Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
যিহোশূয় 12-13

ইস্রায়েলের কাছে পরাজিত রাজগণ

12 ইস্রায়েলবাসীরা যর্দন নদীর পূর্বদিকের সব দেশগুলি জয় করেছিল। অর্ণোন উপত্যকা থেকে হর্মোণ শৃঙ্গ পর্যন্ত সমস্ত ভূখণ্ড এবং যর্দন উপত্যকার পূর্ব দিকের সমস্ত ভূখণ্ড তারা জয় করেছিল। ইস্রায়েলবাসীরা যে সব রাজাদের পরাজিত করেছিল তার তালিকা এখানে দেওয়া হচ্ছে:

তারা ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে পরাজিত করেছিল যে হিষ্বোন শহরে থাকত। সীহোনের রাজ্য ছিল অর্ণোন উপত্যকার অরোয়ের থেকে যব্বোক নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। ঐ উপত্যকার মাঝখান থেকে তার রাজ্যের শুরু। সেটা ছিল অম্মোনীয় লোকেদের এলাকার সীমান্ত। গিলিয়দ দেশের অর্ধেকেরও বেশী অংশে সীহোন রাজত্ব করেছিল। যর্দন উপত্যকার পূর্বতীরে গালীলী হ্রদ থেকে মৃত সাগর (লবণসাগর) পর্যন্ত বিস্তৃত রাজ্য সে শাসন করত। এই রাজ্যটি বাদে সে বৈৎ‌-যিশীমোত থেকে দক্ষিণ পিস্গা পাহাড় পর্যন্ত দেশগুলিও শাসন করত।

তারা বাশনের রাজা ওগকে পরাজিত করেছিল। ওগ ছিল রফায় বংশের রাজা। সে রাজত্ব করত অষ্টারোৎ এবং ইদ্রিয়ী দেশে। হর্মোণ পর্বতশৃঙ্গ, সল্খা এবং বাশনের সমস্ত অঞ্চল ওগ শাসন করত। যেখানে গশূর এবং মাখাত জাতির লোকরা বসবাস করত। সেটাই ছিল তার রাজ্যের সীমা। ওগ গিলিয়দ দেশের অর্ধেক অংশেও রাজত্ব করত। এই জায়গাটা শেষ হয়েছে হিষ্বোনের রাজা সীহোনের দেশে।

প্রভু ভৃত্য মোশি এবং ইস্রায়েলের এইসব রাজাকে পরাজিত করেছিলেন। মোশি রূবেণ পরিবারগোষ্ঠী, গাদ পরিবারগোষ্ঠী এবং মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেককে এই ভূখণ্ড দান করেছিলেন। মোশি এই দেশ তাদের স্বদেশ হিসাবেই দান করেছিলেন।

ইস্রায়েলের লোকরা যর্দন নদীর পশ্চিম কূলের দেশের রাজাদেরও জয় করেছিল। যিহোশূয় এই দেশের লোকদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি এটি জয় করেছিলেন এবং পরে এই ভুখণ্ডটি বারোটি পরিবারগোষ্ঠীর মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলেন। ঈশ্বর তাদের এই দেশ দান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই দেশ ছিল লিবানোনের বাল‌্গাদ উপত্যকা এবং সেয়ীরের কাছে হালক পর্বতশৃঙ্গের মাঝখানে। পাহাড়ি অঞ্চল, পশ্চিমের পাহাড়তলি অঞ্চল, যর্দন উপত্যকা, পূর্বদিকের পাহাড়গুলি, মরুভূমি এবং নেগেভ অঞ্চলগুলি এর অন্তর্ভুক্ত। এখানে হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরীষীয়, হিব্বীয় এবং যিবুষ বংশীয় লোকরা বাস করত। ইস্রায়েলীয়দের দ্বারা পরাজিত রাজাদের তালিকাটি এইরকম:

