Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 1

যিহূদা কনানীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করল

যিহোশূয় মারা গেলেন। ইস্রায়েলবাসীরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে জিজ্ঞাসা করল, “আমাদের পরিবার গোষ্ঠীদের মধ্যে সবচেয়ে আগে কে কনানীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাবে?”

প্রভু তাদের বললেন, “সবচেয়ে আগে যাবে যিহূদা গোষ্ঠী। আমি তাদেরই এই দেশ জয় করতে দেবো।”

যিহূদার পুরুষরা তাদের শিমিয়োন পরিবারগোষ্ঠীর ভাইদের কাছ থেকে সাহায্য চাইল। যিহূদার লোকরা বলল, “ভাইসব, প্রভু আমাদের প্রত্যেককে কিছু জমিজায়গা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি তোমরা যুদ্ধের জন্য আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসো তাহলে আমরাও কনানীয়দের বিরুদ্ধে তোমাদের জমির লড়াইয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসব।” শিমিয়োনের লোকরা যিহূদার ভাইদের যুদ্ধে সাহায্য করতে রাজী হল।

প্রভুর সাহায্যে যিহূদার লোকরা কনানীয় ও পরিষীয়দের পরাজিত করল। তারা বেষক শহরের 10,000 লোককে হত্যা করেছিল। বেষক শহরে যিহূদার লোকরা সেখানকার রাজাকে পেয়ে তার সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। যিহূদার লোকরা কনানীয় এবং পরিষীয়দের পরাজিত করেছিল।

বেষকের শাসক পালাবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যিহূদার লোকরা তার পিছু নিয়ে তাকে ধরে ফেলেছিল। তারা রাজার হাত ও পায়ের বুড়ো আঙ্গুল কেটে ফেলেছিল। তখন বেষকের শাসক বলল, “আমি নিজে 70 জন রাজার হাত ও পায়ের বুড়ো আঙ্গুল কেটে দিয়েছিলাম। আমার টেবিল থেকে যেসব খাবারের টুকরো পড়ে যেত তাই তাদের খেতে হত। আজ ঈশ্বর আমার সেই অধর্মের প্রতিফল দিলেন।” যিহূদার লোকরা বেষকের শাসককে জেরুশালেমে নিয়ে গেল। সেখানেই তার মৃত্যু হল।

যিহূদার লোকরা জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা অধিকার করল। জেরুশালেমের লোকদের তারা তরবারি দিয়ে হত্যা করেছিল এবং হত্যার পর জেরুশালেম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। তারপর তারা আরও কিছু কনানীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে নেমে গিয়েছিল। এরা নেগেভের পাহাড়ি অঞ্চলে আর পশ্চিম পাহাড়তলিতে বাস করত।

10 হিব্রোণে যে সব কনানীয়রা বাস করত তাদের সঙ্গেও যিহূদা যুদ্ধ করেছিল। (হিব্রোণকে বলা হত কিরিয়ৎ অর্ব।) তারা শেশয়, অহীমান ও তলময় নামে তিন জনকে পরাজিত করেছিল।

কালেব এবং তাঁর কন্যা

11 যিহূদার লোকরা সেখান থেকে চলে গেল। তারা দবীর শহরের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেল, যে শহরকে আগে বলা হত কিরিয়ৎ-সেফর। 12 যুদ্ধের আগে কালেব যিহূদার লোকদের কাছে প্রতিশ্রুতি করে বলেছিল, “আমি কিরিয়ৎ সেফর আক্রমণ করতে চাই। যে এই শহরটি জিততে পারবে তার সঙ্গে আমি আমার কন্যা অক্ষারের বিবাহ দেব।”

13 কালেবের ছোট ভাইয়ের নাম ছিল কনস। কনসের পুত্র অৎনিয়েল কিরিয়ৎ সেফর দখল করল। সুতরাং কালেব অৎনিয়েলের সঙ্গে অক্ষার বিবাহ দিল।

14 অকষা অৎনিয়েলের ঘর করতে চলে গেল। অৎনিয়েল অক্ষাকে তার পিতার কাছ থেকে কিছু জমিজায়গা চাইবার জন্য বলেছিল। অক্ষা পিতার কাছে গেল। গাধার পিঠ থেকে যেই সে নেমেছে, অমনি কালেব জিজ্ঞাসা করল, “কি হয়েছে?”

