M’Cheyne Bible Reading Plan
ঈশ্বরের উপাসনার স্থান
12 “প্রভু, তোমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, তোমাদের যে দেশ অধিকার করতে দিচ্ছেন সেই নতুন দেশে তোমরা এই সমস্ত বিধিসমুহ এবং নিয়মসমূহ অবশ্যই মেনে চলবে। তোমরা যতদিন এই দেশে বাস করবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা অবশ্যই এই বিধিসমূহ যত্নসহকারে মেনে চলবে। 2 এখন সেখানে যে জাতিরা বাস করছে তাদের কাছ থেকে যখন তোমরা দেশটি অধিগ্রহণ করবে, তখন ঐ সমস্ত জাতির লোকরা যেখানে তাদের দেবতাদের পূজা করে সেই জায়গাগুলো তোমরা অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করবে। এই স্থানগুলো হল উঁচু পাহাড়ের ওপরে এবং সবুজ গাছপালার নীচে। 3 তোমরা অবশ্যই তাদের আশেরার স্তম্ভগুলি পুড়িয়ে দেবে এবং তাদের দেবতাদের মূর্ত্তিগুলো ভেঙ্গে দেবে। এইভাবে তোমরা অবশ্যই সেই স্থান থেকে তাদের নাম লোপ করে দেবে।
4 “ঐ সমস্ত লোকরা যেভাবে তাদের দেবতাদের পূজা করে, সেইভাবে তোমরা তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের উপাসনা অবশ্যই করবে না। 5 প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের পরিবারগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এক বিশেষ স্থান পছন্দ করবেন। প্রভু তাঁর নাম সেখানে রাখবেন। সেটিই হবে তাঁর নিবাস স্থান। তোমরা অবশ্যই তাঁর উপাসনার জন্য সেই স্থানে যাবে। 6 সেখানে তোমরা অবশ্যই তোমাদের হোমবলির নৈবেদ্য, তোমাদের উৎসর্গের জিনিসপত্র, তোমাদের শস্যের এবং পশুর এক দশমাংশ, তোমাদের বিশেষ উপহারসমূহ, যে কোনোও উপহার সামগ্রী যেটা তোমরা প্রভুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলে, যে কোনোও বিশেষ উপহার যা তোমরা দিতে চাও, এবং তোমাদের পশুপালের মধ্যে প্রথমজাত পশুদের নিয়ে আসবে। 7 সেই স্থানে তোমরা তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের উপস্থিতির সামনে আহার করবে এবং যে সব উত্তম বিষয় পরিশ্রম করে লাভ করেছ তা তুমি এবং তোমার পরিবারগুলির সাথে ভাগ করে নেবে, কারণ প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের আশীর্বাদ করেছেন এবং তোমাদের ঐ সমস্ত ভালো জিনিসগুলো দিয়েছেন।
8 “আমরা যে ভাবে উপাসনা করে আসছিলাম সেইভাবে তোমরা অবশ্যই তোমাদের উপাসনা চালিয়ে যাবে না। এখন পর্যন্ত আমরা যা ভাল মনে করেছি সেইভাবেই ঈশ্বরের উপাসনা করে আসছিলাম। 9 কারণ প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের যে দেশ দিচ্ছেন সেই বিশ্রামস্থানে তোমরা এখনও প্রবেশ কর নি। 10 কিন্তু তোমরা শীঘ্রই যর্দন নদী অতিক্রম করে যাবে এবং সেই দেশে বাস করবে। সেই দেশে প্রভু তোমাদের সমস্ত শত্রুদের কাছ থেকে তোমাদের বিশ্রাম দেবেন আর তোমরা বিপদমুক্ত হবে। 11 এর পর প্রভু তাঁর বিশেষ স্থান পছন্দ করবেন, সেই স্থানে প্রভু তাঁর নাম স্থাপন করবেন এবং আমি তোমাদের যে আজ্ঞা করেছিলাম সেই সমস্ত জিনিসপত্র তোমরা অবশ্যই সেই স্থানে নিয়ে আসবে। তোমাদের হোমবলির নৈবেদ্য, উৎসর্গের জিনিসপত্র, বিশেষ উপহার সামগ্রী, যে কোনও উপহার যা তোমরা তোমাদের শস্যের এবং পশুর এক দশমাংশ প্রভুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলে এবং তোমাদের পশুশালার প্রথমজাত পশুদের নিয়ে এসো। 