যিরীহোর রাজা

বৈথেলের কাছে অয়ের রাজা

10 জেরুশালেমের রাজা

হিব্রোণের রাজা

11 যর্মুতের রাজা

লাখীশের রাজা

12 ইগ্লোনের রাজা

গেসরের রাজা

13 দবীরের রাজা

গেদরের রাজা

14 হর্মার রাজা

অরাদের রাজা

15 লিবনার রাজা

অদুল্লমের রাজা

16 মক্কেদার রাজা

বৈথেলের রাজা

17 তপূহের রাজা

হেফরের রাজা

18 অফেকের রাজা

লশারোণের রাজা

19 মাদোনের রাজা

হাৎসোরের রাজা

20 শিম্রোণ-মরোণের রাজা

অক্ষফের রাজা

21 তানকের রাজা

মগিদ্দোর রাজা

22 কেদশের রাজা

কর্ম্মিলস্থ যক্লিয়ামের রাজা

23 দোর পর্বতশৃঙ্গের দোরের রাজা

গিল‌্গলের গোয়ীমের রাজা

24 তির্সার রাজা

মোট রাজার সংখ্যা 31।

অনধিকৃত দেশ

13 যিহোশূয় যখন বেশ বৃদ্ধ হয়ে গেছেন তখন প্রভু তাঁকে বললেন, “যিহোশূয় যদিও তোমার বেশ বয়স হয়েছে, কিন্তু এখনও অধিকার করার জন্য অনেক দেশ রয়েছে। তুমি এখনও গশূর রাজ্য অথবা পলেষ্টীয়দের রাজ্য জয় করো নি। মিশরের সীহোর নদী থেকে উত্তরে ইক্রোণ সীমান্ত পর্যন্ত অঞ্চল তুমি এখনও অধিকার করো নি। জায়গাটা এখন কনানীয়দেরই থেকে গেছে। তোমাকে এখনও ঘসা, অস্‌দোদ, অস্কিলোন, গাত এবং ইক্রোণের পাঁচজন পলেষ্টীয় নেতাকে পরাজিত করতে হবে। এখনও তোমাকে কনানদের দেশের দক্ষিণে অব্বীয়র লোকদের পরাজিত করতে হবে। তোমাকে মিয়ারা পরাজিত করতে হবে, যেটা অফেক পর্যন্ত সীদোনীয়দের অধিকৃত, যেটি ইমোরীয়দের সীমানা। তুমি গিব্লী সম্প্রদায়ের দেশটাও এখনও দখল করতে পারো নি। তাছাড়াও বাল্গাদের পূর্বদিকে লিবানোন। জায়গাটা হর্মোণ পর্বতশৃঙ্গ পাদদেশ থেকে লেবো হমাথ পর্যন্ত বিস্তৃত।

“সীদোনের লোকরা লিবানোন থেকে মিষ্রফোৎ-ময়িম পর্যন্ত বিস্তৃত পাহাড়ি দেশে বাস করে। কিন্তু ইস্রায়েলের লোকদের স্বার্থে ঐসব দেশের সমস্ত লোককে আমি বার করে দেব। এই দেশের কথা অবশ্যই মনে রাখবে ইস্রায়েলীয়দের কাছে দেশ ভাগ করে দেবার সময় যা বললাম সে রকম করবে। নটি পরিবারগোষ্ঠী এবং মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের মধ্যে দেশটা ভাগ করবে।”

দেশভাগ

ইতিমধ্যেই রূবেণ, গাদ, বাকী অর্ধেক মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর লোক তাদের জমি-জায়গা দখল করেছে। প্রভুর দাস মোশি যর্দন নদীর পূর্ব দিকের দেশ তাদের দিয়ে গেছেন। অর্ণোন উপত্যকার ধারে অরোয়ের থেকে শুরু হয়েছে তাদের দেশ আর তা উপত্যকার মাঝখানের শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। তাছাড়া এই দেশের মধ্যে আছে মেদবা থেকে দীবোন পর্যন্ত সমস্ত সমতল ভূমিও। 10 ইমোরীয় রাজা সীহোন যেসব শহরের শাসনকর্তা সেসব শহর ঐ দেশেরই মধ্যে রয়েছে। সীহোন শাসন করত হিষ্বোন শহর। সেই ভূখণ্ডটি যেখানে ইমোরীয়রা বাস করত সেই এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। 11 গিলিয়দ শহরটা সে দেশের মধ্যে পড়ে। তাছাড়া গশূর এবং মাখাথ অঞ্চলের লোকরা যেখানে থাকত সেটাও এই দেশের অন্তর্গত। এবং পুরো হর্মোণ পর্বতশৃঙ্গ ও সল্খা পর্যন্ত বিস্তৃত পূরো বাশন ঐ দেশের অন্তর্গত ছিল। 12 রাজা ওগের সমস্ত রাজ্যই সে দেশের অন্তর্গত। ওগ শাসন করত বাশন। একসময় সে শাসন করত অষ্টারোৎ এবং ইদ্রিয়ী। সে ছিল রফায় সম্প্রদায়ের লোক। অতীতে মোশি ঐ সম্প্রদায়ের লোকদের হারিয়ে তাদের দেশ দখল করেছিলেন। 13 ইস্রায়েলীয়রা গশূর এবং মাখাথ অঞ্চলের লোকদের তাড়িয়ে দেয় নি। তারা আজও ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে বসবাস করছে।

14 একমাত্র লেবি পরিবারগোষ্ঠীই কোনো জমি জায়গা পায় নি। তার বদলে তারা প্রভু, ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বরের কাছে যে সমস্ত পশু আগুনে দেওয়া হয়েছিল সেগুলি পেত। প্রভু তাদের কাছে এই রকম প্রতিশ্রুতিই করেছিলেন।

