M’Cheyne Bible Reading Plan
অন্যান্য বিধিগুলি
22 “যদি দেখ যে তোমাদের প্রতিবেশীর বলদ বা মেষগুলি পথ হারিয়েছে, তবে তোমরা বিষয়টিকে উপেক্ষা করবে না। সেটিকে অবশ্যই তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে আনবে। 2 যদি মালিক কাছাকাছি বাস না করে অথবা যদি তোমরা না জানো যে এটি কার, তাহলে তোমরা সেই পশুকে তোমাদের বাড়ী নিয়ে যেতে পারো এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না মালিক এটির খোঁজে আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এটিকে রাখতে পার। পরে তাকে এটি ফিরিয়ে দেবে। 3 তোমাদের প্রতিবেশী যদি তার গাধা, জামাকাপড় অথবা অন্য কোনো কিছু হারায় তাহলেও তোমরা ঐ একই কাজ করবে। তোমরা এই বিষয়টি এড়িয়ে যেও না।
4 “যদি তোমাদের প্রতিবেশীর গাধা অথবা গরু রাস্তায় পড়ে যায়, তোমরা সেটিকে অবহেলা করবে না। তোমরা অবশ্যই সেটিকে পুনরায় দাঁড় করাতে সাহায্য করবে।
5 “স্ত্রীলোক কখনই পুরুষদের পোশাক পরবে না এবং পুরুষ কখনই স্ত্রীলোকদের পোশাক পরবে না। যে কেউ এই কাজ করে সে প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের কাছে ঘৃণার পাত্র।
6 “তোমরা যদি গাছের ওপরে অথবা মাঠে কোনো পাখীর বাসা দেখ যেখানে মা পাখী তার শাবকদের সঙ্গে অথবা ডিমের ওপরে বসে আছে, তাহলে তোমরা কখনই বাচ্চাদের সঙ্গে মা পাখীকে নেবে না। 7 তোমরা তোমাদের নিজেদের জন্য বাচ্চাদের নিতে পারো। কিন্তু তোমরা মাকে অবশ্যই যেতে দেবে। যদি তোমরা এই বিধিগুলি মেনে চল, তাহলে তোমাদের মঙ্গল হবে এবং তোমরা বহুদিন বেঁচে থাকবে।
8 “যখন তোমরা নতুন বাড়ী তৈরী কর, তোমরা ছাদের চারধারে অবশ্যই দেওয়াল তুলবে। তাহলে বাড়ী থেকে পড়ে গিয়ে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য তোমরা অবশ্যই দায়ী হবে না।
যে জিনিসগুলো কখনই একসঙ্গে রাখা যাবে না
9 “তোমরা দ্রাক্ষা ক্ষেত্রে দুই ধরণের শস্যের বীজ বপন করবে না। কেন? কারণ তাহলে তোমার রোপন করা সমস্ত শস্য এবং এমনকি দ্রাক্ষা-ক্ষেত্রের দ্রাক্ষা থেকেও তুমি বঞ্চিত হবে।
10 “তোমরা একই সঙ্গে একটি গরু এবং একটি গাধার সাহায্যে চাষ করবে না।
11 “পশম এবং মসীনার সাহায্যে বোনা কাপড় তোমরা কখনই পরবে না।
12 “তোমরা যে আলগা পোশাক পরো তার চারকোণের সুতোর গোছা বেঁধে খোপ দিও।
বিবাহ বিষয়ক বিধি
13 “একজন পুরুষ কোন স্ত্রীলোককে বিবাহ করে তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার পরে মনস্থ করতে পারে সে তাকে আর চায় না। 14 সেই জন্য সে মিথ্যাভাবে বলতে পারে, ‘আমি এই স্ত্রীলোকটিকে বিবাহ করেছিলাম বটে কিন্তু যৌন সহবাসের সময় দেখলাম যে সে কুমারী নয়।’ এই বলে সে সেই স্ত্রীলোকটির উপর দুর্নাম আনতে পারে। 15 এই রকম ঘটলে মেয়েটির পিতা-মাতা সেই মেয়েটির কুমারীত্বের প্রমাণ নিয়ে নগরের প্রবীণদের সাথে নগরের সভাস্থলে উপস্থিত হবে। 16 মেয়েটির পিতা প্রবীণদের বলবেন, ‘আমি আমার মেয়েকে এই লোকটির হাতে তার স্ত্রী হিসাবে দিয়েছিলাম কিন্তু এখন সে তাকে পছন্দ করে না। 