12 তোমাদের সমস্ত লোকদের নিয়ে সেই স্থানে এস। তোমাদের সন্তানদের, তোমাদের পরিচারকদের এবং তোমাদের শহরে বসবাসকারী লেবীয়দের নিয়ে এসো। (কারণ তোমাদের মধ্যে এই সমস্ত লেবীয়দের নিজেদের জমির কোনো অংশ বা অধিকার নেই।) তোমরা সেখানে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের, উপস্থিতির সামনে সবার সাথে আনন্দ উপভোগ করো। 13 সাবধান, যে কোন স্থান দেখলেই সেখানে তোমাদের হোমবলির নৈবেদ্য উৎসর্গ করো না। 14 তোমাদের পরিবারগোষ্ঠীর মধ্যে প্রভু তাঁর যে বিশেষ স্থান পছন্দ করবেন, কেবলমাত্র সেই স্থানেই তোমরা হোমবলির নৈবেদ্যসমুহ এবং অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী উৎসর্গ করো এবং আমি যা আদেশ করছি সেগুলোই পালন করো।
15 “তোমরা যেখানেই থাকো, তোমরা যে কোনও পশুদের, যেমন কৃষ্ণসার এবং হরিণ হত্যা করতে পার এবং সেগুলো খেতে পারো। তোমরা যতটা চাও সেই পরিমাণ মাংস তোমরা আহার করতে পার, যে পরিমাণ প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের দেন। যে কোনোও ব্যক্তি এই মাংস খেতে পারে—লোকদের মধ্যে যারা শুচি এবং অশুচি। 16 কিন্তু তোমরা অবশ্যই রক্ত খাবে না। ঠিক জলের মতোই রক্তটাকে তোমরা মাটিতে ঢেলে ফেলবে।
17 “তোমরা যেখানে বাস করছ সেই স্থানে এই জিনিসগুলি অবশ্যই ভক্ষণ করবে না—যেমনঃ তোমাদের শস্যের এক দশমাংশ, তোমাদের নতুন দ্রাক্ষারস এবং তেল, তোমাদের পশুপালের অথবা গবাদিপশুর প্রথমজাত পশুদের, যে কোনোও উপহার যেটা তোমরা ঈশ্বরের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলে, যে কোনও বিশেষ উপহারসামগ্রী যা তোমরা ঈশ্বরের কাছে মানত করেছ অথবা ঈশ্বরের জন্য সরিয়ে রাখা অন্যান্য যে কোনোও উপহারসামগ্রী। 18 তোমরা অবশ্যই ঐ সমস্ত নৈবেদ্য কেবলমাত্র সেই স্থানেই আহার করবে যেখানে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের, উপস্থিতি থাকবে এবং সেই বিশেষ স্থানে, যেটি প্রভু তোমাদের ঈশ্বর পছন্দ করবেন। তোমরা অবশ্যই সেই স্থানে যাবে এবং তোমাদের পুত্রদের, তোমাদের কন্যাদের, তোমাদের সমস্ত পরিচারকদের এবং তোমাদের শহরে বসবাসকারী লেবীয়দের সঙ্গে একত্রে আহার করবে। সেখানে তোমরা নিজেরা প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের, উপস্থিতির সামনে আনন্দ উপভোগ করবে। তোমরা যে জন্য কাজ করেছিলে, সেই জিনিসগুলোকে সেখানে উপভোগ করো। 19 কিন্তু সাবধান, তোমরা সবসময়ই এই সমস্ত খাদ্যদ্রব্য লেবীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। তোমরা যতদিন তোমাদের দেশে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত তোমরা এ কাজ করবে।
