M’Cheyne Bible Reading Plan
মরিয়ম মারা গেলেন
20 ইস্রায়েলের লোকরা প্রথম মাসে, সীন মরুভূমিতে পৌঁছালো। প্রথমে তারা কাদেশে পৌঁছাল, সেখানে মরিয়ম মারা গেলেন এবং তাঁকে সেখানেই কবর দেওয়া হয়েছিল।
মোশি ভুল করলেন
2 সেই জায়গায় লোকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জল ছিল না, সুতরাং মোশি এবং হারোণের কাছে অভিযোগ করার জন্যে লোকরা এক জায়গায় মিলিত হয়েছিল। 3 লোকরা মোশির সঙ্গে তর্ক করে বলল, “এও হলে ভাল হতো যদি আমরা আমাদের ভাইদের মতো প্রভুর সামনে মারা যেতাম। 4 আপনি কেন প্রভুর লোকদের এই মরুভূমিতে নিয়ে এসেছিলেন? আপনার ইচ্ছে কি এটাই যে আমাদের এবং আমাদের সঙ্গে থাকা পশুদের এখানেই মৃত্যু হোক্? 5 আপনি কেন আমাদের মিশর থেকে এই খারাপ জায়গায় নিয়ে এসেছেন? এখানে কোনো শস্য নেই। এখানে কোনো ডুমুর, দ্রাক্ষা অথবা ডালিম ফল নেই এবং পানের জন্য কোনো জলও নেই।”
6 সুতরাং মোশি এবং হারোণ লোকদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে গেলেন। তাঁরা মাটিতে উপুড় হয়ে পড়লে প্রভুর মহিমা তাঁদের সামনে প্রকাশিত হল।
7 প্রভু মোশিকে বললেন, 8 “হাঁটার বিশেষ লাঠিটি নিয়ে এসো। হারোণ এবং লোকদের নিয়ে সেই পাহাড়ের সামনে এসো। সবার সামনে ঐ পাহাড়কে বলো, তখন ঐ পাহাড় থেকে জল প্রবাহিত হবে। তুমি সেই জল লোকদের এবং তাদের পশুদের দিতে পারবে।”
9 লাঠিটি পবিত্র তাঁবুতে প্রভুর সামনে ছিল। প্রভু যেভাবে বলেছিলেন, মোশি সেই ভাবেই লাঠিটি নিয়ে এলেন। 10 মোশি এবং হারোণ পাহাড়ের সামনে সমস্ত লোকদের সমবেত হতে বললেন। তখন মোশি বললেন, “তোমরা সকল সময়েই অভিযোগ করছ। এখন আমার কথা শোন। আমরা কি তোমাদের জন্য এই পাহাড় থেকে জল বার করবো?” 11 এরপর মোশি তাঁর হাত তুললেন এবং পাহাড়ে দুবার আঘাত করলেন। পাহাড় থেকে জল বেরোতে শুরু করল। লোকরা এবং তাদের পশুরা জল পান করল।
12 কিন্তু প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “ইস্রায়েলের সব লোকের সাক্ষাতে তুমি আমার প্রতি সম্মান দেখাও নি। তুমি ইস্রায়েলের লোকদের দেখাও নি যে জল বার করার ক্ষমতা আমার থেকেই এসেছে। তুমি লোকদের দেখাও নি যে তুমি আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছো। আমি ঐসব লোকদের সেই দেশটি দেব যে দেশটি আমি তাদের দেব বলে শপথ করেছিলাম, কিন্তু তুমি তাদের সেই দেশে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দেবে না।”
13 এই জায়গাটিকে বলা হতো মরীবার জল। এটিই সেই জায়গা যেখানে ইস্রায়েলীয়রা প্রভুর সঙ্গে বিবাদ করেছিল এবং এটিই সেই জায়গা যেখানে প্রভু তাদের দেখিয়েছিলেন যে তিনি পবিত্র।
ইদোম ইস্রায়েলকে যেতে বাধা দিল
14 কাদেশে থাকাকালীন মোশি ইদোমীয় রাজার কাছে বার্তাসহ কয়েকজন লোককে পাঠালেন। বার্তায় বলা ছিল:
“আপনার ভাইরা অর্থাৎ ইস্রায়েলের লোকেরা, আপনাকে বলছে: আমাদের যে সব সমস্যা আছে সে সম্পর্কে আপনি সবই জানেন। 15 বহু বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা মিশরে গিয়েছিলেন এবং আমরা সেখানে বহু বছর বাস করেছিলাম। মিশরের লোকরা আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি নিষ্ঠুর ছিলেন। 16 কিন্তু আমরা প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম। প্রভু আমাদের প্রার্থনা শুনেছিলেন এবং আমাদের সাহায্যের জন্য একজন দূত পাঠিয়েছিলেন। প্রভু আমাদের মিশর থেকে নিয়ে এসেছেন।
“এখন আমরা আপনার দেশের প্রান্তে কাদেশে আছি। 17 দয়া করে আপনার দেশের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে দিন। আমরা কোনো শস্য ক্ষেত অথবা কোনো দ্রাক্ষাক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাবো না। আমরা আপনাদের কোনো জলাশয় থেকে জল পান করবো না। আমরা রাজপথ বরাবর যাতায়াত করবো। আমরা ঐ রাস্তা থেকে কোনো সময়ই ডানদিকে অথবা বাঁদিকে যাবো না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আপনার দেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই রাস্তার ওপরেই থাকবো।”
18 কিন্তু ইদোমীয় রাজা উত্তর দিলেন, “তোমরা আমার দেশের মধ্য দিয়ে যেতে পারবে না। তোমরা আমার দেশের মধ্য দিয়ে যাবার চেষ্টা করলে আমরা তরবারি নিয়ে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবো।”
19 ইস্রায়েলের লোকরা উত্তর দিল, “আমরা প্রধান রাস্তা দিয়ে যাবো। যদি আমাদের পশুরা আপনাদের কোনো জল পান করে, আমরা তার জন্য মূল্য দেবো। আমরা কেবলমাত্র আপনার দেশের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে চাই। আর কিছু নয়।”
20 কিন্তু ইদোম আবার উত্তর দিলেন, “আমরা তোমাদের আমাদের দেশের মধ্য দিয়ে যাবার অনুমতি দেবো না।”
এরপর ইদোমীয় রাজা এক বিশাল এবং শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী জড়ো করলেন এবং ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গেলেন। 21 ইদোমীয় রাজা তাঁর দেশের মধ্য দিয়ে ইস্রায়েলের লোকদের যাওয়া নিষেধ করলেন। তাই ইস্রায়েলের লোকরা ঘুরে অন্য পথে গেল।
হারোণ মারা গেলেন
22 ইস্রায়েলের লোকরা কাদেশ থেকে হোর পর্বতের দিকে যাত্রা করল। 23 হোর পর্বত ছিল ইদোম সীমানার কাছে। এখানেই প্রভু মোশি এবং হারোণকে বললেন, 24 “হারোণের মৃত্যুর সময় হয়েছে এবং তার পূর্বপুরুষদের কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে। যে দেশটা আমি ইস্রায়েলের লোকদের দেব বলে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম, হারোণ সেই দেশে প্রবেশ করবে না। মোশি, আমি একথা তোমাকেও বললাম, কারণ তুমি এবং হারোণ দুজনেই মরীবার জলের ধারে দেওয়া আমার আজ্ঞার বিরুদ্ধাচরণ করেছিলে।
25 “এখন হারোণ এবং তার পুত্র ইলীয়াসরকে হোর পর্বতের ওপরে নিয়ে এসো। 26 হারোণের বিশেষ বস্ত্র তার কাছ থেকে নিয়ে এসো এবং সেই বস্ত্রাদি তার পুত্র ইলীয়াসরকে পরিয়ে দাও। সেখানে পর্বতের ওপরে হারোণের মৃত্যু হবে। সে তার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবে।”
