Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
দ্বি. বি. 28:20-68

20 “তোমরা যা কিছু করবে তাতেই অভিশাপ, হতাশা এবং কষ্ট আসবে। তোমরা দ্রুত সম্পূর্ণরূপে বিনাশ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এসব করেই চলবেন। তিনি এসব করবেন কারণ তোমরা যা মন্দ তাই কর এবং তাঁকে পরিত্যাগ করেছ। 21 যে দেশ অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছ সেখানে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত প্রভু তোমাদের ভয়ানক সব রোগে রোগগ্রস্ত করবেন। 22 প্রভু রোগ, জ্বর এবং ফোলা দ্বারা তোমাদের শাস্তি দেবেন। প্রভু প্রচণ্ড উত্তাপ পাঠাবেন এবং কোন বৃষ্টি পড়বে না। উত্তাপে এবং রোগে তোমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। তোমরা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই খারাপ ঘটনাগুলি ঘটতেই থাকবে! 23 আকাশে কোন মেঘ দেখা যাবে না—আকাশ ঘসা পিতলের মতো এবং পায়ের নীচের জমি লোহার মত শক্ত হবে। 24 প্রভু বৃষ্টির পরিবর্তে আকাশ থেকে কেবল ধূলো-বালি বর্ষণ করবেন। যে পর্যন্ত তোমাদের বিনাশ না হয় তিনি তা বর্ষণ করবেন।

25 “প্রভু তোমাদের শত্রুদের দিয়ে তোমাদের হারাবেন। তোমরা এক পথ দিয়ে তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবে কিন্তু সাত পথ দিয়ে তাদের সামনে থেকে পালাবে। তোমাদের প্রতি যে সব খারাপ বিষয় ঘটবে তা দেখে পৃথিবীর লোক ভয় পাবে। 26 তোমাদের মৃতদেহ বন্য পশুপাখীর খাদ্য হবে। মৃত দেহের উপর থেকে তাদের তাড়িয়ে দেবারও কেউ থাকবে না।

27 “প্রভু মিশরীয়দের কাছে যেমন ফোঁড়া পাঠিয়েছিলেন সেই রকমটি দিয়েই তোমাদের শাস্তি দেবেন। তিনি আব, গলিত ঘা এবং সারে না এমন চুলকানি দিয়ে তোমাদের শাস্তি দেবেন। 28 প্রভু উন্মাদনা দ্বারা তোমাদের শাস্তি দেবেন। তিনি তোমাদের অন্ধ এবং হতবুদ্ধি করবেন। 29 দিনের আলোয় হাতড়ে হাতড়ে অন্ধ লোকের মত তোমাদের পথ চলতে হবে। তোমরা যা কিছু কর তাতে অসফল হবে। বার বার লোক তোমাদের আঘাত করবে এবং তোমাদের জিনিস চুরি করে নেবে। আর তোমাদের রক্ষা করার কেউ থাকবে না।

30 “তোমাদের সাথে কোন স্ত্রীলোক বাগ্দত্তা হবে কিন্তু অপর কেউ তার সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হবে। তোমরা বাড়ী বানাবে কিন্তু তাতে বাস করতে পারবে না। তোমরা ক্ষেতে দ্রাক্ষা লাগাবে কিন্তু তার থেকে কোন কিছুই সংগ্রহ করতে পারবে না। 31 লোক তোমাদের সামনেই তোমাদের গরুগুলো মেরে ফেলবে কিন্তু সেই মাংসের কোন অংশই তুমি খেতে পাবে না। লোক তোমাদের গাধাদের নিয়ে যাবে কিন্তু ফেরত দেবে না। তোমাদের মেষ তোমাদের শত্রুদের দেওয়া হবে। তোমাদের রক্ষা করার জন্য কেউ থাকবে না।

32 “অন্য জাতির লোকরা তোমাদের ছেলে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাবে। দিনের পর দিন তাদের অপেক্ষায় চেয়ে চেয়ে তোমরা ক্লান্ত হয়ে পড়বে কিন্তু কিছুই করতে পারবে না এবং ঈশ্বর তোমাদের সাহায্য করবেন না।