20-21 “প্রভু তোমাদের ঈশ্বর যখন তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুসারে দেশের সীমা বিস্তার করবেন সেই সময় তিনি তাঁর নাম স্থাপনার্থে যে স্থানটি নির্বাচিত করেছেন তা থেকে তোমরা হয়তো অনেক দূরে বসবাস করতে পার। যদি এটি অনেক দূরে হয় এবং তোমরা মাংসের জন্য ক্ষুধার্ত হও তবে প্রভু তোমাদের যা দিয়েছেন সেই পশুপাল থেকে তোমরা যে কোনো পশুকে হত্যা করতে পার। আমি তোমাদের যে আদেশ করেছি সেই ভাবেই এটি করো। তোমরা তোমাদের শহরে এই মাংস যত ইচ্ছা তত খেতে পার। 22 তোমরা যেভাবে কৃষ্ণসার অথবা হরিণের মাংস খাও সেভাবেই তোমরা এই মাংস খেতে পার। শুচি বা অশুচি যে কোন ব্যক্তিই তা খেতে পারে। 23 কিন্তু সাবধান, রক্ত খেও না, কারণ রক্তের মধ্যেই জীবনের অস্তিত্ব। তোমরা সেই মাংস কখনই খাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। 24 রক্ত খেও না। জলের মতোই মাটির ওপরে রক্ত ঢেলে ফেলে দেবে। 25 কাজেই রক্ত খেও না। প্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায় সেই কাজগুলো করলে তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের মঙ্গল হবে।
26 “তোমাদের পবিত্র উপহার এবং যদি তোমরা ঈশ্বরকে বিশেষ কিছু দেবে বলে মানত করে থাক, তাহলে তা নিয়ে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের, মনোনীত স্থানে যাবে। 27 সেই জায়গায় তোমরা অবশ্যই তোমাদের হোমবলি উৎসর্গ করবে। তোমরা অবশ্যই প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের বেদীর ওপরে তোমাদের হোমবলির মাংস এবং রক্ত উভয়ই উৎসর্গ করবে। তোমরা অবশ্যই তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের বেদীর ওপরে রক্ত ঢালবে। এরপর তোমরা মাংস খেতে পার। 28 আমি তোমাদের যে আদেশগুলো দিলাম সেগুলো মেনে চলার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকবে। প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের চোখে যা ভাল এবং ন্যায় সেই কাজগুলি করলে তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের চিরদিন মঙ্গল হবে।
29 “তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ সেই দেশের অধিবাসীদের প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, ধ্বংস করবেন, সুতরাং তোমরা ঐ সমস্ত অধিবাসীদের সেই দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করে সেখানে বাস করবে। 30 তখন সাবধান, তোমাদের চোখের সামনে তাদের ধ্বংসের পর তাদের অনুকরণ করে ফাঁদে পড়ো না। সাবধান, সাহায্যের জন্য ঐ সমস্ত মূর্ত্তির অন্বেষণ করো না, কখনও খোঁজ নিও না, ‘ঐ সমস্ত লোকরা ঐ দেবতাদের কিভাবে পূজা করত, পাছে বল আমিও একইভাবে পূজা করব!’ 31 সেইভাবে তোমরা তোমাদের প্রভু, ঈশ্বরের, উপাসনা করো না। কারণ প্রভু যেগুলো ঘৃণা করেন সেই সবরকম খারাপ কাজই ঐ সমস্ত লোকরা করে। কারণ তারা দেবতাদের কাছে বলি হিসেবে তাদের সন্তানদের পোড়ায়!
32 “আমি তোমাদের যে আদেশগুলো করলাম সেগুলো পালন করার ব্যাপারে তোমরা খুব সতর্ক হবে। আমি তোমাদের যা বললাম সেগুলোর সঙ্গে কোনো কিছু যোগ করো না এবং সেগুলো থেকে কোনো কিছু বাদও দিও না।
97 প্রভু শাসন করেন, তাই পৃথিবী সুখী।
দূরদূরান্তের ভূখণ্ডও সুখী।
2 ঘন কালো মেঘ প্রভুকে ঘিরে রয়েছে।
সুবিচার এবং ধার্ম্মিকতা তাঁর রাজ্যকে দৃঢ় করে।
3 একটা আগুন প্রভুর আগে আগে যায়
এবং তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করে।
4 তাঁর বিদ্যুৎ আকাশে ঝলক দিয়ে ওঠে।
তা দেখে লোকে ভয় পায়।
5 পর্বতও প্রভুর সামনে মোমের মত গলে যায়।
সমগ্র পৃথিবীর প্রভুর সামনে তারা গলে যায়!