15 অক্ষা বলল, “আমায় একটি উপহার দাও। তুমি আমাকে নেগেভের শুকনো মরুভূমিটা দিয়েছিলে। এবার আমাকে এমন কিছু জায়গা দাও যেখানে জল পাওয়া যায়।” কন্যার কথামত কালেব তাকে সেই দেশ দিল যার ওপরে ও নীচে জলের ঝর্ণা আছে।

16 কেনীয় সম্প্রদায়ের লোকরা খেজুর গাছের শহর যেরিকো ছেড়ে যিহূদার লোকদের সঙ্গে যিহূদা মরু অঞ্চলের দিকে চলে গেল। তারা অরাদ শহরের কাছে নেগেভের স্থায়ী বাসিন্দা হল। (কনানীয়রা মোশির শ্বশুরকুল থেকে এসেছিল।)

17 কিছু কনানীয়রা সফাৎ শহরে বাস করত। তাই সেখানেও যিহূদা আর শিমিয়োন পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা কনানীয়দের আক্রমণ করল। তারা শহরটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলল এবং তার নাম রাখল হর্মা।

18 যিহূদার লোকরা ঘসা এবং ঘসার চারদিকের ছোটখাটো শহরগুলোও দখল করল। তারা অস্কিলোন, ইক্রোণ আর কাছাকাছি সব শহর দখল করল।

19 প্রভু যিহূদার যোদ্ধাদের সহায় ছিলেন। পাহাড়ি দেশের জমিগুলো তারা নিয়ে নিল। কিন্তু উপত্যকা অঞ্চলের জমি তারা নিতে পারল না, কারণ সেখানকার অধিবাসীদের লোহার রথ ছিল।

20 মোশি কালেবকে হিব্রোণের কাছাকাছি জমি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মত তার পরিবারকে সেই জমি দেওয়া হয়েছিল। কালেবের লোকরা অনাকের তিন পুত্রকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।

21 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠী যিবূষীয়দের জেরুশালেম ছেড়ে যেতে জোর করে নি। তাই আজও জেরুশালেমে যিবূষীয়রা বিন্যামীনের লোকদের সঙ্গে বসবাস করছে।

যোষেফের লোকরা বৈথেল দখল করল

22 যোষেফের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা বৈথেল শহর আক্রমণ করতে গেল। প্রভু যোষেফের পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের সহায় ছিলেন। 23 তারা যোষেফের পরিবারের কয়েকজন গুপ্তচরকে বৈথেল (আগে বৈথেলের নাম ছিল লূস।) শহরটা কিভাবে দখল করা যেতে পারে তা দেখবার জন্য পাঠালো। 24 গুপ্তচররা যখন বৈথেল শহরটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল তখন তারা সেখান থেকে একটি লোককে বেরিয়ে আসতে দেখল। তারা লোকটিকে বলল, “শহরে ঢোকার গুপ্ত পথটা আমাদের দেখাও। আমরা শহর আক্রমণ করব, কিন্তু তুমি আমাদের সাহায্য করলে তোমাকে আমরা কিছু করব না।”

25 লোকটি শহরে প্রবেশের গুপ্তপথ দেখিয়ে দিল। যোষেফের লোকরা তরবারি দিয়ে বৈথেলবাসীদের হত্যা করল। কিন্তু সাহায্যকারী ঐ লোকটিকে তারা কিছু করল না। লোকটির পরিবারকেও কিছু করল না। তাদের ছেড়ে দিল যাতে তারা যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারে। 26 লোকটি তখন হিত্তীয়দের দেশে চলে গেল এবং সেখানে একটি শহর তৈরী করল। শহরের নাম দিল লূস। আজও সেই শহরটি আছে।

অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গে কনানীয়দের যুদ্ধ

27 কনানীয়রা বৈৎ‌শান, তানক, দোর, যিব্লিয়ম, মগিদ্দো এবং এদের চারপাশের ছোটছোট শহরগুলোতে বাস করত। মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা কনানীয়দের এসব জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে পারেনি বলেই তারা সেখানে থাকতে পেরেছিল। তারা সেখান থেকে চলে যেতে চায়নি। 28 পরবর্তীকালে ইস্রায়েলীয়রা শক্তিশালী হয়ে উঠলে তারা কনানীয়দের ক্রীতদাস করে রাখে। তারা সমস্ত কনানীয়দের দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে পারল না।