17 এই লোকটি আমার মেয়ের নামে মিথ্যা বলেছে। সে বলেছে, “তোমার মেয়ে কুমারী ছিল না।” কিন্তু এই দেখুন আমার মেয়ে যে কুমারী তার প্রমাণ।’ এই বলে তারা কাপড়টি নগরের প্রবীণদের দেখাবে। 18 তখন সেই নগরের প্রবীণরা অবশ্যই সেই লোকটিকে নিয়ে গিয়ে শাস্তি দেবে। 19 তারা অবশ্যই লোকটির জন্য 40 আউন্স রৌপ্য জরিমানা করবে। সেই টাকা যেন মেয়েটির পিতাকে দেওয়া হয়, কারণ মেয়েটির স্বামী একজন ইস্রায়েলীয় কুমারীর উপর দুর্নাম এনেছে। আর সেই মেয়েটি সেই লোকটির স্ত্রী হয়েই থাকবে। সেই লোকটি তার জীবনকালে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে পারবে না।
20 “কিন্তু এও হতে পারে যে মেয়েটির স্বামী তার সম্বন্ধে যা বলেছে তা সত্য। স্ত্রীলোকটির মাতা-পিতার কাছে তার কুমারীত্বের প্রমাণ নাও থাকতে পারে। 21 যদি তাই ঘটে তবে নগরের প্রবীণরা সেই মেয়েটিকে নিয়ে তার পিতার বাড়ীর দরজায় আসবে। তারপর সেই নগরের লোকরা মেয়েটিকে পাথর মেরে হত্যা করবে। কারণ ইস্রায়েলের মধ্যে সে লজ্জাজনক কাজ করেছে। সে পিতার বাড়ীতে বেশ্যার মতো ব্যবহার করেছে। তুমি তোমার লোকদের মধ্যে থেকে এইভাবে দুষ্টাচার দূর করবে।
যৌন পাপসকল
22 “যদি কোন পুরুষ অপরের স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত থাকাকালীন ধরা পড়ে তবে দুজনকেই অবশ্যই মরতে হবে—সেই স্ত্রীলোকটিকে এবং তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত পুরুষটিকে হত্যা করে তোমরা অবশ্যই ইস্রায়েলের মধ্যে থেকে এই দুষ্টাচার দূর করবে।
23 “কোন লোক অপরের বাগদত্তা কোন কুমারীকে নগরের মধ্যে দেখতে পেয়ে তার সাথে যৌন সহবাসে লিপ্ত হতে পারে। 24 এই রকম ঘটলে তুমি অবশ্যই তাদের দুজনকে নগরের দ্বারে সকলের সামনে নিয়ে এসে পাথর মেরে হত্যা করবে। লোকটিকে হত্যা করার কারণ সে অপরের স্ত্রীর সাথে যৌন পাপ করেছে; এবং মেয়েটিকে হত্যা করার কারণ সে নগরের মধ্যে থাকলেও সাহায্যের জন্য চিৎকার করে নি। তোমরা অবশ্যই এইভাবে লোকদের মধ্য হতে এই দুষ্টাচার দূর করবে।
25 “কিন্তু কোন লোক যদি বাগ্দত্তা স্ত্রীলোককে ক্ষেতের মধ্যে পেয়ে জোরপূর্বক তার সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় তবে কেবল লোকটিকেই মরতে হবে। 26 তোমরা অবশ্যই সেই মেয়েটির প্রতি কিছু করবে না। সে মৃত্যুর যোগ্য এমন কোন অপরাধ করে নি। এই ঘটনা প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে উঠে তাকে হত্যা করার মতো। 27 লোকটি ক্ষেতে সেই বাগ্দত্তা মেয়েটিকে দেখে তাকে আক্রমণ করল। হয়তো মেয়েটি সাহায্যের জন্যও চিৎকার করেছিল কিন্তু সাহায্যের জন্য কেউ ছিল না। সুতরাং তাকে যেন শাস্তি দেওয়া না হয়।
28 “একজন লোক হয়তো বাগ্দত্তা নয় এমন কোন কুমারীকে পেয়ে তার সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে। যদি অন্য লোকরা তা ঘটতে দেখে, 29 তাহলে সে মেয়েটির পিতাকে 20 আউন্স রূপো দেবে এবং সেই মেয়েটি লোকটির স্ত্রী হবে। যেহেতু সে যৌন পাপ করেছিল, তাই তার জীবনকালে সে তাকে ত্যাগ করতে পারবে না।