33 “যে জাতিকে তোমরা চেনো না তারা তোমাদের সব শস্য এবং তোমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল খেয়ে ফেলবে। তোমরা কেবল সমস্ত জীবন ধরে পীড়ন ও লাঞ্ছনা ভোগ করবে। 34 তোমাদের চোখ যা দেখবে তা তোমাদের উন্মত্ত করবে! 35 প্রভু তোমাদের এমন কষ্টকর ফোঁড়া দ্বারা শাস্তি দেবেন যা সারে না। তোমাদের হাঁটুতে এবং পায়ে এইসব ফোঁড়া হবে। পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত দেহের সব জায়গাতেই এই ফোঁড়া বেরোবে।

36 “প্রভু তোমাদের এবং তোমাদের রাজাকে এমন জাতির কাছে পাঠাবেন যাদের তোমরা জান না। তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরাও কখনও তাদের দেখে নি। সেখানে তোমরা কাঠ ও পাথরের তৈরী মূর্ত্তির সেবা করবে। 37 প্রভু তোমাদের যে দেশগুলিতে পাঠাবেন, সেখানকার লোক তোমাদের দুর্দশা দেখে অবাক হবে। তারা তোমাদের দেখে হাসবে এবং তোমাদের সম্বন্ধে মন্দ কথা বলবে।

ব্যর্থতার অভিশাপ

38 “তোমাদের ক্ষেতে তোমরা বহু বীজ বুনবে কিন্তু অল্পই ফসল সংগ্রহ করবে, কারণ পঙ্গপাল ফসল খেয়ে ফেলবে। 39 তোমরা দ্রাক্ষা ক্ষেতে কষ্ট করে দ্রাক্ষা চাষ করবে কিন্তু দ্রাক্ষা সংগ্রহ বা দ্রাক্ষারস পান করতে পাবে না, কারণ পোকায় তা খেয়ে ফেলবে। 40 তোমাদের দেশের সর্বত্র জলপাইয়ের গাছ থাকবে কিন্তু তার থেকে উৎপন্ন কোন তেল তুমি ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ জলপাই ফল মাটিতে ঝরে পড়ে পচে যাবে। 41 তোমাদের ছেলেমেয়ে থাকলেও তাদের লালন পালন করতে পারবে না, কারণ তাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে। 42 পঙ্গপাল তোমাদের সমস্ত গাছ ও ক্ষেতের শস্য ধ্বংস করে দেবে। 43 তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীরা দিনে দিনে শক্তিশালী হয়ে উঠবে আর তোমাদের যা শক্তি ছিল তা তোমরা হারাবে। 44 বিদেশীরা তোমাদের ধার দেবে, কিন্তু তাদের ধার দেবার মত টাকা তোমাদের কাছে থাকবে না। মাথা যেমন দেহকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেই রকম ভাবেই তারা মাথা হয়ে তোমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে আর তুমি হবে লেজ বিশেষ।

45 “এই সমস্ত শাপ তোমাদের উপর আসবে। তারা তোমাদের ধাওয়া করে ধরবে যে পর্যন্ত না তুমি ধ্বংস হও, কারণ তোমরা প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের, কথা শোন নি। তিনি তোমাদের যে সমস্ত আজ্ঞা ও বিধি দিয়েছিলেন তা পালন করো নি। 46 এই শাপগুলি হবে লোকদের কাছে একটি চিহ্ন এবং তারা বুঝবে যে ঈশ্বর তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের বিচার করেছেন। তোমাদের ওপর যে ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলি ঘটবে তা দেখে লোকে আশ্চর্য হয়ে যাবে।

47 “প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের অনেক আশীর্বাদ করেছিলেন, কিন্তু তোমরা আনন্দের সাথে প্রফুল্ল মনে তাঁর সেবা করো নি। 48 তাই প্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে যে শত্রুদের পাঠাবেন তোমরা তাদেরই সেবা করবে। তোমরা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত, উলঙ্গ এবং দরিদ্র হবে। প্রভু তোমাদের উপর এমন বোঝা চাপাবেন যা সরিয়ে ফেলা যাবে না। তোমাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত তোমরা সেই বোঝা বইবে।