29 ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীকে নিয়েও একই ব্যাপার ঘটেছিল। গেষরে থাকত কনানীয়রা। ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর লোকরা কনানীয়দের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়নি। তাই তারা গেষরে ইফ্রয়িমদের সঙ্গে বসবাস করতে থাকল।

30 সবূলূন সম্পর্কেও সেই একই কথা। কিটরোণ আর নহলোল শহরে কিছু কনানীয় বাস করত। সবূলূন তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়নি। তারা সবূলূনের সঙ্গেই থাকত। তবে তারা এদের ক্রীতদাস হয়েই থাকত।

31 আশের পরিবারগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তারা অন্যান্য জাতির লোকদের অক্কো, সীদোন, অহলব, অকষীব, হেল্বা, অফীক এবং রহোব শহর থেকে তাড়িয়ে দেয় নি। 32 আশেরের লোকরা সেই জায়গায় কনানীয়দের তাড়িয়ে দেয় নি। সুতরাং তারা কনানীয়দের মধ্যে বাস করত।

33 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীও বৈৎ‌-শেমশ এবং বৈৎ‌-অনাতের থেকে লোকদের সরিয়ে দেয় নি। তাই নপ্তালির লোকরা এসব শহরে লোকদের সঙ্গে বসবাস করতে লাগল। কনানীয়রা নপ্তালির লোকদের ক্রীতদাস হিসেবে থেকে গেল।

34 ইমোরীয় লোকরা দান পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের পাহাড়ী দেশে বাস করতে বাধ্য করল। দান পরিবারগোষ্ঠীর এইসব লোকরা পাহাড়ী জায়গায় বসবাস করতে বাধ্য হল, কারণ ইমোরীয়রা তাদের উপত্যকায় নেমে এসে বাস করতে দিল না। 35 ইমোরীয়রা ঠিক করল যে তারা হেরস পর্বতশৃঙ্গে, অয়ালোনে এবং শাল্‌বীমে থাকবে। পরবর্তীকালে যোষেফের পরিবারগোষ্ঠী শক্তিশালী হয়ে উঠল। তখন তারা ইমোরীয়দের ক্রীতদাস করে রাখল। 36 ইমোরীয়দের দেশ অক্রব্বাম গিরিপথ থেকে সেলা পর্যন্ত এবং ওপরে সেলাকে ছাড়িয়ে পাহাড়ি দেশ আছে।

প্রেরিত 5

অননিয় ও সাফীরা

অননিয় নামে একজন লোক ছিল, তার স্ত্রীর নাম সাফীরা। অননিয় তার একটি জমি বিক্রি করে সেই টাকার কিছু অংশ প্রেরিতদের কাছে জমা দিল; কিন্তু গোপনে টাকার কিছু অংশ নিজের কাছে রাখল। তার স্ত্রী এবিষয় জানত ও একমত ছিল।

তখন পিতর বললেন, “অননিয় তুমি কেন শয়তানকে তোমার অন্তরে কাজ করতে দিলে? তুমি পবিত্র আত্মার কাছে কেন মিথ্যা বললে ও জমি বিক্রির টাকা থেকে কিছুটা নিজেদের জন্য রেখে দিলে? সেই জমি বিক্রি করার আগে কি তা তোমারই ছিল না? আর তা বিক্রি করার পর সেই টাকা কি তোমার অধিকারেই ছিল না? তোমরা এই ধারণা কোথা থেকে পেলে? মানুষের কাছে নয় কিন্তু তুমি ঈশ্বরের কাছে মিথ্যা বললে।”

5-6 এই কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে অননিয় মাটিতে পড়ে মারা গেল, আর যারা একথা শুনল, তারা সকলে অত্যন্ত ভয় পেয়ে গেল। পরে যুবকরা উঠে তাকে কাপড়ে জড়িয়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে কবর দিল।

এই ঘটনার পর প্রায় তিন ঘন্টা কেটে গেল, এমন সময় অননিয়ের স্ত্রী সাফীরা সেখানে এল, তার স্বামীর কি হয়েছে সে তার কিছুই জানত না। পিতর তাকে বললেন, “আমায় বলতো তোমার সেই জমি কি এত টাকায় বিক্রি করেছিলে?”