6 আকাশ তাঁর ধার্ম্মিকতার কথা বলে!
প্রত্যেকে তাঁর মহিমা দেখুক!
7 লোকরা তাদের মূর্ত্তিকে পূজা করে।
ওরা ওদের “দেবতার” বড়াই করে।
কিন্তু ওই লোকগুলো লজ্জিত হবে।
ওদের “দেবতারাই” মাথা নত করে প্রভুর উপাসনা করবে।
8 সিয়োন, শোন এবং সুখী হও!
যিহূদার শহরসমূহ, সুখী হও!
কেন? কারণ ঈশ্বর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেন।
9 হে পরাৎপর প্রভু, প্রকৃতই আপনি পৃথিবীর শাসনকর্তা।
“দেবতাদের” চেয়ে আপনি অনেক ভালো।
10 যারা প্রভুকে ভালোবাসে, তারা মন্দকে ঘৃণা করবে।
ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করেন।
11 ধার্ম্মিক লোকদের ওপর আলো ও সুখ উদ্ভাসিত হয়।
12 হে ধার্ম্মিক লোকরা, প্রভুতে সুখী হও!
তাঁর পবিত্র নামের সম্মান কর!
একটি প্রশংসা গীত
98 প্রভুর উদ্দেশ্যে একটা নতুন গান গাও,
কারণ তিনি নতুন নতুন আশ্চর্য কার্য করেছেন!
তাঁর পবিত্র ডান বাহু
আবার তাঁকে বিজয় এনে দিয়েছে।
2 প্রভু জাতিগুলোর নিকট তাঁর উদ্ধার করার শক্তি প্রকাশ করেছেন।
প্রভু তাদের তাঁর ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শন করেছেন।
3 ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি প্রভুর বিশ্বস্ততা তাঁর অনুগামীরা স্মরণ করে।
দূরদূরান্তের দেশও আমাদের ঈশ্বরের ত্রাণশক্তি দেখেছে।
4 পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ, প্রভুর উদ্দেশ্যে আনন্দধ্বনি দাও।
শীঘ্রই প্রশংসা গীত শুরু কর!
5 হে বীণা, প্রভুর প্রশংসা কর।
বীণার সুর প্রভুর প্রশংসা কর।
6 ভেঁপু ও বাঁশি বাজাও
এবং আমাদের রাজা প্রভুর উদ্দেশ্যে আনন্দ ধ্বনি দাও!
7 সমুদ্র এবং পৃথিবী এবং যেখানে যা কিছু আছে
সবাই যেন উচ্চস্বরে গেয়ে ওঠে।
8 হে নদীসমূহ, তোমরা হাততালি দাও!
হে পর্বতরাজি, তোমরা একসঙ্গে গেয়ে ওঠো!
9 প্রভুর সামনে গান গাও
কেননা তিনি বিশ্বকে শাসন করতে আসছেন।
তিনি ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে এই বিশ্বকে শাসন করবেন।
তিনি সততার সঙ্গে লোকদের শাসন করবেন।
ইস্রায়েলের শাস্তি শেষ হবে
40 তোমাদের ঈশ্বর বলেন,
“স্বস্তি, আমার লোকরা স্বস্তিতে থাকো!
2 জেরুশালেমের প্রতি দয়ালু হয়ে কথা বল।
জেরুশালেমকে বল, ‘তোমার সেবা করার সময় শেষ।
তোমার পাপের মূল্য তুমি দিয়েছ।’
জেরুশালেম যত পাপ করেছে তার দ্বিগুণ শাস্তি প্রভু তাকে দিয়েছেন।”
3 শোন একজন মানুষ চিৎকার করছে!