30 “কোন লোক যেন তার পিতার স্ত্রী অর্থাৎ সৎ মায়ের সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে তার পিতাকে লজ্জায় না ফেলে।”
দায়ূদের প্রশংসা গীতগুলির অন্যতম।
110 প্রভু আমার মনিবকে বলেছেন,
“যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তোমার শত্রুকে তোমার অধীনে না এনে দিই ততক্ষণ আমার ডান দিকে বস।”
2 প্রভু তোমার রাজ্য বাড়াতে সাহায্য করবেন, তোমার রাজ্য সিয়োনে শুরু হবে
যতদিন পর্যন্ত তুমি তোমার শত্রুদের তাদের নিজেদের রাজ্যে শাসন করবে, ততদিন তা বাড়তে থাকবে।
3 যখন আপনি আপনার সৈন্যদের একত্রিত করবেন,
তখন আপনার লোকরা স্বেচ্ছায় আপনার সঙ্গে যোগ দেবে।
ওরা ওদের বিশেষ পোশাক পরে অতি প্রত্যুষে মিলিত হবে।
জমিতে পড়া শিশির কণার মত ওই তরুণরা আপনার চারদিকে থাকবে।
4 প্রভু একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
এবং তিনি তাঁর মত পরিবর্তন করবেন না।
“তুমি চিরদিনের জন্য একজন যাজক, একটি বিশিষ্ট রীতির যাজকের মত,
যেমন মল্কীষেদক ছিল সেইরকম।”
5 আমার প্রভু আপনার ডান দিকে রয়েছে।
যখন তিনি ক্রুদ্ধ হন তখন তিনি অন্যান্য রাজাদের পরাজিত করেন।
6 ঈশ্বর জাতি সকলের বিচার করবেন।
জমিটি মৃতদেহে ঢেকে যাবে
এবং ঈশ্বর শক্তিশালী জাতির নেতাদের শাস্তি দেবেন।
7 রাস্তার ধারের ঝর্ণা থেকে রাজাকে জল পান করতে হবে।
তারপর সে বিজয়ী হয়ে তার মাথা তুলবে!
111 প্রভুর প্রশংসা কর!
যেখানে সৎ লোকেরা জমায়েত হয়,
সেই মণ্ডলীতে আমি সমস্ত অন্তর দিয়ে প্রভুকে ধন্যবাদ দিই।
2 প্রভু বিস্ময়কর কাজকর্ম করেন।
ঈশ্বরের কাছ থেকে যে সব ভালো জিনিস আসে লোকরা তা চায়।
3 ঈশ্বর প্রকৃতই বিস্ময়কর এবং মহিমাময় কার্য করেন।
তাঁর ধার্মিকতা চিরদিনই বিরাজ করে।
4 ঈশ্বর, আশ্চর্য কার্য করেন যাতে আমরা মনে রাখি
যে প্রভু সত্যিই দয়াময় ও ক্ষমাশীল।
5 ঈশ্বর, তাঁর অনুগামীদের আহার দেন।
ঈশ্বর চিরদিন তাঁর চুক্তি স্মরণে রাখেন।
6 ঈশ্বর যে সব শক্তিশালী জিনিসগুলি করেছেন তা তাঁর লোকজনের কাছে প্রমাণ করেছে
যে তিনি অন্য জাতিসমূহের অধিকারভুক্ত দেশ তাদের দিয়েছিলেন।
7 ঈশ্বর যা কিছু করেন সবই সুন্দর ও যথাযথ।
তাঁর সব আজ্ঞাকেই নির্ভর করা চলে।
8 ঈশ্বরের আজ্ঞাসমূহ চিরদিন বজায় থাকবে।
যে কারণে ঈশ্বর আজ্ঞাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি ছিল সৎ ও আন্তরিক।
9 তাঁর লোকেদের উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বর কাউকে পাঠিয়েছিলেন এবং ঈশ্বর তাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছেন তা চিরদিন বজায় থাকবে।
ঈশ্বরের নাম ভয়ঙ্কর এবং পবিত্র।
10 ঈশ্বরের প্রতি ভয় এবং শ্রদ্ধা থেকেই প্রজ্ঞার সূত্রপাত হয়।
যারা ঈশ্বরকে মান্য করে তারা খুব বিচক্ষণ।
চিরদিন ঈশ্বরের প্রতি প্রশংসাগীত গাওয়া হবে।
ঈশ্বর তাঁর বিশেষ সেবককে ডাকছেন
49 দূরবর্তী স্থানের সব লোকরা আমার কথা শোন।
পৃথিবীবাসী সবাই আমার কথা শোন!