শত্রু জাতির অভিশাপ

49 “তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রভু বহু দূর থেকে এক জাতির আগমণ ঘটাবেন। তোমরা তাদের ভাষা বুঝবে না। ঈগল পাখী যেমন আকাশ থেকে নেমে আসে তেমনি দ্রুত তারা আসবে। 50 সেই সব লোক নিষ্ঠুর হবে। তারা বৃদ্ধদের বিষয়ে কোন চিন্তা করবে না এবং শিশুদের প্রতিও দয়া করবে না। 51 তারা তোমাদের পশু ও উৎপন্ন খাদ্য নিয়ে নেবে। তোমাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা তোমাদের সর্বস্ব নিয়ে যাবে। তারা তোমাদের শস্য, দ্রাক্ষারস, তেল, গরু, মেষ ও ছাগলের কিছুই ছেড়ে যাবে না। তোমাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা তোমাদের সর্বস্ব নিয়ে যাবে।

52 “সেই জাতি তোমাদের নগরের চারিদিক ঘিরে তোমাদের আক্রমণ করবে। তোমরা কি মনে করছ নগরের চারিধারের শক্ত উঁচু প্রাচীর তোমাদের রক্ষা করবে? কিন্তু তারা ভেঙে পড়বে। প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের দেওয়া সেই দেশের সর্বত্র সমস্ত নগরগুলি শত্রুরা আক্রমণ করবে। 53 শত্রুরা নগর অবরোধ করে তোমাদের কষ্ট দিলে তোমরা এতই ক্ষুধার্ত হবে যে নিজের ছেলে মেয়েদের খেতে শুরু করবে—প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর যে সন্তানদের দিয়েছিলেন তোমরা তাদের দেহ ভোজন করবে।

54 “এমনকি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে দয়ালু এবং শান্ত লোকটিও নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে। সে অন্যের প্রতি নিষ্ঠুর হবে। এমনকি, যে স্ত্রীকে সে অত্যন্ত ভালবাসে তার প্রতিও নিষ্ঠুর হবে এবং জীবিত শিশুদের প্রতিও সে নিষ্ঠুর হবে। 55 খাবার কিছু পড়ে না থাকার দরুণ সে নিজের শিশুদের খাবে এবং সেই মাংস সে পরিবারের অন্য কারও সাথে ভাগ না করে নিজেই খাবে। তোমাদের শত্রু এসে তোমাদের নগর অবরোধ করলে এই সমস্ত মন্দ ঘটনাগুলি ঘটবে এবং তোমাদের কষ্ট দেবে।

56 “এমনকি তোমাদের মধ্যে বাসকারী কোমল ও ভদ্র মহিলা, মাটিতে যার পা পড়ে না, সেও নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে। তার প্রাণের প্রিয় স্বামীর প্রতি এবং নিজের ছেলেমেয়ের প্রতিও সে নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে। 57 সে লুকিয়ে শিশুর জন্ম দিয়ে সেই শিশুটিকে এবং তার সাথে জন্ম দেবার সময় তার দেহ থেকে যা কিছু বেরিয়ে আসে তাও খাবে। শত্রু এসে তোমাদের শহর অবরোধ করে তোমাদের সংকটে ফেললে এই সমস্ত মন্দ ঘটনা তোমাদের সঙ্গে ঘটবে।