সে বলল, “হ্যাঁ, ঐ টাকায় বিক্রি করেছি।”

তখন পিতর তাকে বললেন, “তোমরা দুজনে প্রভুর আত্মাকে পরীক্ষা করার জন্য কেন একচিত্ত হলে? শোন! যারা তোমার স্বামীকে কবর দিতে গিয়েছিল, তারা দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে; তারা তোমাকেও নিয়ে যাবে।” 10 সঙ্গে সঙ্গে সেও তার পায়ের কাছে পড়ে মারা গেল। ঐ যুবকরা ভেতরে এসে তাকে মৃত দেখল এবং বাইরে নিয়ে গিয়ে তার স্বামীর পাশে তাকে কবর দিল। 11 তখন সমস্ত মণ্ডলী ও যারা তা শুনল, তাদের সকলের মধ্যে মহাভয়ের সঞ্চার হল।

ঈশ্বরের কাছ থেকেই প্রমাণ

12 প্রেরিতদের মাধ্যমে লোকদের মধ্যে নানান অলৌকিক কাজ হতে লাগল। প্রেরিতরা শলোমনের বারান্দায় একত্রিত হতেন। তাঁদের সকলের উদ্দেশ্য একই ছিল। 13 অন্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে সাহস করত না; কিন্তু সকলে তাঁদের প্রশংসা করত। 14 আর দলে দলে অনেক পুরুষ ও স্ত্রীলোক যীশুতে বিশ্বাসী হয়ে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীবর্গের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকল। 15 লোকরা, এমন কি তাদের অসুস্থ রোগীদের নিয়ে এসে রাস্তার মাঝে তাদের বিছানায় বা খাটিযাতে শুইয়ে রাখত, যেন পিতর যখন সেখান দিয়ে যাবেন তখন অন্ততঃ তাঁর ছাযাও তাদের উপর পড়ে; আর তাতেই তারা সুস্থ হয়ে যেত। 16 জেরুশালেমের চারপাশের বিভিন্ন নগর থেকে অনেক লোক অসুস্থ ও অশুচি আত্মায় ভর করা লোকদের নিয়ে এসে ভীড় করত আর তারা সকলেই সুস্থ হত।

প্রেরিতদের কাজ বন্ধ করার জন্য ইহুদীদের চেষ্টা

17 এরপর মহাযাজক এবং তাঁর সঙ্গীরা অর্থাৎ সদ্দূকী দলের লোকরা ঈর্ষায় জ্বলে উঠল। 18 তারা প্রেরিতদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটকে দিল; 19 কিন্তু রাতের বেলায় প্রভুর এক দূত সেই কারাগারের দরজা খুলে দিলেন। তিনি তাদের পথ দেখিয়ে কারাগারের বাইরে নিয়ে গিয়ে বললেন, 20 “যাও মন্দিরের মধ্যে দাঁড়িয়ে তোমরা লোকদের এই নতুন জীবনের সকল বার্তা শোনাও।” 21 প্রেরিতেরা আজ্ঞা অনুসারে ভোর বেলায় মন্দিরে গিয়ে শিক্ষা প্রচার করতে লাগলেন।

এদিকে মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা, ইহুদী সমাজের গন্যমান্য লোকদের এক মহাসভা ডাকল; আর প্রেরিতদের সেখানে নিয়ে আসার জন্য কারাগারে লোক পাঠালো। 22 কিন্তু সেই লোকরা কারাগারে এসে কারাগারের মধ্যে প্রেরিতদের দেখতে পেল না। তাই তারা ফিরে গিয়ে বলল, 23 “আমরা দেখলাম কারাগারের তালা বেশ ভালভাবেই বন্ধ আছে, দরজায় দরজায় পাহারাদাররা দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে আমরা কাউকে দেখতে পেলাম না। দেখলাম কারাগার খালি পড়ে আছে।” 24 মন্দির রক্ষীবাহিনীর প্রধান ও প্রধান যাজকরা এই কথা শুনে হতবুদ্ধি হয়ে ভাবতে লাগল এর পরিণতি কি হবে?

25 সেই সময় একজন এসে তাদের বলল, “শুনুন! যে লোকদের আপনারা কারাগারে রেখেছিলেন, দেখলাম তাঁরা মন্দিরের মধ্যে দাঁড়িয়ে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছেন।” 26 তখন রক্ষীবাহিনীর প্রধান তার লোকদের নিয়ে সেখানে গেল ও প্রেরিতদের নিয়ে এল। তারা কোনরকম জোর করল না, কারণ তারা লোকদের ভয় করতে লাগল, পাছে তারা পাথর ছুঁড়ে তাদের মেরে ফেলে।