আমি জন্মাবার আগেই প্রভু আমাকে তাঁর সেবা করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
আমি মাতৃজঠরে থাকার সময়েই প্রভু আমার নাম ধরে ডাক দেন।
2 প্রভু আমাকে তাঁর কথা বলতে ব্যবহার করেন!
তিনি আমার মুখকে ধারালো তরবারির মতো তৈরী করেছেন।
তিনি আমাকে নিজের হাতে লুকিয়ে রেখে আমাকে রক্ষাও করেছেন।
প্রভু আমাকে একটি ধারালো তীরের মতো ব্যবহার করলেও,
তিনি আমাকে তাঁর তীরের থলিতে লুকিয়ে রাখেন।
3 প্রভু আমাকে বললেন, “ইস্রায়েল তুমি আমার ভৃত্য!
তোমার জন্য আমি যা করি তার জন্য আমি সম্মানিত হব।”
4 আমি বললাম, “আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি।
আমি নিজেকে ক্ষয় করেছি, কিন্তু কোন প্রয়োজনীয় কাজ করি নি।
আমি আমার সমস্ত শক্তি ব্যয় করেছি।
কিন্তু আমি সত্যিকারের কিছুই করতে পারিনি।
তাই প্রভুকেই ঠিক করতে হবে।
তিনি আমাকে নিয়ে কি করবেন।
ঈশ্বরই আমার পুরস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
5 প্রভু আমাকে আমার মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করেছেন,
যাতে আমি তাঁর দাস হতে পারি
এবং যাকোব ও ইস্রায়েলকে পথ প্রদর্শন করে তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনতে পারি।
প্রভু আমাকে সম্মান দেবেন।
ঈশ্বরের কাছ থেকে আমি আমার শক্তি পাব।
6 প্রভু আমাকে বলেন, “তুমি আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ দাস।
ইস্রায়েলের লোকরা এখন বন্দী।
কিন্তু তাদের আমার কাছে আনা হবে।
যাকোবের পরিবারগোষ্ঠী আমার কাছেই ফিরে আসবে।
কিন্তু তোমার অন্য কাজ আছে, এর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই কাজ!
আমি তোমাকে সমস্ত জাতির আলো হিসেবে তৈরি করব।
বিশ্ববাসীকে রক্ষা করতে তুমিই হবে আমার পথ।”
7 প্রভু, ইস্রায়েলের পবিত্র একজন, ইস্রায়েলের পরিত্রাতা বলেন, “আমার দাস ঘৃণিত।
সে শাসকদের সেবা করে।
লোকে তাকে ঘৃণা করে।
কিন্তু রাজারা তাকে দেখবে এবং তাকে সম্মান জানানোর জন্য উঠে দাঁড়াবে।
মহান নেতারা তার সামনে মাথা নত করবে।”
এইসব ঘটবে কারণ প্রভু, ইস্রায়েলের পবিত্রতম এইসব চান। এবং প্রভুকে বিশ্বাস করা যেতে পারে। তিনিই সে জন যিনি তোমাকে বেছে নিয়েছিলেন।
পরিত্রাণের দিন
8 প্রভু বলেন,
“একটা বিশেষ সময় আসবে, যখন আমি আমার দয়া দেখাব।
তখন আমি তোমাদের প্রার্থনার জবাব দেব।
বিশেষ দিন আসবে যখন আমি তোমাদের রক্ষা করব।
আমি তোমাদের সাহায্য করব, আমি তোমাদের নিরাপত্তা দেব।
লোকের সঙ্গে আমার যে চুক্তি আছে তার প্রমাণ হবে তোমরা।
যে দেশ এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত,
সেই দেশকে তোমরা তার নিজের জমি ফিরিয়ে দেবে।
9 তোমরা কয়েদীদের বলবে:
‘কারাগার থেকে বেরিয়ে এসো।’
অন্ধকারে থাকা লোকদের তোমরা বলবে,
‘বেরিয়ে এসো অন্ধকার জগত থেকে!’