27 মোশি প্রভুর আজ্ঞা পালন করলেন। মোশি, হারোণ এবং ইলীয়াসর হোর পর্বতের ওপরে গেলেন এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোক তাদের সেখানে যেতে দেখল। 28 মোশি হারোণের বিশেষ পোশাক খুলে নিলেন এবং হারোণের পুত্র ইলীয়াসরকে সেই সব পোশাক পরিয়ে দিলেন। এরপর পর্বতের চূড়ায় হারোণ মারা গেলে মোশি এবং ইলীয়াসর পর্বত থেকে নেমে এলেন। 29 ইস্রায়েলের সকল লোক হারোণের মৃত্যুর খবর জানল। এই কারণে ইস্রায়েলের প্রত্যেক ব্যক্তি 30 দিন শোক পালন করল।
পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ করো না” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম।
58 ওহে বিচারকগণ, তোমরা তোমাদের বিচারে ন্যায় সঙ্গত নও।
তোমরা সৎভাবে লোকের বিচার করছো না।
2 না, তোমরা শুধুই খারাপ কাজ করার কথা ভাবো।
এই দেশে তোমরা হিংসাত্মক অপরাধসমূহ কর।
3 সেই সব মন্দ লোক যখনই জন্মায় তখন থেকেই ওরা ভুল কাজ করতে শুরু করে।
জন্ম থেকেই ওরা মিথ্যাবাদী।
4 ওদের ক্রোধ সাপের বিষের মতই ভয়ঙ্কর এবং বধির গোখুরে সাপের মত।
ওরা সত্য কথা শুনতে অস্বীকার করে।
5 গোখুরে সাপরা সাঁপুড়ের বীণের সুর বা গান শুনতে পায় না।
ঐসব মন্দ লোকরাও সেইসব সাপের মত, কারণ তারা কু-চক্রান্ত করে।
6 প্রভু, ঐ লোকগুলো সিংহের মত।
তাই হে প্রভু, ওদের দাঁতগুলো ভেঙে দিন।
7 নর্দমা দিয়ে যেমন জল গড়িয়ে যায়, ঐ লোকগুলোও যেন সেভাবেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
পথের ধারে আগাছার মত ওরা যেন বিনষ্ট হয়।
8 ওরা শামুকের মত হোক্, নড়বার সময় যেন গলে গলে যায়।
ওরা যেন জন্ম-মৃত শিশুর মত কোনদিন দিনের আলো না দেখে।
9 যে কাঁটাঝোপকে জ্বালানী হিসেবে জ্বালিয়ে রান্নার পাত্র গরম করা হয়
ওরা যেন সেই কাঁটাঝোপের জ্বালানীর মত বিনষ্ট হয়।
10 একজন সৎ লোক তখন খুশী হবে যখন সে দেখবে
তার প্রতি করা অন্যায় কাজের জন্য মন্দ লোকরা শাস্তি পাচ্ছে।
সে সেই রকম সৈনিকের মত হবে যে
তার সমস্ত শত্রুদের পরাজিত করেছে।[a]
11 যখন এটা ঘটবে, তখন লোকে বলবে: “সৎ লোকেরা সত্যিই পুরস্কৃত।
সত্যই একজন ঈশ্বর আছেন যিনি পৃথিবীর বিচার করেন।”
পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ করো না।” গানটির পর্দায় গাওয়া দায়ূদের একটি মিকতাম যখন শৌল দায়ূদকে হত্যা করবার জন্য তাঁর বাড়ীতে লোক পাঠিয়েছিলেন।
59 ঈশ্বর আমাকে আমার শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
যারা আমার সঙ্গে লড়াই করতে এসেছে তাদের পরাজিত করতে আমায় সাহায্য করুন।
2 সেই সব লোক যারা মন্দ কাজ করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ঐসব খুনীদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
3 দেখুন শক্তিশালী লোকরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
যদিও আমি কোন পাপ বা অপরাধ করিনি
তবুও ওরা আমায় হত্যা করার জন্য অপেক্ষা করছে।
4 আমি কোন ভুল করি নি কিন্তু আমাকে আক্রমণ করার জন্য ওরা এখানে ছুটে এসেছে।
প্রভু, উঠুন এবং এসে আমায় সাহায্য করুন। দেখুন কি ঘটছে।
5 প্রভু, আপনিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর!