27 তারা প্রেরিতদের নিয়ে এসে ইহুদী নেতাদের সামনে দাঁড় করালে মহাযাজক প্রেরিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। 28 তিনি বললেন, “ঐ মানুষটির বিষয়ে কোন শিক্ষা দিতে আমরা তোমাদের দৃঢ়ভাবে নিষেধ করেছিলাম। ভেবে দেখ তোমরা কি করেছ? তোমরা তোমাদের শিক্ষায় জেরুশালেম মাতিয়ে তুলেছ, আর সেই লোকের মৃত্যুর জন্য সব দোষ আমাদের ওপর চাপাতে চাইছ।”

29 তখন পিতর ও অন্য প্রেরিতরা এর উত্তরে বললেন, “মানুষের হুকুম মানার চেয়ে বরং ঈশ্বরের আদেশ আমাদের অবশ্যই পালন করতে হবে। 30 আপনারা যীশুকে হত্যা করেছিলেন, তাঁকে বিদ্ধ করে ক্রুশে টাঙ্গিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সেই পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন। 31 সেই যীশুকে ঈশ্বর নেতা ও ত্রাণকর্তারূপে উন্নত করে নিজের ডান দিকে স্থাপন করেছেন, যাতে ইহুদীরা তাদের মন ফিরায় ও তিনি তাদের পাপ ক্ষমা করতে পারেন 32 আর আমরা এসব ঘটতে দেখেছি, বলতে পারি যে এসব সত্য। পবিত্র আত্মাও দেখাচ্ছেন যে এসব সত্য। যাঁরা তাঁর বাধ্য তাদের তিনি পবিত্র আত্মা দান করেছেন।”

33 মহাসভার সভ্যরা এসব কথা শুনে প্রচণ্ড রেগে উঠল, আর তারা প্রেরিতদের হত্যা করতে চাইল। 34 কিন্তু সেই মহাসভার একজন সভ্য, গমলীয়েল ইনি ব্যবস্থার শিক্ষক, যাকে সকলে মান্য করত, তিনি উঠে দাঁড়িয়ে ঐ প্রেরিতদের কিছু সময়ের জন্য সভা থেকে বাইরে নিয়ে যেতে বললেন। 35 পরে তিনি তাদের বললেন, “হে ইস্রায়েলীরা, এই লোকদের নিয়ে তোমরা যা করতে যাচ্ছ সে বিষয়ে সাবধান। 36 কারণ এর কিছু আগে থুদা নামে একজন লোক নিজেকে মহান বলে দাবী করেছিল। প্রায় চারশো লোক তার অনুসারী হয়েছিল; আর সে নিহত হলে তার অনুগামীরা সব যে যার পালিয়ে গেল, তার কোন চিহ্নই রইল না। 37 থুদার পরে আদমসুমারীর সময় গালীলীয় যিহূদার উদয় হয়, সেও বেশ কিছু লোককে তার দলে টানে; পরে সেও নিহত হয়, আর তার অনুগামীরাও ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 38 তাই বর্তমানে এই অবস্থা দেখে আমি তোমাদের বলছি: এই লোকেদের থেকে দূরে থাক, তাদের ছেড়ে দাও, কারণ তাদের এই পরিকল্পনা অথবা এই কাজ যদি মানুষের থেকে হয় তবে তা ব্যর্থ হবে। 39 কিন্তু যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে হয়ে থাকে, তাহলে তোমরা তা বন্ধ করতে পারবে না। হয়তো দেখবে যে তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ।”

তখন তারা এই পরামর্শ গ্রহণ করল। 40 তারা প্রেরিতদের ভেতরে ডেকে এনে চাবুক মারল, যীশুর নামে একটি কথাও বলতে নিষেধ করে তাদের ছেড়ে দিল। 41 প্রেরিতরা মহাসভার সভাস্থল থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন, আর যীশুর নামের জন্য তাঁরা যে নির্যাতন ও অপমান সহ্য করার যোগ্য বলে বিবেচিত হযেছেন, এই কথা ভেবে আনন্দ করতে লাগলেন। 42 এবং দমে না গিয়ে প্রতিদিন মন্দিরের মধ্যে ও বিভিন্ন বাড়িতে যীশুর বিষয়ে শিক্ষা ও সুসমাচারের প্রচার করে দেখালেন যে যীশুই হলেন খ্রীষ্ট।

যিরমিয় 14

খরা এবং ভ্রান্ত ভাববাদীরা

14 খরা সম্বন্ধে যিরমিয়র প্রতি প্রভুর বার্তা:

“যিহূদার লোকরা মৃত ব্যক্তিদের জন্য চিৎকার করে কাঁদবে।
    যিহূদার শহরগুলিতে লোকরা আরো বেশী দুর্বল হয়ে পড়বে।
    তারা মাটিতে শুয়ে পড়ে থাকবে।
জেরুশালেমবাসী ঈশ্বরের কাছে চিৎকার করে সাহায্য প্রার্থনা করবে।
নেতারা তাদের পরিচারকদের জল আনতে পাঠাবে।
জলাধারে পরিচারকরা এসে
    জল দেখতে পাবে না।
শূন্য পাত্র নিয়ে ফিরে যাবে,
    তারা লজ্জায় মাথা ঢাকবে।
চাষীরা চরম বেদনা পাবে ও লজ্জিত হবে।
    কেউ ফসল বোনার জন্য মাটি কর্ষন করে নি।
এক ফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই
    তাই লজ্জায় তারা মাথা ঢাকবে।
তৃণের অভাবে হরিণী তার সদ্যজাত সন্তানকে
    একাকী মাঠেই রেখে চলে যাবে।
বন্য গাধারা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে
    শেয়ালের মতো ঘ্রাণ নেবে।
কিন্তু তারা কোন খাবারের সন্ধান পাবে না।
    কারণ মাঠে কোন সবুজের চিহ্ন থাকবে না।”

“আমরা আমাদের ভুলগুলো বুঝতে পেরেছি।
    আমরা আমাদের পাপের জন্য কষ্ট পাচ্ছি।
    হে প্রভু, আপনার নামের দোহাই, আমাদের সাহায্য করবার জন্য কিছু করুন।
আমরা স্বীকার করছি আমরা পাপী,
    আমরা বার বার আপনার বিরুদ্ধে গিয়েছি।
ঈশ্বর, আপনিই ইস্রায়েলের আশা ভরসা।
    এর আগেও বহুবার আপনি ইস্রায়েলকে সমস্যার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।
কিন্তু এখন আপনি একজন বিদেশীর মতো ব্যবহার করছেন।
    আপনি যেন পথিকের মতো এক রাত্রি থাকার জন্যই এখানে এসেছেন।
আপনি যেন স্তম্ভিত এক মানুষ।
    আপনি যেন একজন সৈনিক যার প্রাণ বাঁচানোর কোন ক্ষমতা নেই।
কিন্তু প্রভু, আপনি আমাদের সঙ্গেই আছেন।
    আপনার নাম ধরেই আমাদের ডাকা হয় সুতরাং আমাদের সাহায্য না করে আপনি চলে যাবেন না।”

10 যিহূদার লোকদের সম্বন্ধে প্রভু যা বলেছেন তা হল: “যিহূদার লোকরা আমাকে ছেড়ে দিতে ভালোবাসে। তারা আমাকে ত্যাগ করা থেকে নিজেদের নিবৃত্ত করেনি। সুতরাং এখন প্রভুও তাদের গ্রহণ করবেন না। প্রভু এখন তাদের সব বাজে কাজ করার কথা স্মরণ করবেন। প্রভু তাদের পাপের শাস্তি দেবেন।”

11 প্রভু আমাকে বলেছিলেন, “যিরমিয়, যিহূদার লোকদের জন্য ভাল কিছু চেয়ে আমার কাছে প্রার্থনা কোরো না। 12 খুব সম্প্রতি হয়তো যিহূদার লোকরা উপবাস করতে এবং আমার কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করবে। কিন্তু আমি তাদের প্রার্থনা শুনব না। এমনকি তারা যদি আমাকে হোমবলি এবং শস্য নৈবেদ্য দিতে চায় তাও আমি গ্রহণ করব না। যুদ্ধ ডেকে এনে যিহূদার লোকদের আমি ধ্বংস করব। আমি তাদের খাদ্য সরিয়ে নিয়ে যাব। এবং তারা দুর্ভিক্ষের সামনে পড়বে। মহামারী ডেকে এনে আমি তাদের ধ্বংস করব।”

13 কিন্তু আমি প্রভুকে বলেছিলাম, “প্রভু, আমার মালিক, ভাববাদীরা লোকদের অন্য কিছু বলছিল। তারা যিহূদার লোকদের বলছিল, ‘শত্রুর তরবারি তোমাদের ক্ষতি করবে না। তোমরা অনাহারে কষ্ট পাবে না। প্রভু তোমাদের এই দেশে শান্তি এনে দেবেন।’”

