শত গুণ ফল উৎপন্ন করে।”

তোমাদের যা আছে তা অবশ্যই ব্যবহার করো

(লূক 8:16-18)

21 তিনি তাদের আরো বললেন, “প্রদীপ জ্বেলে কি কেউ ধামা চাপা দিয়ে বা খাটের নীচে রাখে? বাতিদানের ওপরে রাখবার জন্য কি তা জ্বালে না? 22 কারণ এমন গোপন কিছুই নেই যা প্রকাশ করা যাবে না, এমন লুকানো কিছু নেই যা প্রকাশ হবে না। 23 যদি তোমাদের কান থাকে তবে শোন! 24 তারপর তিনি তাদের বললেন, তোমরা যা শুনছ সেই বিষয়ে মনোযোগ দাও। যে দাঁড়িপাল্লায় তুমি মাপবে সেই দাঁড়িপাল্লায় তোমাদের জন্যও মেপে দেওয়া হবে, এমনকি আরো বেশী দেওয়া হবে। 25 কারণ যার আছে তাকে আরো দেওয়া হবে; আর যার নেই তার যা আছে তাও তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে।”

যীশু বীজের দৃষ্টান্তমূলক কাহিনী ব্যবহার করলেন

26 তিনি আরো বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্য এইরকম, একজন লোক জমিতে বীজ ছড়াল। 27 পরে সে দিন রাত ঘুমিয়ে জেগে উঠল; ইতিমধ্যে ঐ বীজ থেকে অঙ্কুর হল ও বাড়তে লাগল; কেমন করে বাড়ছে সে তা জানল না। 28 জমিতে নিজে থেকে চারা গাছ বড় হতে লাগল। প্রথমে অঙ্কুর, তারপর শীষ এবং শীষের মধ্যে সম্পূর্ণ শস্য দানা হল। 29 সেই ফসল পাকলে পরে সে সাথে সাথে কাস্তে লাগাল কারণ ফসল কাটার সময় হয়েছে।”

ঈশ্বরের রাজ্য সরষে দানার মতো

(মথি 13:31-32, 34-35; লূক 13:18-19)

30 যীশু বললেন, “আমরা কিসের সাথে ঈশ্বরের রাজ্যের তুলনা করব? কোন্ দৃষ্টান্তের সাহায্যেই বা তা বোঝাব? 31 এটা হল সরষে দানার মতো, সেই বীজ মাটিতে বোনার সময় মাটির সমস্ত বীজের মধ্যে সবচেয়ে ছোট; 32 কিন্তু রোপণ করা হলে তা বাড়তে বাড়তে সমস্ত চারাগাছের থেকে বড় হয়ে ওঠে এবং তাতে লম্বা লম্বা ডালপালা গজায় যাতে পাখিরা তার ছায়ার নীচে বাসা বাঁধতে পারে।”

33 এইরকম আরও অনেক দৃষ্টান্তের সাহায্যে তিনি তাদের কাছে শিক্ষা দিতেন; তিনি তাদের বোঝবার ক্ষমতা অনুসারে শিক্ষা দিতেন। 34 দৃষ্টান্ত ছাড়া তাদের কিছুই বলতেন না; কিন্তু শিষ্যদের সঙ্গে একা থাকার সময়, তিনি তাদের সমস্ত কিছু বুঝিয়ে বলতেন।

যীশু ঝড় থামালেন

(মথি 8:23-27; লূক 8:22-25)

35 ঐদিন সন্ধ্যে হলে তিনি শিষ্যদের বললেন, “চল, আমরা হ্রদের ওপারে যাই।” 36 তখন তাঁরা লোকদের বিদায় দিয়ে, তিনি নৌকায় যে অবস্থায় বসেছিলেন, তেমনিভাবেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন, সেখানে আরও নৌকা তাদের সঙ্গে ছিল। 37 দেখতে দেখতে প্রচণ্ড ঝড় উঠল এবং ঢেউগুলো নৌকায় এমন আছড়ে পড়তে লাগল যে নৌকা জলে ভরে উঠতে লাগল। 38 সেইসময় যীশু নৌকার পিছন দিকে বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁরা তাঁকে জাগিয়ে বললেন, “গুরু, আপনার কি চিন্তা হচ্ছে না যে আমরা সকলে ডুবতে বসেছি?”

39 তখন তিনি জেগে উঠে ঝড়কে ধমক দিলেন ও সমুদ্রকে বললেন, “থাম! শান্ত হও!” সঙ্গে সঙ্গে ঝড় থেমে গেল, আর সবকিছু শান্ত হল।

40 তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা এত ভীতু কেন? তোমাদের কি এখনও বিশ্বাস হয় নি?”

41 কিন্তু শিষ্যরা আরও ভয় পেয়ে পরস্পরের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “ইনি তবে কে? এমন কি ঝড় এবং সমুদ্রও এঁর কথা শোনে।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International