উঠুন এবং ঐসব লোককে শাস্তি দিন।
ঐসব বদ বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি এতটুকু দয়া দেখাবেন না।
6 ঐসব লোকরা কুকুরের মত
যারা সন্ধ্যা বেলায় ক্রুদ্ধ গর্জন করতে করতে
এবং রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে শহরে আসে।
7 ওদের হুমকি ও অপমান শুনুন।
ওরা ঐসব নির্মম কথাগুলো বলছে।
কিন্তু ওরা খেয়াল করে না কারা তা শুনছে।
8 প্রভু ওদের আপনি উপহাস করুন।
ওদের সকলকে বিদ্রূপ করুন।
9 আমি আপনার উদ্দেশ্যে আমার বন্দনা গান করবো।
ঈশ্বর, উঁচু পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ স্থান।
10 ঈশ্বর আমায় ভালোবাসেন এবং তিনি আমাকে জয়ী হতে সাহায্য করবেন।
তিনি আমায় শত্রুদের পরাজিত করতে সাহায্য করবেন।
11 হে ঈশ্বর, ওদের নিছক হত্যা করবেন না, নতুবা আমার লোকেরা তাদের ভুলে যেতে পারে। কে তাদের জয় এনে দিয়েছে?
হে আমার প্রভু এবং রক্ষাকারী, আপনার ক্ষমতা বলে ওদের আপনি পরাজিত করুন। ছত্রভঙ্গ করুন।
12 ঐসব মন্দ লোক মিথ্যা কথা বলে ও অভিশাপ দেয়।
ওরা যা বলেছে তার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
ওদেরই দম্ভের ফাঁদে ওদের পড়তে দিন।
13 আপনার ক্রোধে ওদের ধ্বংস করে দিন।
ওদের সম্পূর্ণরূপে বিনাশ করুন!
সারা পৃথিবীকে বুঝতে দিন যে স্বয়ং ঈশ্বর ইস্রায়েলে শাসন করছেন!
14 ঐসব মন্দ লোক, ঘেউ ঘেউ করা ভ্রাম্যমান কুকুরের মত,
রাতের বেলায় শহরে এসেছে।
15 তারা কিছু খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়াবে, কিন্তু কোন খাবার পাবে না,
রাতে বিশ্রাম করবার জন্যও কোন জায়গা তারা খুঁজে পাবে না।
16 কিন্তু সকালে, আমি আপনার প্রশংসা গান গাইবো।
আমি আপনার প্রেমে আনন্দ উল্লাস করবো।
কেন? কারণ উচ্চ পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
সংকট এলে আমি আপনার কাছে ছুটে যেতে পারবো।
17 আপনার প্রশংসা করে আমি গান গাইবো। কেন?
কারণ উচ্চ পর্বতে আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আপনি সেই ঈশ্বর যিনি আমায় ভালোবাসেন!
ঈশ্বর ইস্রায়েলকে শাস্তি দেবেন
8 আমার প্রভু যাকোবের সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে এক আদেশ দেবেন। ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে এই আদেশ পালন করা হবে। 9 তখন ইস্রায়েলের লোক, এমনকি শমরিয়ার প্রধানরাও জানতে পারবে যে ঈশ্বর তাদের শাস্তি দিয়েছেন।
এখন তারা অহঙ্কারী এবং দাম্ভিক। তারা বলে, 10 “এই ইঁটগুলো হয়তো ভেঙে পড়তে পারে, কিন্তু আমরা আবার শক্তিশালী পাথর দিয়ে সেটি গড়ে তুলব। এই সুকমোর গাছগুলি হয়তো কাটা যেতে পারে, কিন্তু আমরা সেখানে নতুন গাছ লাগাব এবং এই নতুন গাছগুলি হবে বড় এবং শক্তিশালী এরস গাছ।”
11 তাই প্রভু ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য লোকের খোঁজ করবেন। প্রভু তাদের বিরুদ্ধে রৎসীনের শত্রুদের কাজে লাগাবেন। 12 প্রভু পূর্ব থেকে অরাম এবং পশ্চিম থেকে পলেষ্টীয়দের আনবেন। ঐ শত্রুরা তাদের সৈন্যবাহিনী ব্যবহার করে ইস্রায়েলকে পরাজিত করবেন। কিন্তু তবুও ইস্রায়েলের ওপর থেকে প্রভুর ক্রোধ যাবে না। তবুও প্রভু এখানকার লোকদের শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