ভ্রমণ করতে করতে লোকে খাবে।
নিস্ফলা পাহাড়েও তারা খাবার পাবে।
10 লোকে ক্ষুধার্ত হবে না, লোকরা তৃষ্ণার্ত হবে না।
তাদের তপ্ত সূর্য ও বাতাস কষ্ট দেবে না।
কেন? কারণ ঈশ্বর তাদের আরাম দেবেন।
ঈশ্বর তাদের নেতৃত্ব দেবেন।
জলপ্রবাহগুলির কাছে তিনি তাদের নেতৃত্ব দেবেন।
11 আমি আমার লোকদের জন্য সড়ক বানাব।
পাহাড়গুলিকে করা হবে সমতল এবং নীচু
রাস্তাগুলিকে করা হবে উঁচু।
12 “দেখ! দূর দূর স্থান থেকে আমার কাছে লোকে চলে আসছে।
উত্তর ও পশ্চিম থেকে লোকরা আসছে।
মিশরের সীনীম দেশ থেকে লোক আসছে।”
13 স্বর্গ ও পৃথিবী সুখী হও!
পাহাড় চেঁচিয়ে ওঠ আনন্দে!
কেন? কারণ প্রভু তাঁর লোকদের আরাম দেবেন।
প্রভু গরীব লোকদের প্রতি সদয় হবেন।
14 কিন্তু সিয়োন এখন বলে, “প্রভু আমাকে ত্যাগ করেছেন।
আমার প্রভু আমাকে ভুলে গিয়েছেন।”
15 কিন্তু আমি বলি,
“কোন মহিলা কি নিজের শিশুকে ভুলতে পারে? না!
তার শরীর থেকে ভূমিষ্ট হওয়া শিশুকে ভুলতে পারে কোন নারী?
না! কোন নারী তার শিশুকে ভুলতে পারে না।
আমিও তোমাদের ভুলে যেতে পারি না।
16 এই দেখো, আমি নিজ হাতে তোমাদের নাম খোদাই করে রেখেছি!
তোমাদের কথা সব সময়ই ভাবি।
17 তোমাদের শিশুরা ফিরে আসবে, লোকরা তোমাদের পরাজিত করবে
কিন্তু তারা তোমাদের একাকী ফেলে যাবে।
18 তাকাও! নিজেদের চারিদিকে তাকাও!
তোমাদের সব ছেলেমেয়েরা একত্রিত হয়ে তোমাদের কাছে আসবে।”
প্রভু বলেন,
“নিজের জীবনে তোমাদের কাছে এই প্রতিশ্রুতি করছি:
তোমাদের ছেলেমেয়েরা হবে রত্নের মতো, যেটা তোমরা গলায় বেঁধে রাখবে।
তোমাদের ছেলেমেয়েরা একজন বধূর গলার মূল্যবান হারের মতো হবে।
19 “এখন তোমরা পরাজিত ও তোমরা ধ্বংস হয়েছো।
তোমাদের দেশ ধ্বংস হয়েছে।
কিন্তু কিছু কাল পরে, তোমাদের দেশে তোমরা অনেক বেশী লোক পাবে
এবং যে সমস্ত লোক তোমাদের ধ্বংস করেছিল তারা অনেক দূরে সরে যাবে।
20 তোমরা হারিয়ে যাওয়া শিশুর শোকে দুঃখিত ছিলে।
সেই শিশুরাই কিন্তু তোমাদের বলবে,
‘এই জায়গা বড্ড ছোট!
আমাদের বসবাসের জন্য বড় জায়গা দাও!’
21 তারপর তোমরা নিজেরাই বলবে,
‘কে আমাদের এইসব শিশুদের দিয়েছে?
আমি বিচ্ছিন্ন ছিলাম, নির্জনে ছিলাম।
পরাস্ত হয়ে নিজেদের লোক থেকে দূরে ছিলাম।
তাই এই শিশুদের কে দিলেন?
দেখো, আমি একা পড়েছিলাম।
কোথা থেকে এই শিশুরা এসেছিল?’”