“মরুর মধ্যেও প্রভুর জন্য পথ প্রস্তুত কর!
মরুস্তরে আমাদের ঈশ্বরের জন্য পথ তৈরি কর!
4 প্রত্যেক উপত্যকা পূর্ণ কর।
প্রত্যেক পাহাড় পর্বতকে কর সমতল।
আঁকা-বাঁকা রাস্তাকে সোজা কর।
অসমান জমিকে মসৃণ কর।
5 তখনই প্রভুর মহিমা বুঝতে পারবে।
সবাই এক সঙ্গে দেখতে পাবে প্রভুর মহিমা।
হ্যাঁ, প্রভু নিজেই বলেছেন এসব কথা!”
6 একটি কণ্ঠস্বর বলল, “কথা বল!”
তখন লোকে বলল, “আমাদের কি বলা উচিৎ?”
ঐ কণ্ঠস্বর বলল, “মানুষ চিরকাল বাঁচে না, তারা আসলে ঘাসের মতো।
তাদের ধার্মিকতা বুনো ফুলের মতো।
7 প্রভুর কাছ থেকে আসা একটি শক্তিশালী বাতাস
ঘাসের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
ঘাস মরে যায়, বুনো ফুল ঝরে পড়ে।
8 হ্যাঁ সমস্ত লোক ঘাসের মতো।
ঘাস মরে, বুনো ফুল ঝরে পড়ে।
কিন্তু আমাদের ঈশ্বরের বাক্য চিরকাল থেকে যায়।”
পরিত্রাণ: ঈশ্বরের সুসমাচার
9 সিয়োনের প্রতি সুসমাচারের বার্তাবাহক,
পর্বতের ওপর থেকে চিৎকার করে সুসমাচার ঘোষণা করে দাও।
জেরুশালেমের প্রতি সুসমাচারের বার্তাবাহক,
ভয় পেও না, চেঁচিয়ে কথা বল!
যিহূদায় সমস্ত শহরে এই খবর ঘোষণা করে দাও:
“দেখ, এখানে তোমাদের ঈশ্বর আছেন।”
10 প্রভু, আমার সদাপ্রভু ক্ষমতাসহ ফিরে আসছেন।
সব মানুষকেই শাসন করতে তিনি তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করবেন।
দেখ, তাঁর পুরস্কার তাঁর সঙ্গে রয়েছে
এবং তাঁর মজুরি তাঁর সামনে রয়েছে।
11 মেষপালক যেভাবে তার মেষদের নেতৃত্ব দেয় প্রভুও তেমনি তাঁর লোকেদের নেতৃত্ব দেবেন।
নিজের বাহু দিয়ে প্রভু একত্রিত করবেন মেষদের।
তিনি মেষশাবকদের কোলে তুলে রাখবেন।
তাদের মায়েরা প্রভুর পিছন পিছন হাঁটবে।
বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর; তিনি শাসন করেন
12 নিজের হাতে কে সমুদ্র মেপেছেন?
আকাশ মাপতে কে তাঁর হাত ব্যবহার করেছেন?
পৃথিবীর ধূলিকণা মাপতে কে তাঁর পাত্র ব্যবহার করেছেন?
কে দাঁড়িপাল্লায় পাহাড় পর্বত ওজন করেছেন?
প্রভু এসব করেছেন!
13 প্রভুর আত্মার কি করা উচিৎ কেউ কখনও বলেনি।
যে সব কাজ প্রভু করেছেন তা কিভাবে করতে হবে তা কোন ব্যক্তি প্রভুকে পরামর্শ দেয়নি।
14 প্রভু কি কারও কাছে সাহায্য চেয়েছেন?
কোন ব্যক্তি কি প্রভুকে ন্যায়পরায়ণ হতে শিখিয়েছে?
কেউ কি কখনও প্রভুকে জ্ঞান দান করেছে?
কেউ কি কখনও প্রভুকে জ্ঞানী করে তুলেছে?