15 মোশি রূবেণ বংশের প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীকে কিছু জমি জায়গা দিয়েছিলেন। তারা এইসব জায়গা পেয়েছিল; 16 অর্ণোন উপত্যকার কাছে অরোয়ের থেকে মেদবা শহর পর্যন্ত। এর মধ্যে আছে সমস্ত সমতলভূমি ও উপত্যকার মাঝখানের শহর। 17 হিষ্বোন পর্যন্ত বিস্তৃত এই দেশে রয়েছে সমতলের সমস্ত শহর। শহরগুলি হচ্ছে দীবোন, বামোৎ-বাল, বৈৎ‌-বাল্-মিয়োন, 18 যহস, কদেমোৎ, মেফাত্‌, 19 কিরিয়াথয়িম, সিব‌্মা, সেরত্‌ শহর পাহাড়ের উপরিস্থিত উপত্যকায়। 20 বৈৎ‌-পিয়োর, পিস্গা পাহাড় এবং বৈৎ‌-যিশীমোৎ, 21 ইমোরীয়দের রাজা সীহোন এই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে এবং সমতল ভূমির শহরগুলিতে রাজত্ব করত। সীহোন হিষ্বোন শহর শাসন করত। কিন্তু মোশি তাকে এবং মিদিয়নীয়দের নেতাদের পরাজিত করেছিলেন। নেতাদের নামগুলো হচ্ছে ইবি, রেকম, সুর, হূর এবং রেবা। (এরা সকলেই সীহোনের সঙ্গে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করেছিল।) ঐসব অঞ্চলেই এরা থাকত। 22 ইস্রায়েলীয়রা বিয়োরের পুত্র বিলিয়মকেও পরাজিত করেছিল। (বিলিয়ম যাদুবিদ্যায় ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারত।) ইস্রায়েলীয়রা যুদ্ধের সময় বহুলোককে হত্যা করেছিল। 23 রূবেণকে যে জায়গা দেওয়া হয়েছিল তার শেষ হয়েছে যর্দন নদীর তীরে। রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর সকলকে যে জায়গা দেওয়া হয়েছিল সেগুলো হচ্ছে তালিকাভুক্ত এইসব শহর আর মাঠঘাট।

24 এই সেই জায়গা যেটি মোশি দিয়েছিলেন গাদ পরিবারগোষ্ঠীকে। তিনি প্রতি পরিবারগোষ্ঠীকে এই জমি-জায়গা দিয়েছিলেন:

25 যাসের এবং গিলিয়দের সমস্ত শহর। মোশি তাদের অম্মোনীয় মানুষদের অর্ধেক জমিও দিয়ে দিয়েছিলেন, যে অঞ্চলটি এইসব রব্বার কাছে অরোয়ের পর্যন্ত বিস্তৃত। 26 এই অঞ্চলের মধ্যে আছে হিষ্বোন থেকে রামৎ‌-মিস্পী এবং বটোনীম, মহনয়িম থেকে দবীর এবং 27 বৈৎ‌-হারম, বৈৎ‌-নিম্রা, সুক্কোৎ ও সাফোন। হিষ্বোনের রাজা সীহোন অন্য যেসব অঞ্চল শাসন করতেন সেগুলি এদেশের মধ্যে। এই রাজ্যের সীমানা গালীল হ্রদের শেষ পর্যন্ত ছিল। 28 এইসব জমিজায়গা মোশি দিয়ে গিয়েছিলেন গাদ পরিবারগোষ্ঠীকে। তালিকভুক্ত সমস্ত শহর এই দেশের মধ্যে আছে। মোশি প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীকে এই দেশ দান করেছিলেন।

29 মনঃশির অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠীকে মোসি এই দেশ দিয়ে গিয়েছেন। মনঃশির অর্ধেক পরিবার এই দেশ পেয়েছিল। সে দেশের পরিচয় এইরকম:

30 দেশ শুরু হয়েছে মহনয়িম থেকে। এর মধ্যে আছে সমস্ত বাশন যার শাসনকর্তা রাজা ওগ। বাশনের অন্তর্গত যায়ীরের সমস্ত শহর। (মোট 60 টি শহর) 31 এ দেশের মধ্যে আছে গিলিয়দের অর্ধেকটা, অষ্টারোৎ এবং ইদ্রিয়ী। (গিলিয়দ, অষ্টারোৎ আর ইদ্রিয়ী শহরে রাজা ওগ বাস করত।) এইসব জায়গা দেওয়া হয়েছিল মনঃশির পুত্র মাখীরের পরিবারকে। সেই পরিবারের অর্ধেক লোক এই জায়গা পেয়েছিল।