58 “এই বইতে লেখা সমস্ত আজ্ঞা ও শিক্ষা তোমরা অবশ্যই পালন করো এবং তোমরা অবশ্যই প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের, গৌরবান্বিত এবং ভয়াবহ নামকে সম্মান করো। 59 যদি তোমরা তা পালন না কর তবে প্রভু তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের অনেক অসুবিধায় ফেলবেন। তোমাদের সংকট ও রোগগুলি হবে ভয়ানক! 60 মিশরে তোমরা অনেক বিপত্তি ও রোগ দেখে ভীত হয়েছিলে। প্রভু ঐ সব মন্দ ঘটনাগুলি তোমাদের বিরুদ্ধে ফিরিয়ে আনবেন। 61 ব্যবস্থার পুস্তকে লেখা নেই এমন সব সংকট ও রোগও তিনি আনবেন। তোমরা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তিনি তা করেই চলবেন। 62 আকাশের তারার মত তোমাদের বংশধররা বহুসংখ্যক হতে পারে, কিন্তু কেবল অল্পসংখ্যকই অবশিষ্ট থাকবে, কারণ তোমরা প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের কথা শোন নি।

63 “প্রভু তোমাদের মঙ্গল করে ও তোমাদের জাতির বৃদ্ধি সাধন করে যেমন আনন্দ পেতেন, সেই একই ভাবে তিনি তোমাদের সর্বনাশ ও ধ্বংস দেখে আনন্দ পাবেন। তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, লোক তোমাদের সেই দেশ থেকে বার করে দেবে। 64 আর প্রভু পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে তোমাদের ছড়িয়ে দেবেন। সেখানে তোমরা কাঠ, পাথরের তৈরী এমন মূর্ত্তির পূজা করবে, যাদের পূজা তোমাদের পূর্বপুরুষরা কখনও করে নি।

65 “এই সমস্ত জাতির মধ্যে তোমরা কোন শান্তি পাবে না এবং বিশ্রামের জায়গাও পাবে না। প্রভু তোমাদের মন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করবেন। তখন তোমাদের চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং তোমরা বিচলিত হয়ে পড়বে। 66 তোমরা বিপদের মধ্যে বাস করবে এবং দিনে কি রাতে সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকবে। জীবন সম্বন্ধে তোমাদের কোন নিশ্চয়তা বোধ থাকবে না। 67 সকালে তুমি বলবে, ‘হায়! কখন সন্ধ্যা হবে!’ আর সন্ধ্যা হলে বলবে, ‘হায়! কখন সকাল হবে!’ হৃদয়ের শঙ্কা এবং ভয়ঙ্কর বিষয় যা তোমরা দেখবে, তার জন্যই এইরকম হবে। 68 প্রভু জাহাজে করে তোমাদের মিশরে ফেরত পাঠাবেন। আমি বলেছিলাম যে তোমাদের আর সেখানে ফিরে যেতে হবে না; কিন্তু প্রভু তোমাদের সেখানে ফেরত পাঠাবেন। মিশরে তোমরা তোমাদের শত্রুদের কাছে নিজেদের দাসরূপে বিক্রি করতে চাইবে কিন্তু কেউ তোমাদের কিনবে না।”

গীতসংহিতা 119:25-48

দালৎ‌

25 আমি খুব শীঘ্রই মারা যাবো।
    প্রভু আপনি আজ্ঞা দিন এবং আমাকে বাঁচতে দিন।
26 আমার জীবন সম্পর্কে আমি আপনাকে বলেছি এবং আপনি আমায় উত্তর দিয়েছেন।
    এখন আমাকে আপনার বিধি সম্পর্কে শিক্ষা দিন।
27 প্রভু আপনার বিধি বুঝতে আমায় সাহায্য করুন।
    যে সব আশ্চর্য কার্য আপনি করেছেন তা আমায় বলতে দিন।
28 আমি দুঃখী এবং শ্রান্ত।
    আপনি আজ্ঞা করুন এবং আমি আবার শক্তিশালী হয়ে উঠবো।
29 হে প্রভু, আমাকে ওই প্রবঞ্চনাময় জীবন থেকে দূরে রাখুন।
    আপনার শিক্ষামালা দিয়ে আমায় পরিচালিত করুন।
30 হে প্রভু, আমি আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে স্থির করেছি।
    অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে আমি আপনার প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্তসমূহ অনুধাবন করি।
31 হে প্রভু, আপনার চুক্তিতে আমি নিশ্চল থাকবো।
    অতএব আমাকে হতাশ করবেন না।
32 আমি আনন্দের সঙ্গে আপনার আজ্ঞাগুলো মানবো।
    প্রভু আপনার আজ্ঞাগুলো আমায় সুখী করে।