22 আমার প্রভু, সদাপ্রভু বলেন,
“দেখ, আমার হাত জাতিদের ওপর ঢেউ তুলবে।
আমি সব মানুষকে দেখাতে পতাকা তুলব।
তখন তারা তোমাদের শিশুদের নিয়ে আসবে!
তারা তোমাদের শিশুদের কাঁধে করে আনবে,
বাহু দিয়ে শিশুদের ধরে রাখবে।
23 তাদের সম্রাটরা শিক্ষক হবেন।
রাজকুমারীরা তাদের যত্ন করবে।
সেই সব রাজা ও রাজকুমারীরা তোমাদের সামনে শ্রদ্ধায় মাথা নত করবে।
তারা তোমাদের পায়ের পাতার ধূলিতে চুম্বন করবে।
তখন তোমরা বুঝবে যে আমিই প্রভু।
তারপর তোমরা জানবে, আমার ওপর আস্থাশীল হওয়া কোন লোকই হতাশ হবে না।”
24 যখন কোন বলবান সেনা যুদ্ধ জয় করে প্রচুর সম্পদ নিয়ে আসে,
তখন তোমরা তা ছিনিয়ে নিতে পারো না।
যখন কোন শক্তিশালী সেনা কোন বন্দীকে পাহারা দেয়,
তখন বন্দীটি পালিয়ে যেতে পারে না।
25 কিন্তু প্রভু বলেন,
“বন্দী পালিয়ে যাবে।
কেউ একজন বন্দীদের শক্তিশালী সেনার কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাবে।
এইসব ঘটবে কারণ আমি তোমাদের হয়ে যুদ্ধ করে দেবো।
আমিই তোমাদের শিশুদের বাঁচাবো।
26 তোমাদের যারা দাবিয়ে রেখেছিল
আমি তাদের নিজেদের মাংস খেতে বাধ্য করব।
দ্রাক্ষারস পান করে মাতাল হবার মত তারা তাদের নিজেদের রক্ত খেয়ে মাতাল হবে।
তখন সবাই জেনে যাবে যে প্রভু তোমাদের পরিত্রাতা।
প্রত্যেকটি লোক জেনে যাবে যে যাকোবের শক্তিশালী ‘একজন’ তোমাদের রক্ষা করেছিলেন।”
স্বর্গের লোকরা ঈশ্বরের প্রশংসা করল
19 এরপর আমি স্বর্গে এক বিশাল জনতার কলরব শুনলাম। সেই লোকরা বলছে:
“হাল্লিলুইয়া!
জয়, মহিমা ও পরাক্রম আমাদের ঈশ্বরেরই,
2 কারণ তাঁর বিচারসকল সত্য ও ন্যায়।
তিনি সেই মহান গণিকার বিচার নিষ্পন্ন করেছেন,
যে তার যৌন পাপ দ্বারা পৃথিবীকে কলুষিত করত।
ঈশ্বরের দাসদের রক্তপাতের প্রতিশোধ নিতে ঈশ্বর সেই বেশ্যাকে শাস্তি দিয়েছেন।”
3 তারপর স্বর্গের সেই লোকেরা বলে উঠল:
“হাল্লিলুইয়া!
সেই বেশ্যা ভস্মীভূত হবে এবং যুগ যুগ ধরে তার ধোঁয়া উঠবে।”
4 এরপর সেই চব্বিশজন প্রাচীন ও চারজন প্রাণী সিংহাসনে যিনি বসেছিলেন, সেই ঈশ্বরের চরণে মাথা নত করে তাঁর উপাসনা করে বললেন:
“আমেন, হাল্লিলুইয়া!”
5 পরে সিংহাসন থেকে এক বাণী নির্গত হল, কে যেন বলে উঠল:
“হে আমার দাসরা, তোমরা যারা তাঁকে ভয় কর,
তোমরা ক্ষুদ্র কি মহান, তোমরা সকলে ঈশ্বরের প্রশংসা কর!”
6 পরে আমি বিরাট জনসমুদ্রের রব, প্রবল জলকল্লোল ও প্রচণ্ড মেঘগর্জনের মতো এই বাণী শুনলাম:
“হাল্লিলুইয়া!