32 এই সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীকে মোশি এই জমি দিয়েছিলেন। যখন মোয়াব সমতলে লোকরা তাঁবু গেড়েছিল তখন মোশি এই জমিটি দান করেছিলেন। জায়গাটা হচ্ছে যিরীহোর পূর্বে যর্দন নদীর পারে। 33 লেবি পরিবারগোষ্ঠীকে মোশি কোন জমি জায়গা দেন নি। ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বর কথা দিয়েছিলেন লেবি পরিবারগোষ্ঠীর জন্য তিনি নিজেই হবেন তাদের অধিকার।

গীতসংহিতা 145

দায়ূদের একটি ভজন।

145 হে আমার ঈশ্বর এবং রাজা, আমি আপনার প্রশংসা করি।
    চিরদিনের জন্য এবং অনন্তকালের জন্য আমি আপনার নামকে আশীর্বাদ করি।
প্রতিদিন আমি আপনার প্রশংসা করি।
    চিরদিনের জন্য আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
প্রভু মহান; লোকজন ভীষণভাবে তাঁর প্রশংসা করে।
    যে সব মহৎ‌‌ কাজ তিনি করেন, তা আমরা গুনতে পারি না।
প্রভু, আপনি যা করেন তার জন্য লোকজন চিরদিন আপনার প্রশংসা করবে।
    আপনি যে মহৎ‌‌ কাজ করেন তার সম্পর্কে তারা বলবে।
আপনার মহত্ব এবং মহিমা দুইই চমৎ‌‌কার।
    আপনার বিস্ময়কর কাজ সম্পর্কে আমি বলবো।
প্রভু, যে সব বিস্ময়কর কাজ আপনি করেন সে সম্পর্কে লোকে বলবে।
    আপনি যে সব মহৎ‌‌ কাজ করেন সে সম্পর্কে আমি বলবো।
আপনি যেসব ভালো কাজ করেন সে সম্পর্কে লোকরা বলবে।
    লোকে আপনার ধার্ম্মিকতার গান গাইবে।

প্রভু দয়াময় এবং ক্ষমাশীল।
    প্রভু স্থিতধী এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
প্রতিটি লোকের জন্যই প্রভু মঙ্গলকর।
    প্রভু যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতিটি বস্তুর প্রতি তিনি করুণা প্রদর্শন করেন।
10 প্রভু, আপনি যা করেন, তাই আপনাকে প্রশংসা এনে দেয়।
    আপনার অনুগামীরা আপনার প্রশংসা করে।
11 তারা বলে আপনার রাজত্ব কত মহৎ‌‌।
    তারা আপনার মহত্ব সম্বন্ধে বলে।
12 তাই হে প্রভু, আপনি যে সব মহৎ‌‌ কাজ করেন অন্য লোকেরা তা জানতে পারে
    এবং তারা জানতে পারে আপনার রাজত্ব কত বিশাল এবং গৌরবময়।
13 প্রভু, আপনার রাজত্ব চির বিরাজমান থাকবে।
    আপনি চিরদিনই রাজত্ব করবেন।

14 পতিত মানুষকে প্রভু উদ্ধার করেন।
    যারা সমস্যায় পড়ে প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
15 হে প্রভু, সমস্ত জীবিত প্রাণী তাদের খাদ্যের জন্য আপনার দিকে চেয়ে থাকে।
    এবং যথাসময়ে আপনি তাদের খাদ্য দেন।
16 হে প্রভু, আপনি আপনার হাত খুলে দিন
    এবং জীবিত প্রাণীদের যা কিছু প্রয়োজন তা দিন।
17 প্রভু যা কিছু করেন তা সবই ভালো।
    যা কিছু তিনি করেন তা দেখিয়ে দেয় তিনি কত মঙ্গলকর এবং বিশ্বস্ত।
18 যারা তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে, প্রভু ওই সব লোকের কাছেই থাকেন।
    তিনি তাঁর উপাসকদের অন্তরঙ্গ।
19 তাঁর অনুগামীরা যা চান প্রভু তাই করেন।
    তিনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দেন এবং ওদের রক্ষা করেন।
20 যারা তাঁকে ভালোবাসে, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
    কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
21 আমি প্রভুর প্রশংসা করবো!
    সব লোক যেন চিরদিন ধরে তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা করে।