13 ঈশ্বর ইস্রায়েলের লোকদের শাস্তি দিলেও তারা পাপ কাজ করা বন্ধ করবে না। তারা প্রভু সর্বশক্তিমানকে মেনে চলবে না। 14 তাই প্রভু ইস্রায়েলের মাথা এবং লেজকে, বৃন্ত ও ডালপালাকে এক দিনেই কেটে ফেলবেন। 15 (এখানে মাথার মানে হল শহরের সম্মানীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বা প্রধান। লেজ মানে হল মিথ্যা কথা বলে এমন ভাববাদী।)
16 যে সব নেতারা লোকদের ভুলপথে নিয়ে যাচ্ছে তাদের ও তাদের অনুসরণকারীদের ধ্বংস করা হবে। 17 এসব লোকগুলো দুষ্ট। প্রভু তরুণদের নিয়ে খুশী নন। তিনি তাদের বিধবা পত্নী ও অনাথ ছেলেমেয়েদের ওপর করুণা করবেন না। কারণ লোকরা দুষ্ট এবং এমন কাজ করে যা ঈশ্বর বিরুদ্ধ। তারা মিথ্যা কথা বলে।
তাই ঈশ্বর এদের ওপর ক্রুদ্ধ থাকবেন এবং এদের শাস্তি চলতেই থাকবে।
18 দুষ্ট বস্তু হল ছোট্ট আগুনের মতো। প্রথমে এই আগুন আগাছা এবং কাঁটাঝোপকে গ্রাস করে। তারপর সেই আগুন বনের আর বড় ঝোপঝাড়কে ভস্মীভূত করে। অবশেষে এটা প্রকাণ্ড আগুনের আকার ধারণ করে সব কিছুকে গ্রাস করে ফেলে।
19 প্রভু সর্বশক্তিমান খুবই ক্রুদ্ধ হয়েছেন। তাই গোটা দেশ পুড়ে ছারখার হবে। সেই আগুনে সমস্ত লোক দগ্ধ হবে। কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে সমবেদনা জানাবে না, এমন কি নিজের ভাইকেও নয়। 20 খিদের জ্বালায় লোকরা ডান দিক থেকে কিছু খাবার ছিনিয়ে নেবে, কিন্তু তবু তারা ক্ষুধার্ত থেকে যাবে। তারা বাঁদিক থেকে কিছু খাবার ছিনিয়ে নেবে, কিন্তু তবু তাদের পেট ভরবে না। তারপর প্রত্যেকটি লোক তাদের নিজেদের দেহের মাংস খেতে থাকবে। 21 এর অর্থ হল মনঃশি ইফ্রয়িমকে ও ইফ্রয়িম মনঃশিকে এবং তারপর উভয়ে এক সঙ্গে যিহূদাকে আক্রমণ করবে।
তবুও ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে প্রভুর ক্রোধ মিটবে না। তিনি সেখানকার লোকদের শাস্তি দেওয়ার জন্য তখনও প্রস্তুত থাকবেন।
10 বাজে, অসৎ বিধি প্রনয়ণকারীদের দেখ। এই বিধি প্রনয়ণকারীরা এমন সব বিধি রচনা করে যা সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে। 2 এই বিধি প্রণয়নকারীরা গরীব মানুষের প্রতি ন্যায় সঙ্গত নয়। তারা গরীব মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। তারা বিধবা এবং অনাথ ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে জিনিসপত্র চুরি করে নেওয়া অনুমোদন করে।
3 হে বিধি প্রণয়নকারী, তোমরা যে সব কাজ করছ সেসব কাজের কৈফিয়ৎ যখন চাওয়া হবে তখন তোমরা কি করবে? তোমাদের দূরের একটা দেশ থেকে ধ্বংস আসছে। তোমরা তখন কোথায় সাহায্যের জন্য ছুটবে? তোমাদের টাকাপয়সা ও ধনসম্পদ তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে না। 4 তোমাদের একজন বন্দীর পিছনে লুকোতে হবে অথবা তোমরা একজন মৃত দেহের নীচে পড়বে। ঈশ্বর তবুও ক্রুদ্ধ থাকবেন। তিনি তোমাদের শাস্তি দেবার জন্য প্রস্তুত হবেন।