হে

33 প্রভু, আমাকে আপনার বিধি শিক্ষা দিন,
    আমি সেগুলো মেনে চলবো।
34 আমাকে বুঝতে সাহায্য করুন, আমি আপনার শিক্ষামালাগুলো মানবো।
    আমি সম্পূর্ণভাবে সেগুলো পালন করবো।
35 হে প্রভু, আপনার আজ্ঞাসমুহের পথে আমায় পরিচালিত করুন।
    জীবনের সেই পথ আমি সত্যিই ভালোবাসি।
36 কি করে ধনী হওয়া যায় সেই চিন্তার থেকে,
    আপনার চুক্তি সম্পর্কে চিন্তা করতে আমায় সাহায্য করুন।
37 প্রভু, অসার বিষয়ের দিকে আমাকে তাকাতে দেবেন না।
    আপনার পথে বাঁচতে আমায় সাহায্য করুন।
38 আপনার দাসের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করুন,
    যার ফলে লোকরা আপনাকে শ্রদ্ধা করে।
39 যে লজ্জাকে আমি ভয় পাই তা আপনি নিরসন করুন।
    আপনার সিদ্ধান্তগুলি জ্ঞানগর্ভ এবং ভালো।
40 দেখুন আমি আপনার আজ্ঞাগুলো ভালোবাসি।
    আমার প্রতি ভালো ব্যবহার করুন এবং আমায় বাঁচতে দিন।

বৌ

41 প্রভু, আমার প্রতি আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন।
    আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমায় রক্ষা করুন।
42 তাহলে যে লোকরা আমায় অপমান করেছে তাদের জন্য আমি একটা উত্তর খুঁজে পাবো।
    প্রভু আপনি যা বলেন প্রকৃতই আমি তা বিশ্বাস করি।
43 আপনার সত্য শিক্ষা সম্পর্কে আমাকে সর্বদাই বলতে দিন।
    প্রভু, আমি আপনার প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করি।
44 প্রভু, আমি চিরদিন আপনার শিক্ষামালাগুলো অনুসরণ করবো।
45 তাহলে আমি মুক্ত হবো।
    কেন? কারণ আপনার বিধি পালন করতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি।
46 এমন কি রাজাদের সামনেও
    আমি নির্ভয়ে আপনার নীতি কি বলে সে সম্বন্ধে বলব।
47 হে প্রভু, আপনার আজ্ঞাগুলি আমি ভালবাসি
    এবং ওগুলোতে আমি আনন্দ পাই।
48 প্রভু, আপনার আজ্ঞাগুলোর প্রশংসা করি।
    আমি সেগুলোকে ভালোবাসি এবং সেগুলো অনুধাবন করি।

যিশাইয় 55

সত্যিকারের সন্তোষজনক “খাদ্য” দেন ঈশ্বর

55 “আমার তৃষ্ণার্ত মানুষরা এসে জল পান করো।
    নিজেদের অর্থ না থাকলেও বিষন্ন হয়ো না।
যতক্ষণ না ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটে ততক্ষণ খাও এবং পান কর।
    খাদ্য ও দ্রাক্ষারসের জন্য কোন অর্থ লাগবে না।
সত্যি খাদ্য নয় এমন জিনিষের জন্য তোমরা কেন অর্থ নষ্ট করবে?
    তোমাদের সন্তষ্ট করে না এমন জিনিষের জন্য কেন কাজ করবে?
আমার খুব কাছে এসে শোন, তোমরা খুব ভালো খাবার খাবে।
    তোমাদের আত্মা সন্তুষ্ট হবার মতো খাদ্য তোমরা ভোগ করবে।
আমার কাছে এসে শোন আমি কি বলছি,
    তাহলে তোমাদের আত্মা বাঁচবে।
আমি তোমাদের সঙ্গে চিরকালের মত একটা চুক্তি করব।
    দায়ূদের মত তোমাদের সঙ্গেও আমি চুক্তি করব।
    দায়ূদের কাছে আমি প্রতিশ্রুতি করেছি চিরকাল আমি ওকে ভালবাসব।
চিরকাল আমি তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকব।
    তোমরা এই চুক্তির ওপর আস্থাশীল থাকতে পারো।
দায়ূদকে আমি অন্যান্য জাতির জন্য সাক্ষী বানিয়েছি।
আমি তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি বহু জাতির শাসক ও সেনাপতি বানিয়ে দেব।”