যিরমিয় 6

শত্রু ঘিরে ধরল জেরুশালেমকে

“বিন্যামীনের লোক, প্রাণে বাঁচতে চাইলে
    জেরুশালেম শহর ছেড়ে চলে যাও।
তকোয় শহরে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দাও।
    সতর্কতা সূচক পতাকা ওড়াও বৈৎ‌-হক্কেরম শহরে।
কারণ উত্তর দিক থেকে অমঙ্গল ও ধ্বংস আসছে।
ভয়ঙ্কর এক ধ্বংসলীলা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
সিয়োন কুমারী,
    তুমি হলে সুন্দরী এবং কোমলা।
মেষপালকরা তাদের মেষপাল নিয়ে জেরুশালেমে এলো।
    তারা সেই তৃণভূমির চারিদিকে তাঁবু গাড়লো।
প্রত্যেক মেষপালক তার নিজের
    মেষপালকে দেখাশোনা করবে।

“জেরুশালেমকে আক্রমণ করার জন্য তৈরী হও।
    উঠে পড়ো! আজ দুপুরেই আমরা এই শহরকে আক্রমণ করবো।
কিন্তু ইতিমধ্যেই খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছে।
    সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।
সুতরাং আজ রাতেই এই শহরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে প্রস্তুত হও!
    জেরুশালেমের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দাও।”

প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বললেন:
    “জেরুশালেমের চারপাশের সমস্ত গাছ কেটে ফেলো।
    পাথর আর মাটি দিয়ে এমন স্তূপ তৈরী করো
যার সাহায্যে এ শহরের প্রাচীর অতি সহজেই অতিক্রম করতে পারবে।
    এই শহরে শোষণ ছাড়া আর কিছু নেই।
    তাই এই শহরকে শাস্তি পেতে হবে।
একটি কুয়ো যেমনভাবে জলকে তাজা রাখে,
    ঠিক তেমনভাবেই জেরুশালেম তার পাপপূর্ণ কর্মগুলিকে তাজা করে রেখেছে।
আমি এই শহরের লুঠতরাজ ও হিংসার ঘটনার কথা সব সময় শুনে এসেছি।
    এদের যন্ত্রণা আর অসুস্থতা দেখেছি।
জেরুশালেম এবার সতর্ক হও।
    যদি তোমরা এখনও সাবধান না হও তাহলে আমি তোমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব।
তোমাদের দেশকে মরুভূমিতে পরিণত করব।
    কোন মানুষই আর ওখানে বাস করতে পারবে না।”

সর্বশক্তিমান প্রভু আরও বললেন:
“যে সমস্ত ইস্রায়েলীয়রা এখনও তাদের দেশে পড়ে আছে
    তাদের একত্রিত করো।
যেভাবে তোমরা দ্রাক্ষাক্ষেতের শেষ দ্রাক্ষাগুলিকে এক একটি করে তুলে নিয়ে একত্রিত করো
    ঠিক সে ভাবে তাদের একত্রিত করো।
যেমনভাবে দ্রাক্ষা চয়ন করবার সময় একজন শ্রমিক প্রতিটি দ্রাক্ষালতা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখে
    ঠিক সে ভাবে ইস্রায়েলীয়দের খুঁজে বার করো।”
10 আমি কাদের সঙ্গে কথা বলব?
    আমি কাদের সতর্ক করব?
    কারাই বা আমার কথা শুনবে?
ইস্রায়েলীয়রা আমার সতর্কবাণী শুনতে পাচ্ছে না
    কারণ তাদের কান বন্ধ।
তারা প্রভুর কথা শুনতে অনিচ্ছুক।
    তারা তাঁর বার্তা শুনতে পছন্দ করে না।
11 কিন্তু আমি (যিরমিয়)
    প্রভুর ক্রোধ বহন করতে করতে ক্লান্ত।
“যে সমস্ত শিশুরা রাস্তায় খেলা করছে তাদের ওপর বর্ষিত হোক্ প্রভুর এই ক্রোধ।
    যুবকদের সমাবেশের ওপরেও বর্ষিত হোক্ এই ক্রোধ।
একটি লোক ও তার স্ত্রী, দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হবে।
    সমস্ত প্রাচীন লোকদের গ্রেপ্তার করা হবে।
12 তাদের ঘর-বাড়ি,
    জমি-জমা এমন কি তাদের স্ত্রীদের পর্যন্ত বিলিয়ে দেওয়া হোক্ অন্য লোকদের কাছে।
আমি আমার হাত তুলে নেব এবং যিহূদার লোকদের শাস্তি দেব।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।