14 তখন প্রভু আমাকে বলেছিলেন, “যিরমিয়, ঐ ভাববাদীরা আমার নাম নিয়ে মিথ্যে ধর্মোপদেশ প্রচার করছে। আমি ঐ ভাববাদীদের পাঠাই নি। আমি তাদের আমার কথা দিয়ে আদেশও দিইনি। ঐ ভাববাদীরা মিথ্যে দর্শন, মূল্যহীন যাদু এবং জাগরণ-স্বপ্ন প্রচার করছে। সেটা তাদের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা। যে ধারণা অন্তঃসারশূন্য ভোজবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। 15 ঐ ভাববাদীরা, যারা আমার নাম নিয়ে ধর্ম-প্রচার করে তাদের নামে আমি এ-ই বলি। আমি তাদের পাঠাই নি। ঐ ভাববাদীরা বলেছিল, ‘কোন শত্রু এই দেশ আক্রমণ করতে পারবে না। এই দেশে অনাহার বলে কিছু থাকবে না।’ ঐ ভাববাদীরা অনাহারে মারা যাবে এবং শত্রুর তরবারির আঘাতে তাদের মৃত্যু ঘটবে। 16 এবং লোকদের, যাদের ভাববাদীরা ধর্মোপদেশ দিত, তাদের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে। অনাহারে এবং শত্রুর তরবারিতে তাদের মৃত্যু ঘটলে কেউ তাদের কবর দিতে এগিয়ে আসবে না। কেউই আসবে না, এমন কি তাদের স্ত্রী পুত্র কন্যারাও নয়। আমি তাদের শাস্তি দেব।

17 “যিরমিয়, যিহূদার লোকদের কাছে
    এই বাণী উচ্চারণ করো:
‘আমার চোখ জলে ভরে গিয়েছে, দিন রাত্রি আমি শুধুই কাঁদব।
আমি আমার অক্ষত-যোনী কন্যার জন্য কাঁদব এবং কাঁদব আমার লোকেদের জন্য।
    কারণ কেউ তাদের আঘাত করেছে।
    তারা গুরুতরভাবে আহত।
18 যদি আমি সেই দেশটিতে যাই
    তবে আমি তরবারির আঘাতে নিহত মানুষদের দেখতে পাব।
যদি আমি সেই শহরে যাই
    তাহলে খাদ্যের অভাবে বহু অসুস্থ মানুষকে দেখতে পাব।
যাজক এবং ভাববাদীদের
    কোনও ভিন্ দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’”

19 লোকরা বলল, “প্রভু আপনি কি যিহূদাকে পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছেন?
    প্রভু আপনি কি সিয়োনকে ঘৃণা করেন?
আপনি আমাদের এমন আঘাত করেছেন যে আমরা আর কখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারবো না।
    কেন আপনি এরকম করলেন?
আমরা শান্তির আশায় বসে থাকলেও
    ভাল কিছু ঘটছে না।
আমরা সেরে ওঠার অপেক্ষায় বসে রইলাম
    কিন্তু শুধুই সন্ত্রাস এলো।
20 প্রভু, আমরা জানি আমরা খারাপ লোক।
    আমরা জানি আমাদের পূর্বপুরুষরাও অনেক খারাপ কাজ করেছিল।
    হ্যাঁ আমরা আপনার বিরুদ্ধে অনেক পাপ করেছি।
21 আপনার নামের দোহাই, আমাদের ঠেলে সরিয়ে রাখবেন না।
    আপনার মহিমান্বিত সিংহাসনকে অসম্মান অনাদরের পাত্র করবেন না।
আপনার সঙ্গে আমাদের চুক্তির কথা স্মরণ করুন।
    আপনি সেই চুক্তি ভঙ্গ করবেন না।
22 বিদেশী মূর্ত্তিদের বৃষ্টি আনার ক্ষমতা নেই।
    আকাশেরও বৃষ্টি ঝরানোর শক্তি নেই।
আপনিই আমাদের একমাত্র আশা ভরসা।
    আপনিই সব কিছুর স্রষ্টা।”

মথি 28

মৃত্যু থেকে যীশুর পুনরুত্থানের সংবাদ

(মার্ক 16:1-8; লূক 24:1-12; যোহন 20:1-10)

28 বিশ্রামবারের শেষে সপ্তাহের প্রথম দিন, অর্থাৎ, ববিবার খুব ভোরে মগ্দলীনী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম কবরটা দেখতে এলেন।