না! এইসব প্রভু নিজেই জানতেন।
15 দেখ, পৃথিবীর সব দেশই একটি বালতিতে ছোট এক ফোঁটা জলের মত।
প্রভু যদি তাঁর দূরবর্তী দেশগুলিকে এনে ওজন মাপার যন্ত্রে চাপান
তাদের অবস্থা হবে ধূলিকণার মত।
16 লিবানোনের সব গাছও প্রভুর জন্য জ্বালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়।
উৎসর্গের জন্য বধ হতে লিবানোনের সব পশুও যথেষ্ট নয়।
17 ঈশ্বরের তুলনায়, পৃথিবীর সমস্ত জাতিগুলি কিছুই নয়।
ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা কর, পৃথিবীর সব দেশই মূল্যহীন।
ঈশ্বর কিসের মত তা লোকরা ধারণা করতে পারে না
18 ঈশ্বরের সঙ্গে কারো কি তুলনা করতে পার?
না। তুমি কি ঈশ্বরের ছবি আঁকতে পার? না।
19 কাঠ অথবা ধাতু দিয়ে কেউ কেউ মূর্ত্তি বানায়।
আর সেই মূর্ত্তিকেই তারা দেবতা বলে মনে করে।
একজন শ্রমিক মূর্ত্তি বানায়।
অন্য শ্রমিকরা সোনা-রূপা দিয়ে মূর্ত্তির জন্য অলঙ্কার বানায়।
20 আসল অংশের জন্য তারা বেছে নেয় বিশেষ কাঠ,
কারণ বিশেষ ধরণের কাঠের পচন ধরে না।
তারপর তারা দক্ষ কাঠমিস্ত্রীর খোঁজ করে।
তারপর ছুতোর মিস্ত্রী একটি “মূর্ত্তি” তৈরী করে যেটা পড়ে যাবে না।
21 তুমি নিশ্চয়ই আসল সত্যটা জানো, জানো না কি?
তোমাকে নিশ্চয়ই অনেক বছর আগে কেউ বলেছে!
তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ কে পৃথিবীটা তৈরি করেছে!
22 প্রভুই সত্যিকারের ঈশ্বর!
তিনি পৃথিবীর বৃত্তের ওপর বসে থাকেন।
তাঁর তুলনায় মানুষ ঘাস ফড়িং-এর মতো।
বস্ত্রখণ্ডের মতো তিনি আকাশকে মেলে ধরেন।
আকাশের তলায় বসার জন্য তিনি তাকে তাঁবুর মত বিছিয়ে ধরেন।
23 তিনি শাসকদের গুরুত্বহীন করেন,
তিনি পৃথিবীর বিচারকদের করেন সম্পূর্ণ মূল্যহীন।
24 সেই সব শাসকরা চারা গাছের মতো, তাদের মাটিতে রোপন করা হয়,
কিন্তু শিকড় গাড়ার আগেই
ঈশ্বর সেই সব চারা “গাছদের” ওপর দিয়ে বয়ে যান
এবং সেই সব চারা গাছ মরে শুকনো হয়ে যায়।
বাতাস তাদের খড়কুটোর মতো উড়িয়ে নিয়ে যায়।
25 পবিত্র ঈশ্বর বলেন: “আমার সঙ্গে কারও তুলনা করতে পারবে কি?
না! কেউ আমার সমান নয়।”
26 আকাশের দিকে তাকাও।
তারাগুলি তৈরী করেছে কে?
আকাশের “সেনাদের” সৃষ্টিকর্তা কে?
কে সব তারাদের নাম জানে?
সত্যিকারের ঈশ্বর প্রচণ্ড শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান,
তাই কোন তারা হারিয়ে যায় না।
27 যাকোবের লোকরা, এসবই সত্য!
ইস্রায়েল, তোমারও এইসব বিশ্বাস করা উচিৎ!
তবু কেন তোমরা বলছ, “আমরা কেমনভাবে জীবনযাপন করছি তা প্রভু দেখতে পাবেন না
এবং আমাদের শাস্তি দিতে পারবেন না?”