13 “ইস্রায়েলের সমস্ত লোক অবৈধ উপায়ে আরো বেশী বেশী পয়সা চায়।
    সব চেয়ে নিম্ন থেকে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, তারা সবাই ঐরকম লোভী।
    ভাববাদী থেকে যাজক প্রত্যেকে শুধু মিথ্যাচার করে গিয়েছে।
14 আমার লোকেরা কঠিন আঘাত পেয়েছে।
    ভাববাদী এবং যাজকদের উচিৎ‌ ছিল তাদের সেই আঘাতের ক্ষতে মলম লাগিয়ে দেওয়া।
কিন্তু তারা এই ক্ষতকে কোন গুরুত্ব দেয়নি।
    তারা এই ক্ষতটিকে একটি ছোট আচঁড় বলে গণ্য করেছে।
ভাববাদীরা এবং যাজকরা বলে: ‘সব কিছু ঠিক আছে।’
    কিন্তু প্রকৃত পক্ষে, সব ঠিক নেই।
15 যাজক এবং ভাববাদীদের তাদের কৃতকার্যের জন্য লজ্জিত হওয়া উচিৎ‌।
    কিন্তু তারা বিন্দুমাত্র লজ্জিত নয়।
তারা জানে না পাপের জন্য তাদের কতখানি বিব্রত হওয়া উচিৎ‌।
    তাই তারা অন্যদের সাথে একই শাস্তি পাবে।
    যখন অন্যদের শাস্তি দেব, তখন তাদেরও মাটিতে আছড়ে ফেলা হবে।”
প্রভু এই কথাগুলি বললেন।

16 পাশাপাশি প্রভু জানালেন:
“রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে তাকাও।
    জিজ্ঞাসা করো কোনটা পুরানো রাস্তা আর কোনটা নতুন।
    সেই রাস্তায় পা বাড়াও যে রাস্তা ভাল।
ভালো রাস্তায় হাঁটলে নিজের জন্য শান্তি খুঁজে পাবে।
কিন্তু তোমরা বলেছিলে, ‘আমরা ভালো রাস্তায় হাঁটব না।’
17 আমি তোমাদের ওপর নজরদারি করার জন্য একজনকে বেছে নিয়েছি।
    আমি তাদের বলেছিলাম, ‘যুদ্ধের দামামা শোন।’
    কিন্তু তারা বলেছিল, ‘আমরা শুনব না!’
18 সুতরাং সমস্ত দেশগুলি শোন,
    এই দেশগুলির লোকরা তোমরা মন দিয়ে শোন।
19 কান পেতে শোন এই পৃথিবীর মানুষ,
    আমি যিহূদার লোকদের জন্য ধ্বংস আনতে যাচ্ছি।
    কেন? কারণ তারা শুধু খারাপ কাজের ছক কষে গিয়েছে
    এবং তারা আমার বার্তাকে অগ্রাহ্য করেছে।
    অস্বীকার করেছে আমার বিধিকে।”

20 প্রভু বললেন, “তোমরা আমার কাছে শিবা দেশ থেকে কেন ধুপ নিয়ে আসো?
    তোমরা কেন একটি দূর দেশ থেকে আমার কাছে মিষ্ট গন্ধী বচ নিয়ে আসো?
তোমাদের হোমবলি আমাকে সুখী করে নি।
    তোমাদের এই উৎসর্গ আমাকে খুশি করতে পারেনি।”

21 তাই প্রভু যা বললেন তা হল এইরকম:
“আমি যিহূদার লোকদের সামনে প্রতিবন্ধক প্রস্তর পেতে দেব।
    তারা পাথর হয়ে নীচে গড়িয়ে পড়বে।
পিতা এবং তার পুত্ররা হোঁচট খেয়ে পড়বে তাদের ওপর।
    বন্ধু বান্ধব এবং প্রতিবেশীরা মারা যাবে।”

22 প্রভু যা বললেন তা হল:
    “উত্তর দিক থেকে সৈন্যদল আসছে।
    এই বিশাল দেশ উত্তরের বহুদূর থেকে এগিয়ে আসছে।
23 সৈন্যরা বয়ে আনছে তীরধনুক এবং বর্শা।
    তারা প্রচণ্ড নিষ্ঠুর।
প্রবল শক্তিশালী।
    তারা ঘোড়ায় ছুটে আসছে সমুদ্রের মতো গর্জন করতে করতে।
সিয়োন কন্যা, ঐ সেনারা
    তোমাকেই আক্রমণ করতে আসছে।”
24 আমরা তাদের সম্পর্কিত খবর শুনেছি।
    অসহায় বোধ করছি।
একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার শিশুকে জন্ম দেবার সময়ের মত
    আমরা অসহায় এবং ব্যথায় কাতর রয়েছি।
25 বাড়ির বাইরে বা রাস্তায় যেও না।
    কেন না শত্রুদের হাতে উদ্ধত তরবারি
    এবং সব জায়গায় বিপদ অপেক্ষা করছে।
26 আমার লোকরা, শোক পোশাকগুলি পরে নাও।
    সদ্য একমাত্র সন্তান হারানো
    জননীর মতো ভগ্ন হৃদয়ে চিৎকার করে কাঁদো,
কারণ আমাদের শীঘ্রই ধ্বংসকারীর মুখোমুখি হতে হবে
    যে হঠাৎ‌‌ আমাদের ওপর এসে পড়বে।