তোমাদের অচেনা স্থানেও অনেক জাতি আছে।
    তোমরা সেই সব জাতিদের ডাকবে।
তারা তোমাদের না চিনলেও
    তোমাদের কাছে ছুটে যাবে।
এসব ঘটবে কারণ তোমাদের প্রভু এইসব চান।
    এসব ঘটবে কারণ ইস্রায়েলের পবিত্র একজন তোমাদের সম্মান করেন।
তাই তোমাদের উচিৎ‌ বেশী দেরি না করে
    প্রভুর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা।
তিনি এখন কাছে আছেন
    তোমাদের উচিৎ‌ এখনই তাঁকে ডাকা।
দুষ্ট লোকদের দুষ্ট কাজ পরিত্যাগ করতে হবে।
    তাদের কু-চিন্তা ছেড়ে দিতে হবে।
তাদের প্রভুর কাছে ফিরে আসতে হবে।
    ঈশ্বর তাদের ওপর করুণা করবেন।
সেই লোকদের প্রভুর কাছে ফিরে আসা উচিৎ‌;
    কারণ আমার ঈশ্বর ক্ষমা করেন।

লোকে ঈশ্বরকে বুঝতে পারে না

প্রভু বলেন, “তোমাদের চিন্তা আর আমার চিন্তা এক নয়।
    তোমাদের রাস্তা আমার রাস্তার মত নয়।
পৃথিবীর থেকে স্বর্গ অনেক উঁচুতে।
    ঠিক সে রকমই তোমাদের থেকে আমার পথও অনেক উঁচু এবং চিন্তাও অনেক উঁচুতে বিচরণ করে।”
    প্রভু নিজে নিজেই একথা বলেন।

10 “বৃষ্টি ও বরফ কণা আকাশ থেকে পড়ে
    এবং তা আর আকাশে ফিরে যায় না, যতক্ষণ না তারা মাটি স্পর্শ করে মাটিকে ভেজায়।
তখন মাটি গাছকে অঙ্কুরিত করে বড় করে তোলে।
    এই গাছগুলি কৃষকদের জন্য বীজ বানায় আর লোকে এই বীজ ব্যবহার করে খাবার রুটি বানায়।
11 ঠিক সে ভাবেই আমার মুখ নিঃসৃত বাণী
    নিজেকে বাস্তবায়িত না করে ফিরে আসে না।
আমি যা করতে চাই আমার কথা তাই করে।
    আমি যা করতে পাঠাই আমার কথা সফল ভাবে তাই করে ফিরে আসে।

12 “তোমরা আনন্দের সঙ্গে চলে যাবে
    এবং শান্তিতে ফিরে আসবে।
পাহাড়-পর্বত তোমাদের সামনে আনন্দে গান গেয়ে উঠতে শুরু করবে।
    মাঠের সব গাছ হাততালি দিয়ে উঠবে।
13 যেখানে যেখানে ঝোপঝাড় ছিল সেখানে সেখানে বেড়ে উঠবে বিশাল বিশাল দেবদারু গাছ।
    আগাছার স্থানে গজিয়ে উঠবে গুলমেঁদি গাছ।
এইসব ঘটনা প্রভুকে বিখ্যাত করে তুলবে।
    এইসব ঘটনা প্রমাণ করবে যে প্রভু শক্তিশালী এবং এই প্রমাণ কখনই নষ্ট হবে না।”

মথি 3

বাপ্তিস্মদাতা যোহনের কাজ

(মার্ক 1:1-8; লূক 3:1-9, 15-17; যোহন 1:19-28)