বাকসংযমের প্রয়োজনীয়তা
3 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের মধ্যে বেশী লোকের শিক্ষক হওয়ার জন্য চেষ্টা করার দরকার নেই, কারণ তোমরা জান যে আমরা শিক্ষক বলে অন্যদের থেকে আমাদের বিচার কঠোর হবে।
2 কারণ আমরা সকলেই নানাভাবে অন্যায় করে থাকি। যদি কেউ তার কথাবার্তায় অসংযত না হয়, তবে সে একজন খাঁটি লোক, সে সব বিষয়ে নিজের দেহকে সংযত রাখতে পারে। 3 ঘোড়াদের বশে রাখার জন্য, আমরা তাদের মুখে বলগা দিই এবং তার ফলে তাদের সমস্ত দেহকে আমরা আমাদের পছন্দমত যে কোনও দিকে পরিচালিত করতে পারি। 4 আবার জাহাজের কথা ভাব, তারা কত প্রকাণ্ড, প্রচণ্ড বাতাসের মধ্যে দিয়ে চলে, অথচ ছোট্ট একটা হালের সাহায্যে নাবিক সেটাকে যেদিকে ইচ্ছা সেদিকে নিয়ে যায়। 5 তেমনি জিভও দেহের একটা ছোট অঙ্গ, তবু তা বড় বড় কথা বলে।
দেখ আগুনের একটা ছোট ফুলকি কেমন করে এক বিরাট বনকে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। 6 জিভও তেমনি আগুনের ফুলকির মতো। আমাদের দেহের অঙ্গগুলির মধ্যে জিভ হল অধর্মের এক জগত, কারণ জিভ থেকেই নানা মন্দ আমাদের সমস্ত দেহে ছড়িয়ে পড়ে। নরকের আগুনে জিভ জ্বলে উঠে গোটা জীবনকে প্রভাবিত করে।
7 মানুষ সব রকমের পশু-পাখী, সরীসৃপ ও সমুদ্রের প্রাণীকে দমন করে রাখতে পারে আর তাদের বশে রাখতে পারে; 8 কিন্তু কোন মানুষ জিভকে বশে রাখতে পারে না, এই জিভ সব সময়ই অস্থির, মন্দ ও মারাত্মক বিষে ভরা। 9 এই জিভ দিয়েই আমরা কখনও আমাদের প্রভু ও পিতার প্রশংসা করি, আবার কখনও বা ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট মানুষকে অভিশাপ দিই। 10 একই মুখ থেকে প্রশংসা ও অভিশাপ নির্গত হয়। ভাই ও বোনেরা, এমন হওয়া উচিত নয়। 11 একই উৎস থেকে কি কখনও মিষ্টি ও তেতো দুরকম জল নিঃসৃত হয়? 12 আমার ভাই ও বোনেরা, দ্রাক্ষা লতায় কি ডুমুর ফল ধরে? তেমনি নোনা জলের উৎস থেকে কি মিষ্টি জল পাওয়া যায়?
প্রকৃত প্রজ্ঞা
13 তোমাদের মধ্যে জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান কে? সে সৎ জীবনযাপন করে ও নম্রতার সাথে ভাল কাজ করে গর্বহীনভাবে তার বিজ্ঞতা প্রকাশ করুক। 14 তোমাদের মনে যদি তিক্ততা, ঈর্ষা ও স্বার্থপরতা থাকে তাহলে তোমাদের জ্ঞানের বড়াই করো না; করলে তোমাদের গর্ব হবে আর এক মিথ্যা, যা সত্যকে ঢেকে রাখে। 15 এই ধরণের “জ্ঞান” যা ঈশ্বর থেকে লাভ হয় না তা পার্থিব, আত্মিক নয়, তা দিয়াবলের কাছ থেকে আসে। 16 যেখানে ঈর্ষা ও স্বার্থপরতা রয়েছে সেখানেই বিশৃঙ্খলা ও সব রকমের নোংরামি থাকে। 17 কিন্তু যে জ্ঞান ঈশ্বর থেকে আসে তা প্রথমতঃ শুচিশুদ্ধ পরে শান্তিপ্রিয়, সুবিবেচক, বাধ্যতা, দয়া ও সৎ কাজে পূর্ণ, পক্ষপাতশূন্য ও আন্তরিক। 18 যারা শান্তির জন্য শান্তির পথে কাজ করে চলে, তারা উত্তম জিনিস লাভ করে যা যথার্থ জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে আসে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International