27 “যিরমিয়, আমি (প্রভু)
    তোমাকে একজন ধাতু পরীক্ষক হিসেবে তৈরী করেছি।
তুমি আমার লোকদের পরীক্ষা করে দেখবে।
    তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে লক্ষ্য রাখবে, তারা ভীষণ জেদী।
28 এবং প্রত্যেকেই আমার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে।
    তারা লোকদের সম্বন্ধে বাজে কথা বলে।
তারা হল মরচে পড়া লোহার মত
    এবং কলঙ্কিত পিতলের মতো।
29 তারা হল আগুনের মাধ্যমে রূপাকে খাঁটি করবার চেষ্টায় রত শ্রমিকদের মত।
হাপর খুব জোরে বাতাস সৃষ্টি করল,
    তাপ বৃদ্ধি পেল, কিন্তু আগুন থেকে কেবল সিসে বেরিয়ে এলো।
সমস্ত কাজটাই হল একটা পণ্ডশ্রম।
    একই রকম ভাবে, আমার লোকদের কাছ থেকে শয়তানি সরানো হল না।
30 এদের ‘বাতিল রূপো’
বলে অভিহিত করা হবে।
    কারণ প্রভু এদের গ্রহণ করেন নি।”

মথি 20

যীশু মজুরদের বিষয় নিয়ে এক দৃষ্টান্তমূলক কাহিনী শোনালেন

20 “স্বর্গরাজ্য এমন একজন জমিদারের মতো, যিনি তাঁর দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করার জন্য ভোরবেলাই মজুর আনতে বেরিয়ে পড়লেন। তিনি মজুরদের দিনে একটি রৌপ্যমুদ্রা মজুরী দেবেন বলে ঠিক করে, তাদের তাঁর দ্রাক্ষা ক্ষেতে পাঠিয়ে দিলেন।

“প্রায় নটার সময় তিনি বাড়ির বাইরে গেলেন আর দেখলেন, কিছু লোক বাজারে তখনও কিছু না করে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরাও আমার দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করতে যাও, আমি তোমাদের ন্যায় মজুরী দেব।’ তখন তারাও দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করতে গেল।

“সেই ব্যক্তি আবার প্রায় বেলা বারোটা ও তিনটার সময় বাড়ির বাইরে গিয়ে ঐ একই রকম ভাবে মজুরদের কাজে পাঠালেন। প্রায় পাঁচটার সময় তিনি আবার বাইরে গেলেন ও আরো কিছু লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাদের বললেন, ‘তোমরা সারাদিন কোন কাজ না করে এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন?’

“তারা তাঁকে বলল, ‘কেউ আমাদের কাজে নেয় নি।’

“তখন ক্ষেতের মালিক তাদের বললেন, ‘তোমরাও গিয়ে আমার ক্ষেতে কাজে লাগো।’

“দিনের শেষে ক্ষেতের মালিক তাঁর নায়েবকে ডেকে বললেন, ‘মজুরদের সকলকে ডাক ও তাদের মজুরী মিটিয়ে দাও; শেষের জন থেকে শুরু করে প্রথম জন পর্যন্ত সকলকে দাও।’

“বিকেল পাঁচটায় যে মজুররা কাজে লেগেছিল, তারা এসে প্রত্যেকে একটা রূপোর টাকা নিয়ে গেল। 10 প্রথমে যাদের কাজে লাগানো হয়েছিল, তারা বেশী পাবে বলে আশা করেছিল, কিন্তু তারাও প্রত্যেকে একটা করে রূপোর টাকা পেল। 11 তারা তা নিল বটে কিন্তু ক্ষেতের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, 12 যারা শেষে কাজে লেগেছিল তারা মাত্র একঘন্টা কাজ করেছে, আর আপনি তাদের ও আমাদের সমান মজুরী দিলেন; অথচ আমরা কড়া রোদে সারা দিন ধরে কাজ করলাম।

13 “এর উত্তরে তিনি তাদের একজনকে বললেন, ‘বন্ধু, আমি তো তোমার সঙ্গে কোন অন্যায় ব্যবহার করিনি। তুমি কি এক টাকা মজুরীতে কাজ করতে রাজী হও নি? 14 তোমার যা পাওনা তা নিয়ে বাড়ি যাও। আমার ইচ্ছা, আমি তোমাকে যা দিয়েছি, এই শেষের জনকেও তাই দেব। 15 যা আমার নিজের, তা আমার খুশীমতো ব্যবহার করার অধিকার কি আমার নেই? আমি দয়ালু, এই জন্য কি তোমার ঈর্ষা হচ্ছে?’