সেই সময় বাপ্তিস্মদাতা যোহন এসে যিহূদিয়ার প্রান্তর এলাকায় প্রচার করতে লাগলেন। তিনি বললেন, “তোমরা মন ফেরাও, দেখ স্বর্গরাজ্য এসে পড়ল।” এই যোহনের বিষয়েই ভাববাদী যিশাইয় বলেছিলেন:

“প্রান্তরে এক উচ্চ রব শোনা যাচ্ছে,
‘তোমরা প্রভুর পথ প্রস্তুত কর;
    যে পথ দিয়ে তিনি যাবেন তা সমান কর।’”(A)

যোহন উটের লোমের তৈরী পোশাক পরতেন, কোমরে চামড়ার বেল্ট বাঁধতেন। পঙ্গপাল ও বনমধু ছিল তাঁর খাদ্য। জেরুশালেম, সমগ্র যিহূদিয়া ও যর্দনের আশপাশের অঞ্চলের লোকেরা প্রান্তরে তাঁর কাছে আসতে লাগল। তারা এসে নিজেদের পাপ স্বীকার করত আর তিনি তাদের যর্দন নদীতে বাপ্তাইজ করতেন।

যোহন যখন দেখলেন যে অনেক ফরীশী[a] ও সদ্দূকী[b] তাঁর কাছে বাপ্তিস্মের জন্য আসছে, তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা সাপের বাচ্চারা! ঈশ্বরের আসন্ন ক্রোধ থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্য কে তোমাদের চেতনা দিল? তোমরা কাজে দেখাও, যাতে বোঝা যায় যে তোমরা সত্যিই মন ফিরিয়েছ। আর নিজেরা মনে মনে একথা চিন্তা করে গর্ব করো না যে, ‘আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম।’ আমি তোমাদের বলছি, ঈশ্বর এই পাথরগুলিকেও অব্রাহামের সন্তানে পরিণত করতে পারেন। 10 প্রতিটি গাছের গোড়াতে কুড়ুল লাগানোই আছে। আর যে গাছে ভাল ফল ধরে না, তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।

11 “তোমরা মন ফিরিয়েছ বলে আমি তোমাদের জলে বাপ্তাইজ করছি। আমার পরে একজন আসছেন, যিনি আমার থেকে মহান, তাঁর জুতো জোড়া বইবার যোগ্যও আমি নই। তিনি পবিত্র আত্মায় ও আগুনে তোমাদের বাপ্তাইজ করবেন। 12 তাঁর কুলা তাঁর হাতেই আছে, তাঁর খামার তিনি পরিষ্কার করবেন। তিনি তাঁর গম গোলায় তুলবেন। কিন্তু যে আগুন কখনও নেভে না সেই আগুনে তূষ পুড়িয়ে ফেলবেন।”

প্রভু যীশুর বাপ্তিস্ম

(মার্ক 1:9-11; লূক 3:21-22)

13 সেই সময় যীশু গালীল থেকে যর্দন নদীর ধারে এলেন। তিনি যোহনের কাছে বাপ্তিস্মের জন্য এগিয়ে গেলেন। 14 কিন্তু যোহন তাঁকে বাধা দিতে চেষ্টা করলেন। যোহন বললেন, “আমারই বরং আপনার কাছে বাপ্তাইজ হওয়া উচিত। আর আপনি কি না আমার কাছে এসেছেন?”

15 এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, “এখন এরকমই হতে দাও, কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা এইভাবেই আমাদের পূর্ণ করা উচিত।” তখন যোহন যীশুকে বাপ্তাইজ করতে রাজী হলেন।

16 যীশু বাপ্তাইজিত হয়ে জল থেকে উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সামনে আকাশ খুলে গেল, আর তিনি দেখলেন ঈশ্বরের আত্মা কপোতের মতো নেমে তাঁর ওপরে আসছেন। 17 স্বর্গ থেকে একটি স্বর শোনা গেল, সেই স্বর বলল, “এই আমার প্রিয় পুত্র, এর প্রতি আমি অত্যন্ত প্রীত।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International