তখন হঠাৎ‌ ভীষণ ভূমিকম্প হল, কারণ প্রভুর একজন স্বর্গদূত স্বর্গ থেকে নেমে এসে সেই পাথরখানা সমাধিগুহার মুখ থেকে সরিয়ে দিলেন ও তার ওপরে বসলেন। তাঁর চেহারা বিদ্যুত ঝলকের মতো উজ্জ্বল ও তাঁর পোশাক তুষারশুভ্র। তাঁর ভয়ে পাহারাদাররা কাঁপতে কাঁপতে মড়ার মতো হয়ে গেল।

সেই স্বর্গদূত ঐ স্ত্রীলোকদের বললেন, “তোমরা ভয় পেও না, আমি জানি তোমরা যাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে খুঁজছ। কিন্তু তিনি এখানে নেই। তিনি যেমন বলেছিলেন, তেমনি পুনরুত্থিত হয়েছেন। এস, যেখানে তাঁকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল তা দেখ; আর তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁর শিষ্যদের বল, ‘তিনি মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন। তিনি তোমাদের আগে আগে গালীলে যাচ্ছেন, তোমরা তাঁকে সেখানে দেখতে পাবে।’” তারপর স্বর্গদূত বললেন, “আমি তোমাদের যে কথা বললাম তা মনে রেখো।”

তখন সেই স্ত্রীলোকেরা তাড়াতাড়ি কবরের কাছ থেকে চলে গেলেন। তাঁরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, তবু তাঁদের মন আনন্দে ভরে গিয়েছিল, তাঁরা যীশুর শিষ্যদের একথা বলার জন্য দৌড়ালেন। হঠাৎ‌ যীশু তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, “শুভেচ্ছা নাও!” তখন তাঁরা যীশুর কাছে গিয়ে তাঁর পা জড়িয়ে ধরে তাঁকে প্রণাম করলেন। 10 যীশু তাঁদের বললেন, “ভয় করো না, তোমরা যাও, আমার ভাইদের গিয়ে বল, তারা যেন গালীলে যায়, সেখানেই আমার দেখা পাবে।”

ইহুদী নেতাদের কাছে সংবাদ এল

11 সেই মহিলারা যখন যাচ্ছিলেন, তখন সেই পাহারাদারদের কয়েকজন শহরে গিয়ে যা যা ঘটেছিল তা প্রধান যাজকদের বলল। 12 প্রধান যাজকরা ইহুদী নেতাদের সঙ্গে দেখা করে একটা ফন্দি আঁটলো। তারা সেই পাহারাদারদের অনেক টাকা দিয়ে বলল, 13 “তোমরা লোকদের বলো আমরা রাতে যখন ঘুমাচ্ছিলাম সেই সময় যীশুর শিষ্যরা এসে তাঁর দেহটা চুরি করে নিয়ে গেছে। 14 আর একথা যদি রাজ্যপালের কানে যায়, আমরা তাঁকে বোঝাব আর তোমাদের ঝামেলার হাত থেকে দূরে রাখব।” 15 তারা সেই টাকা নিয়ে তাদের যেমন বলতে শেখানো হয়েছিল তেমনই বলল। ইহুদীদের মধ্যে আজও এই গল্পটাই প্রচলিত আছে।

শিষ্যদের সঙ্গে যীশু কথা বললেন

(মার্ক 16:14-18; লূক 24:36-49; যোহন 20:19-23; প্রেরিত 1:6-8)

16 এবার সেই এগারো জন শিষ্য গালীলে ফিরে গিয়ে যীশু তাঁদের যেমন বলেছিলেন সেই মতো সেই পর্বতে গেলেন। 17 তাঁরা যীশুকে দেখে ভুমিষ্ঠ হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন। তবে তাঁদের কয়েকজনের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিল, 18 তখন যীশু কাছে এসে তাদের বললেন, “স্বর্গে ও পৃথিবীতে পূর্ণ ক্ষমতা ও কর্ত্তৃত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। 19 তাই তোমরা যাও, তোমরা গিয়ে সকল জাতির মানুষকে আমার শিষ্য কর। পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার নামে বাপ্তিস্ম দাও। 20 আমি তোমাদের যেসব আদেশ দিয়েছি, সেসব তাদের পালন করতে শেখাও আর দেখ যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন আমি সর্বদাই তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International