16 “ঠিক এই রকম যারা শেষের তারা প্রথম হবে, আর যারা প্রথম, তারা শেষে পড়ে যাবে।”

যীশু নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বললেন

(মার্ক 10:32-34; লূক 18:31-34)

17 এরপর যীশু জেরুশালেমের দিকে যাত্রা করলেন। সঙ্গে তাঁর বারোজন শিষ্যও ছিলেন, পথে তিনি তাঁদের একান্তে ডেকে নিয়ে গিয়ে বললেন, 18 “শোন, আমরা এখন জেরুশালেমের দিকে যাচ্ছি। সেখানে মানবপুত্রকে প্রধান যাজকদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের হাতে সঁপে দেওয়া হবে, তারা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। 19 তারা তাঁকে বিদ্রূপ করবার জন্য, বেত মারবার ও ক্রুশে দেবার জন্য অইহুদীদের হাতে তুলে দেবে। কিন্তু মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় তিনি জীবিত হয়ে উঠবেন।”

এক মায়ের বিশেষ অনুগ্রহ ভিক্ষা

(মার্ক 10:35-45)

20 পরে সিবদিয়ের ছেলেদের মা তার দুই ছেলেকে নিয়ে যীশুর কাছে এসে তাঁকে প্রণাম করে বললেন, আমার জন্য কিছু করুন।

21 যীশু তাকে বললেন, “তুমি কি চাও?”

তিনি বললেন, “আপনি আমায় এই প্রতিশ্রুতি দিন যেন আপনার রাজ্যে আমার এই দুই ছেলে একজন আপনার ডানপাশে আর একজন বাঁ পাশে বসতে পায়।”

22 এর উত্তরে যীশু বললেন, “তোমরা কি চাইছ তা তোমরা জান না। আমি যে দুঃখের পেয়ালায় পান করতে যাচ্ছি তাতে কি তোমরা পান করতে পার?”

ছেলেরা তাঁকে বলল, “হ্যাঁ, পারি!”

23 তিনি তাদের বললেন, “বাস্তবিক, তোমরা আমার পেয়ালায় পান করবে; কিন্তু আমার ডানদিকে বা বাঁদিকে বসতে দেবার অধিকার আমার নেই। আমার পিতা যাদের জন্য তা ঠিক করে রেখেছেন, তারাই তা পাবে।”

24 বাকি দশজন শিষ্য এই কথা শুনে ঐ দুই ভাইয়ের ওপর রেগে গেলেন। 25 তখন যীশু তাঁদের নিজের কাছে ডেকে বললেন, “তোমরা একথা জান যে, অইহুদীদের শাসনকর্তারাই তাদের প্রভু, আর তাদের মধ্যে যারা প্রধান তারা তাদের ওপর হুকুম চালায়। 26 কিন্তু তোমাদের মধ্যে সেরকম হওয়া উচিত নয়। তোমাদের মধ্যে যে বড় হতে চায়, তাকে তোমাদের সেবক হতে হবে। 27 আর তোমাদের মধ্যে যে শ্রেষ্ঠ স্থান লাভ করতে চায়, সে যেন তোমাদের দাস হয়। 28 মনে রেখো, তোমাদের মানবপুত্রের মতো হতে হবে, যিনি সেবা পেতে নয় বরং সেবা করতে এসেছেন, আর অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতে এসেছেন।”

দুজন অন্ধকে দৃষ্টিদান

(মার্ক 10:46-52; লূক 18:35-43)

29 তাঁরা যখন যিরীহো শহর ছেড়ে যাচ্ছিলেন, তখন বহু লোক যীশুর পিছু পিছু চলল। 30 সেখানে পথের ধারে দুজন অন্ধ বসেছিল। যীশু সেই পথ দিয়ে যাচ্ছেন শুনে তারা চিৎকার করে বলল, “প্রভু, দায়ূদের পুত্র, আমাদের প্রতি দয়া করুন।”

31 লোকেরা তাদের ধমক দিয়ে চুপ করতে বলল। কিন্তু তারা আরো চিৎকার করে বলতে লাগল, “প্রভু দায়ূদের পুত্র, আমাদের প্রতি দয়া করুন!”

32 তখন যীশু দাঁড়ালেন আর তাদের ডেকে বললেন, “তোমরা কি চাও? আমি তোমাদের জন্য কি করব?”

33 তারা বলল, “প্রভু আমরা যেন দেখতে পাই।”

34 তখন তাদের প্রতি যীশুর করুণা হল। তিনি তাদের চোখ স্পর্শ করলেন, আর তখনই তারা দৃষ্টি ফিরে পেল ও তাঁর পেছনে পেছনে চলল।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International