28 তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছো
এবং জানো যে প্রভু ঈশ্বর অত্যন্ত জ্ঞানী।
তিনি যা জানেন মানুষ তা শিখতে পারে না।
প্রভু কখনও ক্লান্ত হন না এবং তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন নেই।
প্রভু পৃথিবীর সমস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল সৃষ্টি করেছেন।
তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
29 প্রভু দুর্বলকে সবল হতে সাহায্য করেন।
ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করেন।
30 যুবকরাও ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।
তারাও মাটিতে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়।
31 কিন্তু প্রভুতে বিশ্বাসী লোকরা ঈগল পাখির নতুন ডানা গজানোর মতো আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এইসব লোকরা শত দৌড়লেও দুর্বল হয় না,
ক্লান্ত হয়ে পড়ে না।
স্বর্গদূত এবং একটি ছোট গুটানো পুঁথি
10 পরে আমি একজন শক্তিশালী স্বর্গদূতকে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখলাম। তিনি একখণ্ড মেঘকে পোশাকের মতো করে পরেছিলেন, আর তাঁর মাথার চারদিকে মেঘধনুক ছিল। তাঁর মুখ সূর্যের মতো, আর পা আগুনের থামের মতো। 2 তাঁর হাতে ছিল একটি খোলা পুঁথি। তিনি তাঁর ডান পা-টি সমুদ্রের ওপরে আর বাঁ পাটি স্থলে রাখলেন। 3 আর সিংহ গর্জনের মতো হুঙ্কার ছাড়লেন। স্বর্গদূতের গর্জনের পর সপ্ত বজ্রধ্বনি হুঙ্কার করে উঠল।
4 যখন সপ্ত বজ্রধ্বনি কথা বলল তখন আমি তা লিখতে চাইলাম। কিন্তু স্বর্গ থেকে এক স্বর বলল, “তুমি লিখো না। বজ্র যা বলছে তা গোপন রাখ।”
5 পরে সেই স্বর্গদূত, যাঁকে আমি সমুদ্রের ওপরে এবং স্থলের ওপরে পা রেখে দাঁড়াতে দেখেছিলাম, স্বর্গের দিকে তাঁর ডান হাতটি ওঠালেন; 6 আর যিনি যুগে যুগে জীবন্ত, যিনি আকাশ, পৃথিবী ও সমুদ্র ও এই সবের মধ্যে যা কিছু আছে তার সৃষ্টিকর্তা, তাঁর নামে এই শপথ করে বললেন, “আর দেরী হবে না। 7 যখন সপ্তম স্বর্গদূতের তূরী বাজানোর সময় আসবে তখন ঈশ্বরের সেই নিগৃঢ় পরিকল্পনা পরিপূর্ণ হবে। এ সেই সুসমাচারের পরিকল্পনা যা ঈশ্বর তাঁর ভাববাদী ও দাসদের কাছে প্রকাশ করেছিলেন।”
8 এরপর স্বর্গ থেকে সেই রব আমি আবার শুনতে পেলাম। সেই রব আমাকে বলল, “যাও, স্বর্গদূতের হাত থেকে খোলা পুঁথিটি নাও। এই সেই স্বর্গদূত যিনি সমুদ্র ও স্থলের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়েছিলেন।”
9 তখন আমি সেই স্বর্গদূতের কাছে গিয়ে তাঁকে বললাম, ঐ ছোট্ট পুঁথিটি আমায় দিন। তিনি আমায় বললেন, “নাও, খেয়ে ফেল। এটা তোমার পেটে গিয়ে তিক্ত হবে। কিন্তু মুখে মধুর মতো মিষ্টি লাগবে।” 10 তখন আমি স্বর্গদূতের হাত থেকে সেটি নিয়ে খেয়ে ফেললাম। তা মুখে মধুর মতো মিষ্টি লাগল কিন্তু খাওয়ার পর আমার পাকস্থলী তিক্ততায় ভরে গেল। 11 তিনি আমাকে বললেন, “অনেক লোক, জাতি, ভাষা এবং রাজাদের সম্বন্ধে তোমাকে আবার ভাববাণী করতে হবে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International