আমাদের প্রভু যিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর,
তিনি রাজত্ব শুরু করেছেন।
7 এস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, আর তাঁর মহিমা কীর্তন করি,
কারণ মেষশাবকের বিবাহের দিন এল।
তাঁর বধূও বিবাহের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে।
8 তাকে পরিধান করতে দেওয়া হল
শুচি শুভ্র উজ্জ্বল মসীনার বসন।”
(সেই মসীনার বসন হল ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের সত্কর্মের প্রতীক।)
9 এরপর তিনি আমায় বললেন, “তুমি এই কথা লেখ। ধন্য তারা, যারা মেষশাবকের বিবাহে নিমন্ত্রিত হয়েছে।” তারপর দূত আমায় বললেন, “এগুলি ঈশ্বরের সত্য বাক্য।”
10 আমি তাঁকে উপাসনা করার জন্য তাঁর চরণে মাথা নত করলাম। কিন্তু স্বর্গদূত আমায় বললেন, “আমার উপাসনা করো না! আমি তোমারই মত এবং তোমার যে ভাইরা যীশুর সাক্ষ্য ধরে রয়েছে তাদের মতো এক দাস। ঈশ্বরেরই উপাসনা কর, কারণ ভাববাদীর আত্মাই হল যীশুর সাক্ষ্য।”
শ্বেত অশ্বের চালক
11 এরপর আমি দেখলাম, স্বর্গ উন্মুক্ত, আর সেখানে সাদা একটা ঘোড়া দাঁড়িয়ে আছে। তার ওপর যিনি বসে আছেন, তাঁর নাম “বিশ্বস্ত ও সত্যময়” আর তিনি ন্যায়সিদ্ধ বিচার করেন ও যুদ্ধ করেন। 12 আগুনের শিখার মতো তাঁর চোখ, আর তাঁর মাথায় অনেকগুলি মুকুট আছে; সেই মুকুটগুলির উপর এমন এক নাম লেখা আছে, যার অর্থ তিনি ছাড়া অন্য আর কেউ জানে না। 13 রক্তে ডোবানো পোশাক তাঁর পরণে; তাঁর নাম ঈশ্বরের বাক্য। 14 স্বর্গের সেনাবাহিনী সাদা ঘোড়ায় চড়ে তাঁর পেছনে পেছনে চলেছিল। তাদের পরণে ছিল শুচিশুভ্র মসীনার পোশাক। 15 একটি ধারালো তরবারি তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসছিল, যা দিয়ে তিনি পৃথিবীর সমস্ত জাতিকে আঘাত করবেন। লৌহ যষ্টি হাতে জাতিবৃন্দের ওপর তিনি শাসন পরিচালনা করবেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধের কুণ্ডে তিনি সব দ্রাক্ষা মাড়াই করবেন। 16 তাঁর পোশাকে ও উরুতে লেখা আছে এই নাম:
“রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু।”
17 পরে আমি দেখলাম, একজন স্বর্গদূত সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি উঁচু আকাশ পথে যে সব পাখি উড়ে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে খুব জোরে চিৎকার করে বললেন: “এস, ঈশ্বর যে মহাভোজের আয়োজন করেছেন, তার জন্য এক জায়গায় জড়ো হও। 18 এক, রাজাদের, প্রধান সেনাপতিদের ও বীরপুরুষদের মাংস, ঘোড়া ও ঘোড়-সওয়ারদের মাংস, স্বাধীন অথবা ক্রীতদাস, ক্ষুদ্র অথবা মহান সকল মানুষের মাংস খেয়ে যাও।”
19 তখন আমি দেখলাম ঐ ঘোড়ার ওপর যিনি বসেছিলেন, তিনি ও তাঁর সৈন্যদের সঙ্গে সেই পশু ও পৃথিবীর রাজারা তাদের সমস্ত সেনাবাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করার জন্য একত্র হল। 20 কিন্তু সেই পশু ও ভণ্ড ভাববাদীকে ধরা হল। এই সেই ভণ্ড ভাববাদী, যে পশুর জন্য অলৌকিক কাজ করেছিল। এই অলৌকিক কাজের দ্বারা ভণ্ড ভাববাদী তাদের প্রতারণা করেছিল যাদের সেই পশুর চিহ্ন ছিল এবং যারা তার উপাসনা করেছিল। ভণ্ড ভাববাদী এবং পশুটিকে জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে ছুঁড়ে ফেলা হল। 21 যারা বাকী থাকল তারা সকলে সেই সাদা ঘোড়ার সওয়ারীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসা ধারালো তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়ল; আর সমস্ত পাখি তাদের মাংস খেয়ে তৃপ্ত হল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International